মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে যুবলীগ নেতাকে হত্যা
খুলনায় যুবলীগের এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে কুয়েটের পকেট গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪০) যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তবে হত্যাকাণ্ডের এক দিন পেরিয়ে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল বিকেল পর্যন্ত মামলাও হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, জমি দখল, জমির দালালি ও স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ তিনটি বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছে তারা। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সোয়া ১১টার দিকে নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন আরিফ। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত এসে প্রথমে দূর থেকে এবং পরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে গুলি করে। পরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাবেক মেম্বার আরিফ রাতে তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে এসে তাকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়। হত্যাকারীদের আটক করতে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, আরিফ এলাকায় জমি ব্যবসার দালাল হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়া একপক্ষের হয়ে অন্যপক্ষ থেকে জমির দলিল বুঝিয়ে দিতে পেশিশক্তি নিয়োগ করতেন। এসব নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের পেছনে এসব কারণ কাজ করতে পারে। এ ছাড়া রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়টি নিয়েও তদন্ত চলছে। নগরীর আড়ংঘাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাফন শেষে পরিবার মামলা করবে বলে জানিয়েছে।
২৬ জুন, ২০২৪

পিস্তল দেখিয়ে হুমকি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিস্তল দেখিয়ে গুলি করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  সোমবার (২৪ জুন) বিকেলে রৌমারী থানায় অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিমন্ত্রীর প্রতিবেশী রৌমারীর বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন।  অভিযোগে আনোয়ার হোসেন উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৪৫ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে নেন মো. জাকির হোসেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উক্ত দখল করা জমিসহ পার্শ্ববর্তী জমিতে মাটি ভরাট করার সময় বাধা দিলে জাকির হোসেন, তার স্ত্রী মোছা. সুরাইয়া সুলতানা ও সন্তান মো. সাফায়াত জাকির মারধর করতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন পিস্তল দেখিয়ে গুলি করার হুমকি দেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা শহরে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের বাড়ি। তার প্রতিবেশী অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ভয়ে আছি। আমার বাপ-দাদার সম্পতি দখল করে নিয়েছে। আমি এর ন্যায়বিচারের জন্য থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন কালবেলাকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ দাখিল করেছে। বরং আমি যাতায়াতের জন্য রাস্তা দিয়েছি। সেই রাস্তার মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ায় বাধা দিলে আমাকে হয়রানী ও আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এমন ভুয়া অভিযোগ দাখিল করেছে। পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা চাইলে জমির কাগজপত্র দেখতে পারেন। রৌমারী থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান কালবেলাকে বলেন, অনলাইনে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয় আদালতের অনুমতিসাপেক্ষে পর্যালোচনা ও তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৫ জুন, ২০২৪

