ন্যায়বিচার না পেলে অনশনের হুমকি ইমরান খানের
ন্যায়বিচার না পেলে কারাগারে অনশনের হুমকি দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার একটি দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খান বলেছেন দেশের আইনে সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিয়ে তাকে পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, পিটিআইর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ঈসা। তার ওপর আস্থা নেই জানিয়ে ন্যায়বিচার পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পিটিআই নেতা।
৯ ঘণ্টা আগে

ন্যায়বিচার প্রাপ্তি সাংবিধানিক অধিকার : প্রধান বিচারপতি
ন্যায়বিচার প্রাপ্তি সাংবিধানিক অধিকার জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন,  মানুষের সেই অধিকার নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগ আগের চেয়ে আরও গতিশীল। আদালতে বিচারিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও সেবাপ্রত্যাশীদের জন্য কোর্ট চত্বরে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর এলাকায় বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায় কুঞ্জ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল হাসান বলেন, বিপদ না হলে মানুষ আদালতের আশ্রয় নেয় না। বিপদে পড়েই আসেন। বিপদগ্রস্ত এসব মানুষের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ৬৪ জেলায় ৬৪টি বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিপদগ্রস্ত মানুষ যারা আদালতে সেবা নিতে আসবেন তারা এই ‘ন্যায়কুঞ্জে’ সাময়িকভাবে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। ‘ন্যায়কুঞ্জের’ ভেতরে মায়েরা চাইলে শিশুদের দুগ্ধপান করাতে পারবেন। এছাড়া সাক্ষীরা এখানে বিশ্রাম নিয়ে নিরাপদে সাক্ষ্য প্রদান করে যেতে পারবেন। সাময়িক বিশ্রামের ফলে ধীরে ধীরে বিচারের বা আইনের জটিলতা কমে আসবে। ফলে আমরা বিচার ব্যবস্থাকে আরও প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ মন্ডল, জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশেদুল হক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান ফিরোজ প্রমুখ। পরে প্রধান বিচারপতি আদালত চত্বর এলাকায় একটি গাছের চারা রোপণ করেন। দেশের প্রতিটি আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায় কুঞ্জ’ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নওগাঁয় ৪৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘ন্যায় কুঞ্জ’ নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ।
২৫ জুন, ২০২৪

আইনের আশ্রয় ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার প্রত্যেকের
ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকেরই দেশে আইনের আশ্রয় লাভ ও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। মানুষের সেই অধিকার নিশ্চিত করতে জেলা জজরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ সময় বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল শনিবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। এরপর তিনি নগরীর টাউনহল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরে নগরীর টাউনহল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সঞ্চালনায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতেন। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমরা সবাই ধারণ করি। আসুন বাংলাদেশকে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করি। তিনি বলেন, সামরিক শাসন একটি অসাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থা। আমরা বিচার বিভাগ সেই অসাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছি। সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দুর্বলতা আছে, বিচার বিভাগেরও দুর্বলতা আছে। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে গিয়ে অন্তত ১২ জন বিচারক বিব্রতবোধ করেছি। এই বিচার বিভাগ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আলবদর, আলশামসদের বিচার করেছে, বিচার এখনো চলমান রয়েছে। স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন আইনজীবীর ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই শুধু আদালতে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না। বরং একজন সুনাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য ন্যায়বিচারভিত্তিক জীবনমান উপহার দেওয়া একজন আইনজীবীর দায়িত্ব। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে এই ভেবে যে, আমরা সৎ থাকতে পারছি কি না। এ সময় বক্তব্য দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খালেকুজ্জামান, কবীর উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন খান, শাহ মঞ্জুরুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার মশিউর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মুহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ বিচারক ও আইনজীবীরা।
০২ জুন, ২০২৪

