চট্টগ্রাম-৫ আসন / নৌকার মাঝি সালামেই ‘একাট্টা’ তৃণমূল নেতারা
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুস সালাম (এমএ সালাম) দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। এই মনোনয়ন ঘিরে নানা আলোচনা হলেও হাটহাজারী উপজেলা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সেই নৌকার মাঝির পক্ষে একাট্টা হয়েছেন। এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা এবং দলের প্রার্থীর মনোনয়ন বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিও আবেদন জানিয়েছেন উপজেলা ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, জাতীয় সংসদ ২৮২ চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী, চসিক ১ নং ও ২ নং ওয়ার্ড) আসনে মোহাম্মদ আবদুস সালাম (এম. এ সালাম) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এখানে অন্য প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যরিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি (আপিল করে বহাল মনোনয়নপত্র), কল্যাণ পার্টির নেতা মেজর জেনারেল অব. ইব্রাহীম, তৃণমূল বিএনপির (প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ফোরাম) মো. নাজিম উদ্দীন, বাংলাশে সুপ্রিম পার্টির কাজী মহসীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্ম নাছির হায়দার করিম, বিএনএফ’র আবু মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাশে ইসলামী ফ্রন্টের সৈয়দ মোখতার আহমেদ, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের ছৈয়দ হাফেজ আহমদ। হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান বলেন, হাটহাজারী সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুস সালামের মনোনয়ন বহাল রাখতে এবং কোনো অবস্থাতেই কোনো জোট প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য সর্বসম্মতভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির রেজুলেশন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা), ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আবেদন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।  হাটহাজারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম রাশেদুল আলম কালবেলাকে বলেন, হাটহাজারী উপজেলার নৌকার প্রার্থী এমএ সালামের পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা একাট্টা রয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বর্ধিত সভাও হয়েছে। নৌকার প্রার্থীকে বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদনও জানিয়েছি। তবে দলের নৌকা প্রতীকে দলের প্রার্থীর পক্ষে আমরা এক ও অভিন্ন হিসেবে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপরিবার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরবর্তীতে বিগত ৪৮ বছর ধরে নানান ষড়যন্ত্র ও ধর্মীয় অপপ্রচারের কারণে আওয়ামী লীগ দলীয় কোনো সংসদ সদস্য এই আসনে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। ২০০৮ সালে বর্তমানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আবদুস সালামকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছিলেন কিন্তু মহাজোটের কারণে পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে তিনি (সালাম) মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ২০০৮ সালের পর বিগত তিন তিনটি সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মানুষ নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের দলীয় নেতাকর্মীরা।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

নৌকার মাঝি হওয়ার আশায় ছোট দলের নেতারাও
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দল গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সহযাত্রী ছিল। এবার ভোটের লড়াইয়ে শামিল হয়েছে নানা মত ও পথের আরও কিছু দল। আন্দোলনরত দলগুলো নির্বাচন বয়কট করলেও তাদের সঙ্গ ছেড়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এসেছে। আবার এই নির্বাচন গড়ে ওঠা কয়েকটি দল উল্লেখযোগ্যসংখ্যক প্রার্থী দিয়ে দৃষ্টি কেড়েছে। দলীয় পরিচয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সংসদে যাওয়ার পথ সুগম করতে বেশিরভাগ দলের মূল প্রার্থীদের চাওয়া এখন আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। সরকারি দলের সরাসরি সমর্থন ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া কঠিন বলে মনে করছেন তারা। এ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগও করছেন এসব দলের নেতারা। তবে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি স্বীকার করছে না। এবারের নির্বাচকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে নতুন নিবন্ধিত দুই দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এবং তৃণমূল বিএনপি। এই দুটি দলে যোগদান করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ১১ জন সাবেক সংসদ সদস্য—যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বিএনপির। