ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়
ইরানে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াচ্ছে ‘রান-অব’ বা দ্বিতীয় পর্বে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় এককভাবে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় পরের ধাপে যাচ্ছে নির্বাচন। দেশটির নির্বাচনী সদর দপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এ সিদ্ধান্ত জানান। নির্বাচনে মূলত দুজন প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। তবে এগিয়ে থাকা প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪২.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ইরানের সংবিধান অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারও নির্বাচন হয়। আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণের তারিখ আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে। সূত্র: পার্স টিভি চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে প্রথম পর্বে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪০ ভোট। নির্বাচনের বাকি দুই প্রার্থী পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ ভোট এবং ২ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট। নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন শীর্ষ দুই প্রার্থী: সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান দ্বিতীয় পর্বের ভোটের জন্য তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইরানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রথম পর্বের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হওয়ার মুহূর্ত থেকে শীর্ষ দুই প্রার্থী তাদের প্রচারাভিযান শুরু করতে পারবেন এবং এ প্রচার চলবে দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত। এর আগে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময়সীমা শুক্রবার তিন দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত রাত ১২টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। শুক্রবারের ভোট গ্রহণের জন্য সারা দেশে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৯৫টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ৩১৪টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। ওইসব কেন্দ্রেও ইরান সময় শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হয়। ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়ার কারণে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ইরানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। ইব্রাহিম রায়িসির শাহাদাতের পর সংবিধান অনুসারে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবারের নির্বাচনের নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে মোট ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ জন ভোটার। অর্থাৎ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরো ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করছে।
৩০ জুন, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়
ইরানে শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াচ্ছে ‘রান-অফ’ বা দ্বিতীয় পর্বে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণায় এককভাবে কোনো প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় পরের ধাপে যাচ্ছে নির্বাচন। দেশটির নির্বাচনী সদরদপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ সিদ্ধান্ত জানান।  নির্বাচনে মূলত দুজন প্রার্থীর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হয়েছে। তবে এগিয়ে থাকা প্রার্থী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪২.৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।  ইরানের সংবিধান অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী শতকরা ৫০ ভাগের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারো নির্বাচন হয়। আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের তারিখ আগে থেকেই নির্ধারিত রয়েছে। সূত্র : পার্স টিভি  চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেশকিয়ান এক কোটি চার লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে প্রথম পর্বে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪০ ভোট।   নির্বাচনের বাকি দুই প্রার্থী পার্লামেন্ট স্পিকার বাকের কলিবফ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ ভোট এবং ২ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট।  নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে শীর্ষ দুই প্রার্থী সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ান দ্বিতীয় পর্বের ভোটের জন্য তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইরানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রথম পর্বের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষিত হওয়ার মুহূর্ত থেকে শীর্ষ দুই প্রার্থী তাদের প্রচারাভিযান শুরু করতে পারবেন এবং এ প্রচার চলবে দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে পর্যন্ত। এর আগে ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণের সময়সীমা শুক্রবার তিন দফা বাড়ানোর পর শেষ পর্যন্ত রাত ১২টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়।  শুক্রবারের ভোটগ্রহণের জন্য সারাদেশে প্রায় ৫৮ হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিল। এ ছাড়া ৯৫টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানি নাগরিকদের জন্য বিশ্বজুড়ে ৩১৪টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। ওইসব কেন্দ্রেও ইরান সময় শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। ইরানের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৫ সালের জুন মাসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৯ মে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার সাত সফরসঙ্গীসহ এক মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শহীদ হওয়ার কারণে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। ইরানে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর। ইব্রাহিম রাইসির শাহাদাতের পর সংবিধান অনুসারে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এবং তার তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবারের নির্বাচনের নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন ৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে মোট ভোট দিয়েছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ জন ভোটার। অর্থাৎ এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করছে।
