পাওনা টাকা চাওয়ায় ভিক্ষুকের স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
মৌলভীবাজারের সদর উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়ায় হামিদা বেগম নামে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুরুষ মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) উপজেলার ১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের আগনসী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামিদা বেগম আগনসী গ্রামের ভিক্ষুক আবু হোসেনের স্ত্রী। পুরুষ মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা। হামিদা বেগম বলেন, এক বছর আগে প্রতিবেশি পুরুষ মিয়াকে ২০ হাজার টাকা আরেক আত্নীয়ের কাছ থেকে এনে ধার দিয়েছি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পুরুষ মিয়া টাকা পরিশোধ করেননি। বৃহস্পতিবার পুরুষ মিয়ার মাকে বিষয়টি জানাই। এতে তিনিক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। বৃষ্টির মধ্যেও বাহিরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে সে। জালাল মিয়া নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এর আগেও পুরুষ মিয়া বিভিন্ন কারণে হামিদা বেগমের বাড়িতে হামলা করেছে। আমরা কয়েকবার বিচার করেছি। আজকের হামিদা বেগমকে বাড়ি থেকে ধরে এনে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে। আইনিভাবে তার বিচার হওয়া প্রয়োজন।  স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল বলেন, আমি সকালে খবর পাই পুরুষ মিয়া হামিদা বেগমকে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি হামিদা বেগম গাছের সঙ্গে বাঁধা। এ সময় হামিদা বেগমের ভাই বোনকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুরুষ মিয়ার সঙ্গে মারামারি লেগে যায়। তাদের থামিয়ে চেয়ারম্যনকে বিষয়টি জানাই এবং পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে হামিদা বেগমকে উদ্ধার করে। পুরুষ মিয়াকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে জানতে পুরুষ মিয়ার মোবাইলে ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়। ১০ নম্বর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন আহমদ বলেন, আজ সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমাকে ঘটনাটি জানায়। ছোট একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পুরুষ মিয়া তিনি একটু খারাপ ধরনের মানুষ। পুরুষ মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ। মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিম উদ্ধার করি। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুরুষ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। আমি ভিকটিম হামিদা বেগমকে মুক্ত অবস্থায় পেয়েছি। আমরা যাওয়ার পূর্বে তার বাঁধন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এলাকার লোকজন বলছে হামিদা বেগম গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল। ভিডিওতে বাঁধা অবস্থায় দেখেছি। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
০৭ জুন, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ফকির আলমগীর। তিনি মধ্য পাকুন্দিয়া এলাকার ফকির লাল মিয়ার ছেলে। সোমবার (১৩ মে) সকালে পাকুন্দিয়া পৌর শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে হামলার ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। জানা যায়, ভুক্তভোগী ফকির আলমগীর পাকুন্দিয়া পৌর সদরের মৌসুমী সিনেমা হল এলাকায় ঔষধ ফার্মেসির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। একই এলাকার মহি উদ্দিনের ছেলে হাসান তারেক ও মিলন মিয়ার ছেলে আজাহারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে টাকা পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে পাওনা টাকা চাওয়ায় রোববার (১২ মে) রাত ১০টার সময় অভিযুক্তরা দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এ সময় প্রতিবাদ করলে একপর্যায়ে দেশি অস্ত্রসহ দোকানে হামলা চালানো হয়। এতে ফকির আলমগীর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদিকে দোকানে ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় এক লাখ টাকার ক্ষতি ও নগদ দুই লাখ টাকা লুট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। ফকির আলমগীর ফার্মেসির ব্যবসার পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাকুন্দিয়া থানার ওসি আসাদুজ্জামান টিটু লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১৩ মে, ২০২৪

