নির্মাণাধীন ভবনের কলাম মাথায় পড়ে পথচারী নিহত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ রোডে নির্মাণাধীন ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়ে হাসান (৪৬) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সাত মসজিদ হাউজিংয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসান বায়োফার্মা লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে সাপ্লাই চেইন বিভাগে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হাসান চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানার জুইডন্ডী গ্রামের ফজল আহমেদের ছেলে। তিনি সাত মসজিদ এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। নিহতের প্রতিবেশী শফিউর রহমান জানান, হাসান নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। পথে নির্মাণাধীন একটি ভবনের কলাম ভেঙে মাথায় পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক ভূঁইয়া জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই হাউজিংয়ে ৮০ জন লোক মিলে জমি কিনে ভবন তৈরির কাজ করছেন। শনিবার রাতে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ভবনের একাংশ ভেঙে হাসান নামে এক ব্যক্তির মাথায় পড়লে তিনি মারা যান। নিহতের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

অটোরিকশার ধাক্কায় নারী পথচারী নিহত
বাসায় অব্যবহৃত টাইলস ফেরত দিতে গিয়ে আর ফেরা হলো না সীমা আক্তারের। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি নিহত হন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আনুমানিক ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অধ্যাপক কেএম শামসুল হুদা সড়কের গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত সীমা আক্তার (২৮) গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের টেঙ্গারচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। এ ছাড়াও তিনি সাবেক ইউপি সদস্য আ. গাফফার মিয়ার মেয়ে বলে জানা যায়।  প্রত্যক্ষদর্শী নিহত সীমা আক্তারের ভাশুরের স্ত্রী মুন্নি আক্তার জানান, আমাদের বাসায় বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে। ঘরের সাজসজ্জার জন্য ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে টাইলস ক্রয় করা হয়েছিল। কিছু টাইল প্রয়োজনের থেকে বেশি ক্রয় করা হয়েছে। তাই অব্যবহৃত টাইলসগুলো দোকানে ফেরত দেওয়ার জন্য দোকানে গিয়েছিলাম। তবে পথিমধ্যে অতিরিক্ত গতিতে আসা একটি অটোরিকশা আমার জা’র প্রাণটাই কেড়ে নিল।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেএম শামসুল হুদা সড়কের ভাবেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভবনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন সীমা আক্তার। এ সময় দ্রুতগতির একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সীমা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার ওসি মো. রাজিব খাঁন জানান, লাশ গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ট্রাক উল্টে পথচারী নিহত
দোহারে ট্রাক উল্টে এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম বাদশা মিয়া (৬৮)। তিনি রাইপাড়া ইউনিয়নের পোদ্দারবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি জানান, সকাল ৯টায় দোহার থেকে বালুভর্তি ২টি ট্রাক তীব্র গতিতে আসছিল। চালনায় চকের দোহার প্রান্তে ওভারটেক করার মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাক রাস্তার পাশের দোকানের কিছু অংশ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিলে গিয়ে পড়ে।  এ সময় রাস্তার পাশে হাঁটতে থাকা বাদশা মিয়া ট্রাকের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে তাৎক্ষণিক দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেল্পার পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

বেপরোয়া বাসচাপায় পথচারী নিহত
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বেপরোয়া বাসচাপায় আব্দুন নূর (৫৫) নামের এক পথচারী নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সিলেট-দিরাই আঞ্চলিক মহাসড়কের গাগলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুন নূর গাগলী গ্রামের বাসিন্দা। জানা যায়, সিলেট থেকে দিরাইয়ের উদ্দেশ্যে আসা একটি বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী বাস গাগলী এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী আব্দুন নূরকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই পিষ্ট হয়ে মারা যান ওই পথচারী। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, বেপরোয়া বাসের চাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। বাস জব্দ করা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় দুই পথচারী নিহত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় স্কুল শিক্ষকসহ দুই পথচারী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) আনুমানিক সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন এই দুর্ঘটনা ঘটে।  ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জগামী একটি বালুবাহী ট্রাক ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সংলগ্ন আসা মাত্রই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী স্কুল শিক্ষকসহ দুই নারী-পুরুষকে চাপা দেয়। এসময় দুইজনই গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আহত দুই পথচারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আহত ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে স্কুল শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকও ওই স্কুল শিক্ষককে মৃত ঘোষণা করে।  নিহতদের একজন হলেন উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের পস্তাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুস সাত্তার (৬২)। তিনি ওই ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। অপরজন হলেন, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের মৃত দুলাল গৌড়ের মেয়ে ধনতি গৌড় (৬০)। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ট্রাকটিকে আটক করা হয়েছে। লাশ দুটিরর সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়েছে। তাদের স্বজনের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ২০২৩

পুলিশের ধাওয়া করা কাভার্ডভ্যান চাপায় পথচারী নিহত
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামু উপজেলার পানেরছড়া এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া করা একটি কাভার্ডভ্যান চাপা পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। এ সময় গাড়ি ভাঙচুর করে হামলা চালানো হয়েছে পুলিশের ওপর। প্রাণহানির কারণে সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সৃষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি রাত ৮টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। নিহত মুফিজ প্রকাশ গোরামিয়া ওই এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে। রামু মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস জানান, হাইওয়ে পুলিশের একটি টহল দল কাভার্ডভ্যানটি ধাওয়া করলে সেটি মুফিজকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। প্রতিবাদে কাভার্ডভ্যানটি ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। হাইওয়ে পুলিশের টহল দল সেখানে পৌঁছলে তাদের ওপর হামলা করা হয়।  স্থানীয়দের অভিযোগ, হাইওয়ে পুলিশের টহল দল সড়কে দাঁড়িয়ে যানবাহন থামিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। এবার তাই হয়েছে।  রামু থানার ওসি আবু তাহের মো. দেওয়ান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
০৩ অক্টোবর, ২০২৩
X