প্রত্যেকটি নাগরিক যেন রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার পায় : প্রধান বিচারপতি 
ন্যায়কুঞ্জ আদালত চত্বরে ঘোরা মানুষদের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ন্যায়কুঞ্জ বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বিচারপ্রার্থী মানুষের কোর্টে এসে যে কষ্ট হয় সেই কষ্ট লাঘবে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হয়েছে। এখানে বসে বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রাম নিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে রংপুর জেলা জজশিপে বিচারপ্রার্থী ও সাক্ষীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ শেডের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, ন্যায়বিচার মানুষের মৌলিক অধিকার। সংবিধানে বলা হয়েছে প্রত্যেকটি মানুষ, প্রত্যেকটি নাগরিক যেন রাষ্ট্রের কাছে ন্যায়বিচার পায়। ন্যায়বিচার প্রাপ্তির প্রথম কাজটি করেন বিচারকরা। কিন্তু বিচারকাজ চলার সময় বিচারপ্রার্থীদের যদি ডেকে পাওয়া না যায় তাহলে বিচারকাজ শেষ করতে বিলম্ব হয়। সেজন্য বিচারপ্রার্থীরা যদি একটু আরামে, ভালোভাবে অবস্থান করতে পারেন তাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জ। দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে ন্যায়কুঞ্জ তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। মামলার দীর্ঘসূত্রিতা লাঘবে জেলা জজের নেতৃত্বে অন্য বিচারকরাহ সংশ্লিষ্টরা যেন আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন সেই আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি এ কে এম সাইফুর রহমান, রংপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোহাম্মদ নাজির, বিভাগীয় শ্রম আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলুল করিম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুরুজ মিয়া, জেলা বারের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল মালেক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী প্রমুখ। উদ্বোধন শেষে প্রধান বিচারপতি বিচারকদের বিভিন্ন এজলাস ঘুরে দেখেন। পরে চিফ জুডিশিয়াল আদালত ভবনের হলরুমে বিচারকদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন।
২৩ মে, ২০২৪

প্রত্যেক মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে : প্রধান বিচারপতি
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে এমন কোনো কথা নাই। ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির যে অধিকার মানুষের আছে সেই অধিকারের প্রতি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য। প্রত্যেকটি মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। সাংবিধানিক অধিকার এটি তার। বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম জজকোর্টে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের কষ্ট লাঘবের উদ্দেশ্যে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মামলার  সাক্ষী, অভিযুক্তসহ সবার জন্য ন্যায়কুঞ্জ উন্মুক্ত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিচারপতি এটিএম সাইফুর রহমান, কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা জজ আলমগীর হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামসহ জজ কোর্টের বিচারক ও কর্মচারীরা।  পরে প্রধান বিচারপতি কুড়িগ্রামের নতুন শহরে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করে কলেজ মোড়ের শেখ রাসেল অডিটরিয়ামে একুশে ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাড. আব্রাহাম লিংকনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।  এর আগে দুপুরে কুড়িগ্রামের অধুনালুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়া পরিদর্শন ও বিলুপ্ত ছিটবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধান বিচারপতি।
২২ মে, ২০২৪

ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। দেশের সংবিধান এটি নিশ্চিত করেছে। আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আসেন। আদালতের কর্তব্য হচ্ছে সেটা নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। গতকাল শনিবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপ্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সব ধরনের সেবা ও সুবিচার নিশ্চিত করতে টেকনাফে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট করা হচ্ছে। এটিকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে, যাতে সারা দেশের নাগরিকরা সহজে এর সুফল ভোগ করতে পারেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে শুক্রবার বিকেলে টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের শীলখালীতে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ নির্মাণের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি।
১৯ মে, ২০২৪

স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি : খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর অতিক্রম হলেও আজও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। মুক্তিযোদ্ধারা এই তিন মৌলিক চেতনাকে সামনে রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর তারা দেশকে স্বাধীন করেছিলেন। দেশে বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণকে আজও লড়াই করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈতিকতা, দেশপ্রেমিক ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন নেতৃত্বের সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে পারিবারিক ও সামাজিক অনাচার বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ছাত্রদের উন্মুক্ত কোরআন শিক্ষা আসর বন্ধ করে দিয়ে কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ইফতারি পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামাতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। এই মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে সরকার জনজীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে জাতি আজ মুক্তি চায়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেন, ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা ও তা প্রতিষ্ঠার মধ্যেই জাতির সামগ্রিক মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। মাহে রমজান আমাদের একমাস ধরে কঠোর সংযম, আত্মত্যাগ ও আল্লাহভীতির প্রশিক্ষণ দেয়। তাই আমাদের এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। কোরআন নাজিলের এই মাসে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে। কোরআনের সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও মহানগরী দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দলের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, ডা. আবদুল্লাহ খান, যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারি মহাসচি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সহ-সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ, গণ-অধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগরী সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন, ডেইলি নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস সেক্রেটারি জেনারেল রায়হান আলী, কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবদুল হক আমিনী, ঢাকা মহানগরী সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল হক, শ্রমিক মজলিসের সহসভাপতি আমির আলী হাওলাদার, কাজী আরিফুর রহমান, হুমায়ুন কবির আজাদ প্রমুখ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

