মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
রিজওয়ানে গর্বিত পঞ্চগড়
বল হাতে যেমন আগ্রাসী, ব্যাট হাতে তেমনই বিধ্বংসী—একজন বিশেষজ্ঞ পেস অলরাউন্ডার বলতে যা বোঝায় সব বিদ্যমান চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের মধ্যে। যুব এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পেছনে রয়েছে তার অনন্য ভূমিকা। টুর্নামেন্টজুড়েই ছন্দে থাকা রিজওয়ান ফাইনালে খেলেন ৬০ রানের দাপুটে ইনিংস। আসরজুড়ে ৩১.৭৫ গড়ে করেছেন ১২৭ রান, নিয়েছেন ৩ উইকেট। উদীয়মান এই পেস অলরাউন্ডারকে নিয়ে এখন গর্বিত তার জেলা পঞ্চগড়। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছেন রিজওয়ান। বয়সভিত্তিক পর্যায়ের প্রতিটি ধাপে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। উপমহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চেও দেখালেন স্নায়ুচাপের বীরত্ব। এই যুবা অলরাউন্ডারকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন তার শৈশবের কোচ সাজু ইসলাম। তার বিশ্বাস, একদিন জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রিজওয়ান। ২০১৬ সালে রিজওয়ানের ক্রিকেট চর্চায় সঙ্গী ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার ক্রিকেটার সাজু। রিজওয়ান সম্পর্কে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি যতটা কাছে থেকে দেখেছি, সে পরিশ্রমী ক্রিকেটার। মেধা ও শ্রম দিয়ে রিজওয়ান চাপকে জয় করেছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও সমান দক্ষ সে। নিশ্চয়ই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সে একদিন জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’ উদীয়মান এই পেস অলরাউন্ডারকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, ‘দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান শরিফুলের পরে রিজওয়ান বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বদরবারে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। একই উপজেলা এবং একই জেলা থেকে দুজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের হয়ে খেলছে। সত্যিই এটা অভাবনীয়। আমাদের প্রত্যাশা, রিজওয়ান জাতীয় দলেও জায়গা করে নেবে।’ কষ্টের পথ পেরিয়ে সাফল্যের সিঁড়িতে উঠতে থাকা রিজওয়ানকে নিয়ে খুশি তার পরিবার। বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ। ছেলের কৃতিত্বের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তার বাবা চৌধুরী মো. তানভীর যোবায়ের হোসেন বলেছেন, ‘রিজওয়ানের সাফল্যে আমরা আনন্দিত। রিজওয়ানকে আমি বেশি সময় দিতে পারিনি। তার সাফল্যের পেছনে সবথেকে বেশি অবদান ওর মায়ের। এ ছাড়া ক্রিকেট একাডেমির শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনায় সে এ পর্যায়ে উঠে এসেছে। জানুয়ারিতে রিজওয়ানের যুব বিশ্বকাপ আছে। সে যেন সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতে পারে, সবার কাছে এ দোয়া চাই।’ ২০২০ সালে বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করার কারিগর পেসার শরিফুল ইসলামও পঞ্চগড়ের সন্তান। এবার আরও এক পঞ্চগড়ের ক্রিকেটারের হাতে বিশ্বকাপ দেখতে চান তার জেলার ক্রিকেট সমর্থকরা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৩

রিজওয়ানকে নিয়ে গর্বিত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়
যুব এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। ফাইনাল ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি দিয়েছেন নির্ভরতার প্রতিদান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ফাইনালে রিজওয়ানের ইনিংস ছিল ৬০ রানের। যা ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। আসরজুড়ে ৮৪ স্ট্রাইকরেটে ১২৭ রান করেছেন রিজওয়ান। একই সাথে বল হাতে নিয়েছেন ৩ উইকেট। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়ন থেকে জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছেন রিজওয়ান। যুব দলের হয়ে এর আগেও প্রমাণ করেছেন নিজেকে। এবার বড় মঞ্চে, স্নায়ু চাপের ফাইনালে দেখালেন নিজের বীরত্ব৷ যুবাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে খুশির জোয়াড় পুরো দেশে। একই সাথে রিজওয়ানকে নিয়ে গর্বিত উত্তরের জেলার সর্বস্তরের মানুষ। রিজওয়ানকে অভিনন্দন জানানোর হিড়িক পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।  পঞ্চগড়বাসী রিজওয়ানকে নিয়ে গর্বিত। একই সাথে সুন্দর ভবিষ্যতে আত্মবিশ্বাসী কেউ কেউ। এই যেমন ছোট বেলার খণ্ডকালীন কোচ সাজু ইসলাম বিশ্বাস করেন, ‘এক দিন জাতীয় দলের হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রিজওয়ান।’ ২০১৬ সালে রিজওয়ানের ক্রিকেট চর্চায় সঙ্গী ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার ক্রিকেটার সাজু ইসলাম। রিজওয়ানকে দেখা হয়েছে খুব কাছে থেকে। কালবেলাকে তিনি বলেন, ‘আমি যতটা কাছে থেকে দেখেছি, সে পরিশ্রমে বিশ্বাসী একজন ক্রিকেটার।