ওবায়দুল কাদের / জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে
স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে অযৌক্তিক ও দ্বিচারিতাপূর্ণ উল্লেখ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে, তারা যে যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে। গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, রোববার এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন—আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের জ্ঞানচর্চা এবং কর্মপদ্ধতি প্রশংসার দাবিদার। এর প্রতিক্রিয়ায় বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, জামায়াত নিয়ে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা সুস্পষ্টভাবে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক। জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশের মূল চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ পরিপন্থি। রাজনীতির এ ধারা বারবার দেশবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনোই ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত পবিত্র সংবিধান ও রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনাবিরোধী এ রাজনীতিকে স্বীকৃতি দিতে পারে না। যাদের রাজনীতি দেশের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে তাদের কৌশল কখনো বিজ্ঞানসম্মত বা যৌক্তিক হতে পারে না। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখা তার আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে তার বক্তব্যে উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উসকানি দেওয়ার দুরভিসন্ধি প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী এ অপশক্তির গভীর আঁতাত ও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা তাদের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করে এবং সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতির সামাজিক বৈধতা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনীতি এই চক্রেই আবর্তিত। তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শবিরোধী কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে আওয়ামী লীগ কখনো স্বীকৃতি দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।
০৪ জুন, ২০২৪

সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে : কাদের
জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তি জামায়াত সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে এ কথা আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, তারা যেখানেই যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতসহ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে বিএনপির গভীর বন্ধন রয়েছে।  তিনি বলেন, জামায়াত নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে যে বিষয়টি ওঠে এসেছে তা সুস্পষ্টভাবে অবৈজ্ঞানিক ও অযৌক্তিক। জামায়াতের রাজনীতি বাংলাদেশের মূল চেতনা, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধের পরিপন্থি। রাজনীতির এ ধারা বারবার দেশবিরোধী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক কখনোই ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের আখরে রচিত পবিত্র সংবিধান ও রাষ্ট্রের মৌলিক চেতনাবিরোধী এই রাজনীতিকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দিতে পারে না। যাদের রাজনীতি দেশের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে তাদের কৌশলও কখনো বিজ্ঞানসম্মত বা যৌক্তিক হতে পারে না। কাদের বলেন বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে প্রতিগতিশীলতার মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখা তার আসল চেহারা উন্মোচিত হয়েছে। একইসঙ্গে তার বক্তব্যে উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের উস্কানি দেওয়ার দুরভিসন্ধি প্রকাশিত হয়েছে। জিয়াউর রহমান এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির গভীর আঁতাত ও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতি এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করে এবং সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতির সামাজিক বৈধতা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বরাবরই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনীতি এই চক্রেই আবর্তিত। তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি পরিচালিত হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের ভিত্তিতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শবিরোধী কোনো রাজনৈতিক অপশক্তিকে আওয়ামী লীগ কখনো স্বীকৃতি দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না। 
০৩ জুন, ২০২৪

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক দেশে কোন দল ক্ষমতায় আছে তার ওপর নির্ভর করা উচিত নয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হতে হবে পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে স্থায়ী বন্ধন। শনিবার (১১মে) সন্ধ্যায় আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর আয়োজনে অ্যাসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা এবং ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পারস্পরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সমৃদ্ধির উন্নয়নে গঠনমূলক সংলাপ ও সহযোগিতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থায়ী হবে। উন্নয়ন সাংবাদিকগণ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের চর্চা এবং জনমত গঠনের জন্য গণমাধ্যমকর্মীগণ গুরুদায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।  বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের সম্পাদক ফরিদ হোসেন, সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ নেওয়াজ খান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ভারত থেকে আগত অনিমেষ বিশ্বাস প্রমুখ।  বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, কলামিস্ট, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক আফসান চৌধুরীকে এ বছর ইহসানুল করিম অ্যাওয়ার্ড ফর মিডিয়া এক্সিলেন্স পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এর পূর্বে দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় ফরিদ হোসেনকে সভাপতি ও আঙ্গুর নাহার মন্টিকে সাধারণ সম্পাদক করে আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য ১৩ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
১১ মে, ২০২৪

