গুলশানের নাভানা টাওয়ারে ঔষধ প্রশাসনের অভিযান 
রাজধানীর গুলশানে নাভানা টাওয়ারের ৬টি দোকানে অভিযান চালিয়েছে ঔষধ প্রশাসন। এ সময় বিপুল আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। এসব ওষুধের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা।  সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক শফিকুল ইসলাম। শফিকুল ইসলাম বলেন, ১১৫ ধরনের বিদেশি ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। ছয় ওষুধের দোকান থেকে এই ওষুধ জব্দ করা হয়। এসব বিদেশি ওষুধ অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, নিম্নমানের অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রি অপরাধ। এতে মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে। তাই এগুলো জব্দ করা হয়েছে। এতে ওষুধের দোকানিদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। সন্তুষ্টিমূলক জবাব না দিতে পারলে মামলা করা হবে। অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ১৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, এগুলো বিদেশি ওষুধ (অনিবন্ধিত)। বাংলাদেশের বাজারে এসব ওষুধ বিক্রি করতে হলে নিবন্ধন নেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজন থাকলেও এসব ওষুধের প্যাকেজিংয়ে কোনো নিবন্ধন নম্বর নেই। ওষুধগুলো বেশিরভাগই ভারত ও থাইল্যান্ডের। 
০১ জুলাই, ২০২৪

আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর হলেন ড. আব্দুল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল তাকে নিয়োগ প্রদান করেন। প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও একজন সফল উদ্যোক্তা। দেশের ব্যবসা, শিল্প ও শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান সহ হাজার হাজার কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি নিজেকে অনুকরণীয় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।  দক্ষিন এশিয়ার এক অনবদ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আই.বি.এ। ১৯৬৬ সাল থেকেই আইবিএ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষভাবে প্রশংসিত। অর্থনীতিতে অসামান্য ভুমিকা এবং আগামীর নেতৃত্ব বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এই ইনস্টিটিউট। দেশের একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সার্বিক ব্যবসা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, ব্যাংকিং, মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন এবং স্থানীয় ব্যবসার অসাধারণ অগ্রগতিতে আইবিএ গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ অপরিসীম অবদান রাখছে।  প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ, গত ৩১ বছর ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক বাজার অর্থনীতির একজন খ্যাতিমান শিক্ষক। বিশ্বে মার্কেটিং শিক্ষার জনক প্রফেসর ফিলিপ কটলার এর সাথে গত চারবছর ধরে নিয়মিত কাজ করে আসছেন। সেই ধারাবাহিকতায় কটলার ইমপেক্ট এর গ্লোবাল এডভাইজার হিসেবে নিযুক্ত হন। ড. আব্দুল্লাহ বাংলাদেশে মডার্ন মার্কেটিং এর জগতে এক অনন্য বিপ্লব ঘটান,এবং তিনি প্রফেসর ফিলিপ কটলার এর সাথে সহ-লেখক হিসেবে “এসেনশিয়ালস অফ মডার্ন মার্কেটিং” লিখেন; যা একই  সাথে ২৩টি দেশে প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তার এ সকল কৃতিত্বের জন্য তিনি প্রফেসর ফিলিপ কটলার কর্তৃক “কটলার ডিস্টিঙ্গুইসড প্রফেসর অফ মার্কেটিং” উপাধি অর্জন করেন।    ২০২৩ সালে শিক্ষা, বানিজ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গের টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসুচক ডি.লিট. ডিগ্রী প্রদান করেন। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক শিক্ষার সুফল এবং শিক্ষার্থীদের বাস্তবতা ভিত্তিক শিক্ষাদানের একজন আলোচিত প্রবক্তা।   দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষাঙ্গনে প্রফেসর আব্দুল্লাহ’র মতো ব্যক্তিত্বদের নেতৃত্ব দরকার বলে জানিয়েছেন আইবিএ’র শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা। প্রফেসর আব্দুল্লাহ এর নেতৃত্বে আইবিএ’র এলামনাইবৃন্দ উত্তরোত্তর উন্নতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। 
২৯ জুন, ২০২৪

