সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, বন্যার শঙ্কা
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সিরাজগঞ্জ শহরের যমুনা নদীর হার্ডপয়েন্টে গত ১৮ ঘণ্টায় ৩২ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে যমুনার তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। চলতি মৌসুমে খুব বড় না হলেও মাঝারি আকারের বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।   বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ০২ মিটার। সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৬ ঘণ্টায় ১১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। এই পয়েন্টে গত ৩০ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৫৮ সেন্টিমিটার।  অন্যদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে দুপুর ১২টায় পানি সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৪ মিটার। ৬ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)। সর্বশেষ ৩০ ঘণ্টায় এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৬৪ সেন্টিমিটার।  সিরাজগঞ্জ পাউবো সূত্র জানায়, গত ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ে যমুনায়। এক সপ্তাহ পরই কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুত বাড়তে থাকে যমুনার পানি। টানা পাঁচ দিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বেড়েছে। ২৯ জুন আবার স্থিতিশীল হয়ে ৩০ জন সামান্য কিছুটা কমে যমুনার পানি। ১ জুলাই থেকে ফের পানি বাড়তে থাকে। এদিকে যমুনার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ও শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর এবং কৈজুরীতে তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব অঞ্চলের দেড় শতাধিক বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।  পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এরইমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আরও তিন থেকে চারদিন পানি বাড়বে। বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি বলেন।  তিনি বলেন, জেলার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
০৪ জুলাই, ২০২৪

পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি, বন্যার শঙ্কা
উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কমলগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ৪/৫ স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সোমবার (১ জুলাই) ভোর রাত থেকে উপজেলার কমলগঞ্জে মুষলধারায় বৃষ্টিপাত হয়। এ ছাড়া উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ থানা সংলগ্ম পুরাতন ধলাই সেতু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের ৪/৫টি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখছে। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কমলগঞ্জের ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধলাই নদীর ৫৭ কিলোমিটার। এলাকার প্রতিরক্ষা বাঁধের বেশ কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ আছে। তার আগেও নদীর বাঁধ ভেঙে পানি ডুকে বন্যা হয়েছে। ফলে কৃষি ও বসতঘরের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এখন আবার ভাঙলে তাহলে আমরা মারাই যাব। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধের যেকোনো স্থান ভেঙ্গে যেতে পারে। এ ছাড়া আগের বাঁধগুলো এখনো কাজ হয়নি। যদি পানি বাড়তে থাকে তাহলে আগের বাঁধগুলোতে পানি ঢুকবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পর্যবেক্ষক সাকিব হোসেন বলেন, উজানে পাহাড়ি এলাকায় বেশি বৃষ্টি হওয়ায় রোববার রাত থেকে কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। তবে এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।  তিনি বলেন, বিকাল ৩টার সময় আমরা একটা রিডিং নিয়েছিলাম তখন ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত ছিল। তবে আজ দুপুর ১২টার রিডিংয়ে দেখা গেছে, ৫ ফুট পানি বেড়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় রিডিংয়ে কমলগঞ্জের ধলাই নদীর পানি ১৮ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। ১৯ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার হচ্ছে বিপৎসীমা উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া। কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বলেন, রোববার সকাল থেকে ধলাই নদীর পানি আকস্মিক বেড়ে গেছে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন ধলাই নদীর পানি প্রবাহের দিকে নজর রাখছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, আবারও বন্যার শঙ্কা
রাতভর ভারি বৃষ্টিপাত, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে সুনামগঞ্জ শহর সহনিম্নাঞ্চলে। বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, পাটলাই, যাদুকাটাসহ সব নদ-নদীর পানি। প্রথম দফার বন্যার ক্ষত শুকানোর আগেই ফের বন্যার কবলে পড়ছেন সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। এরই মধ্যে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপরে ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে জেলা শহরের সঙ্গে বেশ কয়েকটি উপজেলার। আর এতে আবারও বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন ভাটির জেলার লাখ লাখ মানুষ। সোমবার (১ জুলাই) সকালে ফের ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, সাহেববাড়ি ঘাট, পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট। এমনকি ঢলের পানিতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দুর্গাপুর সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আবারও তাহিরপুর উপজেলার সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ছাতক, দোয়ারাবাজার, মধ্য নগরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় আবারও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের ৫ লাখেরও বেশি মানুষকে।  