বর্ষা এলেই মকিমপুর বিল হয়ে ওঠে ‘মিনি কক্সবাজার’
বর্ষাকাল এলেই কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মকিমপুর পশ্চিম বিল হয়ে ওঠে মিনি কক্সবাজার। বর্ষার সময় এ বিল পানিতে টইটুম্বর হয়ে যায়। সূর্যের আলোয় চিকচিক করে থইথই জলরাশি। সন্ধ্যার আগে যখন সূর্য ডোবে তখন মনে হয় যেন বিলের বিশাল জলরাশিতে সূর্য লুকাচ্ছে। এ দৃশ্য যেন মন ভরিয়ে দেয়। এসব মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই এ বিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন নানা বয়সী দর্শনার্থী। বিল ঘেঁষেই পশ্চিমে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানা ও উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা আর পূর্বে ও দক্ষিণে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা। তিন উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানটির নামই মকিমপুর পশ্চিম বিল। বিলের মধ্যখান দিয়ে বয়ে গেছে বুড়ি নদী। বর্ষার শুরু থেকেই এ বিল পানিতে টইটুম্বুর হয়ে ওঠে।  এতে এ বিলের পরিবেশ হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর করতে বিলে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসু অনেকে। যে কারণে স্থানীয়রা এ বিলের নাম দিয়েছেন মিনি কক্সবাজার। চতুর্দিকের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আর দর্শনার্থীদের ভিড়ে বিলে বর্ষার প্রতিটি বিকেল যেন মোহনীয় হয়ে ওঠে। তবে শুষ্ক মৌসুমে এ বিল থাকে সবুজ ফসলে একাকার।    সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মকিমপুর এলাকায় অবস্থিত মিনি কক্সবাজার খ্যাত মকিমপুর পশ্চিম বিলে বর্ষার শুরুতেই জমতে শুরু করেছে পানি। সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মকিমপুর পশ্চিম বিল। নৌকা করে কেউ কেউ ঘুরছেন বিশাল জলরাশির ঢেউয়ের ওপর।  তাদের কেউ তুলছেন সেলফি, আবার কেউ ব্যস্ত প্রিয়জনদের ছবি তোলায়। বিলের মনোহর সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শানার্থীরা। উঠতি বয়সী কিশোররা বিলের অথৈজলে কাটছেন সাঁতার। জলরাশির মাঝখান দিয়ে বয়ে সড়কের ওপর মোটরসাইকেল চালিয়ে উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে তরুণদের।  সপরিবারে ঘুরতে আসা মাইনুল ইসলাম মিঠু কালবেলাকে বলেন, বর্ষার সময় বিলের পরিবেশটা চমৎকার হয়ে ওঠে। প্রায়ই এখানে ঘুরতে আসি। ঈদ উপলক্ষে এবার এসেছি সপরিবারে। দিনের অন্যান্য সময়ের মধ্যে বিকেলবেলা বিলের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। এখানকার বাতাসটাও বেশ ভালো লাগে। বিলটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই এখানে ঘুরতে আসছেন।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা থেকে আসা সাইফা নূর যুথি কালবেলাকে বলেন, বর্ষা এলেই ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়ে মুকিমপুর বিল পর্যটন এলাকায় রূপ নেয়। বাতাস আর মনমাতানো পরিবেশ দর্শনার্থীদের মন ভরিয়ে দেয়। আমরা কয়েকজন বান্ধবী মিলে ঘুরতে এসেছি। এখানে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগছে।  স্থানীয় বাসিন্দা মশিউল আলম রাতুল বলেন, বর্ষা মৌসুমে এ বিলে প্রতিদিন অনেক মানুষ ঘুরতে আসেন। বর্ষার সময় বিলে পানি জমে বিলের পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকেও লোকজন এখানে ঘুরতে আসছেন। নানা বয়সী মানুষের পদচারণায় প্রতিদিন বিকেলবেলা বিল এলাকা উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ কারণেই স্থানীয় লোকজন এর নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার।  মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, প্রতিবছরই বর্ষাকালে মকিমপুরের ওই পশ্চিম বিলটি থইথই পানির কারণে বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। স্থানীয়রাসহ দূরদূরান্ত থেকে এ বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন অনেকে। দর্শনার্থীদের যেন কোনোরকম সমস্যা না হয় সে দিকে স্থানীয় প্রশাসন সতর্ক আছে।
