আফ্রিকায় বাণিজ্য প্রসারে মিশর হতে পারে গেটওয়ে
বাংলাদেশ থেকে কাঁচা চামড়া আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে মিশর। এ ছাড়া দেশটির পাটশিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশের পাটশিল্পের অতীত অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একসঙ্গে কাজ করতে চায় মিশর। আফ্রিকায় বাণিজ্য প্রসারে মিশর হতে পারে গেটওয়ে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহিম এলদিন আহমেদ ফাহমি। এ সময় এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত। বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা উল্লেখ করে জানান, বিশ্বের ২৬টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। বিনিয়োগ হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আসিয়ান দেশগুলোর বাজার সুবিধা এ দেশ থেকে ব্যবহার করা যাবে। বিনিয়োগে আগ্রহী মিশরের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ দেশে এলে বিনিয়োগ সুযোগ আরও বাড়বে। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরগুলোর বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলডিসি উত্তরণে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সেবা সহজ করতে ডিজিটাইজেশন বাড়াতে হবে। দপ্তরগুলোর মধ্যে সম্পর্ক আরও সহজ করতে কাজ করতে হবে। এ সময় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান আহমেদ মুনিরুস সালেহীন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, অতি. সচিব নাভিদ শফিউল্লাহ, অতি. সচিব নাহিদা আফরোজ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরগুলোর প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে ৮২ দেশের বাণিজ্য ঘাটতি
বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ১৫ হাজার ২৩৯ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, চীন, ভারত, সিঙ্গাপুর, উগান্ডাসহ ৮২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। ঘাটতি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সংসদে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব—এই নীতি অনুসরণ করে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান রেখেছে। বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ এই দেশগুলো থেকে আমদানি হয় বেশি, রপ্তানি হয় কম। সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা এবং বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার্থে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও লেনদেন ভারসাম্য রক্ষা এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। আরেক সংসদ সদস্য আবুল কালামের এক প্রশ্নের জবাবে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বর্তমানে সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ছাড়া আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ১ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন, ভুটানের সঙ্গে ১৪ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন, ভারতের সঙ্গে ৭১৬০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন, পাকিস্তানের সঙ্গে ৬১৪ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে নেপালের সঙ্গে ৪১ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ৯ দশমিক ০৭ ও মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্যে দশমিক ১৪ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে। দেশে তৈরি পোশাকখাতে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ শ্রমিক: দেশে তৈরি পোশাকখাতে ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ শ্রমিক রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এর মধ্যে ৫২ দশমিক ২৮ শতাংশই নারী। রোববার জাতীয় সংসদে ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছর ৪৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এদিকে সরকারি দলের মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, একযুগের মধ্যে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
২৪ জুন, ২০২৪

সিলেটে আলোচিত হকার রকিবের বেপরোয়া বাণিজ্য
