বিতর্ক এড়াতে ভোট দেন না রাজা-রানি
সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের প্রতি সম্মান জানিয়ে রাজা বা রানি এবং রাজপরিবার এখন রাজনীতি এড়িয়ে চলেন। যুক্তরাজ্যের সংবিধান অনুযায়ী, রাজা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এ কারণে রাজা বা রানি কোনো নির্বাচনে ভোট দেন না। তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকেন, রাজনীতি আর তাদের বিষয় নেই। একই কারণে রাজপরিবারের সদস্যরাও ভোট দিতে যান না। রাজনীতি ও নির্বাচনে কোনো ভূমিকা না থাকলেও কাগজে-কলমে রাজা বা রানি এখনো আইন পাসে বাধা দেওয়ার, নির্বাচন আহ্বান করা থেকে বিরত রাখার এবং ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে অন্যান্য অনেক আনুষ্ঠানিকতা তত্ত্বাবধান করার ক্ষমতা রাখেন। এ ক্ষমতা নিরঙ্কুশ বা চূড়ান্ত নয়, শুধুই প্রতীকী। যেমন এবারের নির্বাচনে যে দলই জয় পাক, অথবা যদি জোট সরকার গঠন করতে হয়, তবে দল বা জোটনেতাকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ নিয়ে সরকার গঠনের জন্য রাজা তৃতীয় চার্লসের অনুমতি প্রার্থনা করতে হবে। রাজা অনুমতি দেবেন, এটাই প্রথা। তিনি সাংবিধানিক রাজনীতির কোনো প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না।
০৪ জুলাই, ২০২৪

সরছেন না বাইডেন, ফের করবেন বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আর নির্বাচনী দৌড়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দুর্বল বিতর্কে ক্ষুব্ধ তার নিজ দল ডেমোক্র্যাট। হতাশা প্রকাশ করেছেন দলীয় কর্মী ও মিত্ররা। এতে দলটির নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহ নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। জরিপেও বাইডেনের বিকল্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চেয়েছেন দেশটির ৬০ শতাংশ ভোটার। আসন্ন নির্বাচনে তাকে সরে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করতে অন্য ডেমোক্র্যাটকে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয় বোর্ড। এরপরও বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে না দাঁড়িয়ে বরং ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো বিতর্কে ফেরার পরিকল্পনা করেছেন। খবর রয়টার্স ও সিএনএনের। সিএনএনের জ্যেষ্ঠ হোয়াইট হাউস সংবাদদাতা কায়লা তাউসে শুক্রবার বাইডেনের উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘বাইডেন আগামী সেপ্টেম্বরেই ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের মঞ্চে ফিরবেন।’ বৃহস্পতিবার প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান দল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এ বিতর্কে অংশ নেন তারা। এতে বাইডেনের দুর্বল বিতর্কে খোদ তার ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্যরাই হতাশ হয়েছেন। নির্বাচনের আগে দিয়ে বাইডেনের এমন বাজে পারফরমেন্সে দল ক্ষতির মুখে পড়া নিয়েও তাদের মধ্যে উদ্বেগ, আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাইডেনকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না তা নিয়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে ডেমোক্র্যাট শিবিরে। কেউ কেউ বাইডেনকে সরিয়ে নির্বাচনে অন্য কাউকে প্রার্থী করার কথা বলছেন। কিছু ডেমোক্র্যাট বাইডেনকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানাতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে বলছেন, একটা মাত্র পারফরমেন্স দেখেই তাকে সরানো উচিত হবে না। দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে এক ডেমোক্র্যাট বলেন, ‘বাইডেন বিতর্কে অনেক ভুল কথা বলেছেন। কিন্তু এখন কারও উচিত তাকে সামলে নেওয়া।’ গত শুক্রবার নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী প্রচারে বাইডেনও স্বীকার করেছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে তিনি ভালো করতে পারেননি। তিনি যে বয়সেও তরুণ নন সেটিও স্বীকার করেছেন। তবে পরিষ্কার করে বাইডেন এও জানান, নির্বাচনী দৌড় থেকে তার সরে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। বাইডেন বলেন, আমি যতটা সহজভাবে কথা বলতে পারি ততটা বলতে পারিনি। আমি সাধারণত যেভাবে বিতর্ক করতে পারি সেভাবে করতে পারিনি। কিন্তু আমি জানি কীভাবে সত্য বলতে হয়। সিএনএন বলেছে, ওই বিতর্কে বাইডেনের তুলনায় ট্রাম্প অন্তত ৩০টি বেশি মিথ্যা বলেছেন। তবে অনর্গল কথা বলে সার্বিক বিচারে শ্রোতাদের সন্তুষ্ট করেছেন ট্রাম্প। এরপর শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপন করেছেন ট্রাম্প। বাইডেনের এমন বাজে পারফরমেন্সে হতাশ হয়েছেন কূটনীতিকরা। ইউরোপের এক কূটনীতিক বলেছেন, এটি ছিল বাইডেনের জন্য খারাপ রাত। আরব এক কূটনীতিক বলেছেন, ‘ট্রাম্প তাকে জীবন্ত খেয়ে ফেলেছেন।’ এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬০ শতাংশ নিবন্ধিত ভোটার ডেমোক্র্যাটিক দল থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিকল্প প্রার্থী চান। ওই বিতর্কের পর মর্নিং কনসাল্ট প্রো পরিচালিত এক জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। শুক্রবার জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক বলে জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে, বাইডেনকে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস। প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ করতে অন্য ডেমোক্র্যাটকে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পত্রিকাটি। বাইডেনকে পত্রিকাটির সম্পাদকীয় বোর্ড বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ট্রাম্পের মধ্যে বৃহস্পতিবারের বিতর্ক প্রমাণ করেছে যে ৮১ বছর বয়সী বাইডেন ‘নিজের পরীক্ষায় ব্যর্থ’ হয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘বাইডেন এখন সবচেয়ে বড় যে জনসেবা করতে পারেন তা হলো ঘোষণা করা যে, তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যাবেন না।’ যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই এরই মধ্যে দুই দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ের ভোটাভুটি হয়েছে এবং সবক্ষেত্রে বাইডেন প্রায় তার সব প্রতিপক্ষকে হারিয়েছেন। তবে এরপরও বাইডেনকে যদি সরে দাঁড়াতে হয় তাহলে তার জায়গায় কে আসবেন, এ নিয়ে বড় সমস্যায় পড়তে হবে ডেমোক্র্যাটদের।
৩০ জুন, ২০২৪

বাইডেনের সঙ্গে বিতর্ক নির্বাচন সুষ্ঠু হলেই ফল মানবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রথম টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে একে অন্যকে নানা ইস্যুতে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন জো বাইডেন ও ট্রাম্প। দুজনই দিয়েছেন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর। একপর্যায়ে বিতর্ক পরিচালনাকারী সিএনএনের সঞ্চালক ট্রাম্পের কাছে জানতে চান নির্বাচনে যেই জিতুক তিনি ২০২৪ সালের ফল মানবেন কি না। তিনি বারবার প্রশ্নটি উপেক্ষা করছিলেন ও রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে চলে যাচ্ছিলেন। ফের তাকে প্রশ্নটি করা হয়। জবাবে ট্রাম্প বলেন, যদি সুষ্ঠু, আইনগত ও ভালো নির্বাচন হয় তাহলে অবশ্যই ফল মানবেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি ২০২০ সালের নির্বাচন নিয়ে তার বড় ধরনের কারচুপির অপ্রমাণিত দাবির পুনরাবৃত্তি করেন। তা ছাড়া বাইডেনকে তার বয়স সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তিনি যখন দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করবেন তখন তার বয়স হবে ৮৬। তিনি হবেন সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্ট জবাবে বলেন, এক সময় তিনি সবচেয়ে কমবয়সী আইন প্রণেতা বলে সমালোচনার শিকার হতেন ও ট্রাম্প তিন বছরের ছোট এবং অনেকটাই কম যোগ্য। অন্যদিকে ট্রাম্পকে বলা হয়, যে তার বয়স এখন ৭৮ ও দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে তা হবে ৮২ বছর। জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার স্বাস্থ্য ভালো ও তিনি এ সময় গলফ খেলার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। অন্যদিকে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া নিয়ে তাকে তীব্র আক্রমণ করেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাইডেন। এ নিয়ে তিনি ট্রাম্পকে ‘কটূক্তি’ করেন। ট্রাম্পকে একজন দোষী সাব্যস্ত অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করেন বাইডেন। বিতর্কের একপর্যায়ে বাইডেন বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে একাধিক মামলা রয়েছে, সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। প্রকাশ্যে এক নারীকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ট্রাম্পকে যে আদালত জরিমানা করেছেন, সে কথাও তোলেন বাইডেন।
২৯ জুন, ২০২৪

গঞ্জালোসের কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক হাস্যরস, বিতর্ক
জয় দিয়ে কোপা আমেরিকার শিরোপার ধরে রাখার মিশন শুরু করে আর্জেন্টিনা। দ্বিতয়ি ম্যাচে চিলি ১-০ গোলে হারিয়ে সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেলে মেসি-মার্তিনেজরা। টানা দুই ম্যাচে নিশ্চিত হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনাল। ম্যাচটি শেষ হয়ে গেলেও রয়েছে গেলে আলোচনা। বিশেষ করে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পাওয়া নিকোলাস গঞ্জালোসের একটি ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।   একাদশে সুযোগ পেয়ে, তা কাজে লাগতে দুর্দান্ত খেলেন এই উইঙ্গার। প্রতিপক্ষের রক্ষণে বেশ আতঙ্ক ছড়ান তিনি। এমন কী নিজেদের রক্ষণ সামলানোর কাজও করেছেন বেশ ভালোভাবে। বাঁ-প্রান্তে তাকে বেশ কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিলেন রাইটব্যাক মাউরিসিও ইসলা। ম্যাচের ৬১ মিনিটে নিকোলাসের জোড়লো শট কর্নারের বিনিয়মে রক্ষা করেন চিলি গোলকিপার ক্লাদিও ব্রাভো। এরপরে আইকনিক এক মুহূর্ত উপহার দেন এই উইঙ্গার, যা নিয়ে চলতে বিতর্ক। ড্রিবলিং করে এগিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বাঁধা দেন ইসলা। চিলিয়ান রাইট ব্যাটের ট্যাকেলে মাঠে পড়ে যান ইতালিয়ান ক্লাব ফিওরেন্তিনার এই ফুটবলার। বল নেওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে চাইলে ইসলার পা টেনে ধরে নিকোলাস গঞ্জালেস। এর সুবাধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি এখন আলোচিত বিষয়। এর জন্য ফাউল বাঁশি বাজালেও আর্জেন্টাইন উইঙ্গারকে কোনো কার্ড দেখানো হয়নি। যা বেশ সমালোচিত হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। পরে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে তার পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে। আর জুলিয়ান আলভারেজের বদলি হিসেবে নামানো হয় লাউতারো মার্তিনেজকে। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে লাউতারোর গোলে জয় নিশ্চিত হয় আর্জেন্টিনার। ভিএআরের মাধ্যমে পরীক্ষা শেষে গোলটির বৈধতা দেন রেফারি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল ব্যবধান দ্বিগুন করার সুযোগ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। পঞ্চম মিনিটে ডি মারিয়া বল নিয়ে এককভাবে ঢুকে পড়েন চিলির ডি-বক্সে। সামনে ছিলেন শুধু গোলকিপার। নিজে শট না নিয়ে বল বাড়ান লাউতারো মার্তিনেজের দিকে। তার রুখে দিয়ে আবারও বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের গোল বঞ্চিত করেন ক্লাদিও ব্রাভো। টানা দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এ-গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হলো আর্জেন্টিনার। শেষ ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কানাডা। ২ ম্যাচে তাদের ৩ পয়েন্ট। ফলে এ-গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়তে রয়েছে তারা। ২ ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট করে পাওয়া চিলি ও পেরু যথাক্রমে রয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে।
২৬ জুন, ২০২৪

কম্বোডিয়ায় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী জেসিআই বাংলাদেশ
কম্বোডিয়ার সিয়েম রিপ শহরে অনুষ্ঠিত জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্সে আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জেসিআই বাংলাদেশের বিতর্ক দল। নির্বাচিত ১১টি দেশের বিতার্কিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় মঙ্গোলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশ দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর আগে সেমিফাইনালে আগের বছরের বিজয়ী মালয়েশিয়াকে হারায় তারা। মঙ্গোলিয়াকে হারিয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভূষিত হয় ও লাল সবুজের পতাকাকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরার সম্মান অর্জন করে জেসিআই বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট সামিহা আক্তার, ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট যাফির শাফিঈ চৌধুরী ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স চেয়ারপারসন মুনতাসির মামুন। উল্লেখ্য, জেসিআই এশিয়া প্যাসিফিক কনফারেন্সে বিশ্বের ২০টি দেশের পাঁচ হাজারেরও বেশি  তরুণ অংশগ্রহণ করে। জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদিরের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে ৮৯ জন জেসিআই বাংলাদেশের সদস্য কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সফল তরুণদের সঙ্গে মিলিত হয়ে সকল ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে নিজেদের মাঝে সম্পর্ক স্থাপন করেন।
১০ জুন, ২০২৪

ডাক দিয়ে যাই / স্পর্শকাতর পদে নিয়োগ বিতর্ক ও জবাবদিহি
বেনজীর-আজিজ কার সৃষ্টি—এ নিয়ে এখন রাজনীতির মাঠ গরম। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এখন এই ব্যক্তিদের নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। বিএনপি বলছে, বহু বেনজীর আছে সরকারের ভেতর। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর পদে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের নিয়ে এই বিতর্ক নতুন নয়। আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে বিতর্কিত ব্যক্তিদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েও। পুলিশের সাবেক প্রধান বেনজীর আহমেদ ৬ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে হাজির হননি। আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি সময় চেয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন তাকে ১৫ দিন সময় দিয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনের মধ্যে তিনি দুদকে উপস্থিত হবেন কি না, তা নিয়ে আমি সন্দিহান। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে নিয়েও চলছে বিতর্ক। বিরোধী দল বলছে, ‘আজিজ-বেনজীর সরকারের সৃষ্টি।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘তারা আওয়ামী লীগের কেউ নন। যোগ্যতার বলেই তারা এসব গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। তাদের অপরাধের দায় সরকার নেবে না।’ আজিজ-বেনজীর বিতর্কের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরখাস্ত দুই কর্মকর্তার নানা অপকর্মের কাহিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখরোচক বিষয় হিসেবে আলোচিত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, এসব স্পর্শকাতর পদে কীভাবে নিয়োগ হয়? নিয়োগ পাওয়ার পর তারা কী করছেন না করছেন, তার খোঁজ কে রাখে? তারা তো দায়িত্বে থেকেই অপকর্ম করেছেন। সরকার তখন তাদের জবাবদিহির আওতায় আনেনি কেন? তখনই যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো তারা ‘দানব’ হয়ে উঠত না। আজকে এ ধরনের সমালোচনাও হজম করতে হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে গাজী হাফিজুর রহমান লিকু দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে এসেও তার চুক্তি নবায়ন করা হয়েছিল। প্রথম মেয়াদে থাকা অবস্থাতেই তাকে নিয়ে নানা বিতর্ক ছিল। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন—এমন বিস্তর অভিযোগ আছে। সবাই এসব জানত। তার পরও তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একই পদে। কেন? লিকুর অপকর্মের কাহিনি কি প্রধানমন্ত্রীকে কেউ জানিয়েছিল? তাকে আর দায়িত্ব দেওয়া ঠিক হবে না, এই পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীকে কেউ দিয়েছিল? শুধু লিকু নয়, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস বিভাগের একজন কর্মকর্তার নজিরবিহীন কাণ্ড পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করেছে। ওই কর্মকর্তারও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, নানা রকম অনিয়ম করার সাহস তারা পান কোত্থেকে? যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ব্যক্তিত্ব। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে তিনি একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। এ রকম একজন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যারা কাজ করেন তাদের সততা, নৈতিকতা ও আদর্শিক অবস্থান প্রশ্নাতীত হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এসব স্পর্শকাতর পদে দায়িত্ব নিয়ে অনেকে দুর্নীতির দোকান খুলছেন, স্বেচ্ছাচারিতার মহোৎসব করছেন। কীভাবে তারা ‘ফ্রাঙ্কেস্টাইন’ হচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখা দরকার। এখনই তাদের চিহ্নিত না করলে ভবিষ্যতে বড় ক্ষতি হবে। গুরুত্বপূর্ণ পদে ‘ভুল’ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়ে বিপদে পড়ার ইতিহাস পুরোনো। সব সরকারই চাটুকারদের খপ্পরে পড়েছে। মতলববাজরা সব সরকারকেই বিভ্রান্ত করে গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছে। এতে ওই সরকারেরই সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে। ভুল ব্যক্তিরা দেশ, জনগণ এবং সরকারের জন্য বিপজ্জনক। ইতিহাসে এটি বারবার প্রমাণিত। কিন্তু আমরা ইতিহাস থেকে শিখি না। খুনি খন্দকার মোশতাক আজীবন অযোগ্য, কুচক্রী, ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই খুনি ষড়যন্ত্র করেছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। এ কথা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সবাই জানতেন। কিন্তু তার পরও মোশতাককে স্বাধীনতার পর গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী করা হয়। তাজউদ্দীনকে হটিয়ে তিনিই হন বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষ। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরে খুনি মোশতাক নানা ছলাকলা করে বঙ্গবন্ধুর কাছে আসেন, বঙ্গবন্ধুর কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রকারী কখনোই বঙ্গবন্ধুর আপন লোক ছিলেন না। ইতিহাসে নিকৃষ্টতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে যে ইতিহাসধিক্কৃত। খুনি মোশতাক পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট কী করেছেন, তা জাতি জানে। ভুল লোককে বিশ্বাস করলে, গুরুত্ব দিলে পরিণতি কী হয়—খুনি মোশতাক সম্ভবত তার সবচেয়ে জ্বলন্ত উদাহরণ। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বারবার বিভিন্ন ভুল লোককে, অযোগ্য, আদর্শহীন, লোভাতুর, মতলববাজদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে বিপদ ডেকে আনা হয়েছে। এখনো চারপাশে তাকালে দেখা যায় অনেক ভুল লোক নানা ছলাকলা করে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়ে যাচ্ছেন। তাদের নিয়োগ কীভাবে হচ্ছে, তা নিয়ে কেউ কথা বলে না। সবাই গোপনে হা-হুতাশ করে। তারা রাষ্ট্র এবং সরকারের জন্য বিপজ্জনক। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। হত্যা, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জিয়া তার অবৈধ ক্ষমতা পোক্ত করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি নির্বিচারে হত্যা করেছিলেন প্রতিপক্ষকে। কোনো শত্রু রাখতে চাননি। যে তার বিরুদ্ধে ন্যূনতম শব্দ উচ্চারণ করেছে, তাকে তিনি ফাঁসিতে ঝুলিয়েছেন, নির্মমভাবে হত্যা করেছেন। জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করতে চেয়েছিলেন। এ কারণেই তিনি কোনো মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে সেনাপ্রধান করেননি। পাকিস্তান থেকে প্রত্যাগত এক দুর্নীতিবাজ সামরিক কর্মকর্তাকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। কিন্তু সেই দুর্নীতিবাজ এরশাদই জিয়াউর রহমানের ঘাতক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে অনেকে মনে করেন। জিয়াউর রহমান হত্যার পেছনে এরশাদের হাত আছে কি না, তা পরিষ্কার হতো মঞ্জুর হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় পেলে। কিন্তু সেই মামলার রায় আজও হয়নি। এরশাদ তার জীবদ্দশায় এই মামলার রায় বাধাগ্রস্ত করতে সব চেষ্টা করেন। বিএনপিও রহস্যময় কারণে জিয়া হত্যার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে আগ্রহ দেখায়নি। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিশ্বাস করতেন আমলাদের। রাজনীতিবিদদের তিনি মোটেই আমলে নিতেন না। আমলাদের ওপর নির্ভর করেই তিনি ৯ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। আমলাদের ক্ষমতাবান করেছিলেন। কিন্তু এরশাদের পতনের পর তার প্রিয় দুই আমলা এম কে আনোয়ার ও কেরামত আলী ডিগবাজি দেন। এরশাদভক্ত এই দুই আমলার বিএনপিতে যোগ দিতে সময় লেগেছে এক সপ্তাহের কম। শুধু আমলা কেন, এরশাদের চারপাশে থাকা কোনো চাটুকারই শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে থাকেনি। ডিগবাজি দিয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ, শাহ মোয়াজ্জেমের মতো চাটুকাররা বদলে যেতে সময় নেননি। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া বিশ্বাস এবং আস্থা রেখেছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার ওপর। প্রচণ্ড ক্ষমতাবান মন্ত্রী ছিলেন হুদা। বিরোধী দলকে নোংরা, অশ্লীল এবং কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করাই ছিল তার প্রধান কাজ। এই নাজমুল হুদাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা দিয়ে বোমা ফাটান। সরকারকে এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন। নাজমুল হুদা খালেদা জিয়ার দুর্দিনে তার পাশে থাকেননি। সুদিনে দুর্নীতি করেছেন। ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন দেশকে একটি সুশাসন দিতে, জবাবদিহি নিশ্চিত করতে। এ কারণেই তিনি ১৯৯১ সালে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করেছিলেন। এটি ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এই ভুল ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি করার পরিণাম কী হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের অজানা নয়। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পেছনে বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের ভূমিকা কী ছিল, তা ইতিহাস সাক্ষী। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের কারণেই আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসেছিল বিপুল বিক্রমে। বিএনপি-জামায়াত জোট ভূমিধস বিজয় পেয়েছিল ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াত চেয়েছিল ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। এ কারণে একের পর এক দলীয়করণ করেছিল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে। রাষ্ট্রীয় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছিলেন তারেক রহমান হাওয়া ভবনের মাধ্যমে। নির্বাচন কমিশনকে বানিয়েছিলেন এক তামাশার কেন্দ্র। এম এ আজিজের মতো অযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে বিএনপি নিজেদের ক্ষতি করে। ক্ষমতা পোক্ত রাখার জন্য খালেদা জিয়া, তারেক রহমান সাতজনকে ডিঙিয়ে জেনারেল মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিলেন। ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের মতো একজন ব্যক্তিত্বহীনকে রাষ্ট্রপতির পদে আসীন করেছিলেন। খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন, এমন চাটুকার বঙ্গভবনে থাকলে তিনি নিরাপদ। এসব করেই বিএনপি তার সর্বনাশ ডেকে আনে। আজ বিএনপি হাজারবার অনুশোচনা করে কেন তারা মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল। ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি করার বেদনায় অনেকে এখনো আর্তনাদ করে ওঠেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এ ধরনের উদাহরণ অনেক দেওয়া যায়। ভুল ব্যক্তি কখনোই কারও জন্য উপকারী হয় না। তারা নিজের আখের গোছানো ছাড়া কিছুই করতে পারে না। কোনো কাজেই আসে না। ষড়যন্ত্র করে, না হয় বিপদে সটকে পড়ে। ভুল ব্যক্তিরা সবসময় অযোগ্য হয়, আদর্শহীন হয়। তারা কোনো সময় ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকে না, তারা কোনো সময় রুখে দাঁড়ায় না। সুসময়ে তাদের মিষ্টি কথায় মজেছেন তো ঠকেছেন। দুঃসময়ে দেখা যায় তাদের আসল রূপ। অতীতে ভুল ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদে নিয়োগ দেওয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা আওয়ামী লীগ সরকারের কম নয়। প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মতো দুর্নীতিবাজকে নিয়োগ দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এই সিনহাকে এক-এগারোর সময় দুর্নীতির দায়ে বিচারপতি পদ থেকে অপসারণের জন্য বঙ্গভবনে চায়ের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরে ড. কামালের কৃপায় তিনি বেঁচে যান। এরকম অবিশ্বাসী, বহুরূপী মানুষ আওয়ামী লীগের চরম ক্ষতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার পরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য, চাটুকার, দুর্নীতিবাজদের নিয়োগদানের প্রতিযোগিতা অব্যাহত আছে। কেউ কেউ মনে করতেই পারেন, গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর পদের নিয়োগ প্রধানমন্ত্রীর পছন্দেই হয়। কাজেই এখানে অন্য কারও কিছু করার নেই। আমি এ ধরনের বক্তব্যের সঙ্গে একদম একমত নই। এটি প্রধানমন্ত্রীর ইমেজ নষ্টের আরেকটি ষড়যন্ত্র। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ থাকতেই পারে এবং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ-অপছন্দ এসব নিয়োগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে প্রধানমন্ত্রী যাকে পছন্দ করছেন তার ঠিকুজি উদ্ধার করা সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব। কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তার একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। যোগ্যতার পাশাপাশি তার আদর্শিক অবস্থান, সততা এবং অতীত কার্যক্রম নিরীক্ষা জরুরি। যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করছেন, যারা বিভিন্ন সংস্থায় আছেন তাদের প্রধান কর্তব্য হলো সঠিক, যোগ্য এবং আদর্শবান ব্যক্তিরা এসব পদে যাচ্ছেন কি না, তা নজরদারিতে রাখা। চাটুকারিতা আর ‘জি হুজুর’ না করে সঠিক তথ্য প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া। লক্ষ রাখা, এমন কোনো ব্যক্তি কোনো পদে যাচ্ছেন না তো, যার ব্যক্তিগত ইমেজ বা অতীত প্রশ্নবিদ্ধ। পাশাপাশি স্পর্শকাতর পদে দায়িত্ব পালনরত ব্যক্তিদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি। আমি মনে করি, যোগ্যতার চেয়ে একজন ব্যক্তির আদর্শিক অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। একজন সৎ মানুষ অসৎ ব্যক্তির চেয়ে দায়িত্ববান হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যার জন্য নিরাপদ নয়। রাজাকারের সন্তানরা কোনো দিন আওয়ামী লীগের পক্ষের হবে না। উচ্চপদে বসলেই তারা সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত করে অস্বস্তিতে ফেলে। দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসালে তা সরকারের জন্যই ক্ষতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বেনজীর তার সর্বশেষ উদাহরণ। টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। দেশে এখন সবাই আওয়ামী লীগ। সরকারের পক্ষে চাটুকারিতা করা মতলববাজদের অভাব নেই। আওয়ামী লীগে ভালোর জন্য দায়িত্বশীল এবং সঠিক সমালোচনাকারীদের সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। দলে সরকারের মধ্যে এখন সত্য বলার লোকের অভাব। সবাই তোষামোদে ব্যস্ত। কেউ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন না। ভুল ধরিয়ে দেওয়ার মতো সাহসী মানুষ এখন নেই বললেই চলে। এর ফলে অযোগ্য, চাটুকার, দুর্নীতিবাজ, আদর্শহীন মতলববাজরা সরকারের চারপাশে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানির মতো। সর্বনাশের বীজ বোনা হচ্ছে সবার অলক্ষ্যে। লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত ইমেইল: [email protected]
১০ জুন, ২০২৪

বিতর্ক সঙ্গী করে নামছে পাকিস্তান
পাকিস্তান যেখানেই যায়, বিতর্কও পিছু নেয়। আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। প্রতিপক্ষ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। ডালাসে বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৯টায় শুরু হবে ম্যাচ। প্রতিপক্ষ নিয়ে মোটেই ভাবছেন না বাবর আজম। বিতর্কে দলের মনোবল নষ্ট হয় কি না সে দুশ্চিন্তায় তিনি কাতর। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ খেলতে আমেরিকায় গিয়ে ক্রিকেটাররা সরকারি নৈশভোজ অংশ নিতেই পারে; কিন্তু বেসরকারিভাবে নৈশভোজের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ২০০০ টাকা দিলেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করা যাবে। তাদের সঙ্গে সেলফি তোলা যাবে। এটা ঠিক নয়। লোকে তো বলতেই পারে, রোজগারের জন্য এই কাজ করছে আমাদের দলের ক্রিকেটাররা।’ এর পরই বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তান দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। পাকিস্তান দলে ইনজুরি সমস্যাও রয়েছে। হাসান আলি ‘জেনারেটর’ সেলিব্রেশন করতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েছেন। নিচু হয়ে জেনারেটর চালানোর মতো করে ভঙ্গি করতে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি। ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিমও। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে বলেছে, ‘চিকিৎসকদের পরামর্শে বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিরুদ্ধে ইমাদ খেলতে পারবেন না। গত মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে নেটে ব্যাট করার সময় ডানদিকের পাঁজরে চোট লেগেছিল ইমাদের। আশা করছি ৯ জুন ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে ইমাদ সুস্থ হয়ে যাবেন।’ পাকিস্তান দলের জোড়া ইনজুরির আঘাত যে দলকে ভোগাবে না, তা জানেন বাবর আজম। কারণ দল হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দুর্বল। প্রথম ম্যাচে বড় রান তাড়া করে যারা কানাডাকে হারিয়েছিল। ঘরের মাঠে দর্শক উৎসাহ পেয়ে আজ তারা কি পাকিস্তানকে বেগ দিতে পারবে? দলে অ্যারন জোন্সের মতো ক্রিকেটার আছেন। অলরাউন্ডার হিসেবে আছেন অভিজ্ঞ কোরি অ্যান্ডারসন, যিনি নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। নিজের দিনে প্রতিপক্ষের বোলিং যেমন গুঁড়িয়ে দিতে পারেন, তেমনি বল হাতে ব্যাটিং ধ্বংস করতে পারেন। তবে উত্তর দেওয়ার মতো ব্যাটারও আছেন পাকিস্তান দলে। অধিনায়ক বাবর আজম বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। সঙ্গে আছেন ফখর জামান। নিজের দিনে যিনি একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আজ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইমাদের পরিবর্তে নামতে পারেন শাদাব খান। তবে চলতি বছর পাকিস্তান সুপার লিগে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন তিনি। দলের শেষ তিনটি ম্যাচে সেরা পুরস্কারও জিতেছিলেন। পাকিস্তানের হয়ে ৭২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৩৫ রান করেছেন ইমাদ। উইকেটও নিয়েছেন ৭০টি। এমন একজন অলরাউন্ডার আমেরিকার বিপক্ষে না খেললে হয়তো সমস্যা নেই, তবে পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে না পেলে সমস্যা হতে পারে।
