আনার হত্যা / শাহীনের বাসায় পাসপোর্ট রেখে পালিয়ে যান ফয়সাল
কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় পাসপোর্ট রেখে পালিয়ে যান আসামি মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। তারা দুজন কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সে আনার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী জবানবন্দিতে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন। গতকাল বুধবার ফয়সাল দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি ফয়সাল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ডিবির আবেদনে বলা হয়েছে, ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আর্থিক সাহায্যের আশায় মার্চের শেষের দিকে যোগাযোগ করেন। শিমুল ভূঁইয়া মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে একটি কাজ করে দিতে ভারতের কলকাতায় যেতে বলেন। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সব কাজ শিমুল করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। জরুরি পাসপোর্ট করতে মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে টাকাও দেন। পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় এসে আনোয়ারুল আজিম আনারকে প্রলুব্ধ করে শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ওঠেন। পরদিন শাহীনের পিএস পরিচয়ে সিয়াম হোসেন শাহীনের নির্দেশে মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যান। মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে সিয়াম বলেন, ‘শাহীন স্যারই আপনাদের পাসপোর্টের জন্য টাকা দিয়েছিল, তিনিই আপনাদের দ্রুত ভিসা করে দেবেন।’ আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোস্তাফিজ ও ফয়সাল শাহীনের তত্ত্বাবধানে তার বসুন্ধরার বাসায় ছিলেন। সিয়াম তাদের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন। সিয়াম তাদের জানান, ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুষঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করছে। এরই মধ্যে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেয়ে ২৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনা ফিরে যান। শিমুল ও শাহীনের পরিকল্পনায় মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ২ মে কলকাতায় যান এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে উঠে অবস্থান করতে থাকেন। পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজ ১০ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্স নামে একটি বাসায় যান। শাহীনের পরিকল্পনায় আনোয়ারুল আজিম আনার সেই বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুলের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামারা ভিকটিমকে অজ্ঞান করে হত্যা করে। একই সঙ্গে লাশ গুম করতে মৃতদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেন। মোস্তাফিজ ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে বাংলাদেশে ফিরে শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় উঠেন। পরবর্তী সময়ে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলে শিমুল ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হয় এবং পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ পালিয়ে আত্মগোপনে যান। উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম গত ১২ মে দর্শনা–গেদে সীমান্ত দিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। বরাহনগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ওঠেন। কিন্তু ১৬ মে থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে না পারায় নিখোঁজ জানিয়ে ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন তার কলকাতার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। গত ২২ মে সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনোয়ারুল আজিম খুন হওয়ার খবর আসে। পরে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় অপহরণের পর গুম করার অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তী রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৪ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা, যেভাবে পালিয়ে যান ফয়সাল
কলকাতার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরাস্থ বাসায় পাসপোর্ট রেখে পালিয়ে যান মোস্তাফিজ ও ফয়সাল। তারা দুজন কলকাতার সঞ্জিবা গার্ডেনসে আনার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন। আসামি আসামি ফয়সাল আলী সাহাজীর ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে ও জবানবন্দিতে এসব তথ্য উল্লেখ করেছেন।  বুধবার (৩ জুলাই) আসামি ফয়সাল দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন।  গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালীন আসামি ফয়সাল স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। ডিবির আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার আসামী ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভুইয়ার সাথে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আর্থিক সাহায্য লাভের আশায় মার্চের শেষের দিকে যোগাযোগ করে। ঘাতক শিমুল ভুইয়া মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে বড় অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে একটা কাজ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলে। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকেটসহ সকল কাজ শিমুল ভুইয়া করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। জরুরী পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে টাকাও দেয়। জরুরীভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আনুমানিক ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় এসে অত্র মামলার ভিকটিম আনোয়ারুল আজিম আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ পূর্বক হত্যা মামলার মূলপরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় উঠে। পরদিন মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পিএস পরিচয়ধারী সিয়াম হোসেন নামে এক লোক উক্ত বাসায় এসে শাহীনের নির্দেশ মোতাবেক দুজনকে (মোস্তাফিজ ও ফয়সাল) নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের কাছে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং সিয়াম মোস্তাফিজ ও ফয়সাল দ্বয়কে বলে শাহীন স্যারই আপনাদের পাসপোর্টের জন্য টাকা দিয়েছিল, তিনিই (শাহীন) আপনাদের দ্রুত ভিসা করে দিবেন। আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আনুমানিক ১৫ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোস্তাফিজ ও ফয়সাল মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের তত্ত্বাবধানে বসুন্ধরাস্থ বাসায় ছিল। শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন তাদের (মোস্তাফিজ ও ফয়সাল) দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল। সিয়াম তাদের (মোস্তাফিজ ও ফয়সাল) জানিয়েছিলো যে, তাদের ভিসার জন্য শাহীন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তৈরি, রোগের প্রেসক্রিপশনসহ আনুসঙ্গিক কাজের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করছে। ইতোমধ্যে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেয়ে আনুমানিক ২৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনা ফিরে যায়। ঘাতক শিমুল ভুইয়া ও আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ২ মে ভারতের কলকাতায় যায় এবং নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে অবস্থান করতে থাকে। পরিকল্পনা মোতাবেক মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ১০ মে কলকাতার নিউটাউনস্থ সঞ্জিবা গার্ডেন্স নামক বাসায় যায়। মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের পরিকল্পনায় ভিকটিম আনোয়ারুল আজিম আনার বাসায় গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভুইয়ার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় ঘাতক দলের সদস্যরা জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অজ্ঞাতনামারা ভিকটিমকে অজ্ঞান করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। ঘাতক দলের সদস্য মোস্তাফিজ ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং অপহরণ পূর্বক হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় উঠে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করলে মূল ঘাতক শিমুল ভুইয়া গ্রেপ্তার হয় এবং পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুইঁয়া, শিলাস্তা রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।   
০৩ জুলাই, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা : স্বীকারোক্তি দিচ্ছেন ফয়সাল
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশে অপহরণের মামলায় আসামি ফয়সাল আলী সাহাজী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন।  বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড চলছে। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  এদিন রিমান্ড শেষে আসামি ফয়সাল আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এ মামলায় গতকাল আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ফকির আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে গত ২৭ জুন শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহের আদালত মোস্তাফিজ ও ফয়সালের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  গত ১২ মে সন্ধ্যায় আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভুঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, কাজী কামাল আহমেদ বাবু ও মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। এদিকে এ মামলায় দায় স্বীকার না করায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  
০৩ জুলাই, ২০২৪

আনার হত্যা / মেডিকেল ভিসায় কলকাতায় যায় কিলার মোস্তাফিজ ও ফয়সাল
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় জড়িত কিলার গ্রুপের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফকির ও ফয়সাল আলী সাইজী মেডিকেল ভিসায় ভারতে গিয়েছিল। তাদের জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট তৈরি ও ভিসার ব্যবস্থা করে দেয় মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। ভিসা পেতে তাদের জন্য ভুয়া প্রেসক্রিপশন ও ভুয়া ব্যাংক স্টেটমেন্টও বানানো হয়েছিল। এসবের তদারকি করেছে মূল কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি ও ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানিয়েছে মোস্তাফিজ। গতকাল মঙ্গলবার সে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন। অন্য আসামি ফয়সাল রিমান্ডে। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আনার খুনের আগে ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করেছিল। কলকাতায় খুনের পর তারা ঢাকায় ফিরে একই বাসায় অবস্থান করে। গত ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে ভারত যান এমপি আনার। এর পরের দিন থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই ঘটনায় ভারতে সাধারণ ডায়েরি হয়। পাশাপাশি ঢাকায় হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন তার মেয়ে। শেষ পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান নামে তিনজনকে আটকের পর ডিবি জানতে পারে, ১৩ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে নৃশংসভাবে খুন করা হয় আনারকে। এই খুনের মাস্টারমাইন্ড আনারের বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন। মূল কিলার শিমুল ভূঁইয়া। সে কিলারদের কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য ও জবানবন্দির তথ্য উল্লেখ করে ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধান কিলার শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল আর্থিক সাহায্য পেতে গত মার্চের শেষের দিকে যোগাযোগ করে। শিমুল ভূঁইয়া মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে বড় অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ‘একটা কাজ’ করে দেওয়ার জন্য ভারতের কলকাতায় যেতে বলে। পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিটসহ সব কাজ শিমুল ভূঁইয়া করে দেবে বলে আশ্বাস দেয়। জরুরি পাসপোর্ট করার জন্য মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে টাকাও দেওয়া হয়। জরুরিভাবে পাসপোর্ট করে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ১৫ এপ্রিল খুলনা থেকে ঢাকায় এসে এমপি আনারকে অপহরণ ও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বসুন্ধরার বাসায় ওঠে। পরদিন শাহীনের পিএস সিয়াম হোসেন ওই বাসায় এসে শাহীনের নির্দেশে কিলার গ্রুপের ওই দুই সদস্যকে নিয়ে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে যায়। সিয়াম তখন মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে বলে, ‘শাহীন স্যারই আপনাদের পাসপোর্টের জন্য টাকা দিয়েছিল, তিনিই আপনাদের দ্রুত ভিসা করে দেবেন।’ তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আনুমানিক ১৫ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোস্তাফিজ ও ফয়সাল শাহীনের তত্ত্বাবধানে তার বাসায় ছিল। সিয়াম তাদের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিল। মোস্তাফিজ ও ফয়সাল ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেয়ে ২৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে খুলনা ফিরে যায়। পরে শিমুল ভূঁইয়া ও শাহীনের পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দুজন ২ মে কলকাতায় গিয়ে নিউমার্কেট এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। ১০ মে তারা কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটে যায়। মাস্টারমাইন্ড শাহীনের পরিকল্পনায় এমপি আনার ওই ফ্ল্যাটে গেলে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় কিলার গ্রুপের অন্য সদস্য জিহাদ, ফয়সাল, মোস্তাফিজসহ অন্যরা আনারকে অচেতন করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করতে মৃতদেহ থেকে হাড় ও মাংস আলাদা করে নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। মোস্তাফিজ ও ফয়সাল কিলিং মিশন শেষ করে ১৯ মে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে শাহীনের বাসায় ওঠে। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, প্রধান ঘাতক শিমুল ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে মোস্তাফিজ ও ফয়সাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের বাসা ছেড়ে পালিয়েছিল। তবে তাদের পাসপোর্ট দুটি ওই বাসাতেই রেখে যায়। ওই দুই আসামির তথ্যের ভিত্তিতে ২৯ জুন সেখান থেকে পাসপোর্ট দুটি জব্দ করা হয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, এমপি আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার মূল কিলার শিমুল ভূঁইয়া, কিলার গ্রুপের সদস্য তানভীর ভূঁইয়া, মাস্টারমাইন্ড শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান এবং ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা কারাগারে রয়েছে। এ নিয়ে এই মামলায় চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিল। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু কারাগারে রয়েছেন। তবে তিনি আদালতে দায় স্বীকার করেননি। এ ছাড়া খুনের ঘটনায় কলকাতা সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ভারতের কারাগারে রয়েছে কিলার গ্রুপের সদস্য জিহাদ ও সিয়াম।
০৩ জুলাই, ২০২৪

ববির ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বাহাদুর, সদস্যসচিব ফয়সাল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এতে তাদের উপস্থিতিতে অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক সুব্রত কুমার বাহাদুরকে আহ্বায়ক এবং উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাজ্জাদ উল্লাহ ফয়সালকে সদস্যসচিব করে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। রোববার (২ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ডিরেক্ট অফিসার বা সরাসরি অফিসারের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অফিসারদের দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনাসভা করা হয়। পরে ছয় দফা বেদিতে শ্রদ্ধা অর্পণের মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. মুরশীদ আবেদীন, উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, উপরেজিস্ট্রার তামান্না শারমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন অর রশিদ, সহকারী পরিচালক সেলিনা বেগম, সহকারী পরিচালক আবু হাছান, সহকারী রেজিস্ট্রার সুব্রত বাড়ৈ, সহকারী রেজিস্ট্রার দুলসাদ বেগম বীথি, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জসিম উদ্দিন, সেকশন অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম এবং স্টোর অফিসার মো. জাহাঙ্গির আলম রাহাত। কমিটির আহ্বায়ক সুব্রত কুমার বাহাদুর জানান, সরাসরি অফিসারদের আরও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাবো। একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কাজের উন্নতির পাশাপাশি চেইন অব কমান্ড তৈরি হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।
০৩ জুন, ২০২৪

বিয়ের ৫ মাস পর দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