অভিযানে গিয়ে নারীর মাথায় পিস্তল ঠেকালেন ডিবি কর্মকর্তা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে পিস্তল তাক করে বাড়ির নারী ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে। শনিবার (১১ মে) এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা গেছে, এক নারীর মাথায় পিস্তল তাক করে আছেন ডিবির এক কর্মকর্তা। এর আগে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে সদর উপজেলার থলিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, থলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা ও সৌদি প্রবাসী নূরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে মাসখানেক আগে সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় নুরুল ইসলাম সৌদি থেকে আরেকজনের স্বর্ণ এনে পুরোটা বুঝিয়ে দেননি। শুক্রবার বিকেলে নুরুল ইসলাম বাড়িতে থাকার খবর পেয়ে ডিবি পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়িতে উপস্থিত নারীসহ অন্যদের সঙ্গে পুলিশে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশকে পিস্তল তাক করতে দেখা যায়। তবে আসামি না পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। ঘটনার সময় উপস্থিত নূরুল আলমের ভাই সারোয়ার আলম অভিযোগ করে বলেন, সাদা পোশাকে যাওয়া লোকজন বাড়িতে ঢুকেই ভাইকে খোঁজ করতে থাকে। ভাই বাড়িতে নেই বলা হলেও তারা বিষয়টি মানতে চাননি। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ভাইয়ের স্ত্রী বন্যা বেগমসহ কয়েকজনকে মারধর করে। নিশাত নামে ৯ বছরের এক শিশুও তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। এমনকি তার ওপরও হামলা হয়। এ সময় মোবাইল ফোনে করা কিছু ভিডিও তারা কেটে দিয়ে যায়।  তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে স্বর্ণসংক্রান্ত বিষয়ে মামলা হয়েছে। স্বর্ণ আমার ভাই আনেনি। অন্যের মাধ্যমে আমার ভাইয়ের কাছে দেওয়া হয় বলছে তারা। আমার ভাইকে ধরতে হলে কেন আমাদের বাড়িতে এভাবে হামলা হবে। বিষয়টি আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। আদালতে এ নিয়ে মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুলিশ পিস্তল তাক করার পাশাপাশি গুলিও করেছে। গুলির খোসাও আমাদের কাছে আছে। তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে খোসা কার।’  ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, বাদী পক্ষ বিষয়টি আমাদের জানালে প্রথমে পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোফাজ্জল আলী একজন কনস্টেবলকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমি যাই। দূর থেকেই ওই বাড়িতে চিল্লাচিল্লি শুনছিলাম। আমি যাওয়ার পর তারা খারাপ আচরণ করে। আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। এ নিয়ে ধস্তাধস্তি হয়। তিনি বলেন, আমার হাতে পিস্তল ছিল। তবে কারো দিকে তাক করিনি। কাউকে মারধর করা হয়নি। আমাদের টার্গেট যেহেতু আসামি ধরা সেহেতু সেই লক্ষ্যেই আমরা এগুচ্ছি। যে কারণে তখন আমরা অ্যাকশনে যাইনি। এসআই রেজাউল করিম আরও বলেন, মামলার তদন্তভার আমাদের হাতে। মূল আসামির বিরুদ্ধে প্রায় ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগ আছে। মামলা হওয়ার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। সদর উপজেলা বিশ্বরোড এলাকার বাদী এসে বাড়িতে আসামির অবস্থানের কথা জানালে সেখানে যাওয়া হয়। ডিবির ওসি মো. আফজাল হোসাইন কালবেলাকে বলেন, আসামি ধরতে গিয়ে ওই বাড়িতে সমস্যা হয়। তবে যেহেতু কোনো পুলিশ আহত হননি সে কারণে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গুলি করা কিংবা পিস্তল তাক করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
১২ মে, ২০২৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় / ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকির অভিযোগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে।  এ সময় ওই ছাত্রদল নেতার বন্ধুকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতারা।  সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখশ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান। এদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে ওই দলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল ও তার বন্ধু ইউনুস খান ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। ক্যাম্পাস ঘুরে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে দাঁড়ালে ছাত্রদল নেতা বুঝতে পারেন ছাত্রলীগের তিনজন নেতা তাদের অনুসরণ করছেন। পরিস্থিতি বুঝে মোটরসাইকেলে করে রোকেয়া হলের পেছনের ফ্লাইওভার সংলগ্ন গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পথরোধ করেন এবং জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর সেই কক্ষে যান গালিব ও অভিযুক্ত অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা। কক্ষে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে স্বীকার করেন নাফিউল ইসলাম। এরপরই তাকেসহ তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর শুরু করেন গালিব। একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে নাফিউলকে নানারকম হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রাত ১টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব আমাকে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। গালিবের কাছে থাকা একটি পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি নানারকম হুমকিও দিয়েছেন। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ইউনুস খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বলেন, ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি। সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা।
০৭ মে, ২০২৪

অনলাইন জুয়ার এজেন্টসহ গ্রেপ্তার ৫, পিস্তল ও গুলি উদ্ধার
মেহেরপুরে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হয়ে কাজ করার অভিযোগে শামীম হোসেন ওরফে বিজয় শেখসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের অনলাইন জুয়ায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, এজেন্ট সিম, বিভিন্ন সামগ্রী, একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। অনলাইন জুয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অস্ত্র নিয়ে তারা অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে বিজয় শেখের বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শাহজুল শেখের ছেলে বিজয় শেখ (২১), কোমরপুর গ্রামের বিল্লাল শেখের ছেলে প্রিন্স শেখ (৩৪), সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন রেজা (২৪), যশোরের কোতয়ালির আব্দুল খালেকের ছেলে রাজন হাসান (২৯) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে আলামিন (৩১)। মুজিবনগর থানার ওসি উজ্জল দত্ত বলেন, মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে অনলাইন জুয়াড়ি বিজয় শেখের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে কয়েকজন অবস্থান করছেন। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার। অনলাইন জুয়ার এজেন্ট বিজয় শেখকে ২০২২ সালের ৭ জুন প্রথমবার আটক করা হয়। দ্বিতীয়বার তাকে আটক করা হয়েছিল গত বছরের ১১ আগস্ট। কিন্তু কিছু দিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি আবার অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান কালবেলাকে বলেন, 'তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার জন্য সেখানে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তারা অনলাইন জুয়া ছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত । এ জন্য তাদের বিরুদ্বে অস্ত্র আইন ও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পর্যায়ক্রমে সব অনলাইন জুয়াড়িকে আইনের আওতায় এনে মেহেরপুর জেলাকে অনলাইন জুয়া মুক্ত করা হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

