Fri, 05 Jul, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া
মোবাইল অ্যাপস
আর্কাইভ
কনভার্টার
EN
আজকের পত্রিকা
ই-পেপার
ম্যাগাজিন
ঈদ সংখ্যা ২০২৪
ঈদ সংখ্যা ২০২৩
সারাবেলা ম্যাগাজিন
টি ২০ ম্যাগাজিন
ফ্রি হিট
আর্কাইভ
সোশ্যাল মিডিয়া
ফেসবুক পেজ
Kalbela
Kalbela Online
Kalbela News
kalbela.com
Kalbela World
Kalbela Sports
Kalbela Entertainment
ইউটিউব চ্যানেল
Kalbela News
image/svg+xml
Kalbela World
image/svg+xml
Kalbela Entertainment
image/svg+xml
Kalbela Sports
টিকটক
Kalbela News
টিকটক
Kalbela Entertainment
টুইটার
Kalbela
ইনস্টাগ্রাম
Kalbela
লিঙ্কডইন
Kalbela
টেলিগ্রাম
Kalbela
লাইকি
Kalbela News
সাউন্ডক্লাউড পডকাস্ট
Kalbela News
গুগল নিউজ
Kalbela
ইমু
Kalbala
হোয়াটসঅ্যাপ
Kalbala
থ্রেডস
Kalbela News
বাংলা কনভার্টার
বিদ্যুতের দুই কর্মচারীকে পেটানোর অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
২০ মিনিট আগে
টানা পাঁচবার বিজয়ী রুশনারা
৩৮ মিনিট আগে
‘মহসিন বিয়ে না করলে, এ বাড়িতেই আত্মহত্যা করব’
৫২ মিনিট আগে
স্ত্রীর সামনে কৃষকলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা
১ ঘণ্টা আগে
৫০০ টাকা উপহার প্রসঙ্গে শিক্ষকদের প্রতিবাদ
২ ঘণ্টা আগে
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
| ০৫ জুলাই ২০২৪
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ভিডিও
অডিও
শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
সারাদেশ
বিশ্ব
খেলা
বিনোদন
শিক্ষা
বাণিজ্য
স্বাস্থ্য
মতামত
ধর্ম
আইন-আদালত
অপরাধ
রাজধানী
প্রবাস
লাইফস্টাইল
প্রযুক্তি
শিল্প-সাহিত্য
চাকরি
চট্টগ্রাম সারাবেলা
নারী-শিশু
আইন ও পরামর্শ
সোশ্যাল মিডিয়া
বিচিত্র
কর্পোরেট
নবযাত্রার ১ বছর
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক
পরিবেশ ও জলবায়ু
পিএসআই
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রম্যবেলা
ভিডিও স্টোরি
ফটো স্টোরি
ফটোগ্যালারি
ভিডিও গ্যালারি
অডিও
অনুসন্ধান
বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, নিমজ্জিত ৮২১ হেক্টর ফসলি জমি
বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৮৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নিমজ্জিত হয়েছে ৮২১ হেক্টর ফসলি জমি। পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৩টায় সরেজমিনে দেখা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধির কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলার চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে। তিনি জানান, পানি বৃদ্ধি পেলেও যমুনা তীরের ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনো কোনো ঝুঁকি দেখা দেয়নি। যমুনার ৬টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে ইছামারা অংশে ভাঙন প্রবল। সেখানে নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। গত বছর সেখানে এক হাজার ৭০০ মিটার ভেঙে গিয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকা রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে। বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এরইমধ্যে সারিয়াকান্দী, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, জনগণের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান জানিয়েছেন, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে করে সারিয়াকান্দিতে ৫৬০ হেক্টর এবং সোনাতলা উপজেলায় ২৬১ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এসব জমিতে পাট, ভুট্টা ও সবজি চাষ করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগে
তুরাগে নৌকা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন
তুরাগ নৌকা মাঝি শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আব্দুল্লাহপুর আইচি হাসপাতাল ঘাটের বিট ভাড়া অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, নৌকা চলাচল বন্ধ ও মাঝিদের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মাঝিদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মানবন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ইউনুচ আলী। মাঝিরা বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময় ধরে আমরা এই ঘাটে যাত্রী পারাপার করে আসছি। ২৫ টাকা ফি হতে শুরু করে আজকে ২৬০ টাকা ফি দিচ্ছি। যাত্রী পারাপার করে আমাদের সর্বোচ্চ দৈনিক আয় ৬০০-৭০০ টাকা। দিনশেষে আমরা ৩০০-৪০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরি। এতদিন যারা ইজারা নিতেন তারা মাঝিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিট ভাড়া ঠিক করতেন। কিন্তু নতুন ইজারাদার কোনো আলোচনা ছাড়াই গত পরশু (রোববার) আমাদেরকে জানিয়ে দেন নৌকা চালাতে হলে দৈনিক বিট ভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হবে। তারা বলেন, আমরা মাঝিরা তার কাছে বিনীতভাবে নিবেদন করেছি, আমাদের যা আয় তা দিয়ে ৫০০ টাকা সম্ভব না। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শুনতে চান না। এমতাবস্থায় গত দুই দিন ধরে ঘাটে নৌকা চালাতে দিচ্ছেন না। উপরন্তু তিনি ঘাটে ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নামিয়ে অধিক ভাড়ায় যাত্রী পারাপার করছেন। মাঝিরা বলেন, আজকে ৫৮টি নৌকা মাঝির পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে আছে। আমাদের ঘরে ভাত নেই। আয়-উপার্জন বন্ধ হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনি মানবতার মা। আপনি আমাদের অসহায় পরিবারের দিকে একবার তাকান। আমাদের ছোট বাচ্চারা আজ না খেয়ে আছে। আমাদের ঘরে কর্মঅক্ষম বৃদ্ধ পিতা-মাতা আছে। তারা অসহায়ভাবে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝিরা আরও বলেন, শ্রমমন্ত্রী, নৌ-মন্ত্রী, শ্রম অধিদপ্তর, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা আমাদের প্রতি দয়া করুন। পূর্বের বিট ভাড়া বহাল রেখে আমাদেরকে যাত্রী পারাপারে সুযোগ দিন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার সুযোগ দিন।
০২ জুলাই, ২০২৪
আবারও বাড়ছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা
উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে তিস্তার পানি আবারও বাড়ছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে একই পয়েন্টে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই ৩ ঘণ্টায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। এর আগে গত রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার মাত্র ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে সোমবার (১ জুলাই) ওই পানি আবারও কমে যায়। পানি বৃদ্ধিতে জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও তিস্তা চরাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানি নিয়ন্ত্রণে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট এখনো খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। চর এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। তবে সোমবার সকাল থেকে পানি কমে যাওয়ায় রাস্তা ঘাট জেগে ওঠে, অনেক বাড়ি ঘর থেকে নেমে যায় পানি। তবে কাদাযুক্ত রাস্তা ঘাট ও ঘর বাড়িতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। গরুর প্রধান খাদ্য খড় ভিজে যাওয়ায় তারা বিপাকে পড়েছেন গবাদি পশু নিয়ে। এদিকে কমে যাওয়া তিস্তার পানি বৃদ্ধির খবরে আবারও চিন্তায় পড়েছেন তিস্তাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি, শৈইলমারি, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারি উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েন। তবে সোমবার ওই পানি আবার কমে যাওয়ায় এসব এলাকার বাড়ি ঘর থেকে পানি নামতে শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবারও পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। আদিতমারী উপজেলা মহিষখোঁচা ইউনিয়নের তিস্তা গোবর্ধন চরবাসীরা জানান, শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সন্ধ্যার মধ্যেই তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। আর রাতেই সেই পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাদল বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমার ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করে। তবে দ্রুত গতিতে পানি নেমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরে আসে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল মানুষদের। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে পানি আবারও বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন তিস্তাবাসী। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, শনিবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রোববার সন্ধ্যা ৬টায় থেকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু সোমবার কমে গিয়ে সেই পানি মঙ্গলবার বিকেল থেকে আবারও বাড়তে শুরু করেছে।
০২ জুলাই, ২০২৪
নেত্রকোনায় বাড়ছে নদ-নদীর পানি, সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। কলমাকান্দা উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে অন্তত ১৫টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। স্থানীয়রা জানান, গত দুই দিন ধরে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় আবারও পাহাড়ি ঢল নামতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এ ছাড়া কলমাকান্দার-দূর্গাপুর সড়কের রহিমপুর হতে খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত রাস্তাটি খাকগড়া চৌরাস্তা এলাকায় ভেঙে যায়। এতে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নের শ্রীপুর, কাইতাপুর, বিশ্বনাথপুর, বেলুয়াতলী, সেনপাড়া সহ অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে। এদিকে কলমাকান্দা উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরইমধ্যে, পানি বেড়ে উপজেলার আটটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। খারনৈ ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, পানি বেড়ে পাহাড়ি ঢলে সড়ক ভেঙে গেছে। সেই সঙ্গে প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে খারনৈ ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান কালবেলাকে জানান, কলমাকান্দায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবারও পানি বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কলমাকান্দার উব্দাখালী নদীর পানি ডাকবাংলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে এবার বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে।