গোপালগঞ্জের সেই ‘কথা বলা’ গাছটি কেটে ফেলল স্থানীয় প্রশাসন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গাছ কথা বলছে- এমন গুজব ছড়ানোর পর সেই গাছটি কেটে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের গোজেনা গ্রামের আলতাফ শেখের ছেলে প্রবাসী কামরুল শেখের বাগানের একটি গাছ কথা বলছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গাছে কথা বলছে- এমন কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ও উৎসুক জনতা সেখানে গিয়ে ভিড় করে। তারা গাছের কথা শোনার জন্য গাছের সঙ্গে কান লাগিয়ে থাকে, কিন্তু শোনে না কোনো কথা। মানুষ কথা বললে গাছ কোনো কথার উত্তর না দিলেও বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গাছে কথা বলে’ এমন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। সেই গাছ কী আসলেই কথা বলে? এমন প্রশ্ন উঠে জনমনে। এ ঘটনায় জানতে শুক্রবার (২১ জুন) ঘটনাস্থলে সরেজমিনে যায় কালবেলা। সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই গাছে কোনো কথা বলে না। এটা এক প্রকার প্রতারণা ও ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এটা মিথ্যা ঘটনা। গাছে কথা বলে না। গাছ দেখতে আসা এক নারী জানান, কই, গাছে তো কথা বলে না। সালাম দিলাম, কথা বললাম, কোনো উত্তর পেলাম না। আপনারা সাংবাদিক, আপনাদের রিপোর্ট দেখে গাছে কথা বলে শুনেছি, এখন অনেক দূর থেকে দেখতে এসেছি। এসে দেখলাম মিথ্যা ও ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই না। এ বিষয়ে রাঘদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহিদুর রহমান টুটুল জানান, আমার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের  গোজেনা গ্রামে ‘গাছে কথা বলে’ এমন ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখতে পাই। তিনি আরও বলেন, গাছে কথা বলে ঘটনাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভণ্ডামি বটে। ভণ্ড ও প্রতারক থেকে জনগণকে বাঁচানোর জন্য আজ গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।   এ বিষয়ে উপজেলার সিন্দিয়ার ঘাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. শওকাত হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, গাছে কোনো কথা বলে না। এটা ভণ্ডামি প্রতারণা  ছাড়া আর কিছু না। স্থানীয় কিছু লোক গাছের চারপাশে বেড়া দিয়ে অর্থ উৎপাদনের পাঁয়তারা করছিল। তিনি আরও বলেন, বাঁশের বেড়া ভেঙে দিয়েছি। প্রতারণা ও ভণ্ডামি বন্ধ করে দিয়েছি এবং আজ সেই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আজিজুর রহমান জানান, গাছে কথা বলে না। একটি ভণ্ড ও প্রতারক মহল গাছে কথা বলে- এমন গুজব ছড়িয়ে লাল কাপড় দিয়ে মাজার তৈরির চেষ্টা করছিল। তাই জনস্বার্থে জনগণকে প্রতারক ভণ্ডদের হাত থেকে রক্ষার জন্য গাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। 
২৩ জুন, ২০২৪

সাবেক প্রধান বিচারপতিকে জাটির মহাপরিচালক নিয়োগ নিয়ে তীব্র সমালোচনা
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (জাটি) মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।  এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়ে গত ৯ জুন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  সাবেক প্রধান বিচারপতির এই নিয়োগ নিয়ে আইন অঙ্গণে চলছে তীব্র সমালোচনা। আইনজীবীরা বলছেন, রাষ্ট্রের তিন নম্বর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী একজন ব্যক্তিকে একটি ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ করা বিচার বিভাগের জন্য অবমাননাকর। প্রধান বিচারপতি পদের জন্যও অবমাননাকর। এ ছাড়া আইন অনুযায়ীও তার নিয়োগ সঠিক হয়নি। বিষয়টির সঙ্গে নৈতিকতার প্রশ্নও জড়িত রয়েছে। জানা গেছে, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৫-এর ১১(২) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে । আইনটির ১১(১ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক বা বিচারক ছিলেন বা বিচারক হইবার যোগ্য কোনো ব্যক্তি মহাপরিচালক হইবেন।’ আইনটির ১১(৪) ধারায় বলা হয়েছে, মহাপরিচালক ইনস্টিটিউটের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন। আইনজীবীরা বলছেন, এখানে বিচারক বলতে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগের বিচারকদের বোঝানো হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি আলাদা একটি পদ। এ পদে নতুন করে আপিল বিভাগের কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং আলাদাভাবে শপথ পড়ানো হয়। তিনি রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম অনুযায়ী রাষ্ট্রের তিন নম্বর গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পরেই তিন নম্বর ক্রমিকে স্পিকারের সঙ্গেই প্রধান বিচারপতির অবস্থান। অন্যদিকে বিচার প্রশাসন ইন্সটিটিউট পরিচালিত হয় ১৫ সদস্যের একটি বোর্ডের অধীনে। পদাধিকারবলে এই বোর্ডের চেয়ারম্যান বর্তমান প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত দু’জন বিচারক বোর্ডের সদস্য হবেন এবং এদের মধ্যে প্রবীণতর বিচারক ভাইস-চেয়ারম্যানও হবেন। এরপর বোর্ডে পদাধিকারবলে অ্যাটর্নি জেনারেলের অবস্থান। অ্যাটর্নি জেনারেলের পর পদাধিকারবলে মহাপরিচালকের অবস্থান। এরপর বেশ কয়েকজন সচিবকে বোর্ডের সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বোর্ডের উপদেষ্টা হচ্ছেন আইনমন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী। জানতে চাওয়া হলে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, প্রধান বিচারপতি হলেন সংবিধানের রক্ষক। তার মর্যাদা অনেক। সাবেক হোক আর বর্তমান হোক সব প্রধান বিচারপতিকেই আমরা সম্মান করি। আর এই সম্মানটা তাকেই রক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সাবেক একজন প্রধান বিচারপতিকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে এখন সবাই সরকারের নতজানু হয়ে কাজ করছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এখন যদি তার আগের পদমর্যাদা ভুলে ছোট পদে কাজ করে সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তার নীতি, নৈতিকতার ব্যাপার। আবার সরকারের উচিত তার মর্যাদার দিকে খেয়াল রাখা। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে এমন কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া উচিত নয়, যাতে তার মর্যাদাহানী ঘটে। জানতে চাওয়া হলে সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান বলেন, সংবিধানে প্রধান বিচারপতি বলতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে বোঝানো হয়েছে। আর বিচারক বলতে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল ও হাইকোর্ট) বিচারকদেরকে বোঝানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি প্রধানবিচারপতিকে নিয়োগ করে থাকেন। প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগ করেন। প্রধান বিচারপতির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে একটি ইন্সিটিটিউটের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া এবং সেটা গ্রহণ করা ঠিক হয়নি। তিনি আরও বলেন, সরকারের বিভিন্ন অধিদফতরের মহাপরিচালকগণ সাধারণত অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার হয়ে থাকেন। মহাপরিচালক পদটি সাবেক প্রধান বিচারপতির সাথে যায় না। কারণ, সাবেক প্রধানবিচারপতি এক সময় এই ইন্সটিটিউটের পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পদে তাকে নিয়োগ দিয়ে এবং সেই নিয়োগ গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতির পদকে অমর্যাদা  করা হয়েছে। উনি একজন ভালো প্রধান বিচারপতি ছিলেন। সরকারের উচিত ছিল, তাকে আরও ভালো পদে নিয়োগ দেওয়া। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট আইন, ১৯৯৫ এর ধারাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি বর্তমান প্রধান বিচারপতির অধীনে বোর্ডসভায় উপস্থিত থাকবেন। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টে যিনি জ্যেষ্ঠ বিচারক ছিলেন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিনি হবেন তার অধস্তন কর্মকর্তা। আবার বোর্ডসভা গঠনের ক্রম অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতির অবস্থান হবে অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্রমিকেরও পরে। সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি মহাপরিচালক হিসেবে এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকবেন। এ ছাড়া বোর্ডের নির্দেশক্রমে ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করবেন। এ ছাড়া হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী নিজেও বোর্ডের এক সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ বলেন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ১৯৯৫ আইন অনুযায়ী কোনো সাবেক প্রধান বিচারপতিকে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটি প্রণয়নের সময় এ রকম কোনো চিন্তা নীতিনির্ধারকদের ছিল না। সে রকম কোনো উদ্দেশ্য থাকলে আইনে