বিএনপির সমাবেশে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের শোডাউন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে শোডাউন দিয়েছেন ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদবঞ্চিতরা।  পদবঞ্চিত শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল পরবর্তী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, তিতুমীর কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, বাংলা কলেজ, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিমসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। তারা ছাত্রদলের কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানান। এছাড়াও নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা মোহাম্মদ নাদির শাহ পাটোয়ারী, জিহাদুল ইসলাম রঞ্জু, এস এম মাহমুদুল হাসান রনি, জহির হাসান মোহন, আতাউর রহমান খান, মারজুক আহমেদ, আসিফ হোসেন রচি, এমএম মারুফউল ইসলাম, মো. মামুন খান, মো. জহিরুল ইসলাম, মৃধা মো. মাসুদ রানা, মো. রাকিবুল ইসলাম রোকন. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মো. মশিউর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, ইউসুফ হোসেন খান, হাসান আবিদুর রেজা বায়েজিদ, আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ, আনোয়ার হোসেন আনু, মো. মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, শরিফুল  ইসলাম শরীফ, মুজাহিদুল ইসলাম, ফেরদৌস হোসেন ফায়সাল, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান আমিন, রুহুল আমিন হিমেল, মুজাহিদুল ইসলাম, নাইম মাহমুদ, রুবেল হোসেন, লিটন  হোসেন, রুহুল আমিন, রুহুল আমিন সিকদার (হিমেল), ইমরান নওশাদ, ইসতিয়াক কামাল, সজীব হাওলাদার, রনি হাওলাদার, মো. মানিক ভূইয়া, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ইশতিয়াক কামাল সজীব, জি এম রাকিব হাসান রকি, নজরুল ইসলাম রাঢ়ি, কাজী সাইমন সিরাজী, মনিরুল ইসলাম, ছফী ওবায়েদুর রহমান সামিত, রিয়াদ আহমেদ রাজ, আনিচুর রহমান আনিচ, মৃণাল চন্দ্র সুজন, রিয়াজ হাওলাদার, মো. রনি হাওলাদার, সাকিব সরদার, রিয়াজ হাওলাদার, সাকিব সরদার, কাজী আজাহার হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, মোসাব্বির মিল্লাত পাটোয়ারী, সাজ্জাদ হোসেন পিয়াস, তাজবিউল হাসান, শাহ পরাণ, মো. রোকন উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম খান, মহসিন শেখ, ফজলে রাব্বি হৃদয়, নাসিমুল গনি মনন, শাখাওয়াত হোসেন রাসেল, মনিরুল ইসলাম, মো. পলাশ আকন, মো. জাবেদ পাটওয়ারী, শাকিল আহমেদ রানা, ইশতিয়াক রাব্বি, জসিম উদ্দিন, আলাউদ্দিন রিপন, মোহাম্মদ জায়েদ গাজী, মো: তারিকুল ইসলাম সুমন, তাওহীদ মোস্তারী, সুমন কবিরাজ, মশিউর রহমান, এইচএম সুমন, মেহরাব হোসেন অভি, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া (শাওন), ইশতিয়াক আহমেদ প্রমুখ।
২৯ জুন, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে পেশাজীবীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে ব্যাপক অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশ পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার বহন করেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, সৈয়দ আবদাল আহমদ, প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী মো. আশরাফ উদ্দীন বকুল, প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, প্রকৌশলী একেএম আসাদুজ্জামান চুন্নু, মো. হানিফ, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ। ইউট্যাবের অংশগ্রহণ বিএনপির সমাবেশে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের নেতৃত্বে ইউট্যাবের নেতাদের মধ্যে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আতাউর রহমান, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক মোস্তাফিজ, অধ্যাপক নওশের, অধ্যাপক আমীর হোসেন প্রমুখ। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইউট্যাবের মহাসচিব ও বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। আমরা আর কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। তা না হলে পেশাজীবী সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।  ড্যাবের অংশগ্রহণ এদিকে শনিবার বিএনপির সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, সহসভাপতি ডা. রফিকুল কবির লাবু, ডা. সিরাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. মেহেদী হাসান, ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, ডা. নিলোফা ইয়াসমিন, ডা. বাসেদুর রহমান সোহেল, ডা. ইব্রাহিম বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  কৃষিবিদদের অংশগ্রহণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে এগ্রিকালচারিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) কৃষিবিদ নেতারা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কৃষিবিদ সানোয়ার আলম প্রমুখ।
২৯ জুন, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী শনাক্তে ডিএমপির কমিটি
রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে অনুসন্ধান কমিটি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানকে এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশে এ কমিটি করা হয়। পরে কমিটিতে পুলিশের অন্য সদস্যদের যুক্ত করা হবে। এর আগে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবিতে স্মারকলিপি দেন আহতরা। এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির বার্তাপ্রধান (হেড অব নিউজ) শাকিল আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সদস্য সচিব মানস ঘোষ, সাংবাদিক নিজামুল হক বিপুলসহ নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওইদিন অন্তত ৩০ সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে দৈনিক কালবেলার নিজস্ব প্রতিবেদক রাফসান জানি বলেন, হামলাকারীরা প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সাংবাদিকদের মারধরের পাশাপাশি তাদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়, ক্যামেরা ভাঙচুর করে। আমরা চাই, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

চিকিৎসা শেষে ফিরলেন বিএনপির সমাবেশে আহত পুলিশ সদস্য
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে হামলায় আহত হয়েছিলেন ডিএমপির নায়েক মো. আব্দুর রাজ্জাক। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন তিনি। আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে ৯ নভেম্বর রাজ্জাককে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত অবস্থায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চলবে তার চিকিৎসা। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত। বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পল্টন এলাকায় হামলায় রাস্তায় পড়ে যান ৫৫ বছর বয়সী আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। তার চিকিৎসার ব্যয় আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার বহন করেন।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিচার দাবি
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আহত সাংবাদিক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নেতারা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়। সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকদের ওপরে নির্বিচারে হামলা হয়েছে; কিন্তু দুই মাসেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এ সময় অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা। হামলার শিকার সাংবাদিকরা বলেন, আমাদের ওপর যারা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে, তাদের ফুটেজ আছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

বিএনপির সমাবেশে হামলা ন্যক্কারজনক চরমোনাই পীর
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ যৌথ হামলা চালিয়ে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়ে অত্যন্ত জঘন্য কাজ করেছে। সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার কেড়ে নিয়েছে সরকার। তল্লাশির নামে সমাবেশে আসার পথে পথে বাধা, নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি, গ্রেপ্তার, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে টালবাহানা এবং অনুমতি দেওয়ার পরও সমাবেশে হামলা চালিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আবারও প্রমাণ করল, তাদের হাতে মানুষের জান-মাল, ইজ্জত কিছুই নিরাপদ নয়। চরমোনাই পীর বলেন, এই হামলা-মামলা-গ্রেপ্তারের ফলে দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ আরও গভীর সংকটে নিপতিত হবে। তিনি পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হাতে হতাহতের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে নিহত পুলিশ সদস্যের খুনিদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করার দাবি জানান। বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, দমন-পীড়ন-নির্যাতনের পথ পরিহার করে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার একগুঁয়েমি মনোভাব পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান তিনি।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

ফখরুল বললেন বিএনপির সমাবেশে হামলা পরিকল্পিত
