বৃষ্টি উপেক্ষা করে সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাতে বৃষ্টি। এমন পরিস্থিতি উপেক্ষা করে সমাবেশ শুরু হয়েছে। তবে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়।  এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শেষ হলে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। তাদের হাতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন রয়েছে। দুপুর ১টার দিকে বৃষ্টি থামার পরপরই শুরু হয় মঞ্চের প্রস্তুতি। এরপরই বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছোট ছোট মিছিল, বর্ণিল টুপি, প্ল্যাকার্ড ও পোস্টারসহ সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গত বুধবার তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। ঢাকায় আজকের সমাবেশের পাশাপাশি আগামী ১ জুলাই সব মহানগরে এবং ৩ জুলাই সব জেলায় সমাবেশ করবে দলটি।
২৯ জুন, ২০২৪

শেখ হাসিনার জনসভায় নেতাকর্মীদের ঢল
নারায়ণগঞ্জ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে এ কে এম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মাঠে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে ঢল নেমেছে নেতাকর্মীদের।  বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন মিছিল নিয়ে। দুপুর আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আজকের জনসভা হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার মধ্যেই পুরো মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।  জনসভা কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। তারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরে এখন সাজসাজ রব। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন নেতাকর্মী, সমর্থকরা।   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচনী জনসভাকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা, মতবিনিময় সভা ও বৈঠক করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল
আজ ২৮ অক্টোবর। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবি আদায়ের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোরেই নয়াপল্টনের সড়ক দখল করে নিয়েছে নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের মিছিল, স্লোগানে মুখরিত হয়েছে গোটা নয়াপল্টন এলাকা।   শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন। তাদের হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা শোভা পাচ্ছে। এরই মধ্যে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পল্টন থানা পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। গত ১৮ অক্টোবর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  ওই মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  সরকার পতনের একদফা দাবি ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।  মির্জা ফখরুল বলেন, আংশিক কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করব। এই মহাসমাবেশ থেকে আমাদের মহাযাত্রা শুরু হবে। তিনি বলেন, ২৮ তারিখের মহাসমাবেশের পর আমরা আর থামব না। টানা কর্মসূচি চলবে। অনেক বাধা বিপত্তি আসবে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে অশান্তির এ সরকারের পতন ঘটাব আমরা। শুক্রবার রাতে ২০ শর্তে বিএনপিকে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশ এর যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। ৪. দুপুর ১২টার পূর্বে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না। ৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেন্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না। ৮. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/ শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। ১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশ এর সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে। ১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোন সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না। ১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোন বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না। ১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না। ১৪. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না। ১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। ১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। ১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রডসদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। ১৮. আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। ১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে। ২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩

বিএনপির গণমিছিলে নেতাকর্মীদের ঢল
সরকারের পদত্যাগ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আবারও গণমিছিল করছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি পৃথকভাবে এ কর্মসূচি পালন করছে। ইতোমধ্যে দুই মহানগরীর কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারা। গত বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। আজকে হবে একদফা আন্দোলনের ষষ্ঠ কর্মসূচি। যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোটগুলোও নিজ নিজ অবস্থান থেকে রাজধানীতে গণমিছিলের কর্মসূচি পালন করবে। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গণমিছিলটি রামপুরাস্থ বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু হয়ে আবুল হোটেল-মালিবাগ রেলগেট-মৌচাক-মালিবাগ মোড়-শান্তিনগর-কাকরাইল মোড়-নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হবে। অন্যদিকে দক্ষিণ বিএনপির গণমিছিল কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে পীরজঙ্গি মাজার-আরামবাগ- ফকিরাপুল মোড় হয়ে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হবে। দুটি গণমিছিলই দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হবে ৪টার পর। এর আগে গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলন ঘোষণার পর এ পর্যন্ত বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো ঢাকায় পদযাত্রা, মহাসমাবেশ, ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান, গণমিছিল ও কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি করে।
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বৃষ্টি উপেক্ষা করে আগারগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঢল
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসছেন আগারগাঁওয়ের পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও মোনাজাতে অংশ নেন।  সেখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সুধী সমাবেশ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানী ও বাইরের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসছেন।  এ এলাকায় দুপুর ১২টার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়।  দুপুর পৌনে ১টার দিকে এখানে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে নেতাকর্মীদের গাছের নিচে ও দোকানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।  মেট্রোরেলের লাইনের নিচে অবস্থান নিতে দেখা গেছে অনেককে। নেতাকর্মীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের ভাষণ শুনতে এত দূর থেকে এসেছি। সকালে ঢাকায় এসেছি। নেতাকর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন। তবে একটি স্বস্তির বিষয় হলো নতুন উড়ালসড়কের জন্য রাজধানীর যানজট কম হবে।    শেরেবাংলা নগরের একটি ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ইশতিয়াক হোসেন তিতাস বলেন, নিজের খেয়ে আওয়ামী লীগ করি।  ঝড়-বৃষ্টি আমাদের কাছে কিছুই না। এটি রাজধানীবাসীর জন্য বড় একটি উপহার। যানজট আর মানুষের ভোগান্তি দূর হবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। রাজধানীর বাসিন্দা আজাদ বলেন, অনুষ্ঠানে এসেছি।  আসার পরই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।  দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নাই, একদম ভিজে গেছি।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দয়াগঞ্জে বিএনপির গণমিছিলে নেতাকর্মীদের ঢল
অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিলে দয়াগঞ্জ মোড় ও আশপাশে অসংখ্য নেতাকর্মীর ঢল নেমেছে।  জুমার নামাজের পর নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গণমিছিলে জড়ো হচ্ছেন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর দয়াগঞ্জ থেকে গণমিছিল শুরু করার কথা থাকলে অবস্থা সংশ্লিষ্টরা জানান বিকেল ৪টায় তা শুরু হবে। ওই গণমিছিল সায়েদাবাদ ব্রিজ, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, গোলাপবাগ, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির হয়ে খিলগাঁও, শাজাহানপুর, ফকিরাপুল হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হবে। এতে নেতৃত্ব দিবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতারা। এ ছাড়াও একই সময়ে গুলশান ২ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি গণমিছিল শুরু করবে। এটি গুলশান-১, তিতুমীর কলেজ হয়ে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হবে। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ মহানগর উত্তর বিএনপির নেতারা। পৃথক দুটি গণমিছিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতারাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেবেন। গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো যুগপৎভাভে এক দফার ঘোষণা দেয়। এই একদফার মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এরপর তারা ২৮ জুলাই যুগপৎভাবে ঢাকায় মহাসমাবেশ ও ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি এবং ঢাকায় গত ১১ আগস্ট গণমিছিল করেছে।
১৮ আগস্ট, ২০২৩

নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল
আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে বিএনপির মহাসমাবেশ। শুক্রবার (২৮ জুলাই) বেলা ২টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অথচ এর আগে থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল পড়েছে নয়াপল্টনে। নেতাকর্মীরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে রাতভর নয়াপল্টনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইল মসজিদের সামনে থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক হয়ে ফকিরাপুল পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে শুরু করে মালিবাগ, মৌচাক, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, বিজয়নগর পানির ট্যাংকসহ নয়াপল্টনের আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান করছেন নেতাকর্মীরা।  আজ ভোর থেকেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে আসছেন নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা আসছেন। যদিও তাদের অভিযোগ রয়েছে ঢাকার প্রবেশে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। সেই বাধা উপেক্ষা করে হেঁটে হেঁটে তারা নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন। বগুড়া থেকে আসা বিএনপির এক কর্মী বলেন, আসতে কষ্ট হলেও মহাসমাবেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। গতকাল রাতেই বের হয়ে এসেছি, সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না। আরও পড়ুন : আজ বিএনপির সঙ্গে মাঠে থাকছে আরও ৩৭ দল এদিকে আজ শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে তারা। রাজনৈতিক এই দুই দলের সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাজধানীতে ২৩ শর্তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন ও বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমাবেশের অনুমতি দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
২৮ জুলাই, ২০২৩
X