সেটা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হতো। সাবেক প্রধান বিচারপতিদের অন্য কোনো পদে নিয়োগের দৃষ্টান্তও নেই বললেই চলে। ব্যতিক্রম হলো আইন কমিশন। আইন কমিশন গঠনের পর থেকে বেশ কয়েকজন সাবেক প্রধান বিচারপতিকে সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সংস্থাটি কাগজে–কলমে স্বাধীন এবং সেখানে চেয়ারম্যানই শীর্ষ পদ। অন্যদিকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালকের পদটি স্বাধীন নয়। তাকে অনেকের অধীনে কাজ করতে হয়। সে কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতিকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া ও নিয়োগপত্র নেওয়া সঠিক হয়নি।  
২০ জুন, ২০২৪

বগুড়ার পশুর হাটে দ্বিগুণ হাসিল আদায়ের অভিযোগ
বগুড়ার শিবগঞ্জে কোরবানির পশুর হাটে ইজারাদার ও তার নিয়োজিত লোকজনরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত হাসিল (টোল) আদায় করছেন। অবিক্রিত পশু রাত না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে ফেরত নিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। শিবগঞ্জ উপজেলার ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী বজলুর রহমান গাবতলী উপজেলার ডাকুমারা হাট থেকে কোরবানির জন্য গরু কিনেছেন। তাকে হাসিল দিতে হয়েছে ১০০০ টাকা। শিবগঞ্জের আনার আলী দাড়িদহ হাট থেকে একটি ৭৮ হাজার টাকায় গরু কিনে তাকে হাসিল দিতে হয়েছে ১০০০ টাকা। বগুড়া সদরের শেখের কোলার গৃহস্ত আজমল হোসেন বুধবার মহাস্থান হাট থেকে ১ লাখ ২২ হাজার টাকায় গরু কিনেছেন। তাকে হাসিল দিতে হয়েছে ১২শ টাকা। অথচ সরকারি নিয়মে প্রতি গরুতে হাসিল দেবার কথা ৫০০ টাকা। কিন্তু বগুড়া জেলার কোনো হাটেই এই নিয়ম মানা হচ্ছে না। যদিও প্রশাসন থেকে বৈঠক করে বলা হয়েছে নিয়মের বাইরে অতিরিক্ত খাজনা নেওয়া হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও তা নেওয়া হয়নি। ফলে কোরবানি পশু কিনতে যাওয়া মানুষরা হাটের ইজারদারদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতি বছরই হাটের হাসিল যাতে কোনভাবেই বেশি না নেওয়া হয়, এ নিয়ে আলোচনাসভা এবং নির্দেশনা থাকে ইউএনও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর। প্রশাসনের কর্তাদের নির্দেশনা থাকার পরও ইউএনও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হাটগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাটগুলোতে কঠোর নজরদারির অভাবে প্রতিনিয়ত গরু ছাগল বিক্রিতে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি গরুতে ৫শ টাকা এবং ছাগল বিক্রিতে ১৫০ টাকা হাসিল আদায় করার কথা থাকলেও প্রায় প্রতিটি হাটে ৮শ থেকে ১২০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। গরু ছাগল বিক্রিতে যে রশিদ দেওয়া হচ্ছে তাতে হাসিল আদায় করার টাকার পরিমাণ লেখা হচ্ছে না বা রশিদে হাসিলেও টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হচ্ছে না। এতে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে ঠকছেন। বগুড়ার প্রায় প্রতিটি হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকে হাসিল আদায় করা হচ্ছে। এটি অনিয়ম হলেও প্রতিকার পাচ্ছেন না ক্রেতা বিক্রেতারা। বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থান হাটে ক্রেতার কাছ থেকে ৭৫০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে বগুড়া পৌরসভার নিয়ন্ত্রাণাধীন সুলতানগঞ্জ হাট এবার ইজারা না হওয়ায় খাস আদায় করা হচ্ছে। এই হাট থেকে খাস আদায় করা হলেও গরু প্রতি এক হাজার এবং ছাগল প্রতি ৫শ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। খাস আদায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আদায় করা হলেও নজর দিচ্ছেনা পৌরসভা কর্তপক্ষ। অতিরিক্ত হাসিল আদায় প্রসঙ্গে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আফসানা ইয়াসমিন জানান, সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়ে যাতে বেশি আদায় না করা হয় সেজন্য ইউএনওর নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিএন ইমরুল কায়েস বলেন, কোরবানির হাটের হাসিল আদায় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা করা হয়েছে। ইউএনও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা অতিরিক্ত হাসিল আদায় প্রসঙ্গে বলেন, কয়েক দিন আগে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে হাসিলের টাকার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে। তিনি বাড়াতে চেয়েছেন। তবে কত বাড়াবেন তা বলা হয়নি। এ কারণে কিছু বেশি আদায় করা হচ্ছে। বগুড়ার জেলা প্রশসক সাইফুল ইসলাম বলেন, সরকার নির্ধারিত হাসিলের বেশি নেওয়া যাবে না। বিক্রেতা হাসিলের আওতায় পড়ে না। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাঠে পশুর হাট বসানো বেআইনি। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
