লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া
লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছে। বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য একাধিকবার চিঠি দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ। কর্মকর্তারা গিয়ে বিল পরিশোধের অনুরোধও করেন। তারপরও বিল পরিশোধ না করায় পৌরসভার গোডাউন রোডের পানির পাম্পের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। লাইন বিচ্ছিন্নকরণের ১ দিন পর বুধবার ২৭ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও ১ মাসের মধ্যে পুরো বিল পরিশোধের আশ্বাস মিললে আবার সংযোগ দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল পানির পাম্প ও লক্ষ্মীপুর পৌর আধুনিক বিপণি বিতান। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এর চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৪ কোটি ৭৯ লাখ ১ হাজার ৩৮ টাকা। যার মধ্যে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর সরকারি দপ্তরগুলোতে ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ ও বেসরকারি পর্যায়ে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৫৮ টাকা। জানা গেছে, দীর্ঘদিন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আওতাধীন পানির পাম্প, নগর পাম্প, আধুনিক বিপণি বিতান, পৌর সুপার মার্কেট, পুরাতন পৌরসভা অফিস, রাস্তার বাতিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসের বকেয়া বিল পরিশোধ করছে না। সবশেষ গত ২৬ মে ও ১ জুন বকেয়া পরিশোধের জন্য লক্ষ্মীপুর পৌরসভাকে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নানা অজুহাত দিয়ে বিল পরিশোধ করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। এজন্য মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলীরা গিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাইন কেটে দেন। তাৎক্ষণিক ২৭ লাখ টাকা পরিশোধ এবং ১ মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর বিকেল ৫টার দিকে বিদ্যুতের পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। যার মধ্যে পানির পাম্পের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল ৮৯ লাখ ৭ হাজার ১৮৪ টাকা ও পৌর আধুনিক বিপণি বিতানের বকেয়া ১৮ লাখ ৯০ হাজার ২৯৭ টাকা। এ ছাড়া পৌর সুপার মার্কেটের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এদিন লক্ষ্মীপুর পিডিবি পৌরসভা ব্যতীত আরওও ৯টি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। জরিমানা আদায় করে ৪৫ লাখ ১৩২ টাকা। আর বুধবার (২৬ জুন) ১১টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ও বকেয়া বিল আদায় করে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৭ টাকা। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আমিন বলেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার বিষয়ে আমরা কয়েক দফা চিঠি দিয়েছি। এরপরও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সেজন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল। পরে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর আবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা বকেয়া বিল রয়েছে। এর মধ্য ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বকেয়া। ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ টাকা সরকারি অফিস এবং বেসরকারি (আবাসিক ও বাণিজ্যিক) ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার ভুঁইয়া মাসুম বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু কিছু বিল পরিশোধ করা হয়েছে। দ্রুতই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
২৬ জুন, ২০২৪

পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল বাকি কোটি টাকারও বেশি
দীর্ঘ কয়েক বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়ার অভিযোগে কুমারখালী পৌরসভার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযানের অংশ হিসেবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যদিও পৌর সংশ্লিষ্টদের ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাতের মধ্যে বৈঠকের পর সমঝোতার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের ১ ঘণ্টার মধ্যেই পুনঃসংযোগ প্রদান করা হয়। ওজোপাডিকোর তথ্য মতে, ২০০৭ থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ১২৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন ৬টি মিটারে। এ বিষয়ে একাধিকবার পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিলেও সাড়া না পেয়ে বৃহস্পতিবার মিটারগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কাউন্সিলর জানান, আগে প্রতি মাসে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল আসত। ২০২২ সালে মিটার প্রি-পেইড করারই পর ১ লাখ ৫০ টাকা বিল আসছে। অতীতে বিদ্যুতের কর্মকর্তারা মনগড়া এমন বিল করেছেন। ঘটনাটি বুঝতে পেরে পরের বছর জুন মাসে কুষ্টিয়া সিভিল কোর্টে মামলা করে পৌর কর্তৃপক্ষ। মামলাটি কোর্টে  চলমান রয়েছে। এরপরও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।  ওজোপাডিকোর আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা বলেন, বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধ করেনি। এ কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। পৌর কর্তৃপক্ষ বিল পরিশোধের আশ্বাস দিলে পুনরায় সংযোগ প্রদান করা হয়। পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান অরুণ বলেন, বিল নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটি মিটে গেছে।
