Mon, 08 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ আনন্দ ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
Kalbela
image/svg+xml
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
৭ ঘণ্টা আগে
দশ লাখ টাকার মাছ জব্দ, এতিমখানায় বিতরণ
৮ ঘণ্টা আগে
হঠাৎ অসুস্থ খালেদা জিয়া, নেওয়া হবে হাসপাতালে
৮ ঘণ্টা আগে
গলা পানি পেরিয়েও ত্রাণ পেলেন না তারা
৯ ঘণ্টা আগে
মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে ‘পিস্তল’সহ আটক দুই
১০ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৮ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বিচ্ছেদ নিয়ে শাকিরার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা
কলম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরা। কণ্ঠ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। তবে ব্যক্তিজীবন নিয়ে বরাবরই ছিলেন আলোচনায়। সবশেষ স্প্যানিশ ফুটবল তারকা জেরার্ড পিকের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই বিচ্ছেদ নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন সাময়িকী রোলিং স্টোনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন সে সময় তার মানসিক অবস্থা কতটা ভয়ংকর ছিল। সাক্ষাৎকারে শাকিরা বলেন, ‘বিচ্ছেদ সবসময়ই কষ্টের। এর মধ্যে কোনও আনন্দ নেই। তবে অনেকেই বিষয়টি সাধারণ ভাবেই মোকাবিলা করতে পারে। কিন্তু আমি সেটি পারিনি। সে সময়টিতে আমাকে ভয়ংকর যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল। মনে হচ্ছিল কেউ আমার হৃদয় টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। হৃদয়ের যন্ত্রণা এতটাই ছিল, যে মনে হচ্ছিল আমার শরীরের কেউ সজোরে আঘাত করছে। এই হৃদয় ভাঙার বর্ণনা শুনতে সহজ হলেও, যে অনুভব করছে শুধু সেই বুঝতে পেড়েছে।’ ২০২২-এর জুন মাসে বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন শাকিরা ও পিকে। তাদের ১১ বছরের জীবনে মিলান ও সাশাক নামে দুটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের কারণেই পিকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ নিয়েছেন বলেও জানায় এই শিল্পী।
১৫ জুন, ২০২৪
দেশে তালাক ও বিচ্ছেদ কমেছে
দুটি মানুষ একসঙ্গে চলবে বলে কত আয়োজন। প্রেম, ভালোবাসা অতপর বেশ ঘটা করে বিয়ে। পাশাপাশি থাকার শপথ নিয়ে বিয়ে করলেও আদতে সবাই একসঙ্গে জীবেনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারে না। অনেকেই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের দিকে হাটে। তবু মানুষ ভালোবাসে, বিয়ে করে, সংসার সাজায়, বিচ্ছেদ করে আবার নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বর্তমানে এভাবে আর হয়তো বলা যাবে না। কারণ দেশে বিয়ের হার কমছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নতুন তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশে বিয়ের হার কমেছে। পাশাপাশি কমেছে তালাকের হারও। ২০২৩ সালে দেশে বিয়ের হার ছিল (প্রতি হাজারে) ১৫.৭, যা ২০২২ সালে ছিল ১৮.১। আর ২০২১ সালে ছিল ১৩.৫। অন্যদিকে তালাক দেওয়ার হারও কমে ১.১ শতাংশ হয়েছে, ২০২২ সালে যা ছিল ১.৪ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ০.৭ শতাংশ। বিবিএসের বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২৩-এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ২০২২ সালে বিয়ে বেশি হওয়ার বিষয়ে সমাজবিজ্ঞানীদের বক্তব্য, ২০২০-২১ সময়কালে করোনা মহামারির কারণে অনেক বিয়েশাদি হয়নি। করোনা-পরবর্তী সময়ে ২০২২ সালে তাই বিয়ের হার বেড়ে গিয়েছিল। ২০২৩ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় তা কমেছে। গ্রামে তালাক বেশি বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে ছিল প্রতি হাজারে বিয়ে ১২, গ্রামে এই হার ১৬.৮। ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল ১৩.৮ আর গ্রামে ১৯.