হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককে ফলপ্রসূ বললেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে তার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। শুক্রবার মস্কোয় এ বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ‘খোলাখুলি এবং কার্যকর’ আলোচনা করেছেন। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েও তাদের কথা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে সম্প্রতি একটি রূপরেখা দেন পুতিন। এ বিষয়ে যে কোনো আলোচনায় তার সেই প্রস্তাব মূল আলোচ্য বিষয় থাকবে বলে আবারও জোর দিয়ে বলেন এই নেতা। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চাইলেও কিয়েভের এখনো এ ধরনের কোনো ইচ্ছা নেই বলেও মনে করেন পুতিন। খবর আলজাজিরার। সংবাদ সম্মেলনে অরবান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে ‘অনেক কিছু’ করা প্রয়োজন। আলোচনা শুরু করতে আমরা প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছি। যদিও কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে এখনো অনেক মতপার্থক্য রয়েছে।’ রাশিয়ায় এই সফরে যাওয়ার কয়েক দিন আগে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান প্রথমবারের মতো কিয়েভ ঘুরে এসেছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ কথা জানান অরবান। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের রাশিয়া সফরের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। ইইউর বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল বলেন, মস্কো সফরের বিষয়ে ইইউ থেকে অরবানকে কিছু বলা হয়নি। বরং ‘হাঙ্গেরি ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কাঠামোর পরিপ্রেক্ষিতে এই সফর হয়েছে।’ বিবৃতিতে বোরেল আরও বলেন, ‘হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রীর এই সফর কোনোভাবেই ইইউর প্রতিনিধিত্ব করছে না।’ উল্লেখ্য, সদস্য দেশের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সভাপতিত্ব বদলের অংশ হিসেবে এ মাসেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে হাঙ্গেরি। অরবান বলেন, তিনি এ সুযোগ ব্যবহার করে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে কাজ করতে চান। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের একজন প্রতিনিধি হিসেবে অরবান এবার মস্কো সফরে গেছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন পুতিন। অরবানের সঙ্গে বৈঠকের আগে টেলিভিশনে পুতিন বলেছিলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি, এবার আপনি শুধু আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদারত্বের কারণেই আসছেন না, বরং কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসছেন। অরবান বরাবরই পুতিন ঘনিষ্ঠ এবং তিনিই বর্তমানে পুতিনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ইইউ নেতা। ২৭ সদস্যের ইইউ থেকে ইউক্রেনের জন্য যে কোনো আর্থিক ও সামরিক সহায়তার প্রস্তাবে নিয়মিত বাধা দিয়ে আসছে হাঙ্গেরি। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবেও সব সময় আপত্তি জানায় দেশটি।
১৭ ঘণ্টা আগে

কট্টর পুতিন সমর্থক অরবানের ইউক্রেন সফরের রহস্য কী?
ইউরোপে ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন ভিক্টর অরবান। অভিবাসনবিরোধী এই নেতা পুতিনের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। পশ্চিমারা যখন পুতিনকে কথার বাণে বিদ্ধ করছেন, তখন পুতিনকে পাশে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন অরবান। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরবান এবার ইউক্রেনে গিয়ে হাজির হয়েছেন। দুই বছরের বেশি সময় আগে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এই প্রথম মঙ্গলবার (২ জুলাই) দেশটিতে গেলেন অরবান। খবর দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের। ইউক্রেন সফরে গিয়েও বন্ধু পুতিনকে ভোলেননি অরবান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে পাশে দাঁড় করিয়ে ইউরোপের কড়া সমালোচনা করলেন তিনি। কিছু দিন আগে পুতিনের দেওয়ার যুদ্ধবিরতি বিবেচনা করে, মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়েছেন অরবান। যুদ্ধবিরতি হলেই শান্তি আলোচনা ত্বরান্বিত হবে বলেও উল্লেখ করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে নিজের মতামত দিয়েছেন অরবান। জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের অনেকেই এর আগে পুতিনের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনা অপ্রয়োজনীয় বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের যুক্তি হচ্ছে, পুতিন তার কথায় ঠিক থাকবেন, এমনটা তারা বিশ্বাস করেন না। পশ্চিমা নেতাদের এমন মনোভাবের কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামছে না। চলমান এই সংঘাতে ইউক্রেনকে সামরিক শক্তি ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বারবার পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু প্রতিবারই তাতে বাদ সেধেছেন অরবান। পুতিনের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই অরবানের মিল রয়েছে। দুই নেতাই নিজ নিজ দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দিয়ে থাকেন। আবার ক্রাইমিয়াকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার পর জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফোরামে মস্কোর পাশে থেকেছে বুদাপেস্ট। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পেয়েছেন অরবান। এরপরই মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বদল হয়। কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের সার্বিক এজেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে না। তবে একটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিজেদের অগ্রাধিকার বিষয় তুলে ধরতে পারেন। কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রেসিডেন্টকে একজন ‘সৎ মধ্যস্থতাকারী’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। গেল মাসের মাঝামাঝি পুতিন জানান, তিনি অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আদেশ দিতে চান এবং আলোচনা শুরু করতে চান। তবে সেক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দুটি শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। শর্ত অনুযায়ী, কিয়েভকে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিতে হবে। আর চারটি অধিকৃত অঞ্চল থেকে ইউক্রেনকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করতে হবে। তবে এমন প্রস্তাবে রাজি হয়নি ইউক্রেন। তাই এবার পুতিনের বার্তা নিয়ে কিয়েভ হাজির হলেন অরবান।
০৩ জুলাই, ২০২৪

নেতানিয়াহুকে ভয়ংকর পরিণতি ভোগের হুমকি দিলেন পুতিন
গাজা যুদ্ধ নিয়ে বছরজুড়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে বিশ্ব রাজনীতি। তিন বছরের পুরোনো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এমনিতেই ফিরে এসেছে স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতি। এ আগুনে ঘি ঢেলেছে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সর্বাত্মক যুদ্ধ। ফলে বিশ্ব নেতারা এখন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য দুই ফ্রন্টেই নিজেদের সরব উপস্থিতির জানান দিচ্ছেন।  চলমান পরিস্থিতিতে বাড়ছে আরেকটি বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা। এরমধ্যেই ইসরায়েলকে একপ্রকার হুমকি দিয়েছে পরমাণু পরাশক্তি রাশিয়া।  রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে কিয়েভকে প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে চাইছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি সম্পাদন করা হবে। এমনটা হলে ইসরায়েলকে তার ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। এমনটা জানান জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া।   জানা যায়, ইসরায়েলকে সরবরাহ করা ৮টি পুরাতন প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিয়েভে সরবরাহ করার জন্য ওয়াশিংটন, তেলআবিব ও কিয়েভের মধ্যে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে গেল সপ্তাহে এমন তথ্য জানায় দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।  এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হলে মস্কোর সঙ্গে তেলআবিবের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মস্কোর দূত।  চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছিল তাদের M901 PAC-2 ব্যাটারি অবসরে পাঠাবে। এগুলো তিন দশকের পুরোনো হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। এর পরিবর্তে আরও আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করার কথা জানায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।  তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন এখনই এসব ব্যাটারিকে পরিষেবার বাহিরে পাঠাবে না তেলআবিব। মূলত লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েরের চলমান উত্তেজনার ফলে এমনটা মনে করা হচ্ছে।  ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে এসব আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে। তারপর সেখান থেকে ইউক্রেনে সরবরাহ করা হবে। এর আগে ইসরায়েলের কাছে আয়রণ ডোম আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এমন আবদার সরাসরি নাকচ করে দেয় তেলআবিব। 
০২ জুলাই, ২০২৪

কিমের দেশে পুতিন : কে কী উপহার পেলেন
পিয়ংইয়ং সফরে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাল্টা উপহার হিসেবে পুতিন পেয়েছেন অনেক চিত্রকলা, যেসব ক্যানভাসে মূলত রুশ প্রেসিডেন্টকেই আঁকা হয়েছে। পাশাপাশি নিজের আবক্ষ মূর্তিও উপহার পেয়েছেন মিসাইল ম্যান খ্যাত কিম জং-উনের কাছ থেকে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের একজন উপদেষ্টা সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে পুতিনকে স্বাগত জানান শত শত উৎফুল্ল মানুষ। তার জন্য আড়ম্বরপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে কিম জং-উন ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান। এ ছাড়া মস্কোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল সফরে গিয়েছিলেন কিম জং-উন। তখন তাকে একটি কালো রঙের অরাস গাড়ি দেখিয়েছিলেন পুতিন। সেই গাড়িটিতে এমন বিশেষ ধরনের ধাতব পাত লাগানো ছিল, যা গুলি ঠেকাতে পারে। কিম ওই গাড়িতে পুতিনের পাশে বসেন এবং মনে করা হয় যে, তিনি ওই গাড়িতে চড়া বেশ উপভোগ করেছিলেন।  