আইইউবিএটিতে ‘মেথডস্ অব স্ট্যাটিসটিক্স উইথ এপ্লিকেশনস্’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিএটি) ‘মেথডস্ অব স্ট্যাটিসটিক্স উইথ এপ্লিকেশনস্’ নামক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১টায় এ মোড়ক অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এ বইটি লিখেছেন আইইউবিএটির তিনজন শিক্ষক- অধ্যাপক ড. খন্দকার সাইফ উদ্দিন, অধ্যাপক ড. অনিল চন্দ্র বসাক এবং অধ্যাপক ড. রাজীব লোচন দাস। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজসমূহের নানাবিধ বিষয়ের স্নাতক সম্মান প্রোগ্রামের ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে এ বইটি লেখা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইইউবিএটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি  ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন আইইউবিএটির কোষাধ্যক্ষ ও অধ্যাপক সেলিনা নার্গিস। অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. খন্দকার সাইফ উদ্দিন বইটি লেখার প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা বর্ণনা করেন। প্রধান অতিথি  ড. মো. শাহজাহান কবীর সব ক্ষেত্রে- বিশেষ করে কৃষি, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণা কাজের জন্য পরিসংখ্যানের তাৎপর্য বর্ণনা করেন। তিনি একটি ভালো বইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং উক্ত বইটির সাফল্যের ব্যাপারে তার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আব্দুর রব অন্যান্য অনুষদের পাঠ্যপুস্তক রচনায় শিক্ষকবৃন্দকে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি লেখকদের জন্য শুভকামনা এবং বইটির সাফল্য কামনা করেন। অধ্যাপক ড. অনিল চন্দ্র বসাক বই উন্মোচন অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সম্মানিত অতিথি, উপস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
২৯ জুন, ২০২৪

রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’ অবলম্বনে নির্মিত ফটো স্টোরির প্রদর্শনী ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কাব্যধর্মী উপন্যাস শেষের কবিতা অবলম্বনে ফটো স্টোরি নির্মিত হয়েঠে। গবেষণাধর্মী এই নির্মাণশৈলীর মূল চরিত্রে আছেন ওপার বাংলার বিখ্যাত অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন ডা. শ্রেয়া সেন। পাশাপাশি এই ফটো স্টোরির সঙ্গে আরও রয়েছেন এপার বাংলার অভিনেতা শাশ্বত দত্ত। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে ও সিটি ব্যাংকের সহযোগিতায় নির্মিত এই ফটো স্টোরি প্রকল্প প্রধান ও আলোকচিত্রী হিসেবে আছেন স্থপতি ফওজিয়া জাহান এবং এতে ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত আছেন সি এফ জামান। বর্তমান প্রজন্মকে সাহিত্যমুখী করে তুলতে নির্মিত এই ফটো স্টোরিতে বেশ কিছু স্থির চিত্রের মাধ্যমে সমগ্র উপন্যাসটি তুলে ধরা হয়েছে। শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় একটি চিত্রপ্রদর্শনী ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে নির্মাণশৈলীটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নিজ বক্তব্যে প্রধান অতিথি এই নতুন চিন্তার সৃজনশীল প্রকাশের সাধুবাদ জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এর মাধ্যমে আরও নতুন নতুন কাজের সূচনা হবে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি (শাখা-৭)  রাজীব কুমার সরকার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী ড. অণিমা রায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও গরবিনী মা সম্মাননার প্রধান উদ্যোক্তা ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।  এ সময় বক্তারা বলেন, যে তরুণদের শুধু স্যোশাল মিডিয়ায় মনোনিবেশ না করে পাশাপাশি এরকম সাংস্কৃতিক রুচিশীল কাজেও যুক্ত হওয়া উচিত। এ  ধরনের কাজের মাধ্যমে মৌলিক জ্ঞান আহরণ এবং সাহিত্য সংস্কৃতির মূলধারার সঙ্গে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেতা ও ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ। এই কাজ নিয়ে পরমব্রত বলেন, আজ পর্যন্ত অনেক ধরনের আর্ট ফর্ম নিয়েই কাজ করা হয়েছে, তবে স্থিরচিত্র নিয়ে এমন নান্দনিক কাজ এই প্রথম। আশা করি, সবার কাছে এটা ভালো লাগবে।  ডা. শ্রেয়া বলেন, পেশাগতভাবে আমি ডাক্তার, বর্তমানে ফরেনসিক মেডিসিনে এমডি করছি। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। বিশেষত রবি ঠাকুর আর নজরুলের অনেক কাজ আবৃত্তি আর অনুবাদ করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এর আগেও কিছু কাজ করেছি আমি, তাই এই ফটো স্টোরির অফার আসতেই আমি রাজি হয়ে যাই। আশা করি, দর্শকের এই কাজ ভালো লাগবে। মানুষের হারিয়ে যাওয়া পড়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে এই ফটো স্টোরি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলেই প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট সকলেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এই আয়োজনের সংগীত পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট সংগীত ব্যক্তিত্ব ফোয়াদ নাসের বাবু, সঞ্চালনায় ছিলেন নন্দিত উপস্থাপক ও নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস এবং এই অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার ছিল চ্যানেল আই।
২৯ জুন, ২০২৪