৫। আবার অপরদিকে তালাকের হার গ্রামে বেশি, ২০২৩ সালে ছিল ১.১ শতাংশ। এর আগের বছর ছিল ১.৪ শতাংশ। আর শহরে এ হার ০.৯ শতাংশ, এক বছর আগে ছিল ১.০ শতাংশ। তালাকের কারণ বিবিএসের জরিপের দেখা যায়, তালাকের বড় কারণ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক। জরিপে উত্তরদাতাদের প্রায় ২৩ শতাংশ এই কারণ দেখিয়েছেন। এর পর রয়েছে দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতাকে কারণ হিসেবে বলেছেন ২২ শতাংশ। ভরণপোষণের ব্যয় বহন করতে অক্ষমতা অথবা অস্বীকৃতি, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদিও রয়েছে তালাকের কারণের তালিকায়।
২৮ মার্চ, ২০২৪
যে কারণে ইমরান হাশমির সংসারে ভাঙনের সুর
বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি। তার ১৭ বছরের সংসারে ভাঙনের সুর বেজেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানিয়েছেন অভিনেতা। খবর : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ২০০৬ সাল থেকে পারভিন সাহানির সঙ্গে সুখী দাম্পত্যই উপভোগ করছিলেন ইমরান। তাদের সংসারে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। প্রায় ১৭ বছরের দাম্পত্য জীবন তাদের। কিন্তু হঠাৎই ইমরান জানালেন স্ত্রী নাকি হুমকি দিচ্ছেন বিবাহবিচ্ছেদের। অভিনেতা জানান, তার স্ত্রী পারভীন শাহানী নাকি প্রায় দিনই বিয়ে ভাঙার হুমকি দেন। কারণটাও জানিয়েছেন নিজেই। ইমরান বলেন, ‘আসলে পুরো পরিবার থেকে আমার খাদ্যাভ্যাস একেবারে আলাদা। কারণ, আমি শরীর স্বাস্থ্যের জন্যে দু’বছরে একবার খাদ্যাভ্যাসের বদল করি। সেই দু’বছর আমার মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের কোনও নড়চড় হয়নি। সেটা ওর জন্য বিরক্তির বিষয়। এর জন্য মাঝেমধ্যেই আমার কাছ থেকে বিচ্ছেদ চায়। কিন্তু বিষয়টি আমরা বেশ ভালোভাবেই উপভোগ করছি।’ ইমরান হাশমি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘টাইগার থ্রি’। গেল বছরের নভেম্বরে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এ ছাড়া বর্তমানে তার হাতে রয়েছে তেলেগু ভাষার সিনেমা ‘ওজি’। সুজিত পরিচালিত সিনেমাটিতে ইমরান ছাড়াও অভিনয় করছেন পবন কল্যাণ, প্রকাশ রাজ, অর্জুন দাস প্রমুখ।
০৭ মার্চ, ২০২৪
মেহেরপুরে ৫ ঘণ্টায় ১ তালাক
দেশে তালাকের হার বাড়ছে। এই হারটা রীতিমতো ভয়াবহ। দেশের সবচেয়ে ছোট জেলা মেহেরপুরে প্রতি ৫ ঘণ্টায় ১টি তালাক হচ্ছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই জেলাতে তালাক হয়েছে প্রতিদিন গড়ে ৫টি করে। মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে জেলাতে মোট ২১শ বিবাহের পাশাপাশি ১৯২৯টি তালাক রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। এই চিত্রটিই উদ্বেগের। একাধিক নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে তালাকের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপব্যবহার। স্ত্রীর পিতা-মাতার স্বামীর পরিবারে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপের প্রবণতা। সঠিকভাবে স্ত্রীর ভরণ পোষণ করতে না পারা এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েয় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। মেহেরপুর জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয় প্রদিত্ত তথ্যমতে, সদর উপজেলায় ৭ জন, মুজিবনগর উপজেলায় ৪ জন এবং গাংনী উপজেলাতে ১১ জন সরকার নিবন্ধিত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের (কাজী) মাধ্যমে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৮০২টি বিবাহের বিপরীতে ৯৭৪ টি তালাক, মুজিবনগর উপজেলায় ৫৫২টি বিবাহের বিপরীতে ২৩৩টি তালাক এবং গাংনী উপজেলায় ৭৪৬টি বিবাহের বিপরীতে ৭২২টি তালাক নিবন্ধিত হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর বাল্যবিবাহ। বাল্যবিবাহ ও এর পরিপেক্ষিতে পরবর্তীতে সংঘটিত তালাকগুলো আইনগতভাবে লিপিবদ্ধ হয় না। বিষয়গুলো আদালতে গড়ায়। ফলে এই পরিসংখ্যান সঠিকভাবে উঠে আসে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ শীর্ষক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, মেহেরপুর জেলায় ২২ সালে মোট জনসংখ্যা ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৫৬ জন। প্রতি হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে জেলায় বিবাহের হার ২২ এবং তালাকের হার ২.