নেপাল অধিনায়কের সঙ্গে কেন তর্কে জড়ান তানজিম?
ক্রিকেট মাঠে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া নতুন কিছু নয়। প্রায় পেস বোলারদের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়ান ব্যাটাররা। তেমনইভাবে সোমবার (১৭ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালের অধিনায়কের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়িয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেলের দিকে আগ্রাসী ভঙ্গিতে এগিয়ে যান তিনি। জবাবে রোহিতকেও কিছু একটা বলতে দেখা গেছে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নজর কেড়েছে নেপাল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোণঠাসায় ফেললেও হেরে যায় এক রানে। বাংলাদেশের ব্যাটারদেরও সমস্যা ফেলেন নেপালের বোলাররা। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। কিংসটাউনের উইকেটে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। পরে অবশ্য নেপালি ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরান বাংলাদেশের বোলাররা। তানজিম হাসান সাকিবের বল সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয় নেপালিকে। চার ওভারের দুটিতে আদায় করেছেন মেডেন। ২১টি ডট বল করে গড়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রেকর্ড। মাত্র ৭ রানে শিকার করেছেন চার উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। A sensational spell of fast bowling earns Tanzim Hasan Sakib the @aramco POTM award #T20WorldCup | #BANvNEP pic.twitter.com/73WTyuQDs8 — ICC (@ICC) June 17, 2024 বোলিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে বডি ল্যাঙ্গুয়েজেও আগ্রাসী ভাবছিল তার। তাইতো প্রতিপক্ষের অধিনায়কের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বাদানুবাদে। নেপালের ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ঘটনা এটি। সেই ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে নেপালের দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান তানজিম। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসায় পড়া নেপালকে পথ দেখাতে ব্যাটিংয়ে নামেন দলপতি রোহিত। সেই ওভার শেষ করে রোহিতের উদ্দেশে আগ্রাসী ভাবে কিছু বলতে দেখা যায় ডানহাতি এই ফাস্ট বোলারকে। রোহিতও পাল্টা জবাব দিতে দিতে এগিয়ে যান তানজিমের দিকে। অগ্রাসী মনোভাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুজন মুখোমুখি অবস্থায় দাঁড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই দুজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তপ্ত অবস্থা দেখে দুই আম্পায়ারও এগিয়ে আসেন পরিস্থিতি সামলে নিতে। দ্রুত এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। নিজের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে রোহিতের উইকেট শিকার করেন তানজিম। এতে তার আগ্রাসী মনোভাব আরও বেড়ে যায়। রোহিতের উইকেট শিকারে বুনো উল্লাসে মেতে ওঠেন তিনি। যেন দুজনের লড়াইয়ে বিজয়টা তারই হয়েছে। তার মতই নেপালের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশও। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর বোলারদের দাপটে নেপালকে মাত্র ৮৫ রানে গুঁড়িয়ে দেয় টাইগাররা। ২১ রানের ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে ম্যাচ শেষে নিজের এবং টপ অর্ডারের ব্যর্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শান্ত।
১৭ জুন, ২০২৪

ঈদের ভোরে শান্তদের নেপাল চ্যালেঞ্জ
আটলান্টিকের নীল জলে ভেসে বেড়াচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। সহধর্মিণীর ক্যামেরায় হাস্যোজ্জ্বল সে ছবিকে ফ্রেমবন্দি করে রেখেছেন বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। ছবির ক্যাপশনে তাসকিন লিখেছেন, ‘মোমেন্ট’। শুধু তাসকিনই নন, দলের খেলোয়াড় থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফের সদস্যরাও ক্রুজে চড়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন নীল সমুদ্রে। শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জেতার পর বাংলাদেশ কতটা স্বস্তিতে, সেটা দলের এমন ফুরফুরে চেহারাতেই প্রকাশ পাওয়ার কথা। এবার সে স্বস্তি