২৯ জুন, ২০২৪

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী
ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর তার উত্তরসূরি বাছাইয়ে আজ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে। তবে শেষ মুহূর্তে গত বুধবার ছয় প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। খবর তাসনিম নিউজের। ইরানের জাতীয় নির্বাচন সদর দপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, ছয় প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। তাদের একজন হলেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেন গাজিজাদেহ হাশেমি। তিনি বুধবার রাতে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। অন্যজন হলেন আলি রেজা জাকানি। জাকানি গতকাল বৃহস্পতিবার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। বাকি চার প্রার্থী হলেন—মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ, সাইদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। তাদের মধ্যে রাইসির উত্তরসূরি হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে মোহাম্মদ বাকের কালিবাফের নাম। এর আগে ২০০৫, ২০১৩ ও ২০১৭ সালেও কালিবাফ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তবে শেষবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তিনি রাইসিকে সমর্থন দেন। রাজনীতিতে আসার আগে কালিবাফ ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৭ সালে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি তাকে রেভল্যুশনারি গার্ডের বিমানবাহিনীর প্রধান করেছিলেন। আর ২০০০ সালে পুলিশপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। বাকের কালিবাফের নাম ইরানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৯৯৯ সালের ছাত্র আন্দোলন কঠোর হাতে দমনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এদিকে, নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে ৫৮ হাজার ৬৪০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর বাইরে ১০০টি দেশে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ৩৪০টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র সরকারও তাদের মাটিতে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
২৮ জুন, ২০২৪

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল বড় পরিবর্তনের আশা নেই
ইরানে আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিমান দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির আকস্মিক মৃত্যুর কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশ আগেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ নির্বাচন। তেহরানের মিত্র ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও চিরশত্রু ইসরায়েলের মধ্যে চলমান গাজা যুদ্ধের কারণে আঞ্চলিক টান টান উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ আগাম নির্বাচন। আন্তর্জাতিক অবরোধের কারণে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ায় এক ঝুঁকিপূর্ণ সময় পার করছে দেশটি। সব দিক দিয়ে প্রতিকূলে পরিস্থিতিতে পড়া ইরানের এ নির্বাচনের দিকেই এখন সবার চোখ। তবে যিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন না কেন, ইরানের শাসনব্যবস্থায় বড় কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখছেন না বিশ্লেষকরা। কারণ, ছয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিরই অনুগত। গ্রন্থনা : ওয়াহেদুজ্জামান সরকার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে সংস্কারপন্থিসহ ছয় প্রার্থীর মধ্যে একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করতে আগামীকাল শুক্রবার ভোট দেবেন দেশটির জনগণ। ইরানে ২০২৫ সালের আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু গত মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অতিরক্ষণশীল ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহত হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন। গত এপ্রিলে ইরান তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিয়ে হামলা চালায় ইসরায়েলে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাত সদস্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালায় ইরানের ইস্পাহান শহরের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে। ইরানের স্বঘোষিত শত্রু ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাঁচ মাস আগে ইরানের এ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দেশটির অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পাঁচজন কট্টরপন্থি ও একজন অল্প পরিচিত মধ্যপন্থি প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগ্রহী ৮০ জনের মধ্য থেকে এ ছয়জনকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ ছয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন—পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ, অতিরক্ষণশীল সাবেক পারমাণবিক কর্মসূচির মধ্যস্থতাকারী সাঈদ জালিলি, সংস্কারপন্থি প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান, তেহরানের রক্ষণশীল মেয়র আলিরেজা জাকানি, সমালোচক মোস্তফা পুরমোহাম্মদ ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট আমির হোসেন গাজি জাদেহ-হাশেমি। তবে মূল লড়াই বাকের কালিবাফ ও আলি জারিজানির মধ্যে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি এ নির্বাচনে প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। কিন্তু মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে কট্টর পশ্চিমাবিরোধী খামেনি বলেন, ‘যিনি মনে করেন আমেরিকার আনুকূল্য ছাড়া কিছুই করা সম্ভব না, তিনি এ দেশকে সামলাতে পারবেন না।’ তার উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এমন একজন প্রেসিডেন্টকে নির্বাচিত করুন, যার মতামত সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না। জনগণের উচিত এমন একজনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া, যিনি নিজেকে সেকেন্ড ইন কমান্ড মনে করবেন। প্রেসিডেন্টের উচিত হবে না বিভেদ সৃষ্টি করা।