সেন্টমার্টিন নিয়ে অনেকেই অপপ্রচারের চেষ্টা করেছে : বিজিবি মহাপরিচালক
সেন্টমার্টিনের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, যে কোনো মূল্যে দেশের অখণ্ডতা রক্ষা ও সীমান্তে নিরাপত্তায় বিজিবি বদ্ধপরিকর। সেন্টমার্টিনকে কেন্দ্র করে যতটুকু কানে এসেছে কিংবা অনেকেই বলছে, সেগুলো আসলেই গুজব।  বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজে (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) প্যারেড গ্রাউন্ডে ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।  মহাপরিচালক বলেন, সেন্টমার্টিনকে নিয়ে অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে অনেকেই। আমি নিজেও সেখানে গেছি। সেখানে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সাবধান করে এসেছি।  তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও বিদ্রোহী দলের মধ্যে নাফনদের তীরবর্তী এলাকায় তুমুল যুদ্ধ চলছে। যখন একটি-দুটি দলের মধ্যে যুদ্ধ চলে তখন এর পাশাপাশি এদিক-ওদিক গোলাগুলি হতে পারে। কিছু গোলা এদিক-ওদিক গেছে, কিছু ট্রলারে গেছে। আমরা মিয়ানমারের দুই পক্ষকে জানিয়েছি, আমাদের ট্রলারের মধ্যে পরবর্তীতে যেন কোনো ঘটনা না ঘটে। এরপর কিন্তু আর গোলাগুলি হয়নি। তবুও সেন্টমার্টিনে যেসব ট্রলার চলাচল করে তাদের বাংলাদেশের পতাকা উঁচু করে বেঁধে চলাচল করতে বলা হয়েছে। ওইদিক দিয়ে (সেন্টমার্টিন) যেসব ট্রলার যাবে, তারা যেন বাংলাদেশের পতাকা উঁচু করে চলাচল করে। সেক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না।  তিনি বলেন, তারপরও সাবধানতা অবলম্বন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিকল্প পথে কক্সবাজার থেকে জাহাজ, ট্রলার গমনাগমন করছে। শুধু ঝুঁকিপূর্ণ যে এলাকাটুকু ওই এলাকা এভোয়েড (বাদ দিয়ে) করে চলাচলের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সাংবাদিকরা পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অপতৎপরতার প্রতিরোধের বিষয়েও জানতে চান বিজিবি মহাপরিচালকের কাছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলছে। এরমধ্যে অনেক সফলতা এসেছে। সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো এখনো অপারেশন চলমান আছে। বান্দরবান অধ্যুষিত থানচি, রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা সম্পূর্ণভাবে বিপদমুক্ত ও জনসাধারণের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অপারেশন চলমান থাকবে। আরাকান আর্মি বাংলাদেশের জন্য থ্রেট মনে করা হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরাকান আর্মি মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর জন্য থ্রেট। তারা আমাদের জন্য থ্রেট কিংবা বন্ধু কোনো কিছুই না। আমরা অবজারভ করছি। কোনোভাবেই যেন আমাদের দেশের সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা বিঘ্ন না হয়।  সীমান্তে বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটলে তা প্রতিরোধে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও ডিজিটাল সার্ভেলেন্সসহ যা কিছু প্রয়োজন তার সবকিছু সুন্দরভাবে পরিকল্পনা করছি। বর্তমান সরকারের অনুমোদনক্রমে ক্রমেই তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।  এর আগে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন তিনি। ওই সময় বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। 
২৭ জুন, ২০২৪

সেন্টমার্টিন পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও আরকান বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সীমান্তের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী টেকনাফসহ সেন্টমাটিন পরিদর্শন করেছেন।  রোববার (১৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম (পিবিজিএমএস) বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সীমান্তবর্তী মংডু অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমারের মংডু সীমান্তের বিপরীতে বাংলাদেশের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপ সীমান্ত অবস্থিত হওয়ায় উদ্ভুত সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবির অধীনস্থ সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিওপি পরিদর্শন, বিওপির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপে নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।  পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষার জন্য অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন। দুর্গম এ দ্বীপে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি মহাপরিচালক সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যদের সদা তৎপর থাকার নির্দেশ দেন। পরে মহাপরিচালক বিজিবি রামু সেক্টর সদর দপ্তর, রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) সদর এবং অধীনস্থ মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তের দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল জানান, পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়করা বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জুন, ২০২৪

সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না : বিজিবি মহাপরিচালক
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, সীমান্ত দিয়ে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজারের ইনানীতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী (বিজিপি) সদস্যদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।  বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তরকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েসহ দুই দেশের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের ইনানীতে এসে পৌঁছেন বিজিবিপ্রধান।  এদিকে ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বিজিবির কঠোর পাহারায় ঘুমধুম থেকে ছয়টি গাড়িতে করে ১৬৪ জনকে ইনানী সৈকতে আনা হয়। অপর ১৬৬ জনকে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে আনা হয়। হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর পর্যটকবাহী দুটি জাহাজে করে তাদের গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাহাজে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের আরকান রাজ্য দখল নিতে দেশটির জান্তা বাহিনীর বিভিন্ন ব্যারাকে হামলা চালায় বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরকান আর্মি (এএ)। বিদ্রোহীদের গুলির মুখে টিকে থাকতে না পেরে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর (বিজিপি), সেনা, ইমিগ্রেশনসহ সরকারি বাহিনীর ৩৩০ নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক
বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শনে গিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১০টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে যান বিজিবি মহাপরিচালক। এরপর সেখান থেকে তমব্রু বিওপিতে যান তিনি। সেখানে সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে ঘুমধুম সীমান্তে যাওয়ার কথা রয়েছে বিজিবি প্রধানের। জানা গেছে, আজ বিজিবি মহাপরিচালক বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন। পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সব পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। এসময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘মিয়ানমারের ২৬৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধারণ করে মানবিক দিক থেকে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক
সম্প্রতি মিয়ানমারে সংঘাতময় পরিস্থিতি চলছে। যার প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও এসে পড়েছে। প্রতিনিয়ত সেখানকার অস্থিতিশীল অবস্থা ও সংঘাতময় পরিস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।  এমন পরিস্থিতির মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন। রোববার (২৮ জানুয়ারি) কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিদর্শন করেন। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম (পিবিজিএমএস) গণমাধ্যমকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  বিজিবি মহাপরিচালক রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ উখিয়ার পালংখালী বিওপি এবং বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিওপি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা এবং টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হোয়াইক্যং বিওপি ও তৎসংলগ্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।  পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি সবাইকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সীমান্তে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেন।  পরিদর্শনকালীন বিজিবি মহাপরিচালকের সাথে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নসমূহের অধিনায়কগণসহ বিজিবি'র অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনী সহিংসতা ও নাশকতারোধে সদা তৎপর থাকতে হবে : বিজিবি মহাপরিচালক
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনো সহিংসতা ও নাশকতারোধে সদা তৎপর থাকতে হবে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় বিজিবির নির্বাচনী বেজ ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মহাপরিচালক আজ বিজিবির ঢাকা সেক্টরের আওতাধীন নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় বিজিবির নির্বাচনী বেজ ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরত সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, তার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিকে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে। নির্বাচনকালীন যে কোনো ধরনের সহিংসতা ও নাশকতারোধে বিজিবির প্রতিটি সদস্যকে সদা তৎপর থাকতে নির্দেশ দেন তিনি। মহাপরিচালকের পরিদর্শনকালীন বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিজিবির ঢাকা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
