চোটগ্রস্ত তাসকিনই কেন সহঅধিনায়ক, জানালেন প্রধান নির্বাচক
ইনজুরির কারণে তার দলে থাকা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাকেই করা হয়েছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ডেপুটি। অর্থ্যাৎ চোট-শঙ্কায় থাকলেও ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদকে করা হয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের সহ-অধিনায়ক। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফুল হোসেন লিপু। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই নির্বাচক আব্দুল রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। তাসকিনের শরীরের ডান পাশের মাংস পেশির এই চোটটি দীর্ঘদিনের। মাঝে মধ্যেই অস্বস্তিতে পড়েন এই চোট নিয়ে। আবারও পড়েছেন পুরোনো সেই চোটে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ডানহাতি ফাস্ট বোলারের এ চোট চিন্তায় ফেলেছিল বিসিবি কর্তাদের। এতে শঙ্কার মধ্যে পড়ে গেছে তাসকিনের বিশ্বকাপ খেলা। তবে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার খেলা হচ্ছে না। এর আগে সোমবার তার রিপোর্ট পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। তাই সেখানে হবে তাসকিনের ইনজুর পূর্নবাসন পক্রিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। হিউস্টনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক সিরিজ রয়েছে টাইগারদের। আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে মাঠে গড়বে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের এই সিরিজ। কী কারণে তাসকিনকে সহ-অধিনায়ক করা হয়, তার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘তিনি আরেক প্রজন্মের উদীয়মান একজন খেলোয়াড়, আরেকটি বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে খেলছে বিভিন্ন সংস্করণে। সে জন্য তাকেই হয়তো প্রত্যাশিত প্রার্থী মনে হয়েছে।’ বিশ্বকাপের ম্যাচ শুরু আগে তাকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার প্রত্যাশা করছেন নির্বাচকরা, ‘যতটুকু তথ্য আছে, সেটা হলো বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। আপনারা জানেন যে এবারের নিয়ম হলো একজন চোটে থাকা ক্রিকেটারকেও দলে রেখে টুর্নামেন্টে ঢুকতে পারবেন এবং উনি যদি ভালো হয়ে ওঠেন, তাহলে ভালো। আর না হলে পরিবর্তন করা যাবে। তবে তাসকিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে পারছে না।’ তাসকিন সুস্থ না হলে কপাল খুলবে হাসান মাহমুদের, এমনটাই জানা প্রধান নির্বাচক, ‘যদি সে খেলতে না পারে, তাহলে বিসিবি তাদের নজরে আনবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এই মুহূর্তে আমি পরিষ্কার উত্তর দিতে পারছি না। যদি সে কোনো কারণে না খেলে, তবে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে দেওয়া হবে। আশা করি, এমন কিছু না হোক।’
১৪ মে, ২০২৪

তামিমকে দলে ফেরানো নিয়ে যা বললেন প্রধান নির্বাচক
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বশেষ তামিম ইকবালকে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকেই জাতীয় দলের জার্সিতে আর মাঠ মাতাননি দেশসেরা এই ওপেনার। তবে সবসময় টাইগার শিবিরে ফেরা না ফেরার দোটানার মধ্যে ছিলেন তিনি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, স্বয়ং ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সরাসরি বিষয়টি দেখছেন। এদিকে তামিমকে দলে ফেরানো নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুও কথা বলেছেন। সম্প্রতি দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রধান নির্বাচকে গাজী আশরাফের দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওঠে আসে তামিম প্রসঙ্গ। সেখানে তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয় তামিমের সঙ্গে তার দলে ফেরা নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না। জবাবে লিপু বলেন, ‘আমাদের গণ্ডির মধ্যেই রয়েছি। ফরমালি যতটুকু অথরিটি রয়েছি ততটুকুর মধ্যেই আছি। যে কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গেই আমাদের হাই-হ্যালো ধরনের কথা হয়। তামিমকে কে না দলে চায়, সবাই চায়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তামিমের সঙ্গে পাপন ভাই কথা বলবেন। গতকাল (৫ মার্চ) জালাল ভাইও সেটি বলেছেন। তাদের সঙ্গে সিরাজ ভাইও কথা বলবেন। বোর্ড সভাপতি সরাসরি ব্যাপারটা দেখছেন। একজন ক্রিকেট খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমরা কথা বলতেই পারি, কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে কোনো কিছু করার ওই জায়গায় আমরা নাই, এটা বুঝতে হবে।’ এছাড়াও সম্প্রতি টেস্ট দলে সাকিবের ফেরা নিয়েও মুখ খুলেন তিনি। বর্ষীয়ান এই ক্রিকেট কর্তা বলেন,  ‘সাকিবকে নতুন করে দেখার কিছু নেই। সে অনেকদিন টেস্টের বাইরে ছিল। হয়তো তার সেরাটা আসেনি, কিন্তু তার উপস্থিতি দলকে অনুপ্রাণিত করেছে। সাকিব জাতীয় দলের জন্য ছাতার মতো। তরুণদের অনেক কিছু শেখার আছে। সাকিব জানে তার সুনাম কীভাবে রাখতে হবে।’ এছাড়াও চোটের কারণে অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাইফউদ্দিন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সাইফউদ্দিন একজন ভালো পারফর্মার। সে ইনজুরিতে ছিল, যা তাকে ছিটকে দেয়। এখনো সে বেশ নিবিড় একটা পর্যবেক্ষণে আছে মেডিকেল টিমের। তাকে ছক বেঁধে দেওয়া হয়েছে কতটুকু কী করতে পারবে। আরও কিছু ম্যাচ তাকে দেখার সুযোগ পাব।’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসবে। তার আগে জিম্বাবুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ফরম্যাটটিতে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। সর্বশেষ বিপিএলে ভালো করায় সাইফউদ্দিনকে সেখানে রাখার ব্যাপারে জল্পনা চলছে দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে। তবে তামিমের ফেরা নিয়ে সংশয় মিটছে না কোনোভাবেই!
