টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায়নের আহ্বান
বৈশ্বিক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রেক্ষাপটে এই খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে, কর্মসংস্থানসহ এ-বিষয়ক জাতীয় নীতিমালায় এখনো জেন্ডার বৈষম্য বিদ্যমান। টেকসই জ্বালানি খাত নিশ্চিতে ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সেখানে পৌঁছাতে হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীর ক্ষমতায়নের বিকল্প নাই। গতকাল, (বুধবার ০৮ মে) একশনএইড বাংলাদেশের আয়োজিত ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন রিনিউয়েবল এনার্জি : অ্যা ফেমিনিস্ট পার্সপেক্টিভ ফ্রম বাংলাদেশ অ্যান্ড বিওন্ড’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই আহ্বান জানানো হয়।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি তানভীর শাকিল জয়, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)-এর চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, এনডিসি উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়াল এই প্রাণবন্ত আয়োজনে নীতি-নির্ধারক, উন্নয়ন সহযোগী, জলবায়ুকর্মী, শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  এসময় দেশে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতে নারীর ক্ষমতায় ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় স্টেম শিক্ষা ও খাতে নারীদের উৎসাহ প্রদান, প্রান্তিক পর্যায়ে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার পরিবেশ প্রদান, নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনাতে অগ্রাধিকার প্রদানসহ জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করে এ-সংক্রান্ত সরকারি নীতিমালা তৈরি বা সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়।  ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একশনএইড বাংলাদেশ-এর জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশনের অ্যাসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার রিফাহ তামান্না বর্না। জাতীয় ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জ্বালানি খাতে নারীদের অবস্থান ও বিনিয়োগ, দেশের জ্বালানিবিষয়ক নীতিমালায় নারীদের অবস্থান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই জ্বালানি প্রভৃতি বিষয় উপস্থাপনায় তুলে ধরেন তিনি। ভার্চুয়াল এই আয়োজনে টেকসই জ্বালানি খাত উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠায় দেশের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে প্যানেল ডিসকাশন আয়োজিত হয়। এসময় একশনএইড বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় প্যানেল ডিসকাশনে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, ব্রাইট গ্রিন এনার্জি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, সোলারিক গ্রুপের ডিরেক্টর নাজনীন আক্তার, ভারতের ওয়াটার রিসোর্স কাউন্সিলের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট মানসী বাল ভারগাভ, টেকনো গ্রিন-কার্বন লিমিটেডের চেয়ারপারসন আনিকা আলী ও কটন গ্রুপের পরিচালক মাঈশা মাহমুদ। প্যানেল ডিসকাশনে বক্তারা বলেন- দেশে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, আর্থিক নিয়ন্ত্রণের অভাবসহ জেন্ডার অসমতা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করে। সংশ্লিষ্ট সরকারি সিংহভাগ নীতিমালা বা কর্মপরিকল্পনাতেও নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব কম পেয়ে থাকে। জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ুবিষয়ক ২২ নীতিমালার মধ্যে ১০টিতে নারীদের অংশগ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তবে জেন্ডার মেইনস্ট্রিমের ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের স্পষ্ট করা হয়নি। এই খাতে জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এজন্য নারীদের এ খাতে প্রাধান্য দেয়া, স্টেম খাতে তাদের উৎসাহ প্রদান, জ্ঞান বিনিময়, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিসহ সরকারি নীতিমালায় জেন্ডার সমতা নিশ্চিতের কোনো বিকল্প নেই।    ২০১৬ সালে জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি গৃহীত হওয়ার পর থেকে, ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণের জন্য ৩ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ। তবে কিছুটা স্বস্থির বিষয় হলো- ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির গবেষণা মতে, ২০১৭-২০২২ সালের মধ্যে অনবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ কমেছে ৩.৮ শতাংশ এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৪.৮ শতাংশ।   নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে আরও সহায়ক পলিসির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশের সভাপতি তানভীর শাকিল জয়, এমপি বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জলবায়ু এই দুটি বিষয় খুবই সম্পর্কিত। জলবায়ু পরিবর্তন যেমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বর্তমান সময়ে, তেমনি নবায়নযোগ্য শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা তৈরি করেছে সবুজ রূপান্তরসহ বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণে। ২০০৮ সালের আগে প্রত্যেক খাতে নারীদের অবস্থান খুব একটা সন্তোষজনক অবস্থায় ছিল না। গত ১৫ বছরে নারী ক্ষমতায়নে অনন্য অবদান রেখেছে বর্তমান সরকার। নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীদের উন্নয়ন হয়েছে। তবে সার্বিকভাবে আশা অনুযায়ী উন্নতি করতে পারি নাই। এখানে আরও উন্নতি করার অনেক জায়গা রয়েছে। সরকারের অনেক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে প্রয়োজন বেটার ফ্লেক্সিবল পলিসি।’  টেকসই উন্নয়নে নারীদের সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায় থেকে যাতে নারীরা সাপোর্ট পায় সেজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থাদের একসাথে কাজ করা দরকার। নারীদের সাথে নিয়ে টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করতে হবে। অনেক খাতেই নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি মনে করি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতেও নারীরা নেতৃত্ব দেবেন।’  