সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষা করবে যৌথ টাস্কফোর্স
চাকরি নিয়ে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, সৌদিতে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরও স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। টাস্কফোর্স গঠনটি এ বিষয়ে তাদের সদিচ্ছার প্রতিফলন। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশকে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সমগ্র বিশ্ব তার প্রশংসা করছে; সৌদি সরকারও ভূয়সী প্রশংসা করেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স পাঠানোয় প্রণোদনা, অনলাইন অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সর্বজনীন পেনশন সুবিধা, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রবাসীদের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশবিরোধী প্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক ও তৎপর থাকা এবং দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মানোন্নয়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেন। এ সময় সৌদি আরবে আরও বেশিসংখ্যক দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবী নিয়োগ, আকামা নবায়ন সহজীকরণ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, চট্টগ্রাম থেকে রিয়াদ সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালু, প্রবাসীদের স্বাস্থ্যবীমা, প্রবাসীরা মারা গেলে লাশ ফেরত আনার সুব্যবস্থা, আইনি সহায়তা, দূতাবাসের মাধ্যমে পাসপোর্ট নবায়ন, এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন, পরিবারের ভিসা নবায়নের বিষয়ে প্রবাসীদের দাবি-দাওয়া সমাধানের আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান প্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংসহ বিনিয়োগের বিভিন্ন সম্ভাবনা তুলে ধরেন। এ ছাড়া সৌদি আরব গমনেচ্ছু বাংলাদেশিরা যাতে প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সৌদি আরব যাওয়ার আগে আগ্রহী বাংলাদেশিদের নিয়োগকারীর যথার্থতা যাচাই করা প্রয়োজন। সভায় সৌদিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব নজরুল ইসলাম।
০৩ জুলাই, ২০২৪

নায়িকা ববির সঙ্গে প্রতারণা করা সেই আমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা 
চিত্রনায়িকা ইয়ামিন হক ববির সঙ্গে প্রতারণা করা সেই আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (০২ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটনের সাত নম্বর আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালত এ পরোয়ানা জারি করেন।  নায়িকা ববির আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাকিবুল হাসান (রানা) পরোয়ানার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে রাজধানীর ‍গুলশানে চিত্রনায়িকা ববির রেস্টুরেন্টে লুটপাট ও হামলার অভিযোগে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।  এর আগে গুলশানে নায়িকা ববি তার রেস্টুরেন্ট ‘ববস্টার ডাইনিং’ দখল, লুটপাট, প্রতারণা, ব্যবসায়িক অংশীদারকে হত্যাচেষ্টা ও মারপিট এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেন।  সোমবার (১ জুলাই) রেডওয়ার্কিড রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে ববি এসব অভিযোগ করেছেন। গত ২২ জুন দিবাগত রাতে ববস্টার ডাইনিংয়ে লুটপাট ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। ২৩ জুন দুপুরে ববির ব্যবসায়িক অংশীদার ঘটনাস্থলে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। এ বিষয়ে ওইদিনই মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়িক অংশীদার মির্জা বাশারের ছোট ভাই আব্বাস। একই দিন মির্জা বাশার ও ববিকে আসামি করে রেস্টুরেন্ট ভবনের এ জি এম সাকিব মিথ্যা মামলা দায়ের করেন বলে দাবি করেছেন ববি। সংবাদ সম্মেলনে ববি বলেন, সৎভাবে জীবনযাবন অব্যাহত রেখে আর্থিক সচ্ছলতার আশায় আমি গুলশান-২ এর ১১৩ নম্বর রোডের ওয়াই এন সেন্টারের একটি রেস্টুরেন্ট ক্রয় করি। রেস্টুরেন্টে অপারেশন পার্টনার হিসেবে রয়েছেন ববির পূর্বপরিচিত মির্জা বাশার। আগের রেস্টুরেন্টের মালিক আমানের সঙ্গে তার রেস্টুরেন্টের সমুদয় আসবাবপত্র (ইন্টেরিয়র ও অন্যান্য) ৫৫ লাখ টাকা মূল্য ধরে একটি চুক্তি হয়। একই সময়ে রেস্টুরেন্ট ভবনের (বিল্ডিং) মালিকের স্ত্রী শাহিনা ইয়াসমিন ও ছেলে জাওয়াদ আল মামুনের সঙ্গে ভবন রেস্টুরেন্ট মালিকসহ আলোচনা করি। তখন শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ রেস্টুরেন্টটি আমাকে ভাড়া নিতে উৎসাহিত করেন এবং চলমান রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করলে তারা পরবর্তী সময়ে আমাদের নামে নতুন চুক্তিপত্র করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তাদের প্রতিশ্রুতির পর আমরা আমানকে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করি এবং টাকা পাওয়ার পর দিন আমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী তাকে দুটি চেকও প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসে আমান আমাদের কাছে রেস্টুরেন্ট হস্তান্তর করেন। আমরা এপ্রিল থেকে রেস্টুরেন্টের ভাড়া প্রতি মাসে আড়াই লাখ ও বিদ্যুৎ বিলসহ অন্যান্য খরচ পরিশোধ করছি। ভবনের মালিক আমাদের নামে ভাড়া জমা নিয়ে রসিদও দেন। রেস্টুরেন্টে ওঠার পর আমরা ডেকোরেশন পরিবর্তনের কাজ শুরু করি। যাতে প্রায় ১ মাস সময় লাগে। ডেকোরেশনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়। এ পর্যায়ে আমরা রেস্টুরেন্ট পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করি এবং ট্রেড লাইসেন্স করার জন্য আমরা ভবনের শাহিনা ইয়াসমিন ও জাওয়াদ আল মামুনকে চুক্তিপত্র, ফায়ার সেফটি ও বাণিজ্যিক অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার অনুরোধ করি। তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমরা যখন ট্রেড লাইসেন্স করতে এসব কাগজপত্র চেয়েছি তখন থেকে হঠাৎ করেই পূর্বের রেস্টুরেন্ট মালিক আমান, ভবন মালিক শাহিনা ইয়াসমিন, তার ছেলে জাওয়াদ, ভবনের দায়িত্বে থাকা জয়, সাকিবসহ অন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাদের হয়রানি শুরু করেন। প্রথমে আমান তাকে পরিশোধ করা ১৫ লাখ টাকার বিষয় অস্বীকার করেন। যদিও তিনি ১৫ লাখ টাকা ক্যাশ বুঝে নিয়ে চাবি হস্তান্তর করেন।’ অন্যদিকে শাহিনা ও জাওয়াদের নির্দেশে ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্মচারী জয়, সাকিব, হারুন ও তাদের সহযোগীরা বারবার আমার রেস্টুরেন্টের বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিয়ে আমাকে হয়রানি শুরু করেন। এর মধ্যে ওয়ান গ্রুপ থেকে বারবার সন্ত্রাসী ও লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে রেস্টুরেন্টে এসে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। গুলশানের মতো জায়গায় এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে দেখে আমি ভীত হয়ে যাই এবং এরা আসলে কাদের লোক তা জানার চেষ্টা করি। তখনই আমরা প্রথম জানতে পারি, শাহিনা ইয়াসমিন সাবেক এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার স্ত্রী এবং এই ভবনের মালিক তিনিই। এমন পরিস্থিতিতে বিপদের আশঙ্কা দেখে ট্রেড লাইসেন্সের বিষয়ে করণীয় কী সে পরামর্শ করতে আমরা সিটি করপোরেশনে যাই এবং জানতে পারি, ওই বিল্ডিংয়ের কোনোরকম বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি নেই। এ জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে বেইলি রোডে রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার পর এই বিল্ডিংটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে শাহিনা ইয়াসমিন তিন মাসের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম সরিয়ে ফেলার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিল্ডিং খোলেন—যোগ করেন ববি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার পর আমরা বুঝতে পারি, আমান, শাহিনা ও জাওয়াদ মিলে আমাদের সঙ্গে এক ভয়াবহ প্রতারণা করেছেন। তারা অবৈধ রেস্টুরেন্ট বাঁচাতে না পারার ভয়ে বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার ফাঁদ পাতেন। সেই ফাঁদে আমাদের ফেলা হয়েছে। বাণিজ্যিক কোনো অনুমতি না থাকার পরও মাত্র তিন মাসের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসে আমাদের প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করিয়েছেন এবং তারা আমাদের থেকে ভাড়াও নিচ্ছেন। তারা ধারণা করেছিল, আমরা বৈধ কোনো কাগজপত্র চাইব না। সিলগালা হওয়া ভবনটিতে এখনো আগের মতোই সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে পার্কিংয়ের স্থানে (গ্রাউন্ড ফ্লোর) ‘ল্যাভেন্ডার’, ‘বাসমতি’ নামের দুটি বাণিজ্যিক শপসহ ৩টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চলছে। প্রথম তলায় ‘থাই সিগনেচার’ নামে রেস্টুরেন্ট, দ্বিতীয় তলায় ‘হালদা ভ্যালি’ নামে রেস্টুরেন্ট ও চতুর্থ তলায় ‘স্পা সেলুন’ চলছে। ভবনের বৈধ কাগজপত্র চাওয়ায় তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে তারা আমাদের হুমকি দিতে থাকে, এই ভবনে তোমাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না’। সর্বশেষ গত ২২ জুন রাত ১১টায় আমরা রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে বেরিয়ে যাই। পরদিন ২৩ তারিখ সকালে রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা গেলে নিরাপত্তাকর্মীসহ অন্যরা তাদের ঢুকতে বাধা দেয়। কেন ঢোকা যাবে না তার কোনো উত্তর দিতে পারে না। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মির্জা বাশার সেখানে গেলে হঠাৎ করেই ১৫-২০ জনের সন্ত্রাসী দল তার ওপর আক্রমণ শুরু করে। সেখানে বাশারকে একা পেয়ে বেদম মারধর ও হত্যাচেষ্টা করা হয়। যার সিসিটিভি ভিডিও রয়েছে। আমি বিষয়টি জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ থানায় অব্যহিত করি এবং সেখানে পুলিশ ও আমি একই সঙ্গে পৌঁছাই। পুলিশের উপস্থিতিতে আমরা রেস্টুরেন্টে ঢুকতে গেলে দেখতে পাই সেখানে নতুন তালা লাগানো হয়েছে। মারধর করে উল্টো তাদের নামেই মামলা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ববি বলেন, আমরা গুলশান থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা থেকে মির্জা বাশারকে আগে চিকিৎসা করিয়ে এসে পরে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে আমরা মামলা করতে গিয়ে জানতে পারি তারা আগেই মামলার অভিযোগ জমা দিয়েছে। যেখানে আমাকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে আমি পুলিশের সঙ্গে যাই এবং পুলিশের সঙ্গে বের হয়ে প্রথমে থানায় যাই। মামলায় তদন্ত হচ্ছে, আশা করি তদন্তে সত্যতা উঠে আসবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আমি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রে কাজ করছি। শিল্পী হিসেবে আমার একটা সম্মান ও সুনাম আছে। আমি কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়াই না। বৈধভাবে একটা ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। সম্পূর্ণ অবৈধ একটি ভবনের বিষয়ে আমার কাছে তথ্য গোপন করে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। শাহিনা ইয়াসমিনের ওপর আমি সরল বিশ্বাসে ভরসা করি। কিন্তু তিনি, তার ছেলে ও তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর এমন তৎপরতার আমি প্রতিকার চাই। আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা সিটি করপোরেশনকে জিজ্ঞেস করুন, কীভাবে এই ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। যদি তারা সময়মতো আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিত তাহলে আজ আমি প্রতারিত হতাম না। নিজের অর্থ খরচ করে ব্যবসা করতে নেমে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন দাবি করে চিত্রনায়িকা ববি বলেন, আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পর এখনো গুলশানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কীভাবে এমন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে তা আমার বোধগম্য নয়। তাদের কারা সহায়তা করে তাও অনুসন্ধান করা দরকার। শাহিনা ইয়াসমিন এতটাই বেপরোয়া হয়ে গেছেন, আমরা যখন বৈধ কাগজপত্র চেয়েছি তখন তিনি বর্তমান সরকার এবং সরকারপ্রধান নিয়েও উল্টাপাল্টা ও অশ্লীল মন্তব্য করেছেন বলে ববির অভিযোগ। এ ছাড়া ববি অভিযোগ করেন, তিনি জানতে পেরেছেন, প্রশাসনের দুজন লোক শাহিনা ও জাওয়াদের এসব অপকর্মে গোপনে সহায়তা করেন এবং তাদের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওই দিন একটা ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষ দুটি মামলা করেছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত বলা যাবে।
০২ জুলাই, ২০২৪

চাকরির নামে প্রতারণা / আলোচিত সেই ভুয়া ম্যাজিস্টেট তিশা আবারও গ্রেপ্তার
দিনাজপুরে আলোচিত ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ওরফে মোছা. আঞ্জুমান আরা আজমেরি (৩০)-কে সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে স্থানীয় জনগণ তাদের আটক করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। সেখান থেকে কল পেয়ে বুধবার (১৯ জুন) তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ওরফে মোছা. আঞ্জুমান আরা আজমেরি গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কারণে এর আগেও তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন।  মানুষের সঙ্গে বারবার প্রতারণার কারণে বাবার পরিবার থেকেও তার সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ওরফে মোছা. আঞ্জুমান আরা আজমেরি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা শহরের কাটাবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা সাবেক মেয়র শাহজাহান আলি সরকারের মেয়ে এবং সিলেট কারাগারের কারারক্ষী মো. আব্দুল মান্নানের তালকপ্রাপ্ত স্ত্রী। বর্তমানে তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে রোকেয়া ছাত্রী নিবাসে বসবাস করেন। তার সহযোগী সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা মিস্ত্রিপাড়া জিন্নাহ কাব পাড়ার তরিকুল ইসলামের ছেলে শাহাদত হোসেন (২৪)-কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  পুলিশ জানায়, বাদী আল আমিনকে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়। পরে তিনি জানতে পারেন, আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ওরফে মোছা. আঞ্জুমান আরা আজমেরি একজন ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি বিভিন্ন সময় মানুষের সঙ্গে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেন। বুধবার সকালে তিনি জানতে পারেন, ওই ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট তার সহযোগী শাহাদত হোসেনের বাড়িতে অস্থান করছে। এ সময় তিনি স্থানীয়দের জানালে স্থানীয়রা বাড়িটি ঘেরাও করে রেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেয়। সেখান থেকে পুলিশ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ওরফে মোছা. আঞ্জুমান আরা আজমেরি ও তার সহযোগী শাহাদত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।  