বিকল হওয়া তিতুমীর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা পর চালু
নাটোরের নলডাঙ্গায় চিলাহাটি থেকে রাজশাহীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকল হয়ে যায়। এ সময় উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সমস্ত রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দ্রুত মেরামত করার পর ১ ঘণ্টা দেরিতে চালু হয় ট্রেনটি। মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর স্টেশন থেকে ছেড়ে এক কিমি দূরে বাজে হালতি ব্রিজের কাছে বিকল হয়ে যায় ট্রেনটি। মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার মো. উজ্জ্বল আলী বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাধনগর স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাজে হালতি ব্রিজের কাছে থেমে যায়। পরে সেখানে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় ভেকুয়ামের ক্রটির কারণে ট্রেনটি থেমে গেছে। দ্রুত মেরামত করার প্রায় ১ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১২ জুন, ২০২৪

রানওয়েতে বিকল হয়ে পড়ল বিমান বাংলাদেশের উড়োজাহাজ
নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বিকল হয়ে আটকা পড়েছে। ফলে মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ফ্লাইট বাতিল হয়ে বিমানবন্দরের অন্যান্য উড়োজাহাজের উড্ডয়ন-অবতরণ বন্ধ রয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় বিমান বাংলাদেশের উড়োজাহাজটি অবতরণের পর সামনের চাকায় (নোজ হুইল) ত্রুটি দেখা দেওয়ায় রানওয়েতে আটকা পড়ে। তবে এর ত্রুটি মেরামতের কাজ করছে বিমানবন্দরের স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা। এ কাজে সৈয়দপুর সেনানিবাসের একদল প্রকৌশলীকেও যুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বিমানের ত্রুটি মেরামতের কাজ করছেন। বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট সাড়ে ৮টায় বিমানবন্দরের রানওয়েতে নামে। এ সময় বিমানের নোজ হুইলে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় রানওয়েতে তা বিকল হয়ে যায়। এতে অল্পের জন্য ফ্লাইটে থাকা ৬০ জন যাত্রী প্রাণে রক্ষা পায়। এদিকে বিমানটি রানওয়েতে আটকে থাকায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিমানবন্দরের অন্যান্য ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান সৈয়দপুর জেলা বিমান অফিসের জেলা ব্যবস্থাপক ফয়সাল কবীর জানান, বিমানটির ত্রুটি সারানোর জন্য স্থানীয় টেকনিশিয়ানরা কাজ করছেন। এ কাজে সৈয়দপুর সেনানিবাসের একদল প্রকৌশলীকে যুক্ত করা হয়েছে। তারা বিমানটি ত্রুটি সারানোর কাজ চলছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুপ্লোব কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশ বিমানের সামনের চাকা ত্রুটির কারণে রানওয়েতে বিকল হয়ে রয়েছে। ফলে সকাল থেকে অন্যান্য বিমান সংস্থার ফ্লাইটে ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। এতে করে কয়েকটি ফ্লাইটের যাত্রী বিমানবন্দরে আটকা পড়েছেন। এতে বিমানবন্দরের যাত্রী চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বিমানটির ত্রুটি মেরামতের জন্য আরও দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ত্রুটি মেরামত শেষ হলেই ফ্লাইটের চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।
২৮ মে, ২০২৪

নরসিংদীতে তিতাস কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী তিতাস কমিউটার ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। তবে এ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সোয়া ৭টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদীর আমিরগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় ব্রিজের কাছে এসে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী সাধারণ। বর্তমানে ট্রেনটি একটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের সাহায্যে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এনে রাখা হয়েছে। তিতাস কমিউটার ট্রেনে খানাবাড়ী রেলস্টেশন থেকে ঢাকাগামী নিয়মিত যাত্রীরা সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঢাকাগামী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি আখাউড়া থেকে ৫টা ১০ মিনিটে ছেড়ে নরসিংদীর আমিরগঞ্জ স্টেশনের পূর্ব পাশের ব্রিজের কাছে এসে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে ঢাকা অভিমুখী চাকরিজীবী তিতাস কমিউটার ট্রেনের নিয়মিত যাত্রীসহ ট্রেনের হাজারো যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পুরাতন ইঞ্জিন দিয়ে ঢাকা-নরসিংদী-আখাউড়া রেলপথে চলাচল করছে এই ট্রেনটি। এতে প্রায় প্রতিদিনই হাজারো যাত্রীকে কোনো না কোনো দুর্ভোগে পড়তে হয়।   নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মুসা মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা অভিমুখী তিতাস কমিউটার ট্রেনটি আমিরগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন ব্রিজের কাছে এসে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে খানা বাড়ি থেকে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশন এনে রাখা হয়েছে। তবে এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রেন চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
২১ মে, ২০২৪

খিলগাঁওয়ে ইঞ্জিনের হুক খুলে বিকল 'কক্সবাজার এক্সপ্রেস'
রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগি থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বগি ও ইঞ্জিনের সংযোগকারী  হুক খুলে বিকল হয়ে পড়ে ট্রেনটি।  শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটলে ট্রেনটি উদ্ধারে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে অন্য একটি ইঞ্জিনের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন। তিনি  বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস এর ট্রেনটি তেজগাঁও থেকে কমলাপুর স্টেশনে ঢোকার সময় খিলগাঁও রেলগেটে ইঞ্জিন থেকে হুক খুলে গেছে। ওই ইঞ্জিনে আর কাজ করা যাবে না। এই ট্রেনটি উদ্ধারের জন্য কমলাপুর থেকে অন্য আরেকটি ইঞ্জিন ইতোমধ্যে সেখানে পৌঁছে গেছে।  তিনি বলেন, উদ্ধারে কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ট্রেনটি উদ্ধার করে কমলাপুর স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিকল ৩ ট্রেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে ইঞ্জিন বিকল, হোস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বগিতে সমস্যার কারণে চট্টলা, কর্ণফুলি ও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন বিকল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে ও সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে এসব ঘটনা ঘটে। তবে বিকল্প একাধিক লাইন থাকায় ওই সময়ে ট্রেনচলা চলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।  জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কসবা এলাকায় পৌঁছালে ট্রেনের গ-বগি সংযোগস্থলের নিচের দিকে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে  ট্রেনটি কসবা স্টেশন এলাকায় থেমে যায়। পরে বিকল হওয়া গ-বগিটি বিচ্ছিন্ন করে ওই বগিটি কসবা স্টেশনে রেখে দুই ঘণ্টা পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্যোশে কসবা ত্যাগ করে। এ বিষয়ে কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সফিকুল ইসলাম জানান, বিকল হওয়ার পর দুই ঘণ্টা বিলম্বে চট্টলা ট্রেনটি গ-বগি রেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। দীর্ঘক্ষণ বিলম্বের কারণে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হন।  এদিকে চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। তবে ওই পথে বিকল্প একাধিক রেলপথ থাকায় ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। পরে ১ ঘণ্টা বিলম্বের পর ট্রেনের ইঞ্জিনটি সচল হওয়ার পর দুপুর সোয়া ১টার দিকে ট্রেনটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে হোস পাইপের (হাওয়া চলাচলের) সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন আউটারে বিকল হয়ে পড়ে। এতে ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।  তবে ট্রেনটি বিকল হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।  রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্ধারিত সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় যাত্রবিরতি শেষে স্টেশন ছেড়ে যায়। অদূরে শহরের কলেজ রেলগেইট এলাকায় পৌঁছা মাত্রই ট্রেনটির হোস পাইপের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মেরামত কাজ শেষ করলে ট্রেনটি পুনরায় নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন এসব বিষয় নিশ্চিত করেন। 
১৪ মে, ২০২৪

