প্রথমবারের মতো মহাকাশে গেলেন তুর্কি নভোচারী
প্রথমবারের মতো মহাকাশে গেছেন তুরস্কের এক নভোচারী। গত শনিবার দেশের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখেন তিনি। এ মিশনে তিনি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের আরও তিন নভোচারী ছিলেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শনিবার ভোরে তুরস্কের প্রথম নভোচারীসহ চারজনকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায় এক্সিওম মিশন-৩-এর মহাকাশযান। সেখানে তারা দুই সপ্তাহ অবস্থান করবেন। মহাকাশে যাওয়া চার নভোচারী হলেন- মাইকেল লোপেজ আলেগ্রিয়া, ওয়াল্টার ভিলাদেই, মার্কাস ওয়ান্ড্ট এবং আলপার গেজেরাভসি। এদের মধ্যে আলপার গেজেরাভসি তুরস্কের নাগরিক। তিনি তুরস্কের বিমানবাহিনীর একজন পাইলট। এবারের মিশনটি পরিচালনা করেছে টেক্সাসভিত্তিক স্টার্টআপ সংস্থা অ্যাক্সিওম। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে ড্রাগন স্পেসক্রাফট নামক মহাকাশ যানে চড়ে মহাকাশ স্টেশনে গেছেন তারা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেন এই চার নভোচারী। দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সেখানে পৌঁছান তারা। ২০১৮ সালে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক মহাকাশ সংস্থা গঠন করে। পরের বছর ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী পাঠানোর ঘোষণা দেয় দেশটি। এ জন্য তুর্কি বিমানবাহিনীর কর্নেল আলপার গেজেরাভচিকে বাছাই করা হয়। তিনি তুরস্কের বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এফ-১৬-এর একজন পাইলট।
২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রুশ-মার্কিন নভোচারী
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে একসঙ্গে পা রাখলেন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন মহাকাশচারী। তিন মহাকাশচারীর দুজন রাশিয়ার ও একজন যুক্তরাষ্ট্রের। শুক্রবার রোসকসমস মহাকাশচারী ওলেগ কোননেনকো ও নিকোলাই শুব এবং নাসার মহাকাশচারী লোরাল ও’হারা কাজাখস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রোম থেকে সয়ুজ এমএস-২৪ মহাকাশযানে উঠেছিলেন। রুশ মহাকাশ সংস্থা জানিয়েছে, তিন ঘণ্টা যাত্রার পর তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছায়। অরবিটিং স্টেশনে তারা আরও তিনজন রুশ, দুজন আমেরিকান, একজন জাপানি মহাকাশচারী এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার একজন প্রতিনিধির সঙ্গে যোগ দেবেন। সূত্র : আলজাজিরা।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

পৃথিবীতে ফিরছেন সেই মুসলিম নভোচারী
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেই মুসলিম নভোচারী। ১৮৪ দিন মহাকাশে কাটানোর পর সুলতান আল-নিয়াদি পৃথিবীর দিকে রওনা হয়েছেন। এর আগে তিনি মহাকাশ থেকে মক্কা মদিনার ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন।  সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া জানিয়েছে, রোববার আরব আমিরাতের স্থানীয় সময় ৩টা ৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীর দিকে রওনা দিয়েছেন নিয়াদি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুলে করে তিনিসহ আরও তিনি নভোচারী পৃথিবীর দিকে রওনা দিয়েছেন। মুসলিম হিসেবে নিয়াদি প্রথম ব্যক্তি যিনি সবচেয়ে বেশি সময় মহাকাশে অবস্থান ও হেঁটে বেড়িয়েছেন।  সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিয়াদির পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার মিশন পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সংস্থাটির টেক্সাসের হোস্টন শহর থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তাদের পৃথিবীর বুকে ফিরতে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগবে। তার সাথে আরও রয়েছেন নাসার নভোচারী স্টেফেন বাওয়েন, উডি হোবার্গ এবং রাশিয়ান নভোচারী আন্দ্রে ফেদেয়েভ। সোমবার আরব আমিরাতের সময় ৮টা ০৭ মিনিটে তারা ফ্লোরিডা উপকূলে অবতরণ করবেন।  মহাকাশ থেকে যাত্রার ঘণ্টাখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) শেষবারের মতো একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেন, মহাকাশ এটা শেষ নয়, আবার তোমার সাথে দেখা হবে। হয়তো নতুন কোনো মিশন বা নতুন গন্তব্যে। আমাদের স্বপ্নকে সফল করার জন্য আমার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখায় আমি আমার প্রিয় দেশকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, সফলভাবে ফিরতে পারব। আমাদের আবার দেখা হবে। এর আগে নিয়াদি গত শুক্রবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে তিনি লিখেন, এত সুন্দর ভিউ আমার সবসময় মনে থাকবে।  মুসলিম এ নভোচারী মহাকাশে থাকাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। এ সময় তিনি মহাকাশ থেকে বিভিন্ন দেশ ও ল্যান্ডমার্কের ছবিও শেয়ার করেন।  চলতি বছর পবিত্র হজের সময় মহাকাশ থেকে মক্কার চিত্র কেমন ছিল মহাকাশ থেকে তার ছবি প্রকাশ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশচারী সুলতান আল নিয়াদি। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে তোলা সেই ছবিতে মসজিদুল হারামের কাঠামো বেশ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছিল। এর আশপাশের সড়কগুলো রেখার মতো ছবিতে বিস্তৃত দেখা যায়। পবিত্র হজের দিন এই ছবি টুইটারে প্রকাশ করে সুলতান আল নিয়াদি ক্যাপশনে লিখেন, ‘আজ পবিত্র হজের গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বিশ্বাস শুধুই বিশ্বাস নয়। কাজকর্মের মধ্য দিয়ে এটা প্রতিষ্ঠা পায়। এটা আমাদের সবাইকে সহানুভূতিশীল, নম্র এবং ঐক্যবদ্ধ হতে অনুপ্রাণিত করে। এটা মক্কার পবিত্র স্থানগুলোর ছবি। ছবিটা আমি গতকাল তুলেছি।’
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X