সমুদ্রসম্পদ আহরণে সব সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির আওতায় সমুদ্রসম্পদ আহরণে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া অপরিহার্য। সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয় করে সকল সম্ভাবনাকে সফলভাবে কাজে লাগাতে হবে। বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব মহাসাগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘ওমান প্রসপারিটি : ক্যাটালাইজিং ব্লু ইকোনমি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য সম্মেলনের ব্লু ইকোনমি ইনফ্রাস্ট্রাকচার শিরোনামের ব্রেকআউট সেশনে সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পিএসসিগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে এবং বাংলাদেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে অক্ষুণ্ণ রেখে বাংলাদেশে অফশোর মডেল পিএসসি-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই অফশোর মডেল পিএসসির আওতায় বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪ গত ১০ মার্চ ঘোষণা এবং বিড জমার তারিখ সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক উপকূলীয় এলাকায় ও দ্বীপাঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সমুদ্রশক্তি কাজে লাগিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এডিবির সহায়তায় ২২টি সম্ভাবনাময় স্থানে অফশোর উইন্ড থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। অফশোর উইন্ড থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাথমিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণার কাজে উৎসাহিত করা এবং তার প্রয়োগের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্যও মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাছাড়া টাইডাল বেস পাওয়ার প্লান্ট করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তা-ভাবনা করছে। সমুদ্রে গ্যাস হাইড্রেট খোঁজার বিষয়েও কাজ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর রিয়াল এডমিরাল মো. খালেদ ইকবালের (অবসরপ্রাপ্ত) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইমবিষয়ক ইউনিটের সচিব রিয়াল এডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, এডিবির কোস্টাল, রিভার ও পোর্ট এক্সপার্ট বিষয়ক ইউনিটের মহাপরিচালক জেন হেনরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. এসএম নাফিস শামস।
০৩ জুলাই, ২০২৪

জ্বালানির সবুজ রূপান্তরে প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানির সবুজ রূপান্তর (Green Transition) দ্রুত করতে প্রয়োজন সম্বনিত উদ্যোগ ও বিপুল বিনিয়োগ। ইউরোপসহ উন্নত বিশ্ব নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে। আমাদেরকেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়াতে হবে।  প্রতিমন্ত্রী বুধবার (৮ মে) ঢাকার একটি হোটেলে সুইডেন দূতাবাস, সুইডিশ এনার্জি এজেন্সি ও সুইডেন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‌‘আরএমজি সেক্টরে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সুইডেন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের বিষয়ে পলিসি সংলাপ-২০২৪’  (2024 Policy Dialogue on Sweden-Bangladesh Partnership in Renewable Energy within the RMG Sector)- এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে সমন্বয় করে আমরাও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছি। নেট মিটারিং সিস্টেম, রুফটপ সোলার, জলবিদ্যুৎ আমদানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসার পরিস্কার বিদ্যুৎ দেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।   তিনি বলেন,পোষাক শিল্পসহ অন্যান্য কারখানায়  নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিতে  বিদ্যুৎ বিভাগ ইতিমধ্যে একটি ‘কর্পোরেট পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (CPPA)’ কাঠামো তৈরি করেছে।  শীঘ্রই CPPA এর সাথে কয়েকটি কারখানার পাইলট করার পরিকল্পনা রয়েছে।। সিপিপিএ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সার্বক্ষনিক ব্যবহার করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। এর জন্য উচ্চ ক্ষমতার স্টোরেজ প্রয়োজন।  অবশ্যই, স্টোরেজ এর জন্য বিদ্যুৎ বাবদ  খরচ বাড়বে ও স্মার্ট গ্রীডে যেতে হবে। এই অতিরিক্ত খরচ ও প্রযুক্তি ব্যয় নিয়েও পলিসি থাকা উচিৎ।  প্রতিমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন  ইউরোপীয় এজেন্ডা বা গ্লোবাল এজেন্ডা নয়, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরকেও টেকসই উন্নয়ন  ও সবুজ রূপান্তর (Green Transition)- এর সাথেই থাকতে হবে। ভিয়েতনাম বা শ্রীলঙ্কা যেমন দক্ষতা, স্বয়ংক্রিয়তা, ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর ফোকাস করছে ব্যবসা করছে, টিকে থাকতে হলে আমদেরকেও আরও দক্ষতার সাথে  প্রতিযোগিতা করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে।  H&M তাদের প্রেজেন্টেশনে দেখান যে, H&M, LINDEX ও IKEA এই তিনটি সুইডিশ কোম্পানিতে বাংলাদেশ বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে। ২০০ সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঐ তিনটি কোম্পানিতে তৈরি পোষাক দেওয়া হয়, যেখানে ৫ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। উক্ত তিনিটি কোম্পানি ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০% গ্রীণ হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে চায়। উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ডেলিগেশন অব ইউরোপিয়ান অব বাংলাদেশ-এর প্রধান ও রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলে (Charles Whiteley), বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্জ ভন লিন্দে (Alexandra Berg von Linde), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মহাবুবুর রহমান ও H&M-এর কান্টি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।  
০৮ মে, ২০২৪