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের বেশ কিছু বর্তমান ও সাবেক নেতাও তালিকায় রয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ে তাদের প্রায় সবার মনোনয়নপত্রই বৈধ হয়েছে। নির্বাচনে বিএনএমের প্রতীক ‘নোঙ্গর’ আর তৃণমূল বিএনপির ‘সোনালী আঁশ’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, বিএনপিসহ অনেক দল নির্বাচন বর্জন করায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখাতেই নতুন ও পুরোনো বেশ কয়েকটি দলকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন বিএনপির বর্তমান ও সাবেক নেতা। ‘একতরফা’ নির্বাচনের অপবাদ থেকে মুক্ত থাকতে এসব দল ও নেতার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে আওয়ামী লীগ ছোট ছোট এসব দল, বিশেষ করে তাদের শীর্ষ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্যদের আসন ছেড়ে দিয়ে পুরস্কৃত করতে পারে বলে রাজনীতিতে গুঞ্জন রয়েছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে এসব দলের ‘অঘোষিত সমঝোতা’ হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। তবে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা এসব দলের নেতারা বলছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনেই তাদের প্রত্যাশা। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে সে ধরনের নির্বাচন নিশ্চিত হলে তাদের অনেক প্রার্থীই বিজয়ী হবেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে এসেছে কল্যাণ পার্টিসহ তিনটি দল। নিজেদের মধ্যে ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করে ৩৬ আসনে প্রার্থী দিয়েছে তারা। এর মধ্যে কল্যাণ পার্টির ১৪, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) ৪ এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (কাঁঠাল প্রতীক) ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। দলগুলো নিজ নিজ প্রতীকে ভোটে অংশগ্রহণ করছেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম চট্টগ্রাম-৫ এবং কক্সবাজার-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুটি আসনেই তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষিত হয়েছে। চট্টগ্রাম-৫ আসনে ইবরাহিমের সঙ্গে নৌকার প্রার্থী এম এ সালাম এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রয়েছেন। অন্যদিকে কক্সবাজার-১ আসনে নৌকার প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল হলেও আপিল করে হাইকোর্টের আদেশে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন। এ ছাড়া দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি জাফর আলম। যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে ভোট করছেন বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী। যাচাই-বাছাইয়ে তার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষিত হয়েছে। তবে এই আসনে নৌকা প্রতীকে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে মাহবুব উর রহমান এবং দলীয় ‘চাকা’ প্রতীকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এম এল) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ভোট করছেন। ইতোমধ্যে দুজনের প্রার্থিতাই বৈধ ঘোষিত হয়েছে। সরকারের সঙ্গে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে যুক্তফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কালবেলাকে বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো প্রকার সমঝোতা হয়নি। এ জন্য আমরা কোনো উদ্যোগও নেইনি। এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্নও না। আমরা এই প্রত্যাশায় নির্বাচনে গেছি যে, ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’ যুক্তফ্রন্টের প্রার্থীরা নৌকায় ভোট করবে কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘যুক্তফ্রন্টভুক্ত তিন দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের প্রতীকে নির্বাচন করবেন— এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। তবে আগামী শনিবার আমরা জোটভুক্ত তিন দলের নেতারা বসব। সেখানে বর্তমান সিদ্ধান্তের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আমরা সেটা জানাব।’ জানা যায়, তৃণমূল বিএনপি ২৮০ জন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। এদের মধ্যে ১৫১ জন প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দলটির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী, মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার, নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা সেলিমা হুদা এবং পাঁচজন সাবেক সংসদ সদস্যসহ ১২৭ জন প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ হন। অন্যদিকে বিএনএম ৮২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেও নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন ৫১ জন। সার্ভার জটিলতাসহ বিভিন্ন কারণে বাকিরা জমা দিতে পারেননি বলে দাবি দলটির। যাচাই-বাছাইয়ে ছয়জন সাবেক এমপিসহ এই দলটির ৪৯ জন বৈধতা পেয়েছেন। এ ছাড়া আগে জমা দিতে না পারলেও উচ্চ আদালতে রিট করে প্রার্থী হতে পেরেছেন আরও ৩ জন। আর মনোনয়ন বাতিল হলেও আপিল করেছেন পাবনা-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনী। সিলেট-৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মুবিন চৌধুরী। এখানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন। ইতোমধ্যে দুজনেরই মনোনয়নই বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। দলটির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার নির্বাচন করছেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে। এ আসনে নৌকার প্রার্থী বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে নির্বাচন করছেন তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার কন্যা অন্তরা সেলিমা হুদা। এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ। বিএনএমের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিএনপির সাবেক এমপি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-১ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও বর্তমান এমপি আব্দুর রহমানের প্রার্থিতাও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। চাঁদপুর-৪ আসন থেকে ভোট করছেন বিএনএমের মহাসচিব ড. মো. শাহজাহান। নৌকার প্রার্থী হিসেবে বর্তমান এমপি শফিকুর রহমানও ভোটে রয়েছেন এ আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। সরকার ও সরকারি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনএমের মহাসচিব ও মুখপাত্র ড. মো. শাহাজাহান কালবেলাকে বলেন, ‘এটা বিএনএমের ক্ষেত্রে না। সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতার প্রশ্নই আসে না। হয়তো সরকারের শরিক (১৪ দল) বা অন্য কারোর ক্ষেত্রে এটা হতে পারে। আমরা প্রথম থেকেই অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চেয়ে এসেছি। সেটা হলে কোনো সমঝোতার প্রয়োজন হবে না।’ বিএনএমের প্রার্থীরা নৌকায় ভোট করতে চান— রাজনীতিতে থাকা এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা দলীয় প্রতীক নোঙ্গর-এ ভোট করছি, এটা আমাদের গর্ব। সুতরাং নৌকা চাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমাদের এ ধরনের কোনো চিন্তা-ভাবনা কিংবা সিদ্ধান্ত নেই। যদি এমন কোনো বিষয় থাকে, তাহলে সেটা আওয়ামী লীগের শরিকদের (মহাজোট) থাকতে পারে, অথবা অন্য কোনো দলেরও হয়তো থাকতে পারে।’ বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) নেতৃত্বাধীন মোর্চা ‘লিবারেল ইসলামিক জোট’ আসন্ন নির্বাচনে দলীয় ‘একতারা’ প্রতীকে ১২৩ আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিল। এদের মধ্যে ৭৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ হয়েছে। ২০ জন আপিল করেছেন। বিএসপি ও জোটের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফউদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী নিজ এলাকা চট্টগ্রাম-২ ছাড়াও ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। চট্টগ্রাম-২ আসনে তার সঙ্গে নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার। এছাড়া সেখানে ১৪ দলীয় জোটের শরিক তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীও রয়েছেন। আর ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। জানতে চাইলে শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি আমাদের দলীয় প্রতীক ‘একতারা’য় নির্বাচন করব। নির্বাচন কমিশন কথা দিয়েছে, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। প্রত্যাশা করি, কমিশন তার কথা রাখবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আমাদের ২৫ জনের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী আছেন। সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

নৌকার মাঝি রনজিৎ সরকারের সমর্থনে মোটরসাইকেল শোডাউন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ আসনে (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট রনজিৎ সরকারকে স্বগত জানিয়ে বড় শোডাউন করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জ শহর থেকে মোটরসাইকেলের একটি বিশাল শোভাযাত্রা শুরু হয়। পরে ৪০ কিলোমিটার রাস্তা প্রদক্ষিণ করে তাহিরপুর উপজেলা সদর বাজারে এসে শেষ হয়। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারও নেতাকর্মী অংশ নেন। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় রনজিৎ সরকার বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অটুট রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করার কোনো বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার সফল বাস্তবায়ন করতে শেখ হাসিনাকেই আবারও বিজয়ী করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের উন্নয়ন হয়। সকল নেতাকর্মী যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়কে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, বিজয়ের প্রতীক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক, বাঙালি জাতিস্বত্তার প্রতীক, বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, শেখ হাসিনার প্রতীক। তাই তিনি নৌকার বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সর্বস্থরের জণগণের প্রতি আহ্বান জানায়। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আলী মর্তুজা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর খোকন, এখলাছুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন, বাদাঘাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
৩০ নভেম্বর, ২০২৩

ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত লালমনিরহাট-৩ আসনের নৌকার মাঝি
জেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হলেন লালমনিরহাট-৩ আসনের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত নৌকার মাঝি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান।  সোমবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজার এলাকায় গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেতাকর্মীরা।  এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন বাদল, গোলাম মোস্তফা স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানসহ আওয়ামী লীগের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ঢাকা থেকে তিস্তা সড়ক সেতুতে পৌঁছালে সেখানেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেতারা। ২০০১ সাল থেকে দীর্ঘ ২৩ বছর পর লালমনিরহাট সদর-৩ সংসদীয় আসনে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় একক প্রার্থী দেওয়া হলো। এর মধ্য দিয়ে দুই দশক পর মহাজোটের গ্যাঁড়াকল থেকে বেরিয়ে এলো আওয়ামী লীগের নৌকার মাঝি। এই আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের মহাজোটের এমপি ছিলেন। এর আগে রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ দলীয় একক প্রার্থী দেওয়ার খবরে বাধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার খবর শোনার পরেই আনন্দ মিছিল বের করেন তারা। একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ উল্লাস করেন নেতাকর্মীরা। উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের মনোনয়নের দাবিতে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে লালমনিরহাটের তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সভা, সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলন করে আসছিলেন।
২৮ নভেম্বর, ২০২৩

পারিবারিক সূত্রে নৌকার মাঝি
উপমহাদেশের রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশেও উত্তরাধিকারসূত্রের রাজনীতি সেই ধারাবাহিকতারই ফসল। দলীয় মনোনয়নে প্রভাব বিস্তারও এই ঐতিহ্যের অংশ। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে উত্তরাধিকার সূত্রে কয়েক ডজন আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্যদের ছেলেমেয়ে, স্বামী-স্ত্রী, ভাইবোন ও নিকটাত্মীয়। নির্বাচনে পৃথক আসন থেকে পিতা-পুত্র ও শ্বশুর-জামাতাও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ভোটে লড়বেন। আবার কেউবা দাদা ও নানার পারিবারিক সূত্রে পেয়েছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। জানা গেছে, পারিবারিকভাবে মনোনয়ন পেয়ে উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে রাজনীতিতে টিকে থাকেন, অনেকে হারিয়ে যান। আসন্ন নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে অন্তত ৭৬ প্রার্থীর অনেকেই রাজনীতির পাশাপাশি পারিবারিক ধারাবাহিকতায় মনোনয়ন পেয়েছেন। ভোটের রাজনীতিতে পরিবারের ভূমিকাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেই দলীয় মনোনয়নে ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দেয় ক্ষমতাসীন দল। অন্যদিকে, অনেকে নিজ থেকেই মনোনয়ন দৌড় থেকে সরে গিয়ে তাদেরই স্বজনদের নৌকার টিকিট নিশ্চিত করেছে। গত রোববার দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ২৯৮টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা উইনেবল অ্যান্ড ইলেক্টেবল যারা, তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। আমাদের যে ক্যাটাগরি আছে, এর মধ্যে যারা পড়েনি, তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। মনোনয়নপ্রাপ্তদের অনেকে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন, আবার অনেকে এবারই প্রথম নৌকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। নতুনদের মধ্যে বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা মনোনয়ন পেয়েছেন। সংরক্ষিত নারী আসনের এ সংসদ সদস্য একাধারে প্রয়াত আওয়ামী লীগের এমপি গোলাম সবুরের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর খালাতো বোন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের জামাতা তৌহিদুজ্জামান যশোর-২ আসনে নৌকার প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। চারজন সংসদ সদস্য নিজের আসন ছেলের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সরে গিয়ে ছেলে মাহাবুব উর রহমান রুহেলকে চট্টগ্রাম-১ আসনে প্রার্থী করেছেন। রংপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান ছেলে রাশেক রহমানের জন্য এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রার্থী হননি। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের ছেড়ে দেওয়া আসনে ছেলে মাজহারুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা-৭ আসনে হাজী সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ময়মনসিংহের আওয়ামী লীগ রাজনীতির বটবৃক্ষ ও সিংহপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত মতিউর রহমানের আসনে (ময়মনসিংহ-৪) নৌকার প্রার্থী হয়েছেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে ছোট মনির লড়বেন নৌকার প্রার্থী হিসেবে, তার শ্বশুর শাজাহান খান লড়বেন মাদারীপুর-২ আসন থেকে। শাজাহান খানের বাবা আসমত আলী খান মাদারীপুরের এমপি ছিলেন। আওয়ামী লীগের টিকিটে গাজীপুর-৩ থেকে পাঁচবারের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা প্রয়াত রহমত আলীর মেয়ে রুমানা আলী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছেন। নোয়াখালী-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি আয়েশা ফেরদাউসের স্বামী সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী। সিরাজগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও বর্তমান এমপি মেরিনা জাহান কবিতার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম। পাবনা-৪ আসনের পাঁচবারের সংসদ সদস্য সাবেক ভূমিমন্ত্রী প্রয়াত শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে গালিবুর রহমান শরীফ গালিবকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন পঞ্চগড়-২ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন, তার বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম এ আসনে চারবারের এমপি ছিলেন। দিনাজপুর-২ থেকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌকার প্রার্থী। তার বাবা প্রয়াত আবদুর রউফ চৌধুরী আওয়ামী লীগ থেকে এমপি ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। দিনাজপুর-৩ থেকে মনোনীত প্রার্থী ইকবালুর রহিমের বাবা প্রয়াত আবদুর রহিমও আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য ছিলেন। দিনাজপুর-৬ থেকে নৌকার প্রার্থী শিবলী সাদিকের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান ফিজুও সংসদ সদস্য ছিলেন। লালমনিরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য করিমউদ্দিন আহমেদের ছেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ আবারও নৌকা মনোনয়ন পেয়েছেন। রংপুর-২ আসনে আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরীর চাচা আনিসুল হক চৌধুরী এমপি ছিলেন। গাইবান্ধা-২ আসনের দলীয় প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার বড় বোনের নাতনি মাহবুব আরা গিনি। গাইবান্ধা-১ আসনের নৌকা মনোনীত প্রার্থী আফরুজা বারী প্রয়াত এমপি মন্জুরুল আলম লিটনের বড়বোন। বগুড়া-১ আসনের সাহাদারা মান্নান প্রয়াত সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের স্ত্রী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল প্রয়াত সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন আহমদের ছেলে। নওগাঁ-৫ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আবদুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিল জন, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া ওমর ফারুক চৌধুরীর মামা জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান। সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্ত বর্তমান এমপি তানভীর শাকিল জয়ের বাবা সাবেক এমপি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিম, তিনি জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর দৌহিত্র। সিরাজগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন জান্নাত আরা হেনরী। তিনি সাবেক এমএনএ ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত মোতাহার হোসেন তালুকদারের পুত্রবধূ। সিরাজগঞ্জ-৫-এ বর্তমান এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডলের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ মণ্ডল। পাবনা-২ আসনের নৌকার মাঝি আহমেদ ফিরোজ কবির প্রয়াত সংসদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিনের ছেলে। মেহেরপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের বাবা প্রয়াত মোহাম্মদ সহিউদ্দিন ছিলেন সাবেক এমপি। কুষ্টিয়া-৪ আসনের এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের দাদা গোলাম কিবরিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও এমপি ছিলেন। তার চাচা আবুল হোসেন ও চাচি সুলতানা তরুণও সংসদ সদস্য ছিলেন। ঝিনাইদহ-২ আসনের তাহজীব আলম সিদ্দিকীর বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত নুরে আলম সিদ্দিকীও ছিলেন সংসদ সদস্য। ঝিনাইদহ-৩ আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সামরিক সচিব সালাহ্ উদ্দীন মিয়াজী। তিনি একই আসন থেকে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত মঈনউদ্দীন মিয়াজীর ছেলে। যশোর-৫ আসনের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ফের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তার বড় ভাই পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। নড়াইল-১ আসনে মনোনীত বি এম কবিরুল হক মুক্তির বাবা প্রয়াত এখলাস উদ্দিন আহম্মেদ যশোর-১২ আসেনর সংসদ সদস্য ছিলেন। বাগেরহাটের-১-এর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী শেখ হেলাল উদ্দীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাতিজা। শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময় বাগেরহাট-২ আসনের নৌকার প্রার্থী। বাগেরহাট-৩ আসনের হাবিবুন নাহার খুলনার বর্তমান মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী। খুলনা-২ আসনের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে। সাতক্ষীরা-৪ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আতাউল হক দোলন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এক ফজলুল হকের ছেলে। ভোলা-২ আসনের প্রার্থী আলী আজম মুকুল দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা। সাবেক সংসদ সদস্য এম এম নজরুল ইসলামের ছেলে ভোলা-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। ঝালকাঠি-২ আসনে বর্ষীয়ান নেতা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪-দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফা। টাঙ্গাইল-৬ আসনের আহসানুল ইসলাম টিটু সাবেক এমপি হাজি মকবুল আহমেদের ছেলে। টাঙ্গাইল-৭ আসনের প্রার্থী খান আহমেদ শুভ সাবেক এমপি ফজলুর রহমান ফারুকের ছেলে। জামালপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের বাবা সাবেক এমপি আব্দুল মালেক। ময়মনসিংহ-১ আসনের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত প্রমোদ মানকিনের ছেলে। ময়মনসিংহ-২ আসনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বাবা সাবেক সংসদ সদস্য ও ভাষাসংগ্রামী প্রয়াত শামসুল হক। ময়মনসিংহ-১০ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য প্রয়াত আলতাফ হোসেন গোলন্দাজের ছেলে ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল। নেত্রকোনা-৪ আসনের প্রার্থী সাজ্জাদ হাসানের বাবা প্রয়াত আখলাকুল হোসাইন আহমেদ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ছিলেন। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের নৌকার মাঝি সৈয়দা জাকিয়া নূর জাতীয় চার নেতার অন্যতম বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও দলের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের ছেলে। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে আরেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন। মানিকগঞ্জ-৩ আসনে জাহিদ মালেক স্বপনের বাবা জাতীয় পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঢাকা-৬ থেকে মনোনীত সাঈদ খোকনের পিতা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সাবেক সংসদ সদস্য। গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের বোন। গাজীপুর-৫ আসনের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির বাবা প্রয়াত ময়েজউদ্দিন সাবেক সংসদ সদস্য। নরসিংদী-৩ থেকে মনোনীত ফজলে রাব্বি খানের পিতা রবিউল আউয়াল খান কিরন আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত যিনি ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য ছিলেন। তার পিতা প্রয়াত আবুল হাসনাতও এমপি ছিলেন। সাবেক জাতীয় পরিষদের সদস্য এ কে এম শামসুজ্জোহার ছেলে শামীম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। রাজবাড়ী-১ আসনের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীর বাবা ছিলেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য কাজী হেদায়েত হোসেন। ফরিদপুর-২ আসনের প্রার্থী শাহদাব আকবর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দলের সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে। মাদারীপুর-১ আসনের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরীর পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু পরিবারের আত্মীয় ও সাবেক সংসদ সদস্য। শরীয়তপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আবদুর রাজ্জাক এমপির ছেলে নাহিম রাজ্জাক। সিলেট-১ আসনে এ কে আব্দুল মোমেনের ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। হবিগঞ্জ-২ আসনে ময়েজউদ্দিন রুয়েলের বাবা সাবেক এমপি শরীফ উদ্দিন। হবিগঞ্জ-৪ আসনের মাহবুব আলীর বাবা আসাদ আলীও এমপি ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের নৌকার মাঝি আনিসুল হকের বাবা প্রয়াত সিরাজুল হক সাবেক এমপি। কুমিল্লা-৪-এ রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের বাবা এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সী ছিলেন জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের এমপি। চট্টগ্রাম-২ আসনের এমপি প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনির পিতা সাবেক এমপি প্রয়াত রফিকুল আনোয়ার। চট্টগ্রাম-৩ আসনের মাহফুজুর রহমানের বাবা মুস্তাফিজুর রহমান সাবেক এমপি। চট্টগ্রাম-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী এবিএম আবুল কাশেম মাস্টারের ছেল এসএম আল মামুন। চট্টগ্রাম-৬ তে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বাবা প্রয়াত ফজলুল কবির চৌধুরী পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বাবা প্রয়াত এমপি আখতারুজ্জামান চৌধুরী। কক্সবাজার-৩ আসনে সাইমুম সরওয়ার কমলের বাবা প্রয়াত ওসমান সরওয়ার চৌধুরীও এমপি ছিলেন। কক্সবাজার-৪ আসনের প্রার্থী শাহীন আক্তার স্বামী সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ৭১ জন বাদ পড়েছেন, প্রতি নির্বাচনেই কিছু প্রার্থী বাদ পড়েন। এবার আগে থেকেই বলা হয়েছিল, যারা জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে গেছেন বা যে কোনো কারণে বিতর্কিত হয়েছেন তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। সে কারণে এবার অনেক বেশি প্রার্থী বাদ পড়েছে। বাদ পড়াটা স্বাভাবিক। সেখানে কে মন্ত্রী বা বড় নেতা এটি বিষয় নয়।
২৮ নভেম্বর, ২০২৩

জিল্লুর রহমানকে নৌকার মাঝি হিসেবে পেয়ে মৌলভীবাজারে আনন্দের বন্যা
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।  সোমবার (২৭ নভেম্বর) ও গতকাল মৌলভীবাজার সদর এবং রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল করেন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। তাদের মতে, একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেওয়ায় খুশির বন্যা বইছে। তবে সবচেয়ে বেশি খুশি রাজনগর উপজেলার মানুষ। স্বাধীনতার পর এ উপজেলা থেকে কেউ এমপি নির্বাচিত হননি। যার কারণে উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল রাজনগর। এবার তারা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়ার আশা দেখছেন। রাজনগরের উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান খান বলেন, আমার জননেত্রীর কাছে রাজনগরে এমপি চেয়েছিলাম। নেত্রী আমাদের উপহার দিয়েছেন। আমাদের ৫০ বছরের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। কোণঠাসার রাজনীতি থেকে অনেক কিছু মুক্ত হয়েছে। মৌলভীবাজার ও রাজনগরের মানুষ কী পরিমাণ খুশি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর জন্য চিরকৃতজ্ঞ। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ১৯৭৮ সালে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কামারচাক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্র‍য়াত আব্দুল মছব্বির। সেই সুবাধে ছোটবেলা থেকেই গণমানুষের রাজনীতির সাথে বেড়ে ওঠা। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম কাচ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান যুক্তরাজ্যের সিআইএস থেকে এমবিএ, বিএসসি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেছেন। খুব কম সময়ে নিজের দক্ষতায় বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য তরুণ উদ্যোক্তা হয়ে উঠেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংকের নগর ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা হিসেবে। মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান আবাহনী সমর্থক ফোরামের চেয়ারম্যান, প্রতিভা বিকাশ বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান, শেখ রাসেল ইনডোর স্টেডিয়ামের প্রতিষ্ঠাতা, আব্দুল মছব্বির ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশ ব্লাইন্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক। এ ছাড়া তিনি গোপালগঞ্জ চন্দ্র দিঘলিয়ার রাবেয়া আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও মৌলভীবাজারের রাজনগরের তারাপাশা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণসমূহ- বইয়ের পৃষ্ঠপোষক ও প্রকাশক। এ ছাড়াও শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা। জিল্লুর রহমানের ভাই রাজনগরের কামারচাক ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান। আরেক ভাই জিয়াউর রহমান মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য। কুলাউড়ার সাবেক সংসদ সদস্য প্রবীণ রাজনীতিবিদ আব্দুল জব্বারের মেয়ে তার ভাইয়ের স্ত্রী। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশনের অংশ হিসেবে আমি মৌলভীবাজার ও রাজনগরকে একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এই এলাকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে আমার মূল লক্ষ্য। এজন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছেন। আমি আমার নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের দোয়া ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার মাঝি অধ্যাক্ষ মহিব্বুর রহমান মুহিব
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন অধ্যক্ষ মুহিব্বুর রহমান মুহিব। রোববার (২৬ নভেম্বর) চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা ঘোষণা করা হয়।  এর মধ্যে পটুয়াখালী-৪ আসনে বর্তমান এমপি ও সাবেক অধ্যক্ষ মুহিব্বুর রহমান মুহিবের নাম ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা হওয়ার পরপরই কলাপাড়া, মহিপুর, কুয়াকাটা ও রাঙ্গাবালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।  কত কয়েক দিন ধরেই চা টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনাই ছিল কে হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নৌকার মাঝি। স্বভাবতই এই আসনটি বাংলাদেশে এখন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এখানে বর্তমানে চলমান সরকারের বড় বড় প্রজেক্ট চলমান থাকায় গুরুত্ব বেড়েছে।  স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, মুহিব স্যার পাওয়ার যোগ্য। তিনি কোনো দুর্নীতি করেন নাই এবং তা করতে পছন্দ করেন না। এলাকা থেকে সালিশি বাণিজ্য শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছেন। যিনি যোগ্য তিনিই নৌকার মাঝি হয়ে এসেছে।  অধ্যক্ষ মুহিব্বুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ধরে রেখেছি। আবারও এ আসনটি তাকে উপহার দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। আমি আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে অন্যায় অবিচার দূর করে সাম্যের সমাজ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় দিন ৩০ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

রাজশাহী-৬ আসনে নৌকার মাঝি শাহরিয়ার আলম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এতে আবারও রাজশাহী-৬ (চারঘাট -বাঘা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন আলহাজ মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো নৌকার মাঝি হলেন তিনি। রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ২৯৮ সংসদীয় আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নাম ঘোষণা শুরু হয়। ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বাঘা উপজেলা এবং ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার নিয়ে গঠিত চারঘাট উপজেলা। এ নিয়েই রাজশাহী-৬ আসন। ৫৭তম সংসদীয় আসন থেকে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন পেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। এর আগে ৩ বার মনোনয়ন পেয়ে প্রতিবারই নৌকা প্রতীকে জয় পেয়েছেন তিনি।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার মাঝি ডা. আজিজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।  এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ- তাড়াশ) আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ডা. মো. আব্দুল আজিজ। তিনি এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য।  ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয়লাভ করেন অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ। তিনি পেশায় একজন ডাক্তার এনং শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ। তিনি কাজ, রাজনৈতিক প্রোগ্রাম বা জনসভাতেও এলাকার শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাই আব্দুল আজিজ জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধি ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। তিনি তাড়াশ উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। এই আসনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৪ হাজার ২৬৭ জন। অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, বিগত নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে কাজ করেছি। নির্বাচনে এলাকার উন্নয়নে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার সব গুলোই বাস্তবায়নে কাজ করেছি। আগামীতে চলনবিলকে একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনাও হাতে রয়েছে।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩
X