সততা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি টেকনিক্যিাল মিনিস্ট্রি। প্রতিনিয়ত অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। মন্ত্রণালয় ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ-তে ৯৬ দশমিক ৬ নম্বর পেয়েছে।   বৈশ্বিক পরিস্থিতিতেও এই নম্বর বাস্তবায়ন করতে পেরেছে এ জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কাজ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কাজে এক নয়। আগামীতে এপিএ বাস্তবায়নের জন্য আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।  বুধবার (২৬ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ধারাবাহিকভাবে চারটি নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রশংসা পাচ্ছি। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্তরিকভাবে কাজ করেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করেছি এবং উন্নত দেশের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। অনেক সমালোচনা আছে। সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা সঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে।  ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. আনিছুর রহমান আনিছ, সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর প্রীতি রানী, অফিস সহায়ক তানজিদুল হাসান এবং অফিস সহায়ক দেলোয়ার শেখ। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১২টি দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। 
২৬ জুন, ২০২৪

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নদীর ওপর মার্শাল ল’ চলেছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথটিকে সংরক্ষণ করার কথা জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এ নৌপথটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে উদ্বোধন করেন। এই চ্যানেলে নাব্য সমস্যার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই সমস্যা দূর করতে বিআইডব্লিউটিএ কাজ করছে। চ্যানেলের ড্রেজিং কাজটি নিখুঁত হতে হবে। এটি বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল রুটের অংশ। রোববার (৯ জুন) বিআইডব্লিউটিএ ভবনে বিআইডব্লিউটিএ এবং ইউএসএইড আয়োজিত ‘মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেল আপগ্রেডিং প্রজেক্ট-কনসেপচুয়াল স্টাডি’-বিষয়ক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী । বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ মনোয়ার উজ জামান ও পরিচালক রুবায়েত আলম। ইউএসএইড-এর টিম লিডার জিন হেনরি লেবোয়রি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যদি সপরিবারের হত্যা করা না হতো, তাহলে আজকে ৫৪ বছর পর এত সমস্যা নিয়ে কথা বলতে হতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোনো সরকার নাব্য, সিলটেশন ইত্যাদি নিয়ে কথা বলেনি, কোনো কাজ করেনি, শুধু রুটিন ওয়ার্ক করেছে। ইমারজেন্সি দিয়ে দেশ চালিয়েছে। নদীর ওপর মার্শাল ল' শাসন চলেছে। তিনি জানান, ২০১০ সাল পর্যন্ত বিআইডব্লিউটিএ মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলটির নাব্য বজায় রেখেছিল। মোংলা বন্দরে কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য ২০১৩-১৪ সালের দিকে ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু করা হয়েছিল। বর্তমানে চ্যানেলটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের প্রয়োজন হচ্ছে। আজকের এই কনসেপচুয়াল স্টাডি থেকে লব্ধ জ্ঞান ফিজিবিলিটি স্টাডিতে কাজে লাগবে।
০৯ জুন, ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে ইউরেনিয়ামের সন্ধান মিলেছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
১৫ বছরে মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়ের মধ্য দিয়ে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৪৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহিসোপানের তলদেশে সবধরনের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ।  এই সময়ে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রে বিরোধপূর্ণ ১৭টি ব্লকের ১২টি এবং ভারতের কাছ থেকে দাবিকৃত ১০টি ব্লকের সবই এখন বাংলাদেশের। এসব ব্লক থেকে প্রায় ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুনীল অর্থনীতির চারটি ক্ষেত্র যেমন- তেল ও গ্যাস উত্তোলন, মৎস্য আহরণ, বন্দর সম্প্রসারণ এবং পর্যটন খাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করলে বছরে বাংলাদেশের পক্ষে ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৯২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা) আয় করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।  তারা বলছেন, বর্তমানে উপকূল থেকে মাত্র ৩৫-৪০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে মৎস্য আহরণ করে থাকে। সমুদ্র এলাকা ২০০ নটিক্যাল মাইলব্যাপী দেশের মৎস্যশিল্পকে নিশ্চিতভাবে ব্যাপক বিকশিত করা সম্ভব।  ‘বাংলাদেশের মেরিটাইম শিক্ষাব্যবস্থা ও সুনীল অর্থনীতি’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। বুধবার (৫ জুন) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এই সেমিনারের আয়োজন করে।  অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে মেরিটাইম শিক্ষা ও সুনীল অর্থনীতির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সমুদ্রে বাংলাদেশের অধিকার, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা, সমুদ্র আইন, সমুদ্রে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল, রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা, সমুদ্রের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য মেরিটাইম শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।  বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, চিংড়ি মাছ, প্রজাতির কাঁকড়া, প্রজাতির শামুক-ঝিনুক এবং বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ও জৈব গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।  তিনি বলেন, মৎস্যসম্পদ ছাড়াও সামুদ্রিক প্রাণী, সামুদ্রিক আগাছা, লতা-গুল্মতেও ভরপুর বঙ্গোপসাগর। এসব আগাছা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা যায়। ‘স্পিরুলিনা’ নামক আগাছা চীন, জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানুষ খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকে। এ থেকে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।  বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ১৩টি স্থানে ইউরেনিয়াম ও থোরিয়াম সমৃদ্ধ বালুর সন্ধান পাওয়া গেছে যা স্বর্ণের চেয়েও দামি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও, বঙ্গোপসাগরে ইলমেনাইট, টাইটেনিয়াম অক্সাইড, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, কোবাল্টসহ অত্যন্ত মূল্যবান খনিজের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ সঠিক উপায়ে উত্তোলন করতে পারলে হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমুদ্রকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বাংলাদেশও অফশোর এবং অনশোরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে, যা হবে ক্লিন ও গ্রিন এনার্জি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্লু- ইকোনমির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, সুনীল অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রণয়ন করা হয়েছে শতবর্ষী ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ (ডেল্টা প্লান ২১০০)। সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে বন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আপগ্রেডেশন করা হয়েছে।  নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
০৫ জুন, ২০২৪

নদী নালা শুকিয়ে গেলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
যদি নদী নালা শুকিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে একথা উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশপ্রেম না থাকলে, দেশের জন্য কাজ না করলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। মঙ্গলবার (৪ জুন) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ- ২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ম্যানমেইড বর্জ্য, শিল্প-কারখানার বর্জ্য দূষণমুক্ত করতে কাজ করার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত জাহাজ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল বাংলাদেশ ভিজিট করে গেছেন। তিনি অভিভূত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পেয়েছেন- এটা বড় অর্জন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুর্ঘটনামুক্ত নৌ চলাচল ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০২৪’ পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’। নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর এম মাকসুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. এ কে এম মতিউর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সাবেক প্রধান উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রম, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ট্যাংকার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপিত খন্দকার মশিউজ্জামান (রোমেল), বাংলাদেশ কোস্টাল শিপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. মেহবুব কবির, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহাআলম ও বাংলাদেশ নৌপরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বেপারি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অদিপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মনজুরুল কবীর। