‘বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড় তুলতে হবে’
স্মার্ট বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড় তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। শুক্রবার (৫ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ক করেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবোকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের জীবনযাত্রার মানও উন্নয়ন করেছে। মন্ত্রী বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বলেন, বাস্তবমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধু পুঁথিগত বিদ্যা দিয়ে চাকরি বাজার এখন অনেক কঠিন। তাই তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান থাকতে হবে একইভাবে কারিগরী শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিটি স্কুলে চালু করতে হবে। এ ছাড়াও তিনি টিসিবির ব্যাপারে বলেন, ট্রাকে বা খোলা জায়গাতে না করে যাতে স্থানীয় দোকানিদের ডিলার দেওয়া যায় সেই ব্যবস্থা করার জন্য দেলদুয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে দ্রুত সময়ে তালিকা করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। দেলদুয়ার উপজেলা অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির দেলদুয়ার উপজেলা শাখার আহবায়ক দীনবন্ধু প্রামাণিকের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
০৫ জুলাই, ২০২৪

কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্সের সভা
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সম্পর্কিত জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৫তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কক্সবাজারে পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় টাস্কফোর্সের সভাপতি মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জাতীয় টাস্কফোর্সের সদস্য বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।  সভায় কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থানরত জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, যেমন- কক্সবাজার ও ভাসানচর ক্যাম্পের সমস্যা, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগনের জন্য বিশ্ব ব্যাংকের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়নসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভাপতি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন যে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের মিয়ানমারে টেকসই প্রত্যাবাসন এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। সভায় এলপিজি, খাদ্য, চিকিৎসা, পরিবার পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন সেক্টরে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে অধিকতর ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়। সভায় রাখাইনে প্রত্যাবাসন-সহায়ক পরিবেশ তৈরী করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের চলমান কর্মসূচী সম্পর্কে সংস্থাটির প্রতিনিধিগণ অবহিত করেন। এ সময় জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিলের ব্যবস্থা করার জন্য জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, ৪৫তম জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় যোগদানের পূর্বে পররাষ্ট্র সচিব কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফর করেন। তিনি সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি, দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মকান্ড, প্রত্যাবাসন কেন্দ্র ইত্যাদি পরিদর্শন করেন।
০৫ জুলাই, ২০২৪

রূপপুরে কাজাখস্তান নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলাস্থ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত এক কাজাখস্তান নাগরিককে হত্যার ঘটনায় এক বেলারুশ নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না হওয়ায় দুই বেলারুশ নাগরিককে খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ট্রেস্ট রোসেমের কর্মকর্তা মাতাভিয়েভ ভ্লাদিমির (৪৩)। তবে এ মামলা থেকে উরবানোভিচাস ভিটালি এবং ফেডারোভিচ গেনেডি নামের অপর দুই বেলারুশ নাগরিক খালাস পেয়েছেন। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ মার্চ  রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের বিদেশিদের আবাসিক এলাকা নতুনহাট গ্রিনসিটি আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে সেভেত্স ভ্লাদিমির নামের এক কাজাখস্তান নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ এবং তার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন বেলারুশ নাগরিককে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিকিমত কোম্পানির পরিচালক ভেদোরোভ ইউরি। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৭ মে তিন বেলারুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুকুল বিশ্বাস ও হেদায়েত উল ইসলাম। এছাড়াও দোভাষী হিসেবে বাদীর পক্ষে এস এম আরিফ আলম এবং আসামির পক্ষে কে এম মুরাদুজ্জামানন সহযোগিতা করেন।
২৬ জুন, ২০২৪