এ অবস্থার মধ্যে আগামী তিন দিন ভারি বৃষ্টি হতে পারে এবং পরের পাঁচদিনও এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতে পাহাড়ের পাদদেশে হাওরপাড়ের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কিছু অংশ আবার তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার মানুষ জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। যাত্রী ও এলাকাবাসীকে চলাচলে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা।  পৌর শহরের জাকির হোসেন বলেন, নদীতে প্রবল স্রোত তার সঙ্গে রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে পৌর শহরের উত্তর আরপিননগর, সাহেববাড়ি ঘাট, পুরানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি যেভাবে বাড়ছে আবারও যদি বন্যা হয় মানুষজন আবার ভোগান্তি পোহাতে হবে মনে হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা বাবলু মিয়া বলেন, আবারও বাড়ছে নদীর পানি। এরই মধ্যে তাহিরপুর উপজেলা জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জেলা শহরে যেতে- আসতে ভোগান্তি তো আছেই। এ ছাড়াও নৌকা ও সিএনজি ভাড়া অনেক টাকা খরচ হয়। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ হচ্ছে।  সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি এরই মধ্যে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমে গেলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি কমে যাবে। আর এখন যেহেতু পানি বাড়ছে সেক্ষেত্রে জেলায় স্বল্পমেয়াদি একটা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। গত ১৬ জুন সুনামগঞ্জে চলতি বছর প্রথম বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এতে জেলার সাত উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। সেইসঙ্গে পাহাড়ি ঢলে ৭২ কোটি টাকার মাছ ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি ৩০ কোটি টাকার ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যায়।
০১ জুলাই, ২০২৪

দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি, সিরাজগঞ্জে বন্যার শঙ্কা
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। গত দুদিন ধরে আশঙ্কাজনক হারে পানি বাাড়ে থাকায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছোট থেকে মাঝারি আকারের বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। এর আগে বুধবার পানি বৃদ্ধি পায় ৪৩ সেন্টিমিটার। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৫ মিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)। এখানে বুধবার ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়। পাউবো সূত্র জানায়, জুন মাসের শুরুতে যমুনায় পানি বাড়া শুরু হয়। ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লেও এক সপ্তাহ পর কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি। এদিকে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ফসলী জমি। এতে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও চার পাঁচদিন যমুনায় পানি বাড়বে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়াযার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০ জুন, ২০২৪

সিলেটে টানা বৃষ্টি, ফের বন্যার শঙ্কা
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন নগর। দুই সপ্তাহের মাথায় সিলেটে ফের বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ভারি বৃষ্টি ও হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে গত মাসের শেষের দিকে বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বসতবাড়ি-রাস্তা ঘাট, পানিবন্দি হয়ে পড়েন লাখো মানুষ। অতিবৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  এ ছাড়া উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল নামার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। এমনটি হলে সিলেটে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। নগরীতে ছয় ঘণ্টার অতিবৃষ্টিতে আবারও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে নগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সিলেটের বাসিন্দারা।  জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৫৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিলেটে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় সিলেটের সব উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। সরেজমিনে দেখা যায়- নগরের অভিজাত উপশহর, মেজরটিলা, জালালাবাদ, সোবহানীঘাট, তেরোরতন, মোকামবাড়ি, বেতেবাজার, ঘাসিটুলা, লামাপাড়া, যতরপুর, উপশহর, লালাদিঘির পার, বাগবাড়ি, দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোড, স্টেশন রোড, মাছিমপুরসহ শহরের নিম্নাঞ্চলের এলাকায় বৃষ্টির পানি জমেছে। আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় নতুন করে পানি উঠেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তথ্য মতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে বুধবার সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ৬০ মিটার ও ৯ দশমিক ৫৮ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৩৭ মিটার ও ১০ দশমিক ১১ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল ভোর ৬টা থেকে আজ ভোর ৬টা) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার। আর বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সিলেটের আকাশে বজ্রমেঘের অবস্থান রয়েছে। যেটা কেটে যেতে সময় লাগবে। তাই সবাইকে বজ্রপাত থেকে সাবধান থাকতে হবে। সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, গতকাল থেকে সিলেটে অবিরাম বর্ষণ হচ্ছে। এতে নদীর পানি