Wed, 03 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
০৩ জুলাই : নামাজের সময়সূচি
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক কারা এই ‘হারেদি’ ইহুদি গোষ্ঠী?
৭ ঘণ্টা আগে
আমেরিকায় পাঠানোর নামে প্রতারণা, রাজবাড়ীতে গ্রেপ্তার প্রতারক
৮ ঘণ্টা আগে
তুরাগে নৌকা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন
৯ ঘণ্টা আগে
আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২য় ইউনিট চালু
৯ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৩ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
সারাদেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মবিরতি
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে দেশের সবগুলো সমিতিতে একযোগে কর্মবিরতি পালন হচ্ছে। অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত একমাত্র প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক প্রায় ১২ কোটি। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষরসংবলিত চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়। কিন্তু ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই এবং সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাসপেন্ড, সংযুক্ত ও স্ট্যান্ড রিলিজ যারা আছে সবাইকে এক সপ্তাহের মধ্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও সাসপেন্ড দুইজন ও স্ট্যান্ড রিলিজ দুইজনকে অদ্যাবধি অব্যাহতি দেওয়া হয় নাই। তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে পুণরায় কর্মবিরতিতে যেতে হলো। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবি হলো ১. স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে। সোমবার সকাল থেকে সারাদেশে সবগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করলেও জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রয়েছে।
০১ জুলাই, ২০২৪
নিয়োগ দেবে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, আবেদন ডাকযোগে
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। প্রতিষ্ঠানটি তাদের শূন্যপদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ডাকযোগে বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত। প্রতিষ্ঠানের নাম : নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পদ ও জনবল : একটি ও ছয়জন চাকরির ধরন : স্থায়ী প্রার্থীর ধরন : শুধু নারী কর্মস্থল : নেত্রকোনা আবেদন শুরুর তারিখ : ২৭ জুন, ২০২৪ আবেদনের শেষ তারিখ : ২৫ জুলাই, ২০২৪ ১. পদের নাম : সহকারী ক্যাশিয়ার পদের সংখ্যা : ০৬টি (কম/বেশি হতে পারে) বেতন : ১৮,৩০০-৪৬,২৪০ টাকা (মাসিক) শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আবেদনের বয়সসীমা : ১৮ থেকে ৩০ বছর হতে হবে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩২ বছর। আবেদন ফি : জেনারেল ম্যানেজার নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুকূলে যে কোনো তপশিলি ব্যাংক থেকে ২০০ টাকা মূল্যমানের পে-অর্ডার/ব্যাংক ড্রাফট সংযুক্ত করতে হবে। যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
৩০ জুন, ২০২৪
বিদ্যুতের দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের বালুঘাটা বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় তারা অন্তত ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না পেলে পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সমাবেশে বক্তারা জানায়, তারা ২৪ ঘণ্টায় মাত্র দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ পায়। ফলে প্রচণ্ড গরমে জীবনমান অচল হয়ে পড়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারছে না। বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে পোল্ট্রি ফার্মের শত শত মুরগি মারা যাচ্ছে। বিদ্যুতের দাবিতে স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে নালিতাবাড়ী সাব স্টেশনে যোগাযোগ করে বরাবারই ব্যর্থ হয়েছে। সমাবেশ শেষে ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পেলে নালিতাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সাবস্টেশন ঘেরাও করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক ফজলুল করিম, মনিরুজ্জামান, খোশ মাহমুদ, ইমান আলী, সোহাগ মিয়া, খলিল মিয়া প্রমুখ। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শেরপুরের জেনারেল ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আকতারুজ্জামান জানান, ইচ্ছে করে লোডশেডিং করা হয় না। সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে এ উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ১২ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৬ থেকে ৭ মেগাওয়াট। এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে।
২৯ জুন, ২০২৪
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিখোঁজ পরিচালকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আশরাফ উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।রোববার বিকেলে কর্ণফুলী নদীর হামিদ চর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত কাজলের বাড়ি বোয়ালখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ওই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। গত শনিবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় কালুরঘাট সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ফেরিঘাটে একটি যাত্রীবাহী নৌকা ফেরিকে ধাক্কা দিলে নৌকা থেকে কাজলসহ দুজন নদীতে পড়ে যান। তাদের মধ্যে নূর কাদের নামে একজন তীরে উঠতে পারলেও কাজল নদীতে তলিয়ে যান। চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবির কালবেলাকে জানান, কাজল চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক। শনিবার ফেরির ধাক্কায় তিনি নদীতে তলিয়ে গিয়েছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় হামিদচর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
২৪ জুন, ২০২৪
৫ দফা দাবিতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির স্মারকলিপি প্রদান