খেলনা পিস্তল দিয়ে ছিনতাই
রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবককে খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাহজাদা রায়হান রুবেল (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে দক্ষিণখানের কসাইবাড়ি এলাকার একটি হোটেলের অন্ধকার গলি থেকে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। রুবেলের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে। তিনি দক্ষিণখানের কসাইবাড়ি বটতলা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। কসাইবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান বলেন, মাজেদুল বাশার সুজন নামে এক ব্যক্তি শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। পথে অন্ধকার গলিতে একজন লোক তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে এক হাজার টাকা দাবি করে। সুজনের স্ত্রী টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য রুবেলের কাছে কাকুতি-মিনতি করে। কারণ তাদের কাছে গ্রামে যাওয়ার কোনো টাকা ছিল না। পরে স্থানীয়রা রুবেলকে আটক করে পুলিশে দেয়। পুলিশ দেখতে পায় রায়হান রুবেলের কাছে থাকা পিস্তলটি খেলনা। ভুক্তভোগী মাজেদুলের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি একজন আতর ব্যবসায়ী। ঢাকায় এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে। বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে করে কুমিল্লা যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু রেলস্টেশনে যাওয়ার পথেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। মাজেদুল গণমাধ্যমকে জানান, কসাইবাড়ি আমির হোটেলের সামনে থেকে একজন লোক আমাকে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যায়। সেখানে হঠাৎ করে পিস্তল ঠেকিয়ে ধরে বলে—যা আছে, সব দিয়ে দে। আমি তখন পিস্তল দেখে নার্ভাস হয়ে যাই। পরে সঙ্গে থাকা এক হাজার টাকা দিয়ে দেই। টাকার জন্য আমার বউ তার পা ধরেছে। কিন্তু টাকা ফেরত দেয়নি। পরে আশপাশের লোকজন তাকে ধরে এপিবিএন-এ নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে।  এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খেলনা পিস্তল ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগে শাহজাদা রায়হান রুবেল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকালে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া এক হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।’  ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় দস্যুতার অভিযোগে ভুক্তভোগীর স্ত্রী নাজমা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।’
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দেহ তল্লাশি করে পাওয়া গেল গুলি ও পিস্তল
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সোনামসজিদ সীমান্তের শাহবাজপুর এলাকার রাস্তায় বসানো অস্থায়ী তল্লাশি চৌকিতে আব্দুল হান্নান (৩৫) নামে এক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় অবৈধ অস্ত্র। এ সময় ১টি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগাজিনসহ তাকে আটক করে বিজিবি।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রহনপুর ৫৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের সোনামসজিদ সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা এ অভিযান চালায়। আটক হান্নান শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট পুকুরিয়া গ্রামের মৃত র‌ইশুদ্দিনের ছেলে। তল্লাশি কালে অস্ত্রসহ আটক হান্নানের বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। ব্যাটেলিয়ান অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পিস্তল ঠেকিয়ে ডিম বিক্রেতার ১১ লাখ টাকা ছিনতাই
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দিনে-দুপুরে পিস্তল ঠেকিয়ে ডিম ব্যবসায়ী সুলতান মিয়ার ১১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার বিকেলে কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ সড়কের লতাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই অজ্ঞাতদের আসামি করে কাপাসিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সুলতান মিয়ার বাবা আড়তদার মিজানুর রহমান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর মিয়া। ছিনতাইয়ের শিকার সুলতান মিয়ার বাবা বীরউজলী বাজারের ডিম আড়তদার মিজানুর রহমান গতকাল সকালে কালবেলাকে বলেন, রোববার দুপুরে আমার ছেলে সুলতান মিয়া ও আড়তের ম্যানেজার জুয়েল রানা ইসলামী ব্যাংক কাপাসিয়া বাজার শাখা থেকে ১০ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ টাকা উত্তোলন করে। টাকা নিয়ে তারা একটি মোটরসাইকেলে করে কাপাসিয়া বীরউজলী আড়তে যাচ্ছিল। পথে মহসড়কের লাতাপাতা বাজার আগে ঢালুতে এলে মাস্ক ও হেলমেট পরা তিন-চারজন সন্ত্রাসী বিদ্যুতের খুঁটিতে রশি বেঁধে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। পরে পিস্তল ঠেকিয়ে টাকার ব্যাগটি নিয়ে চলে যায়। ভুক্তভোগী সুলতান মিয়া বলেন, ‘আমি কথা বলতে পারছি না। আরও কিছু জানার থাকলে আমার বাবার সঙ্গে কথা বলেন।’
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতার ভাইয়ের পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি
মুন্সীগঞ্জে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক বিরোধের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের ভাই মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ আবিদ হোসেন শোভনের (৩০) পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ রামপাল ইউনিয়নের সিপাহীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে আহত শোখনকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শোভনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. কালাম প্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও রামপাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরহাদ হোসেনও আহত হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রামপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত শেখ ১০-১২ জন লোক নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। আমাকে মারধরের এক পর্যায়ে শোভন বাঁচাতে এগিয়ে আসলে রামপাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত তাকে বাম পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে।  সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের পক্ষে কাজ করায় বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের সমর্থক প্রান্ত শেখ তার লোকজন নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ।   এ মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে আহতদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রান্তকে গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।  
২২ জানুয়ারি, ২০২৪

ডেমরায় বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর ডেমরায় একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে ডেমরার নরাইবাগ এলাকার কাউয়ারটঙ্গী সাইফুল উলুম মাদ্রাসার সামনে থেকে তাদের আটক করে ডেমরা থানা পুলিশ। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ওই এলাকায় রাত ২টার দিকে কয়েকজন লোক অস্ত্রসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় শফিকুল ইসলাম অভি ও রাকিব নামের ২ জনকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে নাইন এমএম মডেলের একটি সচল বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে হাজির করলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠান।
১২ জানুয়ারি, ২০২৪
X