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে নদী দখলমুক্ত করার অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস দিয়েছেন। আমরা সফল হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী নদী নিয়ে ভাবেন। নদীর প্রবাহ নিশ্চিত করার কথা বলেন। যদি নদী নালা শুকিয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশের প্রাণ থেমে যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান এ লক্ষ্যে আমরা এখনো পৌঁছতে পারিনি। কিছুটা ঘাটতি দুর্বলতা রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান’ এ লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারব ততদিন আমরা ‘দূষণমুক্ত নদী ও নিরাপদ নৌযান, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে রাখবে অবদান’ এ প্রতিপাদ্যটি ব্যবহার করব। বিশ্বের অনেক বড় বড় নদী টেমস, হাইমস, রাইন, হান নদী একসময় দূষিত ছিল; এখন সেখানকার পানি পান করা যায়। তিনি জানান, বিশিষ্ট পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেছেন, ‘একসময় তারা বুড়িগঙ্গার পানি পান করেছেন’। আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই।
০৪ জুন, ২০২৪

‘একটা ভোট কত গুরুত্বপূর্ণ, ৯২ বছরের বৃদ্ধা সেটা দেখিয়েছেন’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কামবালার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলেছি, কামবালা হচ্ছে ভোটার অব দ্য ইলেকশন। কামবালা যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, এটা শুধু ভোটের বিষয় না, শিক্ষণীয় বিষয়। একটি ভোট জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে, দেশকে উন্নয়নের শিখড়ে নিয়ে যেতে পারে। একটি ভোট একটি জনগোষ্ঠীকে সমগ্র পৃথিবীতে জাগ্রত করতে পারে। রোববার (২ জুন) দুপুরে দিনাজপুরের ধর্মপুর ইউনিয়নের গদাবাড়ী গ্রামে কামবালা নিবাস হস্তান্তর ও কামবালা সড়কের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে একটি বিরল অভিজ্ঞতা হয়েছে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আমি এতদিন রাজনীতি করেও যে শিক্ষা লাভ করিনি, আমাদের গদাবাড়ী গ্রামের ৯২ বয়সের এই বৃদ্ধা কামবালা আমাকে সেই শিক্ষা দিয়েছেন। একটি ভোট একটি এলাকার জন্য, একটি দেশের জন্য, সমগ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তিনি দেখিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে কালিয়াগঞ্জ স্কুল মাঠে জানুয়ারির ৩ তারিখ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলাম। সে পথসভাটি জনসভায় রূপ নেয়। সেদিন হাজার হাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে এত মানুষের ভিড় ঠেলে বৃদ্ধা কামবালা যিনি তার প্রার্থীকে চিনেন না, তিনি যে আদর্শকে সমর্থন করেন, যে দলের প্রতি তার ভরসা আছে, যে নেতৃত্বের প্রতি তার বিশ্বাস আছে, সেই নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে গেলেন। প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছিলেন। তিনি সে সময় তার যৎসামান্য সঞ্চয়ের অর্থ ভোটে খরচ করার জন্য তুলে দিয়েছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি যখন তাকে (কামবালাকে) নৌকার ব্যাচ পরিয়ে দিচ্ছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন-আমি এই প্রতীক চিনি, এই প্রতীক আমাকে চিনাতে হবে না। নৌকা মার্কার প্রতি তার অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস একজন প্রার্থীকেও একজন ভোটারের কাছে পরাজিত করেছিল।  তিনি আরও বলেন, একটি ভোট মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে। ’৯৬ সালে শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে নির্বাচনে বাংলার মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আজ শুধু গদাবাড়ীর কামবালা নয়, সারা বাংলাদেশের কোনো জায়গা ভূমিহীন থাকবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি ধীরে ধীরে বাংলাদেশে ভূমিহীন শূণ্যের কোঠায় চলে যাচ্ছে।  নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিলেন বলে আমরা দারিদ্র্য জয় করেছি। বাংলাদেশ একটি স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আপনার একটি ভোটের কারণে ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে তার গ্র্যাজুয়েশন কম্পিলিট করবে।  এ সময় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় উপস্থিত ছিলেন।
০২ জুন, ২০২৪

টেনিসে বিরাট সম্ভাবনা আছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৪ টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২৪ এ বাংলাদেশ বালক একক ও দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি।  তিনি বলেন, আমরা বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টকে গুরুত্ব দিচ্ছি, আগামী দিনের একজন খেলোয়াড় তৈরির জন্য। সবকিছু ঠিক থাকলে টেনিস আরও এগিয়ে যাবে।  