০৬ জুন, ২০২৪

দীর্ঘ ১৩ বছর পর নোবিপ্রবিতে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) তৃতীয় জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (৩১ মে) নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।  ‘মগজে দূর করি মননের কলঙ্ক’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে হাংকিংস ইলেকট্রনিকস নিবেদিত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতা। এতে অংশগ্রহণ করবে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দল এবং  ৬ রাউন্ডে বিতর্ক উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার ৬ রাউন্ড শেষে প্রাপ্ত ২টি দলকে নিয়ে শনিবার (১ জুন) ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্ক প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিব্বুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো দিদার-উল-আলম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হয়ে উপস্থিত থাকছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মো আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্লাহ খান সোহেল প্রমুখ।  নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৩ বছর পর অফলাইনে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে খুবই উচ্ছাসিত। ২০২১ সালে করোনার মধ্যে অনলাইনে এ আয়োজন করলেও অফলাইনে সম্ভব হয়নি। আমাদের নিমন্ত্রণে সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি দলের ৯৬ জন বিতার্কিক অংশগ্রহণ করবে। বিতর্ক উৎসবটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্যে আমরা সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তূর্জয় চৌধুরী বলেন, ‘মগজে দূর করি মননের কলঙ্ক’ প্রতিপাদ্যটি এ বিতর্কের মাধ্যমে আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা চাই বিতর্কের মাধ্যমে সবার মেধা ও মননের বিকাশ ঘটুক। এই বিতর্ক উৎসবের মাধ্যমে আমরা যেন সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারি সে জন্যে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।’  
৩১ মে, ২০২৪

মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘিরে বিতর্ক
ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ও হাইব্রিড দিয়ে পকেট কমিটি করায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ত্যাগীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেওয়ার জন্য পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিলেও গা করছেন না ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। গত বুধবার গভীর রাতে নগর দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের দীর্ঘ দেড় বছর পর এ কমিটি ঘোষণা করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুগতদের স্থান দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদবঞ্চিতরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রকাশ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি অতীতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও অনেকে পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর মেহের আফরোজ চুমকি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন শবনম জাহান শিলা। একই দিন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হিসেবে শাহেদা তারেক দিপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক হাসিনা বারী চৌধুরী এবং দক্ষিণের সভাপতি হিসেবে সাবেরা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পারুল আক্তারের নাম ঘোষণা করা হয়। মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা কালবেলাকে বলেন, অনিয়মের কথা শুনেছি। আমরা ইতিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এখন দেখি তারা কি ব্যবস্থা নেয়। অনিয়ম ধরা পড়লে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। সূত্র জানায়, নব গঠিত কমিটির সহসভাপতি রুবি খাতুন, শেফালী মল্লিক, রাশিদা পারভিন রুমা, তৌহিদা, শেখ আখতারী বেগম কোনোদিন মহিলা লীগ তথা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা খাতুন, শাম্মি লিয়াকতও রাজনীতিতে নবাগত। সাংগঠনিক সম্পাদক গীতা এতবর ও সাবেরা রিয়াও রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় নয়। দপ্তর সম্পাদক পদে নুসরাত জাহান সুমিকে দায়িত্ব দেওয়ায় অতীতে মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা না থাকায় এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একই কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগমের ভাগ্নি সারমিন আক্তার