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের শাসনব্যবস্থার যে সার্বিক দিক, তা প্রেসিডেন্ট দ্বারা চালিত হয় না, বরং সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং তার অধীনে থাকা শক্তিশালী সংস্থাগুলো এটি নিয়ন্ত্রণ করে। সে কারণে আয়াতুল্লাহ খামেনি না চাইলে রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তনের খুব একটা সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ বিশ্লেষকের বিশ্বাস, ইরানের পারমাণবিক গবেষণা বিষয়ে নতুন করে চিন্তা করা বা ইরানের দ্বারা ইসরায়েলের স্বীকৃতি এসব পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আনার ক্ষমতা শুধু এককভাবে নতুন প্রেসিডেন্টের হাতে থাকবে না। কারণ এসব বিষয়ে সবসময় সর্বোচ্চ নেতা তার প্রভাব ও কর্তৃত্ব বজায় রাখবেন। একইভাবে খামেনির অনুমতি ছাড়া কোনো প্রেসিডেন্ট নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব বা এরকম কোনো রাষ্ট্রীয় বিষয়েও পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে মনে হয় না। তার ওপর গার্ডিয়ান কাউন্সিল অনুমোদিত চূড়ান্ত যে তালিকা দেখা যাচ্ছে, তাদের বেশিরভাগেরই আসলে এসব পরিবর্তনের পক্ষে থাকার সম্ভাবনাও খুব কম। রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ সাফিরি বলেন, ‘নতুন প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্তই নেবেন, সেটাই আসবে আসলে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে। সংবিধান যে দায়িত্ব অর্পণ করে প্রেসিডেন্টকে, গত চার দশকে আসলে প্রেসিডেন্টের সেসব কাজ সীমিত হয়ে এসেছে। আয়াতুল্লাহ খামেনি গত ৩৫ বছর ধরে যেভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো সাজিয়েছেন, তাতে আসলে তিনি মারা যাওয়ার পরও, যিনিই প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসুন, এসব প্রতিষ্ঠান খামেনির আদর্শ অনুযায়ী দেশকে পরিচালিত করবে। এটা অনেকটা পূর্বাঞ্চলের কমিউনিস্ট দলগুলোর মতোই হবে।’
২৭ জুন, ২০২৪

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে পাকিস্তানেও
ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পাকিস্তানেও হবে। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাস। ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাস এবং পাকিস্তানের ৪টি শহরে ২৮ জুনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। এ জন্য কনস্যুলেট-জেনারেলরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রদূত রেজা আমিরি মোগাদ্দাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আমিরি মোগাদ্দাম বলেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইসলামাবাদে ইরানের দূতাবাস এবং করাচি, লাহোর, পেশোয়ার ও কোয়েটায় ৫টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। করাচিতে সবচেয়ে বেশি ইরানি অবস্থান করেন। তাই মূলত এ ভোটকেন্দ্রে বেশি ভিড় হবে। সেই অনুযায়ী ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইরানে ভোট দেওয়ার বয়স ১৮ বছর। এ জন্য জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র লাগে। তবে পাকিস্তানে বসবাসরতদের ক্ষেত্রে সেসব না থাকলেও সমস্যা নেই। তাদের পাসপোর্ট দিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
১৯ জুন, ২০২৪

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার কথা ভাবছেন আহমাদিনেজাদ
ইরানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। আহমাদিনেজাদ সমর্থকদের পরিচালিত দোলাত বাহার টেলিগ্রাম চ্যানেল গত শনিবার একটি ভিডিও পোস্ট করে। সেই ভিডিওতে এ ধরনের ইঙ্গিত দেন ইরানের সাবেক এ প্রেসিডেন্ট। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসি নিহত হওয়ার পর দেশটি গত সপ্তাহে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৮ জুন দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত শনিবার সমর্থকরা যে ভিডিও পোস্ট করেন তাতে সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন ‘আমি আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা ভাবছি। কারণ আমি আত্মবিশ্বাসী যে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু ইরানে নয়, সারা বিশ্বেই দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে এবং আমি আশাবাদী যে, আমরা শিগগির একটি দারুণ পরিবর্তন দেখতে পাব।’ এদিকে ইরানের পার্লামেন্টে আহমাদিনেজাদ সমর্থকরা এরই মধ্যে তার সম্ভাব্য প্রার্থিতাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, তিনি (মাহমুদ আহমাদিনেজাদ) দেশের অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ইরানিয়ান লেবার নিউজ এজেন্সির (আইএলএনএ) সঙ্গে কথা বলার সময় পার্লামেন্টে তাবরিজের প্রতিনিধি আহমাদ আলিরেজা বেইগি বলেন, ‘মাহমুদ আহমাদিনেজাদ যদি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তবে তিনি জিতবেন।’
২৮ মে, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্বাভাস
শুরুতেই একটা কথা বলা দরকার। ইদানিং আমরা অনেক ব্যাপারেই অনেক “পূর্বাভাস” বা “পরিসংখ্যান” কে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলি। অনেকে বলেন, মিথ্যা তিন প্রকার। মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা ও পরিসংখ্যান। তারমানে পরিসংখ্যানও মিথ্যা। সবকিছু তো আর অংক কষে প্রমাণ করাও যায় না। তাই ইদানিং অনেক গুণী ব্যক্তি পরিসংখ্যানকেও এক ধরনের মিথ্যাই বলেন। এই কথাটা মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখাতেও কিছু পরিসংখ্যান আসবে, সেইগুলি কতটা সত্যি, জানিনা। তবে এখনোও পরিসংখ্যানের একটা ভূমিকা আছে তা কম/বেশি যাইহোক। তা না হলে এটা থাকতোই না।  আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা রকম পরিসংখ্যান, আশঙ্কা, উৎসাহ, ভাবনা এবং আলোচনা সবকিছুই চলছে এখন। সম্প্রতি একটা জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জাতীয়ভাবে ডেমোক্রেটরা ৩৮ পার্সেন্ট এগিয়ে আছে। রিপাবলিকান দল এর চাইতে ২ পার্সেন্ট বেশি অর্থাৎ ৪০ পার্সেন্ট বা শতাংশ এগিয়ে আছে জনসমর্থনের দিকে। দুইদলের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একদিকে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুইজনের মধ্যে জনসমর্থনের ব্যবধান একের সাথে অন্যের মাত্র ৩-৫ পার্সেন্টের বেশিও না।  কিন্তু নির্বাচনে এক পারসেন্ট হলে সেটাও বড় ম্যাটার করে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অর্থাৎ সংখ্যা মান, না গুণগত বৈশিষ্ট্য। কোনটা দরকার। যাইহোক, এটা আরেক প্রসঙ্গ। পরের কোন আলোচনায় আলোচনা করা যাবে। লেটেস্ট সিচুয়েশন, বলতে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কিছু আশা- আশঙ্কার কথা। সেখানেই লিমিটেড থাকি।  এবার দেখা যাক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেট বা রাজ্যে দুই প্রধান দলের অবস্থান কি!  