খুলে দেওয়া হলো সুনামগঞ্জের পর্যটন স্পট
বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসন।  তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা পারভীন জানান, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৮ জুন বিকেলে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক (নিলাদ্রী লেক), বারেকটিলা, শিমুল বাগানসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট বন্যা পরিস্থিতিজনিত কারণে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
২৩ জুন, ২০২৪

৫৩০ হজযাত্রীর মৃত্যু / ১৬ পর্যটন সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করল মিসর
মক্কায় মিসরীয় হজযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ১৬ পর্যটন সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করেছে দেশটি। এ ছাড়া তাদের বিচারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দল।-খবর রয়টার্স এবার হজে মিসরের ৫৩০ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মেডিকেল এবং নিরাপত্তা সূত্র। বৃহস্পতিবার মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলিকে প্রধান করে হজযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ফলে ৩১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যারা মারা গেছে তাদের ভ্রমণের সুবিধা প্রদানকারী পর্যটন সংস্থাগুলো তাদের চিকিৎসাসহ কোনো ধরনের মেডিকেল সুবিধা প্রদান করেনি। তবে জড়িত সংস্থাগুলির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মিসরের এসব এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের ব্যক্তিগত ভিসায় সৌদি আরবে নেওয়ার পর হজ ভিসা বলে চালিয়ে দেয়। পবিত্র হজে সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের নিরাপত্তায় চিকিৎসাসেবাসহ ছাউনি স্থাপন করে। আর এসব সুবিধা ব্যক্তিগত ভিসা নিয়ে ভ্রমণকারীদের জন্য দেওয়া হয় না। যারা ব্যক্তিগত ভিসা কিংবা ভ্রমণ ভিসায় গিয়ে হজে অংশ নিয়েছে তাদের জন্য কোনো সুবিধা প্রদান করেনি সৌদি কর্তৃপক্ষ। মিসরের হজযাত্রীরা ব্যক্তিগত ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে হজে অংশ নিয়েছে। যেসব হজযাত্রী মারা গেছেন তাদের গ্রেপ্তার বা নির্বাসন এড়াতে মক্কায় মরুভূমির মধ্য দিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছিল। মিসরীয় কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে, এ ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের ‘উপযুক্ত বাসস্থান’ সরবরাহ করেনি। ফলে হজযাত্রীদের অত্যধিক গরমের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। মিসর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে হজযাত্রীদের ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা নিবন্ধিত হজযাত্রী ছিল না। এবারের হজে মক্কায় তাপমাত্রা মাঝে মাঝে ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। অসহনীয় গরমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত হজযাত্রী মারা গেছে।
২৩ জুন, ২০২৪