০৬ এপ্রিল, ২০২৪

লিটনকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধান নির্বাচক
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে পুরোপুরি ব্যর্থ ওপেনার লিটন কুমার দাসকে সিরিজ নির্ধারনী শেষ ওয়ানডের দল থেকে পারফরম্যান্সের কারণে বাদ দেওয়া হয়েছে। লিটনের জায়গায় প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে এসেছেন জাকের আলি অনিক। শনিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদিকে দল থেকে লিটনের বাদ পড়ার নেপথ্য কারণ ব্যাখা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি বলেন, যেহেতু সিরিজটা চলছে, সেখানে খুব বেশি পরিবর্তনের সুযোগ ছিল না। তবে, নতুন বলে খুবই অধারাবাহিক হওয়ার কারণে, আমরা লিটন দাসকে এই স্কোয়াডে সঙ্গে আর রাখছি না। আগে থেকে দলের সঙ্গে আছেন এনামুল হক বিজয় এবগ তাজদি হাসান তামিম যারা ওপেনার হিসেবে আছে এবং সৌম্য সরকার আরেকজন ওপেনার। লিটনের বাদ পড়া এবং জাকেরের দলে প্রবেশের বিষয়ে কোচ-অধিনায়কের মতামত নিয়েছেন বলে জানান গাজী আশরাফ লিপু, ‘এই সিলেকশন প্রক্রিয়ায় আমরা অবশ্যই কোচ-ক্যাপ্টেনের মতামত নিয়েছি। আমরা দেখেছি লিটনের পরিবর্তে দলে যদি মিডল অর্ডারে কাউকে সংযোজন করা যায়, সেখানে একটা গ্যাপ আছে। সেখানে অনিককে মনে করেছি এই জায়গায় যথার্থ হবে। সাদা বলে সে টি-২০ খেলেছে, রান করেছে, রান পেয়েছে ডিপিএলেও। একাধিক ভূমিকা পালন করতে পারে, মিডল অর্ডারে ওপরের দিকে খেলতে পারে আবার ফিনিশারের ভূমিকাও পালন করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে কনকাশনেরও ঝুঁকি থাকে। আমরা মনে করেছি লিটনের পরিবর্তে জাকেরকে দলে নিলে দলের ভারসাম্য অনেক ভালো থাকবে। তৃতীয় ম্যাচ দিবারাত্রির নয়, সকাল ১০টায় শুরু হবে। সেই আলোকে আমরা মনে করেছি জাকের বেশি যোগ্য দাবীদার।’ এর আগে বিসিবির বিবৃতিতে লিটনের বাদ পড়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে লিটনের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো নয়, তাই আমরা দলে পরিবর্তন এনেছি। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে স্কোয়াডে থাকা আরও দুই দক্ষ ওপেনারের সামনেও খেলার সুযোগ থাকবে।’
১৬ মার্চ, ২০২৪

প্রধান নির্বাচক নিয়োগের ব্যাপারে জানতেনই না সুজন
সোমবারের (১২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বহুল প্রতীক্ষিত নবম বোর্ড সভা শেষে বেশকিছু বড় বড় পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। যার মধ্যে অন্যতম হলো জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক হয়েছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। অনেকটা সবাইকে অবাক করে দিয়েই লিপুকে প্রধান নির্বাচক করা হয়েছে। তার এই পদ পাওয়ায় অবাক হওয়া লোকের একজন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। সাধারণত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অধীনেই নিয়োগ হয় প্রধান নির্বাচক ও নির্বাচকদের। তবে লিপুর প্রধান নির্বাচক হওয়ার বিষয়টি নাকি আগে থেকে জানা ছিল না সুজনের। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিনে সাংবাদিকদের দুর্দান্ত ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচ বলেন, ‘লিপু ভাইয়ের অনেক ক্রিকেট মেধা। আমাদের অনেক সিনিয়র। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক দিন ধরে দেখছেন। জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন, আবাহনীর অধিনায়ক ছিলেন। ওনাকে নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না। উনি আসাতে ভালো হতে পারে। নির্বাচক হতে পারেন বা এমন কিছু আমি আগে শুনিনি। খুবই চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত এসেছে বিসিবি থেকে।’   