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র হামলা ও তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার সম্পূর্ণ মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপির সমাবেশে হামলা করিয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদল নেতা শামীম নিহতের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এই বিবৃতি দেন তিনি। এর আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ ও কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় বিএনপির মহাসমাবেশ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে শুরু হওয়া সমাবেশ বিকেল ৫টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মাঝপথেই ইতি টানতে হয় নেতাদের। সমাবেশ শেষের আগে বিকেল ৩টার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হ্যান্ড মাইকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজ রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে দলটি। এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের মহাসমাবেশের লোকসমাগম দেখে ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পণ্ড করতে চায়। আপনারা শান্ত থাকুন, বক্তব্য শুনুন। কারও উসকানিতে পা দেবেন না, দয়া করে বসে যান।’ দুপুর ১টার দিকে সমাবেশ কেন্দ্র করে কাকরাইল মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি বাসে করে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে চাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ ঘটনা ঘিরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। প্রধান বিচারপতির বাসভবন থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এলাকা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়, যা পরে বিজয়নগর, কাকরাইল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, পল্টন, আরামবাগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। নয়াপল্টনের চারপাশ ঘিরে এই সংঘর্ষের পর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শেষে পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা অলিগলি দিয়ে বিভিন্ন পথে চলে যান, যাওয়ার সময় তাদের ছোড়া ইটপাটকেলে পুরো সড়ক ছেয়ে যায়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক যুবদল নেতা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য কাদের গনি চৌধুরী বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ হয়। বেলা ১১টার মধ্যে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক ছাড়াও নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন সড়ক এবং আশপাশের অলিগলিও জনতায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সমাবেশ স্থলের কাছে টিয়ার গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ ছড়াতে শুরু করে। একের পর এক সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। তখন নেতাকর্মীরা এদিক-ওদিক দৌড়াতে থাকেন। অনেকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে যান। এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন পুলিশের দিকে। পুলিশও লাঠিচার্জ করে। পরে সংঘর্ষ মাত্রা ছাড়ালে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। কর্মীরা মঞ্চের মধ্যে ঘিরে রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকে। এ ছাড়া অন্য নেতাকর্মীরা সিনিয়র নেতাদের নিরাপত্তা দিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনেন। ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে গেলে তাদের সমাবেশস্থল ছেড়ে যেতে দেখা যায়। দলীয় কার্যালয়ে না গিয়ে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে কার্যালয় কার্যত ফাঁকা। আর বিকেল ৪টার মধ্যেই পুরো নয়াপল্টন, নাইটিঙ্গেল ও কাকরাইল এলাকা খালি হয়ে যায়। পুরো সড়ক ইটপাটকেলে ছেয়ে যায়। সমাবেশ পণ্ডের আধাঘণ্টা আগে থেকে কাকরাইলে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সংঘর্ষে জড়িতদের পিছু হটতে বাধ্য করে। এ সময় নয়াপল্টনে সমাবেশস্থলে থাকা নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। রাস্তায় বসে নেতাদের বক্তব্য শুনতে থাকা নেতাকর্মীর বড় অংশ দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় মঞ্চ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মাইক নিয়ে তাদের শান্ত হতে বলেন। মির্জা ফখরুল যখন এ আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তখন কাকরাইলের দিক থেকে কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া আসছিল। তবে মহাসমাবেশের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়নি। এ সময় মঞ্চ থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দু-একটা পটকায় ভয় পাবেন না। গুলি হলে হবে।’ এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বক্তব্য দেন। তার বক্তব্যের পর দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। তার বক্তব্যের শেষ দিকে এসে মাইক বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে বক্তব্যে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ জনসভায় গোলাগুলি করছে তারা (সরকার)। এদিকে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ ও সেলিমা রহমানসহ নেতারা কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ার মধ্যে নেমে কর্মী পরিবেষ্টিত অবস্থায় চলে যান। এরপর কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এবং কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ইয়াজ্জেম হোসেন রোমানসহ শতাধিক আহত হন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মাহবুবের রহমান