সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচিতে অচল যবিপ্রবি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোমবার (১ জুলাই) থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি আদায় না হওয়া সর্বাত্মক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস, পরীক্ষা বা দাপ্তরিক কার্যক্রম সবকিছুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। সোমবার যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি ভবনের নিচতলায় শিক্ষকরা অবস্থান করে দাবির পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেন। রোববার (৩০ জুন) যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনের তথ্য জানানো হয়েছিল। এ কর্মসূচির ফলে যবিপ্রবিতে আজ কোনো ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়ি চলে যেতে দেখা গেছে। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘমেয়াদে এমন স্থবিরতা চলতে থাকলে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন। শিক্ষক সমিতির পাশাপাশি কর্মকর্তারা এবং কর্মচারী সমিতিও পেনশন প্রজ্ঞাপন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে বাদ দেওয়ার দাবিতে আলাদাভাবে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে।
০১ জুলাই, ২০২৪

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে ববিতে কর্মবিরতি
সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষক সমিতি। এতে করে পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কর্মবিরতি শুরু হয়। চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। এ সময় সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালুর দাবি জানানো হয়। ববি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী বলেন, ববির ক্লাস, পরীক্ষা, সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম সবকিছু বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচির সঙ্গে ববি শিক্ষকরা একাত্ম্য হয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, দাবি আদায়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ। দ্রুত সময়ে দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। ববি শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা বিপাকে পড়েছেন। তাই অবিলম্বে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলমান থাকায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে শিগগিরই এ বিষয়ে সমাধান হবে বলে আশা করছি। কারণ আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থাশীল।
০১ জুলাই, ২০২৪

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবি পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।  সোমবার (১ জুলাই) জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে এ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা।  এ সময় পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের আন্দোলন উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, পেনশন স্কিম বাতিলে আমাদের যে আন্দোলন, এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যই। নতুন পেনশন স্কিমে আমাদের বর্তমান শিক্ষকদের কোনো ক্ষতি হবে না, যেসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন তাদেরই ক্ষতি হবে। আমরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছতা ও স্বকীয়তা রক্ষায় আন্দোলন করছি। ড. শেখ মাশরিক হাসান আরও বলেন, আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক কোনো ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তীতে রুটিন সমন্বয় করে সে ঘাটতি পুষিয়ে দেব।  কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ অ্যান্ড আর্থ-সাইন্স অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. জাকারিয়া মিয়া বলেন, এটা পেনশন না, নামে মাত্র পেনশন । এটা একটি ষড়যন্ত্র। যারা এটা ড্রাফটিং করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। এটা প্রভিডেন্ড ফান্ডের মতই হচ্ছে। এসব পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে  এটা একটা ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা। এটা দ্রুত বাতিল করা হোক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধ্যাপক ড. হোসেন আরা বেগম, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. মমিন উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক সমিতির নেতারাসহ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।  এ ছাড়াও এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অ্যাকডেমিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
০১ জুলাই, ২০২৪

খুবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।  বৈষম্যমূলক প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার, শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন, প্রতিশ্রুত সুপারগ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সর্বাত্মক কর্মবিরতির এ ঘোষণা দেয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এসএম ফিরোজ জানান, ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি চলবে। এ সময় সব ক্লাস, পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলতে থাকবে।
০১ জুলাই, ২০২৪

এবার অলআউট শাটডাউনের ঘোষণা জবি শিক্ষক সমিতির
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মত অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ১লা জুলাই থেকে অলআউট শাটডাউনের ঘোষণা দেন তারা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডক্টর শেখ মাশরিক হাসান এ ঘোষণা দেন। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। এসময় মাশরিক হাসান বলেন, পেনশন একটা সামাজিক নিরাপত্তা। রাষ্ট্রের উচিত তার নিশ্চয়তা দেওয়া। কিন্তু আমরা এ সুবিধা পাচ্ছি না। উল্টো প্রচলিত সুবিধা খর্ব করা হচ্ছে। যারা এ রাষ্ট্রকে মেধাহীন করার চেষ্টা করছে তা রুখে দিতে হবে। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে নতুন নীতিমালা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। আমরা ৩০ তারিখে শুধু পরীক্ষা কার্যক্রম চালাব। ১ তারিখ থেকে আমাদের দাবি যদি না মানা হয়, আমাদের সব কিছু বন্ধ থাকবে। অল আউট শাটডাউন কার্যক্রম চলবে। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. মোমিনউদ্দিন বলেন, আমাদের জন্য, সরকারের জন্য এবং এ জাতির জন্য দুঃখজনক যে শিক্ষক সমাজ রাস্তায় নেমে এসেছে। আজ আমাদের সামাজিক মর্যাদা আর নিরাপত্তার জন্য মাঠে নামতে হয়েছে। আমরা আন্দোলন করছি ভবিষ্যতের শিক্ষকের জন্য। আমাদের আন্দোলন আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য। যারা নতুন শিক্ষক হবে, তারা এই পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। যে আগে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে সে পেনশন পাবে, আর যারা নতুন আসবে তারা বঞ্চিত হবে, এটা অন্যায্য। তাই সকল শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান আমরা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করব। অবস্থান কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক সমিতির নেতাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
২৭ জুন, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন স্কিম / শাবিপ্রবিতে শিক্ষকদের ২য় দিনের কর্মবিরতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি। বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকদের প্রস্তাবিত সুপারগ্রেডে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে শাবিপ্রবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বুধবার (২৬ জুন) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ কর্মসূচিতে শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীরের সঞ্চালনায় এবং অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. মো. আবুল গণি, অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মস্তাবুর রহমান, অধ্যাপক ড. মাজহারুল হাসান মজুমদার, অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান আহমেদ ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম আমিন। এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের মেধা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী কর্মদক্ষতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে। হঠাৎ করে ‘প্রত্যয়’ নামক সর্বজনীন পেনশন স্কিম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে, যার ফলে শিক্ষকরা আজ চরম উৎকণ্ঠিত ও অসন্তুষ্টিতে পর্যুদস্ত।  তারা বলেন, এ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপনের ফলে মেধাবীরা আজ শিক্ষকতা নামক মহান পেশা থেকে দূরে সরে যাবে এবং দেশের মেধা বিদেশে পাচার হয়ে যাবে। এটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ অবস্থা উত্তরণের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশন প্রত্যাহারের দাবিসহ অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অনেক দিন ধরেই নানা আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আশানুরূপ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান উৎকণ্ঠা ও অসন্তুষ্টি লাঘব করে শিগগিরিই উপরে উল্লেখিত দাবিসমূহ বাস্তবায়ন করে দ্রুত শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায়, শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
২৬ জুন, ২০২৪

