পবিত্র হজ আজ, আরাফায় খুতবা দেবেন শায়খ মুয়াইকিলি
আজ পবিত্র হজ। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৯ জিলহজ হজ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সব হাজি আরাফায় অবস্থান করেন। আরাফার ময়দানে আজ হাজিদের জন্য খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি। শুক্রবার (১৪ জুন) রাতে ইনসাইড দ্য হারামাইন এ তথ্য জানিয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, হিজরি ১৪৪৫ সালের ৯ জিলহজ আজ। এ দিন মসজিদে নামিরাহ থেকে হজের মূল খুতবা দেবেন শায়খ মাহের আল মুয়াইকিলি। দুপুর ১২টার পর এ খুতবা প্রদান করা হবে।  হজের ফরজ হলো তিনটি। এর মধ্যে অন্যতম হলো আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। ৯ জিলহজের দিন জোহর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এ ময়দানে হাজিদের অবস্থান করতে হয়। ফলে মিনা থেকে ফজরের নামাজ আদায় করার পর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে হাজিরা লাব্বাইক ধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে আরাফার ময়দানের দিকে অগ্রসর হন। জাবালে রহমত থেকে শুরু করে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের নির্ধারিত এলাকায় সুবিধামতো জায়গায় অবস্থান নেন হাজিরা।  হাদিসে এসেছে, আরাফার দিন রোজা রাখলে মহান আল্লাহ বান্দার দুই বছরের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আরাফাতের দিনে রোজার বিষয়ে আমি এ প্রত্যাশা করি যে তিনি আগের এক বছর ও পরের এক বছরের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেবেন।   অন্য হাদিসে এসেছে , নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার দিন তথা ৯ জিলহজ রোজা পালন করতেন।  সৌদির মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর আরাফার ময়দান থেকে হজের খুতবা ৫০টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হবে। বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের তত্ত্বাবধানে এটিই এখন পর্যন্ত হজের খুতবা অনুবাদের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো হজের খুতবা ৫টি আন্তর্জাতিক ভাষায় অনুবাদ করা প্রচার শুরু হয়। এরপর ২০১৯ সালে ১০টি এবং ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় এ খুতবা অনুবাদ করা হয়। সবশেষ ২০২৩ সালে ২০টি ভাষা এবং এবার পরিধি আরও বাড়িয়ে ৫০ ভাষায় অনূদিত হবে। বাংলা ভাষায় সম্প্রচারিত খুতবার এ প্রকল্পে বাংলাদেশে মোট চারজন দায়িত্ব পালন করেন। তারা হলেন ড. খলিলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী, মুবিনুর রহমান ফারুক এবং নাজমুস সাকিব। তারা সবাই সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত।
১৫ জুন, ২০২৪

আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, আজ পবিত্র হজ
আজ পবিত্র হজ। হাজিদের ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে এদিন মুখর হবে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বিদায় হজের স্মৃতিবিজড়িত আরাফাত ময়দান। শ্বেতশুভ্র পোশাকে আবৃত হাজিরা জাবালে রহমতের পাদদেশ ও মসজিদে নামিরার আশপাশে অবস্থান নিয়ে জীবনের পরম কাঙ্ক্ষিত হজ পালন করবেন। মূলত এ দিনটির জন্যই পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। এবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮০টি দেশের ২০ লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালন করছেন। জান্নাত থেকে বিতাড়িত বাবা আদম ও মা হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে দীর্ঘদিন একাকী ঘুরতে ঘুরতে এ আরাফাতের ময়দানে এসেই মিলিত হন। এখানে দোয়া পড়ার পর আল্লাহতাআলা তাদের ক্ষমা করেন এবং দুজনের মিলন ঘটান। তাদের মিলনের স্মৃতি অম্লান করে রাখতেই পৃথিবীর মুসলমানদের এ মিলনমেলা প্রতি বছরই একবার করে দৃশ্যমান হয়। হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার স্ত্রী-পুত্রকে জনমানব ও খাদ্য-পানীয়বিহীন মরুপ্রান্তরে ছেড়ে যাওয়ার সময় দোয়া করেছিলেন। এ দোয়ার প্রতিফলন দেখা যায় পবিত্র হজে। সমগ্র বিশ্বের মুসলমানরা পাগলপারা হয়ে ছুটে আসেন সৌদি আরবের মক্কা নগরীর পানে। তাদের একটাই চাওয়া, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার ক্ষমা। ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালনের মধ্য দিয়ে মূলত হজ পালন করতে হয়। গতকাল শুক্রবার হাজিরা মিনায় পৌঁছান। সেখান থেকে আজ মোয়াল্লিমরা গাড়িতে করে নিয়ে যাবেন আরাফাতে তাদের নির্ধারিত তাঁবুতে। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হাজিরা। এটাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন, আল-হাজ্জু আরাফাহ। অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হচ্ছে হজ। এখানে হজযাত্রীদের ফজর ছাড়াও জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করতে হবে। আজ স্থানীয় সময় দুপুরে ঐতিহাসিক আরাফাত প্রান্তরে অবস্থিত মসজিদে নামিরায় বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশে হজের খুতবা দেবেন পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্কল আল মুয়াইকিলি। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এক রাজকীয় ফরমানে এ বছর হজের খুতবার জন্য তাকে নিযুক্ত করেন। হজের ভাষা অনুবাদে নতুন মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এবার বাংলাসহ হজের খুতবা রেকর্ড ৫০ ভাষায় অনুবাদ করা হবে। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে হজ ও ইসলামের শান্তির বাণী পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো এবার হজের খুতবা অর্ধশত ভাষায় অনুবাদ করা হবে। ৫০টি ভাষার মধ্যে অন্যতম হলো বাংলা, ইংরেজি, ফরাসি, ফার্সি, উর্দু, হাউসা, রুশ, তুর্কি, চীনা, পাঞ্জাবি, জার্মান, সুইডিস, ইতালিয়ান, মালায়ালাম, বসনিয়ান, ফিলিপিনো, মালয়, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ আমহারিকসহ অন্যান্য। বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের তত্ত্বাবধানে এটিই এখন পর্যন্ত হজের খুতবা অনুবাদের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট। আর এ অনুবাদ খুতবা চলাকালে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের অন্তত একশ কোটি মানুষ সরাসরি শুনতে পাবেন। এ বছর বাংলায় খুতবা অনুবাদ করবেন সৌদিতে অবস্থান করা চার বাংলাদেশি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কি ও মুবিনুর রহমান ফারুক এবং জেদ্দার কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত নাজমুস সাকিব। আরাফাতের ময়দানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থানের মাধ্যমে হজ আদায় করবেন হাজিরা। সেখানে তারা আল্লাহর কাছে জীবনের সব গুনাহের ক্ষমা চাইবেন। এজন্য মোয়াল্লিমদের পক্ষ থেকে হাজিদের বিভিন্ন কর্নারে গিয়ে একা একা দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে মাগরিব না আদায় করে হাজিদের যাত্রা শুরু হবে মুযদালিফার উদ্দেশে। সেখানে যাওয়া মাত্র মাগরিব ও এশা এক আজানে, দুই একামতে আদায় করবেন তারা। এরপর মুযদালিফায় মসজিদে মাশআরিল হারামের আশপাশে উন্মুক্ত আকাশের নিচে মাথা খোলা অবস্থায় রাত্রীযাপন করবেন তারা। পরের দিনগুলোতে জামারাতে নিক্ষেপের জন্য এখান থেকেই পাথর সংগ্রহ করেন হাজিরা। এজন্য বিশেষ ধরনের ছোট ছোট পাথর রাখা হয় মুযদালিফাজুড়ে। ১০ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর আবার মিনায় ফিরে সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে যাওয়ার আগে বড় জামারাতে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি করার পর মাথা মুণ্ডন করে ইহরাম পরিত্যাগ করবেন হাজিরা। সুযোগ বুঝে মক্কায় গিয়ে ফরজ তাওয়াফ করতে হবে তিনদিনের মধ্যে। ১১ ও ১২ জিলহজও হাজিদের সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে যাওয়ার পর তিনটি জামারাতে সাতটি করে মোট ২১টি কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হবে। যারা সংক্ষেপ করতে চান তারা ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন। পরে মক্কায় ফিরে বিদায়ের দিন বিদায়ী তাওয়াফের আগ পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে প্রতি ওয়াক্তের নামাজ ও যত বেশি সম্ভব তাওয়াফে সময় কাটাবেন হাজিরা। হাজিদের স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এবারের হজের মৌসুম পড়েছে তীব্র গরমের মধ্যে। জানা গেছে, হাজিদের প্রায় ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এ গরমে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সৌদি আরবে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা।
১৫ জুন, ২০২৪

পবিত্র হজ শেষে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
পবিত্র হজ পালন শেষে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। গত রোববার রাত ১টা ৪৭ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এ সময় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও পরিবারের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, তিন বাহিনীর প্রধানরা, আইজিপি এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান। সৌদি সরকারের রাজকীয় মেহমান হিসেবে হজ পালনের জন্য ১০ দিনের সফরে সৌদি আরব যান রাষ্ট্রপতি ও তার পরিবারের সদস্যরা। হজের আনুষ্ঠানিকতার শেষ দিনে গত শুক্রবার রাতে মদিনা পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করেন। সেখান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে (বিজি-৩৩৮) রোববার রাতে ঢাকায় পৌঁছান। এর আগে রাষ্ট্রপ্রধান এবং তার সহধর্মিণীকে মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মদিনার ডেপুটি গভর্নর ওহায়েব আল শেহলি, মদিনার রয়েল প্রটোকলের প্রধান ইব্রাহিম আল বারী এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী বিদায় জানান।
০৪ জুলাই, ২০২৩

পবিত্র হজ পালনে কাল সৌদি যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
সৌদি সরকারের রাজকীয় অতিথি হিসেবে হজ পালনে আগামীকাল শুক্রবার রওনা হবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বলেন, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি বিমান রাষ্ট্রপতি, তার স্ত্রী রেবেকা সুলতানা ও অন্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে শুক্রবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন। জেদ্দায় তিনি আল সাফা রয়্যাল প্যালেসে অবস্থান করবেন। হজের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১ জুলাই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা জিয়ারতের জন্য মদিনা যাবেন। রাষ্ট্রপতি ২ জুলাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
২২ জুন, ২০২৩
X