বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে বিইআরসি
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন। জ্বালানি খাতে প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, ট্যারিফ নির্ণয়ে স্বচ্ছতা আনা, বেসরকারি বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি এবং ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ন্যায্য অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়পরায়ণতা প্রতিষ্ঠায় কমিশন অঙ্গীকারবদ্ধ। সম্প্রতি দৈনিক কালবেলার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে যেসব অভিযোগ আসে তার বেশিরভাগই অবৈধ সংযোগ, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল, মিটার টেম্পারিং, ন্যূনতম বিল আরোপ, বকেয়া বিলের কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ইভিসি মিটারে বিল না করা ইত্যাদি। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত বিরোধ নিষ্পত্তি আবেদন ৮৩টির বিপরীতে আগের বকেয়াসহ ৯৩টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছে—যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৭০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার সমান। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমিশন ১০২টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত বিরোধ ৩৮টি, গ্যাস (শিল্প ও বাণিজ্য) সংক্রান্ত বিরোধ ৫১টি এবং গ্যাস (সিএনজি) সংক্রান্ত বিরোধ ১৩টি। কমিশন সূচনালগ্ন থেকেই নিয়মিত উন্মুক্ত সভা ও গণশুনানির মাধ্যমে যৌক্তিক ট্যারিফ নির্ধারণ, গ্রাহক হয়রানি রোধ, প্রি-পেইড ও ইভিসি মিটার স্থাপন, মোবাইল বিলিং পদ্ধতি, অনলাইন গ্রাহক সেবা, বার্ষিক বিল পরিশোধ প্রত্যয়ন চালুসহ অসাধু এবং একচেটিয়া ব্যবসা সম্পর্কিত বিরোধের উপর্যুক্ত প্রতিকার নিশ্চিত করতে কাজ করে আসছে। তিনি আরও জানান, কমিশন তার নিজস্ব আয় দ্বারা পরিচালিত হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমিশনের আয় হয় ৫৭ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা। এ অর্থ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খরচ দিয়েও সরকারি কোষাগারে ১২ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়। বিইআরসি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩-এর ৬ ধারা অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান (সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি পদমর্যাদায়) এবং চার সদস্যের (হাইকোর্টের বিচারপতি পদমর্যাদায়) সমন্বয়ে এ কমিশন গঠন করা হয়।
০৯ নভেম্বর, ২০২৩

বাড়ল এলপিজির দাম / ডিস্ট্রিবিউটরদের লাইসেন্স দেবে বিইআরসি
ভোক্তাপর্যায়ে বোতলজাত গ্যাস বা এলপিজির দাম আবারও বেড়েছে। আগস্ট মাসের চেয়ে সেপ্টেম্বরে কেজিপ্রতি বেড়েছে ১২ টাকা। এ হিসাবে ১২ কেজি বোতলজাত গ্যাসের দাম রাখা হয়েছে ১ হাজার ২৮৪ টাকা। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ঘোষিত দর অনুযায়ী বাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে অপারেটরদের পর এবার ডিস্ট্রিবিউটর বা পাইকারি বিক্রেতাদেরও লাইসেন্সের আওতায় আনা হচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিইআরসির হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে সেপ্টেম্বরের জন্য নতুন দাম ঘোষণা করেন চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান ও বিইআরসি সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান। সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন বলেন, দেশে এলপিজির কোনো ঘাটতি নেই। তবে ডলার সংকটের কারণে আমদানি কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে গত ২৯ আগস্ট আমরা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেছি। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক দেখবে বলে আমাদের জানিয়েছে। বিইআরসি ঘোষিত দামে বাজারে এলপিজি বিক্রি হচ্ছে না, এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে নূরুল আমিন বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ঘোষিত দামেই বিক্রি হচ্ছে, শুধু ঢাকাতেই এ সমস্যা। এজন্য নিয়মিত অভিযানও পরিচালনা করছি। বাজার মনিটরিং করছি। তিনি জানান, দাম নিয়ন্ত্রণে ডিস্ট্রিবিউটরদের লাইসেন্সের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এলপিজির পাশাপাশি অটো গ্যাস প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮ দশমিক ৮৭ টাকা। গত আগস্ট মাসে ১২ কেজির দাম ছিল ১ হাজার ১৪০ টাকা, আর অটো গ্যাসের দাম ছিল প্রতি লিটার ৫২ দশমিক ১৭ টাকা। জুলাই মাসে ছিল সবচেয়ে কম দর, প্রতি লিটারে দাম ছিল ৪৬ দশমিক ৪৯ টাকা। আর ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X