ড্রেজিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, ১০ নৌপথ পরিত্যক্ত : এসসিআরএফ   
নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়মের কারণে ঢাকা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলগামী ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে। আগে ৪১টি নৌপথে লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলত। এখন এই সংখ্যা নেমে হয়েছে ৩১টি। শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার সঙ্গে উপকূলগামী স্বীকৃত নৌপথের সংখ্যা ৪১টি। তবে এখন ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ৩১টি নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ) চলাচল করে। তীব্র নাব্য সংকটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। লঞ্চমালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরও জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানেও নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে। নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দও দিলেও ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিলুপ্ত নৌপথ উদ্ধারে দীর্ঘ ১৬ বছরেও কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি।
৩১ মার্চ, ২০২৪

নৌপথ ব্যবহারে মানুষ উপকৃত কি না লক্ষ রাখতে হবে
নৌপথ ও নদীবন্দরগুলো ঠিক আছে কি না এবং এগুলো ব্যবহার করে মানুষ উপকৃত হচ্ছে কি না সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বুধবার প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার মিন্টু রোডের বাস ভবনে বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত পর্ষদের সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বিআইডব্লিউটিএর টোটাল ডেভেলপমেন্ট এবং চারিত্রিক কাঠামো অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেখানে ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক হয়, সেখানে কিছু প্রশ্ন থাকতেই পারে। কাজটি সঠিকভাবে করছি কি না—সেটা হলো বড় বিষয়। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পথ দেখানো। সে পথে সবাই হাঁটবে। তিনি বলেন, আমাদের মূল জায়গাটি হলো মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। সে আদর্শকে ধারণ করে কাজ করুন। বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত সভাপতি রকিবুল ইসলাম তালুকদার এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২১ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ সমীক্ষায় নৌপথ বেড়েছে ১০ হাজার কিমির বেশি
সরকারি হিসাব মতে, দেশে বর্তমানে নৌপথ রয়েছে ৫ হাজার ৯৬৮ কিলোমিটার। কিন্তু সর্বশেষ সমীক্ষায় নৌপথ পাওয়া গেছে ১৬ হাজার ১৫৫ কিলোমিটার। এই হিসাবে দেশে নৌপথ বাড়ছে ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। সমীক্ষায় চলাচলের গুরুত্ব, নৌ পরিবহনের চাপ এবং গভীরতা বিবেচনা করে ছয়টি শ্রেণিতে নৌপথের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নৌপথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচলের নিশ্চয়তায় বিশেষ শ্রেণিতে সর্বনিম্ন সাড়ে চার মিটার গভীরতায় উপর অংশে ২০ মিটার ছাড় দিয়ে সেতু বা অন্য কোনো স্থাপনা করতে হবে। এর আগে এই হিসাব ছিল ১৮ মিটার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্ল্যাসিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে জানানো হয়, ৩৩ বছর পর দেশের নদনদী নিয়ে এই সমীক্ষা তৈরি করা হলো। এর জন্য চারটি সংস্থার ৪৪২টি স্টেশনের ২৫ বছরের উপাত্ত বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ১৯৬৭ সালে ১১৬ স্টেশনের, ১৯৮৭-৯০ সালে ১৬৬ স্টেশনের তথ্য নিয়ে সমীক্ষা হয়। সর্বশেষ সমীক্ষা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। এতে দেখা গেছে, নানা কারণে নদী ও চ্যানেলের গতি প্রবাহের পরিবর্তন হয়েছে। সেতুর কারণে সংকুচিত হয়েছে নদনদী। তাই নতুনভাবে নৌপথের বিন্যাস প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৭০ শতাংশ নদীতে পানির পরিমাণ কমেছে। ৩০ শতাংশের বেড়েছে। এই মুহূর্তে সাড়ে ৪৩ শতাংশ পণ্য আদমদানি হচ্ছে নৌপথে। সব নৌপথ সক্রিয় করা সম্ভব হলে জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হবে। কমবে ব্যয়। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও হ্রাস পাবে। অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে দেশের নৌপথ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন প্রস্তাব চূড়ান্ত করার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্টরা। বিআইডব্লিউটিএ হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প কর্মকর্তা রকিবুল্লাহ জানান, আমাদের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে আইডব্লিউএম। ১৮ কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০২১ সালে। ওই বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ছয় মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব সবার—এ কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। সেতু ও স্থাপনা নির্মাণের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে। এক সময় দেশের খালগুলো নদী ছিল। দখলের কারণে সেগুলো খালে রূপ নেয়। দখলের কারণে অনেক স্থানে এখন নালাও নেই। ঢাকার চার নদীর শাখাগুলো দখল হয়ে গেছে। তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দুই-তিন বছর জলাবদ্ধতা হচ্ছে না; এটা ভালো দিক। তবে শীতলক্ষ্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মিত সেতু পরিকল্পিত হয়নি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে নদনদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একটি বিধিমালা জারি হয়। ২০১৮ সালে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? এমন প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অসংখ্য নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি ব্লক আছে। নদী ধ্বংসে এই প্রতিষ্ঠান দায় এড়াতে পারে না। নানামুখী অত্যচারের কারণে নদীর চরিত্র বদলাচ্ছে, গতিপথ পরিবর্তন করছে। নদীতে যত কম পারা যায় স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। তবে জনপ্রতিনিধিদের কারণেও নদীতে সেতু বাড়ে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা করে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। নদীর প্রবাহ বন্ধ হলে বাংলাদেশের প্রাণ থাকবে না, এটা মানতে হবে। রাজধানীর চারপাশে নদীর জায়গা উদ্ধার অভিযান ও নদী ঘিরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের চোখে পড়েছে। এখন নদীতে ময়লা ফেলতে মানুষ ডান-বামে তাকায়। এটা কম সফলতা নয়। সময় এসেছে নদী রক্ষার পাশাপাশি মানুষের কাঠামো উন্নয়নেও কাজ করার। এর আগে ১৯৬৭ এবং ১৯৮৯ সালে নদীর ‘হাই ও লো লেভেল’ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়। ওই সমীক্ষা দুটি করেছিল বিদেশি সংস্থা। এবার আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম এই সমীক্ষার কাজ করেছে। এতেই প্রমাণ হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ নদনদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিধিমালা (সংশোধিত) তৈরি করবে। নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর উচ্চতা নির্ধারণ করতে হবে। ব্রিজের উচ্চতার চেয়ে নদীতে পিলারের কারণে সিলট্রেশন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনোয়ার উজ-জামান। আইডব্লিউএমের নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ ফারহানা আখতার কামাল সমীক্ষা প্রকল্পের ফল উপস্থাপন করেন। এরপর মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা মতামত তুলে ধরেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নৌপথ বাড়ছে ১০ হাজার কিলোমিটার