নিয়েই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবেন তারা। আগামীকাল ভোর সাড়ে ৫টায় রোহিত পাউডেলের দলের বিপক্ষে সুপার এইটের ওঠার চ্যালেঞ্জে নামবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেইল গ্রাউন্ড বাংলাদেশের জন্য ভাগ্যবান ভেন্যু বললে ভুল হওয়ার কথা নয়। শুধু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিতেছে বলেই নয়। এ মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। সেই সুখকর স্মৃতি বাড়িয়ে দিতে পারে এবার নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ। জিতলেই কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে জায়গা করে নেবেন শান্ত-তাসকিনরা। তবে কোনো অঘটনের শিকার হলে তাকিয়ে থাকতে হবে এক ঘণ্টা পরই শুরু হওয়া শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকে। যদিও প্রতিপক্ষ হিসেবে নেপাল বাংলাদেশের চেয়ে ঢের পিছিয়ে। কিন্তু সংস্করণটা টি-টোয়েন্টি বলেই কি না একটু চ্যালেঞ্জ থেকেই যায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের খেলার অভিজ্ঞতা বলতে শুধু একটি ম্যাচ। সেটাও আবার ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সেবার অভিজ্ঞতাটা ভালো হয়নি রোহিত পাউডেলদের। অবশ্য সে দলে রোহিত ছিলেনও না। ওই ম্যাচটিতে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের জয় এনে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এবারও বাংলাদেশের একাদশে থাকছেন সাকিব। সর্বশেষ ডাচদের বিপক্ষে খেলা ম্যাচে ব্যাট হাতে দারুণ এক ইনিংসে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এবার সে ছন্দকে কতটা এগিয়ে নিতে পারেন, সেটাই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ বলতে টপ অর্ডারই। বিশ্বকাপে পরপর তিন ম্যাচেই ব্যর্থ টপ অর্ডার ব্যাটাররা। বিশেষ করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ফর্ম দিন দিন দুশ্চিন্তার কারণ হওয়ার কথা টিম ম্যানেজমেন্টের। এবার তার ছন্দে ফেরাটা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তি বয়ে দেওয়ার মতো হবে। একই সঙ্গে লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিমেরও দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তাকিয়ে থাকবে টিম টাইগার্স। তবে বোলিংয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন তাসকিন, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেনরা। নেপালকে ভয়ের কারণ হওয়ার একটা কারণ হতে পারে, তাদের সর্বশেষ ম্যাচের ফল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১১৫ রানে আটকে দিয়ে ইতিহাসের খুব কাছেই ছিল তারা। শেষ দুই বলে ২ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে ১ রানে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে না পারলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ কিছুর ইচ্ছা রোহিত পাউডেলের, ‘আমরা টেস্ট খেলুড়ে দেশকে হারাতে চাই। আজ (শনিবার ভোরে) হয়নি, আগামী ম্যাচে সেটা করতে চাই। যেই আত্মবিশ্বাস পেলাম সেটা ধরে রাখতে চাই।’ আর সাকিব বলেছিলেন, ঈদের দিন নেপালের বিপক্ষে জিতে দেশবাসীর ঈদ আনন্দ বাড়িয়ে দিতে চান তারা।
১৬ জুন, ২০২৪

নেপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনবে সরকার
নেপাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে সরকার। এই বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের জন্য ব্যয় হবে ৮ টাকা ১৭ পয়সা।  মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে পণ্য ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ জলবিদ্যুৎ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে।  বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মাহমুদুল হোসাইন খান।  তিনি বলেন, ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসবে এই বিদ্যুৎ। ভারত হয়ে আসবে বলে ভারতকে ট্রেডিং মার্জিন হিসেবে ইউনিট প্রতি দশমিক ০৫৯ রুপি এবং ট্রান্সমিশন খরচও দিতে হবে। তবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। এই বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ৫ বছরের জন্য ৬৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।  