বৃষ্টির মধ্যেও সমাবেশস্থলে বিএনপির নেতাকর্মীরা
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি। এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং মঞ্চ নির্মাণ শেষ হয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই সমাবেশস্থলে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে দেখা গেছে সমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পিকআপের ওপর অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। টাঙানো হয়েছে ব্যানার। শনিবার (২৯ জুন) দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ইতোমধ্যে সমাবেশ স্থলে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিসংবলিত পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টা থেকে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। ইতোমধ্যে আমরা সমাবেশের জন্য চিঠি পুলিশ কমিশনারের দপ্তরে পাঠিয়েছি। বিএনপির একটি প্রতিনিধিদলও পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। তিনি আরও বলেন, সমাবেশ সফল করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে সমন্বয়ক করে পর্যায়ক্রমে নানা প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। ইতোমধ্যে সমাবেশ সফল করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। 
২৯ জুন, ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন / চট্টগ্রামে ভোটের মাঠে সক্রিয় বিএনপি নেতাকর্মীরা
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটে নেই বিএনপির কোনো নেতাকর্মী। তারপরও চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভোটের মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি ও যুবদলের অনেক নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীদের নিয়ে মাঠে সরব রয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয় না-এ ধরনের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে দলটি। বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে দলের নেতাকর্মীদের ভোটের মাঠে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়াকে ষড়যন্ত্র ও নাশকতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রার্থীরা। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ‘বিএনপি ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে নির্বাচন ও সরকারবিরোধী প্রচার চালাচ্ছে। তারপরও অন্তত ২০-৩০ জন নেতা বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষ হয়ে মাঠে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কৌশলে সরকারবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছে। নির্বাচনে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার কৌশল হিসেবে মাঠে নেমেছে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।     শুক্রবার (২৪ মে) দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা ও বোয়ালখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র আবুল কালাম আবুসহ চারজনকে দলের সব ধরনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা বিএনপি। ১৯ মে যুবদলের তিন নেতা কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে যুবদল।  দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান জানান, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে যারা অংশ নেবে তাদের কোনো ছাড় নেই। প্রাথমিকভাবে চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরও যারা নির্বাচনী মাঠে যাবে তাদেরও ক্ষমা করা হবে না।’ যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র হাজি আবুল কালাম আবু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক সুজন, সদস্য রেজাউল করিম রেজা মুন্সি, সারোয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি জহির আহমদ।  গত ১৯ মে যুবদলের তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা যুবদল। এর মধ্যে বোয়ালখালীর মোহাম্মদ সিরাজ ও আবদুল্লাহ আল মামুন জুয়েল। আনোয়ারা আবদুল আজিজ।  দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যুবদলের তিনজনের অংশগ্রহণে প্রমাণ পাওয়ায় কারণ দর্শানো চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি জবাব পাওয়ার পর সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিএনপি নেতা আবুল কালাম আবুর ছোট ভাই শফিউল আলম শফি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শফি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আবু ভাইয়ের পক্ষে মাঠে কাজ করছেন। আবু ছেলে জুয়েলকেও যুবদলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  আবুল কালাম আবু বলেন, ‘জেলার নেতাকে জেলা কীভাবে অব্যাহতি দিতে পারে। এটা দলের গঠনতন্ত্র মতো হয়নি। জেলার নেতাকে অব্যাহতি দেবে কেন্দ্রীয় কমিটি।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘শুধু চারজনকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হলো। ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পক্ষে অন্তত ২০ জন নেতা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মাঠে কাজ করছে। শুনেছি, যারা অব্যাহতি দিয়েছে, তারাও নাকি রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করেছেন। মাঠে তাও প্রচার রয়েছে।’ চারজনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিনভর আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর বিএনপি নেতা মাহমুদুল হক, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পৌরসভা বিএনপির সদস্য জাহাঙ্গীর মাস্টার, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজম খানসহ অন্তত ২০ জন নেতা মাঠে সক্রিয় রয়েছে। আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নির্বাচনে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির দুই নেতা বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটুট রয়েছে বিএনপি। শুধু দলের নেতাকর্মী নন, সাধারণ জনগণের মধ্যেও এ নির্বাচনকে ‘অহেতুক এবং সাজানো ও পাতানো’ উল্লেখ করে ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