স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান পলকের
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।  মঙ্গলবার (২৫ জুন) তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব আহ্বান জানান তিনি।  বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে ‘ইতিহাসের গতিধারায় বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শিরোনামে প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।  জুন বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ একটি মাস উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এই মাসেই ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা’ বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৯ সালের এই জুন মাসেই বাংলার মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষায় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়।  তিনি বলেন, যেই দলের ছায়াতলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা ১৯৫২ সালে অর্জন করেছি মায়ের ভাষা বাংলা, ১৯৭১ সালে পেয়েছি সার্বভৌমত্ব ও মহান স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের সকল উন্নয়ন ও মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ পেয়েছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। পলক আরও বলেন, দীর্ঘ ৭৫ বছরের গৌরবময় পথচলার ঐতিহাসিক এই যাত্রায় সকল সংকট ও সংগ্রামে সবসময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মায়ের ভাষা ও স্বাধীনতা থেকে শুরু করে আজকের অর্থনৈতিক মুক্তি, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছুই হয়েছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা তখনই সফল হয়, যখন একটি দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে। রাজনৈতিক মুক্তি ও অর্থনৈতিক মুক্তি তখনই টেকসই হয়, যখন একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব সফল হয়। বাংলার মানুষের সেই রাজনৈতিক মুক্তির জন্য আমাদের স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু। আর বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে সফল করার লক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা। ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। 
২৫ জুন, ২০২৪

অধ্যাপক হুমায়ূন কবির হিরুর মৃত্যুতে নাগরিক শোকসভা শনিবার
সাবেক সাংসদ, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সমাজ সংস্কারক, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক হুমায়ূন কবির হিরুর মৃত্যুতে বরিশাল বিভাগ সমিতির উদ্যোগে আগামী শনিবার নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। রোববার মতিঝিল কিচেন ইয়ার্ডে বরিশাল বিভাগ সমিতির কার্যকরী পরিষদের এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলুর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুছ ছোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ (অব.) আবদুর রব হাওলাদার, সাংবাদিক কায়কোবাদ মিলন, সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (অব.) জাকির হোসেন খান, সাংবাদিক রফিকউল্ল্যা সিকদার আলো, মুক্তিযোদ্ধা নিজামউদ্দিন তালুকদার, শাহ আলম জয় প্রমুখ। নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল আগামী ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস ছালাম হলে আয়োজন হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এতে সভাপতিত্ব করবেন সমিতির উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক।
২৪ জুন, ২০২৪

‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন ঘিরে চট্টগ্রামে অস্থিরতা
কোরবানি ঈদে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চালু হওয়া ‘কক্সবাজার  স্পেশাল’  ট্রেনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ফের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বন্ধ করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজ। অন্যদিকে এ ঘোষণার পরপরই  ট্রেনটি আরও এক মাসের জন্য চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।  রোববার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) সাইফুল ইসলাম কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি আরও এক মাস চালু রাখার বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত ট্রেনটি চালানোর কথা ছিল। ট্রেনটি আরও এক মাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হবে সেইভাবেই ট্রেন পরিচালনা করা হবে। এর আগে সকালে ট্রেনটি বন্ধ হওয়ার খবরে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় চট্টগ্রাম সচেতন নাগরিক সমাজ। এ সংবাদ সম্মেলন থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ সময় কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ হলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) থেকে চট্টগ্রামে রেলপথ অচলের হুঁশিয়ারি দেন নাগরিক সমাজের নেতারা।  এ সময় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার এ কে এম সারয়ার কামাল, স্থপতি আশিক ইমরান ও নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. ইদ্রিস, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীসহ আরও অনেকেই। এ সময় বক্তারা বলেন, পর্যটন এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে দুটি ট্রেন ঢাকা থেকে কক্সবাজার গন্তব্যে নিরাপদে ও নির্ভয়ে যাওয়া আসা করছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুবিধা হয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় একটি ট্রেন বহু অনুরোধে বিশেষ ট্রেন হিসেবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার লাইনে চলাচল করছিল। এখন সেটা বন্ধ করার পাঁয়তারা চলছে। এর আগেও একবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারা আরও বলেন, প্রশাসনের দাবি, কক্সবাজারের ট্রেনে মাদক আনা-নেওয়া হয়। তাহলে সব ট্রেন বন্ধ করে দেন। যদি কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি বন্ধ করা হয় তাহলে চট্টগ্রাম থেকে কোনো ট্রেন চলতে দেওয়া হবে না।
২৩ জুন, ২০২৪