১৩ জুন, ২০২৪

উপজেলা প্রশাসনের গাফিলতিতে ফসলি জমি হচ্ছে পুকুর
জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অমান্য করেই ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন ফসলি জমি নষ্ট করে দিনে রাতে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব। উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় নির্বিঘ্নে অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলি গাড়িতে বিক্রিত মাটিগুলো বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বানা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিরগ্রাম মৃত আব্দুল ওয়াজেদ খানের ছেলে সাইদুর রহমান সেন্টু খান মাঠের মধ্যে কৃষি জমি কেটে পুকুর বানাচ্ছে। মাটি ব্যবসায়িরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পায় না। বুড়াইচ ইউনিয়নে জয়দেবপুর গ্রামে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ি ইব্রাহীম ও পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের আব্দুল্লা দিনে রাতে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এমন কর্মকাণ্ড। অন্যদিকে রাত হলে সদর ইউনিয়নের লাঙ্গুলিয়া বাইশার ডাঙ্গায় শুরু হয় মাটি কাটা। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় দিনে রাতে টলিতে মাটি ও বালু বহন করতে দেখা যায়। এতে করে একদিকে যেমন দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে অন্যদিকে অবৈধ ট্রলির তাণ্ডবে ধসে যাচ্ছে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা এবং কাঁচা সড়কগুলো। দিনে এবং রাতে অতিরিক্ত ট্রলি চলাচল করার কারণে পাকা ও কাঁচা সড়কগুলোতে প্রচুর ধুলো ময়লার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে স্থানীয় জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাপনে নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। ধুলাবালিতে তাদের বাড়িঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও সামান্য বৃষ্টি হলেই ট্রলি গাড়ি থেকে খসে পড়া মাটি হতে কাঁদার সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। জমির মালিক সাইদুর রহমান সেন্টু খা বলেন, পুকুর কাটতে সব ঝামেলা ইব্রাহীম মেটাবে। প্রশাসন, পুলিশ সবার সঙ্গে সমন্বয় করে কাটতে বলেছি। না করলে পুকুর কাটতে দিব না। এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ি ইব্রাহীম বলেন, মাটি কাটার অনুমতির জন্য ইউএনওর কাছে দরখাস্ত দিয়েছি, তিনি ঢাকা চলে গেলেন এদিকে দেরি হয়ে যাচ্ছে, বৃষ্টি নামলে কাজ করতে পারব না তাই  কাজ শুরু করে দিয়েছি। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের নীরবতা অনেক কিছুরই ইঙ্গিত দেয় বলে স্থানীয়দের দাবি, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, উপজেলা প্রশাসন ম্যানেজ করেই কৃষিজমির মাটি কাটার মহাযজ্ঞ চলছে, এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে খাদ্য সংকটে পড়তে হবে। এছাড়াও অভিযোগ আছে বিভিন্ন সময় উপজেলা এবং উপজেলার দৈনন্দিন নাগরিক সংশ্লিষ্ট কোনো সমস্যা ও প্রয়োজন নিয়ে সাংবাদিকদের কোনো প্রয়োজনীয় কথা বলতে চাইলে ইউএনও শারমিন ইয়াসমিন সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন না এবং সরাসরি কোনো বক্তব্যও দেন না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাওয়া সরকারি দাপট দেখানো হোক অথবা স্বেচ্ছাচারিতায় হোক, এতে করে আইনের ব্যত্যয় এবং সামাজিক সংকট আলফাডাঙ্গাতে প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জনসাধারণের দাবি। কেননা সমাজের অনিয়ম, অসঙ্গতি এবং দুর্ভোগ সংবাদ মাধ্যমগুলিতেই একমাত্র প্রকাশ পায়। এ বিষয়ে ইউএনও শারমীন ইয়াছমীনকে ফোন দিলে প্রথমে তার ফোন কল ওয়েটিং পাওয়া যায় কিছু সময় পরে তাকে আবার ফোন করলে সুজন নামে ইউএনও’র সিএ ফোনকল রিসিভ করে বলেন স্যার গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এ আছে ১ ঘণ্টা পরে স্যার ফ্রি হবেন।
১২ জুন, ২০২৪

বেনজীরের সাভানা পার্কের নিয়ন্ত্রণ নিল জেলা প্রশাসন