৭। সে অনুযায়ী ২০২২ সালে মেহেরপুর জেলায় মোট বিবাহের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫১৫ এবং তালাকের সংখ্যা ১৯০৪। তবে বিবিএস জরিপের তথ্যে তালাকের পরিসংখ্যান জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সাথে কিছুটা কসামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও মোট বিবাহের তথ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বসির উদ্দিন বলেন, জনশুমারির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের দোরগোড়ায় যাওয়া হয়। সেখানে ভুলের সম্ভাবনা নেই। তবে বিবাহ-তালাকের পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে একটি স্যাম্পল এরিয়া নির্ধারণ করে ফল বের করা হয়। এক্ষেত্রে প্রকৃত সংখ্যার সাথে জরিপের ফলে সংখ্যাগত কিছু ব্যত্যয় ঘটতে পারে। বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল সমাজ মনে করে, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল তৈরি হলে বা বনিবনা না হলে, চট করে একটি বাচ্চা নেওয়া উচিৎ। তাহলে সম্পর্ক টিকে যাবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তখন সন্তান এই নাটকের অংশ হয়ে যায়, তার জীবন হয়ে যায় বিভীষিকাময়। কারণ, শিশু যদি দেখে বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি, ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি বা শীতল সম্পর্ক চলছে, তা সন্তানের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মেহেরপুর পৌর এলাকার একজন নিকাহ রেজিস্ট্রার খায়রুল ইসলাম (বাশার)। তিনি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৮টি বিবাহ ও ১০০টি তালাক রেজিস্ট্রি করেছেন। আর ২৩-২৪ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৩৩টি বিবাহ ও ৮৫টি তালাক রেজিস্ট্রি করেছেন। খাইরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, জেলাতে তালাকের হার পল্লী অঞ্চলে শহরের তুলনায় প্রায় ৮২ শতাংশ বেশি, এটিই উল্লেখযোগ্য তথ্য। শহরের ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের দম্পতিরা বিভিন্ন কারণে যে বিষাক্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও গ্রামের মানুষ সেটা করছেন না। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান তালাকের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে সংসারের বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে বাবা-মা মেয়ের সংসারে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করতে চান। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে উঠছে। যার শেষ পরিণতি বিচ্ছেদে গড়াচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার নিকাহ রেজিস্ট্রার আব্দুল মাবুদ কালবেলাকে জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তার কাছে ১৪৫টি বিবাহ ও ২৪৫টি তালাক রেজিস্ট্রি হয়েছে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত তার মাধ্যমে ১১৩টি বিবাহ ও ২১৬টি তালাক রেজিস্ট্রি হয়েছে। আব্দুল মাবুদ আরও বলেন, বাল্যবিবাহের কারণে তালাক বেশি হচ্ছে। এ ছাড়াও এ অঞ্চলে তালাকের একটি বড় কারণ হলো স্বামী বিদেশে থাকা। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় প্রবাস থেকে স্বামীর পাঠানো টাকার হিসাব না রাখা, যত্রতত্র খরচ করা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামীর অবর্তমানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া। মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা কল্লোল কালবেলাকে বলেন, যে সকল বিবাহ বিচ্ছেদ আদালতের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে সেগুলোর কারণ অনুসন্ধান করলে স্পষ্ট হয় যে সমাজে নৈতিকতার পতন ঘটেছে। মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে। নারী-পুরুষ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছে, স্ত্রী স্বামীকে মানতে বা তার অধিনে থাকতে চাইছেন না। মূলত এসকল কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। বর্তমানে নারীরা অতিরিক্ত স্বাধীনতাকামী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা স্বাবলম্বী হতে চায়, এবং স্বাবলম্বী হতে যেয়ে অনেকেই অনৈতিক পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। অনেকে আবার প্রবাসে থাকা স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্বামীর পাঠানো টাকা তসরুপাতসহ পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। অপর এক আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান বলেন, মূল কথা হলো, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস হারিয়ে গেলে তা একটি অস্বাস্থ্যকর ও লোক দেখানো সম্পর্কে পরিণত হয়। তখন সন্তান, দায়-দায়িত্ব সব কিছুই ঠুনকো হয়ে পড়ে। সম্পর্কটা হয়ে যায় সাংঘর্ষিক। নানা রকম আলাপ-আলোচনা করেও যখন সমন্বয় করা যায় না, তখন বিয়ে বিচ্ছেদ ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এম এ মুহিত এ বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ুর কারণে মেয়েরা অল্প বয়সে যৌবনপ্রাপ্ত হয়। কুড়িতে বুড়ি, অভাবে স্বভাব নষ্ট ও নিরক্ষতা এই মন্ত্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের সহজ সরল অভিভাকরা অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়। আদালতে গেলে লক্ষ্য করা যায় বিবাহবিচ্ছেদের কারণে গ্রামের মানুষের নারী নির্যাতনের মামলা বেশি। যৌতুক প্রথা ও বাল্যবিবাহের কারণে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা আগের থেকে বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও অবাধ মেলামেশার সুযোগ পাওয়ার কারণে সামাজিক অবক্ষয় ঘটছে। আমরা ছোট থেকে বড় বড় মনিষীদের অনুসরণ করি। বর্তমান প্রজন্মরা অল্প শিক্ষিত ফেসবুক সেলিব্রেটি ও টিকটকারদের অনুসরণ করছে। অনেক গৃহবধূরা ঘরে বসে ফেসবুকে অধিক আয় করার আশায় স্বামীকে উপেক্ষা করে ফেসবুকে রিল বানাতে ব্যস্ত থাকে। এই কারণে অধিকাংশ পরিবারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে। বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা রোধ করতে হলে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে এবং সেই সাথে অভিভাবক ও শিক্ষকদের অধিক সচেতন হতে হবে। সরকার বিটিআরসির মাধ্যমে অনলাইন টুলস্গুলো সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সামাজিক অবক্ষয় অনেকটাই কমে যাবে। সেই সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের হার কমে যাবে।
০৪ মার্চ, ২০২৪
বিয়ের পর আমি রকিবের সমস্যাগুলো বুঝতে পেরেছি : মাহি
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় আরেকটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ওই ভিডিওতে মাহি তার বর্তমান স্বামী রকিবের নেতিবাচক দিকের বিষয়ে মুখ খুলেছেন। ভিডিওতে মাহি বলেন, রকিব সরকার আমার স্বামী ছিলেন, আমার ভালোবাসার মানুষ ছিলেন। আমি তাকে অনেক ভালোবেসেছি। ভালোবেসে সিনেমা থেকে অনেক দূরে সরে গেছি। রকিব সিনেমা করা পছন্দ করতেন না। যদিও আমাকে কখনো মুখ ফুটে সিনেমা করতে নিষেধ করেনি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে যে তার পছন্দ না। আমি এ জন্যই দূরে সরে গিয়েছিলোম। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি লাইভে এসে রকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন মাহি। এ বিষয়ে নায়িকার স্বামী এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য দেননি। কিন্তু বিচ্ছেদের ঘোষণার পর মাহি ফেসবুকে হতাশা মিশ্রিত কিছু পোস্ট দিয়েছেন। বিচ্ছেদের কয়েকদিন পরই ফেসবুকে লিখেছেন, তার নাকি খুব একা একা লাগে। এছাড়া সোমবার দুপুরে লিখেছেন, একটি আস্থার জায়গা পেতে মুখিয়ে আছেন তিনি। মানুষের মতো একজন মানুষ খুঁজছেন আবারও। যিনি তার পরবর্তী সঙ্গী হবেন, তার কাছে একটু যত্নআত্মি দাবি করেছেন নায়িকা। এরপর আবার কাছের কিছু মানুষের সঙ্গে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন মাহি। ক্যাপশনে লিখেছেন ‘আস্থার আস্তানা’। এসব ঘটে যাওয়ার পর, মাহির স্বামী হুট করেই নিজের ফেসবুক পেজে অনেকটা কাব্যিক ঢংয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেটির শিরোনাম দিয়েছেন ‘আস্থা’। এ বিষয়ে নিজের ভিডিও বার্তায় মাহি জানিয়েছেন, রকিব নিজের ফেসবুকে কী লিখল তা নিয়ে কোনো মাথাব্যথাই নেই নায়িকার। তিনি বলেন, আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়েও যদি রকিবের বিষয়ে নেতিবাচক কিছু বলতে বলা হয়, আমি তা বলব না। কারণ আমি ওকে সম্মান করি। আমৃত্যু এই সম্মান থাকবে। এর পরই মাহি তার প্রশ্ন করেছেন, রকিবের কি কোনো নেগেটিভ দিক নেই? নায়িকা জানান, মাত্র দু’মাসের পরিচয়ে বিয়ে হয়েছে তাদের। বিয়ের পর আমি ওর সমস্যাগুলো বুঝতে পেরেছি। মানুষ মাত্রই সমস্যা থাকবে। মাহি আরও বলেন, রকিব আমার জীবন থেকে অতীত হয়ে গেছে। আমাদের একটি শিশু আছে ‘ফারিশ’। এখন আমি ফারিশের মা, রকিব ফারিশের বাবা, এটুকুই। আমাদের দুজনের প্রতি দুজনের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা থাকবে। এখনো কাগজে-কলমে বিচ্ছেদ হয়নি মাহিয়া মাহির। তবে খুব শিগগিরই রকিবের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে ফেলবেন বলে প্রথম ভিডিওতে জানিয়েছেন নায়িকা।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বিচ্ছেদ ঘোষণার পর নতুন চুক্তিতে মাহিয়া মাহি
ঢালিউডের অগ্নিকন্যা মাহিয়া মাহি সদ্য স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। মাতৃত্বকালীন অবসর নেওয়ায় অভিনয়ে না ফিরলেও রাজনীতিতে সরব হন এই সুন্দরী। ব্যস্ত ছিলেন একমাত্র সন্তান ফারিশকে নিয়েও। তার সন্তানের বয়স এক বছর ছুঁই ছুঁই। এদিকে সন্তানকে দেখাশোনার পাশাপাশি কাজে মনোযোগী হচ্ছেন মাহি। সম্প্রতি একটি বেবিফুড ব্র্যান্ড জাফরিন’স হোম মেইড ফুডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন মাহি। অপু বিশ্বাসের এবি ক্যাফেতে বসে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হন তিনি। এসময় ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা, ব্র্যান্ড প্রমোটার বারিশ হক ও প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার নুজহাত তাবাসসুম জাফরিন উপস্থিত ছিলেন। জাফরিন’স হোম মেইড ফুড নিয়ে মাহি বলেন, ‘এই খাবারগুলো ইজি টু মেইক, ২ থেকে ৫ মিনিটে চটজলদি তৈরি করা যায়। ভ্রমণ করার সময়ে সহজভাবে বহন করা যায়। বেড়াতে গিয়েও শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। আমি যেহেতু শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকি আমার জন্য এই ঝটপট পুষ্টিকর খাবারগুলো লাইফ সেভার। এখানে ৬ মাস থেকে শুরু করে সব বয়সী শিশুর জন্য খাবার আছে।’ মাহি বর্তমানে ছেলে ফারিশ সরকারকে ঘিরেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। ছেলের সঙ্গে সময় কাটানোর ছবি পোস্ট করছেন। তা ছাড়া ফেসবুক রিলে সাজগোজের ভিডিও, অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গেছে মাহিকে।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