২৫ মে, ২০২৪

নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে জড়ো হচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করছে বিএনপি। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের। আর সভাপতিত্ব করবেন দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে অংশ নিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় থেকে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করেছে। বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যে কোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।  গত বছরের ২৮ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এরপর থেকে দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি পালন করে বিএনপির। তবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে এ বছরের প্রথম সমাবেশ করছে দলটি।
১০ মে, ২০২৪

জাল ভোটারের ছবি তোলায় সাংবাদিককে পেটালেন আ.লীগ নেতাকর্মীরা
সিলেটে জাল ভোটারের ছবি তুলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকদের মারধরের শিকার হয়েছে সাংবাদিক। আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিকের সমর্থকরা এ মারধর করে। আহত সাংবাদিক বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া সম্পাদক রেজা রুবেল। জানা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হন তানজিদ আহমদ (১৯)। তিনি স্থানীয় কান্দিগাঁও এলাকার জসীম উদ্দিনের ছেলে। এ সময় তার ছবি তুলতে গেলে আওয়ামী লীগ নেতার সমর্থকরা সাংবাদিককে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে জাল ভোটার তানজিদ প্রিসাইডিং অফিসারের কক্ষে আটক আছে। প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে জাল ভোট দিতে আসলে এক যুবককে আটক করে দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট। সাংবাদিকের ওপর হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরে কে বা কারা হামলা করেছে সেটা আমার জানা নেই। কেন্দ্রের ভেতরে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটার দায় আমি নেব।
০৮ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / মন্ত্রী-এমপির স্বজন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এবারও প্রার্থী
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপেও হাইকমান্ডের নির্দেশনা অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন ও বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কঠোর নির্দেশনার পর এ ধাপে কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপির ভাই, বোন ও ভগ্নিপতি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অন্যদিকে, বহিষ্কারের হুঁশিয়ারির পরও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির ডজনখানেকেরও বেশি স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল তৃতীয় ধাপের ভোটের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। এ ধাপে ১১২টি উপজেলায় ১ হাজার ৫৮৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন। এ ধাপে ৫টি পদে একক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন (পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া ও যশোরের অভয়নগর) এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন (চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সুনামগঞ্জের ছাতক ও পিরোজপুরের ভাণ্ডরিয়া)। ফলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের পথে রয়েছেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা। সূত্র জানায়, এ ধাপে চেয়ারম্যান পদে সর্বোচ্চ ১০ জন করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নওগাঁর রাণীগঞ্জ, রংপুরের গঙ্গাচড়া ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বগুড়া সদরে সর্বোচ্চ ১৬ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে পটুয়াখালী সদরে ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৫ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ও ১২ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে। ভোটগ্রহণ ২৯ মে। কিছু কিছু উপজেলায় মন্ত্রী এমপিদের আত্মীয়স্বজনকে একক প্রার্থী করতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেওয়া হয়। মাঠ পর্যায়ের নানা অভিযোগের পর দলের মন্ত্রী এমপিদের আত্মীয়স্বজনের অংশগ্রহণ একরকম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। নির্দেশনা না মানলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা বলাও হয়। তবে এ হুঁশিয়ারি কোনো কাজে আসেনি। অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর এবারের উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি; কিন্তু দলের নির্দেশনা অমান্য করে স্থানীয় অনেক নেতাই এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং হচ্ছেন। মন্ত্রী-এমপির স্বজন: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহিদের ছোটো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল, ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদের ভাতিজি জামাই এবং ভোলা-২ আসনের এমপি আলী আজম মুকুলের ভগ্নিপতি আখতার হোসেন, মিঠামইনে এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের ফুফু আছিয়া আলম, মঠবাড়িয়ায় এমপি শামীম শাহনেয়াজের ভাই ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, ভাণ্ডারিয়ায় এমপি মহিউদ্দিন মহারাজের ভাই মিরাজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির যারা জমা দিলেন সিলেটের বিয়ানীবাজারে বিএনপি সমর্থক জাকির হোসেন, লালমোহনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব (বহিষ্কৃত) আখতারুজ্জামান টিটু, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়াজ মাহমুদ লিংকন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে শফিউল আলম জনি, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় নারী ভাইস চেয়ারম্যন পদে সাটুরিয়া উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মুন্নি আক্তার, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য মুনিমুর রহমান, দোয়ারাবাজারে বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধা, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তিলাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম ফরিদুল হক শাহিন শিকদার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া রায়পুরা উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পনির হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন কালবেলার স্থানীয় প্রতিনিধিরা।