জানা গেছে, গত বছরের মে মাসে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী নেপালের ত্রিশুলি প্রকল্প থেকে ২৪ মেগাওয়াট এবং অন্য একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৬ মেগাওয়াটসহ মোট ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। ভারত হয়ে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে এ বিদ্যুৎ আসবে। গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ খাত উন্নয়ন ও আমদানি’ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বসে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ওই কমিটির প্রধান ছিলেন। বৈঠকে আ হ ম মুস্তাফা কামাল নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ট্যারিফ জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, নেপাল থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম দেশে কয়লাভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুতের দামের তুলনায় কম পড়বে। 
১১ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা / নেপাল থেকে এক আসামি ধরেছে কলকাতা সিআইডি : ডিএমপি কমিশনার
ভারতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলার আরেক আসামিকে নেপাল থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা সিআইডি। এর আগে গ্রেপ্তার জিহাদসহ কলকাতা সিআইডির কাছে দুজন আসামি ধরা পড়ার বিষয় নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।  শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।  তিনি বলেন, কলকাতা সিআইডি এই হত্যা মামলাটি তদন্ত করেছে। তাদের কাছে দুজন আসামি আছে। একজনকে তারা নেপাল থেকে নিয়েছে। আরেকজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে। নেপাল থেকে কলকাতা সিআইডি কোন আসামি গ্রেপ্তার করেছে তার নাম বলেননি কমিশনার। তবে দেশের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, নেপাল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম সিয়াম।   আনার হত্যার বিচার কোন দেশে হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে ঘটনা সংঘটিত হয় সেখানেই তদন্ত হয়। এটি একটি সেট রুল। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের আইনেও বলা আছে, বিদেশি যদি কেউ অপরাধ করে থাকে সেক্ষেত্রে সেই অপরাধীকে আমরা বাংলাদেশে এনে বিচার করতে পারি....। আমরাও তদন্ত করছি, তারাও (কলকাতা) তদন্ত করছে। একপর্যায়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে যেকোনো জায়গায় এই বিচারটি হতে পারে। সংসদ সদস্য আনার হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে মোট পাঁচজন আসামি গ্রেপ্তার আছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে। বাকি দুজন কলকাতায়।  বাংলাদেশে গ্রেপ্তাররা হলেন- আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া, তানভীর ভুঁইয়া ও শিলিস্তি রহমান। ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন জিহাদ ও আরেকজন।
০৭ জুন, ২০২৪

ক্যাচ মিসের মাশুল দিল নেপাল
ক্রিকেটের খুবই পুরোনো একটি কথা, ‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’। এই কথার মর্ম হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে নেপাল। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ লুফে নিতে না পারায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেপালিদের। অন্যদিকে ৬ উইকেটের জয়ে শুভ সূচনা হলো নেদারল্যান্ডসের। বাংলাদেশের গ্রুপের দুই দলের ম্যাচ। স্বাভাবিকভাবেই টাইগার সমর্থকদের কিছুটা আগ্রহ ছিল ম্যাচটিকে ঘিরে। বিশেষ করে ক্রিকেটে নতুন নেপাল কেমন খেলে, সেটাই যেন জানার ছিল অনেকের। এতে অনেকের খুশি হওয়ার কথা। কারণ ডি-গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১৯ ওভার ২ বলে মাত্র ১০৬ অল আউট হয় নেপাল। জবাবে শুরুতে দুই উইকেট হারালেও ৮ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নেয় ডাচরা। এ জয় টাইগারদের জন্য অনেকটা সর্তকবার্তার মতো। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে একই গ্রুপের দল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। মঙ্গলবার (৪ জুন) ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে নেমেছিল নেপালিদের দল। এক কথা নেপালি সমর্থকে পরিপূর্ণ ছিলো গ্যালারি। এরপরও উজ্জীবিত হতে পারেননি নেপালের ব্যাটাররা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে স্কোর বোর্ডে জমা করে মাত্র ১০৬ রান। যদিও অল্প রান নিয়ে ডাচদের চেপে ধরেছিল তারা। ক্যাচ মিসের সঙ্গে সহজ রান আউট মিস করায় হারতে হলো তাদের।
