তিস্তার পানি রাতেই অতিক্রম করতে পারে বিপদসীমা
উজানের ঢলে ফের বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তার পানি। বিপদসীমার কাছাকাছি মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আবারও তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।  এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট এখনো খুলে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬টা থেকে দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। একই পয়েন্টে বিকাল ৩টা পানি বিপদসীমার ৪০সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পানি বেড়েছে ২৩ সেন্টিমিটার। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহূর্তে বিপদসীমা অতিক্রম বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৯টায় ওই দোয়ানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি আবার কমে যায়। কিন্তু আবারও শনিবার দুপুর গড়তেই পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে চর এলাকার রাস্তাঘাট আবারও তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলা পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। আবারও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, ৫দিন পর আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের শতাধিক ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকটি  পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বিষয়গুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও জেলা প্রশাসককে অবগত কর হয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকাল থেকে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে  তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে  পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাতেই পানি প্রবাহ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও তিনি জানান।  
৩০ জুন, ২০২৪

পদ্মা নদীর পানি গোয়ালন্দে বিপদসীমা ছাড়াল
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত সেখানে ১২ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।  এ নিয়ে গত চার দিনে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৫২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গোয়ালন্দ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার সালমা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমমান পদ্মার পানি বিপদসীমার চার সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এতে গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় নৌকায় যাতায়াত করছেন অনেক গ্রামবাসী।  এদিকে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার মো. সালাউদ্দিন জানান, পদ্মায় পানি বাড়ার পাশাপাশি নদীতে প্রবল স্রোত বইছে। স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলকারী ফেরিগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X