ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমের সঙ্গে ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল ভি আর চৌধুরী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর- আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল ভি আর চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমের সঙ্গে ঢাকা সেনানিবাসস্থ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে উভয় দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অবদানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ ছাড়া উভয়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক চলমান সহযোগিতা ও সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ প্রেক্ষিতে উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ এবং যৌথ সামরিক মহড়া আয়োজনের বিষয়ে পারস্পরিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধানের এ সফরে উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যায়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল শেখ আবদুল হান্নানের আমন্ত্রণে তিনদিনের শুভেচ্ছা সফরে ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় বিমানবাহিনী প্রধান।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দায়িত্ব নিলেন নবনিযুক্ত প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম। গতকাল সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান। আইএসপিআর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পরানোর সময় ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, বিমানবাহিনী প্রধান ও সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ১৯৮৬ সালে সেনাবাহিনীতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
০২ জানুয়ারি, ২০২৪

সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসারসহ ৪ জনের কারাদণ্ড 
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামসহ চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।  কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম। রায়ে আসামি নাইমুলের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেকের ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল আমিন উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।  মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের বি ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে গত ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ২০২২ সালের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিতিতে আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
১৭ অক্টোবর, ২০২৩
X