পল্লীবিদ্যুতের বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মধ্যকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিন্ন চাকরিবিধি প্রণয়ন, বৈষম্য দূরীকরণ ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রোববার (১৯ মে) সারা দেশের সব সমিতিতে একযোগে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এর আগে চলতি মে মাসের শুরুতে দাবি আদায়ে কর্মবিরতিতে যান সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ১০ মে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসে কাজে ফিরে যান তারা। এ বিষয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, গত ১০ মে বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, শেখ আকতার হোসেনসহ পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠক থেকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি-দাওয়া বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে আজ ১৯ মে সারা দেশের ৮০টি পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। তারা জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উত্তম গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে এবং চাকরিতে বৈষম্য দূরীকরণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে পাঁচ দফা দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি জমা দেওয়া হলো। দাবিগুলো হলো :- ১. পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন। ২. কারিগরি লোকবলের সংকট এড়াতে ও গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে লাইন ক্রু লেভেল ১ পদের চাকরি নিয়মিতকরণ করতে হবে। ৩. সরকারের রাজস্ব আদায় অব্যাহত রাখার স্বার্থে গ্রাহক পর্যায়ে মিটারসমূহ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে মিটার রিডার কাম ম্যাসেঞ্জার পদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে। ৪. দৈনিক হাজিরাভিত্তিক বিল সহকারী ও বিদ্যুৎ লাইন শ্রমিকদের চাকরি নিয়মিতকরন করতে হবে। ৫. বৈষম্য নিরসনের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বর্তমান ও ভবিষ্যতে কোনোরকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা যেমন, বরখাস্ত, বদলি, প্রমোশন স্থগিত ও তদন্তের নামে হয়রানি না করা এবং আন্দোলন চলাকালে যাদের সাময়িক বরখাস্ত, বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল তাদের পূর্বের পদে পদায়ন করতে হবে।
১৯ মে, ২০২৪
কাজে ফেরার ঘোষণা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের
দাবি পূরণের আশ্বাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি স্থগিত করে কাজে ফিরে যাচ্ছে সারাদেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকালে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে আন্দোলনরতদের সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান, শেখ আকতার হোসেনসহ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্তীর বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা কর্মচারীরা জানান, চলমান আন্দোলন কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচার হওয়ায় তার নির্দেশনায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীলরা আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে কথা বলতে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আমরা বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করন ও ভবিষ্যতে স্মার্ট বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে জন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের স্বার্থে নিম্নমানের মালামাল ক্রয় বন্ধের ব্যাপারে দাবি দাওয়া ও ন্যায্যতা তুলে ধরি। আমাদের উত্থাপিত যৌক্তিক দাবি দাওয়া বিষয়ে পুঙ্খানু যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। এরপর প্রয়োজনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিনিধিসহ আবারো আলোচনার বসা হবে। তার আগপর্যন্ত আমরা কর্ম বিরতি স্থগিত করে কাজে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল শনিবার থেকে সারাদেশের আশিটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত সেবাদান চালিয়ে যাবেন। সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তা কর্মচারীরা আরও জানান, মন্ত্রণালয়ের দেয়া আশ্বাসে আমরা কর্ম বিরতি প্রত্যাহার করলেও আমাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়ন না হলে প্রয়োজনে আমরা আবারও কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচিতে যাব। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, যেহেতু আজকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের ডাকেনি সেহেতু আগামী কাল থেকে যদি কেউ কাজে না ফিরে তার দায়ভার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বহন করবে না। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস, ডিজিএম মো. এনামুল হক, ডিজিএম প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন, এজিএম আব্দুল হাকিম, মো. সাজেদুর রহমান, এজিএম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ প্রমুখ।
১০ মে, ২০২৪
৪র্থ দিনেও কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা
সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎসেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অচলাবস্থা কাটছেই না। বুধবার (৮ মে) ৪র্থ দিনেও কর্মবিরতি পালন করছে সারা দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছে তারা। তবে রবিবার থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরিভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছেন তাঁরা। বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ও সকল ধরণের গ্রাহক সেবা ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সারাদেশেই ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য গ্রাহক। অপরদিকে সমস্যা সমাধানে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ের কোন ফলপ্রসূ উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো গতকাল আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় আরো ক্ষুব্ধ হয়েছে আন্দোলনকারীরা। জানা যায়, আন্দোলন চলাকালে সমিতির এজিএম (আইটি) সাকিল আহম্মেদ, এজিএম(অর্থ) সুখদেবকে সাময়িক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, ২ জন এজিএম (ওএন্ডএম)কে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়, ২জন ডিজিএম, ৪জন এজিএম এবং ১জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) এ সংযুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদেও কর্মবিরতিতে অনঢ় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্ব নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দুর করে বাপবিবো এবং পবিসএকই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রণোদনা জুলাই -২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই -১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ ডিষ্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির বাস্তবায়ন চান তারা।