শুক্রবার (১৭ মে) প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর রমনাস্থ শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে 'এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৪ টেনিস প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের পুষ্টিসহ অন্যান্য বিষয়ে ফেডারেশন এবং সংগঠকদের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। টেনিসে বিরাট সম্ভাবনা আছে- যেটা দেখতে পাচ্ছি। বালক এককে বাংলাদেশের কাব্য গায়েন এবং বালিকা এককে ভারতের নভি রেড্ডি ভুন্দিয়ালা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা দুজনেই দ্বি-মুকুট লাভ করছে। এশিয়ান টেনিস ফেডারেশনের অনুমোদনক্রমে ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স, রমনায় ১৩-১৭ মে ২০২৪ পর্যন্ত ‘এশিয়ান অনূর্ধ্ব-১৪ টেনিস প্রতিযোগিতা ২০২৪’ এর চূড়ান্ত দিনে বালক এককের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে বাংলাদেশের কাব্য গায়েন ৬-২, ৭-৫  গেমে হংকংয়ের হিম ওয়াংকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। কাব্য গায়েন ও মুশফিকুর রহমান আপন জুটি বালক দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ফলে দুটি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কাব্য গায়েন দ্বি-মুকুট লাভ করল। এ সময় বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, মো. মোতাহার হোসেন (সাজু), মো. সেলিম, মো. মাসুদ করিম, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার, টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ও কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ ও বিটিএফ নির্বাহী কমিটির সদস্য মিসেস শিরিন আকতার চৌধুরী  উপস্থিত ছিলেন।  প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভারত, হংকং, আমেরিকা  ও সৌদি আরব হতে ২৭ জন বালক ও ৯ জন বালিকা খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে।
১৭ মে, ২০২৪

দেশে দুর্নীতি এক দিনে তৈরি হয়নি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দেশে দুর্নীতি একদিনে তৈরি হয়নি উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। বাংলাদেশে করাপশনটা এক দিনে তৈরি হয়নি। জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করার মধ্য দিয়ে মূলত দুর্নীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়েছে। রোববার (১২ মে) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘মেরিটাইম এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) বাংলাদেশ রিপোর্ট লঞ্চ ইভেন্ট এবং মেরিটাইম ব্যবসা-বাণিজ্যে জালিয়াতি প্রতিরোধ’ শীর্ষক যৌথ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উন্নত বাংলাদেশ মানে শুধু অর্থবিত্তের মধ্য দিয়ে উন্নত হওয়া নয়, উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে দুর্নীতিমুক্ত সমাজব্যবস্থা। উন্নত বাংলাদেশ হচ্ছে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্বের সুখ-সুবিধা আমাদের মধ্যে থাকবে। সেই ধরনের উন্নত বাংলাদেশ চাই, যেখানে সমগ্র পৃথিবী এই বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ববোধ করবে, অহংকার করবে।  তিনি বলেন, আমরা দুনিয়াকে দেখাতে চাই, ’৭১ সালে রক্তের বিনিময়ে যে দেশ তৈরি করেছি- সে বাংলাদেশ সমগ্র পৃথিবীর জন্য তৈরি করেছি, শুধু আমাদের জন্য নয়। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী, এমএসিএন-এর দক্ষিণ এশিয়ার সিনিয়র নেতা জোনাস সোবার্গ আরল্যান্ডসেন, এমএসিএন বাংলাদেশ প্রকল্পের নেতা কমডোর (অব.) সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির, ইউএন গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শাহামিন জামান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেরিটাইম সেক্টরে দুর্নীতিকে ‘না’ বলার জন্য সম্মিলিত আওয়াজ তোলার লক্ষ্যে এন্টি-করাপশন নেটওয়ার্ক (এমএসিএন) গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। দেশে দুর্নীতি উদ্বেগজনক অবস্থায় নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ব্যবসায়িকদের বৈশ্বিক মান অনুসরণ করতে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এমএসিএন সামুদ্রিক সেক্টরে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করেছে এবং মূল স্টেকহোল্ডারদের একটি সাধারণ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে, যাতে অখণ্ডতার একটি জোট গড়ে তোলা যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ৯০ ভাগের বেশি সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। যার পরিমাণ ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রতিবছর চার হাজারের বেশি বাণিজ্য জাহাজ বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে আসছে। সরকারি-বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই জাতীয় পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়ছে। এ সরকারের আমলে বন্দরের গতিশীলতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।  বৈশ্বিক সামুদ্রিক ব্যবসায় অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও এ বছর বাল্ক কার্গো পরিবহনে ০.৪৭ ভাগ বৃদ্ধির কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টিইউইজ (২০ ফুট দৈর্ঘ্যে) কন্টেইনার হ্যান্ডেল করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা তিনগুণ হবে। ২০৪০ সাল নাগাদ এটি ৪৮ দশমিক ২ মিলিয়ন টিইউইজ-এ পৌঁছাবে।  সামুদ্রিক শিপিং একটি বিশ্বব্যাপী খাত যেখানে স্বচ্ছতা এবং সম্মতির বিষয়গুলো বিশ্বব্যাপী দেখা উচিত বলেও মনে করে খালিদ মাহমুদ। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা এবং সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য একটি সুরক্ষিত রিপোর্টিং চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যাতে জাতীয় কর্তৃপক্ষ ভুলগুলো লক্ষ্য করতে পারে এবং যখনই প্রয়োজন হয় তখন হস্তক্ষেপ করতে পারে। 