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের নাম বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আলোচিত চাঁদাবাজ রকিব আলী ও তার বাহিনীর সদস্যরা। লালদীঘিপাড়ের মাঠে গড়ে উঠেছে রকিব বাহিনীর ত্রাসের রাজত্ব। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলার সাহস পায়নি। এই চক্রে রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান রুমন নামের এ চাঁদাবাজ। ফলে এই চক্রের সদস্যরা বেপরোয়া। এই চক্রটি মানুষকে মরা গরু পর্যন্ত খাওয়াচ্ছে। কিন্তু কেউ কোনো প্রতিবাদ করছে না। সম্প্রতি লালদীঘির পারের মাঠে জবাই করার জন্য একটি গরু বেঁধে রাখেন রকিব। পরে ডিপ টিউবওয়েলের বিদ্যুতের তারে লেগে গরুটির মৃত্যু হয়। এরপর রকিবকে খবর দেওয়া হলে সে এসে গরুটি জীবিত বলে কেটে মাংসগুলো বিক্রি করে দেয়। এ বিষয় নিয়ে লালদীঘির পারের মাঠে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তবে রকিব আলীর দাবি তিনি জীবিত গরু জবাই করে বিক্রি করেছেন। গরুটি মরার আগেই জবাই করা হয়। কিন্তু ডিপ টিউবওয়েলের ঠিকাদারের কাছ ৮০ হাজার টাকা গরু বাবদ জরিমানা আদায় করেন। ঠিকাদার বাধ্য হয়ে রকিব আলীকে ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। হকার ব্যবসায়ীরা জানান, সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে পরিচিত হয় রকিব। এরপর হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন মেয়র। সেই সুবাদে হকার ব্যবসায়ীরা একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটির সভাপতি দেওয়া হয় রকিব আলীকে। তারই নেতৃত্বে শুরু হয় হকার পুনর্বাসনের কার্যক্রম। সেই কার্যক্রমকে পুঁজি করে রকিব তার আশীর্বাদপুষ্টদের নিয়ে মাঠে দোকান কোঠা দখল করা শুরু করে। একেক জনের নামে ৫-৬টি দোকান বরাদ্দ করেন। শুরু করেন মাছ ও সবজি ব্যবসায়ীদের কাছে দোকান বিক্রি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদও করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোনো প্রতিবাদ কাজে আসেনি। রকিব আলী মেয়রের নাম ভাঙিয়ে এবং মাটি ভরাটের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তবে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানান, টাকা তোলার পারমিশন কাউকে দেওয়া হয়নি। ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করে মাটি ভরাট থেকে শুরু করে সবই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। কেউ টাকা তোলার কথা না। প্রমাণ থাকলে আপনারা তার বিরুদ্ধে লেখুন। রকিব আলীর এসব কাজে জড়িত রয়েছেন সিটি করপোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারী। যার ফলে সে কোনো কিছু তোয়াক্কা করছে না। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ যাদের কখনো ফুটপাতে ব্যবসা করতে দেখা যায়নি তাদের কাছে টাকার বিনিময় দোকান বিক্রি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন ব্যাংকে চাকরি করেন তাকে দেওয়া হয়েছে চারটি দোকান। কিন্তু প্রকৃত হকারেরা একটি দোকানও পাচ্ছে না। সবজি ও মাছওয়ালাদের মাঠে ভিতরে বসানোর কথা থাকলেও রকিব বাণিজ্যের জন্য এদের সামনে বসিয়েছে। এজন্যই বিপাকে পড়েছেন কাপড়ের ব্যবসয়ীরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, হকারমুক্ত হয়েছে সিলেটের ফুটপাত। হকারদের ঠিকানা হয়েছে লালদীঘির পারের মাঠে। সেখানে গড়ে দেওয়া হয় প্রায় ৭০০ দোকান। শুরু থেকেই হকাররা লালদীঘির পারের মাঠে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে সিটি করপোরেশনের সহযোগিতার কারণে একসময় নিজেদের সেখানে মানিয়ে নেন তারা। লালদিঘীর পারেই গড়ে তুলেন নিজেদের নতুন ভুবন। নতুন করে স্বপ্ন দেখতে থাকেন তারা। তবে তাদের সে স্বপ্নে হানা দিয়েছেন তাদেরই এক নেতা। সিলেট মহানগর হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রকিব আলীই তাদের সে দুঃস্বপ্নের নাম। লালদিঘীরপাড়ে এখন কেবল তারই রাজত্ব। সাধারণ হকাররা কিছু বলতেও পারেন না, সইতেও পারেন না। হকার পুনর্বাসনের পর প্রশংসায় ভাসছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামা চৌধুরী। হকারদের ব্যবসার জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছিল সিসিক। তবুও শান্তিতে নেই হকার ব্যবসায়ীরা। সিসিক থেকে হকারদের কাছ থেকে কোনো জামানত বা ভাড়া নেওয়ার কথা না থাকলেও দোকান দেওয়ার কথা বলে হকারপ্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে নিচ্ছেন রকিব আলী। কিন্তু টাকা নেওয়ার পর দোকান ‘বিক্রি’ করছেন অন্য জনের কাছে। কেউ কিছু বলতে পারছেন না। রকিব আলী নিজেকে পরিচয় দেন মেয়রের ‘আপন’ মানুষ হিসেবে। তার কথামতো না চললে ভয়-ভীতিও দেখান। সাধারণ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, লালদীঘিরপাড়ে ফুটপাতের মত ব্যবসা হয় না। তারপরও মেয়রের কথা শুনে ও নগরের সৌন্দর্যের কথা মাথায় রেখে তারা এখানে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানে তাদের জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ে বাধা হয়ে টিকতে দাঁড়িয়েছেন রকিব আলী। না পেরে কেউ কেউ আবার চলে এসেছেন রাস্তায়। এমনই এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ফরহাদ বললেন, আমরা হকার মার্কেটে দোকানের জন্য জন্য টাকা দিয়েছি। আমার নাম বায়ান্ন নম্বরে উঠেছে। আমি