দেশে নৌপথের পরিমাণ বাড়ছে। বর্তমানে ৫৯৬৮ কিলোমিটারের স্থলে ১৬ হাজার ১৫৫ কিলোমিটার নৌপথ পাওয়া গেছে। এই হিসেবে নৌপথ বাড়ছে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি। অভ্যন্তরীণ নৌপথসমূহের চলাচলের গুরুত্ব, নৌপরিবহনের চাপ এবং গভীরতা বিবেচনা করে ৬টি শ্রেণিতে নৌপথের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। নৌপথে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচলের নিশ্চয়তায় বিশেষ শ্রেণিতে সর্বনিম্ন সাড়ে চার মিটার গভীরতায় ওপর অংশে ২০ মিটার ছাড় দিয়ে সেতু বা অন্যকোনো স্থাপনা করতে হবে। সর্বশেষ যা ছিল ১৮ মিটার। এভাবে নদীর ৬টি শ্রেণিতে গভীরতা নির্ধারণ ও স্থাপনা নির্মাণের পরিমাপ নতুন করে ঠিক করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্লাশিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।  বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।  কর্মশালায় জানানো হয়, ৩৩ বছর পর দেশের নদ-নদী নিয়ে এই সমীক্ষা তৈরি করা হলো। সমীক্ষার জন্য চারটি সংস্থার ৪৪২টি স্টেশনের ২৫ বছরের উপাত্ত বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। ১৯৬৭ সালে ১১৬ স্টেশনের, ১৯৮৭-৯০ সালে ১৬৬ স্টেশনের তথ্য নিয়ে সমীক্ষা হয়। সর্বশেষ সমীক্ষা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। এতে দেখা গেছে, নানা কারণে নদী ও চ্যানেলের গতিপ্রবাহের পরিবর্তন হয়েছে। সেতুর কারণে সংকুচিত হয়েছে দেশের নদ-নদী। তাই নতুনভাবে নৌপথের বিন্যাসের প্রয়োজন বলেও মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা গেছে, দেশের ৭০ ভাগ নদীর পানির পরিমাণ কমেছে। ৩০ ভাগের বেড়েছে। এই মুহূর্তে সাড়ে ৪৩ ভাগ পণ্য আমদানি হচ্ছে নৌপথে। নতুন সমীক্ষা অনুযায়ী সব নৌপথ সক্রিয় করা সম্ভব হলে জ্বালানি তেলের সাশ্রয় হবে, ব্যয় কমার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে। অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে দেশের নৌপথ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন প্রস্তাব চূড়ান্ত করার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।  বিআইডব্লিউটিএ হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প কর্মকর্তা রকিবুল্লাহ জানান, বিআইডব্লিউটিএ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে আইডব্লিউএম। ১৮ কোটি ৩০ লাখ ৫৭ হাজার টাকার এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০২১ সালে। ওই বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ছয় মাস বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাব চূড়ান্ত হবে।  নদী রক্ষার দায়িত্ব সবার একথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে সমন্বয় দরকার। দেশে প্রতিনিয়ত ডেভেলপমেন্টের কারণে নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের বর্তমান বাস্তবতা নিয়ে ভাবতে হবে। এক সময় দেশের খালগুলো নদী ছিল। দখলের কারণে খালে রূপ নিয়ে, এখন নালাও নেই। ঢাকার চার নদীর শাখাগুলো দখল হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দুই-তিন বছরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না; এটা ভালো দিক। তবে শীতলক্ষ্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্মিত সেতু পরিকল্পিত হয়নি। ২০১০ সালে নদ-নদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যেপ্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে একটি বিধিমালা জারি করা হয়। প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সনে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত করা হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? এমন প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অসংখ্য নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোটি কোটি ব্লক আছে। নদী ধ্বংসে এই প্রতিষ্ঠান তো দায় এড়াতে পারে না।  নানামুখী অত্যাচারের কারণে নদীর চরিত্র বদলাচ্ছে, গতিপথ পরিবর্তন করছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, নদীতে যাত কম পারা যায় স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে। তবে জনপ্রতিনিধিদের কারণে নদীতে সেতু বাড়ে।  নৌ-সড়ক ও রেলপথ রক্ষা করে বহুমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, নদীর প্রবাহ বন্ধ হলে বাংলাদেশের প্রাণ থাকবে না, তা মানতে হবে। রাজধানীর চারপাশে নদীর জায়গা উদ্ধার অভিযান ও নদী ঘিরে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষের চোখে পড়েছে। এখন নদীতে ময়লা ফেলতে মানুষ ডান-বামে তাকায়। এটা কম সফলতা নয়। সময় এসেছে নদী রক্ষার পাশাপাশি মানুষের কাঠামো উন্নয়নেও কাজ করতে হবে।   