পুলিশ আরও জানায়, স্থানীয়দের সামনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামিরা জানায়, জনৈক জুয়েলের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা, সুমন আলীর কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, মোছা. রীনা খাতুনের কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা, ইমতিয়াজ আলীর কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, রাজু বাবুর কাছ থেকে ৮৫ হাজার টাকা, সুয়েজ ইসলামের কাছ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ও বাদী আল আমিনের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি একই অপরাধে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দিনাজপুরে, তারও আগে যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এটাকেই পেশা হিসেবে নিয়েছেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন বিষয়গুলো নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারদের কোর্টে চালান দেওয়া হলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। আসামিদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
২০ জুন, ২০২৪

প্রতারণা করে ভাইভা বোর্ডে ৩ যুবক কারাগারে
দেশের তিন জেলার তিন যুবক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষায় প্রতারণার মাধ্যমে পাস করেন। তারা হলেন দিনাজপুরের রকি বাবু, শরীয়তপুরের এনায়েত উল করিম ও কিশোরগঞ্জের রাজিব হোসেন রাজু। নির্ধারিত দিনে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন তারা। সেখানে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তরে এলোমেলো তথ্য দেন। তাদের হাতের লেখায় অমিল পায় মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড। লিখিত পরীক্ষায় পাস করেও এভাবে তারা ভাইভায় ফেঁসে যান। পরে মন্ত্রণালয়ের করা মামলায় তাদের পাঠানো হয় কারাগারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন যুবক জননিরাপত্তা বিভাগে অফিস সহায়ক পদে আবেদন করেন। গত ৩ মে লিখিত পরীক্ষা হয়। ৭ জুন মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। বোর্ডে থাকা পরীক্ষকরা তাদের লিখিত পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর তারা মৌখিক পরীক্ষায় লিখতে বা বলতে পারেননি। এ কারণে তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখা ও স্বাক্ষর মেলানো হলে সেটিতেও মিল পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার দায় স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। চাকরিপ্রত্যাশী রকি বাবু জানান, লিখিত পরীক্ষায় তাকে পাস করিয়ে দেবে ৫০ হাজার টাকায় এমন চুক্তি করেন। লিখিত পরীক্ষায় শাহাদত নামে একজন তাকে সহায়তা করেন। এনায়েত উল করিম জানান, লিখিত পরীক্ষায় তিনি পাশের সিটের প্রার্থীর সঙ্গে খাতা পরিবর্তন করেন। রাজিব হোসেন জানান, লিখিত পরীক্ষায় তার পরিবর্তে চাচাতো ভাই মতিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মতিন বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। এসব ঘটনায় জননিরাপত্তা বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাওসার খান রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুন রাজধানীর শাহবাগ থানায় প্রতারণার মামলায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ঘটনা তদন্তে তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে জেলগেটে এক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়ে কারাগারে পাঠান। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়ে তারা অনেক তথ্য দিয়েছেন; সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী মনিবুল হক কালবেলাকে বলেন, নিজেদের লোক নিয়োগ দিতে এবং অন্যদের বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে। আসামিরা নিজেদের মেধা খাটিয়ে পরীক্ষায় পাস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
১৫ জুন, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ বোনাস নিয়ে ফেসবুকে প্রতারণার ফাঁদ