প্রধান নির্বাচক হিসেবে লিপু আসায় অবাক হলেও এই দায়িত্ব তিনি সামলাতে পারবেন মনে করেন সুজন। তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট যিনি খেলেছেন, তাঁর ক্রিকেটজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলা তো অস্বাভাবিক। অধিনায়কত্ব করেছেন, এত বছর ধরে ক্রিকেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মাঝখানে বড় গ্যাপ আছে। টিভিতে আমরা সবাই কথা বলতেই পারি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে কী হচ্ছে, প্রিমিয়ার লিগ বা বয়সভিত্তিক ক্রিকেট... তবে আমার মনে হয় না এটা ওনার জন্য খুব একটা কঠিন হবে। মানিয়ে নিতে বেশি সময় লাগবে না। ওনার ক্রিকেট মেধা, বিচক্ষণতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকতে পারে না, দ্বিমত থাকতে পারে না।’ লিপুর প্রধান নির্বাচক হওয়া নিয়ে বাংলাদেশ দলের সাবেক পেসার ও অধিনায়ক আরও বলেছেন, ‘তবে আমার জন্য খুবই সারপ্রাইজিং ছিল। আমি নামটা শুনিনি। বাতাসে অনেক নামই ভাসছিল, গুঞ্জন ছিল। আমার জন্য অবাক করা কারণ, আমি ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান, অথচ আমি জানিই না। এটা আমার খুব অবাক লাগল। লিপু ভাই যথেষ্ট বুদ্ধিমান মানুষ। আমরা যখন ওনার সাথে খেলেছি, তরুণদের সেভাবেই সাপোর্ট করেছেন। রাজ্জাক-হান্নানের সাথে সেভাবেই গুছিয়ে নেবেন, তারাও শিখতে পারবে।’  
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নতুন প্রধান নির্বাচক কে এই গাজী আশরাফ!
ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির পরিচালনা পরির্ষদের সভায় যোগ দেন নাজমুল হাসান পাপন। গত বছর ১২ জুন হয় বোর্ডের সর্বশেষ অষ্টম সভা। মাঝের আট মাসে ঝুলে রয়েছে অনেক সিদ্ধান্ত, খুলতে হবে সেই জট। অবশেষে নবম বোর্ড সভায় সেই জট খুললেন বিসিবি সভাপতি। দিলেন যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত। অনেকটা অভিমানে ক্রিকেট থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকা গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে দিলেন দল নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব।  দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় অনেকের মাঝে প্রশ্ন কে এই গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিশেষ করে তরুণদের একটা অংশ জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের ব্যাপারে একদমই অজ্ঞ।  তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেকটা অংশজুড়ে জড়িয়ে আছে লিপুর নাম। ১৯৬০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ৬৩ বছর বয়সী গাজী আশরাফের প্রথম পরিচয় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার। ছিলেন দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচের অধিনায়ক। দেশের জার্সিতে ৭টি ওয়ানডে খেলা লিপুর নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে খেলে বাংলাদেশ। ৭ ম্যাচের ছোট্ট আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তার রান ৫৯। বল হাতে রয়েছে ২ উইকেট। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ উজ্জ্বল ছিলেন তিনি। ঢাকা লিগের আবাহনী ক্রীড়া চক্রের নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট দলেরও অধিনায়কত্ব করেছেন। তার কোচিংয়ে শিরোপাও জেতে আবাহনী।  খেলা ছাড়ার পর নানা সময়ে বিভিন্ন ভূমিকায় দেখা গেছে গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে হন জাতীয় দলের ম্যানেজার। এরপর দীর্ঘদিন পালন করেন বিসিবির পরিচালকের দায়িত্ব। একই সঙ্গে ছিলেন গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধানের পদে। ছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানের দায়িত্বেও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। ২০১৩ সালে বিসিবির পরিচালনা পষর্দের নির্বাচনে হেরে যান তিনি। এরপর ক্রিকেটের সরাসরি কার্যক্রম থেকে গুটিয়ে নেন নিজেকে। কিন্তু এবার নতুন রূপে আবারও যুক্ত হচ্ছেন দেশের ক্রিকেটে। পালন করবেন জাতীয় দল নির্বাচনের গুরু দায়িত্ব।     এই দায়িত্ব পালনে তার সঙ্গে থাকবেন নতুন করে যুক্ত হওয়া হান্নান সরকার। এর আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় সাবেক এই ওপেনার। এ ছাড়া আগের মত নিজের জায়গায় আছেন আব্দুর রাজ্জাক। নতুন এই ত্রয়ী নবযাত্রা কেমন হয়, সেটি দেখার অপেক্ষায় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা!
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X