নতুন শিক্ষাক্রমে স্মার্ট ও কর্মক্ষম নাগরিক হবে
নতুন শিক্ষাক্রম স্মার্ট ও কর্মক্ষম নাগরিক তৈরি করবে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মধ্যপ্রদেশে আরবি ভাষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সে কারণে আরবিসহ বিভিন্ন ভাষা জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন দেশে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার যশোরের চৌগাছা পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েশনের আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। উদ্বোধন করেন এমপি ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহবুব আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএনও সুস্মিতা সাহা, শিক্ষামন্ত্রীর এপিএস ও পাশাপোল আমজামতলা মডেল কলেজের সভাপতি অমিত কুমার বসু, ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
২০ জুন, ২০২৪

সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতীয় নাগরিকসহ নিহত ৩
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ভোরে পাটকেলঘাটা থানার ভৈরবনগর এলাকায় ও বুধবার (১২ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোমরা স্থলবন্দরের পার্কিংয়ের ভেতরে এসব ঘটনা ঘটে। নিহত ভারতীয় নাগরিক হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বশিরহাট থানার ইটিল্ডা কলবাড়ি গ্রামের ট্রাকের সহকারী শাহীন মন্ডল (১৮)। নিহত অপর দুজন হলেন সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া গ্রামের ট্রাকচালক মনিরুল ইসলাম (৩৪) ও দেবহাটা উপজেলার  ট্রাকের সহকারী জুলফিকার আলী (৩৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের সহকারী শাহীন মন্ডল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোমরা স্থলবন্দরের পার্কিংয়ের ভেতরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। গত ৯ জুন পাথর ভর্তি ট্রাক নিয়ে তারা ঘোজাডাঙ্গা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজবিহা হোসাইন ভারতীয় নাগরিক শাহীন মন্ডলের নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এদিকে পাটকেলঘাটা থানার ভৈরবনগর এলাকায় কার্লভাটের কাছে ট্রাক খারাপ হয়ে যাওয়ায় চালক মনিরুল ইসলাম ও সহকারী জুলফিকার আলী ট্রাকের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনাগামী দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাদের দুইজনকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে গুরুতর আহত হন চালক মনিরুল ইসলাম ও সহকারী জুলফিকার। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ভারতীয় নাগরিক শাহীন মন্ডল ও সাতক্ষীরার ট্রাকচালক মনিরুল ইসলাম এবং সহকারী জুলফিকার আলী মারা যায়। ভোরে মনিরুল ইসলাম ও জুলফিকার আলীর মরদেহ তাদের স্বজনরা নিয়ে যায়। তবে ভারতীয় নাগরিক শাহীন মন্ডলের মরদেহ এখনো সদর হাসপাতালে রয়েছে। পাটকেলঘাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  
১৩ জুন, ২০২৪

চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে নিঃস্ব হচ্ছে মানুষ : নাগরিক সমাজে
চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশের অসংখ্য মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। অসংক্রামক রোগের উপদ্রব এখন বিশ্বজুড়ে। তারমধ্যে বাড়ছে না স্বাস্থ্যখাতে সরকারি বাজেট বরাদ্দ। এতে ব্যয় মেটাতে গিয়ে দেশের মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি ও সেবার পরিধি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের নেতারা।  মঙ্গলবার (১১ জুন) কারওয়ানবাজার ডেইলি স্টার ভবনে সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) ফোরাম এবং ডেইলি স্টার যৌথ আয়োজিত পাবলিক হেলথ এক্সপান্ডিচার : এ ক্রিটিক্যাল চ্যালেঞ্জ ইন এনসিউরিং হেলথ কেয়ার ইন বাংলাদেশ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। গোল টেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন ফোরামের কনভেনার ডা. সৈয়দ রুবায়েত। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যখাতে সবচেয়ে কম ব্যয় করে। চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গ্লোবাল হেলথ এক্সপান্ডিচার ডাটা বেইজ তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি দেখান, ২০২১ সালে বাংলাদেশ একজন মানুষের পেছনে গড়ে ২৬ ডলার ব্যয় করেছেন। এ সময়ে প্রতিবেশী মিয়ানমার ৪৮ ডলার ব্যয় করেছেন। পাকিস্তানও নানা সংকটের মধ্যে ৪৯ ডলার ব্যয় করেছেন। নেপালে ৭৬ ডলার, ভারতে ৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কায় ২৮৩ ডলার জনপ্রতি ব্যয় করেছেন। সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছেন মালদ্বীপ। তারা ওই বছর জনপ্রতি গড়ে এক হাজার ৪৭৯ ডলার ব্যয় করেছেন। পৃথিবীর সবচেয়ে কম সরকারি অর্থ ব্যয় করা ২০টি শীর্ষ দেশের মধ্যেও অন্যমত বাংলাদেশ। শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ সুদান। সেখানে মাথাপিছু প্রায় সাড়ে পাঁচ ডলার সরকার ব্যয় করে। এই সূচকে ২৬ ডলার ব্যয় করে বাংলাদেশও রয়েছে। কম ব্যয় করা তালিকায় থাকা অধিকাংশ দেশ আফ্রিকার। তিনি বলেন, ২০২১ সালের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এখন চিকিৎসা ব্যয়ের ৭৩ ভাগ রোগীকে বহন করতে হয়। ২০০০ সালে মোট ব্যয়ের ৬২ ভাগ রোগীকে বহন করতে হতো। এরপর প্রতিনিয়ত শুধু বাড়ছেই সূচক। অথচ আগামী ২০৩২ সালের মধ্যে আউট অব পকেট এক্সপান্ডিচার বা রোগীর ব্যয় কমিয়ে ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। এতে ধারণা করা যাচ্ছে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হয়ে যাবে। তিনি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, চিকিৎসা নিতে গিয়ে রোগীকে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হয় বিশ্বের এমন ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। সবচেয়ে বেশি রোগীকে খরচ করতে হয় আর্মেনিয়াতে। সেখানে মোট ব্যয়ের ৭৯ শতাংশ রোগীকে বহন করতে হয়। মোট ব্যয়ের ৭৩ শতাংশ রোগীকে বহন করার ভার নিয়ে এই তালিকার ছয় নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। রোগীর চিকিৎসা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে ৮ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে। এখন স্বাস্থ্য বাজেটের পরিমাণ বাড়াতে হবে। রোগীদের ঘাড় থেকে চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝা কমাতে হবে। ডেইলি স্টার বাংলার সম্পাদক গোলাম মর্তুজা বলেন, সরকারের তরফ থেকে বাজেট বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়  না কারণ তারা কেউ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন না। সামান্য অসুস্থ হলে তারা বিদেশে চিকিৎসা নেন। রাষ্ট্রের জনপ্রতিনিধি, আমরা দেশে চিকিৎসা গ্রহণ করলে চিকিৎসা ব্যবস্থার চেহারাা এতদিনে বদলে যেত। বাজেটে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভিআইপিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রা বন্ধের দাবি তুলতে হবে। কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক (স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রোগ্রাম) ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার বলেন, সারা দেশের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার স্ট্রাকচার আরও উন্নত ও সম্প্রসারিত করতে হবে। রোগী ব্যবস্থাপনা ও সেবার পরিধি বাড়াতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। তাহলে রোগীর ওপর ব্যয়ের বোঝা কমানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার একটি স্থাপনা রয়েছে। সেখানে সেবার পরিধি বৃদ্ধির বিষয়টিকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে হবে। তাহলে আউট অব পকেট এক্সপান্ডিচার কমে আসবে। প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল বলেন, রোগীর ঘাড় থেকে চিকিৎসা ব্যয়ের বোঝা কমাতে হলে বাজেট বরাদ্দের টাকা যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে। প্রতি বছর প্রায় আট হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে না স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ফলে ফেরত যায়। এমনিতে বরাদ্দ কম তার ওপর