চুরির অভিযোগে প্রাণিসম্পদের পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা
মারধর, হত্যাচেষ্টা, চুরির অভিযোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মলয় কুমার সুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অধিদপ্তরের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. আজিজুল ইসলাম মামলা দায়ের করেছেন।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে তিনি এ মামলা করেন।  আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেগিস্টগেশন (পিবিআই) কে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী বাদীর পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।  এ মামলার অপর দুই আসামি হলো- অধিদপ্তরের সক্ষমতা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক ডা. মো. আনিছুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক অসিম কুমার দাস। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় ২৪ জুন সকাল ১১টার দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্দেশ্যে বের হন। কৃষি সম্প্রসারণ ও কেআইবির মাঝে পৌঁছালে আনিছুর রহমান ও অসিম কুমার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওৎপেতে থাকে। তারা আজিজুল ইসলামের গাড়ি রোধ করেন। তাকে গাড়ি থেকে নামতে বাধ্য করেন। আজিজুল ইসলাম গাড়ি থেকে নামলে আনিছুর রহমান তাকে জড়িয়ে ধরেন। মলয় কুমার তার গলা টিপে ধরেন। অসিম কুমার তাকে পিটিয়ে আহত করেন। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে আনিছুর রহমান তার পকেটে থাকা ২২ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যান। পরে অন্যরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।  
০৪ জুলাই, ২০২৪

মন্ত্রীর বাসার লিফটে পরিচালককে মারধর, অভিযুক্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত
রাজধানীর পরীবাগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বাসার লিফটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিড, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) মো. আজিজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ১২ (১) মোতাবেক ১৯ জুন চাকরি থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। এর আগে, গত ১৩ জুন রাতে রাজধানীর পরীবাগ এলাকার দিগন্ত টাওয়ারে মন্ত্রীর বাসার লিফটে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মলয় কুমার শূর গত শুক্রবার (১৪ জুন) এই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (লিভ, ডেপুটেশন অ্যান্ড ট্রেনিং রিজার্ভ) মো. আজিজুল ইসলাম নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, প্রশাসনিক বিষয়ে দিকনির্দেশনার জন্য প্রাণিসম্পদমন্ত্রী তার বাসভবন দিগন্ত টাওয়ারে মলয় কুমারকে আসতে বলেছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার সময় মন্ত্রীর বাসায় যান তিনি। কাজ শেষে সোয়া ৯টার দিকে টাওয়ারের লিফটে নিচতলায় নামেন। লিফটের সামনে আজিজুল ইসলাম আগে থেকেই ভারী কোনো বস্তু নিয়ে অবস্থান করছিলেন। লিফটের দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মলয় কুমারকে ধাক্কা দিয়ে লিফটের ভেতর ফেলে দেন তিনি। হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও নাকে আঘাত করে জখম করেন। মলয় কুমার চিৎকার করলে নিরাপত্তাপ্রহরীরা এগিয়ে আসেন। তখন ভয়ভীতি দেখিয়ে ও জীবননাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যান আজিজুল। এরপর মলয়কে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মুখমণ্ডল ফেটে যাওয়ায় সেলাই দিতে হয়েছে। এ ছাড়া বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। হামলার কারণ হিসেবে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার আজিজুল ইসলামকে মন্ত্রণালয়ের পরিচালক পদমর্যাদার একটি পদে পদায়ন করা হয়। মলয় কুমার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) তাই এ বিষয়ে মন্ত্রীকে মতামত দিয়েছিলেন। বিভাগীয় মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত অবস্থায় আজিজুলের নতুন পদায়ন হয়। আইন অনুযায়ী তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। এ কারণে আজিজুল তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদ থেকে আজিজুল ইসলামকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অ্যান্ডোপ্যারাসাইটোলজি অনুবিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে চলতি দায়িত্বে পদায়ন করেছিল। কিন্তু মলয় কুমারকে মেরে আহত করার অভিযোগ উঠলে ওই রাতেই এ পদায়ন বাতিল করে মন্ত্রণালয়। এর আগে আজিজুল ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর তৎকালীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. এমদাদুল হক তালুকদারকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিলেন। এই ঘটনায় তাকে বিভাগীয় শাস্তি দেওয়া হয়। দুটি বিভাগীয় মামলা তার পদ অবনমিত করে পঞ্চম গ্রেডের জুনিয়র কর্মকর্তা পদমর্যাদার দেওয়া হয়।
১৯ জুন, ২০২৪