ভিতরে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার পর গিয়ে দেখি দোকান নাই। আমার জায়গা আরেক জনকে দিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা পেটের দায়ে আবার রাস্তায় বের হয়েছি। আরেক ব্যবসায়ী জানান, আমি ত্রিশ নম্বরে জায়গা পেয়েছিলাম। ঘর তোল জন্য টাকাও দিয়েছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমার জায়গা অন্যজনকে দিয়ে দিয়েছে। এজন্য এখন আমি রাস্তায় দোকান দিচ্ছি। সিলেট মহানগর হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি আতাউর রহমান বলেন, আমরা মাঠে আসার পর আমাদের কারো কোনো পুঁজি ছিল না। আমরা সভাপতি (রকিব আলী) কে মেয়রের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি কিন্তু তিনি নানান বাহানা করে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মেয়র পর্যন্ত আমাদের কাউকে পোঁছাতে দেয়নি। আমাদের মিটিংগুলোতে আমরা জোড়ালো দাবি করেছি আমরা আমাদের সুখ- দুঃখের কথা মেয়রের কাছে তুলে ধরবে। কিন্তু তিনি কোনো উদ্যোগ নেননি। সিলেট মহানগর হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন ইসলাম বলেন, সিলেট জেলা পরিষদে মেয়রের সঙ্গে আমরা একবার মিটিং করেছিলাম। তারপর আর আমরা মেয়রের দেখা পাইনি। আমরা নগরীর জনগণের স্বার্থে আমরা ফুটপাত ছেড়ে লালদীঘিরপার মার্কেটে গিয়েছিলাম। আমরা ও চাই রাষ্ট্রীয় যানজন না থাকুক। ফুটপাত সুন্দর থাকুক এখানে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যান সভাপতি। আমি যখন দেখলাম কাজে ও কথায় মিল নাই তখন আমি আর একাত্মতা পোষণ না করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবাদ করি। তিনি আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করেন। এখানে যতগুলো কাপড়ের দোকান আছে তারা তাদের নিজ দায়িত্বে নিজেদের টাকা ব্যয় করে দোকান তৈরি করেছেন। এই দোকান কোঠা ভাড়ার বিষয়ে আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জানি না। কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে দোকান কোঠা। দোকান কোঠার জন্য টাকা নিয়ে অন্য জনকে দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সভাপতি রকিব আলী বলেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা। এখানে এখনো ছয় থেকে সাতশ হকার আছে। টাকা নিয়ে টিনশেড করে ঘর বানাচ্ছি, মাটি ভরাট করে দিচ্ছি, লাইটিং করছি। প্রত্যেকটি দোকান তৈরি করতে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। তারা সেই টাকাটা আমাকে কিছু কিছু করে টাকা দিচ্ছে। যারা অভিযোগ করছেন তারা মূলত বাইরের ব্যবসায়ী। এরকম হবে তারা চিন্তা করেনি। কিছু নেতাকর্মী আছে ব্যবসায়ীদের বুদ্ধি দিচ্ছেন বাইরে গেলে আবার ব্যবসা হবে। রকিব আলী আমাদের ঠকাচ্ছে, বদনাম করছে। সভাপতি রকিব আলীর টাকা নেওয়ার বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, টাকা তোলার পারমিশন কাউকে দেওয়া হয়নি। ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করে মাটি ভরাট থেকে শুরু করে সবই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। কেউ টাকা তোলার কথা না। আমরা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। রকিবকে জিজ্ঞেস করেছি, সে টাকার নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। আমরা প্রতি হকারের দোকানদারদের ফ্রিতে ইলেকট্রিক মিটার দিচ্ছি। আমার বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তদন্তের জন্য সিআরওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
০৮ জুন, ২০২৪

বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে : প্রতিমন্ত্রী
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসের পর থেকে এখনো তেল-চিনির দাম ভারসাম্য অবস্থায় আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে।  শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কাজ চলছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ সরকারি কর্মকর্তারা। এর আগে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত এই বাজেট অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এ বাজেটের প্রতিপাদ্য ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার।’ দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
০৭ জুন, ২০২৪

ভাঙারি ব্যবসার আড়ালে চোরাই মালের জমজমাট বাণিজ্য