মাহির বিচ্ছেদ নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ক্যারিয়ারে শীর্ষ নায়িকার তকমা পেলেও ব্যক্তিজীবনে ধরাশায়ী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। দ্বিতীয় বিয়েও টিকছে না তার। গত শুক্রবার রাতে প্রায় ৯ মিনিটের এক ফেসবুক ভিডিওবার্তায় স্বামী কামরুজ্জামান সরকার রকিবের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিলেন মাহি। তিনি বলেন, আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে মাহি বলেন, খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। মাহি আরও বলেন, আজকে এরকম একটি ভিডিও করতে হবে, সেটি ভাবিনি। তবে মনে হয়েছে সবাইকে বলার সময় হয়েছে। নিজেদের ভালোর জন্যই সবার জানা উচিত। এদিকে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র কালবেলাকে জানায়, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে মাহির। এর পর থেকেই আলাদা থাকছেন তারা। ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী রকিব ও মাহির বিয়ে হয়। এই দম্পতির ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান ফারিশ। এটি রকিবেরও দ্বিতীয় বিয়ে। গাজীপুরের ছেলে রকিবকে বিয়ের পরই মাহির মাথায় রাজনীতির ভূত চেপে বসে। সূত্র বলছে, স্বামীই নাকি মাহিকে রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। রকিবের উৎসাহে রাজনীতির মাঠে সরব হন মাহি, জুটে যায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদও। এরপর সংসদ সদস্য হওয়ার মিশনে নামেন ঢালিউডের এই নায়িকা। গত বছরের শুরুর দিকে নিজ এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন তোলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। তখন থেকেই এলাকায় নানা সামাজিক কার্যক্রমে যুক্ত হতে দেখা যায় তাকে। এ সময় মাহির পাশে ছায়ার মতো থেকেছেন রকিব। স্বামীর টাকায় এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ান মাহি। লক্ষ্য ছিল সংসদে যাওয়া। বিষয়টি নিয়ে রকিবের আগ্রহের কমতি ছিল না। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ফরম তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য জোটে মাত্র ৯ হাজার ৯ ভোট। বিপুল ভোটে পরাজয়ের পরও রাজনীতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মাহি। একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র কালবেলাকে জানান, জাতীয় নির্বাচনের আগে থেকেই মাহিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার লক্ষ্যে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেন রকিব। স্ত্রী রাজনৈতিক সাফল্য না পাওয়ায় দুজনের মানসিক দূরত্ব বাড়তে থাকে! এ ছাড়া একের পর এক সিনেমা ছেড়ে দেওয়ায় মাহির নিজস্ব আয় শূন্যের কোঠায় গিয়ে দাঁড়ায়। স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তিনি। এতে করে নায়িকার মানসিক চাপ বাড়তে থাকে। সব কিছু মিলিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা বাড়ছিল! ২০১২ সালে ‘ভালোবাসা রঙ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয় মাহিয়া মাহির। সিনেমাটি মুক্তির পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে পোড়ামন, অনেক সাধের ময়না, ঢাকা অ্যাটাক, জান্নাত, অগ্নি, দেশা দ্য লিডার, যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত রোমিও বনাম জুলিয়েটসহ অসংখ্য সিনেমায় দেখা গেছে মাহিকে। ক্যারিয়ার শুরুর পর খুব অল্প সময়েই সফল নায়িকার তকমা জোটে তার নামের পাশে। যদিও একটা সময় চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবিষ্কার মাহির সংস্থাটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে জাজ ছেড়ে দেন তিনি। তার ঠিক পরপরই ২০১৬ সালের ২৫ মে সিলেটের ছেলে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেন মাহি। পাঁচ বছরের মাথায় সেই সংসার ভেঙে যায়। যদিও ওই বিচ্ছেদের আগে থেকেই আলাদা থাকছিলেন তারা। বিচ্ছেদের আগে এক নায়কের সঙ্গে মাহির প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও সিনেমা চালিয়ে গেছেন মাহি। তখনো সিনেমাপ্রতি পারিশ্রমিক নিতেন ১০ লাখ টাকা। এদিকে রকিবকে বিয়ের পর সিনেমাজগৎ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে থাকেন মাহি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সিনেমা ছেড়ে দেবেন বলেও জানিয়েছিলেন। অথচ রাজনীতিতে এসে মাহির সংসার ও ক্যারিয়ার দুটিই এখন জলাঞ্জলির পথে!