ঈদের ছুটিতে প্রস্তুত পর্যটন শহর কাপ্তাই
ঈদুল আজহার ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটবে পর্যটন শহর রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায়। এমনটা প্রত্যাশা করছেন কাপ্তাই উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ঈদের ছুটিতে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত করা হচ্ছে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ঈদে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে চিরচেনা রূপে ফিরবে উপজেলার ট্যুরিস্ট স্পটগুলো; এমনটাই প্রত্যাশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। অন্যদিকে পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। কাপ্তাই উপজেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্পট লেকভিউ পিকনিক স্পট, লেকশোর পর্যটন স্পট, প্রশান্তি পার্ক, জুম রেস্তোরাঁ, রিভার ভিউ পার্কসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন পর্যটকরা। সম্প্রতি কাপ্তাইয়ের এসব পর্যটন কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ঈদকে সামনে রেখে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে প্রায় সবকয়টি পর্যটনকেন্দ্র গুলোকে। কাপ্তাইয়ে নিসর্গ রিভার ভ্যালি নামে একটি পর্যটন কেন্দ্র আছে যেখানে বাঁশ দিয়ে কারুকার্য করে পর্যটককের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আগমনে প্রস্তুত নিসর্গ রিভার ভ্যালি। এছাড়া কাপ্তাইয়ে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ প্যানরমা জুম রেস্তোরাঁ এন্ড পিকনিক স্পট, কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কসহ প্রায় সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে বর্তমানে চলছে সাজসজ্জার কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে পর্যটক বরণে প্রস্তুত করে নিচ্ছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। অধিকাংশ পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে পর্যটকদের জন্য রাত্রি যাপনের সু ব্যবস্থা। সেই কটেজগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। প্রতিবছরের মতো এবারও ধারণা করা হচ্ছে হাজার হাজার পর্যটকের আগমনে মুখরিত হবে কাপ্তাইয়ের বিনোদন কেন্দ্রগুলো।  কাপ্তাই নিসর্গ পড হাউস ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. মাসুদ তালুকদার জানান, ঈদের ছুটিতে এবার কাপ্তাইয়ে প্রচুর পর্যটক আসবে, এমনটাই ধারণা করছি আমরা। পর্যটকদের সর্বোচ্চ আনন্দ দিতে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।  কাপ্তাই জুম রেস্তোরাঁর ম্যানেজার মো. শফি জানান, প্রতি বছর ঈদে আমাদের কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক আসেন। আমরা আশা রাখছি, এবারও ভালো পর্যটকের আগমন ঘটবে। এ ছাড়া আমাদের বিনোদন কেন্দ্রে ঈদকে ঘিরে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন রাখা হচ্ছে।  কাপ্তাই প্রশান্তি পার্কের ম্যানেজার মো. গণি জানান, ঈদকে ঘিরে পর্যটকদের বরণ করে নিতে পার্কের চারপাশ সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে পর্যটকদের জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক জানান, ঈদের ছুটিতে কাপ্তাইয়ে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ সবাই প্রস্তুত আছে। এছাড়া কাপ্তাই শান্তিপূর্ণ উপজেলা। এখানে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকরা এসে চিন্তামুক্ত ভ্রমণ করতে পারেন। তবুও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলে তিনি জানান।
১৭ জুন, ২০২৪

সিলেটের পর্যটন কেন্দ্র খুলল
শর্ত সাপেক্ষে সাত দিন পর খুলে দেওয়া হলো সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। গতকাল শুক্রবার থেকে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে পর্যটন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান। গত বৃহস্পতিবার ইউএনও সুনজিত কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নৌকাগুলোতে লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে। পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে নৌকা ছাড়তে হবে, পর্যটকরা কিছুতেই পানিতে নামতে পারবে না, ভরা বর্ষায় শিশু ও বাচ্চাদের নিয়ে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয়, পর্যটকরা নৌকায় উঠে হৈ-হুল্লোড় করতে পারবে না, আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হলে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে বন্ধ করা পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে নৌকাতে পর্যটকদের লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে।
০৮ জুন, ২০২৪

বিমান ও পর্যটনে বরাদ্দ কমানোর প্রস্তাব
২০০৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণলায়ের বরাদ্দ কমেছে। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় এই মন্ত্রণালয়ের জন্য ৫ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।  চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণলায়ের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। যা এবার ৮৯৭ কোটি টাকা কম। যদিও চলতি অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। সে হিসাবেও এবার প্রস্তাবিত বাজেটে সংশোধিত বাজেট থেকে ৬৫৫ কোটি টাকা কম। আজ বিকেলে সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিশেষ বৈঠকে বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন হয়। দুপুর ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক শুরু হয়। অনুমোদিত এ বাজেট দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ সরকারের ২৫তম এবং এ অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- অর্থ বিভাগের ওয়েবসাইট www.mof.gov.bd এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট www.nbr.gov.bd- এ বাজেটের সব তথ্যাদি ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পড়তে পারবেন এবং ডাউনলোডও করা যাবে। এ ছাড়া দেশ ও দেশের বাইরে থেকে [email protected]–এ ইমেইলের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মতামত ও সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
০৬ জুন, ২০২৪