প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে ১৯৬৭ সনে এবং ১৯৮৯ সনে নদীর ‘হাই ও লো লেভেল’ নিয়ে সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল। ওই সমীক্ষা দুটি করেছিল বিদেশি সংস্থা। এবার আমাদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান আইডব্লিউএম এই সমীক্ষার কাজ করেছে। এর ফলে প্রমাণ হয়, জ্ঞান-বিজ্ঞানে ও সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ নদ-নদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিধিমালা (সংশোধিত)  তৈরি করবে। সে বিধিমালায় যাতে কোনো স্ট্রাগল তৈরি না হয়; সেটি হবে সবার জন্য ফলপ্রসূ এবং সবার জন্য সুবিধাজনক। নদীর কথা চিন্তা করে জাহাজগুলোর হাইট নির্ধারণ করতে হবে। ব্রিজের হাইটের চেয়ে নদীতে পিলারের কারণে সিলট্রেশন হয়ে যাচ্ছে। নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য প্রকৌশল মোহাম্মদ মনোয়ার উজ জামান। আইডব্লিউএম-এর নদী ও পানি বিশেষজ্ঞ  ফারহানা আখতার কামাল সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন। এরপর মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা মতামত তুলে ধরেন।
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কাঙ্ক্ষিত রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ ৬ দশক পর চালু
বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকলে প্রায় ৬ দশক পর চালু হলো রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ। গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌযান চলাচল শুরু হয় গতকাল সোমবার। নৌপথে নৌযান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমারসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যরা। পরে সুধী সমাবেশে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ঘিরে বন্দরটি ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যায়। এ নৌপথ চালু হওয়ায় অঞ্চলের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে গতি আসবে।’ রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, এই রুটে বছরে দুই হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্ভব হবে। সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি নৌরুটের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে নতুন বন্দর উদ্বোধন দিয়ে আমরা নতুন সূচনা করতে পেরেছি।’ নৌপথটির তাৎপর্য: গতকাল বাংলাদেশ থেকে ১৫ টন গার্মেন্টস তুলা রপ্তানি হয়েছে এবং ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ টন পাথর। তিনটি ভেসেলে এসব পণ্য আনা-নেওয়া হয় বলে জানান সুলতানগঞ্জ বন্দরের ইনচার্জ ওয়াকীল আহমেদ। ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রতি টন পাথর আনতে খরচ পড়ে ১৩ মার্কিন ডলার। সমুদ্রপথে এই খরচ ২০ ডলার। সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি করতে খরচ পড়বে মাত্র ৯ থেকে ১০ ডলার। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। সৃষ্টি হবে বহু কর্মসংস্থান।
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ চালু
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদের মায়া নৌপথে আনুষ্ঠানিকভাবে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে ‘সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল’ এবং ‘সুলতানগঞ্জ-মায়া’ নৌপথে নৌযান যাত্রার উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলটি (পিআইডব্লিউ টিঅ্যান্ডটি) ১৯৭২ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান রয়েছে। ২০২০ সালে পিআইডব্লিউ টিঅ্যান্ডটি দ্বিতীয় সংশোধনী সই হয়েছে। সংশোধনীর মাধ্যমে পিআইডব্লিউ টিঅ্যান্ডটির ৫ ও ৬ নম্বর রুটটি রাজশাহী থেকে আরিচা পর্যন্ত বর্ধিত করায় সম্পূর্ণ রুটটি হলো আরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া-ধুলিয়ান। বাংলাদেশ অংশে রাজশাহী ও গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ এবং ভারতীয় অংশে মায়া ও ধুলিয়ানকে নতুনভাবে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ ও ৬ প্রটোকল রুটটি পদ্মা নদীর আরিচায় এসে প্রটোকল রুট ১ ও ২ নম্বরের (কলকাতা-কোলাঘাট-হলদিয়া-রায়মঙ্গল-চালনা-খুলনা-মোংলা-কাউখালী-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পাণ্ডু-শীলঘাট) এবং প্রটোকল রুট ৭ ও ৮ নম্বরের (বদরপুর-কালীগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মাজুলী-আজমিরীগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-ঘোড়াশাল-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পাণ্ডু-শীলঘাট) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নৌপথে আরিচা-রাজশাহীর দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার। রাজশাহী-গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ ৩৬ কিলোমিটার, গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ-মায়া ২০ কিলোমিটার এবং মায়া-ধুলিয়ান ৪১ কিলোমিটার। ২৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরো প্রটোকল রুটটি চালু করা সম্ভব হলেই এর উপযোগিতা পাওয়া যাবে। তবে পদ্মা নদীর পুরো রুটটিতে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা চ্যালেঞ্জ থাকলেও মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া প্রটোকল রুটে সারা বছরই স্বল্প নাব্যতার নৌযান দ্বারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের আগে ভারতের মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীর মায়াবন্দর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে পণ্যপরিবহন করা হতো।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ উদ্বোধন আজ
রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ আন্তর্জাতিক নৌপথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু হচ্ছে আজ। সোমবার বাংলাদেশ ও ভারতের নৌমন্ত্রী যৌথভাবে এই পথ উদ্বোধন করবেন। প্রায় ৫৯ বছর দুই দেশের নৌ প্রটোকলের আওতায় এই পথ আবার চালু হচ্ছে। এই নৌপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের মায়াবন্দরে উপস্থিত থাকবেন সে দেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। আর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রমুখ।  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলটি (পিআইডব্লিউ টিঅ্যান্ডটি) ১৯৭২ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান রয়েছে। ২০২০ সালে পিআইডব্লিউ টিঅ্যান্ডটি দ্বিতীয় সংশোধনী সই হয়েছে। সংশোধনীর মাধ্যমে পিআইডব্লিউ টিঅ্যান্ডটির ৫ ও ৬ নম্বর রুটটি রাজশাহী থেকে আরিচা পর্যন্ত বর্ধিত করায় সম্পূর্ণ রুটটি হলো আরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া-ধুলিয়ান। বাংলাদেশ অংশে  রাজশাহী ও গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ এবং ভারতীয় অংশে মায়া ও ধুলিয়ানকে নতুনভাবে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ৫ ও ৬ প্রটোকল রুটটি পদ্মা নদীর আরিচায় এসে প্রটোকল রুট ১ ও ২ নম্বরের (কলকাতা-কোলাঘাট-হলদিয়া-রায়মঙ্গল-চালনা-খুলনা-মোংলা-কাউখালী-হিজলা-চাঁদপুর-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পাণ্ডু-শীলঘাট) এবং প্রটোকল রুট ৭ ও ৮ নম্বরের (বদরপুর-কালীগঞ্জ-জকিগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ-শেরপুর-মাজুলী-আজমিরীগঞ্জ-আশুগঞ্জ-ভৈরববাজার-ঘোড়াশাল-নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও-চাঁদপুর-আরিচা-সিরাজগঞ্জ-বাহাদুরাবাদ-চিলমারী-ধুবরী-যোগীগোপা-পাণ্ডু-শীলঘাট) সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। নৌপথে আরিচা-রাজশাহীর দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার। রাজশাহী-গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ ৩৬ কিলোমিটার, গোদাগাড়ী বা সুলতানগঞ্জ-মায়া ২০ কিলোমিটার এবং মায়া-ধুলিয়ান ৪১ কিলোমিটার। ২৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পুরো প্রটোকল রুটটি চালু করা সম্ভব হলেই এর উপযোগিতা পাওয়া যাবে। তবে পদ্মা নদীর পুরো রুটটিতে শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা চ্যালেঞ্জ থাকলেও মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া প্রটোকল রুটে সারা বছরই স্বল্প নাব্যতার নৌযান দ্বারা উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব হবে। উল্লেখ, ১৯৬৫ সালের আগে ভারতের মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীর মায়াবন্দর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে পণ্যপরিবহন করা হতো।  