পাওনা টাকা না পেয়ে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ার কাহালুতে পাওনা টাকা না পেয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রেদুয়ানকে (১৮) হত্যা করেছে আরেক বন্ধু। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা পাতাঞ্জ গ্রামে আব্দুল মান্নান নামে পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, রেদুয়ানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাদ্রাসাছাত্র আবুল কাসেম। কাসেমের কাছ থেকে রেদুয়ান ১১ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা উদ্ধার করতে না পেরে রাগে ধাপের হাট থেকে একটি বড় হাঁসুয়া কিনে আনে কাসেম। শুক্রবার তারাবি নামাজ পড়ে রেদুয়ান বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের সফটওয়্যার ইনস্টল করার কথা বলে কাসেম রেদুয়ানকে আবদুল মান্নানের পুকুরপাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে রেদুয়ান মাথা নিচু করে মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করার সময় কাসেম হাঁসুয়া বের করে তার ঘাড়ে কয়েকটি কোপ দেয়। সে মাটিতে পড়ে গেলে আবারও কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পুলিশ আরও জানায়, নিহত রেদুয়ান পাতাঞ্জ গ্রামের মো. মেরাজুলের ছেলে এবং হত্যাকারী আবুল কাসেম একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে। এ ঘটনায় রেদুয়ানের বাবা মেরাজুল বাদী হয়ে গতকাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। কাহালু থানার ওসি মো. সেলিম রেজা বলেন, কাসেম রেদুয়ানের কাছ থেকে পাওয়া টাকা আদায় করতে না পেরে সেই ক্ষোভে এ হত্যাকাণ্ড একাই ঘটিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবই স্বীকার করেছে কাসেম।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
ফেনীর সোনাগাজীতে পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে দোকানির ছুরিকাঘাতে রবিউল হোসেন ছোটন (২৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার (২৪ মার্চ) ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে উপজেলার মতিগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের ছাপওয়ান ষ্টোরের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দোকান কর্মচারী মামুনকে আটক করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, মতিগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের ছাপওয়ান ষ্টোরের মালিক মো. নিলয় ক্রেতা রবিউল হোসেন ছোটনের নিকট পাওনা টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডায় হয়। এ সময় নিলয়কে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে ছোটন। পরে নিলয় তার বড় ভাই আরিফুল ইসলাম হৃদয়কে ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে সে ঘটনাস্থলে আসলে ছোটন তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে হৃদয় দোকানে থাকা ছুরি নিয়ে ছোটনের বুকে-পেটে উপর্যপুরি কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা ছোটনকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রবিউল হোসেন ছোটন উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের রমজান আলী মেস্তরী বাড়ির মৃত কালা মিয়ার ছেলে। রবিউল হোসেন ছোটনের বড় ভাই জাফর উল্লাহর স্ত্রী বিবি আমেনা বলেন, টাইগার বাবুলের পোলা আমার ভাইরে মেরে ফেলছে। আমি হৃদয় ও নিলয়ের ফাঁসি চাই। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম হৃদয় ও মো. নিলয় একি গ্রামের লাল খান মিয়া বাড়ির মো. বাবুল প্রকাশ টাইগার বাবুলের ছেলে। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় জানান, দোকানি নিলয় ও তার বড় ভাই হৃদয়ের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে ছোটনের দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনার জেরে ছোটন দোকানীদের মারধর করে। একপর্যায়ে হৃদয়ের ছুরিকাঘাতে ছোটন আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় দোকান কর্মচারী মামুনকে আটক করা হয়েছে।  
২৪ মার্চ, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় কবজি বিচ্ছিন্ন যুবকের
পাওনা টাকা চাওয়ায় কুপিয়ে শরিফুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (১৭ মার্চ) রাতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সরাইচন্ডী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শরিফুলকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় সোমবার (১৮ মার্চ) আহতের স্ত্রী তানিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ভোর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।   আসামিরা হলেন, সরাইচন্ডী গ্রামের মহবুল শেখের ছেলে আলহাজ (২৬) ও একই গ্রামের মৃত আফজাল খন্দকারের ছেলে রুবেল (৪৮)। আহত শরিফুলের ছোট ভাই মেরাজুল জানান, ভাই শরিফুল একই গ্রামের সুজন ও আলহাজের কাছ থেকে ধারের দুই লাখ টাকা পেতেন। পাওনা টাকা দিতে তাগিদ দিচ্ছিলেন তিনি। এরই জেরে রোববার রাতে সরাইচন্ডী বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে শুকনা নদীর মধ্যে শরিফুলের ওপর হামলা করে আসামিরা। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরিফুলের ডান হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বাম হাতের একটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।   সদর থানার এসআই দানিবুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পাওনা টাকার জন্যই শরিফুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সদর থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরদিনই থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