বিশ্বের ৩টি শহর পেল ওআইসি পর্যটন পুরস্কার
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোর পর্যটন মন্ত্রীদের ১২তম অধিবেশনে (১২তম আইসিটিএম) বিশ্বের তিনটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরকে পর্যটন শহর হিসেবে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। রোববার (২ জুন) উজবেকিস্তানের খিভাতে অনুষ্ঠিত অধিবেশনের শেষ পর্বে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। ১২তম আইসিটিএম ঘোষণা করেছে যে, তিনটি শহর ওআইসির পর্যটন সিটি হিসেবে পুরস্কার জিতেছে। তার মধ্যে ২০২৫ সালের জন্য সেনেগালের রাজধানী ডাকার, ২০২৬ সালের জন্য মিশরের রাজধানী কায়রো এবং ২০২৭ সালের জন্য পাকিস্তানের লাহোরকে সিটি অফ ট্যুরিজম হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ২০২৫ সালের উজবেকিস্তানের সমরকন্দ শহরকে ইসলামিক বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ওআইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ২০২৪ সালের জন্য ওআইসি পর্যটন শহর হিসেবে খিভার প্রশংসা করা হয়। পাশাপাশি ২০২৫, ২০২৬ এবং ২০২৭ সালের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শহরগুলোতে বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য ওআইসি সদস্য দেশগুলিকে আহ্বান জানায়। সম্মেলনটি ২০২৬ সালে আইসটিএম-এর ১৩তম অধিবেশনের জন্য আয়োজক দেশ হিসেবে কাতারকে অনুমোদন করেছে ও সদস্য দেশগুলো এবং ওআইসি’র সংস্থাগুলোকে সেই অধিবেশনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ১২তম আইসিটিএমও সমস্ত ওআইসি সদস্য রাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ইসলামিক পর্যটনের বিকাশের জন্য কৌশলগত রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য এবং ভিসা সুবিধা, বিনিয়োগ প্রচার, ব্র্যান্ডিং, আন্তঃওআইসি পর্যটন প্রবাহকে উন্নীত করার জন্য ইসলামিক পর্যটনের ওপর বার্ষিক অনুষ্ঠান আয়োজন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছে। সম্মেলনটি ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন (আইসেসকো) কে ইসলামী বিশ্বে টেকসই সাংস্কৃতিক পর্যটনের উন্নয়নের জন্য সংশোধিত কৌশল নিয়ে জাতিসংঘের পর্যটনসহ ওআইসি এবং সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
০২ জুন, ২০২৪

সিলেটে সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা
অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সঙ্গশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পর্যটকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিছানাকান্দি, সাদা পাথর, রাতারগুল ও লালাখাল বন্ধ থাকবে। এর আগে বুধবার (২৯ মে) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোর পর্যন্ত সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে আকস্মিক পানি প্রবেশ করে।  আকস্মিক বন্যায় দুর্ভোগে পড়েছে এ সব উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। পরিবার-পরিজন, গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। পানিবন্দি মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী জকিগঞ্জের অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার এবং সারিগোয়াইন নদী জৈন্তাপুরের সারিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আকস্মিক বন্যায় গোয়াইনঘাট উপজেলায় সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্ট এবং যথাক্রমে গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে বলে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উপজেলার রুস্তমপুর, লেংগুড়া, ডৌবাড়ি, নন্দীরগাঁও ইউনিয়ন, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলংয়ে প্লাবনের পরিমাণ বেশি হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এরইমধ্যে ৫৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
৩০ মে, ২০২৪