০১ জুলাই, ২০২৪
মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িক
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী নদীর বালুচর থেকে বালু উত্তোলনের হিড়িক পড়েছে। এতে এলাকার পরিবেশ ধ্বংসের পাশাপাশি জনবসতি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমি, নদীরক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন স্থানসমূহ হুমকির মুখে পড়েছে। অনুমোদন ছাড়াই বেআইনিভাবে বালু উত্তোলন করায় সরকার বিপুল পরিমাণে রাজস্ব হারাচ্ছে। স্থানীয়রা জানান- চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি, কাকারা পৌরসভার ১নং বাঁধ, আমান্নারচর, হালকাকারা, কৈয়ারবিল, সদারকাটা, ভরন্নারচর, বেতয়াবজার, সেকান্দরপাড়া, বিএমচর ও কোনাখালী, হারবাংসহ বিভিন্ন স্পট থেকে শ্যালোমিশিন বসিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মাতামুহুরি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে নদীরকূলবর্তী এলাকা, নদীর গাইটবাঁধ, চাষাবাদি জমিসহ জনগুরুত্ব স্থাপনাসমূহ নদীতে তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তারা আরও জানান, স্থানীয়ভাবে এলাকায় অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীর আদলে হওয়াতে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করলেও বালু তোলা বন্ধ হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি মাতামুহুরি নদী থেকে বালুভর্তি ভারি ট্রাকে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করায় জনপদের রাস্তাঘাট ক্ষতবিক্ষত হয়ে ধসে ভেঙে যাচ্ছে। এদিকে বছর ঘুরে আসতে না আসতে পৌরসভার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গ্রামীণ জনপদের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অনেক রাস্তা ঘাট এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে। এতে জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন বাপা ও ধরিত্রী রক্ষায় ধরা এবং সচেতন মহালেরেরা জনস্বার্থে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, মাতামুহুরি নদী থেকে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। নদী ইজারা দেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। পযার্যক্রমে মাতামুহুরির নদীর স্পটে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে এটি একার পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয়দের সহযোগিতার দরকার রয়েছে। এদিকে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী জানান, পৌরসভার ১নং বাঁধ থেকে বালি উত্তোলন হচ্ছে শুনেছি। তবে আমাদের কেউ এ কাজে জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, নদী থেকে বালি উত্তোলনের ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো অনুমোদন নেয়নি। আমাদের ফোর্স নেই, ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এদিকে মাতামুহুরি নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন- বিষয়টি নদীরক্ষা কমিশনের দায়িত্ব, আমাদের অধীনে নয়। তবু কোথায় কী হচ্ছে দেখব। আমি দেখছি কোথায় কী হচ্ছে। পরে আপনাকে জানাব।
৩০ জুন, ২০২৪
পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বাড়ল ২৪৯ কোটি টাকা
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে আজ ৩০ জুন। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়িত হওয়া এই প্রকল্পটির নদী শাসন কাজে শেষ মুহূর্তের বাস্তবতায় ব্যয় আরেক দফা বেড়েছে। চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন এই নদী শাসনের কাজটি করছে, যদিও তাদের কাজ সমাপ্তির তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ৩০ জুন। কিন্তু সেতু কর্তৃপক্ষ ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড (ত্রুটির দায়বদ্ধতার সময়কাল) হিসেবে মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ায়। এতে পদ্মা সেতুর নদী শাসনে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৪৫ হাজার ৩৪৯ টাকা। গতকাল শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক থেকে নতুন করে প্রকল্পের নদী শাসনের কাজে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। তিনি জানান, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নদী শাসন ব্যয় আরেক দফা বাড়াতে হয়েছে। এ দফায় মোট ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৯ টাকা। ব্যয় বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরে সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, এই সময়ে ঠিকাদারকে অতিরিক্ত কিছু কাজ করতে হয়েছে। দুটি কারণে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছে। প্রথমত, প্রকল্পের জাজিরা প্রান্তে নদী শাসন কাজের সীমানায় অবস্থিত কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট এবং আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নৌযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে জায়গা পেতে তিন বছর বিলম্ব হয়েছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, কাজ করতে যাওয়ার সময় ডিজাইন চূড়ান্ত হওয়ার পর মাওয়া প্রান্তে মূল সেতুর ওজনে নদী শাসন কাজের সীমানা বরাবর ২০১২ সালে নদীর প্রচণ্ড স্রোতে নদীভাঙন হয়ে ঠিকাদারের কাজের কিছু অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। ফলে ডিজাইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিজাইন তৈরিতে বিলম্ব হয়। এ কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব দাখিল করেছে। এদিকে মাহমুদুল হোসাইন খান আরও বলেন, বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি, সেতু বিভাগের একটি, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের দুটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটিসহ মোট ছয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৫০ টাকা ৪৮ পয়সা ধরে মোট খরচ হবে ৩৩১ কোটি ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই তেল কেনা হবে। সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) ও এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) অর্থায়নে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক পৃথক এসএমভিটি লেনসহ চার লেনে উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-১-এর ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ প্রস্তাবিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ ৬০৮ কোটি ৭১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ টাকা। এর কাজ পেয়েছে চীনা প্রতিষ্ঠান। এই বিভাগের আরেকটি প্রস্তাবে একই প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউপি-৩-এর ক্রয় কাজে ১ হাজার ৩৮৬ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
৩০ জুন, ২০২৪
লোহাগড়ায় মধুমতী নদীর ভাঙনে দিশাহারা কয়েকশ পরিবার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নে মধুমতী নদীর ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আবাদি জমি, ভিটেমাটিসহ সহায় সম্পদ। এমনকি ভাঙনে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের খুঁটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এসব এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়ত আতংকে দিন কাটাচ্ছেন। শনিবার (২৯ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় ভাঙনের এই ভয়াবহ চিত্র। স্থানীয়রা জানান, একাধিকবার মধুমতী নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন এখানকার মানুষ। গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ইউনিয়নের শিয়রবর গ্রামের ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেললেও আবারও ভাঙনে ভেসে যাচ্ছে সেগুলো। যার ফলে ভাঙনের মুখে পড়েছে কয়েকশ পরিবার। তাই ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চায় এলাকাবাসী। ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামের তোতা মিয়া জানান, তাদের ৫ বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ৩ বার ভাঙনের শিকার হয়েছেন তিনি। এবারও ভাঙনের দাঁড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে। কী করবেন ভেবেই পাচ্ছেন না। তিনি এ ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এব্যাপারে স্থানীয় অধিবাসী তোতা মিয়া, সাদ্দাম, আলাউদ্দিন, বালাম, চুন্নুমিয়া, হুমায়ুন কবির, আরফিন মোল্যা, ওসমান মুন্সী জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে আমাদের বাড়ি-ঘর বারবার ভেঙে গেছে নদীগর্ভে। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়ে গেছেন আমরা। ভাঙতে ভাঙতে নদীর কিনারে চলে এসেছে তাদের বসতভিটা। যেভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে তাতে করে বসতভিটা কখন যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবার বসতবাড়ি ভাঙলে মাথা গোঁজার ঠাই থাকবে না আমাদের। স্থানীয় ইউপি সদস্য আশিকুল আলম জানান, মধুমতী নদীর ভাঙনে বসতবাড়ি, আবাদি জমি, মাদ্রাসা, মসজিদ ভাঙনের শিকার হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে নদীগর্ভে পুরো এলাকা বিলীন হয়ে যাবে। তিনি মধুমতী নদীর ভাঙন রোধে জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষেয়ে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘লোহাগড়া উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের ভাঙনরোধে আপাতত কোনো বরাদ্দ নেই, এ কারণে কোনো ধরনের কাজ করতে পারছি না। তবে বরাদ্দ পেলে আগামীতে ওই এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ করা হবে’।
২৯ জুন, ২০২৪