০৫ জুন, ২০২৪

নেপাল থেকে ফিরে আনার হত্যার নতুন তথ্য দিলেন ডিবিপ্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সিয়াম কাঠমান্ডু পুলিশের হাতে আটক রয়েছেন। তাকে কোথায় পাঠাবে নেপাল তা এখনই বলা যাচ্ছে না।  সিয়ামকে ভারতে বা বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (৪ জুন) নেপাল থেকে ফিরে এসে শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। ডিবির হারুন বলেন, কিছু বিষয় বিবেচনা করে নেপাল সিদ্ধান্ত নিবে সিয়ামকে কোথায় পাঠানো হবে।  তবে কোথায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং কাকে হত্যা করা হয়েছে, এসব বিষয় বিবেচনা করে আটক সিয়ামকে ভারত বা বাংলাদেশকে নেপাল দিতে পারে। তবে ভারতের সঙ্গে নেপালের চুক্তি রয়েছে। ভারতকে দিলেও আমাদের তদন্তকাজ বাধাগ্রস্ত হবে না। তিনি আরও বলেন, সিয়াম যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এবং এমপি আনারের বন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীনের সবচেয়ে কাছের মানুষ। এ অবস্থায় ভারতীয় পুলিশের কাছে সিয়ামকে দিলে তাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারসহ তদন্তকাজ এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে। সিয়ামের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, আমাদেরকে আনঅফিসিয়ালি জানানো হয়েছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। এ ছাড়া সেখানকার যে সব হোটেলে সিয়াম ছিল সে সবের ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। পরে কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় ভারতীয় পুলিশ। তারপর থেকে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।  
০৪ জুন, ২০২৪

ঢাকা নয়, আবারও নারী সাফের আয়োজক নেপাল
২০২২ সালে নেপালে অনুষ্ঠিত হয় নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে স্বাগতিকদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয় সাবিনা-সানজিদারা।  এরপর থেকে পরের আসরে সম্ভাব্য আয়োজকের তালিকায় ছিল বাংলাদেশের নাম। নিজের আগ্রহের কথা সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে (সাফ) জানায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে ঢাকা নয়, নারী সাফের আয়োজক হিসেবে আবারও নেপালকে বেছে নিয়েছে সাফ। এ বছর অক্টোবরে কাঠমান্ডু বসবে নারী সাফের নতুন আসর।  বাংলাদেশের সঙ্গে নারী সাফে আয়োজক হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিল ভুটান। সোমবার (৩ জুন) সাফের সভায় বাংলাদেশ ও ভুটানকে বাদ দিয়ে নেপালকে আয়োজক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৭ দলের অংশগ্রহণে আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে সাফের। ফাইনাল হওয়ার কথা ৩০ অক্টোবর।  শেষ করা যায়নি ৫ বছর আগে শুরু হওয়া বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ। ভেন্যুর সংকট  থাকলেও বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় সাফ আয়োজনের কথা জানিয়েছিলেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তাতে রাজি হয়নি সাফ। ফ্লাইট নিয়মিত না থাকায় বিবেচনায় আসেনি ভুটানও।  এদিকে, সব কিছু বিবেচনা করে নেপালকে আবারও আয়োজক করার কথা জানিয়েছেন সাফের সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
০৩ জুন, ২০২৪

এমপি আনার খুন নেপাল থেকে সিয়ামকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় নেপালে আটক সিয়াম হাসানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে ধারণা করছেন তদন্তকারীরা। ওই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন ঢাকার গোয়েন্দারা। এজন্য শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা। পাশাপাশি ঢাকার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গতকাল শনিবার সকালে নেপাল গেছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের এখনো সুনির্দিষ্ট কারণ উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। কারণ এই সিয়াম হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত আক্তারুজ্জামান শাহীনের সহকারী। শাহীন যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন, তাকে ফেরানো অনেকটা অসম্ভব। ভারতের মাধ্যমে ফেরানো গেলেও সময়সাপেক্ষ। তাই সিয়ামই এখন তদন্তকারীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই অনেকটা তড়িঘড়ি করে গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির তিন সদস্যের দল কাঠমান্ডু যায়। ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ফ্ল্যাটে আনারকে খুনের সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না আক্তারুজ্জামান শাহীন। ১৩ মে আনারকে খুন করা হলেও ১০ মে শাহীন দেশে ফিরে আসেন। সবকিছু দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় এ সিয়ামকে। লাশ গুমের দায়িত্বও ছিল সিয়ামের হাতে। তা ছাড়া হত্যার মিশন বাস্তবায়নের পর শাহীন ফের ভারতে গেলে এই সিয়ামকে সঙ্গে করে নেপালে চলে যান তিনি। খুনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকাতেই মাস্টারমাইন্ড শাহীন তার সহকারী সিয়ামকে নেপালে আত্মগোপনে রেখে নিজে দুবাই হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ওই কর্মকর্তা বলেন, শাহীনের বাড়ি ঝিনাইদহে। হত্যায় জড়িত অন্যদের বাড়িও একই এলাকায়। শুধু সিয়ামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে। এই ব্যক্তি শাহীনের সহকারী যুক্ত হলো কীভাবে, শাহীন তার ওপর এতটা নির্ভর করে কেন—এসব প্রশ্নের জবাবও দরকার। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য, ডিভাইস পরীক্ষা এবং অন্যান্য আলামতের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। আসামিরা খুনের কারণ সম্পর্কে যে তথ্য দিচ্ছে, তা ঠিক, নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে হয়তো নতুন তথ্য বের হবে। ডিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, এমপি আনারের সঙ্গে কী নিয়ে শাহীনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বগুলো ছিল, তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া স্বর্ণ পাচার ও সীমান্তে চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ এবং এসব ক্ষেত্রে আরও কিছু নাম এসেছে গণমাধ্যমে। এর সবকিছুই তদন্তের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এদিকে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মূল হত্যাকাণ্ড যেহেতু ভারতে, মূল মামলাও ভারতে হয়েছে। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিবিনিময় চুক্তি আছে। তাই ভারতই এ হত্যাকাণ্ডের মূল তদন্ত করবে। আমাদের দেশে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলে আমাদের পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করত। তারা (ভারত) আমাদের সম্পৃক্ত করলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। গতকাল নেপালে যাওয়ার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, ‘ইদানীং বাংলাদেশের অনেক সন্ত্রাসী কাঠমান্ডুকে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে (আনার হত্যার) যে মদদদাতা শাহীন, সে-ও আমরা দেখেছি, কাঠমান্ডুর মাটিকে ব্যবহার করে অন্য দেশে চলে গেছে। আরও অন্যান্য আসামি সম্পর্কে কিন্তু আমরা এ ধরনের তথ্য পাচ্ছি। এ ছাড়া আগেও অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আমরা দেখেছি ওইখানে থাকে। তদন্তের কাজেই মূলত আমরা কাঠমান্ডু যাচ্ছি। আমরা নেপাল পুলিশের সহযোগিতা চাই। ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান হারুন বলেন, ‘ইন্টারপোলকে আমরা চিঠি দিয়েছি। ইন্টারপোলের মাধ্যমে আমরা কাঠমান্ডু পুলিশকে জানিয়েছি। এখানে সিয়ামসহ বেশ কয়েকজন আসামি, তারা কেউ চলে গেছে, কেউ আছে। এই বিষয়গুলো তাদের আমরা অবহিত করেছি। তারা যদি থাকে, তাদের যেন তারা গ্রেপ্তার করে, এটা আমরা অনুরোধ করছি।’
০২ জুন, ২০২৪

এমপি আনার হত্যা / তদন্তে এবার নেপাল যাচ্ছেন ডিবিপ্রধান হারুন