থানচিতে পর্যটন ব্যবসায় ধস
ঈদ, পহেলা বৈশাখ ও সাংগ্রাই উৎসব ঘিরে বান্দরবানে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম হয়। বছর ঘুরে এসব উৎসব এলেও এবারের পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। সম্প্রতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংকে হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনার পর পর্যটন খাতে কালো ছায়া পড়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে পর্যটকরা আগে থেকে করে রাখা বুকিং বাতিল করছেন। এতে ভরা মৌসুমে লোকসানের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা। বান্দরবান জেলার থানচি শুরু থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ ইতোমধ্যে দেশ ছড়িয়ে বিদেশেও খ্যাতি অর্জন করেছে। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে থানচির অবস্থান। পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থানকারী জেলাগুলোর মধ্যে বান্দরবান অন্যতম। চট্টগ্রাম থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ি শহর বান্দরবান অবস্থান। এ জেলার আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। বান্দরবান জেলার উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণের আরকান, মায়ানমার, পূর্বে ভারতে মিজোরাম ও মায়ানমারে, পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।  বান্দরবান থানচি সড়কের মাঝখানে রয়েছে জীবননগর নামক স্থানে নীলগিড়ি, নিল দিগন্ত এইটি ম্রো অধ্যুষিত এলাকা। থানচি উপজেলা হতে আলিকদম উপজেলা সংযোগ সড়কের থানচি সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ক্রাউডং (মারমা) ডিম পাহাড় (বাংলা) নৌপথে সাংগু নদী বেয়ে তিন্দু ইউনিয়নের একটি নাম বংডঃ, ক্যাপজা স্বং (স্থানীয় মারমা) রাজা পাথর (বাংলা) মনোরম পরিবেশে মাঝে ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এরপর রেমাক্রী খাল। রেমাক্রী মারমা-অধ্যুষিত এলাকা। বান্দরবান জেলার যে স্থানগুলোর কারণে এই উপজেলাটি পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে তা হচ্ছে নাফাখুম ঝরনা, আমিয়াখুং ঝরনা, ভেলাখুং ঝরনা, সাত ভাই খুং ঝরনা, লাংলুক ঝরনা, লৈক্ষ্যং ঝরনা, চিংড়িৎ ঝরনাসহ অসংখ্য ঝরনা। পর্যটনসংশ্লিষ্টরা জানান, বান্দরবান জেলায় পর্যটকদের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলো হচ্ছে- রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলা।বিরাজমান পরিস্থিতিতে এই তিন উপজেলাতে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালনা করায় দর্শনীয় স্থানে যাতায়ত করা পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ এলাকায় দোকানপাট বন্ধ। যানবাহন চলাচল সীমিত। সন্ধ্যার আগেই লোকজন ঘরবন্দি হয়ে যাচ্ছে। নাফাখুং হোটেল মালিক হ্লাচিংমং মারমা জানান, এবারে ঈদ, পহেলা বৈশাখ ছুটিতে হোটেল-মোটেলের শতভাগ রুম বুকিং হওয়া কথা। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২ এপ্রিল রাতে কেএনএফ রুমার সোনালী ব্যাংক ডাকাতি,অস্ত্র লুট, ম্যানেজার অপহরণ এবং তার পরের দিন ৩ এপ্রিল দিন দুপুরে থানচি সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় অস্থির হয়ে পড়েছে বান্দরবান। শুরু হয় যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান আর এই খবর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে আর লোকজন আসছে না। এমন সময় থানচি রেমাক্রীতে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম হওয়ার কথা। এবারে সব ভিন্ন। তিনি বলেন, পর্যটক না আসার কারণে এই ঈদ মৌসুমে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের গুনতে হবে লাখ লাখ টাকার লোকসান। নৌকার ড্রাইভার অংডাই মারমা জানান, থানচিতে পর্যটকের ছুটে চলার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। যেখানে নৌকার সংখ্যা রয়েছে পাঁচ শতাধিক, চালক রয়েছেন ৫০০ জনের মতো। তাদের প্রধান আয়ের উৎস পর্যটক। নৌকা চালাতে পারলে সংসারের চাকা ঘুরবে, কিন্তু বর্তমান বিভিন্ন কার্যকলাপে পাহাড় হয়ে উঠেছে অশান্ত। এমন পরিস্থিতিতে ড্রাইভাররা দিনশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন কালবেলাকে বলেন, সরকারিভাবে পর্যটকের নিরুৎসাহিত করা হয়নি, তবে এমন পরিস্থিতি শোনার পরে আর কেউ ঘুরতে আসবে বলে মনেও হয় না। তবে পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিটরা অনেক কষ্ট ও লোকসানে পড়বে বোঝা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই অনুষ্ঠানে অনেক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদসরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।  উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসে রুমা উপজেলার ইউএনও অফিসসংলগ্ন মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে। তারা সোনালী ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটিরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেও অপহরণ করে। পরের দিন বুধবার (৩ এপ্রিল) থানচি উপজেলা শহরের সোনালী ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি হয়। রুমার ঘটনার পর যৌথ অভিযান চালিয়ে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। এরপর কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের ঘোষণা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব ঘটনায় ৮টি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই জড়িতদের ধরতে এবং সন্ত্রাসীদের নির্মূলে ৬ এপ্রিল যৌথ বাহিনী সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। দুদিনের অভিযানে ১৮ নারীসহ ৫৬ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। বাকি সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২১ এপ্রিল, ২০২৪

পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় পথেপ্রান্তে ছুটছেন পর্যটকরা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা হতে পারে পর্যটনের শহর। এ উপজেলায় রয়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান। আর সেই স্থানসমূহকে ঘিরে পাটগ্রামকে পর্যটন শহর গড়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ। আর এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলে সরকার পাবে কোটি টাকার রাজস্ব। পাটগ্রামের রাবার ড্যাম, কাউয়ামারী এলাকার ধরলা সেতুসমূহে পর্যটনশিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। এ ছাড়াও তিন বিঘা করিডোরের দুই পাশের জায়গা ও বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো এবং দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য ব্যবস্থা করা। উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এবং বাঁধের মাথা এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। পাটগ্রাম ধরলা নদীতে নির্মিত রাবার ড্যাম ও কাউয়ামারী ধরলা ব্রিজের পাশে বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো, নদীতে পায়েচালিত নৌকা, স্পিডবোড দেওয়া, মিনি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন দোকান করা যাবে। উপজেলার সরকারি খাসজমির বড় মাঠে হতে পারে শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক। পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় এই সব জায়গায় ভিড় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণপিয়াসীদের। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্পটে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। হাতিবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মাহামুদ হাসান বলেন, ‘আমি হাতিবান্দা থেকে ঘুরতে এসেছি। এখানে ভালো কোনো পর্যটন কেন্দ্র না পাওয়ায় কাউয়ামারী ধরলা সেতু আসলাম। তবে এখানে যদি একটু সরকারি সহযোগিতায় ভালো একটি বিনোদন কেন্দ্র বানানো সম্ভব হতো তাহলে ভালো হতো।’ পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শাহ্ পরান আল জিসান বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের মধ্যে সুন্দরতম একটি জায়গা হচ্ছে বাঁধের মাথা, যেখানে কোনো ধুলাবালি নেই, রয়েছে অপরূপ দৃষ্টির প্রকৃতি। যে দিকেই তাকাই প্রশান্তিতে চোখ জুড়িয়ে যায়। তবে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে বেশ ভালো হবে।’  স্থানীয়দের দাবি, ‘সরকারের উদ্যোগে এ স্থানসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে এলাকার পরিচিতি ও সুনাম আরও বেড়ে যাবে। শুধু পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তহীনতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পাটগ্রামের ঐতিহাসিক স্থানসমূহের ইতিহাস ঐতিহ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই হতে পারে পাটগ্রাম দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এ বিষয়ে পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘আমাদের বিনোদন কেন্দ্র ও শিশুপার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে খুবই দ্রুত শিশুপার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র আমরা স্থাপন করব।’
১৪ এপ্রিল, ২০২৪

সিলেট বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ মন্ত্রীর
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলমান উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিনি বিমানবন্দর ও বিমানবন্দরে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে এই নির্দেশনা দেন। মন্ত্রী মঙ্গলবার ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান টার্মিনাল ভবনের সুযোগ-সুবিধা, রানওয়ে ও নির্মিতব্য টার্মিনাল ভবন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, কার্গো ভবনসহ চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন করেন। ওই সময় তার সঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক মো. আনিসুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিমানমন্ত্রী সিলেট সফরকালে ওসমানী বিমানবন্দরে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ জানান, পরিদর্শনকালে মন্ত্রী চলমান উন্নয়ন কাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সরেজমিনে অবহিত হন। এ সময় তিনি গুণগত মান ঠিক রেখে কাজের গতি বাড়িয়ে প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করার জন্য জোর নির্দেশনা দেন। বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সিলেটে অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের পর্যটন মোটেল পরিদর্শন করেন। পরে শহরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি হযরত শাহজালাল (র:) মাজার জিয়ারত করেন। এছাড়াও, মন্ত্রী দেশ ফাউন্ডেশন-ইউকে কর্তৃক সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত একটি সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। উল্লেখ্য, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৫১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে শক্তিশালীকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও ২ হাজার ৩০৯ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান। উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর এই বিমানবন্দর ব্যবহারকারী সব যাত্রী আন্তর্জাতিক মানের সেবা পাবেন।
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X