১২ মে, ২০২৪

জিম্মি নাবিকদের চলতি মাসেই উদ্ধারের আশা নৌপ্রতিমন্ত্রীর
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে জিম্মি ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে উদ্ধার করে চলতি মাসের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার আশা প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। তিনি জানান, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে। যদিও কবে উদ্ধার হবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটা কোনো ছোট ঘটনা নয়, অনেক বড় ঘটনা। কাজেই দিন তারিখ দিয়ে এটার সমাধান সম্ভব নয়। তবে আমরা বলতে পারি, পুরো ঘটনা আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই আশা করছি, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে তাদের যেন আনতে পারি। কিন্তু সেই টার্গেটটা পূরণ করা যায়নি। তবে আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সমস্যাটার সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে আমাদের নৌবিভাগ আন্তর্জাতিক এলাকায় কাজ করে, তাই তারাও খোঁজখবর নিচ্ছেন। সার্বিক বিবেচনায় বলতে পারি, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।’ নাবিকদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হচ্ছে কিনা; সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। নৌপরিবহন অধিদপ্তরও নিয়মিত যোগযোগ রাখছে। কথাবার্তা হচ্ছে। তারা ভালো আছেন। দস্যুদের সঙ্গে আচরণটা কীভাবে হয়, এ ধরনের আলোচনা করার জন্য কিছু কিছু সংগঠন আছে, মানুষ আছে, তাদের মাধ্যমে যোগাযোগ হচ্ছে।’ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা তো কখনো দস্যুদের মোকাবিলা করিনি। কাজেই আমরা বলতে পারব না, কীভাবে আলোচনা হচ্ছে। যারা দস্যুদের সঙ্গে চলাফেরা করেন, সে মানুষের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে যখন বাংলার সমৃদ্ধি আটকে যায়, তখনও এই ধরনের কিছু সাহায্য নিয়ে সমাধান করেছিলাম।’
০৯ এপ্রিল, ২০২৪

ভুটানের রাজাকে বিদায় জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুককে বিদায় জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রাজাকে বিদায় জানানো হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবীর, পরিচালক ডি এম আতিকুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাউথ এশিয়ার মহাপরিচালক রকিবুল হক, চিফ অব প্রটোকল নাঈম উদ্দিন আহমেদ এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহা. আমিনুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত সোমবার চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় আসেন তিনি। সেদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর। বাংলাদেশ সফরে ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলও পরিদর্শন করেন। কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনের জন্য বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। এরপর সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন রাজা।  
২৮ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশের উন্নয়নে পাশে থাকবে চীন : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন সবসময় পাশে থেকে সরকারকে সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও অয়েনের সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের সাথে চীনের ইনভলভমেন্ট রয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে চীনের অনেক প্রকল্প আছে; সেগুলো এক্সপিডাইট করা। বিশ্বের মন্দা অর্থনীতি মোকাবিলা করা; বাংলাদেশের অর্থনীতির সাথে থাকার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন চীন থেকে ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছে; আরও চারটি জাহাজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। শিগগিরই জাহাজগুলোর কিললেয়িং হবে। এরপর আরও দুটি জাহাজ সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের ফার্স্ট টার্মিনালে চীনের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে। বাংলাদেশের ইকোনমি বেড়ে যাচ্ছে। মেরিটাইম সেক্টরে বাংলাদেশ ভালো ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের তিনটি সমুদ্রবন্দর এক্সপানসনে বাংলাদেশ সহযোগিতা চাইলে-চীন সহযোগিতা করবে। আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় বাংলাদেশ জয়লাভ করায় চীন বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
০৫ মার্চ, ২০২৪
X