শামীম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, মোস্তাক মিয়া, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, শামা ওবায়েদ, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এস এম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন। মহাসমাবেশে বিএনপির আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুনুর রশিদ, আসাদুজ্জামান রিপন, কায়সার কামাল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম, শিরিন সুলতানা, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের এবং পুলিশের বক্তব্যেরই প্রতিফলন বিএনপির কর্মসূচিতে সশস্ত্র এবং রক্তাক্ত আক্রমণ। বেশ কয়েকদিন ধরে পুলিশের গণগ্রেপ্তার, হামলা, হুমকি-ধমকি এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের লাঠি হাতে বিএনপির মহাসমাবেশ প্রতিহতের ঘোষণারই বাস্তবায়ন হয়েছে আজ (শনিবার)। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে যোগদানে বিরত রাখতে গ্রেপ্তার ও মামলার হিড়িক চালায় সরকার। কিন্তু সেখানে ব্যর্থ হয়ে যখন দেখল সকালেই মহাসমাবেশে মানুষের ঢল নেমেছে, মহাসমাবেশ কাকরাইল ছাড়িয়ে পশ্চিম পাশে কাকরাইল মসজিদ পর্যন্ত ছাড়িয়ে গেছে, তখন পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠি-অস্ত্র নিয়ে বিএনপির লোকদের ওপর হামলা করে। তারা গুলি করতে করতে, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়তে ছুড়তে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশের টিয়ার শেল ও গুলির ঘটনায় মঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতারাও গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ও আহত হন। এ সময় অসংখ্য নেতাকর্মীও আহত হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে মুগদা থানা যুবদল নেতা শামীম নিহত হয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব জানান, শনিবার সকাল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে পুলিশ বিএনপির দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আটকদের মুক্তি, আহতদের সুস্থতা এবং রোববারের হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
২৯ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির সমাবেশে ঢুকতে পারে জামায়াত, নাশকতার আশঙ্কা
বিএনপির শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশে জামায়াত ইসলামী নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের আশঙ্কা, রাজধানী শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে অনুপ্রবেশ করে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারেন দলটির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাতে কালবেলাকে এমনটাই জানিয়েছে তথ্য সংগ্রহ ও মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা সূত্র। সূত্র জানায়, বিএনপির মহাসমাবেশে তাদের লোগো ও শ্লোগানসম্বলিত টি-শার্ট পরে ছোট ছোট দলে যোগ দিতে পারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া রিকশা চালক, বাদাম বিক্রেতা বা অন্য ছদ্মবেশেও তারা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে পারে। এমনকি বিএনপি চাইলেও যেন পরিস্থিতি যেন শান্ত না থাকে সেজন্য ছদ্মবেশীরা দলটির সিনিয়র নেতাদের ওপর আক্রমণ করতে পারে। পাশাপাশি এর দায় সরকারের ওপর চাপিয়েও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এমন আশঙ্কার কথা জানানোর পরপরই নয়াপল্টন এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। কেউ যেন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে কিংবা করার চেষ্টা করলে তাদের শনাক্তের জন্য পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। এমন কিছু নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও একটি বিশেষ টিম রাখা হয়েছে। নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ জামায়াত নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ ও নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কা নিয়ে বিএনপির এক শীর্ষ নেতা জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। সেইসঙ্গে বাইরের কারো এমন অপ্রীতিকর কিছু ঘটানোর আশঙ্কার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।  
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির সমাবেশে রাস্তা বন্ধ করা হবে কি না জানতে চান পিটার হাস