এবারের সফরে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে তেমনই একটি অরাস সিনাট গাড়ি উপহার দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি নিজেও এমন একটি গাড়িতে চড়েন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের আনুষ্ঠানিক গাড়ি, অর্থাৎ প্রেসিডেনশিয়াল কারও অরাস সিনাট ব্রান্ডের। গত মে মাসে ক্রেমলিনে শপথ অনুষ্ঠানের দিনে ভ্লাদিমির পুতিন ওই গাড়িতে চড়েছিলেন।  কার ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদন অনুসারে, অরাস গাড়ির উৎপাদন শুরু হয় ২০১৮ সাল থেকে। ভ্লাদিমির পুতিনের ইচ্ছা ছিল রাশিয়াতেই একটি বিলাসবহুল গাড়ি তৈরির। সেই ইচ্ছারই ফসল হলো অরাস। পুতিন ২০১৮ সাল থেকেই একটি অরাস সিনাট গাড়ি ব্যবহার করছেন। আর সাধারণ মানুষের কাছে অরাস বিক্রি শুরু হয় ২০২১ সাল থেকে। গত মাসে একজন রুশ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, চলতি বছর থেকে টয়োটার সাবেক একটি কারখানায় বিলাসবহুল অরাস গাড়ি তৈরি শুরু করবে রাশিয়া। টয়োটার ওই কারখানা সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত। রুশ বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান অটোস্ট্যাট জানিয়েছে, চলতি বছর রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪০টি অরাস ব্র্যান্ডের গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
২০ জুন, ২০২৪

ইউক্রেন যুদ্ধের অস্ত্র পেতেই কি উত্তর কোরিয়ায় পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর উপলক্ষে পিয়ংইয়ংজুড়ে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। দুই দেশের পতাকা, লাল গোলাপ, বেলুন এবং পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের বিশাল বিশাল ছবি দিয়ে পুরো রাজধানী সাজিয়ে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পিয়ংইয়ং পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান কিম। ২৪ বছর পর দেশটিতে এ রুশ নেতা পা রাখায়, এ সফরের পেছনের কারণ নিয়ে তাই শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর প্রধান লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য উত্তর কোরিয়া থেকে আরও অস্ত্র পাওয়া। এ ছাড়া দুই দেশের বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক গভীর করা। আর এ সবকটির মূলেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলায় দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করা। খবর বিবিসি ও ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের। গতকাল বুধবার সকালে কিম ইল সাং স্কয়ারে পুতিনকে ঘণ্টাব্যাপী গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সে সময় সেখানে অনেক বেসামরিক নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিশেষ করে শিশুদের পরনে ছিল দেশটির ঐতিহ্যবাহী পোশাক। এখান থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে যাওয়ার সময় পুতিনের রাশিয়া নির্মিত অরাস লিমুজিনে বসে দুই নেতা নিজেদের ‘গভীর ভাবনাগুলো’ বিনিময় করেন। রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা আরআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আলোচনার শুরুতে কিমকে উদ্দেশ করে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া নীতিতে আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের আমরা উচ্চ প্রশংসা করছি, যার মধ্যে ইউক্রেন নীতিও রয়েছে।’ পুতিন তার বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দেওয়া বিধিনিষেধ পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে এ সময় পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে মস্কোর সামরিক প্রযুক্তির উন্নয়নের অভিযোগ নাকচ করেননি ক্রেমলিন নেতা। মস্কো মার্কিন ও দেশটির মিত্রদের আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে বলেও জানান পুতিন। জবাবে কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ক ‘সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায়’ প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বের পরিস্থিতি ক্রমেই আরও জটিল হচ্ছে ও দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এ রকম একটি পরিস্থিতিতে আমরা রাশিয়া ও রাশিয়ার নেতৃত্বের সঙ্গে কৌশলগত যোগাযোগ আরও দৃঢ় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার সরকার, সেনাবাহিনী ও জনগণের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করছে; যারা সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা স্বার্থ ও ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা রক্ষায় ইউক্রেনে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে।’ পরে কিম ও পুতিন কুমসুসান প্যালেসে যান। সেখানে দুই নেতা বৈঠক করেন। সেখানে দুজন দুই ঘণ্টাব্যাপী একান্ত বৈঠক করেছেন। এদিন দুই দেশের মধ্যে একটি ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আরআইএ। পুতিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ এ চুক্তি সই হওয়ার বিষয়ে গত মঙ্গলবার রুশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন তিনি বলেছিলেন, ওই চুক্তিতে নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ও রয়েছে। আগ্রাসনের শিকার হলে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে চুক্তি করেছে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। এ বিষয়টি বাকি বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছে সিআইএর এক বিশ্লেষক। পারস্পরিক সহযোগিতামূলক প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তারা রাশিয়াকে সীমা অতিক্রম না করার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
২০ জুন, ২০২৪

কিমের দেশে যাচ্ছেন পুতিন
কথায় কথায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে রীতিমতো এক্সপার্ট উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। তাই উত্তর কোরিয়াকে জমের মতো ভয় পায় যুক্তরাষ্ট্র। সেই উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেই গেল কয়েক বছর ধরে রাশিয়ার মাখামাখি বেড়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। রাশিয়া যখন চোখে অন্ধকার দেখছিল তখনই হঠাৎ করে অস্ত্র দিয়ে মস্কোর সাহায্যে এগিয়ে আসে পিয়ংইয়ং। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা খুব একটা সফল হয়নি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিবেশী রাশিয়ার সঙ্গে নিজে থেকেই সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়াও তার প্রতিবেশীকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়নি। কেননা ‘স্বার্থের’ এই সম্পর্কে লাভবান হয়েছে দুই দেশই। এবার বন্ধুর বাড়ি অতিথি হয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দিনের এই সফর ঘিরে পশ্চিমাদের মনে আগ্রহ ও উদ্বেগের তৈরি হয়েছে। কেননা দুই দশকের বেশি সময় পর উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন পুতিন। পশ্চিমা গণমাধ্যম বলছে, ২০২২ সালে ইউক্রেন পুরো মাত্রায় হামলা চালানোর পর এটি পুতিনের বিরল বিদেশ সফর। উত্তর কোরিয়ার জন্যও এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোভিড-১৯’র পর এই প্রথম কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পিয়ংইয়ং যাচ্ছেন। পশ্চিমা বিরোধী মনোভাব আর ইউক্রেন যুদ্ধ দেশ দুটিকে কাছে এনেছে। পুতিনের এই সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে এমনটাই বিশ্বাস বিশ্লেষকদের। তাই এই সফরে তীক্ষ্ণ চোখ রাখছে পর্যবেক্ষকরা। কিমের দেশ থেকে ভিয়েতনামে যাবেন পুতিন। সেখানেই দুই দিন সফর করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রকে খেপিয়ে তুলতে কমিউনিস্ট শাসিত দেশটি সফর করবেন পুতিন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও অন্যান্য দেশ। তাদের অভিযোগ, রাশিয়াকে তার যুদ্ধ প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। মস্কোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে পশ্চিমাদের। তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার সামরিক স্যাটেলাইট কর্মসূচিতে সহায়তার মাধ্যমে রাশিয়াও হয়ত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে। যদিও দুই দেশই অস্ত্র রপ্তানির বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গেল সেপ্টেম্বরে নিজের সাঁজোয়া ট্রেনে করে রাশিয়ায় সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। তবে পথিমধ্যে ফাইটার জেট তৈরির একটি কারখানা এবং একটি রকেট লঞ্চ ফ্যাসিলিটিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সফরের পাল্টা এবার উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন পুতিন। রাষ্ট্রীয় এই সফরের আগে ক্রেমলিন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সব খাতেই সম্পর্ক উন্নয়নের আশা রাখে রাশিয়া।
১৮ জুন, ২০২৪

ইউরোপের ত্রাতা হয়ে বাইডেনকে খেল দেখালেন পুতিন
সেই ভ্লাদিমির পুতিনই শেষ পর্যন্ত ইউরোপের ত্রাতা হয়ে উঠলেন। যাকে থামাতে দুই বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে পশ্চিমারা, তার দিকেই সাহায্যের জন্য হাত বাড়াতে হলো ইউরোপকে। অথচ নিষেধাজ্ঞা, সামরিক হামলার হুমকি, এমনকি রাশিয়াকে একঘরে করে রাখার মতো সব ধরনের প্রচেষ্টাই চালিয়েছেন পশ্চিমা নেতারা। কিন্তু কোনো কিছুই পুতিনকে টলাতে পারেনি। রাশিয়াকে ঠেকাতে কোনো কৌশলই বাদ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা। তাদের সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে বিজয়ের হাসি হেসেছেন পুতিন। ফিনান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় যে সংকটে পড়ে, তাহলে হচ্ছে গ্যাসের সরবরাহ। কেননা, ইউরোপের দেশগুলো গ্যাসের জন্য ‘পুরোপুরি’ রাশিয়া নির্ভর ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর সাময়িক বিকল্প খুঁজে নেয় ইউরোপ। কিন্তু পরিস্থিতি আবার রাশিয়ার ‘অনুকূলে’ আসতে খুব বেশি দিন লাগেনি। ফিনান্সিয়াল টাইমস বলছে, প্রায় দুই বছরের মধ্যে গেল মে মাসে প্রথমবারের মতো ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার ফসিল ফুয়েল রপ্তানি বন্ধে নানা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল পশ্চিমারা, কিন্তু তা কোনো কাজেই লাগেনি। ইউক্রেনে ২০২২ সালে হামলার পর রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন কেটে দেয়। আর ইউরোপীয়রাও রাশিয়ার কাছ থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দেয়। এরপরই কপাল খুলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় সরবরাহকারীর। একই বছরের সেপ্টেম্বরে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে রাশিয়াকে পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সাল নাগাদ ইউরোপের মোট গ্যাস সরবরাহে এক-পঞ্চমাংশ সরবরাহ করতে শুরু করে দেশটি। কিন্তু ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমোডিটি ইন্টিলেজেন্স সার্ভিসেস- ICIS এর ডাটা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেছে। তারা বলছে, গেল মাসে ইউরোপে পাইপলাইন ও এলএনজির মাধ্যমে সরবরাহ করা গ্যাসের প্রায় ১৫ শতাংশ ছিল রাশিয়ান। এ সময়ের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং উত্তর মেসিডোনিয়া রাশিয়ার গ্যাস কিনেছে। একই সময় ইউরোপে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি সরবরাহের পরিমাণ ছিল ১৪ শতাংশ। ইউরোপেরই কয়েক দেশ রাশিয়ার এলএনজি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে চাইছে। কিন্তু তার মধ্যেই এমন উল্টো চিত্রের দেখা মিলল। ২০২২ সালের মাঝামাঝি পাইপলাইনের মাধ্যমে উত্তর-পশ্চিম ইউরোপকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। যদিও পাইপলাইনের মাধ্যমে ইউক্রেন ও তুরস্কে ঠিকই গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখে মস্কো। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র্রের একটি বড় এলএনজি রপ্তানি ফ্যাসিলিটিতে সমস্যার কারণে ‘গিয়ার’ পেয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে ইউরোপের দেশগুলো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আজারবাইজানের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্যাস করিডোরে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে পাইপলাইনের সক্ষমতা বাড়ানো তারই অংশ। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এও বলেছেন, আপাতত তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য রাশিয়ার গ্যাসের বিকল্প হওয়ার সক্ষমতা অর্জন করেনি এই রুট।
১৬ জুন, ২০২৪

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে শর্ত জানালেন পুতিন
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশটির এ হামলার কাছে নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তা নিয়েও নাকানি-চুবানি খাচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ শর্তের একটি হলো, নিজেদের দখলে নেওয়া চারটি এলাকায় থেকে ইউক্রেনকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া দেশটিকে ন্যাটো জোটের সদস্য পদের জন্য তদবির থেকে বিরত থাকার ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে। শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরবসহ অন্য কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, যে মুহূর্তে কিয়েভ সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানে আর চেষ্টা না করার ঘোষণা দেবে, তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নিতে শুরু করব। এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এবার হঠাৎ যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়েছেন পুতিন। তবে পুতিন বলেছেন, কিয়েভ বা পশ্চিমারা যদি তার প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানায়, তাহলে অবশ্য তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুতিনের সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন—এমন অন্তত পাঁচটি সূত্র এ বিষয়ে মুখ খুলেছে। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তারা ‘অনন্ত যুদ্ধ’ চান না। তাই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা চালাতে তাদের আপত্তি নেই। বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চাপের মুখে রয়েছে। তাই অর্থনীতিকে খাপ খাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তা ছাড়া ক্ষমতা ধরে রাখলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার জনপ্রিয়তা কমেছে। তাই যুদ্ধ না চালিয়ে বরং আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। ঠিকমতো এগোলে হয়তো যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। তবে যুদ্ধবিরতি বা সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনো কুয়াশাচ্ছন্নই রয়েছে। ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কথাবার্তার সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে যা অর্জন হয়েছে, তা রাশিয়া জনগণের কাছে জয় বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব।
১৬ জুন, ২০২৪

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে শর্ত জানালেন পুতিন
টানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া। দেশটির এ হামলার কাছে নাস্তানাবুদ ইউক্রেন। পশ্চিমাদেশগুলোর সহায়তা নিয়েও নাকানি-চুবানি খাচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।  শুক্রবার (১৪ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির জন্য দুটি শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার এ শর্তের একটি হলো নিজেদের দখলে নেওয়া চারটি এলাকায় থেকে ইউক্রেনকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। এ ছাড়া দেশটিকে ন্যাটো জোটের সদস্য পদের জন্য তদবির থেকে বিরত থাকার ঘোষণার কথাও বলা হয়েছে।  শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরবসহ অন্যান্য কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুতিন বলেন, যে মুহূর্তে কিয়েভ সেনা প্রত্যাহার এবং ন্যাটোতে যোগদানে আর চেষ্টা না করার ঘোষণা দেবে, তখন থেকে আমরা কিয়েভের সঙ্গে শান্তি ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তুতি নিতে শুরু করব।  এর আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে এবার হঠাৎ যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কয়েকটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, যুদ্ধ থামাতে রাজি হয়েছেন পুতিন। তবে পুতিন বলেছেন, কিয়েভ বা পশ্চিমারা যদি তার প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানায় তাহলে অবশ্য তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন। বাণিজ্যিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পুতিনের সঙ্গে কাজ করেছেন বা করছেন, এমন অন্তত পাঁচটি সূত্র এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, তারা ‘অনন্ত যুদ্ধ’ চান না। তাই যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনা চালাতে তাদের আপত্তি নেই। বিশ্লেষকরা আরও মনে করছেন, দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থা চাপের মুখে রয়েছে। তাই অর্থনীতিকে খাপ খাওয়াতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তাছাড়া ক্ষমতা ধরে রাখলেও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার জনপ্রিয়তা কমেছে। তাই যুদ্ধ না চালিয়ে বরং আলোচনায় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছেন তিনি। ঠিকমতো এগোলে হয়তো যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটা সম্ভব হবে। তবে যুদ্ধবিরতি বা সেই সংক্রান্ত আলোচনা এখনও কুয়াশাচ্ছন্নই রয়েছে। ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কথাবার্তার সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র জানিয়েছে, পুতিন মনে করেন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে যা অর্জন হয়েছে, তা রাশিয়া জনগণের কাছে জয় বলে চালিয়ে দেওয়া সম্ভব।
১৫ জুন, ২০২৪

হুঁশিয়ারি বাইডেনের / ইউক্রেনে থেমে থাকবেন না পুতিন
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই সংঘাত চলছে। হাজারও মানুষের প্রাণহানি হলেও সংঘাত বন্ধের কোনো আভাস এখনো নেই। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পুতিন কেবল ইউক্রেনে থেমে থাকবেন না। অন্যদিকে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। খবর আলজাজিরার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার প্যারিসের প্রেসিডেন্সিয়াল এলিসি প্যালেসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। সেখানে বাইডেন সতর্ক করে বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘থেমে থাকবেন না’। ফ্রান্সে নিজের রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বাইডেন বলেন, ‘পুরো ইউরোপ হুমকির সম্মুখীন হবে, আমরা এটি হতে দেব না। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আমি আবারও বলছি, আমরা (ইউক্রেনকে ফেলে) চলে যাব না।’ অন্যদিকে ইউরোপের প্রতি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশ্বস্ততাকে স্বাগত জানান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি সাংবাদিকদের সামনে বাইডেনকে বলেন, ‘আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই মিস্টার প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের এক নম্বর শক্তিধর দেশের প্রেসিডেন্ট হয়েও আপনি অংশীদারদের প্রতি বিশ্বস্ত এবং আপনি ইউরোপীয়দের পছন্দ ও সম্মান করেন।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত বুধবার থেকে ফ্রান্সে রয়েছেন। এরপর শুক্রবার বাইডেন ও মাখোঁ উভয়ই প্যারিসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠকে কিয়েভের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। শনিবার হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুযায়ী, ফরাসি ও মার্কিন এই দুই নেতা বলেন, রাশিয়ার যুদ্ধে আটলান্টিকজুড়ে বিস্তৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে বলে তারা একমত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স উভয় দেশই ‘ইউক্রেনের জন্য রাজনৈতিক, নিরাপত্তা, মানবিক এবং অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার’ বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
১০ জুন, ২০২৪
X