গত ১৫ বছরে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে পাওয়ার প্লান্ট ছিল ২৭টি, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫টি এবং ৪ হাজার ৯ শ’ ৪২ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ সক্ষমতা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ২ শ’ ৭৭ মেগাওয়াটে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য সরকারের। এই খাতে এই সময়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৩০ থেকে ৬৮৯ মেগাওয়াটে।  বিশেষ অতিথির বক্তব্যে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, এনডিসি বলেন, ‘বৈশ্বিক পর্যায়ের তুলনায় বাংলাদেশ এখনও এই খাতে পিছিয়ে আছে। কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ স্বল্পতার কারণে কাজগুলো করা যাচ্ছে না। এজন্য সরকার এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে। এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে নারীদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে। শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে চেঞ্জ দরকার। নারীরা স্টেম শিক্ষায় খুব বেশি তাদের আগ্রহ দেখাচ্ছে না। শিক্ষা ও গ্রিন জবসের মধ্যে একটা সমন্বয় দরকার। দেশের পলিসি পর্যায়ে কোনও বৈষম্য নাই। আমরা সবাই অনেক কমিউনিটির সঙ্গে বসেছি। সবারই আসলে এই নীতিমালা ফলো করা উচিত। রিসোর্স এক্সেস করার ক্ষেত্রে নারীদের চ্যালেঞ্জ দেখা যায়। এখানে কাজ করার আছে।’  বৈশ্বিক পর্যায়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুসারে, নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার ৩২ শতাংশ। ১০ কোটিরও বেশি নারী এই খাতে কাজ করছেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীদের কর্মসংস্থানের হার সেই তুলনায় অনেক কম। দেশে এই বিশেষ খাতে নারীদের কর্মসংস্থানের হার শুধু ১০ শতাংশ।  একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে নারীদের অংশগ্রহণে তাদের প্রাধান্য দিতে হবে। এই খাতে বৈশ্বিক নারীদের কর্মসংস্থানের হার যখন ৩২ শতাংশ বাংলাদেশে এই হার ১০ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এই খাতে নারীদের প্রাধান্য দিতে হবে। স্টেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে হবে নারীদের। এছাড়াও এই খাতে নারীদের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতে নেটওয়ার্ক তৈরি করা দরকার। স্থানীয় পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায়ে এই খাতে নারীদের ক্ষমতায়নে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া ও উন্নয়ন সংস্থার একসাথে সমন্বয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে- নারী ছাড়া আমরা সমাজ চিন্তা করতে পারি না। নারী ছাড়া কোনো চেঞ্জ সম্ভব নয়।’  অনুষ্ঠানে এসময় উন্নয়ন সহযোগী, জলবায়ুকর্মী, শিক্ষাবিদ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ দেড় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 
০৯ মে, ২০২৪

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা / বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর নবায়নযোগ্য জ্বালানি
বায়ুদূষণ কমাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার কার্যকর সমাধান হতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ বাড়িয়ে জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি বায়ুদূষণ ঘটায়। গতকাল সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বারসিক এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল পরিবেশ উদ্যোগ, ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি), বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) এবং সেন্টার ফর ল অ্যান্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স (সিএলপিএ)। মূল বক্তব্যে ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বায়ুদূষণ রোধে পাঁচটি সুপারিশ তুলে ধরেন। আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, কুইক রেন্টালসহ বিভিন্ন জীবাশ্ম বিদ্যুৎভিত্তিক জ্বালানি কেন্দ্রে সরকার যে পরিমাণ ব্যয় করেছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়নে সে পরিমাণ বিনিয়োগ বা গবেষণা হয়নি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্রেডার উচিত নবায়নযোগ্য শক্তিকে প্রসারিত করা। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আরবান প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ডমিনিক সেন্টু গমেজ বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ উদ্যোগের গবেষণা সমন্বয়ক নাছির আহম্মেদ পাটোয়ারী, বিএনসিএর সদস্য সচিব আনোয়ারুল হক, অ্যাডভোকেট রাশেদুজ্জামান মজুমদার, সিএলপির সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বারসিকের প্রকল্প পরিচালক কামরুজ্জামান সাগর, সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইডি) নির্বাহী পরিচালক আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
০৬ আগস্ট, ২০২৩

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী আমিরাত
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। সফররত সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প ও উন্নত প্রযুক্তিমন্ত্রী ড. সুলতান আহমেদ আল জাবের গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। খবর বাসসের। বৈঠক শেষে আমিরাতের মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘আমরা প্রচলিত জ্বালানির পাশাপাশি জ্বালানি খাতে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি খুবই আগ্রহী।’ জ্বালানি কোম্পানি মাসদারের চেয়ারম্যান এবং আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির (এডিএনওসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুলতান আহমেদ বলেছেন, তারা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে দুটি দল পাঠাবেন—একটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আলোচনার জন্য এবং অন্যটি ব্যবসা নিয়ে আলোচনার জন্য। আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত এবং কপ২৮-এর মনোনীত প্রেসিডেন্ট ড. সুলতান আহমেদ জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং এ বিষয়ে তার আরও সমর্থন কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কপ২৮ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সম্মেলনে প্যারিস চুক্তির বৈশ্বিক স্টকটেক নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল রয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসাডর অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
২১ জুলাই, ২০২৩
X