ঈদুল আজহায় ১ কোটি ৪ লাখ গবাদিপশু কোরবানি
এ বছর ঈদুল আজহায় সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৮ হাজার ৯১৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর কোরবানির এ সংখ্যা ছিল এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি। গত বছরের তুলনায় এবার তিন লাখ ৬৭ হাজার ১০৬টি পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ঢাকা বিভাগে ২৫ লাখ ২৯ হাজার ১৮২টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৭ হাজার ৫২০টি, রাজশাহী বিভাগে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১১১টি, খুলনা বিভাগে ১০ লাখ ৮ হাজার ৮৫৫টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৮টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪২টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৫৩টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫১৭টি পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানি হওয়া পশুর মধ্যে ৪৭ লাখ ৬৬ হাজার ৮৫৯টি গরু, ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৮টি মহিষ, ৫০ লাখ ৫৬ হাজার ৭১৯টি ছাগল, ৪ লাখ ৭১ হাজার ১৪৯টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৭৩টি অন্যান্য পশু রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫৪টি গরু, ৬ হাজার ৪৬৫টি মহিষ, ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭২টি ছাগল, ৮৯ হাজার ৯১টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮০০টি পশু; চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৪৭টি গরু, ৯১ হাজার ৮১০টি মহিষ, ৬ লাখ ৫২ হাজার ১৩০টি ছাগল, ৯৫ হাজার ৪৮৩টি ভেড়া ও অন্য ৩৫০টি পশু কোরবানি হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ২০ হাজার ৪৭২টি গরু, ৯ হাজার ৫৬৮টি মহিষ, ১৫ লাখ ৮৩ হাজার ৪৮৬টি ছাগল ও ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭টি ভেড়া ও অন্যান্য পশু ৮টি; খুলনা বিভাগে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬৭টি গরু, ১ হাজার ৫০৬টি মহিষ, ৬ লাখ ৬৯ হাজার ৭৩৫টি ছাগল, ৫৭ হাজার ৫৫৯টি ভেড়া ও অন্যান্য ৮৮টি পশু কোরবানি হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮০ হাজার ৩৭৭টি গরু, ১ হাজার ১টি মহিষ, ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩টি ছাগল ও ২০ হাজার ১৯০টি ভেড়া, অন্যান্য পশু ৭টি; সিলেট বিভাগে ২ লাখ ১ হাজার ১৪৩টি গরু, ১ হাজার ৩৫৮টি মহিষ, ১ লাখ ৭৩ হাজার ২২৩টি ছাগল ও ১৮ হাজার ১৪ টি ভেড়া ও অন্যান্য ৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৪টি গরু, ৩০৪টি মহিষ, ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬১৬টি ছাগল, ৬০ হাজার ২২৮টি ভেড়া, ১১টি অন্যান্য পশু এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮০৫টি গরু, ৯০৬টি মহিষ, ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৪টি ছাগল ও ১৮ হাজার ৭টি ভেড়া ও ৫টি অন্যান্য পশু কোরবানি হয়েছে। এ বছর সারা দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি।
১৮ জুন, ২০২৪

দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে : প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লাখ, যেখানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পশু- যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি। রোববার (৯ জুন) সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে। আব্দুর রহমান আরও বলেন, লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আমাদের আছে। চোরাচালানের মাধ্যমে কেউ দেশে পশু এনে থাকলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তিনি বলেন, রাতের আঁধারে কিছু গরু দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে, তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন। এর আগে রোববার সকালে রাজবাড়ির গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভ স্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবায় নিয়োজিত থাকবে। কর্মশালায় বক্তব্যে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে। এ সময় মন্ত্রী পশুর জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত- তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনার জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
০৯ জুন, ২০২৪