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার সকাল থেকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী পার্কের যাবতীয় কার্যক্রম চলবে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যৌথভাবে এ ঘোষণা দেয়। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম, দুদক গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো.জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা গতকাল সন্ধ্যায় পার্কে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এর নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেন। গোপালগঞ্জ দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, গতকাল সকাল থেকে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে আয়-ব্যয়সহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় পার্কের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। দর্শনার্থী প্রবেশেও আর কোনো বাধা থাকবে না। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজ বাবলী শবনম যখন মাইকে পার্ক নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছিলেন, তখন এলাকাবাসী জড়ো হয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন। সেখানে উপস্থিত ভুক্তভোগী বাদল বল (৫০) বলেন, ‘ডিসি স্যার পার্কের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আশা করি সরকারি রাস্তা দিয়ে আমরা আমাদের চাষের জমি ও পুকুরে যেতে পারব।’ ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে বেনজীর আহমেদ র্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ (দুদকের তথ্য অনুযায়ী) বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। তাদের ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেকের জমি নেওয়া হয়েছে জবরদখল করে। রিসোর্টের পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে মামলাসাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের পুকুর থেকে মাছ চুরির অভিযোগে রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের নামে মামলা হয়েছে। শনিবার সকালে দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান গোপালগঞ্জ সদর থানায় এ মামলা করেন। এর আগে প্রশাসনের সহযোগিতায় ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া মাছ ও সাড়ে ৩৭ কেজি কাতল মাছ জব্দ করা হয়। সেই মাছ নিলামে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকায় বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। মশিউর রহমান জানান, শুক্রবার রিসোর্টে রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলা অবস্থায় রিসোর্টের অভ্যন্তরের পুকুর থেকে মাছ চুরির সংবাদ পান তারা। সেখানে দুদক কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জেলেরা জানান, রিসোর্টের মৎস্য ও হ্যাচারি কর্মকর্তার নির্দেশে মাছ ধরেছেন তারা। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
০৯ জুন, ২০২৪

বেনজীরের সেই রিসোর্টের নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কে রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।  জেলা প্রশাসন বলেছে, সাময়িক বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের তদারকিতে পরে সাভানা পার্ক খুলে দেওয়া হবে। শুক্রবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় পার্কের প্রধান ফটকের পাশে মাইকিং করে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যৌথভাবে এ ঘোষণা দেন।  গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী শবনম, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গোপালগঞ্জের উপপরিচালক মো. মশিউর রহামন, সহকারী পরিচালক সোহরাব হোসেন সোহেল, দুদক মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সোহেল মো. জিল্লুর রহমান রিগানসহ জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এদিন সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন এবং মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ দুদকের দুটি টিম ওই পার্কের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং বেনজীর ও তার পরিবারের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেন।  