৪১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আখাউড়ায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকে ৪১ ঘণ্টা। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও। সোমবার সকাল ৬টায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আখাউড়া জোনাল অফিস। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ১১টায় আখাউড়া পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। দীর্ঘ ৪১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে চার্জের অভাবে মোবাইল ফোনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। বাসা বাড়িতে পানি নেই। মোটরে পানি তোলার কারণে বাড়ির টিউবওয়েলগুলো অকেজো। আবার কোনো কোনো বাড়িতে টিউবওয়েল নেই, পানির জন্য শুধু বিদ্যুৎচালিত মোটরের ওপর নির্ভর করেন তারা। এতে করে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। এতে করে সড়কের ধারে টিউবওয়েলে নারী-পুরুষ পানি সংগ্রহের জন্য ভিড় করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় রাত ১২টা পনেরো মিনিটে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। আখাউড়া পৌর শহরের কলেজ পাড়ার বাসিন্দা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী মো. নাসির উদ্দীন বলেন, ৪১ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছি। মোবাইল ফোনে চার্জ নেই। শৌচাগারে পানি নেই। পানির মোটর চালানো যাচ্ছে না। খুব দুর্ভোগে পড়েছি। নূরু মিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার বাড়ির পাশে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। কোনো গাছের একটা ডালও ভেঙে পড়তে দেখলাম না। অথচ একটু হাওয়ায় ৪১ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এভাবে বিদ্যুৎ বিভাগ চলতে পারে না। খোরশেদ আলম বাদল নামে স্থানীয় এক দোকানি জানান, দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় তার ১৫ হাজার টাকার আইসক্রিম নষ্ট হয়ে গেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আখাউড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জোনাল অফিসার (ডিজিএম) আবুল বাশার জানান, গত সোমবার রিমালের প্রভাব শুরু হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। সোমবার রাতে রিমালের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুতের ৪টি খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া লাইনের ওপর প্রচুর পরিমাণ গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। সে কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছিল। মঙ্গলবার দিনভর খুঁটিগুলো মেরামত ও গাছের ডালপালা অপসারণের পর রাত ১১টায় পৌর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করেছি। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সব জায়গায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি লাইন মেরামত করে সংযোগ ফিরিয়ে আনতে।
২৯ মে, ২০২৪

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৯০ হাজার গ্রাহক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) সকাল থেকে উপজেলার প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে।  এ ছাড়া অতিবৃষ্টিতে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার প্রায় ২৬ হেক্টর মৎস্য প্রকল্পের মাছ ভেসে গিয়ে প্রায় ৭৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকা বাতাসে ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসে গাছ উপড়ে পড়ে টিনশেড ঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি ভেঙেছে ৩৭টি, তার ছিঁড়েছে ৩৪০টি স্পটে, ক্রস আর্ম ভেঙেছে ৩৬টি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক রাসেল খান চৌধুরী বাবু বলেন, রিমালের তাণ্ডবে সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসে একাধিবার ফোন দিয়েও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অটোরিকশাচালক মো. জয়নাল বলেন, আজ দুইদিন আমাদের এইখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের কোনো লোকজন এখনো আসেনি। বিদ্যুৎ না থাকায় আজ দুইদিন অটোরিকশা চালাতে পারছি না। অটোরিকশার আয়ের ওপর আমার সংসার চলে।    চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী উদয়ন দাশ গুপ্ত বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ২২টি খুঁটি ভেঙেছে, তার ছিঁড়েছে ২৫০টি স্পটে, ক্রস আর্ম ভেঙেছে ১৬টি। ১৮ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আরও ৫৪ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন রয়েছে। মাঠে ১৮টি টিম কাজ করছে। আগামী দুএকদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশা করি। বারইয়ারহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমাদের ১২টি খুঁটি, ৮টি ক্রস আর্ম ভেঙেছে। তার ছিঁড়েছে ৪০টি স্পটে। ৬টি টিম মাঠে কাজ করছে। ২৫ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি। সীতাকুণ্ড জোনাল অফিসের ডিজিএম পঙ্কজ চৌধুরী বলেন, আমার অধীনে থাকা মিরসরাইয়ের ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী ইউনিয়নে ৩টি খুঁটি ও ১২টি ক্রস আর্ম ভেঙেছে। ৫০টি স্পটে তার ছিঁড়েছে। ১০ হাজার গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগবিহীন অবস্থায় রয়েছে।   উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে উপজেলার ১০ হেক্টর আউশ বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে ও ১৮০ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত পানি না নামলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। পরিপূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি আগামী ২ দিনের মধ্যে নির্ধারণ করা যাবে।  উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের অতিবৃষ্টিতে মুহুরী প্রজেক্ট এলাকার ৩২টি খামারের ২৬ হেক্টর পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৭৮ লাখ টাকার কার্প জাতীয় মাছ পানিতে ভেসে গেছে। মুহুরী প্রজেক্টের পুকুরগুলো পাশাপাশি লাগানো থাকায় পাড় থাকে একদম সরু। ফলে অল্প বৃষ্টিতে পাড় ভেঙে মাছ পার্শ্ববর্তী পুকুরে ভেসে যায়।
২৮ মে, ২০২৪