১৯ মার্চ, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় মেস পরিচালিকাকে হত্যার অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া একটি ভাড়াটিয়া মেস পরিচালিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শুক্রবার (১ মার্চ) ভোরে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের নতুনচর সিটি গেইট সংলগ্ন শামীম মিয়ার ভাড়াটিয়া মেসে এ ঘটনা ঘটেছে।  স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে গজারিয়া থানা পুলিশ মরদেহটি তাদের হেফাজতে নেয়। তাছাড়া ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ইট উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই মেস পরিচালিকার নাম মাবিয়া খাতুন (৫৫)। সে খুলনা জেলার তেরোখাদা উপজেলার হিন্দুকোসলা গ্রামের আব্দুল গাফফার মোল্লার স্ত্রী। নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মেসে থাকা বিল্লাল হোসেন নামের এক ভাড়াটিয়ার সঙ্গে খাওয়ার টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় নিহত মাবিয়ার। হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটার পর থেকে এ মেসে অনুমানিক ৩৫-৪০ জন লোক থাকলেও বিল্লালকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের গায়ের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে নিহতের স্বামী গাফ্ফার কালবেলাকে জানান, দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ এ এলাকায় বসবাস করেন তারা। বৃদ্ধ স্বামী এবং স্ত্রী মিলে শামিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ৩০-৪০ জনের মেসে খাওয়ান। তবে জীবনের শেষ দিকে এসে কেউ তার স্ত্রীকে এভাবে খুন করে হত্যা করবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেনি। তিনি আরো জানান, প্রতিদিনের মতো সে আজও মেসের জন্য সকালের নাস্তা বানাতে ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে রান্নার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে প্রতিদিন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠিয়ে একসঙ্গে রান্নার কাজ শুরু করলেও আজ আমাকে ঘুম থেকে না ডেকে একাই কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। হয়তো এ সুযোগেই হত্যাকারী তাকে হত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, হত্যাকরী তার স্ত্রীকে হত্যা করেই খ্যান্ত হয়নি। তার সঙ্গে থাকা কানের দুল, নাকফুল এবং গলায় থাকা স্বর্নের চেইন নিয়ে গেছে। বাড়ীর গেট তালা বন্ধ থাকায় বাসার দক্ষিণ দিকের একটি ঘরের জানালা খুলে চলে গেছে।  নিহতের স্বামী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নিহত মাবিয়ার মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি দাবি করে বলেন, বিনা অপরাধে আমার মাকে যারা এভাবে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই। আমাদের সন্দেহ বিল্লাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তির ওপর। যেহেতু সেই লোকের সঙ্গে রাতে আমার মায়ের তর্কবিতর্ক হয়েছে। আর এ ঘটনার পর মেসে সবাই থাকলেও সে নাই। সন্দেহভাজন বিল্লাল হোসেন হোসেন্দী ইউনিয়নরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি বরিশালে বলে জানা গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খাঁন কালবেলাকে জানান, ঘটনার তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ কাজ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০১ মার্চ, ২০২৪

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হামলা ও ভাঙচুর
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।  শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে সদরের হোলোখানা ইউনিয়নের লক্ষ্মীকান্ত ঠগের হাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফারুক হোসেনের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে লক্ষ্মীকান্ত আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন ও প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। পরে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আজ সকালে দুর্বৃত্তরা ফারুকের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় মো. ফারুক হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে পুলিশ আসার আগে দুর্বৃত্তরা রফিকুল ও ফারুকের বাড়ির আসবাবপত্রসহ নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি করে পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমি জানি না। আমি নামাজে যাচ্ছি। যার সঙ্গে এ ঘটনা তার সঙ্গে কথা বলেন। এ বিষয়ে জানতে আজাদ হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বলেন, আমি গত চার বছর আগে মিজানুর রহমান ও আজাদ স্যারকে চাকরির জন্য ১২ লাখ টাকা দিই। চাকরি তো দেননি, সেই টাকাও দিচ্ছেন না তারা। এ নিয়ে অনেক বিচার হয়েছে। টাকার জন্য চাপ দিলে আজ তারা লোকজন দিয়ে আমার বাড়ি ঘর ভাঙচুর করেছে। আমরা তাদের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছি। সদরের হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম রেজা বলেন, খবর পাওয়ার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্যাপক পরিমাণে ভাঙচুর হয়েছে। তবে কে বা কারা করেছে আমার জানা নেই। কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ওসি মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনিব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিকের দাড়ি ছিঁড়ল ছাত্রলীগ নেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর বাকি টাকা চাওয়ায় ক্যান্টিন মালিককে মারধর করে দাড়ি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হলের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সূর্যসেন হলের ক্যান্টিনের কাউন্টারের সামনে দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এসময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ক্যান্টিন মালিকের শার্ট ও গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে এবং ক্যান্টিন ম্যানেজারকেও মারধর করে। ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম আরাফাত হোসাইন অভি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ভুক্তভোগী ক্যান্টিন মালিকের নাম মো. ফাহিম হোসেন (৩৫)। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনায় ক্যান্টিন মালিক ফাহিম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতা অভি আজকে খাবার খেতে আসছে। কালকে আসেনি। এর আগে পরশু দিন আবার খাবার নিয়ে গেছে, বিল দেয়নি। পরশু দিন একবার বলছি, ভাই আমার আগের কয়ডা টাকা আছে, আর আজকের বিলটা। ওইদিন কইছে, তোমাকে পরে দিব। আজ আবার খাইতে আসছে। তখন কইলাম, ভাই বিলটা দেন। এর আগেরও কিছু বিল আছে। এরপর সে কইতাছে, পরে দিমু তোমারে, লিখা রাখ। পরে আমি কইছি, আচ্ছা লিখা রাখতেছি। এরপর তার সঙ্গে আমার কথা শেষ। এটা ম্যানেজারকে লিখতে বলতেছি, ৬টা খানার সঙ্গে এই বিলটা লেখ। পরে উনি আর বাকি খাইব না। তিনি আরও বলেন, এরপর দুই-তিন মিনিট চইলা গেছে। তখন ঘুইরা আইসা বলতাছে, এই ফাহিম এদিকে আয়। পরে গেছি। যাওয়ার পর কইতাছে, কার লগে কীভাবে কী কইতে হয় জানস না? তখন আমি বললাম, আমি কী কইছি ভাই? আমি তো বিলটা চাইলাম খালি। আমি কইছি না, বিল পরে দিমু? এটা বলেই সে আমার দাঁড়ি ধইরা এক মুষ্টি দাড়ি ছিঁড়ে ফেলছে। তখন যা মুখে আসছে তাই বলে গালি দিছে আর আমাকে ও ম্যানেজারকে কিল, ঘুষি, লাথি দেওয়া শুরু করল। এসময় আমার শার্ট এবং গেঞ্জি ছিঁড়ে ফেলে সে। আমি এই ব্যাপারে সূর্যসেন হল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিব। অভিযোগের বিষয়ে আরাফাত হোসাইন অভি বলেন, আমি দুপুরে খাবার খেতে গেলে ক্যান্টিন মালিক বকেয়া টাকা চাইলে আমি বললাম- আমার বিকাশে সমস্যা, টাকা তুলতে পারছি না। আমি প্রমাণও দেখাইলাম। পরে আমি সেখান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ম্যানেজারকে বললেন, আমাকে যেন নেক্সট টাইম খাবার না দেয়। এটা শুনে আমি ক্যান্টিন মালিককে বললাম, আপনি এটা কেমন কথা বললেন, সমস্যা তো থাকতে পারে। এরপর হঠাৎ করে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন, আমিও তার কলার টেনে ধরি। তারপর ধাক্কাধাক্কির মধ্যে তার দাঁড়িতে আমার হাত লেগে ছিঁড়ে যায়। তিনি আমাকে প্রথম ধাক্কা দেয়। আমি কোনো মারধর করিনি। এ প্রসঙ্গে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, অভি নামের কাউকে চিনি বলে মনে হচ্ছে না। সে যদি আমার অনুসারীই হয়ে থাকে তাহলে অভিযোগ আসলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনা তো মানা যায় না। এটা দুঃখজনক। ছাত্রলীগের যে কোনো নেতাকর্মী কোনো অপরাধ করে থাকলে, তা আমাদের কানে আসলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। ক্যান্টিন মালিককে একটি অভিযোগ দিতে বলেছি। এরপর অভিযোগপত্র পেলে তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাওনা টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে
এক বন্ধুর কাছে পাওনা টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন মোহন নামে এক ঠিকাদার। বিয়ের এক পর্যায়ে মোহনকে ধাওয়া করে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক পর্যায়ে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত আড়াইটা নাগাদ ফতুল্লার সাইনবোর্ড তুষারধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম মিয়া ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, মোহন তুষারধারা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। বাসার পাশেই তার এক বন্ধু সপরিবারে বসবাস করত। সেই বন্ধুর কাছে মোটা অংকের টাকা পাওনা ছিল মোহনের। একপর্যায়ে টাকা দিতে না পারায় ফ্ল্যাটে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে পালিয়ে যায় সে। তখন মোহন টাকার জন্য তার বন্ধুর স্ত্রী সাথী আক্তারকে চাপ দেন।  