বাড়ে। সেই প্রভাব সিটি করপোরেশন এলাকায় পড়ে। নগরে আমাদের একাধিক টিম দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে। আমাদের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী মহোদয় ইতোমধ্যে সবকটি বিভাগকে যথাসাধ্য কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি নাগরিকদের সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যে কোনো পরিস্থিতিতে নগর কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের পাশে আছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান কালবেলাকে বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছুটির সময়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সব কর্মকর্তাগণকে প্রস্তুতি থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। আমরা জেলায় ৫৫১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জি ও সিলেট মিলিয়ে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তথ্য মতে ৫৩৫ মিমি। আরও বেশিও হতে পারে এবং আরও বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। গত ২৯ মে পানি আসার পূর্ব ০২ দিন মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৮০০+ মিমি। উপজেলা প্রশাসনসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণকে সতর্ক অবস্থায় থাকার জন্য অনুরোধ জানাই।
১৩ জুন, ২০২৪

চলতি মাসে ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার শঙ্কা
মে মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি জুন মাসে দেশে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে এ মাসে এক-দুইটি  লঘুচাপ হতে পারে যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি এ মাসে দেশে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে।  রোববার (২ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া জুন মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব কথা বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। প্রথম সপ্তাহের প্রথমার্ধে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষাকাল) বিস্তার লাভ করতে পারে। এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। চলতি মাসে দেশের কোথাও কোথাও এক থেকে দুটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। জুন মাসে চার থেকে ছয় দিন হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। মে মাসজুড়ে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক অপেক্ষা ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে ৯ দিন। ঢাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি মাসেও সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।  মে মাসের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার সময় পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১১ কিলোমিটার। এ সময় নারায়ণগঞ্জে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মে মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (যশোর ও চুয়াডাঙ্গা ১ মে) রেকর্ড করা হয়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা যথাক্রমে এক দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এক দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি এবং সারা দেশে গড় তাপমাত্রা এক দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। গত ১ থেকে ৫ মে পর্যন্ত মাঝারি থেকে তীব্র, ১৩ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত মৃদু এবং ২৮ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকার্য সবোর্চ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রোববার সর্বোচ্চ ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যার থেকে সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বাগেরহাট, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
০২ জুন, ২০২৪

সিলেটে ফের বাড়ছে বন্যার শঙ্কা
সিলেটের কোথাও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, আবার কোথাও অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে শনিবার (১ জুন) সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৪টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।  বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সিলেট মহানগরীর বেশ কিছু বাসা-বাড়িতে নতুন করে ঢুকছে পানি। সিলেট বিভাগে আগামী তিন দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাসে নতুন করে বন্যার শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। তবে নতুন করে বৃষ্টি না হলে বন্যা পরিস্থিতির আর অবনতি হবে না বলে আশা করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ কালবেলাকে বলেন, পাহাড়ি ঢলে সিলেটের ৭ উপজেলা ও সিলেট নগরী বন্যাকবলিত হয়। শনিবার নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নগরীর কিছু এলাকা। বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলগুলো দ্রুত প্লাবিত হচ্ছে।  তিনি বলেন, গত কয়েক দিন আগে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও নতুন করে বেড়েছে সিলেট পয়েন্টের পানি। এরই মধ্যে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে সিলেট নগরীতে আবারও বন্যার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। শনিবার (১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার এবং জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে কুশিয়ারা দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে অমলসিদ পয়েন্টে ১৯৪ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।  