২৪ জুন, ২০২৪

বর্ষা গেল, বর্ষা এল তবু ব্রিজ হলো না
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বছর পেরিয়ে গেলেও সংস্কার হয়নি ভেঙে পড়া ব্রিজের। গত বছর পানির তীব্র স্রোতে ব্রিজটি ভেঙে যায়। তখন থেকে যান চলাচল ও যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার গ্রামের তেতুলতলা থেকে দূর্গাপুরগামী সড়কে ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে পথচারীসহ ওই এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কারণ হলেও নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পূর্বে  ব্রিজটি নির্মিত হয়। এর পর থেকে ব্রিজটির কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। এ ব্রিজের উপর দিয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাকারা, কামাল খামার, সাদিরগ্রাম, দালালি পাড়া, জানজায়গির ও দুর্গাপুর বাজার এলাকাসহ আশপাশের ৬ থেকে ৭টি গ্রামের প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়া এ ব্রিজের ওপর দিয়ে বিভিন্ন এলাকার পথচারী, রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, মিশুকসহ অনেক যানবাহন চলাচল করে। গত বছর মার্চে বুড়ি তিস্তা নদীর খননকাজ শুরু হলে বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতের কারণে ব্রিজটির একাংশ ভেঙে পড়ে। পরে স্থানীয়রা অস্থায়ী ভিত্তিতে ব্রিজের সঙ্গে জোড়া দিয়ে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করে পথচারীদের চলাচলের ব্যবস্থা করে দেন। তৈরি করা সাঁকো দিয়ে যানবাহন পারাপার করতে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটছে। এলাকাবাসী মোসলেম উদ্দিন (৭০), মোফাচ্ছেল মিয়া (৪২), বাবলু মিয়া (৪০), বিপ্লব সরকার (৩৮), নুরনবী (৪২), মোসলেম (৩২) ও আলাউদ্দিন (৫০) সহ আরও অনেকে বলেন, পাকিস্তান আমলের তৈরি ব্রিজটি অদ্যাবধি কোন সংস্কার হয়নি। গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে পানির স্রোতে ব্রিজটি ভেঙে যায়। এতে আমরা এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছি। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জানানোর পড়েও পাইনি কোন প্রতিকার। প্রায় প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকে হচ্ছেন ক্ষতির শিকার। এতে নিত্যদিনে ঘটছে দুর্ঘটনা। দূর্ঘটনার শিকার অটোরিকশা চালক হাফিজুর রহমান, বৈদ্যনাথ চন্দ্র ও মোজাম্মেল হোসেন জানান, আমরা যাত্রী নিয়ে ব্রিজের ওপর দিয়ে যেতে পারিনা। ব্রিজের এপারে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাটি স্থানীয় লোকের সহায়তায় পাড় করে ওপারে আবার যাত্রী উঠিয়ে যেতে হয়। যার কারণে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই সেতুর ওপর দিয়ে মানুষ উপজেলা শহরসহ দুর্গাপুর হাট, ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পার্শ্ববর্তী পান্ডুল ইউনিয়নসহ বিভিন্ন জায়গায় পথচারী, শিক্ষার্থীসহ অসুস্থ রোগী যাতায়াত করেন। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যোগাযোগের খুব অসুবিধা হয়ে গেছে। ব্রিজের উপর দিয়ে চলচলকারী শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মদ, আব্দুল মালেক, মরিয়মসহ আরও অনেক শিক্ষার্থী বলেন, ভেঙে পড়া ব্রিজের উপর দিয়ে স্কুলে যেতে আমরা ভয় পাই। কখন যেন নিচে পড়ে যাই। প্রায় সময় দুর্ঘটনা দেখে ভেঙে পড়া ব্রিজ দিয়ে স্কুলে যেতে ভয় করে। দুর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ব্রিজটি অনেক পুরাতন। সংস্কারের অভাবে গত বছর ভেঙে পরে। ব্রিজটির উপর দিয়ে চলাচল করতে এলাকাবাসীর অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। আশা করি দ্রুতই কাজ শুরু হবে। উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার জানান, ওই এলাকার চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৭ মে, ২০২৪

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হলেন তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। বুধবার (৮ মে) রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।  বর্ষা নির্বাচনে তিনজন নারী প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন। তিনি ঝিনাইদহ পৌর এলাকার আরাপপুর মাস্টারপাড়ার আলীজান মীরের সন্তান। এর আগেও ঝিনাইদহ জেলা থেকে তৃতীয় লিঙ্গের দুজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রজাপতি মার্কা প্রতীকে বর্ষা পেয়েছেন ৫৪ হাজার ২৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আরতী দত্ত পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৫২ ভোট। ৩০ হাজার ৯০৬ ভোটের বিরাট ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বর্ষা। এ ছাড়াও অপর দুই প্রার্থী কলস প্রতীকের পাপিয়া সমাদ্দার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট ও ফুটবল মার্কা প্রতীকের প্রার্থী মাহফুজা তাহের পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৯ ভোট। নির্বাচনে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় তিন লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ ও কালীগঞ্জ উপজেলায় দুই লাখ ৪৪ হাজার ৯২৪ জন ভোটার। এর মধ্যে গড়ে ২৯ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোখলেছুর রহমান জানান।
০৯ মে, ২০২৪

হালাল-হারাম নিয়ে একটু ভাবি: বর্ষা
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বর্ষা। মাঝে মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়ংকর ট্রলের শিকার হন এই অভিনেত্রী। সেই অভিজ্ঞতা ও এমন বিষয়গুলো নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিছু কথা পোস্ট করেছেন এই নায়িকা। দিয়েছেন শিক্ষণীয় বার্তা। নিজের পেজ থেকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসের শুরুতেই বর্ষা লেখেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। কে কীভাবে ব্যবহার করবেন, এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই মাধ্যমকে, নেতিবাচক না ইতিবাচক ভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটা একটু ভেবে দেখা দরকার। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকে অনেক ভাল কাজ করছেন। এর মাধ্যমেই ভাল কাজগুলি জানতে পারি, আবার নেতিবাচক খবরও খুব হচ্ছে। ছোট ও তুচ্ছ বিষয়গুলো খুব বড় ভাবে প্রচার করা হয়; যা কাম্য নয়।’ পোস্টের শেষ ভাগে নেতিবাচক ও তুচ্ছ বিষয়গুলোর গুরুত্ব বুঝিয়ে বর্ষা আরও লেখেন, ‘এসব নেতিবাচক ছোট ও তুচ্ছ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিয়ে ভাবি, চিন্তা করি। সবচেয়ে জরুরি, হালাল-হারাম (ন্যায়-অন্যায়) নিয়ে একটু ভাবি, এটা সব জায়গায় খুব, খুব দরকার।’ উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী বর্ষার ২০১০ সালে স্বামী নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলের বিপরীতে  ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এরপর জলিলের সঙ্গে জুটি হয়ে কাজ করেছেন ডজনখানেক সিনেমায়। প্রথম ছবির পর ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন তারা। তাদের ঘর আলো করে ২০১৪ সালে জন্ম নেয় আরিজ ইবনে জলিল ও ২০১৭ সালে আবরার ইবনে জলিল নামে দুই পুত্র সন্তান।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

হালাল-হারাম নিয়ে একটু ভাবি: বর্ষা
দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বর্ষা। মাঝেমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়ংকর ট্রলের শিকার হন এই অভিনেত্রী। সেই অভিজ্ঞতা ও এমন বিষয়গুলো নিয়ে ভক্তদের সঙ্গে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিছু কথা পোস্ট করেছেন এই নায়িকা। দিয়েছেন শিক্ষণীয় বার্তা। নিজের পেজ থেকে পোস্ট করা স্ট্যাটাসের শুরুতেই বর্ষা লেখেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। কে কীভাবে ব্যবহার করবেন, এটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু এই মাধ্যমকে, নেতিবাচক না ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটা একটু ভেবে দেখা দরকার। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকে অনেক ভালো কাজ করছেন। এর মাধ্যমেই ভালো কাজগুলো জানতে পারি, আবার নেতিবাচক খবরও খুব হচ্ছে। ছোট ও তুচ্ছ বিষয়গুলো খুব বড়ভাবে প্রচার করা হয়; যা কাম্য নয়।’ পোস্টের শেষ ভাগে নেতিবাচক ও তুচ্ছ বিষয়গুলোর গুরুত্ব বুঝিয়ে বর্ষা আরও লেখেন, ‘এসব নেতিবাচক ছোট ও তুচ্ছ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেকে নিয়ে ভাবি, চিন্তা করি। সবচেয়ে জরুরি, হালাল-হারাম (ন্যায়-অন্যায়) নিয়ে একটু ভাবি, এটা সব জায়গায় খুব, খুব দরকার।’ উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী বর্ষার ২০১০ সালে স্বামী নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলের বিপরীতে  ‘খোঁজ: দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হয়। এরপর জলিলের সঙ্গে জুটি হয়ে কাজ করেছেন ডজনখানেক সিনেমায়। প্রথম ছবির পর ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভালোবেসে ঘর বাঁধেন তারা। তাদের ঘর আলো করে ২০১৪ সালে জন্ম নেয় আরিজ ইবনে জলিল ও ২০১৭ সালে আবরার ইবনে জলিল নামে দুই পুত্রসন্তান।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কোটি টাকার হাটে বর্ষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তা
সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় একটি খাত হচ্ছে হাটবাজার। যে হাট থেকে কোটি টাকা রাজস্ব আদায়, অথচ সেই হাটেরই জরাজীর্ণ অবস্থা। বলছি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাটের কথা। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে হাটটি বেহাল। বছরের পর বছর বরাদ্দকৃত নির্ধারিত অর্থের সঠিক ব্যবহার না করায় বৃহত্তম আবাদপুকুর হাটের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের মধ্যে কেনাবেচা করতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। স্থানীয়রা বলছেন, জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ধান ও পশুর হাট হচ্ছে উপজেলার আবাদপুকুর হাট। মাছ-মাংস ও সবজি বিক্রেতাদের জন্য কয়েকটি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হলেও বর্তমানে এই হাটের মাছপট্টির শেডগুলোর টিন মরিচায় নষ্ট হয়ে গেছে। বছরের পর বছর মেরামত না করায় বেহাল হয়ে পড়ে আছে। সরেজমিন দেখা গেছে, হাটের শেডগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ। কোথাও টিনের চালা ভেঙে পড়ে আছে। আবার কোথাও টিনের চালা নেই, ফাঁকা পড়ে আছে। তাই কোনো কোনো ব্যবসায়ী তাঁবু টাঙিয়ে ব্যবসা করছেন। সপ্তাহের রোববার ও বুধবার হাটের দিনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগম ঘঠে এই হাটে। আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে বসে বাজার। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ভিজে আর শুষ্ক মৌসুমে রোদে পুড়ে বেচাকেনা করতে হয় হাটে আসা মানুষের। এ ছাড়া হাটে একটি ব্যবহারযোগ্য গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় সবাইকে। হাটের মধ্যে চলাচলের জন্য রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের জন্য দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। খোঁজ নিয়ে যায়, ২০২২ সালে এই হাটটির ইজারামূল্য ছিল ৮২ লাখ টাকা। এ ছাড়া ভ্যাট ও অন্যান্য খাত মিলে সরকার এই হাট থেকে রাজস্ব হিসেবে কোটি টাকা আয় করে আসছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতি বছর সরকারি ইজারা মূল্যের শতকরা ১৫ শতাংশ অর্থ হাটের সংস্কার, মেরামত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে ব্যয়ের নিয়ম থাকলেও উপজেলা প্রশাসন তা মানছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। হাটের কসাই রশিদুল শেখ বলেন, ‘ভাই, শেডটা ঠিক করার ব্যবস্থা করে দেন। আমার দাদা মোশাররফ কসাই ও বাবা সোলেমান কসাই ব্যবসা করেছেন। আমি আমার বাবার সঙ্গে ভাগা দিয়ে মাংস বিক্রি করেছি। এখানে আমরা সাতজন কসাই ব্যবসা করি। তবে সামনে বর্ষাকাল, তাই দুশ্চিন্তা এখন থেকেই। কারণ বৃষ্টি শুরু হলে মাংস ভিজে যাবে। অথচ আমরা ঠিকমতো হাটের টোল দিয়ে থাকি।’ তার মতো হাটে আসা কবুতর ব্যবসায়ী ও অন্যান ব্যবসায়ীরাও একই কথা বললেন। হাটের ইজারাদার হেলাল উদ্দিন হেলু মেম্বার বলেন, বর্তমানে হাটের প্রতিটি অংশের শেডের চরম দশা। অনেকে আবার নিজেদের অর্থ দিয়ে ভেঙে যাওয়া শেডগুলো মেরামত করার চেষ্টা করছেন। উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিগত কয়েক বছরের হাটের ইজারা থেকে বরাদ্দকৃত যে পরিমাণ অর্থ জমে আছে সেই অর্থ দিয়ে যদি হাটের আধুনিকায়নের কাজ করা হয় সেটাই আমাদের জন্য অনেক। কর্মকর্তারা ইচ্ছে করলেই হাটের এমন দশা থেকে আমাদেরকে মুক্ত করতে পারেন। তাই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির প্রতি দ্রুত সুদৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করছি। উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, গত বছর তৎকালীন ইউএনও শাহাদাত হুসেইনের নির্দেশে উপজেলার সব হাট ও বাজারের আধুনিকায়নের কাজের জরিপ সম্পন্ন করে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি বদলি হওয়ার কারণে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই বাবদ অর্থ ইউএনওর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা থাকে এবং সেই অর্থ খরচের বিষয়ে একমাত্র তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। তাই এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আমাকে জানালেই দরপত্রের মাধ্যমে কাজ শুরু করা যেতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, আমি গত বছরের অক্টোবরে এই উপজেলায় যোগদান করেছি। তাই এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