শিপ্রাকে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে স্থান দেওয়া হয়েছে। একই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবার মেয়ে সাবরিনা হুমায়ুনও। শিপ্রার বিরুদ্ধে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষা সম্পাদক শাহানাজ পারভিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দিলারা জামান, কোষাধ্যক্ষ রাহিমা ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক নার্সিস আক্তার, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রাহিমা আহমেদ, সদস্য আফসা আহম্মেদ সানু, রুনা বেগম হাইব্রিড বলে অভিযোগ রয়েছে। বীণা আফরোজ ও কোহিনূর বেগমের বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিগত কমিটির অন্তত ডজনখানেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আক্রশের শিকার হয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারুল আক্তার কালবেলাকে বলেন, প্রকাশিত কমিটি বাতিল ও পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই। কেন্দ্র যদি কলেবর বৃদ্ধি করতে বলে, তখন দেখা যাবে। আমরা তো কমিটি কেন্দ্রের অনুমতি নিয়েই দিয়েছি, এখন কেন একথা বলবে? নবীন-প্রবীণ মিলিয়েই কমিটি করা হয়েছে। আর কমিটি দিলে এ জাতীয় অভিযোগ আসেই।
৩১ মে, ২০২৪

ঢাকা মহানগর মহিলা আ.লীগের কমিটি ঘিরে বিতর্ক
ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ও হাইব্রিড দিয়ে পকেট কমিটি করায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব ত্যাগীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান দেওয়ার জন্য পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিলেও গা করছেন না ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। বুধবার (২৯ মে) গভীর রাতে নগর দক্ষিণের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনের দীর্ঘ দেড় বছর পর এ কমিটি ঘোষণা করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুগতদের স্থান দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদবঞ্চিতরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রকাশ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি অতীতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও অনেকে পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ পদ। ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর মেহের আফরোজ চুমকি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন শবনম জাহান শিলা। একই দিন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হিসেবে শাহেদা তারেক দিপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক হাসিনা বারী চৌধুরী এবং দক্ষিণের সভাপতি হিসেবে সাবেরা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পারুল আক্তারের নাম ঘোষণা করা হয়। মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা কালবেলাকে বলেন, অনিয়মের কথা শুনেছি। আমরা ইতিমধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। এখন দেখি তারা কি ব্যবস্থা নেয়। অনিয়ম ধরা পড়লে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।  সূত্র জানায়, নব গঠিত কমিটির সহসভাপতি রুবি খাতুন, শেফালী মল্লিক, রাশিদা পারভিন রুমা, তৌহিদা, শেখ আখতারী বেগম কোনোদিন মহিলা লীগ তথা আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলিমা খাতুন, শাম্মি লিয়াকতও রাজনীতিতে নবাগত। সাংগঠনিক সম্পাদক গীতা এতবর ও সাবেরা রিয়াও রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় নয়। দপ্তর সম্পাদক পদে নুসরাত জাহান সুমিকে দায়িত্ব দেওয়ায় অতীতে মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা না থাকায় এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে তাকে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। একই কমিটিতে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা বেগমের ভাগ্নি সারমিন আক্তার শিপ্রাকে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে স্থান দেওয়া হয়েছে। একই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবার মেয়ে সাবরিনা হুমায়ুনও। শিপ্রার বিরুদ্ধে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও শিক্ষা সম্পাদক শাহানাজ পারভিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দিলারা জামান, কোষাধ্যক্ষ রাহিমা ইসলাম, ধর্ম সম্পাদক নার্সিস আক্তার, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রাহিমা আহমেদ, সদস্য আফসা আহম্মেদ সানু, রুনা বেগম হাইব্রিড বলে অভিযোগ রয়েছে। বীণা আফরোজ ও কোহিনূর বেগমের বিরুদ্ধেও নানান অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিগত কমিটির অন্তত ডজনখানেক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আক্রশের শিকার হয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পারুল আক্তার কালবেলাকে বলেন, প্রকাশিত কমিটি বাতিল ও পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ নেই। কেন্দ্র যদি কলেবর বৃদ্ধি করতে বলে, তখন দেখা যাবে। আমরা তো কমিটি কেন্দ্রের অনুমতি নিয়েই দিয়েছি, এখন কেন একথা বলবে? নবীন-প্রবীণ মিলিয়েই কমিটি করা হয়েছে। আর কমিটি দিলে এ জাতীয় অভিযোগ আসেই।
৩১ মে, ২০২৪
X