‘জনগণ আজও ন্যায়বিচার বঞ্চিত’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। জনগণ স্বাধীনতার সুফল আজও ভোগ করতে পারেনি। গতকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দক্ষিণ জামায়াতের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, দক্ষিণ জামায়াতের হেলাল উদ্দিন, দেলাওয়ার হোসেন ও কামাল হোসাইন প্রমুখ।
২৬ মার্চ, ২০২৪

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণ ন্যায়বিচার বঞ্চিত : জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত। আজকে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। জনগণ স্বাধীনতার সুফল আজও ভোগ করতে পারেনি। জামায়াতসহ অনেক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন প্রকাশ্যে স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রাম করতে পারছে না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ইনসাফ, সামাজিক সুবিচারের যে ঘোষণা আছে তা আজ চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত। সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বারবার প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে দেশে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। তারা গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এই আগ্রাসী শক্তি ও আধিপত্যবাদী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের কবল থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। ফ্যাসিবাদের পতন ও বাংলাদেশকে একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশে যারা সরকার পরিচালনা করছে তাদের কাছে জনগণ নিরাপদ নয়। মানবতা, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ চরম হুমকির মুখে। আওয়ামী সরকার যখনই এ দেশের ক্ষমতায় আসে তখনই বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ে, ব্যাংক লুট হয়, সকল অন্যায় বেড়ে যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়ে, সীমান্তে হত্যা বেড়ে যায়, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় ঘটে। কালচারাল আগ্রাসন পুরো জাতিকে গ্রাস করে নেয়। তাই বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য, এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আরেকটি স্বাধীনতার সংগ্রাম অনিবার্য হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বাধীনতার সংগ্রাম হয়েছিল মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। মৌলিক মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগ আধিপত্যবাদী শক্তি ভারতের হাতে দেশকে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অরক্ষিত। লুটেরার দল বাংলাদেশকে লুটপাট করে খাচ্ছে। আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের কবল থেকে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার একমাত্র রক্ষাকবচ হলো ইসলাম। জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে প্রহসনের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে পুরো দেশের স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। তাদের মুখে স্বাধীনতা রক্ষার গল্প মানায় না। এ দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা সবচেয়ে বড় দাবিদার বলে নিজেদের প্রকাশ করে তারাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে চরমভাবে ভূলুণ্ঠিত করে চলেছে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে বাংলাদেশ পথ হারিয়েছিল। সেই থেকে বাংলাদেশ আধিপত্যবাদ থেকে মুক্তি পাইনি। জনসমর্থনহীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতেই সরকারি প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে দেলাওয়ার হোসেন ও কামাল হোসাইন। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমেদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
২৫ মার্চ, ২০২৪

দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে কেউ রেহাই পাবে না : ফখরুল
দুষ্কৃতকারীরা যতই ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতা পাক না কেন, দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হলে কেউ রেহাই পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  গত রোববার লালমনিরহাটের মহেন্দ্রনগর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ফেরদৌস আলীকে দুষ্কৃতকারীরা নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই উদার গণতন্ত্র, সামাজিক স্থিতি ও শান্তির পরিবেশ বজায় রাখাকে অবিশ্বাস করে। শুধু গদি আঁকড়ে রাখতে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা দুঃশাসন জিইয়ে রাখতেই অতিশয় উৎসাহী। গত দেড় দশক ধরে গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে এক বর্বর হিংসাযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে সরকার।  মির্জা ফখরুল বলেন, লালমনিরহাটে খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. ফেরদৌস আলীকে দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা হত্যা ভয়ানক দৃষ্টান্ত। জনগণ এই অমানবিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনার বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতেই করবে ইনশাল্লাহ। সবকিছুরই শেষ পরিণতি আছে। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে মো. ফেরদৌস আলীকে হত্যাকারী দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে নিহত মো. ফেরদৌস আলীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। 
১১ মার্চ, ২০২৪
X