আরেক দফা দাপট দেখিয়ে বিদায় নেবে বর্ষা
আগামী দু-একদিনের মধ্যে দেশে মেঘমুক্ত আকাশ দেখা যাবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এক সপ্তাহের মাথায় আরেক দফা বৃষ্টির দাপট দেখা যেতে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, বর্ষার শেষ সময়ে এসে অক্টোবরে সপ্তাহ ধরে যে ভারি বর্ষণ হচ্ছিল তা কমে আসছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার পাশাপাশি লঘুচাপের প্রভাবে এমন অতি ভারি বর্ষণ হচ্ছিল। তবে ১২ অথবা ১৩ অক্টোবরের পর আরেক দফা বৃষ্টির দাপট শেষে বর্ষার বিদায় ঘটবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। এদিকে টানা কয়েকদিনের ভারি বর্ষণের পর ঢাকায় রোদের দেখা মিললেও রাজধানীর বাইরের বৃষ্টি থামেনি। শনিবার দেশে সর্বোচ্চ ৩০৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে সিলেটে। এতে নগরের অর্ধশতাধিক এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাদামবাগিছা এলাকার সাহেদা বেগম বলেন, একটু ভারি বৃষ্টি হলে বাসার ভেতর পানি ঢুকে। এ জন্য কিছু দিন পরপর বাসার জিনিসপত্র ওপরে তুলতে হয়। বৃষ্টিতে আজ ভোরে বাসার ভেতরে পানি ঢুকে। প্রায় হাঁটু মান পানি; তখন সবাইকে ঘুম থেকে জেগে জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে হয়েছে। যদিও খাটগুলো ছিল পানির নিচে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল, ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশহর, দরগামহল্লা, কালীঘাট, বাগবাড়ি, কানিশাইল, লামাপাড়া, লালা দিঘিরপাড়, মাছুদিঘিরপাড়, বাদামবাগিছা, শাহপরাণ, কুয়ারপাড় উপশহর, সোবহানীঘাট, যতরপুর, শিবগঞ্জ, মাছিমপুর, কামালগড় ও দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুরসহ সিলেট নগরের অর্ধেকেরও বেশি এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে বাসাবাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এই অক্টোবরেই ২৪ ঘণ্টায় কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৪৭৬ মিলিমিটার এবং ময়মনসিংহে ৩৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে একটি লঘুচাপ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাংশ এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পূর্ব উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
০৮ অক্টোবর, ২০২৩

সুনীলের বর্ষা বর্ণনা
সকালবেলায় মেঘ ছিল, তাতে বাচ্চাদের মন খারাপ। আজ যেন বৃষ্টি না হয়, আজ যেন বৃষ্টি না হয়! তবু সেই কালো মেঘ যেন ঝুঁকে এল শ্মশানতলায় বড় বটগাছটার মাথায়। গ্রামের নাম ছোট সাতুড়ি। বিভুপদ গড়াইয়ের দু-খানা খড়ের ঘর, সামনে একচিলতে উঠোন। সেই উঠোনে দাঁড়িয়ে তিনটে ছেলেমেয়ে, তারা আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘ তাড়াতে চাইছে। লেবুপাতা করমচা, দূরের বৃষ্টি দূরে যা! লেবুপাতা করমচা, দূরের বৃষ্টি দূরে যা! মেঘ সেই শিশুদের কথা শোনে। তবে এত কাছে এসে কিছুটা বর্ষণ না হলে মেঘেরও তো মান থাকে না। প্রথমে ছিল গুমোট হঠাৎ হাওয়া উঠল শনশনিয়ে, বড়-বড় ডালপালা উথালপাতাল। তারপর গুরু-গুরু গর্জন বলল, আসছি। এল একেবারে বড়-বড় ফোঁটায় ঝমঝমিয়ে। গল্প ‘মাংস’ থেকে -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের [৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩৪ - ২৩ অক্টোবর ২০১২]