০৮ মে, ২০২৪
অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীরা
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গতকাল রোববার সকাল ৯টা থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। আন্দোলকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) হিসেবে চাকরিতে যোগদান করে এর পরের দুই ধাপে (মহাব্যবস্থাপক) যেতে সময় লাগে ২২ থেকে ২৪ বছর। মাত্র দুটি পদোন্নতি নিয়েই শেষ হয় বেশিরভাগ প্রকৌশলীর চাকরিজীবন। কারও কারও ভাগ্যে তাও জোটে না। পদোন্নতির এমন বঞ্চনার পাশাপাশি তাদের পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাসহ চাকরিগত নানা সুবিধার ক্ষেত্রে আরইবি বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন তারা। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপকের মাধ্যমে আরইবির চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলেন প্রায় দেড় হাজার কর্মকর্তা। এদিকে আন্দোলনের কারণে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও আন্দোলনকারীরা বলছেন, তারা দাপ্তরিক কিছু কাজ বন্ধ রেখেছেন। বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না। জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে দায়িত্বে রয়েছেন। তবে সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। গতকাল বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, বিআরইবির দ্বৈতনীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের দাবি, জিএম পদটিকে পরিচালক অথবা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীতে পরিবর্তন করে চতুর্থ গ্রেড, ডিজিএম থেকে উপপরিচালক অথবা নির্বাহী প্রকৌশলী করে ষষ্ঠ গ্রেড, এজিএম থেকে সহকারী পরিচালক অথবা সহকারী প্রকৌশলী করে নবম গ্রেড বা সমমান করার পাশাপাশি অন্য পদগুলোতেও সরকারি চাকরিবিধি অনুসরণ করা হোক। পাশাপাশি সরকারের অন্য দপ্তরের মতো নিয়ম মেনে তাদেরও যেন পদোন্নতি দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহককে (৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবির অধীনে তারা চাকরি করলেও পদ-পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটিসহ নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
০৬ মে, ২০২৪
যে কারণে কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে গেছেন সারা দেশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। রোববার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে দেশের ৮০টি পবিসের সদর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতনভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে। কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উলটো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ভোলা পবিসের দুজন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দুজন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলি এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর দুজন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক কে ( ৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায় সংগত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হয়। বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে বাপবিবো এবং পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রণোদনা জুলাই-২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই-১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিস্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা। ১৩ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা : ১। সকাল ৯.০০ ঘটিকা হতে প্রতিটি সমিতির সদর দপ্তরে ব্যানার ফেস্টুনসহ অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি (গেটের ভিতর অফিস ভবনের সামনে)। ২। কর্ম বিরতিতে সব শ্রেণির কর্মকতা/কর্মচারী অংশগ্রহণ করবেন। ৩। সকাল ৮.৩০ এর মধ্য সবাই সদর দপ্তরে উপস্থিত থেকে অবস্থান নিবেন। ৪। কেউ অফিসে ডেস্কে বসবে না। ৫। শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য ০১ জন উপকেন্দ্র থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। ৬। কেউ অফিসের ভিতর প্রবেশ বা দাপ্তরিক কাজ করলে তাহার তথ্য সংরক্ষণ করবেন। ৭। কর্মবিরতি চলাকালীন কোনো প্রকার দাপ্তরিক তথ্য আরইবি কে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ৮। জোনাল/সাব জোনাল অফিস হতে সর্বোচ্চ পরিমাণ কর্মকতা/কর্মচারীকে সদর দপ্তরে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্য উপস্থিত থেকে কর্মসূচি সফল করতে হবে। ৯। কর্মসূচিতে বাধা বা আরইবি কোনো প্রকার হয়রানি করলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। ১০। কর্মসূচি চলাকালীন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে এবং গ্রাহক অসন্তোষ হয় এরকম কোনো কাজ করা যাবে না। ১১। সব পবিস নিজ নিজ দায়িত্বে নিউজ পেপার/ সংবাদ মিডিয়া সঙ্গে যোগাযোগে করবেন। ১২। আগামীকাল কোনো স্টাফ মিটিং কেউ যুক্ত হবেন না। স্টাফ মিটিং বয়কট করা হলো ১৩। কালকের কর্মসূচির পরে সামগ্রিক বিষয় সংবাদ ব্রিফিং করে জানিয়ে দেওয়া হবে।
০৫ মে, ২০২৪
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ড
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কোনাবাড়ী জোনাল অফিসের সাব স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কোনাবাড়ী জোনাল অফিসের ডিজিএম কামাল হোসেন জানান, কোনাবাড়ী জোনাল অফিসের সাব স্টেশনে বিকট শব্দ হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত তাপের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। তদন্তের পর ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। আগুনে পাওয়ার ট্রান্সফরমারসহ বিভিন্ন তার পুড়ে গেছে। অতিরিক্ত তাপের কারণে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪
আরও
X