সোলায়মান চৌধুরীর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ‘এক ব্যক্তির পৈতৃক সম্পত্তি বা জমিদারিতে পরিণত করেছে’। এখানে রাষ্ট্র ব্যবস্থা বলে কিছুই নেই। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা এখন আর রাষ্ট্র নেই। তাদের যা ইচ্ছা তাই করছে, করে যাবে। এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর লেখা ‘ফেনীতে ৩২১ দিন জেলা প্রশাসক হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এই প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়। বইটি প্রকাশ করেছে সূচিপত্র প্রকাশনী। এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, কবি আবদুল হাই শিকদার, সূচিপত্রের প্রকাশক সাঈদ বারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২৯ মে, ২০২৪

শ্রীরাধা দত্তের ‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর যৌথ উদ্যোগে বিআইআইএসএস (বিজ) অডিটোরিয়ামে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২ টায় ‘Bangladesh on a New Journey: Moving Beyond the Regional Identity’ (‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি’) শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাওসুল আযম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। বইটির সম্পাদক ভারতের প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বইটির পরিচিতি তুলে ধরেন এবং বইটির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। বইয়ের আলোচনা পর্বে অংশ নেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস)-এর পরিচালক ড. ইকবাল সিং সেভিয়া, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই)-এর সভাপতি রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এবং বিএফআরএসের চেয়ারম্যান এএসএম শামছুল আরেফিন। প্রধান অতিথি ড. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ এবং ভারতের সোনালী সম্পর্কের অধ্যায় তুলে ধরে বলেন, এ বইটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় দিকগুলো তুলে ধরবে। বইটি আঞ্চলিক সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলতে সহায়তা করবে। শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অনুকরণীয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও আশা করা যায় বইটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিজ্ঞ আলোচকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিকে তার প্রাসঙ্গিকতা বহন করে। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি ধারণার প্রতি তার সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছে। আলোচকরা বলেন, সার্ক ও বিমসটেকের মতো উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংহতি বাড়ানোর জন্য অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। তারা আরও বলেন, ড. শ্রীরাধা দত্ত সম্পাদিত বইটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দক্ষ কূটনীতি এবং টেকসই সংযুক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে দেশের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, উর্দ্ধতন সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক কূটনীতিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

শ্রীরাধা দত্তের ‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর যৌথ উদ্যোগে বিআইআইএসএস (বিজ) অডিটোরিয়ামে বুধবার (৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় ‘Bangladesh on a New Journey: Moving Beyond the Regional Identity’ (‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি’) শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাওসুল আযম সরকার। স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান। বইটির সম্পাদক ভারতের প্রখ্যাত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বইটির পরিচিতি তুলে ধরেন এবং বইটির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। বইয়ের আলোচনা পর্বে অংশ নেন সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস)-এর পরিচালক ড. ইকবাল সিং সেভিয়া, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট (বিইআই)-এর সভাপতি রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির এবং বিএফআরএসের চেয়ারম্যান এএসএম শামছুল আরেফিন। প্রধান অতিথি ড. আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ এবং ভারতের সোনালি সম্পর্কের অধ্যায় তুলে ধরে বলেন, এ বইটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময় দিকগুলো তুলে ধরবে। বইটি আঞ্চলিক সম্পর্কের নতুন দ্বার খুলতে সহায়তা করবে। শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য অনুকরণীয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও আশা করা যায় বইটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে সমৃদ্ধ করবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিজ্ঞ আলোচকরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এখন ইন্দো-প্যাসিফিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা ইন্দো-প্যাসিফিকে তার প্রাসঙ্গিকতা বহন করে। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তি ধারণার প্রতি তার সদিচ্ছা প্রদর্শন করেছে। আলোচকরা বলেন, সার্ক ও বিমসটেকের মতো উদ্যোগে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংহতি বাড়ানোর জন্য অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। তারা আরও বলেন, ড. শ্রীরাধা দত্ত সম্পাদিত বইটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে দক্ষ কূটনীতি এবং টেকসই সংযুক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক ও কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনে দেশের সম্ভাবনার ওপর জোর দিয়েছে। অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/সংস্থার পদস্থ কর্মকর্তা, ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, সাবেক কূটনীতিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী ব্যক্তিত্ব।
০৮ মার্চ, ২০২৪

নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে ডা. জাকিরের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউরসহ নানা অসংক্রামক রোগের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন)। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে এসব রোগে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে ‘পথে বসছে’ হাজারো মানুষ। তবে উচ্চ রক্তচাপের ভয়াবহতা ও করণীয় প্রসঙ্গে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির মাধ্যমে রোগটি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন  বিশেষজ্ঞরা। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির কবি জসীম উদ্দীন ভবনে অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন রচিত ‘রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ রক্তচাপ, যা প্রায় একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত। এর জন্য চিকিৎসা ও প্রতিরোধ খুবই জরুরি। না হলে বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি হঠাৎ করে মৃত্যুরও ঝুঁকি থাকে। অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপ দুটি আলাদা বিষয়। রক্তচাপ সবারই আছে কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ হলো রোগ, যা মানুষকে নানা জটিল সমস্যার মুখোমুখি করে দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয়ে থাকে সাইলেন্ট কিলার। দেশে কেউ কেউ মনে করেন তার উচ্চ রক্তচাপ আছে কিন্তু লক্ষ্মণ নেই। যে কারণে তিনি কখনো চিকিৎসকের পরামর্শও নেন না। আবার কিছু মানুষ আছে যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে কিন্তু কিছুদিন মেডিসিন নিয়ে ওষুধ বন্ধ করে দেন, এগুলো খুবই ভয়াবহ সমস্যার কারণ। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে প্রেশার হলে তেঁতুল খাওয়া নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি রয়ে গেছে। কিন্তু এটি আসলে কোনো কাজই করে না। দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেওয়াই উত্তম। ডা. আবদুল্লাহ বলেন, কারও একবার যদি প্রেশার হয়েই যায়, তাহলে একেবারে কখনো সেটি সেরে যায় না। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য। যদি প্রতিরোধ করা না যায়, তাহলে দেহের চারটি অর্গান (ব্রেন, হার্ট, কিডনি, চোখ) মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। তাই কোনোভাবেই উচ্চ রক্তচাপকে অবজ্ঞা করা যাবে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে হবে, যা চাইলেই সম্ভব। এ সময় অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক বলেন, হাইপারটেনশন হলো উচ্চ রক্তচাপ। এটি নীরব ঘাতক। এর প্রাদুর্ভাব ইদানীং খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে এই হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেলে ধ্বংসাত্মক হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইলিউরসহ নানা জটিল কিছু হয়ে যেতে পারে। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, কিছু রোগ হাজারো পরিবারকে পথে বসিয়ে দিচ্ছে। আর সেসব রোগের মূল কারণই হলো হাইপারটেনশন। তিনি বলেন, একজন চিকিৎসকদের মূল কাজ হলো মানুষকে শেখানো, শুধু প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়া নয়। একজন চিকিৎসক তখনই মানুষকে রোগের ব্যাখ্যাটা পরিপূর্ণভাবে দিতে পারেন, যিনি ওই রোগটি নিয়ে ভালো করে জানেন। এজন্য নিজেকে আগে ওই রোগের বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে হবে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন গবেষণাগুলোতে যুক্ত থাকতে হবে। প্রখ্যাত এই চিকিৎসক বলেন, যদি হাইপারটেনশন নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে রোগের কুফল থেকে জনগণ রক্ষা পাবে। এক্ষেত্রে অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেনের লেখা ‘রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ’ বইটি অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা চাই বইটি আপনাদের মাধ্যমে অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ুক, মানুষ রোগ সম্পর্কে জানুক, সচেতন হোক, এটাই আমার আবেদন। ‘রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ’ বই প্রসঙ্গে লেখক অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন বলেন, হাইপারটেনশন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। অনেকটা এই নীরব ঘাতক নিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই বইটি লিখেছি। একজন ব্যক্তির হাইপারটেনশন কেন হয়, কীভাবে বেঁচে থাকা যায়, চিকিৎসা প্রক্রিয়া এবং ওষুধের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ নানা বিষয় বইতে নিয়ে এসেছি। আশা করছি যে কেউ পড়লে উপকৃত হবেন। লেখক আরও বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে রোগীদের এত উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতা জেনেছি, যা কোথাও আমি পাইনি। তাই মনে হলো এ অভিজ্ঞতাগুলো বই আকারে প্রকাশ করে অন্যদেরও জানার সুযোগ তৈরি করে দিই। হাইপারটেনশনের কনসেপ্ট নিয়মিত পাল্টাচ্ছে। নতুন নতুন টেকনিক আসছে, চিকিৎসা পদ্ধতির পরিবর্তন হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের সবসময় নতুনের সঙ্গে থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহাম্মদ নূরুল হুদা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান, কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