৩ বছরেই বিকল কোটি টাকার সড়কবাতি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌরসভার জলবায়ু তহবিল প্রকল্পের আওতায় তিন বছর আগে সড়কে সৌরবিদ্যুৎচালিত ১৫৫টি সড়কবাতি স্থাপন করা হয়। এগুলোর মধ্যে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি বিকল হয়ে আছে। কিছু সড়কবাতি মাঝেমধ্যে জ্বলে-নিভে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। নষ্ট বাতিগুলো সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু তহবিল প্রকল্পের আওতায় তিন বছর আগে মঠবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে ১৫৫টি সৌরবিদ্যুৎচালিত সড়কবাতি স্থাপন করা হয়। প্রতিটি সড়কবাতির পেছনে খরচ পড়েছে এক লাখ টাকারও বেশি। সবগুলো সড়কবাতি জন্য খরচ দেখানো হয় এক কোটি ৭৫ লাখ ১৮ হাজার ৪১০ টাকা। সরেজমিনে দেখা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌরসভার দক্ষিণ বন্দর এলাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরের সড়কের দুটি সড়কবাতি বিকল হয়ে আছে। মঠবাড়িয়া বাজারের গুরুত্বপূর্ণ লোহাপট্টি এলাকা, মিরুখালী সড়কের রাকিব বেকারির সামনে ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামবাগ সড়কে একটি করে সড়কবাতি নষ্ট পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পৌর শহরের অনেক জায়গায়ই একই অবস্থা দেখা গেছে। স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী কালাম আজাদ বলেন, সড়কের এসব বাতি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। কিছু সড়কবাতি মাঝেমধ্যে জ্বলে আবার নিভে থাকে। মঠবাড়িয়া বাজারের লোহাপট্টি এলাকার ব্যবসায়ী এমাদুল হক খান বলেন, এখানকার সড়কবাতিটা এক বছর ধরে নষ্ট হয়ে আছে। রাতে চলাচল করতে পথচারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দ্রুত বাতিগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মঠবাড়িয়া পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, আমি সড়কবাতির ব্যাপারে ফাইল না দেখে সঠিক তথ্য দিতে পারব না। সবকিছু দেখে জানাতে পারব। কিছু সড়কবাতি বিকল হয়েছে, এমন কথা শুনেছি। 
০২ এপ্রিল, ২০২৪

রেললাইনে বিকল গাড়ি অপসারণে পুলিশ, প্রাণ বাঁচল ৪০ জনের
সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের ওপর হঠাৎ করেই শিকড় পরিবহনের একটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের সার্জেন্ট মুহিব্বুল্লাহ মুহিবের দ্রুত সিদ্ধান্তে আশপাশের পথচারীদের সহায়তায় সেই বাস রেললাইন থেকে অপসারণ করা হয়। আর এতে প্রাণে বেঁচে যান বাসে থাকা প্রায় ৪০ জন যাত্রী।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনটি কমলাপুর ত্যাগ করার পরে রাজধানীর সায়দাবাদ রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছার কিছু সময় আগে বাসটি লাইনের ওপর বিকল হয়ে যায়। ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী নিয়ে শিকড় পরিবহনের বাসটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে মিরপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল। সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের ওপরে পৌঁছলে হঠাৎ করেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।  বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসেন ঘটনাস্থলের পাশেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুহিব্বুল্লাহ মুহিব। তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন আশপাশের মানুষজন ও পথচারীরা। সবার সহায়তায় মুহূর্তের মধ্যেই গাড়িটি রেললাইন থেকে অপসারণ করা হয়। আনুমানিক এর ঠিক ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ট্রেনটি সায়েদাবাদ রেলক্রসিং অতিক্রম করে। ফলে সমূহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বাসটি।  এ বিষয়ে পুলিশ সার্জেন্ট মুহিব জানান, সকাল থেকেই ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ করেই দেখলাম রেল বার পড়ে গেছে কিন্তু রেললাইনের ওপরে যাত্রীবোঝাই বাস। কোনোদিক চিন্তা না করেই তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার সঙ্গীয় ফোর্স এবং সাধারণ মানুষের সহায়তায় বাসটিকে পেছনে ঠেলে দেই। এত মানুষের উপকারে আসতে পেরে ভালো লাগছে। পুলিশ হিসেবে মানুষের সেবা করাই আমাদের ব্রত, আমি আমার কাজটি করতে পেরেছি- মানুষ আসন্ন বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে এতেই আমার শান্তি। আল্লাহর শুকরিয়া।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বিকল বাসের ৩ যাত্রীর প্রাণ গেল ট্রেনে কাটা পড়ে
টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে কালিহাতী উপজেলার আনালিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এএসআই মো. তৈয়ুব আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতরা হলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার আলাউদ্দিনের ছেলে রতন (৩২) ও তার ছয় বছর বয়সী ছেলে সানি এবং রাজশাহীর বেলপুকুর থানার মাহিন্দ্রা গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে শরিফ (৪০)। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে আসা একটি বাস ওই এলাকায় পৌঁছার পর বিকল হয়। এ সময় বাসের কিছু যাত্রী নেমে রেললাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, কেউ কেউ হাঁটাহাটি করছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নীলফামারীগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেসে তিনজন কাটা পড়েন। টাঙ্গাইল রেলস্টেশন মাস্টার নাজমুল হুদা বকুল জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা দুর্ঘটনার খবর পান।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকল : যাত্রী ভোগান্তিতে
লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশনে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ট্রেনটি সচল করতে পারছিলেন না প্রকৌশলী-টেকনিশিয়ানরা। বুধবার (০৩ জানুয়ারি) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমূখী বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি (আপ ৭৮৭) যান্ত্রীক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় লাকসাম জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। যাত্রাবিরতি শেষে চালক বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও চালু করতে পারছিলেন না ট্রেনটি। এতে সাত শতাধিক যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। পরে রাত দশটায় ট্রেনটি সচল হলে দুই ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ দিকে, রাত সোয়া আটটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর অভিমূখী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাকসাম জংশন স্টেশনে প্রবেশ করে। ইঞ্জিনের দিক পরিবর্তন করতে ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট সময় নেয়। তিন নম্বর প্লাট ফরমে প্রবেশ করানো হয় এ ট্রেনটিকে। এর আগে থেকেই দুই নম্বর প্লাটফরমে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা স্টেশনে নামতে ভোগান্তিতে পড়ে। এক নম্বর প্লাটফরম খালি থাকলেও অজ্ঞাত কারণে মেঘনা ট্রেনটি বিপরীত পাশে তিন নম্বর প্লাটফরমে যাত্রাবিরতি দেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যাত্রীরা অভিযোগ তুলে জানান, তিন নম্বর প্লাটফরমের কয়েকটি দোকানের বিক্রি বাড়ানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে ট্রেনটি এক নম্বর প্লাটফরমে প্রবেশ করানো হয়নি। লাকসাম রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান জানান, ট্রেনটি সচল করতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে ইঞ্জিনিয়ার-টেকনেশিয়ানদের। রাত দশটায় ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

ইঞ্জিন বিকল হয়ে মাঝপথে থেমে গেল ট্রেন
পার্বতীপুর থেকে বুড়িমারীগামী ‘বুড়িমারী কমিউটার’ ট্রেনের ইঞ্জিন মাঝপথে বিকল হয়েছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জের ভোটমারী এলাকায় ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়। পরে বিকল্প ইঞ্জিন আনা হলে বেলা পৌনে ১২টায় ট্রেনটি পুনরায় বুড়িমারীর উদ্দেশে রওনা দেয়। ইঞ্জিন বিকলের ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। কী কারণে ট্রেন থেমেছে, তা নিয়ে শুরুতে যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। পরে ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা জানতে পারেন তারা। রাকিব নামের এক যাত্রী বলেন, আসতে আসতে হঠাৎ স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়, আর স্টার্ট নিচ্ছে না। ট্রেনে বাড়ি যাচ্ছিলাম। পাটগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নুর আলম বলেন, সকালে পার্বতীপুর থেকে আসা ৬৫ নম্বর কমিউটার একটি ট্রেন ভোটমারী স্টেশনের কাছে ভাঙ্গা ব্রিজে বিকল হয়ে পড়ে। লালমনিরহাট স্টেশন থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন পাঠিয়ে ওই ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X