নরসিংদীতে ভাঙারি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে চোরাই মালের জমজমাট বাণিজ্য চলছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এসব ব্যবসার ওপর কোনো নজরদারি নেই প্রশাসনের। এসব ভাঙারি ব্যবসার পালিত চোরেরা রাতের আঁধারে গ্যাসের রাইজার, বাসা বাড়ির বৈদ্যুতিক সার্ভিস লাইনের তার, বিভিন্ন বন্ধ ফ্যাক্টরির মালামাল, বাড়ির পানির টিউবওয়েল, টিউবওয়ের মাথা-হাতল, বাড়ির ভাঙা টিন, বাড়ি নির্মাণসামগ্রী ও বাড়ির সামনে থাকা পরিত্যক্ত আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘরের গৃহিণীরা ঘরের উঠোনে কিংবা বাড়ির আঙিনায় হাঁড়ি-পাতিল রাখলেও সেগুলোও নিয়ে যাচ্ছে চোর চক্র। সন্ধ্যার পর থেকেই ভাঙারির দোকানগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত এইসব চোরাই মাল কেটে টুকরা টুকরা করে অন্যসব সরঞ্জামের সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়। ফলে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চোরাই মালামাল বিক্রি হচ্ছে নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলার ভাঙারির দোকানগুলোতে।  জানা যায়, নরসিংদী পৌর শহরের আনাচে কানাচে, অলি-গলিসহ নরসিংদীর ৬টি উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নসহ হাটবাজারগুলোর পাশে গড়ে উঠেছে হাজারো ভাঙারি মালামাল কেনা-বেচার দোকান। এর মধ্যে নরসিংদী শহরের বিলাসদী এলাকায় (আল্লাহু চত্বর) আধা কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ৩০টিরও বেশি ভাঙারি দোকান। এসব ভাঙারি দোকানিদের সহযোগিতায় এলাকাভিত্তিক গড়ে উঠেছে একাধিক ছোট বড় চোরের দল। এই চোরের দলগুলো বিভিন্ন এলাকা থেকে লোহার যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক মোটর, তার, দরজা-জানলার গ্রিল, টিউবওয়েল, টিন, হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ চুরি করে দোকানিদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে। এ ছাড়া বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন কারখানা সংস্কার কাজের জন্য রাখা রড, বিভিন্ন বন্ধ ফ্যাক্টরির মালামালসহ লোহা দ্রব্যাদি চুরি হয়ে যাওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এমনই এক অভিযোগ করেছে শিবপুর উপজেলার গোবিন্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ‘ইয়াশা নিটওয়ার লি.’ নামীয় একটি কোম্পানি। এ কোম্পানি থেকে চোর চক্রটি বৈদ্যুতিক তার, বৈদ্যুতিক মোটর, ৩০টি ২০ ফিট লম্বা লোহার পাইপ, জেনারেটর বোর্ড, প্যানেল বোর্ড চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে কোম্পানির পক্ষ থেকে মো. সাগর মিয়া বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন চোর চক্রের সদস্য জুবায়ের মিয়া, জীবন মিয়া ও জুয়েল মিয়া। জুবায়ের মিয়া জানান, চুরিকৃত মালামাল জেলার সদরে বিলাসদী আল্লাহু চত্বরে লিটনের ভাঙারি দোকানে নিয়ে মালামাল বিক্রি করে। তারা বিভিন্ন এলাকায় চুরিকৃত মালামাল ভাঙারি দোকানে বিক্রি করে থাকেন। জুবায়ের ও তার দুই সহযোগী জীবন মিয়া ও জুয়ের মিয়া ‘ইয়াশা নিটওয়ার লি.’-এর মালামাল চুরি করে নিয়ে লিটনের ভাঙারি দোকানে বিক্রি করেছে। নরসিংদী পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক আশ্রাফুল ইসলাম ভূঞা বলেন, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ভাঙারির দোকানের নামে কোন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয় না। নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুরাতন মালালের আড়ালে চুরির মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে, সবাই না। যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া আমাদের নিয়মিত একটা নজরধারী আছে, যতটুকু সম্ভব আমরা নজরধারীতেই রাখছি। যদি কোনো অভিযোগ পেলে যাচাইবাছাই করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইয়াশা নিটওয়ার লি. কোম্পানিতে চুরির ঘটনায় শিবপুর থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে একজন এবং যে দোকানে বিক্রি করেছে সে ভাঙারি দোকানে অভিযান চালিয়ে আরও দুজনসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়। বাকি মালামাল উদ্ধারসহ সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
০৪ জুন, ২০২৪

কোরবানির গরুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ
সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা। এর আগেই কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার।  সোমবার (৩ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক’ সভা শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের কোরবানির ঈদে প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতি পিচ চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতি পিচ গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ঢাকার বাহিরে ১ হাজার টাকা। ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। আর এবার ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। অন্যদিকে এবারের ঈদে খাসির চামড়ার ক্রয়মূল‍্য প্রতি বর্গফুট ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়ার ক্রয়মূল‍্য ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