বাংলাদেশে আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে গেল কয়েক বছর ধরেই ইন্টারনেটের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল সম্পর্কে জানা যাচ্ছে। এবারও তেমন একটি প্রতারণার বিষয়ে অনুসন্ধান করেছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। দেশের জনগণকে ২৫-৩০ হাজার টাকা ঈদ বোনাস দেওয়ার ভুয়া প্রতিশ্রুতির পোস্ট ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচার করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। এ প্রতারণার ফাঁদকে বিশ্বস্ত করে তুলতে কখনো প্রধানমন্ত্রীর ছবি, কখনোবা গণমাধ্যমের লোগোকে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা দেখে যে কেউ ভেবে নেবেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই হয়তো এ বোনাস দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কিংবা এই ঘোষণা মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিকাশের ওয়েবসাইটের অনুকরণে তৈরি কিছু নকল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো হচ্ছে, যেখানে ঈদ উপলক্ষ্যে বড় অঙ্কের বোনাস প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। গত ৫ ও ৬ জুন মেটার অ্যাড লাইব্রেরি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এ সময়ে ১২ হাজারেরও বেশি এমন বিজ্ঞাপন এ ধরনের প্রতারণার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হয়েছে। ‘বোনাস পেতে এখানে ক্লিক করুন’ কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে এই বিপুলসংখ্যক বিজ্ঞাপন খুঁজে বের করেছে রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। নারীদের নামে তৈরি বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে এ বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করা হচ্ছে। রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিট এমন ২০টি পেজের তালিকা তৈরি করেছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অধিকাংশ পেজের অ্যাডমিনের অবস্থান ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় দেখানো হচ্ছে। অল্পসংখ্যক পেজের অ্যাডমিনের অবস্থান বাংলাদেশে এবং কেবল একটি পেজের অ্যাডমিনের অবস্থান ভারতে দেখানো হচ্ছে।  প্রতারণাকে বিশ্বাসযোগ্য করতে নানা কৌশল রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতারকরা তিন ধরনের ডিজিটাল ব্যানার ব্যবহার করে এ বিজ্ঞাপনগুলো প্রচার করছে। প্রতিটি ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পাশাপাশি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লোগো যুক্ত করা হয়েছে। অন্য একটি ব্যানারে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন হওয়া মেসেজের স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছে। গত বছরের ১ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ন্যাশনাল কার্ড স্কিম ‘টাকা পে’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উক্ত অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর ছবি এবং ‘আজ থেকে চালু হচ্ছে ‘টাকা পে’ কার্ড’ শিরোনাম ব্যবহার করে এ ইউটিউব ভিডিওটির থাম্বনেইল তৈরি করা হয়। প্রতারকরা এই থাম্বনেইল বিকৃত করে ‘দেশের সবাইকে দিচ্ছি ২৫ হাজার টাকা ঈদ উপহার’ শীর্ষক নতুন শিরোনাম যুক্ত করে ফেসবুকে প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। এ বিষয় জানতে পেরে টিভি চ্যানেলটি দর্শকদের উদ্দেশ্যে একটি সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করে যে, এ ছবিটি তাদের তৈরি নয়। একইভাবে, প্রতারকরা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ইনডিপেনডেন্ট টিভির ইউটিউব চ্যানেলের থাম্বনেইলের ডিজাইন নকল করেও এমন বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রতারকরা বিজ্ঞাপনগুলোর সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিচ্ছে। এক বিজ্ঞাপনে দেশের অন্যতম মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক প্রিভিউ হিসেবে দেখা যায়। তবে লিংকে প্রবেশ করলে নিয়ে যাওয়া হয় বিকাশের ওয়েবসাইটের অনুকরণে তৈরি নকল ওয়েবসাইটে। রিউমর স্ক্যানার ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয় যে, এ কৌশলগুলো মানুষের বিশ্বাস অর্জনের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বেনামি কোনো ফেসবুক পেজ থেকে প্রচারিত বিজ্ঞাপনকে খুব সহজে গ্রহণ করবে না। তাই প্রতারকরা বিজ্ঞাপনগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি, গণমাধ্যমের লোগো এবং এমএফএস সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের লিংক ব্যবহার করছে।
১৪ জুন, ২০২৪

চেক প্রতারণা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা কারাগারে
চেকের পৃথক দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগরকে গ্রেপ্তারের পর আদালাত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তিনি গেলো সাংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ নির্বাচনী এলাকায় নৌকার দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে তাকে চাঁদপুর শহর থেকে সদর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় আটক করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টের ৬ মাসের ও ১ বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত দুটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাকে অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।  ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চাঁদপুরের চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার যুব বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের কাছ থেকে ডা. হারুনুর রশিদ সাগর ৩৬ কিস্তিতে ৩ বছর মেয়াদে ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণ নেন। নির্ধারিত সময় ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় এবং তার প্রদেয় চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হওয়ায় আদালতে মামলা হয়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলাটি করেন মো. নুরু মিয়া শেখ। মামলায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাঁদপুরের যুগ্ম দায়রা জজ (প্রথম আদালত) এর বিচারক সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলাম চলতি মাসের ৫ তারিখে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মামলায় বর্ণিত চেকের ২ কোটি টাকার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদণ্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন। এ ছাড়াও ডা. হারুনুর রশিদ সাগর চাঁদপুর শহরের গুনরাজদী এলাকার মো. শাহ আলম নামে ব্যক্তির কাছ থেকে ব্যবসার নাম করে নগদ সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেন। তার টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ না করায় ওই ব্যক্তি এনআই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করেন। এই মামলায়ও চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একই বিচারক আসামি ডা. হারুনুর রশিদ সাগর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ মাসের বিনাশ্রম ও সাড়ে ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ওই রায়ে উল্লেখ করা হয় অর্থদণ্ডের টাকা অভিযোগকারী পাবেন। ডা. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সাগর চাঁদপুর শহরে অবস্থিত বেলভিউ হাসপাতালের পরিচালক এবং বিএমএ চাঁদপুরের সাবেক সভাপতি। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের মদনেরগাঁও গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত মোহাম্মদ কলিম উল্লাহর ছেলে।
১৪ জুন, ২০২৪

পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা করাই তাদের কাজ
পুলিশ পরিচয়ধারী তিন প্রতারককে আটক করেছে জামালপুর সদর থানা পুলিশ। শুক্রবার (৭ জুন) রাতে জামালপুর শহরের এক আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন ওরফে ইমন চৌধুরী (৪০) ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সোহেল রানা (২১)। ইমন চৌধুরীর শ্বশুরবাড়ি জামালপুর শহরের কাচারি পাড়ায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপর আটক সারফিন আহমেদ তানভীরের (২৫) বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায়। জামালপুর সদর থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আটকের সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহার্য ভেস্ট, পুলিশের তিনটি ব্যাজ, পুলিশের লোগো সম্বলিত তিনটি চাবির রিং, তিনটি মাস্ক উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের তিনজনই দামি মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইমন চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইলের বাজারমূল্য দুই লাখ টাকা এবং অন্য দুজনের ব্যবহৃত মোবাইলের প্রতিটির মূল্য দেড় লাখ টাকা। জামালপুর সদর থানার ওসি মহব্বত কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিন ভুয়া পুলিশকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পুলিশের ব্যবহারের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হোটেলে থেকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে পুলিশ পরিচয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
০৮ জুন, ২০২৪

রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণা চেষ্টায় দুজনের কারাদণ্ড
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টার মামলায় রাজশাহীতে দুজনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা অনাদায়ে আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (৩ জুন) বিকেলে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোহাম্মদ জাকির হাসান এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার দেউলিয়া চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামের এনামুল হক ও হামিরকুৎসা মৃধাপাড়া গ্রামের ছানোয়ারা খাতুন ওরফে ছানু। এদের মধ্যে ছানোয়ারা পলাতক আছেন। আর রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন এনামুল। রায় ঘোষণার পর তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল এনামুল ও ছানোয়ারা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মো. আব্দুস সালামের কক্ষে গিয়ে তাকে জানান, অচিরেই জেলা পুলিশে বাবুর্চি, মালি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ আসছে। এতে তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে হবে। এ সময় তারা মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তার কথা বলিয়ে দেন। ওই ব্যক্তি পুলিশ কর্মকর্তাকে জানান, ছানোয়ারা ও এনামুলের কথামতো নিয়োগ না দিলে ওসি এবং পুলিশ সুপারের (এসপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় ওসি আবদুস সালাম প্রতারকদের প্রতারণার চেষ্টার বিষয়টি বুঝতে পেরে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন প্রতারকেরা প্রতারণার চেষ্টার বিষয়টি স্বীকার করেন। তারা এ-ও জানান যে, ওই বছরের ৩ মার্চ একইভাবে তারা কারারক্ষী নিয়োগের সময় তারা তৎকালীন কারা মহাপরিদর্শক ও রাজশাহী বিভাগের উপ-মহাপরিদর্শকের সঙ্গেও প্রতারণার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করলেন। পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