বগুড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ৫৬ হাজার গ্রাহক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় দমকা হাওয়ার পাশাপাশি থেমে থেমে হালকা, মাঝারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। সেই সঙ্গে ঝড়ে প্রায় ৫৬ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) মধ্যরাত থেকে নন্দীগ্রাম উপজেলায় ঝোড়ো হাওয়া ও টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। বাতাসের তীব্রতা এতটাই বেশি, সড়ক বা বাইরে খোলা জায়গায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। রাত থেকেই উপজেলাজুড়ে বিদ্যুৎ নেই। তবে কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।  পল্লী বিদ্যুৎ নন্দীগ্রাম জোনাল অফিসের ডিজিএম শাহাদৎ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ঝোড়ো বাতাসের কারণে ৩৩ কেভির লাইনে গাছের ডাল হেলে পড়ায় বিদ্যুৎ চালু করা যাচ্ছে না। কেননা বাতাস বেশি থাকলে বিদ্যুতের লাইন চালু করা যাবে না। বাতাসের গতি কমলে বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, রিমালের প্রভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। কিছু ঘর-বাড়ির টিন উড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে কোথাও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যেসব এলাকায় গাছপালা ভেঙে রাস্তা চলাচল বন্ধ ছিল, সেখান থেকে ভাঙা গাছপালা সরিয়ে পথ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
২৮ মে, ২০২৪

পাবনায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ৩৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা। ঝড়ো ও দমকা বাতাসের কারণে গত রোববার রাত ১২ টা থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বিদ্যুতের এখনও দেখা মেলেনি। পৌরসভার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ থাকছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গোটা আটঘরিয়ায বাসিন্দারা।  বাতাসের গতিবেগ বাড়লে উপজেলায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর রাত-দিন গড়িয়ে গেলেও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। ৩৮ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় নগরবাসী। নেই মুঠোফোনে চার্জ, শৌচাগারে জল নেই। পানির মোটর চালানো যাচ্ছে না। খুব দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। পাবনা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আটঘরিয়া জোনাল অফিস সূত্র জানায়, রাতে ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে আমাদের টিম মেরামতের কাজ করছে। স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন আক্কেলপুরবাসী
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ঝোড়ো ও দমকা বাতাসের কারণে গতকাল রোববার রাত ৮টা থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  সোমবার (২৭ মে) সকাল-রাত ৮টা পর্যন্ত এসব এলাকায় বিদ্যুতের এখনো দেখা মেলেনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন আক্কেলপুর পৌর বাসিন্দারা। স্থানীয় পৌর শহরের বাসিন্দা ঋষি কুমার জানান, গতকাল রাত ৮টার পর থেকে আক্কেলপুর উপজেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বইতে শুরু করে। বাতাসের গতিবেগ বাড়লে উপজেলায় বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপর রাত-দিন গড়িয়ে গেলেও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না। আক্কেলপুর পৌর শহরের বাসিন্দা সাংবাদিক মিনার হোসেন বলেন, অন্তত ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছি। মুঠোফোনে চার্জ নেই। শৌচাগারে জল নেই। পানির মোটর চালানো যাচ্ছে না। খুব দুর্ভোগে পড়েছি। মনে হচ্ছে এটি ভূতুরে শহর। টিএনটির মোড় এলাকার বাসিন্দা গীতা আগরওয়ালা বলেন, ২৪ ঘণ্টা হলো আমরা খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি। বাসায় পানি নেই। অতি ভ্যাবসা গরম। আক্কেলপুর শহরে ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এটি পল্লীবিদ্যুতের ব্যর্থতা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আক্কেলপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহমান বলেন, রাতে ঝড়ের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে আমাদের টিম মেরামতের কাজ করছে। স্বাভাবিক হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
২৭ মে, ২০২৪