০৩ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজন দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানা এলাকায় তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মধ্যে খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিকবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার প্রমুখ। রিজভী বলেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। আমরা কোনো জুলুম-নির্যাতনের কাছে মাথানত করব না।
০৩ মে, ২০২৪

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে : রিজভী
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি নেতারা হতাশ বা ক্লান্ত নয়, তারা কেউ দেশ ছেড়ে যাচ্ছে না। দেশ ছেড়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও তাদের স্বজনরা।  বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বাড্ডা থানার উদ্যোগে উত্তর বাড্ডা এলাকায় প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্যালাইন ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন প্রমুখ। রিজভী বলেন, শত নিপীড়নেও বিএনপি নেতারা রাজপথে আছে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে। মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে।  তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকসহ ব্যাংক লুট করে, হলমার্ক কেলঙ্কোরি করে, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে টাকা লুটপাট করে আওয়ামী লীগ নেতারা ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা মালয়েশিয়া, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ায় সেকেন্ড হোম তৈরি করে তাদের স্ত্রী-সন্তানদের, আত্মীয়স্বজনদের সেখানে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমরা তো আছি জেলে আসা-যাওয়ার মধ্যে। শত নিপীড়নেও রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। দেশে ভয়াবহ দুর্বিষহ অবস্থা চলছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ এক মাসের মতো দেশে খরা চলছে, অগ্নিপ্রবাহ চলছে, নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। কিন্তু শ্রমজীবী মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকার কিছুই করেনি।  পক্ষান্তরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান খাল খনন, নদী খনন, বৃক্ষরোপণ, সেচব্যবস্থাসহ যেসব কল্যাণমূলক কাজ করেছিল সেগুলো সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। রিজভী আরও বলেন, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ সেচের জন্য পানি পাচ্ছে না। সবকিছুর জন্য ডামি সরকারই দায়ী।  আমিনুল হক বলেন, শহীদ জিয়ার কর্মসূচি ছিল খাল খনন কর্মসূচি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিসহ কল্যাণমূলক কর্মসূচি যদি বাস্তবায়ন হতো তহালে আজকের পরিস্থিতি হতো না। আজকে বাংলাদেশের মানুষ সে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে সেদিকে আওয়ামী সরকারের কোনো খেয়াল নেই। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়।  এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ জি এম শামসুল হক, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, উত্তর বিএনপি’র সদস্য তহিরুল ইসলাম তুহিন, সদস্য জাহাঙ্গীর মোল্লা, ছাত্রদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মিশু, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হামিদ, বিএনপি নেতা আবদুল কাদের বাবু, এমদাদুল হক এমদাদ, এম এ বাশার, দিপক কুমার দাস, আবুল কাশেম, বরকত আলী, আব্দুর রশিদ, ছাত্রদল নেতা আশরাফুল আসাদসহ নেতারা।
০২ মে, ২০২৪

ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখল ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা
কক্সবাজারের টেকনাফে নাছির উদ্দিন নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।  সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে টেকনাফ হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  ছাত্রলীগ নেতা নাছির উদ্দীন হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক। হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলের ডেইল এলাকার বাসিন্দা তিনি। ছাত্রলীগ নেতা নাছির উদ্দীন বলেন, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম আওয়ামী লীগকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেন। সেটি আমার চোখে পড়লে তার পোস্টের কমেন্টে প্রতিবাদ জানাই। এরপর সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। আমি সেটি খুব সাধারণভাবেই নিয়েছিলাম। তিনি বলেন, আমার ছোট বোনের বিয়ের দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলাম। হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়ায় পৌঁছানো মাত্র ছাত্রদলের ১০-২০ জন আমার গতিরোধ করে মারধর করতে শুরু করে। আমাকে বাঁচানোর জন্য একজনও এগিয়ে আসেনি। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, একজন ছাত্রলীগ নেতাকে একটি স্টেশনের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার চেয়ে জঘন্য আর কিছু হতে পারে না। ঘটনা শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ সময় অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আমরা এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।  জানতে চাইলে হ্নীলা ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি হাফেজ নূর কামাল বলেন, ওনি বর্তমান ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে নেই, আগের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ছিলেন। খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়ে কিছু জানি না। টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. ওসমান গণি কালবেলাকে বলেন, আমি শুনেছি ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে তর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি নিজেই সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