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাজশাহী-মুর্শিদাবাদ নৌপথ চালু হচ্ছে আজ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ থেকে ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত নৌপথ চালু হচ্ছে আজ। এর মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। নৌপথ উদ্বোধনের পর সুলতানগঞ্জ ও ময়াকে পোর্ট অব কলের মর্যাদা দেওয়া হবে। ১৯৬৫ সালের আগে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদীঘি থানার ময়া বন্দর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে মালপত্র আনা-নেওয়া করা হতো। ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর এ নৌপথ বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ প্রটোকলের আওতায় এ পথটি আবার চালু হচ্ছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, এই নৌবন্দর চালু হওয়ায় ভারত থেকে পাথর আমদানিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এতে মার্কিন ডলারের অর্ধেক সাশ্রয় এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় কমবে। সেইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিজার্ভের ওপর চাপ কমে আসবে বলেও মনে করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। সব মিলিয়ে নতুন ২০ কিলোমিটার নৌপথে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। যার মাধ্যমে ২৭২ কিলোমিটার নৌপথ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। জানতে চাইলে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, নতুন এই নৌপথের ফলে ভারত থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে বড় ভূমিকা রাখবে। এতে উভয় দেশ লাভবান হবে। বিশেষ করে পাথর আমদানিতে বাংলাদেশ বেশি লাভবান হবে বলেও জানান তিনি। জানা গেছে, রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকল এর আওতাভুক্ত সুলতানগঞ্জ, গোদাগাড়ী পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে নৌযান পরিচালনার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ভারতের হাইকমিশনার এবং রাজশাহী সিটি মেয়র অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রমণ ও বাণিজ্য প্রটোকলটি ১৯৭২ সাল থেকে চলমান। ২০২০ সালে এর দ্বিতীয় সংশোধনী স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌপথ অতিক্রম ও বাণিজ্য প্রটোকলের (পিআইডব্লিউটি-টি) ৫ ও ৬ নম্বর রুটটি রাজশাহী থেকে আরিচা পর্যন্ত বর্ধিত করায় সম্পূর্ণ রুটটি হলো আরিচা-রাজশাহী-গোদাগাড়ী-সুলতানগঞ্জ-মায়া ধূলিয়ান। বাংলাদেশ অংশে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ এবং ভারতীয় অংশে মায়া এবং ধূলিয়ানকে নতুনভাবে পোর্ট অব কল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কাস্টমস স্টেশনের রুট ও আমদানিযোগ্য পণ্যের তালিকা-সংক্রান্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নৌপথ শুল্ক স্টেশন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে চলমান রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও অন্যান্য মেগা প্রকল্প নির্মাণকাজে প্রচুর পরিমাণে ভারতীয় পাথরের চাহিদা আছে। ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথ চালু হলে দুদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথেও বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পদ্মা নদীর পুরো রুটটিতে শুষ্ক মৌসুমে নাব্য চ্যালেঞ্জ থাকলেও মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বের সুলতানগঞ্জ-মায়া প্রটোকল রুটে সারা বছর উভয় দেশের মধ্যে নদী পথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য পরিচালনা করা সম্ভব। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো অত্যন্ত নাজুক হওয়ায় পর্যাপ্ত সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া খাদ্যদ্রব্য এবং অন্যান্য মালপত্র এসব বন্দর দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমদানি করা হচ্ছে। তাই চাহিদামতো পাথর আমদানি করা যায় না। বাংলাদেশ থেকে এলসি পাঠানো হলেও এক থেকে দেড় মাস আগে পাথর আমদানির কোনো স্লট পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে অন্যান্য দেশ থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। ভারতের সর্ববৃহৎ পাথরের উৎস পাকুর, ঝাড়খন্ড, নলহাটি, রাজগ্রাম এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পাথরের উৎস থেকে বাংলাদেশের স্থলবন্দরের দূরত্ব অনেক বেশি। সেক্ষেতে মায়া, ভারত থেকে গোদাগাড়ী, সুলতানগঞ্জের দূরত্ব নৌপথে মাত্র ২০ কিলোমিটার। এই রুটে এফওবি ৯-১০ মার্কিন ডলারে পাথর আমদানি সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশের কার্গো জাহাজে এ পাথর দেশীয় মুদ্রায় পরিবহন সম্ভব হবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে এবং দেশের বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

চলন্ত ফেরিতে দুর্বৃত্তদের দৌরাত্ম্য
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে প্রতিদিন যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ কয়েক হাজার বিভিন্ন গাড়ি ফেরি পারাপার হয়। সার্বক্ষণিক ফেরিসার্ভিস চালু থাকলেও চলাচলকারি ফেরিগুলোতে নেই নিয়মিত পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা। এই সুযোগে নৌপথে দুর্বৃত্তরা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রায় প্রতি রাতে চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর, ছিনতাই ও পকেটমারের মতো ঘটনা ঘটছে। দুর্বৃত্তদের শিকার হয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়াচ্ছেন যাত্রীদের অনেকে।  এদিকে নৌপথের নিরাপত্তা রক্ষায় দৌলতদিয়া পাটুরিয়া উভয় ঘাটে নৌ-পুলিশের পৃথক দুটি ফাঁড়ি রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিন কিলোমিটার নৌপথ অনেকটা ‘অরক্ষিত’ অবস্থায় রয়েছে। নৌ-পুলিশ জানিয়েছে, দুই ফাঁড়িতেই ফোর্স সংকট রয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্পিডবোট না থাকায় চলাচলকারী ফেরিসহ নৌপথে নিয়মিত পুলিশি টহল ব্যবস্থা রাখা সম্ভব হচ্ছে না।    বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও ঘাট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, নৌপথে দিন-রাত সার্বক্ষণিক ফেরিসার্ভিস চালু থাকলেও চলাচলকারী ফেরিগুলোতে নিয়মিত পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা নেই। এ সুযোগে উভয় ঘাট এলাকার একদল দুর্বৃত্ত রাতের অন্ধকারে ট্রলার নিয়ে এসে যাত্রীবেশে তারা চলন্ত ফেরিতে গিয়ে ওঠে। পরে সুযোগ বুঝে ফেরির ভেতরে মোমের আলো জ্বালিয়ে নিজেদের মধ্যে নগদ টাকার জুয়া খেলার আসর বসায় তারা। প্রলুব্ধ হয়ে ওই জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করে ফেরিযাত্রীদের অনেকেই। সেখানে জুয়া খেলার ওই ফাঁদে ফেলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসেটসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়। শেষে ঘাটে পৌঁছানোর আগেই চলন্ত ফেরি থেকে ট্রলারে নেমে দুর্বৃত্তরা নদীর ভাটিপথে দ্রুত পালিয়ে যায়।  দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে চলাচলকারী এক রো রো (বড়) ফেরির মাস্টার (চালক) নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই নৌরুটে চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর বসানো, ছিনতাই ও পকেটমারের বিষয়টি নতুন নয়। দিনের আলোয় না থাকলেও রাতের অন্ধকারে দুর্বৃত্তরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশি প্রহরা না থাকায় রাতে চলাচলকারি ফেরিগুলো সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় থাকছে। এদিকে ঘাটসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছেন, নৌপথে চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর ও ছিনতাইকালে সংশ্লিষ্ট দুর্বৃত্তরা ধারালো রামদা, ছুরি ও চাইনিজ কুড়াল ব্যবহার করে থাকে। তাই ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। দুর্ধর্ষ ওই জুয়ারু-ছিনতাই চক্রের প্রধান হোতা মাদার কাজী। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শাহাদত মেম্বারপাড়া গ্রামের মৃত ছেদন কাজীর ছেলে। মাদার কাজীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ওই দুর্বৃত্ত দলে ৩০ থেকে ৩৫ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তাদের সবার বাড়ি রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জ জেলা এলাকায়। এ ছাড়া দৌলতদিয়া পাটুরিয়া উভয় ঘাট এলাকার কতিপয় অসাধু ট্রলার মালিক ও চালক ওই দলের সঙ্গে যুক্ত।  গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ জানিয়েছে, ওই মাদার কাজীর বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় অস্ত্র, ডাকাতি, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, মাদক ও জুয়া আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।  বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এই নৌরুটে রাতের বেলা চলাচলকারী ফেরিগুলোতে যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশি পাহারা থাকা খুব জরুরি। এ প্রসঙ্গে দৌলতদিয়া ঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.সিরাজুল কবির বলেন, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ায় নৌ-পুলিশের দুটি ফাঁড়িতেই ফোর্স সংকট রয়েছে। পাটুরিয়া ঘাট ফাঁড়িতে কোনো স্পিডবোট নেই। দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁড়ির একটি স্পিডবোট থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তা বিকল হয়ে আছে। তাই ফেরিসহ নৌপথে নিয়মিত পুলিশি টহল ব্যবস্থা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চলন্ত ফেরিতে জুয়াড়ি, ছিনতাই ও পকেটমার দলে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। 
২০ জানুয়ারি, ২০২৪

চাঁদপুরে সতর্ক অবস্থানে স্থল, রেল ও নৌপথ বিভাগ
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের স্বাভাবিক উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে স্থল, রেল ও নৌপথ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী ঘুরে ঘুরে পৃথকভাবে আলোচনায় এ সতর্কতার খবর পাওয়া যায়। নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ চাঁদপুরের উপপরিচালক বশির আলী বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে আমরা মধ্যরাত থেকেই সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করব। এর মধ্যে ঢাকা চাঁদপুর রুটে ২৫টি, চাঁদপুর নারায়ণগঞ্জ রুটে ১২টি এবং ভায়া আরও ১০-১২টিসহ প্রায় অর্ধশত লঞ্চ চলাচলের সবই রাত ১২টা হতে পরদিন রাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আবহাওয়াজনিত কুয়াশা বেশি দেখলে আমরা আরও আগেই অবস্থা অনুযায়ী লঞ্চ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারি। চাঁদপুর রেলওয়ে স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মো. সোয়াইবুল সিকদার বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে আমাদের সাগরিকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়েও আসবে না এবং দুপুরে এখান থেকে যাওয়ার কথা সেটিও যাবে না। ৮ বগির এই ট্রেনটি ৫ শতাধিক যাত্রী ধারণক্ষমতাসম্পন্ন। তবে আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটির চলাচল স্বাভাবিক সময়ে অব্যাহত থাকবে। চাঁদপুর জেলা শ্রমিক ফেডারেশন ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিজি বলেন, নির্বাচনের দিন গণপরিবহনের আওতায় রেগুলার লাইনের বাস ও প্রাইভেট কারের ওপর নিষেধাজ্ঞা না থাকায় চাঁদপুর রুটে স্থলপথের সব চলবে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমাদের নজরদারি থাকবে। বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের এ জি এম (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আমরা শুধু প্রশাসন অনুমোদিত গাড়ি পারাপারের জন্য চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটে ৪টি ফেরি চলাচলের জন্য প্রস্তুত রেখেছি। আবহাওয়ার কুয়াশা পরিস্থিতি বিবেচনায় ফেরি চলাচলের স্বাভাবিক সময় ব্যাহত হতে পারে। উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলায় ৫টি সংসদীয় আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু ভোট উপহার দিতে ১১ হাজারেরও বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা একযোগে কাজ করছে।
০৬ জানুয়ারি, ২০২৪
X