যেমন, অ্যারিজনা রাজ্যে, রিপাবলিকান এগিয়ে আছে ৪৩ শতাংশ, ডেমোক্রেটের জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ৩৮শতাংশে। জর্জিয়া রাজ্যে, রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৪৪ শতাংশে। জো বাইডেন ৩৮ শতাংশ। মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আছেন ৪২ শতাংশ সমর্থনে। প্রতিদ্বন্দ্বী মিস্টার জো বাইডেনের সমর্থন এই রাজ্যে এখনো ৪০ শতাংশের। পেনসিলভেনিয়ায় ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন আছে ৪১ শতাংশের, রিপাবলিকান বা মিস্টার ট্রাম্পের সমর্থন ৪৩%। নর্থ ক্যারোলিনায় মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন, ৪৪ শতাংশ সমর্থনে, সেখানে ডেমোক্রেট সমর্থক এখনো ৩৮ শতাংশের। ফ্লোরিডায় রিপাবলিক বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন আছে ৪৮ শতাংশের, ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন সেখানে এখনো ৩৮ শতাংশ।  এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে ডেমোক্রেট দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান থেকে। প্রায় ১০% সমর্থনে এই দুই রাজ্যে অগ্রসরমান ডেমোক্রেট এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মোটামুটি দেখা যাচ্ছে, এখনো আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক মামলায় আসামি হয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান দুর্বল না। তার জিতে যাবার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে বলা যায় প্রায় ৭০ শতাংশ।  আমেরিকা ইউনিভার্সিটির একজন ডিসটিংগুইশ প্রফেসর, মিস্টার Allan Lichtman মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকটা বৈশিষ্ট্যের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেন। তাঁর আলোচনা খুব গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচিত হয়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ১৩ টি প্রধান বিষয় নির্বাচনের জয় পরাজয়কে নির্ধারণ করতে পারে। যেমন:  1. Party mandate 2. Contest 3. Incumbency  4. Third party 5. Short-term economy  6. Long long-term economy  7. Policy change  8. Social unrest  9. Scandal  10.Foreign and military affairs  11. Foreign and military success  12. Incumbent charisma  13. Challenger carishma উল্লেখিত ক্ষেত্র গুলি ছাড়াও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিস্টার জো বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে বিশেষ করে বর্তমান চলমান দুইটি যুদ্ধের পরিণতি এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। প্যালেস্টাইন বা গাজা বনাম ইসরাইল। অন্যটা রাশিয়া ভার্সেস ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতা। অন্য অনেক বিষয়ের আলোচনা বা সমালোচনা থাকলেও উল্লেখিত দুই যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের নেতৃত্বের ভূমিকা ও বিপুল অর্থ ব্যয়। এই কারণেও একটা বড় অংশের জনসমর্থন থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দূরে সরে গেছেন ইতিমধ্যে।  পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার সাধারণ মনে হতাশার সৃষ্টি করেছে, সেটা ইমিগ্রান্ট ইস্যু নিয়ে ডেমোক্রেট দলের অতি উদারনীতি। কারিশমার প্রশ্ন নিয়েও যদি আলোচনা হয়, সেখানেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনেকটাই দুর্বল বলেই মনে হয়। বলা বাহুল্য যে, “কারিশমা” ব্যাপারটা অধিকাংশ সময় ইতিবাচকের চাইতে নেতিবাচক দিকেই মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি। কারিশমার ফলাফল খুব একটা জনকল্যাণের পক্ষে থাকে বলে মনে হয় না। মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এর এক বড় প্রমাণ ও বাস্তবতাও বটে।  ১৯৬০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং নিক্সন। তখন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল কেস্ট্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেনেডি এবং নিক্সন। এই দুইজনের মধ্যে আপনি কাকে পছন্দ করেন বা সমর্থন করবেন। ক্যাস্ট্র বলেন, "It is not possible to make a comparison between two shoes that the same person wears. America is ruled by only one party, which is Zionist party, and it has two wings; the republican wing represent the hard line Zionist power, and the Democratic represent the Zionist soft power" এই কথা এখনো সত্যি। এর বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেক পাঠক এই কথাগুলির গভীর অর্থ যেকোন ভাষায় ব্যাখ্যা করলেও বুঝতে পারেন।  বহু বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তবা দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামকে দেখবেন অত্যন্ত দাপট এবং একনায়ক রূপে হাজির হবেন হোয়াইট হাউসে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং মিথ্যাচারিতা পাশাপাশি অবৈধ অর্থ পরিচালনার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের "বিচার" বিভাগ কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আইনের নানান গুপ্ত সুরঙ্গের ভেতর থেকে বিষাক্ত সাপের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মাথা বের করে আছেন। তবে এটাও সত্য যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন শাস্তি বা জেলে নিলে তার সমর্থন আরো বেড়ে যাবে। যেকোনো নেতিবাচক ধারাকে জনপ্রিয় করার একটা ভিন্ন রকম “কারিশমা” আছে মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রিসেন্ট সময় আমেরিকার অন্য কোন প্রেসিডেন্ট তাঁদের কোন কারিশমার অপব্যবহার করেননি যতটুকু ইতিহাস পড়ে জানা যায়।  এটা উল্লেখ না করলে নয় যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এবং এই বছর ২০২৪ সালে আমেরিকাতে কয়েকটা উল্লেখযোগ্য এবং বহুল আলোচিত বই বেরিয়েছে যারা একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার অন্ধ সমর্থনে ছিলেন তাদের। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা বইয়ের মধ্যে আছে, “The Room Where it Happned” by, John Bolton, একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে। ফর্মার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার অফ দা ইউনাইটেড স্টেটস।  “Oath and Honor” লিখেছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস ওমেন রিপাবলিকান, লিজ চেনী। জানুয়ারি ৬, ২০২০ সালের দুর্ঘটনা বিষয়েও কংগ্রেস তদন্তে রিপাবলিকান দলের একজন অন্যতম সদস্য।  “Enough” এই গ্রন্থের গ্রন্থাকার, মিস Cassidy Hutchinson”। ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে একজন গুরুত্বপূর্ণ মেয়ে সদস্য। সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ Mark Meadows তাঁর প্রধান সহকারি হিসাবে। জানুয়ারি ৬, ২০২০ তদন্তে কেসিডি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর তৎকালীন সরাসরি বস, মার্ক মেডোজের অসংবিধান কাজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন।  সাথে আরেকটা বইয়ের কথাও উল্লেখ করতে হয়। বইয়ের নাম, “Age Of Revolutions, Progress and Backlash From 1600 to the Present” by Fareed Zakaria.  উল্লেখিত চারটা বইতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক এবং অসংবিধান কাজের একাধিক দৃষ্টান্ত এবং বর্ণনা আছে সুস্পষ্টভাবে দলিল ও প্রমাণ সহ। কিন্তু সেইগুলি কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না জনসমর্থনে ট্রাম্পের ব্যাপারে। কারণ একটা তীব্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবোধ পাশাপাশি ডেমোক্রেট দলের বিগত চার বছরের পাবলিক ইন্টারেস্ট ক্ষেত্রে চরম রকম ব্যর্থতা। এর এক বড় কারণ, যা সাধারণ মানুষকেও হতাশ করে তুলেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে।  লেখক ও সাংবাদিক ফারিদ জাকারিয়া, তাঁর উল্লেখিত বইতেও ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর রাজনীতির অমোঘ কিছু নিয়ম এবং বাস্তবতার কথা আমাদের জানিয়েছেন। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ এখনও সরাসরি শিকার ক্ষমতাসিন কিছু মানুষের লোভ, হিংসা ও প্রতিহিংসার কাছে। এই সবকিছুর কিছু, কিছু সম্ভাবনা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ডেমোক্রেট দলের পক্ষে যাবে কিনা! সারা বিশ্বেই যে চলছে এখন একনায়কতন্ত্র, একদল ও এক ব্যক্তির শাসন ও শোষণ। কোথাও ধর্মের নামে, কোথাও বর্ণের নামে, কোথাও গণতন্ত্রের নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যে গণতন্ত্র প্রচলন সেটাকেও পূর্ণ গণতান্ত্রিক বলা কঠিন। কারণ নির্বাচনে পপুলার ভোটের চাইতে গণনা হয় "ইলেক্ট্রোলার" মোট ৫৩৮ ভোটের ২৭০ ভোট। নির্বাচন শেষে যে ক্যান্ডিডেট এই ২৭০ electoral ভোট পান সে-ই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যেমন, গত বছর এই ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  ২০২৪ সালের নির্বাচন যুদ্ধেও এই ২৭০ প্রার্থীর ভোট রায় দেবে কে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে তাই কোন উপসংহার টানা কঠিন। এখনো ৬ মাস হাতে আছে। উল্লেখিত আলোচনা কেবল এর পূর্বাভাস।  মাহমুদ রেজা চৌধুরী: সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক 
৩০ নভেম্বর, ০০০১

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্বাভাস
শুরুতেই একটা কথা বলা দরকার। ইদানিং আমরা অনেক ব্যাপারেই অনেক “পূর্বাভাস” বা “পরিসংখ্যান” কে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলি। অনেকে বলেন, মিথ্যা তিন প্রকার। মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা ও পরিসংখ্যান। তারমানে পরিসংখ্যানও মিথ্যা। সবকিছু তো আর অংক কষে প্রমাণ করাও যায় না। তাই ইদানিং অনেক গুণী ব্যক্তি পরিসংখ্যানকেও এক ধরনের মিথ্যাই বলেন। এই কথাটা মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখাতেও কিছু পরিসংখ্যান আসবে, সেইগুলি কতটা সত্যি, জানিনা। তবে এখনোও পরিসংখ্যানের একটা ভূমিকা আছে তা কম/বেশি যাইহোক। তা না হলে এটা থাকতোই না।  আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা রকম পরিসংখ্যান, আশঙ্কা, উৎসাহ, ভাবনা এবং আলোচনা সবকিছুই চলছে এখন। সম্প্রতি একটা জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে জাতীয়ভাবে ডেমোক্রেটরা ৩৮ পার্সেন্ট এগিয়ে আছে। রিপাবলিকান দল এর চাইতে ২ পার্সেন্ট বেশি অর্থাৎ ৪০ পার্সেন্ট বা শতাংশ এগিয়ে আছে জনসমর্থনের দিকে। দুইদলের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একদিকে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুইজনের মধ্যে জনসমর্থনের ব্যবধান একের সাথে অন্যের মাত্র ৩-৫ পার্সেন্টের বেশিও না।  কিন্তু নির্বাচনে এক পারসেন্ট হলে সেটাও বড় ম্যাটার করে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অর্থাৎ সংখ্যা মান, না গুণগত বৈশিষ্ট্য। কোনটা দরকার। যাইহোক, এটা আরেক প্রসঙ্গ। পরের কোন আলোচনায় আলোচনা করা যাবে। লেটেস্ট সিচুয়েশন, বলতে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কিছু আশা- আশঙ্কার কথা। সেখানেই লিমিটেড থাকি।  এবার দেখা যাক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেট বা রাজ্যে দুই প্রধান দলের অবস্থান কি!  যেমন, অ্যারিজনা রাজ্যে, রিপাবলিকান এগিয়ে আছে ৪৩ শতাংশ, ডেমোক্রেটের জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ৩৮শতাংশে। জর্জিয়া রাজ্যে, রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৪৪ শতাংশে। জো বাইডেন ৩৮ শতাংশ। মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আছেন ৪২ শতাংশ সমর্থনে। প্রতিদ্বন্দ্বী মিস্টার জো বাইডেনের সমর্থন এই রাজ্যে এখনো ৪০ শতাংশের। পেনসিলভেনিয়ায় ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন আছে ৪১ শতাংশের, রিপাবলিকান বা মিস্টার ট্রাম্পের সমর্থন ৪৩%। নর্থ ক্যারোলিনায় মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন, ৪৪ শতাংশ সমর্থনে, সেখানে ডেমোক্রেট সমর্থক এখনো ৩৮ শতাংশের। ফ্লোরিডায় রিপাবলিক বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন আছে ৪৮ শতাংশের, ডেমোক্রেট বা জো বাইডেনের সমর্থন সেখানে এখনো ৩৮ শতাংশ।  এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে ডেমোক্রেট দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান থেকে। প্রায় ১০% সমর্থনে এই দুই রাজ্যে অগ্রসরমান ডেমোক্রেট এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মোটামুটি দেখা যাচ্ছে, এখনো আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক মামলায় আসামি হয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান দুর্বল না। তার জিতে যাবার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে বলা যায় প্রায় ৭০ শতাংশ।  