সর্বজনীন পেনশন স্কিম / চবিতে শিক্ষকদের ২য় দিনের কর্মবিরতি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি।  পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে  এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।   এ সময় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে চবি শিক্ষক সমিতির অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সর্বজনীন পেনশন স্কিমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।  তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান সৃজন, জ্ঞান বিতরণ ও গবেষণার জায়গা। সেই জায়গায় যদি শিক্ষকদের এ রকম প্রজ্ঞাপন দিয়ে বৈষম্যের সৃষ্টি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমাদের দাবি পূরণ করে অনতিবিলম্বে নতুন জারি করার আহবান জানাচ্ছি।  শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, যেই পেনশন স্কিম প্রণয়নের কথা বলা হচ্ছে এটি প্রত্যাহার করা হোক। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৩০ জুন আমরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করব। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে যাব।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ মার্চ সরকার সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে যে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিতে যোগ দিবেন তাদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না। এর প্রেক্ষিতে গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তারই ধারাবাহিকতায় ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে আসছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
২৬ জুন, ২০২৪

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবি / টানা দ্বিতীয় দিন জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বুধবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বানে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।  কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ্ আল মাসুদ বলেন, এ পেনশন শিক্ষকতা পেশার জন্য হুমকিস্বরূপ। এটা বাস্তবায়ন হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে নিরুৎসাহিত হবে। জাতির স্বার্থে এ পেনশন স্কিম আমরা বাতিল চাই। কর্মসূচিতে জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, আমরা বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে আগেও কর্মসূচি পালন করেছিম এবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি- আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা পহেলা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাব। অবস্থান কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এসময় শিক্ষক সমিতির নেতারাসহ বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
২৬ জুন, ২০২৪

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি। এই আন্দোলন অর্থের জন্য নয়, আমাদের মর্যাদার জন্য। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। পেনশন স্কিমে প্রথমে প্রত্যয় স্কিম ছিল না, একটা কুচক্রী মহল এটিকে পরে নিয়ে এসে শিক্ষকদের এতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ লুৎফর বলেন, এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা আমাদের পেশার সুযোগ-সুবিধার কথা বলছি। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো দেশেও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পে স্কেল। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও একজন লেকচারারের পে স্কেল আমাদের প্রফেসরের চেয়ে বেশি। আমাদের বর্তমান যে সুযোগ আছে সেটাকেও কেটে ফেলা হচ্ছে। আমরা শিক্ষক, আমরা আন্দোলন চাই না। আমাকে রাস্তায় রাখা হলে আমি গবেষণা করতে পারব না।  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, এই কর্মসূচিতে আমরা কোনো প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কোনো কাজ করব না। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজগুলো করব। ১ তারিখ থেকে আমাদের যে কর্মসূচি সেখানে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো দাপ্তরিক কাজ করবেন না, হল প্রভোস্ট হলে যাবেন না, অন্য শিক্ষকরাও যারা বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে আছেন তারাও তাদের কাজ করবেন না। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করছি। তারা যেন কর্মপেশায় এসে বঞ্চিত না হন সেজন্যই আমাদের এই আন্দোলন। 
২৫ জুন, ২০২৪

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে জবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ডাকে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।  বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা বলেন, আমাদের এ আন্দোলন সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি। এ আন্দোলন অর্থের জন্য নয়, আমাদের মর্যাদার জন্য। এতে শিক্ষকদের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। পেনশন স্কিমে প্রথমে প্রত্যয় স্কিম ছিল না, কুচক্রী মহল এটাকে পরে নিয়ে এসে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ লুৎফর বলেন, এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি। আমরা আমাদের পেশার সুযোগ সুবিধার কথা বলছি। শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মতো দেশেও বেশ কিছু শিক্ষকদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পে স্কেল। তিনি বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেও একজন লেকচারারদের পে স্কেল আমাদের প্রফেসরের চেয়ে বেশি। আমাদের বর্তমান যে সুযোগ আছে সেটাকেও কেটে ফেলা হচ্ছে। আমরা শিক্ষক, আমরা আন্দোলন চাই না। আমাকে রাস্তায় রাখা হলে আমি গবেষণা করতে পারব না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, এ কর্মসূচিতে আমরা কোনো প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কোনো কাজ করব না। আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসংক্রান্ত কাজগুলো করব। এক তারিখ থেকে আমাদের যে কর্মসূচি সেখানে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান কোনো দাপ্তরিক কাজ করবেন না, হল প্রভোস্ট হলে যাবেন না, অন্য শিক্ষকরাও যারা বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বে আছেন তারাও তাদের কাজ করবেন না। তিনি বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করছি। তারা যেন কর্মপেশায় এসে বঞ্চিত না হয় সেজন্যই আমাদের এ আন্দোলন।
২৫ জুন, ২০২৪
X