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ খামারিদের পাশে নেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
খামারিরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। কোরবানিতে চোরাইপথে গরু আনা বন্ধ, রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সহায়তা ও গুঁড়া দুধে শুল্ক বাড়ানোর দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। বিডিএফএর সভাপতি মো. ইমরানের হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন সহসভাপতি আলী আজম শিবলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ ইমরান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নাজীব উল্লাহ, আলী আজম রহমান শিবলী, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী প্রমুখ। জামাল হোসেন নামে এক খামারি বলেন, আমি ডিজির সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিন দিন পর দেখা করার জন্য সময় দেন। গরু অসুস্থ হলে ডাক্তারদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। মোহাম্মদপুরের আদাবরের খামারি রাশিদা বেগম জানান, তার ২০টি গাভির মধ্যে ১৫টি মারা গেছে। গরু অসুস্থ হলে ডাক্তারকে ফোন দিলে ১০ হাজার টাকা চান। বাধ্য হয়ে ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এক দিন পর খামারবাড়ি থেকে ডাক্তার গেছেন। ডাক্তারের সামনেই দুটি গাভি মারা গেছে। আমি এখন নিঃস্ব। বিডিএফএ সভাপতি বলেন, আগে ডাক্তাররা মোটরসাইকেলে আসতেন। তাদের ২০০-৩০০ টাকা দিলেই হতো। বর্তমানে ৫০০-১৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এসব ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। গুঁড়া দুধের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে বছরে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন দুধের প্রয়োজন। তবে উৎপাদন হচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৬৮ হাজার টন। পুষ্টির চাহিদা দেশের দুগ্ধ খামারের মাধ্যমেই সম্ভব। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকলেও বেশ কিছু বাধার কারণে দুধের উৎপাদন বাড়ছে না। এসব বাধা দূর করলে দেশ দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। আমরা মনে করি দুধ উৎপাদনের প্রধান বাধা আমদানিকৃত দুধ। আমদানি করা গুঁড়া দুধ আমাদের সাংঘাতিকভাবে ক্ষতি করছে। মেয়াদোত্তীর্ণের কাছাকাছি বস্তা আকারে বাল্ক ফিল্ড মিল্ক নামক গুঁড়া দুধ এনে নতুন মোড়কে বাজারজাত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। গুঁড়া দুধ আমদানির মাধ্যমে দেশের দুগ্ধ শিল্প এক ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের বক্তব্য জানতে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল কেটে দেন।
০২ জুন, ২০২৪