০৩ জুন, ২০২৪

দেশে সাড়ে চার মাসের রিজার্ভ আছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
টাঙ্গাইলে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আইএমএফের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের তিন মাসের আমদানির পরিমাণ রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। কিন্তু আমাদের এখনো সাড়ে চার মাসের রিজার্ভ আছে। শনিবার (০১ জুন) বিকেলে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ১০ দিনব্যাপী বিসিক উদ্যোক্তা মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক চাপ মানে আমরা বলতে চাচ্ছি, আমাদের যারা প্রবাসী ভাইয়েরা আছে তারা যদি বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠায়, আমাদের রপ্তানি আয়টা যদি আরেকটু বাড়ে তাহলে আমরা আস্তে আস্তে চাপ থেকে মুক্ত হতে পারব। সবচেয়ে বড় কথা বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমাদের যে আমদানি রপ্তানির গ্যাপ রয়েছে, এই গ্যাপ ফুলফিল করার জন্য আমাদের বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগ দরকার। আমরা অনেক দেশ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। ওই বিনিয়োগগুলো চলে আসলে আমরা অনেকটা চাপমুক্তভাবে আগের মতো করে আমদানি-রপ্তানি করতে পারব। প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন, বিশ্বের ৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে আলুর দাম কম। এ ছাড়াও আসন্ন ঈদে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এর আগে বেলুন উড়িয়ে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিসিকের উদ্যোগে মেলার উদ্বোধন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। পরে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখে তিনি।  বরেণ্য অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন। জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, আঞ্চলিক কার্যালয় বিসিক পরিচালক ও উপসচিব ড. মো. আলমগীর হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি ও টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।  এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল বিসিক সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহনাছ বেগম। মেলায় ৫৪টি স্টল অংশ নিয়েছে।
০১ জুন, ২০২৪

অর্থনৈতিক চাপ আছে, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশকে নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘সামনের সময় আরও চ্যালেঞ্জের। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বন্ধ হয়নি। দেশের অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা প্রয়োজন।’ শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারের নিজ বাসভবনে দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আহসান ইসলাম টিটু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। অনেকের মধ্যে কিছু ক্ষত থাকে। এগুলো সহ্য করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। দল হলো আমার প্রধান শক্তি। আমাদের মূল বাধা অতিক্রম করতে হলে দলকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে।’ দেলদুয়ার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সামনে বৃষ্টি, বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। শেখ হাসিনার নির্দেশ মেলে চলবেন। উন্নয়ন জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাজ। জনগণের কাছে যেতে হবে বারবার, কিন্তু জয় জনগণের ভোটের মাধ্যমেই হয়, জনগণের রায়ে হয়। সেই রায় মেনে আমাদের রাজনীতি করতে হবে, শিক্ষা নিতে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে।’ টিটু আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল নির্বাচন উৎসবমুখর করার। যারা নেত্রীর কথায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের অভিনন্দন। সামনে অনেক কাজ। যারা জয়ী হয়েছে তাদের এখন দায়িত্ব উপজেলার সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে দেলদুয়ারকে একটা উন্নয়নের রোল মডেল করা। আমার তরফ থেকে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব পাশে থাকার। পাথরাইলে আমরা একটা পৌরসভা করব। কাগজপত্র মন্ত্রীর কাছে গেছে। যত দ্রুত সম্ভব পৌরসভার ডিক্লারেশন পাব।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে ভোটার আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দুর্বল জায়গাগুলো শক্তিশালী করতে হবে। আমি কোনো প্রতিহিংসা দেখতে চাই না। দলের ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। মনে রাখতে হবে– আওয়ামী লীগে যারা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক, তারা বারবার পরীক্ষা দিই। পরীক্ষা দিয়ে পাস না করলেও আবার পরীক্ষা দেওয়া লাগে। এই পরীক্ষার মধ্য দিয়েই যেতে হবে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার ফজলুল হক, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মারুফ, ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বিদ্যুৎ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাহিদা সুলতানা পলি ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