নড়াইলের লোহাগড়ায় ছুরিকাঘাতে মুন্সি ফয়সাল আহমেদ (২৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে।  সোমবার (১৩মে) রাত আনুমানিক ৯টার সময় লোহাগড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষীপাশা গ্রামের কলা ব্যবসায়ী কাশেমের বাড়ির সামনে সড়কে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  ফয়সাল আহমেদ নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের আহম্মেদ মুন্সির ছেলে।  নিহতের বাবা আহম্মেদ মুন্সি জানান, আমার ছেলে দুদিন যাবত নিজের ব্যাটারি চালিত ভ্যানে বেকারির মালামাল বিক্রি করতো। আজ সকালে সে ভ্যান নিয়ে বেকারির মালামাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। গতকাল রোববার দুপুর ৩টায় খাবার খাওয়ার জন্য বাড়িতে সে এসেছিল। কিন্তু আজ সকালে আমার ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসে নাই। আজ রাত ৯ টার পর আমার ছেলের মোবাইলে আমি কল করলে কলটি রিসিভ করেন লোহাগড়া থানার এসআই আল মামুন। মোবাইল রিসিভ করে তিনি আমার ছেলের খুনের ঘটনা জানান।  তিনি আরও বলেন, ৫ মাস আগে আমার ছেলে বিয়ে করে। ২ বছর আগে আমার ছেলে লোহাগড়া রেল প্রজেক্টে অস্থায়ীভাবে চাকরিতে নিয়জিত ছিল। ওই চাকরি চলে যাওয়ায় আমার ছেলে প্রায় ২ বছর বেকার অবস্থায় জীবনযাপন করে আসছিল। দুদিন হলো বাপ্পি নামের এক বেকারি ব্যবসায়ীর অধীনে বেকারির ডেলিভারি ম্যান হিসেবে চাকরি নেয়।  এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রক্রিয়া চলমান। এ ব্যাপারে নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) তারেক আল মেহেদী বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৪ মে, ২০২৪

মুন্সীগঞ্জ-৩ / আচরণবিধি লঙ্ঘনে আদালতে ক্ষমা চাইলেন বিপ্লব
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন বিপ্লব। জানতে চাইলে সাংবাদিকদের ফয়সাল বিপ্লব বলেন, আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে আমি আদালতের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সেটা ভঙ্গ হোক বা না হোক এবং ভবিষ্যতেও কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন ঘটবে না। এদিকে ফয়সাল বিপ্লবের লিখিত ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে আদেশ পরবর্তীতে জানানো হবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেয় মুন্সীগঞ্জ-৩ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ফাহমিদা খাতুন। কারণ দর্শানোর নোটিশ থেকে জানা যায়, গত শনিবার ২৮ থেকে ৩০ জন লোকসহ গজারিয়া ভবের চর বাজারস্থ গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থনে নৌকার প্রচার বন্ধ করে এবং বিপ্লবের উপস্থিতিতে পার্টি অফিসে ভাংচুর, নৌকা প্রতীকের পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে। এমনকি প্রতিবাদ করায় অভিযোগকারীকে মারধর করে। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আল মাহমুদ বাবু, ছাত্রলীগ কর্মী এস এম কিবরিয়া এবং নৌকা প্রতীকের সমর্থক শাহ আলম। পরবর্তীতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণে তারা জানতে পারেন, ফয়সাল নির্বাচনী আচরণবিধি অমান্য করেছেন।
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

এমপি মৃণালকে সাম্প্রদায়িক ভাষায় গালাগাল / ফয়সাল বিপ্লবকে বহিষ্কারের দাবি
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের বড় ছেলে মেয়র মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে স্থানীয় এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে অকথ্য সাম্প্রদায়িক ভাষায় গালাগাল করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ধর্মীয় বৈষম্যবিরোধী মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।  বিবৃতিতে সংসদ সদস্যের ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখে অশ্রাব্য ভাষায় বক্তব্য দেওয়ায় অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারি দলের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।  সোমবার (২ অক্টোবর) সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।  সংগঠনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্তের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নপুংশক, চাঁড়াল’সহ নানা সাম্প্রদায়িক উক্তিতে স্থানীয় মৃণাল কান্তি দাসকে গালাগালের মাধ্যমে ফয়সাল বিপ্লব শুধু সাম্প্রদায়িক মানসিকতার-ই পরিচয় দেয়নি বরং তিনি আওয়ামী লীগের অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তিকেও চূড়ান্তভাবে ক্ষুণ্ন করেছেন। এমনকি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।  অনতিবিলম্বে এ পদ থেকে বহিষ্কারের জন্যও সরকারের প্রতি বিবৃতিতে জোর দাবি জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় আগামী সংসদ নির্বাচনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
০২ অক্টোবর, ২০২৩

টিভি আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদির জঘন্য কাণ্ড
ইমার্জিং এশিয়া কাপ সেমিফাইনালে রাকিবুলের বলে আকবরের বুদ্ধিদীপ্ত স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটার নিকিন জোসে। শুরুতে ফিল্ড আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দিলেও পরে সেটা পরিবর্তন করে বিতর্কের জন্ম দেন টিভি আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদি। ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, নিকিনের পায়ের নিচে ছায়া স্পষ্ট ছিল। পা আর মাটির মাঝে ব্যবধানটাও ছিল স্পষ্ট। ব্যাটার নিকিন জোসে ক্রিজ ছেড়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৭-৮টি অ্যাঙ্গেলে রিপ্লে দেখে সিদ্ধান্তটি পরিবর্তন করান পাকিস্তানি এই আম্পায়ার। এরপরই ফয়সাল আফ্রিদিরি এমন কাণ্ডে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
২২ জুলাই, ২০২৩
X