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মধ্যে দ্রুত সমন্বয় করা হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ত্রুটি মেরামত করা হচ্ছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাথমিক জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন  সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  প্রতিমন্ত্রী শনিবার (২০ এপ্রিল) আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিঃ (এপিএসসিএল) পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, এই গরমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৭৫০০ মেগাওয়াট হতে পারে।  এই চাহিদা পূরণ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একটিই চ্যালেঞ্জ– অর্থ।  তিনি এ সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোথাও কোনো সঞ্চালন বা বিতরণে  সমস্যা থাকলে তা যেন দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. একটি সরকারি মালিকানাধীন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি এবং বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পাওয়ার হাব। এর ০৬টি ইউনিটের বর্তমান মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫৮৪ মেগাওয়াট। আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লি. এর লক্ষ্য আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান ১৫৮৪ মেগাওয়াট থেকে ৩৩০২ মেগাওয়াট-এ উন্নীত করা। এপিএসসিএল সমাজের দায়বদ্ধতার স্থান থেকে Corporate Social Responsibility নীতি গ্রহণ করে আসছে। ২০২২-২৩ সময়কালে, এপিএসসিএল CSR কার্যক্রমের জন্য ০.৩৩ কোটি টাকা  ব্যয় করেছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রেও এপিএসসিএল গত বছর বেশকিছু বড় ভূমিকা পালন করেছে। এ সময় অন্যান্যের মাঝে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম গাউছ মহীউদ্দিন আহমেদ,  আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লা ও এটুআই (এসপায়ার টু ইনোভেট ) কার্যক্রমের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

আঞ্চলিক সহযোগিতায় লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে সীমানা অতিক্রম করে লাভজনক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব। যৌথ প্রয়াসের মাধ্যমে আমাদের এই অঞ্চলের সম্ভাবনা দ্রুতই কাজে লাগানো যাবে। টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী দেশসমূহের একত্রে কাজ করা অপরিহার্য। শনিবার (৩০ মার্চ) ঢাকার বারিধারাস্থ নেপাল দূতাবাসে ‘প্রি-ইভেন্ট সেমিনার অন দ্য থার্ড নেপাল ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৪’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রথম বিদ্যুৎ আমদানি করে। এখন প্রায় ২৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেড়ামারাস্থ এইচভিডিসি- সাব স্টেশনের অব্যবহৃত সক্ষমতার মাধ্যমে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত। নেপালের ন্যাশনাল ইলেকট্রিক অথরিটি (এন ই এ) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মাঝে ট্যারিফ নির্ধারণ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, নেপাল ও ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির সুযোগ রেখে নেপালের সুঙ্কোশি-৩ প্রকল্পে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিনিয়োগ করবে। ইতিমধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে আরও এগিয়ে যাওয়ার আলোচনা চলমান। জিএমআর প্রকল্পে ভারতীয় কোম্পানির যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নেপালের প্রকৌশলীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করতে পারে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট। সোলার পাওয়ার প্লান্ট ও সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনে বাংলাদেশ নেপালকে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নেপালের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক। তাদের উৎসাহিত করতে নেপাল নেপালের বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করা উচিত। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে সঞ্চালন লাইন তৈরি করা গেলে বিদ্যুৎ আমদানির সাথে সাথে রপ্তানিও করা যাবে। বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ-ভারত নেপাল একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি আবশ্যক। আলোচনা চলছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তাব ভারত ও নেপালকে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি তার বক্তব্যে বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উদার এবং ব্যবসাবান্ধব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার নেপালের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় প্রথমবারের মতো এই দুই দেশ পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ বাণিজ্যের পথে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্যের মাঝে নেপাল ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুশীল ভাট বক্তব্য রাখেন।  
৩০ মার্চ, ২০২৪

বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি)-এর নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। প্রতিমন্ত্রী (এফইআরবি)’র নবনির্বাচিত কমিটির সব সদস্যদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা দেশের প্রকৃত উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখে। সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অপপ্রচার রুখে দিতে সহায়ক হয়। ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে কেউই নয়, তাই সাংবাদিকদের অনেক প্রতিবেদন সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেও বড় ভূমিকা রাখে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানুষের কাছে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারলেই দেশের জনগণ উপকৃত হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মতো টেকনিক্যাল একটি সেক্টরে সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সাক্ষাৎকালে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীর, নির্বাহী পরিচালক সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান কাকন, পরিচালক (উন্নয়ন ও অর্থ) হাসনাইন ইমতিয়াজ, পরিচালক (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) নাজমুল হক লিখন, পরিচালক (ডাটা ব্যাংক) মো. ইয়ামিন এবং পরিচালনা সদস্য- হাসান আজাদ, শাহেদ সিদ্দিকী ও ফয়েজ আহমেদ খান তুষার উপস্থিত ছিলেন।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তেলের দাম নিয়ে গুজব, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী যা জানালেন
সম্প্রতি তেলের দাম নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।  এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়েও নাই, কমেও নাই। যেরকম ছিল তেমনই আছে। যারা আমাদের ক্যারিয়ার, তাদের কমিশনের ক্ষেত্রে একটা ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, অনেকে গ্যাজেটের প্রথম অংশটা দিয়ে দাবি করছে যে তেলের দাম কমেছে। কিন্তু দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় যে ট্যাক্স যোগ হয়েছে সেটা আর তারা বলছে না।  তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় এ ধরনের গুজবে কান না দেওয়া বেটার। এ বিষয়টি নিয়ে বিপিসির কাছে জিজ্ঞাসা করলেই যে কেউ জানতে পারবে। আমার মনে হয় সাংবাদিক ভাইয়েরাও এটা নিয়ে কথা বলতে পারেন। এখানে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ নাই।  
০৪ অক্টোবর, ২০২৩
X