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনা তদন্তে এবার নেপাল যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শনিবার (১ জুন) সকাল ৯ টার ফ্লাইটে তিনি নেপাল যাচ্ছেন বলে ডিবি সূত্র জানিয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ মে) মধ্যরাতে ডিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে জানান, এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্ত সংক্রান্ত কাজে ডিবিপ্রধান নেপাল যাচ্ছেন। এ জন্য শনিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে পূর্ব নির্ধারিত একটি প্রেস ব্রিফিং বাতিল করা হয়েছে। তবে ডিবিপ্রধানের সঙ্গে অন্য কোনো সদস্য যাচ্ছেন কি না এবং তিনি কবে ফিরবেন, তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ওই কর্মকর্তা। আনার খুনের তদন্ত কাজ শেষ করে গত বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে দেশে ফেরেন ডিবিপ্রধান হারুন।  গত ১৩ মে আনারকে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীবা গার্ডেনসের একটি ফ্লাটে খুন করা হয়। তার দেহ টুকরা টুকরা করে গুম করা হয়। এতে কলকাতা পুলিশ দেহাংশের হদিস করতে পারছিল না। অবশ্য কলকাতায় হত্যা মিশন বাস্তবায়ন করে প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূইয়াসহ কয়েকজন দেশে ফিরে আসে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ঢাকার ডিবি। এরপরই হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন হয়। গুম করা লাশের অংশ লুকানোরও তথ্য পান ডিবি কর্মকর্তারা। এরপরই কলকাতায় ছুটে যান হারুনসহ তিন গোয়োন্দা কর্মকর্তা। ঢাকা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের তথ্যে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে কলকাতা পুলিশ লাশের টুকরা মাংস উদ্ধার করে। এই মাংস এমপি আনারের বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানালেও তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে এখন ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে।  কলকাতায় এমপি আনার খুন হলেও ঢাকার পুলিশের তৎপরতা এবং তদন্তে দ্রুত সাফল্য পাওয়ায় ঢাকার গোয়েন্দা দল নিয়ে এরই মধ্যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ইতিবাচক আলোচনা চলছে। হঠাৎ করে নেপালে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, এমপি খুনের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন নেপাল হয়ে আমেরিকায় পালিয়েছে বলে তথ্য রয়েছে। তা ছাড়া সিয়াম নামে সন্দেহভাজন এক অভিযুক্ত নেপালে আটক হয়েছেন বলেও খবর রয়েছে। এসব বিষয়ে তদন্ত কাজের অংশ হিসেবে ডিবিপ্রধান নেপাল যাচ্ছেন।
০১ জুন, ২০২৪

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় নেপাল
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালিতে চলমান ১০ম ওয়ার্ল্ড ওয়াটার ফোরামের সাইডলাইনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এবং নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেত এর মধ্যে বৈঠক হয়েছে।  মঙ্গলবার (২১ মে) বিকালে অনুষ্ঠিত এ দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।    বৈঠকে বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এ সময় নেপালের মন্ত্রী বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) প্রি-পেইড মিটারের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেচ প্রযুক্তির প্রশংসা করেন এবং এ প্রযুক্তিটি নেপালের কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি জানান, নেপালের একটি প্রতিনিধদল সম্প্রতি বরেন্দ্র অঞ্চলে সরেজমিনে প্রযুক্তিটি পরিদর্শন করেছে। নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের বিনিয়োগ কামনা করেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানিসম্পদ ও সেচমন্ত্রী শক্তি বাহাদুর বাসনেত এবং ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে বলেও জানান তিনি। এসব বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ। এ ছাড়াও এ বছর রোপা আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে ৪০ কোটি ০৪ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হবে। দেশের ৬১টি জেলার ৫ লাখ ৬৬ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন। এ প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য রোপা আমন ধানের উচ্চফলনশীল (উফশী) জাতের প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সরকারি আদেশ ইতোমধ্যে জারি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শীঘ্রই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
২২ মে, ২০২৪
X