ফেরত যাওয়া অর্থ এর সঙ্গে আছে প্রচলিত দুর্নীতি। ফলে ব্যয়ের বোঝা শুধু বাড়ছে রোগীর ঘাড়ে। এই বিষয়ে মনিটরিং করতে হবে। সেইসঙ্গে সরকারি ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ইডিসিএলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। কারণ আউট অব পকেট এক্সপান্ডিচারের বেশিরভাগ টাকা ব্যয় করতে হয় ওষুধ কিনতে। বছরে বিভিন্ন সময়ে বাড়ে ওষুধের দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় ওষুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করলে ও বিনামূল্যে রোগীকে সরবরাহ করলে কমে আসবে রোগীর ব্যয়ের পরিমাণ। হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. ইশরাত জাহান বলেন, জটিল রোগে ভুগছে দেশের ৪২ভাগ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। অন্যান্য সুস্থ মানুষের চেয়ে তাদের গড় আয়ু প্রায় ১০ থেকে ২০ বছর কম। কিন্তু বাজেটে তাদের চিকিৎসা বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো বরাদ্দ কিংবা ব্যাখ্যা নেই। তাদের যথাযথ চিকিৎসা প্রাপ্তির জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করা এখন সবচেয়ে জরুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, জনসংখ্যার অনুপাতে দেশে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন মোট বাজেটের প্রায় ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। সেখানে আমরা এবছর দেখছি প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র ৫. ২ শতাংশ। মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য এই অর্থ অপর্যাপ্ত। তারপর এখানে সমস্যা হলো প্রতি বছর অর্থ ফেরত যায়। সীমিত বরাদ্দের অর্থ কাজে লাগাতে পারে না মন্ত্রণালয়। এসব কারণে সেবার ব্যাপ্তি দিনে দিনে ছোট হচ্ছে আর রোগীর ঘাড়ে বাড়ছে ব্যয়। স্বাস্থ্যসেবাকে বিস্তৃত করতে হবে প্রান্তিকে। ওষুধের সরবরাহ আরও বাড়াতে হবে। তবেই রোগীর ব্যয়ের ভার কমবে। গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাইনুল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আহমেদ এহসানুর রহমান, নারী পক্ষের প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক (স্বাস্থ্য ও পুষ্টি প্রোগ্রাম) ইখতিয়ার উদ্দিন খন্দকার, অবস্টেট্রিকেল অ্যান্ড গাইনিকোলজিকেল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি হয়েছেন অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ান, বাংলাদেশ উইমেন্স হেলথ কোয়ালিশনের (বিডব্লিউ এইচসি) নির্বাহী পরিচালক শরীফ মোস্তফা হেলাল, আরটিএমআই এর এক্সিকিউটিভ ব্রান্ড মেম্বার মাইশা কবির, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকল্প কর্মকর্তা শান্তা ইসলাম, নারী মৈত্রীর প্রোগ্রাম ম্যানেজার রেহানা আক্তার মিতা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভাপতি ডা. মাখদুমা নার্গিস, আইপিএস বাংলাদেশের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ফারহানা জেসমিন হাসান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এবং সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) লিগ্যাল স্পেশালিস্ট আয়েশা আক্তার, মেরী স্টোপস এর কান্ট্রি ডিরেক্টর কিশওয়ার ইমদাদ, ব্র্যাকের প্রোগ্রাম প্রধান ডা. ইমরান আহমেদ চৌধুরী, আইপিএএস বাংলাদেশের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ওয়াহিদা সিরাজ, সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথের অধ্যাপক কাওসার আফসানা, ওজিএসবির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. সামিরা চৌধুরী এবং আইসিডিডিআরবির সিনিয়র ডাইরেক্টর এবং  সিনিয়র সাইটিস্টি ডা. শামস এল আরেফিন প্রমুখ।
১১ জুন, ২০২৪

টেকনাফে ১৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্যসহ মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
কক্সবাজারের টেকনাফের নোয়াখালী পাড়া অস্থায়ী চেকপোস্টে  তল্লাশি অভিযানে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম  ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় জড়িত দুই মিয়ানমারের নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন মিয়ানমারের মংডু থানার মুন্নিপাড়া গ্রামের ইমান হোসেনের ছেলে মো. আলম (১৯) এবং একই এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. আয়াছ (২১)। শুক্রবার (৩১ মে) সকালে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ (বিজিবিএমএস) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে যানবাহনে মাদকদ্রব্য পাচার হতে পারে। এমন খবরে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন নোয়াখালীপাড়া নামক স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহন তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করে। কিছুক্ষণ পর শাহপরীরদ্বীপ থেকে  হাজমপাড়াগামী একটি সিএনজি চেকপোস্টের কাছে আসলে সেটি তল্লাশির জন্য থামানো হয়। পরে সিএনজিটি সিএনজির পেছনে দুইজন যাত্রীর ব্যাগ থেকে ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানান, আটককৃত আসামিদের জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইসসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
৩১ মে, ২০২৪
X