প্রথমবার চালু প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি
মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রচলিত পদ্ধতিতে ফরমালিনে রেখে সংরক্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে প্রযুক্তির ব্যবহারে তা সংরক্ষণ করা হয়। এতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও অর্গানের মৌলিক আকার-আকৃতি এবং বৈশিষ্ট্য বজায়ে থাকে। তৈরি হয় না গন্ধ। এর ফলে শিক্ষার্থী ও গবেষকরা সেগুলো হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারেন। দেশে প্রথমবারের মতো এমন পদ্ধতিযুক্ত প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও অ্যানাটমি মিউজিয়াম চালু হয়েছে। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অ্যানাটমি বিভাগের অধীনে প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও অ্যানাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, অ্যানাটমি একটি কঠিন বিষয় হলেও এটি চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি মৌলিক বিষয়। তাই অ্যানাটমিতে দক্ষ না হলে ভালো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়।
০৪ জুলাই, ২০২৪

দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স। বুধবার (৩ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের অধীনে প্লাস্টিনেশন ল্যাবরেটরি ও এনাটমি মিউজিয়াম কমপ্লেক্স এর প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক বলেন, এনাটমি একটি কঠিন বিষয় হলেও এটা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বেসিক বিষয়। তাই এনাটমিতে দক্ষ না হলে ভালো চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়। তাই দক্ষ চিকিৎসক হওয়ার জন্য এনাটমির উপর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।  তিনি বলেন, প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতির ওপর একটি ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হলে সমগ্র দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, যা মেডিকেল শিক্ষা ও গবেষণাকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।  অনুষ্ঠানে উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম প্রমুখসহ উক্ত বিভাগের সকল শিক্ষকবৃন্দ, রেসিডেন্টরা উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, প্রচলিত পদ্ধতিতে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ফরমালিনে রেখে সংরক্ষণ করা হয় এবং সেখান থেকে পরবর্তীতে শিক্ষা এবং গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু প্লাস্টিনেশন পদ্ধতি প্রচলিত পদ্ধতির থেকে একটু আলাদা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংরক্ষণ করা হয়। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে ফরমালিন ছাড়াও এখানে এসিটোন এবং সিলিকন ব্যবহার করা হয়, যার ফলে মূল অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অথবা অর্গানের মতো বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। প্লাস্টিনেশন পদ্ধতিতে তৈরি দেহের অর্গানগুলোতে কোনো গন্ধ তৈরি হয় না, যার ফলে শিক্ষার্থীরা হাতে নিয়ে সহজেই গবেষণা করতে পারে। বাংলাদেশের ভেতরে এটিই প্রথম ল্যাব, যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। 
০৩ জুলাই, ২০২৪
X