পরিশ্রমে বিশ্বাসী বলেই রিজওয়ান চাপ কাটাতে পেরেছেন। তার ক্রিকেটীয় শক্তির জায়গা হলো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংও করতে পারে। রিজওয়ান আমাদের পঞ্চগড় জেলার গর্ব, নিশ্চয়ই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সে একদিন জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করবে।’ রিজওয়ানকে নিয়ে দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘দেবীগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান শরিফুলের পরে রিজওয়ান বাংলাদেশের হয়ে বিশ্ব দরবারে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। একই উপজেলা এবং একই জেলা থেকে দুইজন ক্রিকেটার বাংলাদেশের হয়ে খেলতেছে যা সত্যি অভাবনীয়। আমরা প্রত্যাশা করছি রিজওয়ান সামনে জাতীয় দলেও জায়গায় করে নিবে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভালো কিছু উপহার দিবে। রিজওয়ানের জন্য শুভকামনা রইল।’ এশিয়া কাপ জয়ী রিজওয়ানের সাফল্যে খুশি তার পরিবারের সদস্যরা। বাড়িতে চলছে উৎসবের আমেজ।  রিজওয়ানের বাবা চৌধুরী মোঃ তানভীর যোবায়ের হোসেন কালবেলাকে জানায়, ‘রিজওয়ানের সাফল্যে আমরা আনন্দিত। রিজওয়ানকে আমি বেশি সময় দিতে পারিনি, তার সাফল্যের পিছনে সব থেকে বেশি অবদান ওর মায়ের। এছাড়া ক্রিকেট একাডেমির শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনায় আজ সে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারতেছে। জানুয়ারিতে রিজওয়ানের যুব বিশ্বকাপ। সে যেন সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে পারে সকলের কাছে এই দোয়া চাই।’ উল্লেখ্য, ২০২০ সালের যুব বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য ছিলেন এই জেলার শরিফুল ইসলাম। চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার হওয়ার পর তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছিল ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ খ্যাতি। বিশ্বকাপ জয়ে পঞ্চগড়বাসীর স্বপ্নকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল শরিফুল। ফলে জেলাজুড়ে তাকে নিয়ে ছিল উচ্ছ্বাস।  এরপর জেলার মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল নতুন এক আকাঙ্ক্ষা। কে হবেন পরবর্তী ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’, এমন কথা ছিল জনমুখে। সেসময় পঞ্চগড় থেকে উঠে আসা যে কয়েকজন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল তাদের একজন চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। বছরে তিনেকের মাথায় সে এখন এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন।  
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

পঞ্চগড় সীমান্তে চার কেজি স্বর্ণের বার উদ্ধার
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ কেজি ৮৬ গ্রাম ওজনের (৩৯১ ভরি ৪ আনা) পাঁচটি বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের বার ও ১৫টি বিস্কুট বার উদ্ধার করেছে বিজিবি সদস্যরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের রমজান পাড়া গ্রাম থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার স্বর্ণের বাজারমূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় গিরাগাঁও বিওপিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের রমজানপাড়া এলাকায় ৪১০ নম্বর মেইন পিলারের কাছে জমির কাটা ধান আঁটি বাঁধছিল ৩-৪ জন শ্রমিক। এ সময় বিজিবির গিরাগাঁও বিওপির টহল দল ওই এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সন্দেহ হয়। তারা শ্রমিকদের সাথে কথা বলার জন্য এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ধানের আঁটির নিচ থেকে একটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। ওই প্যাকেট থেকে পাঁচটি বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের বার ও ১৫টি বিস্কুট বার পাওয়া যায়। যার ওজন ৪ কেজি ৮৬ গ্রাম (৩৯১ ভরি ৪ আনা)। পরে আমরা স্বর্ণের বারগুলো পঞ্চগড় জেলা শহরের বানিয়াপট্টি এলাকায় একটি স্বর্ণের দোকানে নিয়ে পরীক্ষা করি এবং সোনাগুলো আসল বলে নিশ্চিত হই। আমরা জমির মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছি আমরা। তবে এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (ডিজি) করা হবে। স্বর্ণের বারগুলো থানায় জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি। এ সময় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মেজর রিয়াদসহ গিরাগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ফারুক হোসেনসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ১৭-১৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ২২ কেজি ২৯ গ্রাম ওজনের ২২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার ও জুয়েল নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঘাগড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩
X