যেখানে ভোট দেবেন কাজী জাফরউল্লাহ ও নিক্সন চৌধুরী
ফরিদপুর-৪ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ হেভিওয়েট প্রার্থী ভোট দেবেন ভাঙ্গা উপজেলায়। এ আসনটি তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন)। দুজনই ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা ও ভোটার।  আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দলীয় কো-চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ তার এলাকা কাউলিবেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৮টায় ভোট প্রদান করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার ভাই কাউলিবড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আহসানুল্লাহ উজ্জ্বল। এই কেন্দ্র চারটি গ্রাম (কাউলিবেড়া, নিশ্চিন্তপুর, পটিয়া ও কামারকান্দা ) নিয়ে গঠিত। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩২৬৮। এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন তার মার্কা ঈগল পাখি। তিনি সকাল আটটায় প্রথমে ভোট দেবেন তার এলাকা আজিমনগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার পিএস আবুল বাশার। এই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৬৪৬ ভোট। কেন্দ্রটি ব্রাহ্মণপাড়া ৯ নং ওয়ার্ডের অংশ। এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত-এ- খুদা জানান, আমরা ভাঙ্গা উপজেলার এক পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে ৯৯টি কেন্দ্রের মালামাল এরইমধ্যে পৌঁছে দিয়েছি। তবে ব্যালট পেপার নির্বাচনের দিন সকালে প্রতি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। আমাদের নির্বাচনের সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সব শ্রেণির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নিয়োজিত রয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৪৮।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

ডিসি-এসপিকে হুঁশিয়ার করলেন নিক্সন চৌধুরী
ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে কাউলিবেড়ার ব্রাহ্মন্দি এলাকায় নির্বাচনী পথসভা করেন। এতে তিনি বলেন, ‘ডিসি-এসপি সাহেবকে বলব, কাজী জাফরউল্লাহকে সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা কইরেন না। কারণ, আমরা কিন্তু জনগণের শক্তিতে অনেক শক্তিবান মানুষ। আমরা ডাক দিলে ১, দেড় লাখ, ২ লাখ লোক রাস্তায় নাইমা আসতে সময় লাগে না। তিনি আরও বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসার ডিসি সাহেবকে ফোন দিয়েছিলাম আমার গাড়ির সামনে লাঠি মিছিল, রামদা দিয়া মিছিল- এইগুলা একটু ব্যবস্থা নেন। ২৫ ইউনিয়ন আর এক পৌরসভায় আর যদি একটা ঘটনা এ রকম ঘটে যে আগুন জ্বলবে সে আগুন কিন্তু নিভাইতে পারবেন না।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান স্বপন, লিটু মোল্লা প্রমুখ।
০৪ জানুয়ারি, ২০২৪

স্বতন্ত্র মনোনয়নপত্র জমা দিলেন নিক্সন চৌধুরী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন) আসনে তৃতীয়বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের অর্থ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান কাউসার হোসেন ও চরভদ্রাসন  উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার আলী মোল্লা। এর আগে তিনি তার প্রয়াত বাবা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদাভাই) কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এমপি নিক্সন চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গা, সদরপুর, চর চরভদ্রাসনের জনগণের সমর্থন নিয়েই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এ আসনে ৪০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি আমি ১০ বছরে তার চেয়ে অনেক উন্নয়ন করেছি। আশা করি জনগণ আমার উন্নয়নের মূল্যায়ন করবেন। আমি ১শ ভাগ আশাবাদী জনগণ আমাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে হ্যাটট্রিক বিজয়ী করে আমার ফুপুকে (শেখ হাসিনা) উপহার দেবেন। এদিকে এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, ভাঙ্গার বারবার নির্বাচিত এমপি নিক্সন চৌধুরীর জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আমরা তিন উপজেলার চেয়ারম্যান ও আরেক আওয়ামী লীগ নেতা উপস্থিত ছিলাম।
২৯ নভেম্বর, ২০২৩

বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে, আর মাত্র ৭ দিন : নিক্সন চৌধুরী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, আমাদের নেত্রী চাচাকে নির্বাচন পরিচালনাকারী কমিটির  কো-চেয়ারম্যান করেছেন ৪৫ দিনের জন্য। প্রধানমন্ত্রী যোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য জাগায় দিয়েছেন যেখানে লেখালেখি ছাড়া, আর সারা বাংলাদেশের নির্বাচনী খবরাখবর নেওয়া ছাড়া তার আর কোনো কাজ নাই, এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার মানেই প্রমাণিত হয় যে, বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে চাচা, আর মাত্র সাত দিন বাকি। তাই দু একজন চামচা, দালালরাই ওনার পেছনে দৌড়াদৌড়ি করছে।  শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর ভাঙ্গা বাজার বাসস্ট্যান্ড বালুর মাঠে (নতুন টার্মিনাল) ভাঙ্গা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ পরিবারের উদ্যোগে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও দেশবিরোধী হরতালের প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নিক্সন চৌধুরী বলেন, ইনশাল্লাহ আর মাত্র ৭ দিন বাকি, যা হবে খেলা তাই দেখা যাবে। অনেকে অনেক কথা বলেন, আমি মনে করি সম্মানী ব্যক্তি যে আছেন তিনি ১০ বছর পরে আসছেন এমপি হতে। ১০ বছরে এ দেশের মানুষ খাইল না মরল, না বাইচা গেল কোনো খবর নাই, কিন্তু উনার এমপি হইতে হবে। একটা গান আছে, তোমরা যে যা বলো ভাই- আমার সোনার হরিণ চাই, যাই হোক চাচার এমপি হইতে হবে। তিনি আরও বলেন, সামনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব, যারা উন্নয়ন করেছে, যারা দেশের মানুষকে ভালোবাসে, বিগত দিনে করোনার সময় যারা ছিল, যারা মানুষের দুঃখের সময় ছিল, যারা মানুষের পাশে থাকে, অবশ্যই জনগণ তাদের ভোট দেবে এটা আমার বিশ্বাস। উঠান বৈঠকে ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে ও ফরিদপুর জেলা যুবলীগের সদস্য লাভলু মুন্সির পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো. সোবাহান মুন্সী প্রমুখ।
১৮ নভেম্বর, ২০২৩

নৌকা আমাদের, নৌকার আসল মালিক আমরা : নিক্সন চৌধুরী
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি কাজী জাফর উল্লাহর উদ্দেশ্যে কড়া সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আপনি নৌকা নৌকা করেন, নৌকা আমাদের, নৌকার আসল মালিক আমরা।’ সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে আব্দুল ওহাব ভুইয়ার বাড়িতে নির্বাচনী এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  এ সময় তিনি বলেন, ‘রাস্তায় আপনি নৌকা নৌকা করেন?  ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উনি (কাজী জাফর উল্লাহ) ১০০ তে শূন্য পেয়েছেন। এরপরেও উনি কয় নৌকা নৌকা, নৌকা কি ওনার বাপের? ১০ তারিখ নৌকা কই ছিল ? সেদিন হলুদ কাপড় পইরা আপনারা ( নিক্সন সমর্থক) ৪১° সেলসিয়াস গরমে  ৬ থেকে ৭ ঘন্টা মাঠে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনাকে দেখিয়ে দিয়েছেন ভাঙ্গার জনগণ নিক্সনকে কত ভালোবাসে। সেখানেও আমি ৯০ মার্ক পেয়ে পাস করেছি।’  উঠান বৈঠকে আব্দুল ওহাব ভুইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আশিক ইকবাল স্বপন মোল্লা। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী সোবহান মুন্সী, জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক লাভলু মুন্সি, ভাঙ্গা বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মুন্সী প্রমূখ।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

এবার নৌকার নমিনেশন চাইব : নিক্সন চৌধুরী এমপি
আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি এবার নৌকা চাইব। কারণ আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার বানিয়েছেন সারা বাংলাদেশে যুবলীগকে সুসংগঠিত করার জন্য। আমিও শেখ হাসিনার অধীনের নেতা কাজী জাফরউল্লাহ সাহেবও শেখ হাসিনার অধীনে নেতা।’ তিনি বলেন, ‘কাজী জাফরউল্লাহ যদি কোনো ষড়যন্ত্র না করে তাহলে আমি নৌকা পাব। আর যদি কোনো ষড়যন্ত্র করেন তাহলে আপনারা ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রসনের জনগণ যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই সিদ্ধান্তই আমার জীবন বাজী রেখে তাই আমি মেনে নিব।’ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভাঙ্গা উপজেলার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নিক্সন চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘আপনারা কী চান।’ তার উত্তরে জনসভার জনসাধারণ হাত উঁচু করে সমর্থন জানিয়ে প্রতিশ্রুতি দেন, আপনি যে মার্কাই নিয়ে আসবেন, সেই মার্কায়ই নির্বাচন করব।   কালামৃধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বরের সভাপতিত্বে নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফরউল্লার সমালোচনা করে বলেন, কাজী সাহেব আপনি শাহাদাতকে গালাগাল করেন, আমাকে গালাগাল করেন, আমি নাকি ১১শ’ বিঘা সম্পত্তি দখল করে নিয়েছি অথচ আমি যে চরে থাকি সেই চরেই নাই ১১শ’ বিঘা জমি। মিথ্যা কথা ছাড়েন।  তিনি বলেন, শাহাদাত ছাত্র রাজনীতি করেছে, শেখ হাসিনার জন্য জেল খেটেছেন। রাজনীতি শিখতে হলে আপনার শাহাদাতের পা ধুয়ে পানি খান তাহলে রাজনীতি শিখতে পারবেন। কারণ শাহাদাত উপজেলা চেয়ারম্যান হয়েছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি ৯ উপজেলার জনপ্রতিনিধি। আমার দাদা বাদশা খালাসী ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তারপরে আর জেলা পরিষদ আসে নাই। তারপরেই শাহাদাত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি এই মাটির গর্ব। সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। আপনি যতই গালাগাল করেন, আল্লাহ যদি সম্মান দেন তাহলে কেউ ঠেকাতে পারবে না। জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X