আমেরিকা ইউনিভার্সিটির একজন ডিসটিংগুইশ প্রফেসর, মিস্টার Allan Lichtman মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকটা বৈশিষ্ট্যের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেন। তাঁর আলোচনা খুব গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচিত হয়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ১৩ টি প্রধান বিষয় নির্বাচনের জয় পরাজয়কে নির্ধারণ করতে পারে। যেমন:  1. Party mandate 2. Contest 3. Incumbency  4. Third party 5. Short-term economy  6. Long long-term economy  7. Policy change  8. Social unrest  9. Scandal  10.Foreign and military affairs  11. Foreign and military success  12. Incumbent charisma  13. Challenger carishma উল্লেখিত ক্ষেত্র গুলি ছাড়াও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিস্টার জো বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে বিশেষ করে বর্তমান চলমান দুইটি যুদ্ধের পরিণতি এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। প্যালেস্টাইন বা গাজা বনাম ইসরাইল। অন্যটা রাশিয়া ভার্সেস ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতা। অন্য অনেক বিষয়ের আলোচনা বা সমালোচনা থাকলেও উল্লেখিত দুই যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের নেতৃত্বের ভূমিকা ও বিপুল অর্থ ব্যয়। এই কারণেও একটা বড় অংশের জনসমর্থন থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দূরে সরে গেছেন ইতিমধ্যে।  পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার সাধারণ মনে হতাশার সৃষ্টি করেছে, সেটা ইমিগ্রান্ট ইস্যু নিয়ে ডেমোক্রেট দলের অতি উদারনীতি। কারিশমার প্রশ্ন নিয়েও যদি আলোচনা হয়, সেখানেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনেকটাই দুর্বল বলেই মনে হয়। বলা বাহুল্য যে, “কারিশমা” ব্যাপারটা অধিকাংশ সময় ইতিবাচকের চাইতে নেতিবাচক দিকেই মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি। কারিশমার ফলাফল খুব একটা জনকল্যাণের পক্ষে থাকে বলে মনে হয় না। মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এর এক বড় প্রমাণ ও বাস্তবতাও বটে।  ১৯৬০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং নিক্সন। তখন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল কেস্ট্রকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেনেডি এবং নিক্সন। এই দুইজনের মধ্যে আপনি কাকে পছন্দ করেন বা সমর্থন করবেন। ক্যাস্ট্র বলেন, "It is not possible to make a comparison between two shoes that the same person wears. America is ruled by only one party, which is Zionist party, and it has two wings; the republican wing represent the hard line Zionist power, and the Democratic represent the Zionist soft power" এই কথা এখনো সত্যি। এর বিস্তারিত কোন ব্যাখ্যা প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেক পাঠক এই কথাগুলির গভীর অর্থ যেকোন ভাষায় ব্যাখ্যা করলেও বুঝতে পারেন।  বহু বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তবা দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামকে দেখবেন অত্যন্ত দাপট এবং একনায়ক রূপে হাজির হবেন হোয়াইট হাউসে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং মিথ্যাচারিতা পাশাপাশি অবৈধ অর্থ পরিচালনার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের "বিচার" বিভাগ কোন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আইনের নানান গুপ্ত সুরঙ্গের ভেতর থেকে বিষাক্ত সাপের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মাথা বের করে আছেন। তবে এটাও সত্য যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন শাস্তি বা জেলে নিলে তার সমর্থন আরো বেড়ে যাবে। যেকোনো নেতিবাচক ধারাকে জনপ্রিয় করার একটা ভিন্ন রকম “কারিশমা” আছে মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রিসেন্ট সময় আমেরিকার অন্য কোন প্রেসিডেন্ট তাঁদের কোন কারিশমার অপব্যবহার করেননি যতটুকু ইতিহাস পড়ে জানা যায়।  এটা উল্লেখ না করলে নয় যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এবং এই বছর ২০২৪ সালে আমেরিকাতে কয়েকটা উল্লেখযোগ্য এবং বহুল আলোচিত বই বেরিয়েছে যারা একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার অন্ধ সমর্থনে ছিলেন তাদের। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা বইয়ের মধ্যে আছে, “The Room Where it Happned” by, John Bolton, একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে। ফর্মার ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার অফ দা ইউনাইটেড স্টেটস।  “Oath and Honor” লিখেছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস ওমেন রিপাবলিকান, লিজ চেনী। জানুয়ারি ৬, ২০২০ সালের দুর্ঘটনা বিষয়েও কংগ্রেস তদন্তে রিপাবলিকান দলের একজন অন্যতম সদস্য।  “Enough” এই গ্রন্থের গ্রন্থাকার, মিস Cassidy Hutchinson”। ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে একজন গুরুত্বপূর্ণ মেয়ে সদস্য। সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ Mark Meadows তাঁর প্রধান সহকারি হিসাবে। জানুয়ারি ৬, ২০২০ তদন্তে কেসিডি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর তৎকালীন সরাসরি বস, মার্ক মেডোজের অসংবিধান কাজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন।  সাথে আরেকটা বইয়ের কথাও উল্লেখ করতে হয়। বইয়ের নাম, “Age Of Revolutions, Progress and Backlash From 1600 to the Present” by Fareed Zakaria.  উল্লেখিত চারটা বইতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক এবং অসংবিধান কাজের একাধিক দৃষ্টান্ত এবং বর্ণনা আছে সুস্পষ্টভাবে দলিল ও প্রমাণ সহ। কিন্তু সেইগুলি কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না জনসমর্থনে ট্রাম্পের ব্যাপারে। কারণ একটা তীব্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবোধ পাশাপাশি ডেমোক্রেট দলের বিগত চার বছরের পাবলিক ইন্টারেস্ট ক্ষেত্রে চরম রকম ব্যর্থতা। এর এক বড় কারণ, যা সাধারণ মানুষকেও হতাশ করে তুলেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে।  লেখক ও সাংবাদিক ফারিদ জাকারিয়া, তাঁর উল্লেখিত বইতেও ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর রাজনীতির অমোঘ কিছু নিয়ম এবং বাস্তবতার কথা আমাদের জানিয়েছেন। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ এখনও সরাসরি শিকার ক্ষমতাসিন কিছু মানুষের লোভ, হিংসা ও প্রতিহিংসার কাছে। এই সবকিছুর কিছু, কিছু সম্ভাবনা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ডেমোক্রেট দলের পক্ষে যাবে কিনা! সারা বিশ্বেই যে চলছে এখন একনায়কতন্ত্র, একদল ও এক ব্যক্তির শাসন ও শোষণ। কোথাও ধর্মের নামে, কোথাও বর্ণের নামে, কোথাও গণতন্ত্রের নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যে গণতন্ত্র প্রচলন সেটাকেও পূর্ণ গণতান্ত্রিক বলা কঠিন। কারণ নির্বাচনে পপুলার ভোটের চাইতে গণনা হয় "ইলেক্ট্রোলার" মোট ৫৩৮ ভোটের ২৭০ ভোট। নির্বাচন শেষে যে ক্যান্ডিডেট এই ২৭০ electoral ভোট পান সে-ই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যেমন, গত বছর এই ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  ২০২৪ সালের নির্বাচন যুদ্ধেও এই ২৭০ প্রার্থীর ভোট রায় দেবে কে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে তাই কোন উপসংহার টানা কঠিন। এখনো ৬ মাস হাতে আছে। উল্লেখিত আলোচনা কেবল এর পূর্বাভাস।  মাহমুদ রেজা চৌধুরী: সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক 