এ বিষয়ে মোহন বলেন, সাথীকে প্রথমে মৌখিকভাবে বিয়ে করি। পরে ৫ লাখ টাকা কাবিন দিয়ে কাজির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর থেকে তার নিয়মিত ভরণপোষণ দিয়ে আসছি। কিন্তু সে আমাকে ঘরে থাকতে দেয় না। কারণ সাথীর সঙ্গে একাধিক পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, আমার কাছে এসবের প্রমাণও আছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেই সে আমাকে মারধর করতে চায়, ঘর থেকে বের করে দেয়। তিনি বলেন, ঘটনার দিন রাত প্রায় ১২টার সময় সাথীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজার কড়া নাড়ি। একপর্যায়ে জোরে দরজা ধাক্কা দিলে সাথী গালাগাল করে চলে যেতে বলেন। পরে আমি অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মারধরের জন্য সে তিনজন লোক পাঠায়। তখন মারধর থেকে বাঁচতে দৌড় দিলে তারা আমার পিছু নেয়। জীবন বাঁচানোর জন্য সড়কের পাশে কচুক্ষেতের ভেতর ঢুকে পড়ি। ওই সময় ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া পাইনি। তারা আমাকে পানিতে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তখন প্রথম স্ত্রীকে ফোন করে তার সহযোগিতা চাই। পরে ৯৯৯-এ ফোন করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নুরে আজম মিয়া বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে এসআই গিয়াস উদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে মোহনকে ভেজা অবস্থায় দেখতে পান। অন্য কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। তবে এখনো এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পাওনা টাকা চাওয়ায় চোখ উপড়ে হত্যা
ছেলের চিকিৎসার জন্য সহকর্মী নিজাম উদ্দিনের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চেয়েছিলেন ফারুক হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুককে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে নিজাম। এই পরিকল্পনায় যুক্ত করে আরও কয়েকজনকে। এরপর টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ফারুককে। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত স্ক্রু ড্রাইভার ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো মূল পরিকল্পনাকারী নিজাম উদ্দিন (৩৬), মো. সোহাগ (৩৮), জহিরুল ইসলাম (৪৮), রনি হোসেন (২৩) ও মো. বাদশা (২৩)। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। কমান্ডার মঈন জানান, নিজাম ও ফারুক একসঙ্গে টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহন কাউন্টারে কাজ করত। দীর্ঘ ৫-৬ বছরের পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রায়ই টাকা লেনদেন হতো। ৮ জানুয়ারি নিজামের কাছে ফারুক পাওনা টাকা চাইলে কথা কাটাকাটি হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে নিজাম ফারুককে উচিত শিক্ষা দিতে অন্য আসামিদের সঙ্গে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে নিজাম মোবাইলে ফারুককে টাকা নেওয়ার জন্য কাউন্টারে আসতে বলে। ফারুক কাউন্টারে এলে আসামিরা তাকে মারধর করে ঢাকা এক্সপ্রেসের খালি বাসে তুলে পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় নিয়ে যায়। তিনি জানান, সেখানে নেওয়ার পর সোহাগ দেশি অস্ত্র দিয়ে ফারুককে গুরুতর আঘাত করে। এ সময় বাদশা বাসের টুলবক্স থেকে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ফারুকের এক চোখ উপড়ে ফেলে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে ৩০০ ফিট থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে পাশে রঘুরামপুর রাস্তার পাশে লাশ ফেলে তারা বাস নিয়ে লক্ষ্মীপুরে পালিয়ে যায়। র‌্যাব কমান্ডার জানান, পরদিন সকালে স্থানীয়দের খবরে র‌্যাব লাশ উদ্ধার করে। পরে ভিকটিমের মা রূপগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা করলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব-১১-এর সহায়তায় র‌্যাব-১-এর আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী এবং লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, ফারুক স্ত্রী-সন্তানসহ তুরাগের বাউনিয়া এলাকায় থাকতেন। চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা এক্সপ্রেসের টিকিট কাউন্টার ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। নিজাম উদ্দিন ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনে ৭ বছর ধরে কাউন্টার ম্যানেজার হিসেবে চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ডে চাকরি করত। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। রনি ঢাকা এক্সপ্রেস ও লাবিবা ক্লাসিক পরিবহনের টঙ্গী স্টেশনের কাউন্টার মালিক। সোহাগ ঢাকা এক্সপ্রেসে ১৭ বছর ধরে সুপারভাইজার হিসেবে আছে। তার নামেও ঝালকাঠির রাজাপুর থানায় মারামারি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। জহিরুল একই পরিবহনে ৪ বছর ধরে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত। তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা রয়েছে।
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪
X