রাজধানীর বারিধারা / বন্ধন দৃঢ় করতে ‘পাড়া উৎসব’
শহরে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা দীর্ঘদিন এক ভবনে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগও হয় না। তাই সবার সঙ্গে পরিচিত হতে, সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ৩ নম্বর সড়কে অনুষ্ঠিত হলো ‘পাড়া উৎসব’। গতকাল শুক্রবার উৎসবের উদ্বোধনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পাড়া উৎসবের মাধ্যমে সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে।’ এ উৎসবের আয়োজক ছিল ডিএনসিসি, ‘হিরোস ফর অল’ ও ‘বারিধারা সোসাইটি’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র, ব্রুনাই দারুসসালামের রাষ্ট্রদূত হাজি হারিস বিন ওসমান, জাপান দূতাবাসের মন্ত্রী (ডিসিএম) মাচিদা তাৎসুয়া, লিবিয়া দূতাবাসের মিনিস্টার প্লেনিপটেনশিয়ারি আবদালফাত্তাহ খিতরেশ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকার হেড অব স্কুল জন স্মিথিসসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দিনব্যাপী উৎসবে ছিল দেশি পিঠার স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এ ছাড়া উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং-তুলি, ক্যারম, টেবিল টেনিস, দাবাসহ নানা ধরনের খেলার সামগ্রী ছিল। স্ট্রিট ফুড, ট্যালেন্ট শো, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি, পথনাটক, খেলাধুলা, ট্রেডিশনাল ও মডার্ন মার্শাল আর্টসেরও আয়োজন ছিল। সবার জন্য উন্মুক্ত এই পাড়া উৎসব চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সবাই মোবাইল ফোনে, ইন্টারনেটে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। সমাজের সবার সঙ্গে সম্পৃক্ততা খুব প্রয়োজন। পাশের বাসার মানুষকে আমরা চিনি না। প্রতিবেশীর বাসায় কী সমস্যা, সেটি আমরা জানি না, খোঁজ নিই না। ছোটবেলায় আমরা পাড়ায় পাড়ায় উৎসব করতাম। প্রতিবেশীদের বাসায় হালুয়া, রুটি বিতরণ করতাম। সমাজের সবার মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। ছোটরা বড়দের সম্মান করতাম, দেখলে সালাম দিতাম। ঢাকায় এ ধরনের চিত্র দেখা যায় না। সামাজিক বন্ধন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।’ মেয়র বলেন, ‘গ্রামের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে, সামাজিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে এর আগে উত্তরায় ও গুলশানে পাড়া উৎসবের আয়োজন করেছি। পাড়া উৎসবের মাধ্যমে বলতে চাই, আমরা মানুষের পাশে আছি। পাড়া উৎসব থেকে বলতে চাই, আমরা প্রতিবেশীর সুখের সময় পাশে না থাকলেও অন্তত বিপদের সময়ে পাশে থাকব।’ বারিধারা লেকের পানি দূষণমুক্ত করতে পয়ঃবর্জ্যের লাইনে কলাগাছ ঢুকিয়ে বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘গত বছর কলাগাছ ঢোকানো হয়েছে বারিধারার কয়েকটি বাড়িতে। দরকার পড়লে আরও বাড়িতে কলাগাছ ঢুকবে। কিন্তু পয়ঃবর্জ্যের জন্য আপনারা ড্রেন ব্যবহার করতে পারবেন না। লেকের পানি দূষিত হয়ে গেছে। সেখানে আমরা মাছের চাষ করতে পারছি না। মশার চাষ হচ্ছে।’ পাড়া উৎসব উদ্বোধনের পর ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাক-ঢোল বাজাতে বাজাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে ডেকে নেন। পরে মেয়র ‘স্বাদের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’ গানটি শুরু করেন এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তার সঙ্গে গলা মিলিয়ে গানটি গাইতে অনুরোধ করেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনারও বাংলার এই জনপ্রিয় গানটি গান এবং উচ্ছ্বসিত হন। পরে মেয়র ডেকে নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাকে। কাছে ডেকে নিয়ে ঢাকা-ঢোলের তালে শুরু করেন ‘চুমকি চলেছে একা পথে, সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে’ গানটি। ভারতীয় হাইকমিশনারকেও গানটি গাইতে বলেন মেয়র। মেয়রের সঙ্গে গানটি গেয়ে শোনান ভারতীয় হাইকমিশনার। এ ছাড়া মেয়রের সঙ্গে গান গেয়ে শোনান ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল অসান জুনিয়র। পরে মেয়র ব্রুনাই দারুসসালামের রাষ্ট্রদূত হাজি হারিস বিন ওসমানের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলেন। এভাবেই ডিএনসিসি মেয়র উৎসবে আগত স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দে ভাগাভাগি করে নেন। ‘হিরোস ফর অল’-এর প্রতিষ্ঠাতা রেহনুমা করিমের সঞ্চালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাছিনা বারী চৌধুরী, বারিধারা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ফিরোজ এম হাসান প্রমুখ।
২৭ জানুয়ারি, ২০২৪

সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা সবার কর্তব্য
নির্বাচনকালে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যাতে কোনোপ্রকার সহিংসতার শিকার না হয়, সেজন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সোচ্চার রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকেই এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান। এই সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখা আমাদের সবার কর্তব্য। এক্ষেত্রে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধের কোনো বিকল্প নেই। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। এ সময় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজাসহ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজননীন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কামাল উদ্দিন বলেন, পূজার পুরো সময় আমরা সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারের সব গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে যোগাযোগ রেখেছি।
২৫ অক্টোবর, ২০২৩

কলকাতায় পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব  / কাঁটাতার নাড়ির বন্ধন ছিঁড়তে পারেনি
সীমান্তের কাঁটাতার বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গকে বিভক্ত করলেও, আমাদের হৃদয় ও নাড়ির বন্ধন ছিন্ন করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, একই মাটির গন্ধ, নদীর জল, পাখির কলতান, মেঘমালার বৃষ্টি, সংস্কৃতিতে আমাদের জীবন। দক্ষিণ কলকাতার নন্দন-১ প্রেক্ষাগৃহে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুই বাংলার চলচ্চিত্রকাররা একসঙ্গে কাজ করলে বাংলা চলচ্চিত্র বিশ্ব অঙ্গন দখল করবে—এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের সূচনা। সবার সহযোগিতায় বিগত বছরগুলোতে কলকাতায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসব যেমন সফলতা পেয়েছে, এ বছরও পাবে আশা করি। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিদ্যালয় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। ব্রাত্য বসু বলেন, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি আলাদা নয়। সেক্ষেত্রে মনে করি, এটি দুই বাংলার চলচ্চিত্র উৎসব। পঞ্চম বর্ষেও নিশ্চয়ই উৎসবের সিনেমা পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আকৃষ্ট করবে। আমরাও চাই কলকাতার ছবি নিয়ে বাংলাদেশে উৎসব হোক। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, অভিনয়শিল্পী ফেরদৌস আহমেদ, পূর্ণিমা, অরুণা বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, কণ্ঠশিল্পী রূপঙ্কর বাগচী, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের আয়োজনে সেখানকার ঐতিহাসিক নন্দন-১ ও ২ প্রেক্ষাগৃহে ২৯ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত উৎসবে হাসিনা-আ ডটার’স টেল, জেকে-১৯৭১, বীরকন্যা প্রীতিলতা, লালশাড়ি, গেরিলা, দামাল, পরাণ, গুণিনসহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।
২৯ জুলাই, ২০২৩
X