৩০ নভেম্বর, ০০০১

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে একটি পূর্বাভাস
শুরুতেই একটা কথা বলা দরকার। ইদানীং আমরা অনেক ব্যাপারেই অনেক “পূর্বাভাস” বা “পরিসংখ্যান”কে গুরুত্ব দিয়ে কথা বলি। অনেকে বলেন, মিথ্যা তিন প্রকার। মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা ও পরিসংখ্যান। তার মানে পরিসংখ্যানও মিথ্যা। সবকিছু তো আর অঙ্ক কষে প্রমাণ করাও যায় না। তাই ইদানীং অনেক গুণী ব্যক্তি পরিসংখ্যানকেও এক ধরনের মিথ্যাই বলেন। এই কথাটা মাথায় রেখেই লিখছি। এই লেখাতেও কিছু পরিসংখ্যান আসবে, সেইগুলো কতটা সত্যি, জানি না। তবে এখনো পরিসংখ্যানের একটা ভূমিকা আছে তা কম/বেশি যাই হোক। তা না হলে এটা থাকতই না।  আমেরিকার আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নিয়ে নানারকম পরিসংখ্যান, আশঙ্কা, উৎসাহ, ভাবনা এবং আলোচনা সবকিছুই চলছে এখন। সম্প্রতি একটা জাতীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে ডেমোক্র্যাটরা ৩৮ পার্সেন্ট এগিয়ে আছে। রিপাবলিকান দল এর চাইতে ২ পার্সেন্ট বেশি অর্থাৎ ৪০ পার্সেন্ট বা শতাংশ এগিয়ে আছে জনসমর্থনের দিকে। দুইদলের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একদিকে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই দুজনের মধ্যে জনসমর্থনের ব্যবধান একের সাথে অন্যের মাত্র ৩-৫ পার্সেন্টের বেশিও না।  কিন্তু নির্বাচনে এক পারসেন্ট হলে সেটাও বড় ম্যাটার করে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্রের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন আছে। অর্থাৎ সংখ্যা মান, না গুণগত বৈশিষ্ট্য। কোনটা দরকার। যাই হোক, এটা আরেক প্রসঙ্গ। পরের কোনো আলোচনায় আলোচনা সেটি বলা যাবে। লেটেস্ট সিচুয়েশন, বলতে আসন্ন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কিছু আশা-আশঙ্কার কথা। সেখানেই লিমিটেড থাকি।  এবার দেখা যাক, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেট বা রাজ্যে দুই প্রধান দলের অবস্থান কি!  যেমন, অ্যারিজনা রাজ্যে, রিপাবলিকান এগিয়ে আছে ৪৩ শতাংশ, ডেমোক্র্যাটের জো বাইডেন এগিয়ে আছেন ৩৮ শতাংশে। জর্জিয়া রাজ্যে, রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৪৪ শতাংশে। জো বাইডেন ৩৮ শতাংশ। মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্প আছেন ৪২ শতাংশ সমর্থনে। প্রতিদ্বন্দ্বী মিস্টার জো বাইডেনের সমর্থন এই রাজ্যে এখনো ৪০ শতাংশের। পেনসিলভেনিয়ায় ডেমোক্র্যাট বা জো বাইডেনের সমর্থন আছে ৪১ শতাংশের, রিপাবলিকান বা মিস্টার ট্রাম্পের সমর্থন ৪৩%। নর্থ ক্যারোলিনায় মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে আছেন, ৪৪ শতাংশ সমর্থনে, সেখানে ডেমোক্র্যাট সমর্থক এখনো ৩৮ শতাংশের। ফ্লোরিডায় রিপাবলিক বা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন আছে ৪৮ শতাংশের, ডেমোক্র্যাট বা জো বাইডেনের সমর্থন সেখানে এখনো ৩৮ শতাংশ।  এরমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউইয়র্কে ডেমোক্র্যাট দল বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রিপাবলিকান থেকে। প্রায় ১০% সমর্থনে এই দুই রাজ্যে অগ্রসর ডেমোক্র্যাটএবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মোটামুটি দেখা যাচ্ছে, এখনো আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনেক মামলায় আসামি হয়েও ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান দুর্বল না। তার জিতে যাবার সম্ভাবনা এই মুহূর্তে বলা যায় প্রায় ৭০ শতাংশ।  আমেরিকা ইউনিভার্সিটির একজন ডিসটিংগুইশ প্রফেসর, মিস্টার Allan Lichtman মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকটা বৈশিষ্ট্যের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেন। তাঁর আলোচনা খুব গুরুত্ব সহকারে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচিত হয়। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ১৩ টি প্রধান বিষয় নির্বাচনের জয় পরাজয়কে নির্ধারণ করতে পারে। যেমন:  1. Party mandate 2. Contest 3. Incumbency  4. Third party 5. Short-term economy  6. Long long-term economy  7. Policy change  8. Social unrest  9. Scandal  10. Foreign and military affairs  11. Foreign and military success  12. Incumbent charisma  13. Challenger carishma উল্লিখিত ক্ষেত্রগুলো ছাড়াও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মিস্টার জো বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জের হবে বিশেষ করে বর্তমান চলমান দুটি যুদ্ধের পরিণতি এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থ ব্যয়। প্যালেস্টাইন বা গাজা বনাম ইসরায়েল। অন্যটা রাশিয়া ভার্সেস ইউক্রেন যুদ্ধের বাস্তবতা। অন্য অনেক বিষয়ের আলোচনা বা সমালোচনা থাকলেও উল্লিখিত দুই যুদ্ধে বাইডেন প্রশাসনের নেতৃত্বের ভূমিকা ও বিপুল অর্থ ব্যয়। এই কারণেও একটা বড় অংশের জনসমর্থন থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দূরে সরে গেছেন ইতিমধ্যে।  পাশাপাশি আরেকটা ব্যাপার সাধারণ মনে হতাশার সৃষ্টি করেছে, সেটা ইমিগ্র্যান্ট ইস্যু নিয়ে ডেমোক্র্যাট দলের অতি উদারনীতি। কারিশমার প্রশ্ন নিয়েও যদি আলোচনা হয়, সেখানেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অনেকটাই দুর্বল বলেই মনে হয়। বলা বাহুল্য যে, “কারিশমা” ব্যাপারটা অধিকাংশ সময় ইতিবাচকের চাইতে নেতিবাচক দিকেই মানুষকে আকর্ষণ করে বেশি। কারিশমার ফল খুব একটা জনকল্যাণের পক্ষে থাকে বলে মনে হয় না। মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্প এর এক বড় প্রমাণ ও বাস্তবতাও বটে।  ১৯৬০ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রেসিডেন্ট কেনেডি এবং নিক্সন। তখন কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেনেডি এবং নিক্সন- এই দুইজনের মধ্যে আপনি কাকে পছন্দ করেন বা সমর্থন করবেন। ক্যাস্ট্রো বলেন, "It is not possible to make a comparison between two shoes that the same person wears. America is ruled by only one party, which is Zionist party, and it has two wings; the republican wing represent the hard line Zionist power, and the Democratic represent the Zionist soft power" এই কথা এখনো সত্যি। এর বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা প্রয়োজন পড়ে না। প্রত্যেক পাঠক এই কথাগুলোর গভীর অর্থ যে কোনো ভাষায় ব্যাখ্যা করলেও বুঝতে পারেন।  