তবে সকাল ৬টা এবং ৯টায় সুরমার কানাইঘাট ও কুশিয়ারার দুটি পয়েন্টে পানি ১ থেকে ৩ সেন্টিমিটার কমলেও সুরমার সিলেট পয়েন্ট তা অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বাড়ায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে নগরীর উপশহরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। এদিকে বন্যার পানি আর অসহনীয় ভ্যাপসা গরম ভোগান্তি নিয়ে দিন পার করছেন সিলেটের মানুষ। এ অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে  রবিবার (২৬ মে) থেকে সিলেটে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত ছিল টানা হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি। শুক্রবার (৩১ মে) থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। শনিবার সেটি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেনি। জেলার গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলায় পানি অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে সিলেট সদর, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। অপরদিকে, এর মধ্যেই সিলেটের জন্য এসেছে আবহাওয়ার নতুন পূর্বাভাস। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টির খবর জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
০১ জুন, ২০২৪

বৃষ্টি বাড়বে সারা দেশে চলতি মাসে বন্যার শঙ্কা
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গরম কমতে আরও অন্তত দুদিন অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে সংস্থাটি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে (চট্টগ্রাম) স্বল্পমেয়াদে বন্যা হতে পারে। চলতি মাসে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয় হয়েছে। ফলে এখন মাঝেমধ্যেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হবে। তবে গরম কমবে আরও দুদিন পর। বৃষ্টির প্রভাবে সারা দেশেই দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।’ তিনি জানান, ময়মনসিংহ, বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ৬ সেপ্টেম্বরের পর দু-এক জেলায় তাপপ্রবাহ থাকতে পারে। বেশিরভাগ জায়গায় প্রশমিত হয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী তিন দিন সারা দেশেই রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এদিকে চলতি মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল (রংপুর), উত্তর-পূর্বাঞ্চল (সিলেট) ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে (চট্টগ্রাম) স্বল্পমেয়াদে বন্যা হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে ও ভিডিও কনফারেন্সে গত রোববার কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান জানান, সেপ্টেম্বরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি বর্ষাকালীন লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বিজলি চমকানোসহ মাঝারি ধরনের বজ্রপাতসহ ঝড় এবং সারা দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন বিজলি চমকানোসহ হালকা বজ্রপাতসহ ঝড় হতে পারে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি এই মাসে দেশে দুই থেকে তিনটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মৌসুমি ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে কয়েকটি স্থানে স্বল্পমেয়াদে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আগস্ট মাসের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগস্ট মাসে সারা দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে, তবে ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে।
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পানি বাড়ছে রংপুরের ছয় নদীতে, ফের বন্যার শঙ্কা
গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তায় পানি বাড়ছে হুহু করে। পানি বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা, ধরলা, ঘাঘট, কুশিয়ারা ও করতোয়া নদীতে। ইতোমধ্যে এসব নদীতীরবর্তী অঞ্চলের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চরাঞ্চলের ফসলের মাঠে পানি উঠে গেছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের বুড়ির হাটের স্পার বাঁধ। প্রবল স্রোতে বাঁধটি সামনের দিকে কিছুটা হেলে পড়েছে। বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে বেশ কয়েকটি গ্রাম তিস্তায় বিলীন হয়ে যাবে বলে দাবি স্থানীয়দের। কালবেলা প্রতিবেদক, ব্যুরো অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর— এদিকে বৃষ্টিপাত ও নদনদীর অবস্থা-সংক্রান্ত বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের গতকাল শনিবারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে ওই সময়ে ওই অঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, সোমেশ্বরী, যাদুকাটা, ভুগাই-কংশ, সারিগোয়াইন নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে। তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল থাকতে পারে। লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার তিস্তা অববাহিকা সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট খোলা: গজলডোবা ব্যারাজের সব গেট (৪৪টি) পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই খুলে দেওয়ায় শুক্রবার থেকে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। তিস্তার পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সে কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এ তথ্য জানান। এরই মধ্যে নদী-তীরবর্তী অঞ্চলের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গতকাল তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। আর কাউনিয়া পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২ লাখ ১ হাজার ৬৪৭ কিউসেক এবং সর্বনিম্ন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৮ কিউসেক পানি বাংলাদেশের দিকে ছেড়েছে ভারত। সরেজমিন দেখা গেছে, রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া ও পীরগাছা উপজেলার ৪০টি চরাঞ্চলের গ্রামে পানি