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের সময় সরকার ঢাকার রাস্তা বন্ধ করে দেবে কি না জানতে চাইলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল রোববার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করে এ প্রশ্ন করেন তিনি। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, পিটার হাস বলেছেন, তোমরা আসা-যাওয়া (বিএনপির সমাবেশে) বন্ধ করে দেবে নাকি? আমরা বলেছি, আসা-যাওয়া বন্ধ কেন করব! ঢাকায় তো সবারই প্রয়োজন। রোগীর প্রয়োজন, বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে, সবকিছু তো ঢাকাকেন্দ্রিক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তারা আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমরা কোনো চিন্তাও করছি না। আমরা শুধু এটুকু বলব, তারা যেন কোনো ভায়লেন্সে লিপ্ত না হয়। রাস্তায় চলাচল তারা যেন সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট, আমরা তাকে (পিটার) তা জানিয়ে দিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল—একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূত একটি রাজনৈতিক দলের নির্দিষ্ট কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। এটি কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ভেতরে পড়ে কি না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই প্রশ্ন আমি আপনাদের কাছে করতে চাই। আমার কথা হচ্ছে, তিনি এসেছেন। তিনি একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, আমরা তাকে উত্তর দিয়েছি। এটা করতে পারে কি পারে না, সেটা আমার দেখার বিষয় নয়। সেটা দেখার জন্য আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। তবে এসব ব্যাপারে কিছুটা সংযমী হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পিটার হাস শুধু ২৮ অক্টোবরের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক কিছু নিয়ে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলাপ হয়েছে। তারা কিছু রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন দেশে নিতে চান, আমাদের এসবি ক্লিয়ারেন্স দেরি হয়। আমরা আশ্বস্ত করেছি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে ব্যবস্থা করব। এ ছাড়া পূজা নিয়ে আলাপ হয়েছে এবং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত। ঢাকায় ওইদিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা হলো এটুকু, আমরা ঢাকা শহর অচল হতে দেব না। তিনি বলেন, কর্মসূচি যদি তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে, তবে আমাদের কিছু বলার নেই। যদি ১০ লাখ লোক বা আরও বেশি ঢাকা শহরে ঢোকে, তাহলে তো যোগাযোগ ব্যবস্থা মিসম্যাচ হয়ে যাবে। এগুলো যাতে তারা না করে, সেটার জন্য আমরা অনুরোধ করব। দূতাবাসের প্রত্যাখ্যান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকে ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাস্তা বন্ধ হওয়া নিয়ে আলোচনার তথ্য প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। গতকাল রাতে দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বৈঠকে ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাস্তা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে হস্তক্ষেপবিহীন অংশগ্রহণের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রদূত হাস।’
২৩ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির সমাবেশে যাওয়া ১৫টি বাস আটকের অভিযোগ
সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ধামরাই উপজেলার ইসলামপুরে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসব চেকপোস্টে বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের তল্লাশি চালিয়েছে। নেতাকর্মীদের বহনকারী পরিবহন আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, বুধবার (১৮ অক্টোবর) ধামরাইয়ের ইসলামপুরে বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ, সাটুরিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে অংশ নেওয়ার উদ্দেশে যাওয়া ১৫টি বাস আটকে দিয়েছে পুলিশ। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম বলেন, সমাবেশে অংশ নিতে আমাদের নেতাকর্মীদের বহনকারী ১৫টি বাস আটকে দিয়েছে পুলিশ। প্রতিটি বাসে ৪০-৫০ জন ছিল। তারা কেউ এখনো ফেরেনি। পুলিশের এ হয়রানির তীব্র নিন্দা জানাই। ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ঢাকায় সমাবেশে যোগদান করতে যাওয়ার সময় বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাধা দেয়। আমরা যে গাড়িতে যাচ্ছিলাম সে গাড়িগুলো আটকে দিয়েছে। সমাবেশে যাওয়ার সময় ধামরাই থেকে আমাদের কোনো নেতাকর্মীকে আটক করেছে কিনা সে তথ্য আমার কাছে নেই। তবে রাতে আমাদের বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস বলেন, ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের আটক করা হয়নি। রাতে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়াও মামলার তদন্তে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধামরাইয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস আটক করার অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি  হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, কোনো দলীয় নেতাকর্মীদের বহনকারী বাস উদ্দেশ্যমূলকভাবে আটক করা হয়েছে এটি সত্য নয়। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা বিভিন্ন সময়ে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে যদি কোনো গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকে সেগুলো আটক করা হয়ে থাকতে পারে।
১৮ অক্টোবর, ২০২৩
X