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বর্ষা হচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা থাকছেন অনন্তও
১৯৭৭ সালে হিন্দি ‘শোলে’ ছবির অনুকরণে ‘দোস্ত দুশমন’ নির্মাণ করেন পরিচালক দেওয়ান নজরুল। সে সময় সিনেমাটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। ৪৬ বছর পর এবারও ঢালিউডে একই নামে তৈরি হচ্ছে আরেকটি সিনেমা। অভিনয় করবেন ডি এ তায়েব ও অনন্ত জলিল। এটিও দুই বন্ধুর গল্প। দোস্ত থেকে তাদের দুশমন হয়ে যাওয়ার গল্প। তবে ডি এ তায়েব জানালেন, আগের দোস্ত দুশমনের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। এটি সম্পূর্ণ আলাদা গল্প। নতুন ‘দোস্ত দুশমন’-এ অনন্ত ও তায়েবকে ঢাকা শহরের দুই ক্যাডার হিসেবে দেখা যাবে। একজন শহরের উত্তর অংশ নিয়ন্ত্রণ করে, আরেকজন দক্ষিণ অংশ। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না। সীমানা নিয়ে, চাঁদা নিয়ে তাদের মধ্যে সারাক্ষণ মারামারি লেগেই থাকে। তাদের দেখে বোঝার উপায়ই নেই, একসময় তারা ছিল খুবই ভালো বন্ধু। বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে রাজনীতি করত। ভার্সিটিতে ভর্তির সময় একটি মেয়েকে ওরা নানাভাবে সহযোগিতা করে। ইয়ার লস দিতে দিতে একসময় তারা ওই মেয়েটির ক্লাসমেট হয়ে যায়। জানা গেছে, মেয়েটি চরিত্রে অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। ডি এ তায়েব বলেন, ‘নায়িকার প্রতি দুজনই দুর্বল। কিন্তু নায়িকা কাউকেই ভালোবাসে না। নিজেদের মধ্যে সন্দেহ তীব্র হতে হতে তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। মারামারি করে। জেল হয়। পাঁচ বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে তারা অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। দুজন পৃথক দুই দলের হয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়।’ ডি এ তায়েব জানান, ‘এ সিনেমায় বর্ষাকে দেখা যাবে পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে। দুই গডফাদারের চরিত্রে অভিনয় করবেন মিশা সওদাগর ও মাহমুদুল ইসলাম মিঠু। গল্পে অনন্ত ও তায়েব মূলত তাদের হয়েই কাজ করেন। তবে পরিচালনা কে করছেন, সে বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না ডি এ তায়েব।’
২৫ আগস্ট, ২০২৩

বর্ষা ঋতুতে ঘরবাড়ি
ছোট বা বড় যে কোনো বাড়ি হোক না কেন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনের আগে জায়গার পরিমাপ ও গঠন সম্পর্কে জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাপন রহমান। তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিয়রের আগে বাসার জায়গাটা কতটুকু আছে তা জানা প্রয়োজন। কতটুকু জায়গা আমি ভেতরে পাচ্ছি বা সিঁড়িঘরে পাচ্ছি। কারণ এর ওপরই ফার্নিচার, লাইটিং ও অন্যান্য সবকিছু রেডি করতে হয়। কোন কালারে কাজ করা হবে, কী প্যাটার্নে বাড়িটা হয়েছে। অনেক সময় দেখা যায় বাড়িটা খুব এথনিকভাবে তৈরি করা। আবার কিছু বাড়ি আছে মডার্ন হয়। যার জন্য ভালো মডার্ন ফার্নিচার লাগে। দেখা যায় যে, অনেকে বাংলোর মতো করে বাড়িটা করে। যে ক্ষেত্রে একটুখানি ভিনটেজ লুকে সাজাই সবকিছু।’ একটি বাড়ি শুধু ড্রইং, ডাইনিং বা লিভিংরুম থাকে না, এ ছাড়া আরও অনেক স্পেস থাকে। আর প্রতিটি স্পেসের জন্যই প্রয়োজন হয় আলাদা আলাদা ভাবনা। এ প্রসঙ্গে এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনার বলেন, ‘যখনই কোনো বাড়ির ইন্টেরিয়র করার জন্য নির্বাচন করা হয় তখন মালিক এবং ডিজাইনের কনসেপ্ট মিলেই ডিজাইন করা হয়। প্রতিটি স্পেসের জন্য প্রয়োজন পড়ে ভিন্ন নকশা। তবে জায়গা অনুযায়ী ফার্নিচারের প্যাটার্নগুলো নির্বাচন করতে হবে। কোন রুমে কী ধরনের লাইটিং হবে। লাইট সোর্সগুলো কেমন হবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর বেডরুমের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওয়াল কেবিনেট আছে কি না, যদি না থাকে তাহলে আমি কীভাবে সেখানকার একটি পাশ নির্বাচন করব বা ড্রেসিং টেবিল কীভাবে ওয়ালের সঙ্গে সেট করব তা বুঝতে হবে। তবে সবশেষ যে বিষয় তা হলো—বাড়ির কর্তার রুচি এখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ বাড়ির ড্রইং, ডাইনিং বা লিভিংরুম সুন্দর করে ইন্টেরিয়র করা হলেও আমরা অনেকেই ভুলে যাই রান্নাঘরের কথা। নারীরা দিনের অধিকাংশ সময় এ ঘরে থাকেন। কিচেন প্রসঙ্গে বাপন রহমান বলেন, ‘সম্পূর্ণ বাড়ি সুন্দর করে সাজানো গোছানো কিন্তু রান্নাঘর যদি অগোছানো থাকে তাহলে তা দেখতে কখনোই ভালো লাগবে না। রান্নাঘরে পর্যাপ্ত কেবিনেট রাখতে হবে। ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ কীভাবে সেটআপে পরিমিতিবোধ থাকতে হবে। ওয়াশিং সাইডটা সুন্দরভাবে আলাদা করে সাজাতে হবে। পাশাপাশি বাথরুমের জন্য আমি বলব অবশ্যই সেলফ সিস্টেম করে নিন। জায়গা থাকলে শাওয়ার কার্টেন খুবই ভালো হয়। তাহলে পানিগুলো ছিটে আসবে না। কমোড নির্বাচনের ক্ষেত্রেও খুব সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। বাড়ির শিশু সদস্যদের জন্য তাদের মতো এবং বয়স্ক যারা তাদের জন্য আলাদাভাবে বাথরুম ডিজাইন করে নিতে পারেন।’ আমাদের দেশ ঋতুপ্রধান দেশ। তাই ঋতু বদল প্রসঙ্গে বাপন বলেন, ‘আমাদের দেশে ঋতুর কথা মাথায় রেখে সেভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা হয় না। কিন্তু কেউ যদি খুব বেশি শৌখিন হয়ে থাকেন তাহলে সে অনুযায়ী করতে পারেন। তবে এ দেশে গরম বেশি থাকে তাই রুমের পর্দাগুলোতে পরিবর্তন আনা উচিত। ভারী পর্দা বাদ দিয়ে হালকা পর্দা রাখা যেতে পারে। আবার শীতে হালকা না দিয়ে ভারী পর্দা রাখলে ভালো হয়।’ বর্ষা ঋতুতে ঘরবাড়ি স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায় এ ক্ষেত্রে কী করণীয়? বাপন রহমান বলেন, ‘শহরে স্যাঁতসেতে ভাবটি কম হলেও গ্রামে বেশি হয়ে থাকে। দরজা-জানালা খুলে রাখা জরুরি যাতে করে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসতে পারে। এতে করে স্যাঁতসেঁতে ভাব অনেকটাই কম হবে। মোটা ও ভারী ধরনের দরজা-জানালার পর্দা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে হবে। মোটা কাপড় বাতাস থেকে আর্দ্রতা বেশি শোষণ করে। এতে করে পুরো ঘরের আবহাওয়া জুড়ে স্যাঁতসেঁতে ভাব বিরাজ করে। এ ছাড়া হুটহাট বৃষ্টিতে পর্দা ভিজে গেলে শুকাতে দীর্ঘসময় প্রয়োজন হবে, যদি ভারী কাপড়ের পর্দা হয়। তাই এ সময়ে হালকা কাপড়ের পর্দা নির্বাচন করতে হবে। বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই ভেজা কাপড় শুকাতে দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয়। ফলে অনেকেই ভেজা কাপড়চোপড় ঘরে ফ্যানের নিচে এনে শুকাতে দেন। এতে করে ঘর আরও বেশি স্যাঁতসেঁতে হয়ে ওঠে। তাই বর্ষাকালে যথাসম্ভব সীমিত কাপড় ধুতে হবে এবং ঘরের ভেতরে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে তবেই শুকাতে দিতে হবে।’
১২ আগস্ট, ২০২৩
X