প্রবেশ করায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বাড়িঘর ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ধান, পাটসহ শস্য ক্ষেতগুলো তলিয়ে আছে পানিতে। মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে উঁচুস্থান ও পাউবো বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী। নদী-তীরবর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র ভাঙনও দেখা দিয়েছে। লক্ষ্মীটারি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল্লাহেল হাদী বলেন, ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসতে শুরু করেছে। আকাশে মেঘ। আরও বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য নদীপাড়ের মানুষদের সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। আমরা বন্যার আশঙ্কা করছি। রাজারহাটের স্পার বাঁধ হুমকির মুখে: টানা বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি ৪৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল স্রোতে স্পার বাঁধের সামনের দিকে কিছুটা হেলে পড়েছে। বাঁধটির সংযোগ সড়কটি নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাঁধটি রক্ষা করার জন্য। বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম হতাশায় দিন কাটছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বাঁধটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ও টিউব ফেলা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় সব চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, বাঁধ ভেঙে গেলে বাড়িঘর ফসলি জমি সব নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। যে কোনোভাবেই হোক, এ বাঁধটি রক্ষা করা হোক। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। আমরা বাঁধটি রক্ষা করার জন্য বালুভর্তি জিও ব্যাগ, জিও টিউব ও ডাম্পিং করে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা করছি। কাউনিয়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত: উজানের ঢলে হু হু করে তিস্তায় বাড়ছে পানি। রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। এতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বড় ধরনের বন্যার। গতকাল দুপুরে এ তথ্য জানান পাউবো রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে গত শুক্রবার দুপুর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম হয়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর পর্যন্ত নদী-তীরবর্তী এলাকার চর ও নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। তিনি জানান, উজানে পানি বাড়লে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পাড়ে। বাড়তে পারে নদীভাঙনের তীব্রতাও।
২৭ আগস্ট, ২০২৩

আসাম-অরুণাচলে ভারি বৃষ্টি, দেশে ফের বন্যার শঙ্কা
কুড়িগ্রামে আবারও ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ প্রধান প্রধান নদনদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে জেলার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় অরেকটি বন্যার পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।  এদিকে সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে পাউবো জানায়, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে আগস্টের শেষ সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। এতে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ ও চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের চর ও নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় এসব অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।   পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে তিস্তার পানি কিছুটা ওঠানামা করে বিপৎসীমায় পৌঁছায়। ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া ও চিলমারী পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ও ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ওই সময়ে ধরলার পানি কিছুটা কমেছে। পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা নদনদীর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানায় পাউবো। সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা আহ্বানের পাশাপাশি বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর তালিকা তৈরি, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত ও গো খাদ্য মজুদ রাখার পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। একইসঙ্গে বাঁধের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা এবং ভগ্ন রাস্তা-বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভারতের আসাম ও অরুণাচলে ভারি বৃষ্টির কারণে উজানের ঢল ও স্থানীয় বৃষ্টিপাতে নদ নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। কয়েক দিনের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমায় পৌঁছাতে পারে। ফলে জেলার সদরের কিছু অংশ, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে স্বল্পমেয়াদী বন্যার পূর্বাভাস রয়েছে। পানি বিপৎসীমায় পৌঁছালেও খুব বড় বন্যার আশঙ্কা নেই। ’ সম্ভাব্য বন্যার খবরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুতি রেখেছি। খাদ্য সহায়তা, উদ্ধার নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামে তিন দফা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদনদী অবববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এর মধ্যে গত জুলাইয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি স্বল্পমেয়াদী বন্যার কবলে পড়ে জেলার অর্ধ লাখেরও বেশি মানুষ। আগস্টের শেষ আবারও বন্যা দেখা দিলে এটি জেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা হবে। ইতোমধ্যে জেলায় ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০
X