বহু বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তোবা দ্বিতীয় টার্মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামকে দেখবেন অত্যন্ত দাপট এবং একনায়ক রূপে হাজির হবেন হোয়াইট হাউসে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা এবং মিথ্যাচারিতা পাশাপাশি অবৈধ অর্থ পরিচালনার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও। এখন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের "বিচার" বিভাগ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। আইনের নানা গুপ্ত সুড়ঙ্গের ভেতর থেকে বিষাক্ত সাপের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো মাথা বের করে আছেন। তবে এটাও সত্য যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন শাস্তি বা জেলে নিলে তার সমর্থন আরও বেড়ে যাবে। যে কোনো নেতিবাচক ধারাকে জনপ্রিয় করার একটা ভিন্ন রকম “কারিশমা” আছে মিস্টার ডোনাল্ড ট্রাম্পের। রিসেন্ট সময় আমেরিকার অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট তাঁদের কোনো কারিশমার অপব্যবহার করেননি যতটুকু ইতিহাস পড়ে জানা যায়।  এটা উল্লেখ না করলে নয় যে, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এবং এই বছর ২০২৪ সালে আমেরিকাতে কয়েকটা উল্লেখযোগ্য এবং বহুল আলোচিত বই বেরিয়েছে যারা একসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার অন্ধ সমর্থনে ছিলেন তাদের। উল্লেখ করা যেতে পারে, এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা বইয়ের মধ্যে আছে, “The Room Where it Happned” by, John Bolton, একজন প্রধান ব্যক্তি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে। ফর্মার ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অব দ্য ইউনাইটেড স্টেটস।  “Oath and Honor” লিখেছেন, প্রাক্তন কংগ্রেস ওমেন রিপাবলিকান, লিজ চেনী। জানুয়ারি ৬, ২০২০ সালের দুর্ঘটনা বিষয়েও কংগ্রেস তদন্তে রিপাবলিকান দলের একজন অন্যতম সদস্য।  “Enough” এই গ্রন্থের গ্রন্থাকার, মিস Cassidy Hutchinson”। ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে একজন গুরুত্বপূর্ণ মেয়ে সদস্য। সরাসরি যুক্ত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ Mark Meadows তাঁর প্রধান সহকারী হিসাবে। জানুয়ারি ৬, ২০২০ তদন্তে কেসিডি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর তৎকালীন সরাসরি বস, মার্ক মেডোজের অসংবিধান কাজের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেন।  সাথে আরেকটা বইয়ের কথাও উল্লেখ করতে হয়। বইয়ের নাম, “Age Of Revolutions, Progress and Backlash From 1600 to the Present” by Fareed Zakaria.  উল্লিখিত চারটা বইতেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগণতান্ত্রিক এবং অসংবিধান কাজের একাধিক দৃষ্টান্ত এবং বর্ণনা আছে সুস্পষ্টভাবে দলিল ও প্রমাণসহ। কিন্তু সেইগুলো কোনো ভূমিকাই রাখতে পারছে না জনসমর্থনে ট্রাম্পের ব্যাপারে। কারণ একটা তীব্র শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবোধ পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট দলের বিগত চার বছরের পাবলিক ইন্টারেস্ট ক্ষেত্রে চরম রকম ব্যর্থতা। এর এক বড় কারণ, যা সাধারণ মানুষকেও হতাশ করে তুলেছে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ নিয়ে।  লেখক ও সাংবাদিক ফারিদ জাকারিয়া, তাঁর উল্লিখিত বইতেও ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর রাজনীতির অমোঘ কিছু নিয়ম এবং বাস্তবতার কথা আমাদের জানিয়েছেন। পৃথিবীর সাধারণ মানুষ এখনো সরাসরি শিকার ক্ষমতাসীন কিছু মানুষের লোভ, হিংসা ও প্রতিহিংসার কাছে। এই সবকিছুর কিছু, কিছু সম্ভাবনা নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ডেমোক্র্যাট দলের পক্ষে যাবে কিনা! সারা বিশ্বেই যে চলছে এখন একনায়কতন্ত্র, একদল ও এক ব্যক্তির শাসন ও শোষণ। কোথাও ধর্মের নামে, কোথাও বর্ণের নামে, কোথাও গণতন্ত্রের নামে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও যে গণতন্ত্র প্রচলন সেটাকেও পূর্ণ গণতান্ত্রিক বলা কঠিন। কারণ নির্বাচনে পপুলার ভোটের চাইতে গণনা হয় "ইলেক্ট্রোলার" মোট ৫৩৮ ভোটের ২৭০ ভোট। নির্বাচন শেষে যে ক্যান্ডিডেট এই ২৭০ electoral ভোট পান সে-ই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যেমন, গত বছর এই ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।  ২০২৪ সালের নির্বাচন যুদ্ধেও এই ২৭০ প্রার্থীর ভোট রায় দেবে কে, প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এই মুহূর্তে এই ব্যাপারে তাই কোনো উপসংহার টানা কঠিন। এখনো ৬ মাস হাতে আছে। উল্লিখিত আলোচনা কেবল এর পূর্বাভাস।  মাহমুদ রেজা চৌধুরী: সমাজ ও রাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষক 
০৭ মে, ২০২৪

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত চান ইমরান খানের প্রার্থী
রাত পোহালেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। তবে ভোটের আগমুহূর্তে নির্বাচন স্থগিত করতে কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) প্রার্থী মাহমুদ খান আচাকজাই। খবর জিও নিউজের। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজাকে লেখা এক চিঠিতে মাহমুদ খান বলেছেন, দেশের সংবিধান ও আইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেকটোরাল কলেজের কথা বলা হয়েছে। তবে ইলেকটোরাল কলেজ এখানো সম্পূর্ণ হয়নি। কারণ জাতীয় পরিষদ ও সব প্রাদেশিক পরিষদে কিছু সংরক্ষিত আসন এখনো খালি রয়েছে। এসব সংরক্ষিত আসনে কেউ নির্বাচিত হননি। যদি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় তাহলে তাদের ভোটাধিকারকে অস্বীকার করা হবে। পাকিস্তানে আগামীকাল শনিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটির দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার উভয় কক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হয়। জাতীয় পরিষদ ও সিনেটের সদস্যরা প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেন। এবারের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টির কো-চেয়ারপারসন আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন মাহমুদ খান। আসিফ আলি পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যৌথ প্রার্থী।  
০৮ মার্চ, ২০২৪
X