০৪ জুন, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেত্রী বলছেন বিয়ে, নেতার দাবি প্রতারণা
রাজধানীর ইডেন কলেজের এক নেত্রী এবং কেন্দ্রীয় এক নেতার বিয়ে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রী বিয়ে হয়েছে দাবি করলেও ছাত্রলীগ নেতা বলছেন প্রতারণা। এমনকি তিনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন বলেও দাবি করেন।  ওই তরুণীর ভাষ্য, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের ওই নেতা তাকে বিয়ে করেছেন। ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত নামের ওই নেতার বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনিও একই সংগঠনের ইডেন কলেজ শাখার নেত্রী। তবে বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শাহাদাত বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। বন্ধুত্বের বাইরে তাদের আর কোনো সম্পর্ক ছিল না; বরং অনেক দিন ধরে তাকেই মানহানিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস এবং টাকার জন্যেই মূলত তিনি এ ধরণের বিষয়ের অবতারনা করেছেন।  জানা গেছে, শাহাদাতের প্রতারণা ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী।  সেখানে বলা হয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক। এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অন্যায়ের বিষয়ে তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেন। ওবায়দুল কাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী গত ৫ এপ্রিল মীমাংসার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এর দুদিন আগে পারিবারিকভাবে সমাধানের কথা বলে শাহাদাত তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান।  ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, বাসায় যাওয়ার পর সমাধানের পরিবর্তে শাহাদাত তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারে এবং গুরুতর জখম করে। নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯-এ কল করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত ওই দিনে ৯৯৯ এ কল দেওয়ার প্রমাণ দেখিয়ে বিলেন, আমি পুলিশে ফোন করেছিলাম। একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্যে। এলাকায় আমার সম্মান আছে। রাজনীতি করি। বলা নেই, কওয়া নেই- একটা মেয়ে এসে স্ত্রী দাবি করলেই হয় না। সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে চেষ্টা করেছে। এর থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যেই আমি পুলিশে কল করি।  কালবেলার কাছে কিছু ভিডিও রয়েছে, সেখানে দেখা যায় ওই তরুণী সুস্থ অবস্থায় শোফায় বসে রয়েছেন। এ সময় সে দুটি মোবাইলও ভেঙে ফেলে। তবে ভিডিওতে ওই মেয়েকে সুস্থ দেখা যায়। মারধর কিংবা গায়ে হাত দেওয়ার দৃশ্য দেখা যায়নি।  এর আগে গত বছরের ৩ নভেম্বর একই থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।  এতে বলা হয়, ‘ওই নারীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং সেই সূত্র ধরেই বিভিন্ন সময় দেখা-সাক্ষাৎ হয় এবং দুজনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। বন্ধুত্বের সুবাদে সে তার মোবাইল ফোনে ছবি ধারণ করে এবং পরে সে তার বাসা ভাড়াসহ বিভিন্ন খরচ প্রদানে আমাকে বাধ্য করে। সে বিভিন্নভাবে আমার কাছ থেকে টাকা-পয়সা চেয়ে হুমকি দেয় যে, যদি আমি তাকে টাকা প্রদান না করি, তাহলে সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার ছবি বিভিন্নভাবে পোস্ট করে আমার সম্মানহানি করবে। সে যে কোনোভাবে তার দাবি না মানলে আমাকে আরও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করে আসছে।’ চলতি বছরের এপ্রিলে শাহবাগ থানায় করা আরেকটি জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘গত ৩ এপ্রিল ওই নারী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে শাহাদাতকে বলেন, তার (নারী) কথা যদি শাহাদাত না শোনেন এবং কথামতো যদি কাজ না করেন, তাহলে তিনি তার কণ্ঠ নকল করে এআই বা অ্যাপের মাধ্যমে অপ্রীতিকর মন্তব্য ছোট ছোট অডিও ক্লিপ বানিয়ে সবার কাছে পাঠাবেন। কণ্ঠ ক্লোন করে এসব ক্লিপ বানানো হবে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নিয়ে, যাতে প্রয়োগ করা হবে খারাপ ও অশ্লীল শব্দ।’ দুজনের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের সূত্র ধরে মোবাইল ফোনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট এবং কল রেকর্ডের অডিও পাওয়া গেছে।  ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের একটি স্ক্রিনশট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই নারী হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে বলছেন, আমাকে বিয়ে করবা নাকি করবানা। আই নিড এ্যানসার।  তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে যেই ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছে সেখানে তিনি বলেন, শাহাদাত ২০২৩ সালে তাকে বিয়ে করবে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে যেই অভিযোগপত্র দিয়েছেন সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ২০১৬ সালে শাহাদাত তাকে বিয়ে করেছেন। অথচ এরপ্রেক্ষিতে কোনো তথ্য প্রমাণ বা কাবিন নামা কালবেলার হাতে দিতে পারেননি।  এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং সাংবাদিকদের কাছে একটি আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পাঠানো হয়। তবে তথ্য বলছে, ওই রিপোর্টটি সত্য নয় বানানো।  এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী ওই তরুণী কালবেলাকে বলেন, ‘অভিযোগপত্র ও জিডিতে যা লিখেছি তার সবই সত্য। শাহাদাতের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে ২০১৬ সালে। বিয়েতে তার দুজন বন্ধু সাক্ষী ছিল, আমি তাদের ভালোভাবে চিনি না, যোগাযোগও নেই। বিয়ের সব কাগজপত্র শাহাদাতের কাছে। এজন্য আমি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারছি না।  অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত কালবেলাকে বলেন, ‘আমি যে তাকে বিয়ে করেছি, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ সে কখনোই দেখাতে পারবে না। সে মেডিকেল রিপোর্টসহ যত ডকুমেন্ট সামনে এনেছে তার সবই নকল ও বানানো। কবে, কোন থানায়, কার সাক্ষীতে এবং কোন কাজির মাধ্যমে বিয়ে হয়েছে, সেটিই সে বলতে পারবে না।’ শাহাদাত আরও বলেন, ‘অভিযোগে সে বলেছে, আমি নাকি তাকে মারধর করেছি। আমি ওইদিন বাসায়ই ছিলাম না। ৯৯৯-এ কল দিয়ে তাকে বাসা থেকে বের করেছি। এখন সে বলছে, সে নাকি ৯৯৯-এ কল দিয়েছে। এর আগেও গত বছরের নভেম্বরে বাসায় গিয়ে সে ভাঙচুর করেছে এবং আমার মাকেও হুমকি দিয়েছে। সে আমার ফ্যামিলিটিকে নাই করে ফেলছে। টাকা-পয়সা থেকে শুরু করে আইফোন এমন কিছু নাই যে, সে আমার কাছ থেকে নেয়নি।’ সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান কালবেলাকে বলেন, ‘গত ২৪ মে এ বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সাংগঠনিক ব্যস্ততা থাকায় এ নিয়ে কাজ করতে পারিনি। শিগগির আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের মোবাইল ফোনে কল করে তাকে পাওয়া যায়নি।
০২ জুন, ২০২৪

আরেক মামলায় কারাগারে প্রতারক রাজু 
প্রতারণার মাধ্যমে সাড়ে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের আরেক মামলায় আসামি মো. জিল্লুর রহমান রাজুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। শনিবার (০১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন পল্টন মডেল থানার মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ মে মো. মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি জিল্লুর রহমান রাজু মামলার বাদী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে প্রায়ই বিভিন্ন ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনা এবং মাঝে মাঝে টাকা লেনদেন করত। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর ব্যবসায়ে নগদ মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় আসামি রাজু তার কাছে ৩০ লাখ টাকা ধার চায়। সু-সম্পর্ক থাকায় আসামির প্রস্তাবে রাজি হন তিনি। পরে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে তিন ধাপে ১০ লাখ টাকা করে মোট ৩০ লাখ টাকা প্রদান করেন। তখন আসামি রাজু ১৮ মাসের মধ্যে তার সমুদ্বয় পাওনা টাকা সে ফেরত দিবে বলে জানান। কিন্তু আসামি টাকা গ্রহণের পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ফেরত দেন। তবে অবশিষ্ট সাড়ে ২৩ লাখ টাকা ফেরত চাইলে আসামি বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রাতে টাকা ফেরত চাইলে বাদীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরত দিবে না বলে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। এমনকি তার দেওয়া স্ট্যাম্পের বিষয়টিও সে অস্বীকার করে। উল্লেখ্য, ব্যবসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আসামি জিল্লুর রহমান রাজুর বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। এ মামলাটি তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. মনজুরুল হাসান খান আসামি রাজুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বর্তমানে এ মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
০১ জুন, ২০২৪
X