০১ মে, ২০২৪

নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম
বিএনপির নেতাকর্মীরা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় বিএনপির এক অসুস্থ নেতাকে দেখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।  গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশি হামলায় মারাত্মক আহত হয়ে দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪১নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি জামান মল্লিককে দেখতে তার বাসায় যান মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তারা অসুস্থ জামানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।  এ সময় আব্দুস সালাম বলেন, আন্দোলন চলমান আছে। জামানও এ আন্দোলনের শিকার। সরকারের পেটুয়া বাহিনী একাধিকবার জামান মল্লিকের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ রকম হাজারো জামান মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। আজকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও তারা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা মৃত্যুকে জয় করতে শিখেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে তারা শহীদ হতে প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, আজকে সাজানো মামলায় নেতাকর্মীদের জেলে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীরা হাসিমুখে জেলে যাচ্ছেন। জেল নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা নেই। তাদের চিন্তা ও চেতনা জনগণকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দেওয়া। আর এই মুক্তির আন্দোলনে নেতাকর্মীদের যে মনোবল আমরা দেখেছি, সেই মনোবলই আগামীতে আমাদের যুদ্ধে জয়ী হবার বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সাত্তার, সদস্য (দপ্তরের দায়িত্বে থাকা) সাইদুর রহমান মিন্টু, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তা, ৪১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরহাদ হোসেন মুকুল, ৩৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহফুজার রহমান মনা, ওয়ারী থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কে এস টমাস, গেন্ডারিয়া থানার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ঢালী মামুনুর রশীদ অপু, ৪০নং ওয়ার্ড সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিবর্ণ ঈদ পালন করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা : রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকারের গুম, খুন, জুলুম নির্যাতনে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঈদ আনন্দ আজ বিবর্ণ বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় কাফরুল থানা বিএনপির উদ্যোগে দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, একদিকে ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে দিনযাপন করছে বিএনপি নেতাকর্মীরা অন্যদিকে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে আওয়ামী বাকশাল। তিনি বলেন, দেশকে পরনির্ভরশীল করে তুলছে ক্ষমতাসীনরা। গণতন্ত্র বঞ্চিত দেশের মানুষ ভোট দিতে পারে না। সাধারণ মানুষ গণতন্ত্রের পক্ষে বলেই ৯৮ ভাগ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। রিজভী বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চলছে ১৭ বছর ধরে। সবকিছুকে উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচি পালন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। দুঃসময় পার করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপি করা পরিবারের সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত। সবার বাড়িতে কোনো না কোনো শোকের মাতম। শোকাবহ পরিস্থিতি বিরাজমান বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে। আওয়ামী লীগ লুটপাট করছে দেশের অর্থনীতি। বিদেশে পাচার করছে টাকা। তিনি বলেন, অভাবে হাটে গিয়ে সন্তান বিক্রি করছে বাবা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। গোটা দেশকে পরনির্ভরশীল করার জন্য কত চিৎকার। গণতন্ত্র বঞ্চিত দেশের মানুষ, ভোট দিতে পারে না। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে আওয়ামী সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এ আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ও তাদের প্রত্যাশা তোয়াক্কা না করে এক তরফা ডামি নির্বাচন করেছে। আমিনুল হক বলেন, যে দেশে জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না, অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকা এ আওয়ামী সরকারের দেশে প্রতিনিধিত্ব করাও যোগ্যতা তাদের নেই। কাফরুল থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হকের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মন্টুর সঞ্চালনায় ও থানা বিএনপির সদস্য ওয়াহিদ আলমের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য হাজী মো. ইউসুফ ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিএমএ রাজ্জাকসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
১০ এপ্রিল, ২০২৪
X