নেতাই নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ঘোষগাঁও ইউনিয়নে নেতাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে শতাধিক ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে নেতাই পাড়ের বাসিন্দারা। নেতাই পাড়ের ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় বসবাসরতদের বেশিরভাগই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজন। তাদের বাড়িঘর হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে ভূঁইয়াপাড়া গ্রামের লোকজন ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার সকালে এলাকাবাসী ভূঁইয়াপাড়া এলাকায় এবং নেতাই নদীপাড়ে ড্রেজার বন্ধে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ভূঁইয়াপাড়া আদিবাসী গ্রাম সমাজের চেয়ারম্যান হারুন রংদি, দুর্জয় আরেং, সুষময় নেংওয়া প্রমুখ। হারুন রংদি বলেন, অসংখ্য ড্রেজার বসিয়ে নেতাই নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে আমাদের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোনো সময় ভাঙনের কবলে পড়বে। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান স্থানীয়রা। এ ব্যাপারে বালু মহাল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল খালেক মেম্বার বলেন, আমরা ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছি। আশপাশে যাদের জমি আছে, তাদের ভাড়া দেওয়া হচ্ছে, তারা সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু যারা মানববন্ধন করছে, তারা বাইরের লোক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মানববন্ধনের বিষয়টিও জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
২৯ জুন, ২০২৪
বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তেলবাহী ট্রলারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ফতুল্লা, পাগলা, হাজীগঞ্জ, মন্ডলপাড়া ও সদরঘাটসহ ১০ ইউনিটের দেড় ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় একজন নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। বুধবার (২৬ জুন) বিকেল ৩ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ। এর আগে দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলার মেঘনা ডিপোর জেটি সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় আগুনে তেলের ড্রাম বিস্ফোরণে বিকট শব্দে আশেপাশের এলাকা কম্পিত হয়। মেঘনা ডিপো সূত্রে জানা যায়, এ ট্রলারে করে তেল নিয়ে তারা বরিশাল মনপুরায় যাচ্ছিল। ট্রলারের ভেতরে কয়েকজন শ্রমিক ছিলেন। তারা ভেতরে রান্না করছিল। এ সময় সেখান থেকে হয়তো এ ঘটনা ঘটতে পারে। এর মধ্যে একজন পাড়ে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ আছেন। একজনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন ডাম্পিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। আগুন লাগার কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে। ঘটনাস্থলে আসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমরা ডিপোর সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা যতটুকু জেনেছি ট্রলারটিতে ডিজেল ও পেট্রোল লোড করা ছিল। এ সময় তেলের ড্রামবাহী ট্রলারে কয়েক শ্রমিক রান্না করছিল বলে শুনেছি। হয়তো সেখানে থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, বাকিদের ব্যাপারে এখনো কোনো তথ্য জানা নেই।
২৬ জুন, ২০২৪
পদ্মা নদী থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদী থেকে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্নেক রেসকিউ টিম’র হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। শনিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের জব্বর আলী আকন কান্দি এলাকার পদ্মা নদী থেকে সাপটিকে ধরা হয়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় জব্বর আলী আকন কান্দি এলাকার সোহেল মাদবরসহ কয়েকজন নৌকা নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় তারা একটি সাপ নদী পার হতে দেখেন। কাছে গিয়ে রাসেলস ভাইপার চিনতে পেরে সাপটিকে লাঠি দিয়ে আহত করে নৌকায় থাকা একটি মাছ ধরার চাইয়ের ভেতরে করে এলাকায় নিয়ে আসেন। পরে স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশকে জানালে তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপটি ধরে আনা সোহেল মাদবর কালবেলাকে বলেন, আমরা পদ্মা নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাপটিকে দেখতে পাই। পরে লাঠি দিয়ে সাপটিকে পিটিয়ে আহত করে ধরে নিয়ে আসি। প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ রাসেল আকন বলেন, জাজিরায় রাসেলস ভাইপারের বিচরণ বেড়ে গেছে। সবসময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। এ বিষধর সাপ থেকে মুক্তি চাই। আমরা চাই এ সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে সরকার যেন পদক্ষেপ নেয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসান জুবায়ের কালবেলাকে বলেন, আমরা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি জাজিরায় একটি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। পরে ঢাকা থেকে আমাদের একটি দল গিয়ে রাত ১২টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাপটি উদ্ধার করি। তবে সাপটি কিছুটা আহত অবস্থায় ছিল।
২৩ জুন, ২০২৪
আরও
X