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বিচ্ছেদের সংবাদে ভক্তদের হাতেই তুলাধুনা মাহি
দ্বিতীয় বিয়েটাও টিকল না চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। স্বামী মো. রকিব সরকার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে কাঁদতে-কাঁদতে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান এই চিত্রনায়িকা। এখন শুধু কাগজে কলমে ডিভোর্সের অপেক্ষা। জনপ্রিয় এ ঢালিউড নায়িকার এমন বিচ্ছেদ সহজভাবে নিতে পারেননি ভক্তরা। নেটিজেনদের অনেকেই এর জন্য দায়ী করছেন মাহিকেই। করছেন তুলাধুনা। রকিবের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন মাহি। আলাদা থাকছেন তারা। স্বামী রকিবেরও দ্বিতীয় বিয়ে এটি। ২০২১ সালে মাহির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। যা নিয়ে ছিল চরম বিতর্ক। কথা উঠেছিল—প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই মাহিকে বিয়ে করেছেন রকিব। পরে অবশ্য রকিব তার প্রথম বিয়ের ডিভোর্সের কথা নিশ্চিত করেন। কার দোষে ভাঙছে মাহির সংসার? ভুলটা রকিবের নাকি মাহির? বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা শোনার পর এই সমীকরণ মেলাতে বসেছেন নেটিজেনরা। মাহিকে সহানুভূতি জানিয়েছেন ভক্তরা। মো. তরিকুল বাশার স্মরণ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে সংসার ভাঙার পেছনে মাহিকেই দোষারোপ করা হয়েছে। এমনকি রকিবের প্রথম সংসার ভাঙার পেছনেও মাহির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মিটু আজিজ নামে একজন লিখেছেন, একটি সম্পর্ক সারাজীবন বয়ে নেওয়া বেশ কঠিন। যারা এ ডাল থেকে ওই ডালে ঘুরতে থাকে, তাদের জন্য সংসার টেকানো আরও কঠিন। উম্মে হাবিবা কথা নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই লাইভটি শেয়ার করে জানিয়েছেন, মাহিকে পছন্দ করেন না তিনি। কারণ রকিবের সঙ্গে মাহির বিয়ে হওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছেন রকিবের প্রথম স্ত্রী। তিনি লিখেছেন, অন্যের সংসার ভেঙে নিজেরটা গড়া যায় না। রকিব ও মাহির সংসারে রয়েছে ফারিশ নামে এক পুত্রসন্তান। ছোট এই শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার না ভাঙার অনুরোধ করেছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। যেমন নুসরাত জাহান সাইজু নামে একজন লিখেছেন, একটা সংসারের ওপর দিয়ে ঝড়ঝাপটা অনেক কিছুই যাবে। তারা আবার বিয়ে করবে, সংসার করবে। কিন্তু বাচ্চার জীবন তছনছ হয়ে যাবে। বাচ্চার কথা চিন্তা করে হলেও একটু বোঝাপড়া করে সংসার টিকিয়ে রাখা উচিত। ওই লাইভে মাহিয়া মাহি কাঁদতে কাঁদতে তার শিশু-সন্তানকে জড়িয়ে নেকিবাচক কোনো মন্তব্য না করার অনুরোধ করেছেন সবাইকে। এ বিষয়ে রাশাদ হাসান সামি নামে একজন লিখেছেন, আসলে বাচ্চাটিকে নিয়ে লেখা কারো উচিত না। বাচ্চাকে নিয়ে বাজে কথা লেখা হলে সেই শিশু বড় হয়ে সেসব দেখলে তার কেমন লাগবে সবারই তা চিন্তা করা উচিত। তারকাদের এই সংসার ভাঙা-গড়াকে কিছুটা নেতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখেন ভক্তরা। মাহির আগে সংসার ভাঙার বিষয়ে তুমুল সমালোচিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তাই এবার মাহির বিচ্ছেদের ঘোষণার ওই লাইভটি শেয়ার করে ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, পরিমণির দিন শেষ, মাহিয়া মাহির বাংলাদেশ।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
বিচ্ছেদ সইতে না পেরে স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম
নোয়াখালীর সেনবাগে বিবাহ বিচ্ছেদ সইতে না পেরে স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছেন সাবেক স্বামী। এতে গুরুত্বর আহত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত আমির হোসেন (৫০) পালিয়ে যায়। সে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে। আহতরা হলেন, অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০), তার মেয়ে ফাতেমা বেমগ (৩৮) ও নাতনি রাবেয়া আক্তার (১৮)। ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনের সঙ্গে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর তাদের সংসারে কলহ দেখা দেয়। এতে এখন থেকে তিন বছর আগে তাদের বিচ্ছেদও হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ফাতেমা ও তার মা নামাজ পড়তে উঠলে আমির ধারালো দা নিয়ে আকস্মিক তাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর এলোপাতাড়ি সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেনবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে যা বলেছিলেন শোয়েব মালিক
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিক ও ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। এক সময়ের আইকন দম্পতি হিসেবে বেশ খ্যাতি রয়েছে এ জুটির। তবে খ্যাতি আর আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে নতুন বিয়ের জানান দিয়েছেন শোয়েব মালিক। অন্যদিকে বেশ আগে থেকেই এ দম্পতির বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভির মুখোমুখি হয়েছিলেন শোয়েব মালিক। গেল বছরের ২২ এপ্রিল তিনি জিও টিভির এক সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদ নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। এর আগে থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনের জটিলতা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময়ে নিজেদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সম্পর্ক এখনও মজবুত রয়েছে। এ সময়ে তিনি সানিয়াকে নিজের স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। শোয়েব মালিক বলেন, হুমে সাথ মে রেহনা কা টাইম নাহি মিল রাহা। (আমাদের একসাথে থাকার মতো পর্যাপ্ত সময় নেই)। যখন তারা (সানিয়া ও ছেলে ইজহান) ওমরা করতে গিয়েছিল তখন আমার এখানে প্রতিশ্রুতি ছিল। এরপর আমি বিরতি নিলাম এবং দুবাই গিয়ে ইজহানের সাথে সময় কাটালাম। তখন তার আইপিএলে প্রতিশ্রুতি ছিল। সবার এটা বোঝা উচিত আমরা দুটি ভিন্ন দেশে বসবাস করি এবং আমাদের নিজস্ব প্রতিশ্রুতি রয়েছে। এ বিষয়ে আমি বা সে (সানিয়া) কোনো বিবৃতিও দেয়নি। শোয়েব মালিক নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেও সম্পর্ক নিয়ে নীরব রয়েছেন ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। গত বছর তিনি ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে থেকে অবসর নিয়েছেন। শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জার বিচ্ছেদের গুঞ্জন অনেকদিন ধরেই। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডিতে সানিয়া লেখেন, ‘বিয়ে কঠিন। বিচ্ছেদও কঠিন। নিজের কঠিনকে বেছে নিন। স্থূলতা কঠিন। তেমনি ফিট থাকাও কঠিন। সানিয়ার এই পোস্টের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই নতুন খবর—আবারও বিয়ে করেছেন তার সন্তানের বাবা শোয়েব মালিক। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়কের এটি তৃতীয় বিয়ে। ২০০৬ সালে আয়েশা সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন তিনি। সেই সংসার টেকে ৪ বছর। এরপর ২০১০ সালে মালাবদল করেন সানিয়ার সঙ্গে। এই সংসারও বেশি দিন টিকল না। গত এক বছর ধরে এ দম্পতির বিচ্ছেদের খবর শোনা যাচ্ছিল। সেই গুঞ্জনের মাঝে পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ের খবর দিলেন মালিক নিজেই। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন স্ত্রীর সঙ্গে ছবি প্রকাশ করেছেন মালিক।
২০ জানুয়ারি, ২০২৪
আরও
X