বরিশালে চারণকবি মুকুন্দ দাস বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মিহির দত্তের লেখা ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা চারণকবি মুকুন্দ দাস’ নামীয় বইটি আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় লেখক মিহির দত্তের বরিশাল নগরীর বাসভবন প্রাঙ্গণে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন নগরীর বিশিষ্টজনরা। শহীদ জিতেন্দ্র-সুবীর স্মৃতি সংসদের আয়োজনে মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এস মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতীক, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, চারণকবি মুকুন্দ দাস কালি বাড়ির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুকুল চন্দ্র মুখার্জী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি বিরেন্দ্র নাথ সমাদ্দার, বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ, অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক অনীশ মন্ডল, প্রভাষক পুনা হালদার, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার, প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আরম ফরিদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বরিশালের সদস্য সচিব বাহাউদ্দিন গোলাপ ও শহীদ জিতেন্দ্র-সুবীর স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বইটির লেখক মিহির দত্তর ছেলে ও শহীদ জিতেন্দ্র-সুবীর স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব শুভব্রত দত্ত। মূলত চারণকবি মুকুন্দ দাসের জীবনীর উপর লেখা বইটি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মিহির দত্ত তার জীবদ্দশায় লেখা শুরু করেন। কিন্তু তার মৃত্যুতে তা বই আকারে প্রকাশিত হয়নি। অনেক বছর অপেক্ষার পর ওই পাণ্ডুলিপিকে বই আকারে প্রকাশ করলেন তারই ছেলে সাংবাদিক শুভব্রত দত্ত। বইটি আখঁরী প্রকাশনী প্রকাশ করেছে।
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএটি বাংলাদেশ চেয়ারম্যানের আত্মজীবনীমূলক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের আত্মজীবনীমূলক বই ‘বহুজাতিক কোম্পানিতে ৫০ বছর’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার গুলশান-১ এ অবস্থিত পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনিম। এরপর বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তি, সমাজের গণ্যমান্য ও শিল্পখাতের প্রথিতযশা ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।  পরে বইটি সম্পর্কে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেন গোলাম মইন উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। দেখতে দেখতে বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করার অনেক দিন হয়ে গেল। এই অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করব বলে ভাবছিলাম। শেষ পর্যন্ত এই বইটির মাধ্যমে আমার কর্ম ও ব্যক্তিজীবনের অনেক কথা আপনাদের সাথে বলা হলো। অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথিকে আমার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’ উল্লেখ্য, ‘বহুজাতিক কোম্পানিতে ৫০ বছর’ বইটির ৩৫টি অধ্যায়ে বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান গোলাম মইন উদ্দীনের জীবনের নানা দিক উঠে এসেছে। বইটির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মইন উদ্দীনের শৈশব-কৈশোর, কর্মজীবনের শুরু, চা-বাগানে কাজ করার নানা অভিজ্ঞতা, বিএটি বাংলাদেশে লেখকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন, তার সময়কালে বিএটি বাংলাদেশের বিভিন্ন এমডিদের কার্যক্রম, বিএটি বাংলাদেশের নেওয়া নানারকম উদ্যোগ এবং কর্মীদের জন্য দিক-নির্দেশনাসহ ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন দিক। লেখক আত্মজীবনীমূলক এই বইটি উৎসর্গ করেছেন তার বন্ধুবান্ধব, ৫০ বছরের পেশা জীবনের সহকর্মী, শ্রমিক-কর্মচারী, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক ও সাধারণ জনগণকে। ৮০০ টাকা গায়ের মূল্যের বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন লিটন হালদার। বইটি প্রকাশ করেছে জাগৃতি প্রকাশনী।  
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

‘ভায়েরা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুইশ বক্তৃতা সংবলিত ‘ভায়েরা আমার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, ‘ভায়েরা আমার (মাই ব্রাদার্স)’ নামটি প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বইটির ভূমিকাও লিখেছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম ভাষণগুলো সংগ্রহ, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন। জিনিয়াস পাবলিকেশন বইটি প্রকাশ করেছে। জাতির পিতার এই ভাষণ সমগ্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এতে এখন পর্যন্ত পাওয়া সব ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির দুইশ ভাষণের মধ্যে বাংলাদেশ বেতারের আর্কাইভস থেকে পাওয়া টেপ/সিডি থেকে একশরও বেশি ভাষণ সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাষণের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা যথাযথভাবে যাচাই করা হয়েছে। বইয়ের ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু পড়াই নয়, সেগুলোর মর্মার্থ অনুধাবন করে নিজ নিজ জীবনে অনুশীলন করতে হবে। জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। এই সোনার মানুষ হতে হলে জাতির পিতার আদর্শ ও জীবনাচরণ চর্চা করা অত্যাবশ্যক। বইটির সম্পাদক নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, ভাষণসমগ্রটি রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী ও আগামী প্রজন্মের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।
১৩ জুন, ২০২৩
X