বিল বকেয়া থাকায় রেল কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
প্রায় দুই কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রামে অবস্থিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান কার্যালয় সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ে (সিআরবি) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে প্রায় ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন ছিল গুরুত্বপূর্ণ এই অফিসটি। রোববার (১৯ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত বিল পরিশোধের আশ্বাসে ফের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ দক্ষিণাঞ্চল জানায়, দীর্ঘদিন ধরে রেল পূর্বাঞ্চল অফিস ২ কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করছে না। বারবার এ বিষয়ে বলা হলেও, তারা টাকার সংকটের অজুহাত দিয়ে বিল পরিশোধ করেনি। এ জন্য রোববার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের প্রকৌশলীরা গিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাইন কেটে দেন। শিগগিরই বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা পাওয়ার পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুনঃসংযোগ দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, শুধু আমাদের ইউনিট রেলওয়ে থেকে এক কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবে। আমরা এ বিষয়ে বারবার চিঠি দিলেও, তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সে জন্য লাইন কেটে দেওয়া হয়। পরে বিল পরিশোধের নিশ্চয়তা দেওয়ার পর আবার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ বিলের বাজেট আমরা পাইনি, সে জন্য বিল পরিশোধ করতে পারিনি। সামনের বাজেটে বিল পরিশোধ করব আমরা।
১৯ মে, ২০২৪

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
দেড় মাস ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পদ্মা সেতুর সংযুক্ত ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ফরিদপুরের ভাঙ্গা গোলচত্বরসহ ফ্লাইওভারগুলোতে। ৩১ লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকায় গত ৬ জুন থেকে এসব ইন্টারচেঞ্জ এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ভাঙ্গা উপজেলার ইন্টারচেঞ্জের ভাঙ্গা গোলচত্বর, বগাইল ওভারব্রিজ ও মালিগ্রাম ওভারব্রিজ এলাকাগুলোতে সন্ধ্যার পর সৃষ্টি হচ্ছে ভূতুড়ে পরিবেশ। স্থানীয় ও সাধারণ যাত্রীদের অভিযোগ, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ২৩টি জেলার এ প্রবেশদ্বারটি রাত হলেই ভূতুড়ে এলাকায় পরিণত হচ্ছে। এতে করে ছিঁচকে চোর থেকে শুরু করে ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। ওই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ও স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ভাঙ্গা গোলচত্বরের সেই জৌলুস আর নেই। স্থানীয় ও দূর-দূরান্তের দর্শনার্থীরা এলেও সন্ধ্যা নামার আগেই স্থান ত্যাগ করেন। তারা মনে করেন, পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু, যা সারা দেশের মধ্যে অত্যাধুনিক স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্প অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকাটা খুব দুঃখজনক। এ বিষয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) ভাঙ্গার আবাসিক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের (মুন্সীগঞ্জ) কাছে বিদ্যুৎ বিলের প্রায় ৩১ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে। বকেয়া বিলের টাকা পরিশোধের জন্য একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। বিল পরিশোধ না করায় বাধ্য হয়ে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বকেয়া বিল পরিশোধ করা হলে ফের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথের (শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারচেঞ্জে অনেক টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হয়েছে। বকেয়া বিলের জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার অবহিত করেছে। কিন্তু এত টাকা বিল পরিশোধের জন্য ফান্ডে টাকা নেই। ফান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জানান, কবে নাগাদ বিল পরিশোধ কিংবা বিদ্যুৎ চালু সম্ভব হবে তা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গা ইন্টারচেঞ্জ এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। ২৩ জেলার প্রবেশদ্বার। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সচল থাকা খুবই জরুরি। ঈদের আগে ও পরে ছোটখাটো কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এটা ঠিক। তবে এলাকায় পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।  
২৩ জুলাই, ২০২৩
X