‘খামারিদের পাশে নেই অধিদপ্তর, ঘুষ ছাড়া মেলে না পশুর চিকিৎসা’
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক খামারিবান্ধব নন। তিনি খামারিদের কোনো সহযোগিতা করছেন না। তার কার্যক্রমে বোঝাচ্ছেন দেশের দুধ উৎপাদনে তাদের ডাক্তার ও মিল্ক প্রসেসিং কোম্পানিগুলোই সব কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। শনিবার (১ জুন) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। কোরবানিতে চোরাই পথে গরু আসা বন্ধ, রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সহায়তা ও গুঁড়া দুধের শুল্ক বাড়ানোর দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  বিডিএফএর সভাপতি মো. ইমরানের হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি আলী আজম শিবলী, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ ইমরান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নাজীব উল্লাহ, আলী আজম রহমান শিবলী, অর্থ সম্পাদক জাফর আহমেদ পাটোয়ারী প্রমুখ। জামাল হোসেন নামে এক প্রান্তিক খামারি বলেন, আমি ডিজির সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিন দিন পরে দেখা করার জন্য সময় দেন। গরু অসুস্থ হলে ডাক্তারদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না।  মোহাম্মদপুরের আদাবরের খামারি রাশিদা বেগুন জানান, তার ২০টি গাভীর মধ্যে ১৫টি মারা গেছে। গরু অসুস্থ হলে ডাক্তারকে ফোন দিলে ১০ হাজার টাকা চায়। এক দিন পরে খামারবাড়ি থেকে ডাক্তার গেছে। রাশেদা বেগম বলেন, গরু যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন ডাক্তারদের ফোন দিলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি জানায়। বাধ্য হয়ে ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ডাক্তারের সামনেই দুটি গাভী মারা গেছে। কী রোগ হয়েছিল তা জানতে তারা পরীক্ষার জন্য আলামত নিলেও এখনো রিপোর্ট দেয়নি। আমি এখন নিঃস্ব। এ সময় বিডিএফএ সভাপতি ইমরান হোসেন বলেন, আগে ডাক্তাররা মোটরসাইকেলযোগে আসত তাদের ২০০-৩০০ টাকা দিলেই হতো। বর্তমানে ৫০০-১৫০০০ টাকা দিতে হয়। এসব ঘুস ছাড়া সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। গুঁড়া দুধের ওপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী, দেশে বছরে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টন দুধের প্রয়োজন। তবে উৎপাদন হচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৬৮ হাজার টন। পুষ্টির চাহিদা দেশের দুগ্ধ খামারের মাধ্যমেই সম্ভব।  বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ থাকলেও বেশকিছু বাধার কারণে দুধের উৎপাদন বাড়ছে না। এসব বাধা দূর করলে দেশ দুগ্ধ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। আমরা মনে করি, দুধ উৎপাদনের প্রধান বাধা আমদানিকৃত দুধ। আমদানি করা গুঁড়া দুধ আমাদের সাংঘাতিকভাবে ক্ষতি করছে। এসব দুধের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণের কাছাকাছি বস্তা আকারে বাল্ক ফিল্ড মিল্ক নামক গুঁড়া দুধ এনে নতুন মোড়কে বাজারজাত করে জনগণের সাথে প্রতারণার ঘটনা ঘটে। গুঁড়া দুধ আমদানির মাধ্যমে দেশের দুগ্ধশিল্প এক ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। ইমরান হোসেন বলেন, গুঁড়া দুধ আমদানিতে কঠোরতা আরোপ করে সঠিক ও কার্যকর উদ্যোগ নিলে দুই বছরের মধ্যে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে বাংলাদেশ। আমদানিতে অধিক হারে শুষ্কারোপ করে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করে তুলতে হবে। মানুষের খাদ্যাভ্যাসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে খামারিদের উৎপাদিত তরল দুধ সংগ্রহ করে দেশেই গুঁড়া দুধ তৈরি করতে পারলে বিদেশ থেকে গুঁড়া দুধ আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় হবে, দেশীয় শিল্প রক্ষা হবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। নানা অযুহাতে বিদেশ থেকে ব্লাক ফিল্ড নামের গুঁড়া দুধ আমদানি বাংলাদেশের দুগ্ধ খামার শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। শিশুখাদ্যের নামে বান্ধ ফিন্ড মিল্ক নামক গুঁড়া দুধ আমদানি কখনোই পুষ্টির জোগান নিশ্চিত করতে পারে না। শিশুখাদ্য সেরেলেক বাংলাদেশে তৈরি হয় না। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন শিশুখাদ্য নয়, বান্ধ ফিল্ড মিল্ক আমদানির বিপরীতে শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় শিল্পকে আরও বেগবান করার আহবান জানাচ্ছি। আর ফর্মুলা দুধের শুল্ক শূন্য করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তিনি বলেন, শিশুখাদ্য হিসেবে ফরমুলা দুধ শুল্কমুক্ত করে দেওয়া হোক। বাল্ক ফিল্ড মিল্কে কোনো ফ্যাট থাকে না। সেখানে ভেজিটেবল ফ্যাট দেওয়া হয়। বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ দুধ। এটা করতে আমদানিতে কোটা তৈরি, শুল্ক বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে হবে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন বলেন, বাংলাদেশে আঘাত হানা প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে বড় ক্ষত তৈরি করেছে। বিশেষ করে কোরবানির হাটের উদ্দেশ্যে যারা গবাদিপশু লালন করেছে তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। দুর্গত অনেক এলাকায় পশুর প্রয়োজনীয় খাবার নেই। অনাহারে কিংবা পচা খাদ্য খেয়ে অনেক পশু নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। মারাও পড়ছে। চারণভূমি ডুবে যাওয়ায় পাওয়া যাচ্ছে না সবুজ ঘাস। ১৯ জেলায় ১০৭টি উপজেলায় গবাদিপশু ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়েছে। অন্তত ২৫ লাখ গবাদিপশু ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত্যুর খবর আসছে। প্লাবিত হয়েছে গবাদিপশুর ৯ হাজার ৭৫৯ একর চারণভূমি। ফলে প্রাকৃতিক খাবারের বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। এ মুহূর্তে চিকিৎসা, গরুর ঘর তৈরি করে দেওয়া ও আর্থিক প্রণোদনা প্রয়োজন। খামারিদের ব্যাংকঋণ মওকুফ করতে হবে। সহজ শর্ত ও সুদবিহীন কৃষিঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করতে হবে দ্রুত। সরকারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনতে হবে এবং গবাদিপশুর জন্য ঘাসের বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা নিতে হবে। ছোট গরুগুলো দক্ষিণ অঞ্চলের গরু ঘাস খাওয়ায়ে প্রস্তুত করা হয়। সরকারি ডাক্তাররা পশুখামারিদের কোনো সহায়তা করছে না। সরকারপ্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেখানকার সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হোক। সরকার আপদকালীন খাদ্যের (সাইলেস) ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকের গরু মারা গেছে। তাদের ঋণ মওকুফ করতে হবে। খামারিদের ঘর তৈরি করে দিতে হবে। চোরাই পথে গরু আসছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে ইমরান হোসেন বলেন, ২০১৪ সালে ভারতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেখান থেকে বাংলাদেশে গরু আসা বন্ধ করে দেয়। চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশে গবাদিপশুর লালন-পালন বেড়ে যায়। আর সেটাই বাংলাদেশকে এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। একদিকে কয়েক বছর ধরে গবাদিপশু আমদানি বন্ধ, অন্যদিকে কোরবানির ঈদে প্রতিবছর উদ্বৃত্ত থাকে ২০ লাখের বেশি পশু। এবারও চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ বেশি পশু প্রস্তুত আছে। তবু ঈদুল আজহা সামনে রেখে নানা কৌশলে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত গলিয়ে ঢুকছে গরু-মহিষ। কিছু সীমান্তে কড়া নজরদারি থাকলেও বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে অন্য বছরের চেয়ে বেশি পশু ঢুকছে এবার। কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে, আবার কখনো প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশে আনা হচ্ছে গরু। চোরাপথে আসা এসব পশু বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে, রীতিমতো সীমান্ত এলাকায় হাট বসিয়ে। এসব হাট থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে পশু। কোরবানি উপলক্ষে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসবে না- সরকারের এমন ঘোষণায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন দেশি খামারিরা। এখন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে গরু ঢোকায় লোকসানের শঙ্কায় নিরাশ তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্ত পথে গরু আসা বন্ধে কঠিন নজরদারি করতে হবে। এ সময় কুমিল্লার খামারি সজীব হোসেন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের অসুস্থ গরু আমদানি হচ্ছে। এসব গরু লবণ পানি ও খড় ছাড়া কিছুই খায় না। এসব গরু আমদানি করে দেশীয় গবাদিপশুকে হুমকির মুখে ফেলা দেওয়া হয়েছে।
০১ জুন, ২০২৪

সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
মাছের প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামীকাল সোমবার ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। রোববার (১৯ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা-৩ এর উপধারা-২ এ দেওয়া ক্ষমতাবলে গত ২৪ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ৬৫ দিন দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান দিয়ে যে কোনো প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  এ সময় সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে এবং মৎস্য নৌযানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে বলেও এতে জানানো হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধের লক্ষ্যে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙর স্থলে আবদ্ধ রাখা হবে। এতে জানানো হয়, মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের আপদকালীন বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে দুই কিস্তিতে ৬৫ দিনের জন্য ৮৬ কেজি হারে ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্রে কোনো প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌপুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ-সংক্রান্ত সচেতনতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে ও বেতারে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ৩টি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে এ কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
১৯ মে, ২০২৪

তিন মন্ত্রণালয়ে নতুন সচিব নিয়োগ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নতুন তিন সচিবকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদায় নিযুক্ত বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মোহা. বেলাল হায়দারকে পদোন্নতি দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে। অন্যদিকে নতুন বাণিজ্যসচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন। তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। আর সচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বিদায়ী সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।
১৭ মে, ২০২৪

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুর রহমান -এর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  রোববার (১২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অভিন্ন ইস্যু রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এসব ইস্যু খুঁজে বের করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে প্রযুক্তি হস্তান্তর, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, প্রশিক্ষণ ও গবেষণাসহ এ-সংক্রান্ত অভিন্ন ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করলে দুদেশই লাভবান হবে বলে এ সময় আলোচনায় ওঠে আসে। 
১২ মে, ২০২৪

নিষিদ্ধ ঘোষিত জাল ব্যবহার বন্ধ করা হবে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জালের ব্যবহার বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। রোববার (৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মেরিন ফিশারিজ একাডেমির ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ অডিটরিয়ামে সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, কোনোক্রমেই অবৈধ কারেন্ট জালসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জাল ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এসব জাল ব্যবহার করে মাছের ডিম পর্যন্ত তুলে ফেলা হচ্ছে। দেশের স্বার্থে, দেশের সম্পদ রক্ষার স্বার্থে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ উন্নয়নের স্বার্থে অবৈধ জালের বিস্তার অবশ্যই রোধ করতে হবে। তা করা না গেলে আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কাজে আসবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় সামুদ্রিক মৎস্য রক্ষার্থে কোনো অবস্থাতেই অবৈধ উপায়ে ও অবৈধ জাল ব্যবহার করা যাবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি এটিকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ ধরে ফেললে কোনো প্রযুক্তিই কাজে আসবে না। সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের জন্য অংশীজনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অংশীজনের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী আরও বলেন, মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হ্রদ, নদী ও সাগরের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার উন্নয়নে যা কিছু করার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তার সব কিছুই করা হবে। তবে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আপনাদের। তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আন্তরিক রয়েছে। জাহাজের মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়ে জটিলতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি এ জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান। এর আগে সকালে চট্টগ্রামে মৎস্য অধিদপ্তরাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও ফিশারিজ সেন্টার অব এক্সসিলেন্স এবং বিএফডিসি অ্যাকশন শেড কাম ট্রেনিং সেন্টারের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী। মৎস্যমন্ত্রী চট্টগ্রাম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মৎস্য সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এ সময় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। এ ছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, এ বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন নৌযান কর্তৃক সাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। 
০৫ মে, ২০২৪
X