গোপালগঞ্জের দুদকের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান জানান, শনিবার সকাল থেকে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা প্রস্তুত ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর থেকে আয়-ব্যয়সহ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় পার্কের সকল কার্যক্রম চালু থাকবে এবং তখন দর্শনার্থী প্রবেশে আর কোনো বাধা থাকবে না। এ সময় রাতে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়ে। এলাকাবাসী ভুক্তভোগী বাদল বল (৫০) বলেন, ডিসি স্যার পার্কের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আমরা আশা করি সরকারি রাস্তা দিয়ে আমরা আমাদের জমিতে ও পুকুরে যেতে পারব। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত আইজিপি থাকাকালীন সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ (দুর্নীতি দমন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী) বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ পার্কে সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের বলে জানা গেছে। তাদের ভয় দেখিয়ে, জোর করে এবং নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি করা হয়েছে জবরদখল। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দিলে বিভিন্ন সময়ে রাতের আঁধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী।  
০৮ জুন, ২০২৪

নওগাঁয় পশুরহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, নীরব প্রশাসন
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় পশুর হাটগুলোতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। টোল আদায়কারীরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে সরকারি নির্ধারিত রেটের (টাকার) চেয়ে অতিরিক্ত আদায় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকায় রয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। যেন দেখার কেউ নেই। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে হাটের ইজারাদার এবং খাস আদায়কারীরা তাদের ইচ্ছামতো হাটে টোল আদায় করছেন। জানা গেছে, উপজেলার বৃহত্তম পশুরহাট আবাদপুকুর ও ত্রিমোহনী হাট। এ বছর আবাদপুকুর হাটটি উপজেলা প্রশাসনের আওতায় খাজনা আদায় করা হচ্ছে। আর ত্রিমোহনী হাটটি টেন্ডারের মাধ্যমে হিটলার নামে এক ইজারাদার হাটটি ইজারা নিয়েছেন। সপ্তাহে রোববার ও বুধবার দুদিন আবাদপুকুর হাট হয়। আর সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার দুদিন বসে ত্রিমোহনী হাট। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা (কোরবানি) ঈদ উপলক্ষে রাণীনগর উপজেলা ও আশপাশের উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এই দুই হাটে গরু, মহিষ, ছাগল ভেড়া বেচাকেনার জন্য আসেন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, গরু-মহিষ থেকে ৫০০ টাকা ও ছাগল-ভেড়া থেকে ২০০ টাকা খাজনা (টোল আদায়) করা যাবে। কিন্তু আবাদপুকুর ও ত্রিমোহনী হাটের উল্টো চিত্র। টোল আদায়কারীরা গরু, মহিষের জন্য ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত টোল (খাজনা) নিচ্ছেন। আর ছাগল-ভেড়া থেকে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত টোল আদায় করছেন। আবার খাজনার টাকা নিলেও রসিদে লেখা হচ্ছে না টাকার পরিমাণ। এতে করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। বুধবার আবাদপুকুর হাট থেকে গরু কিনেছেন ঘাটাগন দিঘিরপাড়ের এমদাদুল হক। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি হাট থেকে ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছি। সেই গরুর জন্য লেখনী বাবদ ১০০ টাকা ও খাজনা (ছাপ) বাবদ ৬০০ টাকা আমার কাছ থেকে নিয়েছে টোল আদায়কারীরা। কিন্তু ৭০০ টাকা নিলেও রশিদে একটি টাকাও লিখে দেননি। ছাগল ক্রেতা মো. বছির আকন্দ জানান, কোরবানির জন্য আবাদপুকুর হাট থেকে একটি ছাগল কিনেছি। ওই ছাগলের খাজনা বাবদ আমার কাছ থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছে। গরু ক্রেতা একরামুল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ত্রিমোহনী পশুরহাট থেকে একটি লাল ষাঁড় কয়েকজন মিলে দেড় লক্ষাধিক টাকা দিয়ে কিনেছি। গরুটির খাজনার জন্য আমাদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই হাটে ছাগল ক্রেতার কাছ থেকেও সরকারি নির্ধারিত রেটের চেয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বেশ কয়েকজন ক্রেতার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ক্রেতা বলেন, উপজেলা প্রশাসন হাটের এসব বিষয়ে সব কিছু জানার পরেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেন না। দ্রুত ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ হাট থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিলে ইজারাদার ও টোল আদায়কারীদের হাত থেকে রক্ষা পাবে ক্রেতা-বিক্রেতারা। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবাদপুকুর হাটের টোল আদায়কারীর মধ্যে একজন হেলু মন্ডল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাটে অতিরিক্ত কোনো টোল আদায় করা হচ্ছে না। সরকারি রেটেই খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ত্রিমোহনী হাটের ইজারাদার হিটলারকে গুমাধ্যমকর্মী একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে কোনো ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৭ জুন, ২০২৪

বেনজীরের সম্পদ উচ্ছেদে যাচ্ছে প্রশাসন
সম্প্রতি আলোচনায় থাকা পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন গাজীপুর ভাওয়াল রিসোর্টের দখলে থাকা বনের জমি উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসক। জানা যায়, ভাওয়াল রিসোর্টের দখলে থাকা ৩ দশমিক ৬৮ একর বনভূমি উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে গাজীপুর জেলা প্রশাসন।  শুক্রবার (৭ জুন) কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। সফিকুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের ৩ দশমিক ৬৮ একর জমি উদ্ধারের বিষয়ে ভাওয়াল রিসোর্টের করা মামলায় উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। এ কারণে জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে মামলায় রায় হয়েছে। আদালত স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, এখন আইনিভাবে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের দখলে থাকা বনভূমির জমি সীমানা চিহ্নিত করণের কাজ চলছে। আমরা আইন অনুযায়ী তাদের ৭ দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দেব। তারপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে। এর আগে ভাওয়াল রিসোর্টের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে গত রোববার গাজীপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  ঢাকার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বজলুল হক, ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা ডা. মো. সিরাজুল হকসহ ৬ জন বাদী হয়ে গাজীপুর ১ম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিবাদী করা হয়েছে, আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান মরহুম আবুল হাসেমের ছেলে মো. শওকত আজিজ রাসেল, সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের উত্তর বানিয়ারচালা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মাস্টার, ভাওয়াল রিসোর্ট এন্ড স্পা’র ম্যানেজার সুমন ও একই প্রতিষ্ঠানের অপর ম্যানেজার মো.কামরুল ইসলামকে। আগামী ৬ নভেম্বর বিবাদীদের সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে জবাব দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরকার  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, মামলার বিবাদীরা বাদীপক্ষের ক্রয় করা জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন। মামলায় ‘ক’ তফসিলের ১০২ শতাংশ জমি বাদির ষোলো আনা স্বত্ব ঘোষণা করে রায় ও ডিক্রি প্রদান, ‘খ’ তফসিলে ১০২ শতাংশ জমি থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ এবং অ্যাডভোকেট কমিশন নিয়োগ করে মাপঝোপের মাধ্যমে দখল হস্তান্তরের আদেশ দিতে আদালতের কাছে দাবি করেছেন। গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে ইজ্জতপুর সড়ক ধরে চার কিলোমিটার ভেতরে ‘ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা’। সেখানকার নলজানী গ্রামে তিনদিকে বনভূমিবেষ্টিত এই রিসোর্ট এলাকার মানুষের কাছে ‘বেনজীরের রিসোর্ট’ নামেও পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, ৫০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা ভাওয়াল রিসোর্টের ৩ দশমিক ৬৮ একর জমি বন বিভাগের। আর নিরীহ কৃষকদের অন্তত ৪০ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে রিসোর্টটি তৈরি করা হয়েছে।  শুরুতে ১৯ একর জমি নিয়ে রিসোর্টটির কাজ শুরু হলেও বেনজীরের ক্ষমতার জোরে প্রায় ৫০ একর জায়গা দখল করে নেন রিসোর্ট মালিকরা বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
০৭ জুন, ২০২৪
X