৩১ মে, ২০২৪

সাত বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল দেয় না পৌরসভা
পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল ৭ বছরে অর্ধকোটি টাকা বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।  জানা যায়, মঠবাড়ীয়া পৌরসভার কাছে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বিদ্যুৎ বিল পাওনা রয়েছে পিরোজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি মঠবাড়ীয়া জোনাল অফিসের। পৌরসভার মূল ভবন, পানি পরিশোধনাগার, বহুমুখী বাজার ও সড়ক লাইনসহ বিদ্যুৎ সংযোগের অন্তত ১১টি হিসাব নম্বর রয়েছে।  এসব হিসাব নম্বরের কোনোটিতেই ২০১৭ সাল থেকে নিয়মিত বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে মঠবাড়ীয়া জোনাল অফিস। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় সংযোগ চালু করা হয়। মঠবাড়ীয়া পৌরসভা ও পল্লীবিদ্যুতের মঠবাড়ীয়া জোনাল অফিস কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পল্লীবিদ্যুতের মঠবাড়িয়া জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার কয়েকটি সংযোগ বাবদ প্রতি মাসে প্রায় ৩-৪ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে। সংযোগগুলোর বিপরীতে পৌরসভার হিসাব নম্বরে ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা বকেয়া পড়েছে। নোটিশ করার পরও বছরের পর বছর ধরে পৌর কর্তৃপক্ষ বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় এ ব্যবস্থা নিয়েছে।  পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, পৌরসভার বিদ্যুৎ বিল ২০১৭ সাল থেকে বকেয়া চলে আসছে। বকেয়া বিলের কিছু পরিশোধ করে সংযোগ চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ছয় মাসের বিভিন্ন সময় বকেয়া বিলসহ ৩০ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ টাকা পরিশোধ করেছি। মঠবাড়ীয়ার জোনাল অফিসের ডিজিএম মোতালেব হোসেন বলেন, অর্ধ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। তখন বলা হয় সম্মানজনক একটা বিল তারা পরিশোধ করবেন। কিন্তু এতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
১৪ মে, ২০২৪

বিদ্যুৎ বিল নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে ইবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ
বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলসংলগ্ন নুরজাহান ছাত্রীনিবাসে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত বলে জানা গেছে। এতে আহতরা হলেন- আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবু হানিফ পিয়াস, সমাজকল্যাণ বিভাগের সাকিব আহমেদ,  ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের নাইম রেজা ও ইংরেজি বিভাগের হৃদয় আবির। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। আহত অন্যরা হলেন- মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস, স্থানীয় বাসিন্দা আশিক হোসেনসহ এক বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক। জানা যায়, নুরজাহান ছাত্রীনিবাসে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা খাতুন। ওই ছাত্রীনিবাসের ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকাকে কেন্দ্র করে ফারিহার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। একই সঙ্গে ম্যানেজার তাকে অশালীন ইঙ্গিত দেয় বলে জানান মেয়েটি। পরে মেয়েটি তার সহপাঠী আবু হানিফ পিয়াসকে বিষয়টি জানান। এ বিষয়ে পিয়াসের সঙ্গে মেস ম্যানেজারের কথাকাটাকাটি হয়। পরে পিয়াস তার বন্ধুদের নিয়ে পুনরায় মেসে গেলে ম্যানেজারকে মারধর করার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হলে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  ফারিহা খাতুন জানান, বিদ্যুৎ বিল চাওয়া নিয়ে মেস ম্যানেজার আমার সঙ্গে বাজে আচরণ করে। গতকাল সন্ধ্যায় ম্যানেজারকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গেলে তিনি আমাকে বাজে ইঙ্গিত দেন। টাকা নেওয়ার সময় ম্যানেজার আমাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। আমি ৫০০ টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের ৪১৫ টাকা কেটে নিতে বলি। কিন্তু তিনি বাজে ইঙ্গিত করায় আমি টাকাটা ছুড়ে দিলে তিনি আমার বাসার নম্বর চান এবং বলেন, ‘বেয়াদব মেয়ে। তুমি আজকেই মেস ছেড়ে দেবে।’ এ বিষয়টি আমি আমার বিভাগের বন্ধু আবু হানিফ পিয়াসকে জানাই। পরে সে আমার বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার ও নিরাপত্তাকর্মী তার সঙ্গেও বাজে আচরণ করে। পরে সে তার কিছু বন্ধুদের নিয়ে আবারও ম্যানেজারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে ম্যানেজার তাকে (আবু হানিফ পিয়াস) জামার কলার ধরে বের করে দেয়। তখন হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে মেয়েটি ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে জানান, এ বিষয়ে তাদের ডাকা ঠিক হয়নি। বিষয়টির জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করব। মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস জানান, গত জানুয়ারি মাসে ওই মেয়ে মেসে ওঠে। এরপর সে এতদিন থেকেছে কিন্তু কোনো বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। তার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় এক হাজার টাকা। আমি কয়েকবার বিল চাইতে গেলে সে বিভিন্নরকম বাহানা দিতে থাকে। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কোনো বাজে আচরণ করিনি। তাকে থাপ্পড় মারার কথাও বলিনি। বরং ওই মেয়ে জোরে কথা বলে এমনকি দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর রেজাউল করিম খান বলেন, মেসের মধ্যে কোনো ঝামেলা হলে বা ম্যানেজারের বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তা মেসের মালিককে জানালে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ওই মেয়েটা তা না করে বন্ধুদের দিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধিয়েছে, যেটা ঠিক হয়নি। স্থানীয়দের ওপর মারধর করা হলে তারা তো বসে থাকবে না। স্থানীয়দের সঙ্গে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ঝামেলা হোক আমরা চাই না। যেসব শিক্ষার্থী আজকে ঝামেলা করেছে তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফারিয়ার বন্ধু আবু হানিফ পিয়াস বলেন, মেস ম্যানেজার বিবেক বিশ্বাস প্রায় সময়ই আমাদের বান্ধবীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করে। এ ছাড়াও মেসের অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গেও প্রায় সময়ই খারাপ আচরণ করে। আজকেও আমার বান্ধবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে যাই। তখন তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিবেক আমার বন্ধু নাইমকে চড় মারে। পরে আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমরা ৪ বন্ধু আহত হই। পরে আমরা সেখান থেকে কেটে পরি। এ বিষয়ে শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই আমরা এখানে এসেছি। উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। তবে কেউ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানালে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদত হোসেন আজাদ বলেমন, লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ মে, ২০২৪

এক বাল্ব ও পাম্পের বিল ৬৯ হাজার টাকা!
এক কক্ষে জ্বলে একটি এলইডি লাইট, পাশাপাশি একটি ছোট ওয়াটার পাম্প। এই পাম্পের পানি ব্যবহার করে শুধু দিনের বেলায় মাত্র ১৪ জন লোক। আর এতেই মাস শেষে বিল এসেছে ৬৯ হাজার ৩২৩ টাকা।  ভুক্তভোগী গ্রাহক চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের বেলচুরা এলাকার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। পূর্বের বিলের কপি দেখে জানা যায়, ফেব্রিয়ারি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে ২ হাজার ১ টাকা, মার্চে ১ হাজার ২৭ টাকা, এপ্রিল মাসে ২ হাজার ৭৩৭ টাকা। আর মে মাসে একলাফে বিল আসে ৬৯ হাজার ৩২৩ টাকা। যা ধারাবাহিকতার চেয়েও অনেক বেশি।  হঠাৎ করে বাড়তি বিল নিয়ে বিপাকে পড়েন গ্রাহক। ভবনের কেয়ারটেকার নুরুল আবছার বলেন, বুধবার (৮ মে) বিকেলে বিলের কপি দিলে আমি অবাক হয়ে পড়ি। মিটার রিডাররা মিটার না দেখেই বিল লেখে। কিছু বললে গ্রাহকের সঙ্গে তারা দুর্ব্যবহার করে। আবার বিল পরিশোধ না করলে লাইন কাটা হবে, জরিমানা হবে বলেও ভয় দেখায়।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম জসিম উদ্দিন জানান, হয়তো মিটার রিডাররা বিল লেখার সময় ভুল করেছে। গ্রাহক অফিসে আসলে ঠিক করে দেব।
০৮ মে, ২০২৪

বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায় টেকনিশিয়ানকে হত্যা
বিদ্যুৎ বিভাগ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই গ্রাহকদের। বিল বেশি আসার মতো অভিযোগ যেন স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এবার সামনে এসেছে এক বিচিত্র ঘটনা। বিল বেশি আসায় টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল বেশি আসায় ওই যুবক দপ্তরে গিয়ে অসন্তোষ জানান। তবে বিষয়টিতে কোনো কাজ না হওয়ায় তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বুধবার ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে এ ঘটনা ঘটেছে।  ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিরোধের জেরে মহারাষ্ট্র স্টেট ইলেকটিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (এমএসইডিসিএল) এক নারী টেকনিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জেলার এক যুবক এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন।  হত্যার শিকার ওই নারী টেকনিশিয়ানের নাম রিংকু থাইট। আর হত্যাকারী যুবকের নাম অভিজিৎ পোত।  পুনের সুপা থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকালের দিকে বারমতি গ্রামের মোরগাঁওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের অফিসে এক নারী টেকনিশিয়ানের ওপর অভিজিৎ নামে এক যুবক হামলা চালিয়েছেন। তিনি নিজের বাসার বিদ্যুৎ বিলে অতিরিক্ত ৫৭০ রুপি যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু তার অভিযোগের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বিভাগ।  অভিযোগের পরও ব্যবস্থা না নেওয়ায় বুধবার সকালে তিনি আচমকা বিদ্যুৎ অফিসে যান। এরপর সেখানকার এক নারী টেকনিশিয়ানের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  পুনে পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

২ বাল্ব ও ফ্যানের বিদ্যুৎ বিল ১৪ লাখ টাকা!