৩১ মে, ২০২৪

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে চায় অস্ট্রেলিয়া 
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্স। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।  সহকারী মন্ত্রী টিম আয়ার্স বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্যবিষয়ক প্রতিনিধিদলের সফরের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ক্যানবেরাস্থ অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট হাউসে সহকারী মন্ত্রী সিনেটর টিম আয়ার্সের অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে এফবিসিসিআইয়ের ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়া সফর করছেন। গত ২৯ জুলাই বাংলাদেশ হাইকমিশন ও সিডনিস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সহযোগিতায় এফবিসিসিআই বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদারকরণ শীর্ষক একটি সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী। তিনি অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে দু’দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের আরও একটি মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বাজার আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য কতিপয় সম্ভাবনাময় খাত যেমন : পাট ও পাটজাতদ্রব্য, চামড়া, গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিক শিল্পকে তুলে ধরা হয়। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. যশোদা জীবন দেবনাথ ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. আলমগীর দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে উভয় দেশের যৌথ উদ্যোগ ও অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ওই সেমিনারে নিউসাইথ ওয়েলসের ক্ষুদ্রশিল্প ও বহুসংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী স্টিফেন ক্যাম্পার এমপি, শিল্পবিষয়কমন্ত্রী সফি কটসিস এমপি, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগের দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় সহকারী সচিব ব্রুস সত্তর, অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাহী, বিভিন্ন চেম্বার্স, অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য সংগঠন, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ মোট ১২০ জন উপস্থিত ছিলেন। এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদল গত ২৮ মে ক্যানবেরায় অস্ট্রেডের প্রধান নির্বাহী, ক্যানবেরার বিজনেস চেম্বারস, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি জর্জ মিনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া তারা সিডনিতে বিজনেস নিউ সাউথ ওয়েলসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
৩০ মে, ২০২৪

‘সরকারি অফিসে পয়সা না দিলে চলে?’
উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বরাদ্দের ডিও ছাড় দিতে ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা উপখাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।  ঘুষ বাণিজ্যের কারণে চাল তুলতে হিমশিম খাচ্ছে ডিলাররা কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ মুখ না খুললেও ওই পরিদর্শকের ঘুষ বাণিজ্যের একটা ভিডিও ফুটেজ চলে আসে কালবেলা প্রতিনিধির হাতে। ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে অভিযুক্তের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডিলার জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ডিও নিতে ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়। ডিলারশিপ নিয়ে আমরা বিপাকে আছি।  অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা উপখাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি অফিসে আমাদের পয়সা না দিলে অফিস চলে? এটা তো সিস্টেমে চলে সব জায়গায়। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কমল গোপাল দে জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ঐ পরিদর্শককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।  জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৮ মে, ২০২৪
X