০৩ জানুয়ারি, ২০২৪

নির্বাচনকে ঘিরে আমরা দায়িত্ব পালনে পুরো প্রস্তুত : বিজিবি মহাপরিচালক
বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে আমরা পুরো প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রশিক্ষণ নিয়েছি, সাজ-সরঞ্জাম প্রস্তুত করেছি। নির্বাচনকে ঘিরে আমরা দায়িত্ব পালনে পুরো প্রস্তুত। তিনি বলেন, কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ চালান রোধে আমরা সর্বোচ্চ কাজ করছি। আমাদের সীমান্ত হচ্ছে ৪ হাজার ৪ শত ২৭ কিলোমিটার। পেট্রোলিংয়ের টাইমে টহলে একটু ফাঁকা পেলেই মাদক চোরাকারবারিরা এই সুযোগকে কাজে লাগায়। স্থানীয়রা জড়িত না থাকলে, মাদকের সরবরাহ অনেকাংশে কমে যাবে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা-১০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি চূড়ান্ত ফায়ারিং প্রতিযোগিতা ২০২৩ ও মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিজিবিপ্রধান। তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাদের সন্তানকে বর্ডারে না পাঠিয়ে স্কুলে পাঠালে তাহলে তারা মাদকের সঙ্গে নিজেকে জড়াবে না। এ বছর আমরা ১১১ কেজি ক্রিস্টাল আইস জব্দ করেছি। এটা বিজিবির জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমরা বাইরে থেকে আসা মাদকই নয়, দেশে উৎপাদন কার্যক্রমকেও আমরা রোধ করছি। আমরা শতভাগ ধরতে না পারলেও, আমরা আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। এর আগে কুমিল্লার ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে ‘বিজিবি ফায়ারিং প্রতিযোগিতা-২০২৩’ অনুষ্ঠানের প্রতিযোগিতা  চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  পরে বিজিবির মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে কুমিল্লা সীমান্তে এক বছরের (বাজারমূল্য প্রায় ১৭ কোটি টাকা) জব্দ ৩৬ হাজার ২৩৬ বোতল ফেনসিডিল, ৬ হাজার ৯৩৮ কেজি গাঁজা, ৬৬ হাজার ৭৭০ বোতল বিদেশি মদ, ৪ হাজার ৭০২ ক্যান বিয়ার, ৭৩ হাজার ১৩৫ পিস ইয়াবা, ৫ হাজার ১৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৩২ হাজার ৩৫৮ পিস বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট এবং ১ লাখ ১ হাজার ৮৯২ পিস টার্গেট/সেনেগ্রা মাদক ধ্বংস করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, রিজিয়ন কমান্ডার সরাইলের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন ১০ এর কর্নেল মো. শরিফুল ইসলাম মেরাজ, অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান, কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইমরুল হাসানসহ প্রমুখ। এ ছাড়া বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, কুমিল্লা সেক্টর ও ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উপস্থিত সকলকে অনুপ্রাণিত করার জন্য বিজিবি মহাপরিচালক নিজেই ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে নিপুণ লক্ষ্যভেদ করে অস্ত্র চালনার ব্যাপারে তার পারদর্শিতা প্রদর্শন করেন।
১৯ অক্টোবর, ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হোসাইন দর্শনা সীমান্ত চেকপোস্ট পরিদর্শন করেছেন। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার সময় তিনি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্টে পৌঁছান। চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান জানান, আজ রোববার (১৭ সে‌প্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে দর্শনা চেকপয়েন্টে নামার পর স্থানীয় বিজিবি কর্মকর্তাদের সালাম গ্রহণ করেন। পরে তিনি দর্শনা সীমান্তের ৭৬ পিলারের বিপরীতে ভারতীয় অংশে বিএসএফের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেন। উভয় দেশের কর্মকর্তারা আসন গ্রহণ করার পর ভারতের রাজারহাট কলকাতা বিএসএফের ভারপ্রাপ্ত আইজি (ডিআইজি) অমরেশ কুমার আরিয়া বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হোসাইনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় বিজিবির সহকারী পরিচালক মেজর জেনারেল খাইরুল কবির, যশোর বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নাজমুল হাসান, কুষ্টিয়া বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এমারত হোসেন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, ঝিনাইদহ মহেষপুর-৫৮ ব্যাটালিয়ন বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা উপস্তিত ছিলেন। পরে তিনি দর্শনা বিজিবির আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও মহেষপুর ব্যাটালিয়ন বিজিবি কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বিকেল সাড়ে ৩টায় দর্শনা ত্যাগ করেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X