বাগেরহাটে এক চা দোকানির বাড়িতে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা। বাড়িতে বিদ্যুতের ২টি বাল্ব ও একটি ফ্যান ব্যবহার করেন তিনি। এতেই তার এক মাসের বিল এসেছে এই টাকা। ভূতুড়ে এই বিলে দিশাহারা হয়ে গেছেন চা দোকানি তাইজুল ইসলাম।  বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি থেকে প্রদান করা বিলের কপিতে দেখা যায়, নভেম্বর মাসের সর্বমোট বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা। নির্দিষ্ট সময়ের পরে বিলম্ব মাশুলসহ পরিশোধ করলে অতিরিক্ত ৬৬ হাজার ৫৭ টাকা প্রদান করতে হবে। ভুক্তভোগী তাইজুল ইসলাম বলেন, অক্টোবর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৯৩ টাকা। এবার নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৭ টাকা। এই বিলটি হাতে পাওয়ার পরে বিকাশে চেক করি। সেখানেও একই অঙ্কের টাকা দেখা যায়। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তারা বিষয়টি ঠিক করে দেওয়ার কথা বলেন। বাগেরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) মো. রিপন বিশ্বাস বলেন, কম্পিউটারের সফটওয়্যারের সমস্যার কারণে তাইজুল ইসলামের বিল বেশি এসেছে। আমরা বিলটি সংশোধন করে, ১৬২ টাকার বিল গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ভাইয়ের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী  নুরুজ্জামান আহমেদের ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ওরফে ভুট্টোর নামে বকেয়া থাকা সাত লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিলের সোয়া চার লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের ওই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল সম্প্রতি পরিশোধ করেন তিনি। এ ছাড়া স্থানীয় নেসকো কর্তৃপক্ষের কাছে বাকি তিন লাখ টাকা তিন মাসের মধ্যে তিন কিস্তিতে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মজিবর রহমান বলেন, দুটি মিটারের বিপরীতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছেন শামসুজ্জামান। অবশিষ্ট বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের তিন লাখ টাকা পরবর্তী তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) পরিশোধ করার শর্ত ধার্য রয়েছে। তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য ওইসব গ্রাহকের আছে, তারা সময় সুযোগমতো পরিশোধ করবেন বলেও তিনি জানান। জানা গেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ, ভাই শামসুজ্জামান এবং প্রয়াত বাবা ও সাবেক সংসদ সদস্য করিম উদ্দিন আহমেদের মোট বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ছিল ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকা। গত কয়েক মাসের বকেয়াসহ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত এসব বিল বকেয়া ছিল। এ নিয়ে কালবেলা পত্রিকায় ‘মন্ত্রীর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল ৩৭ টাকা, তাও বকেয়া’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রী নুরুজ্জামান এবং তার ছেলে ও প্রয়াত বাবার নামে চালু থাকা বৈদ্যুতিক সংযোগের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৬ টাকার পরিশোধ করা হয়।  লালমনিরহাট সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি কাশেম আলী বলেন, সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষেত্রে দুই–তিন মাসের বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। নেওয়া হয় আইনগত ব্যবস্থা। কিন্তু মন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তিন বছর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার পরও নেসকো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারটি নেসকোর দুর্বলতা হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।
১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X