শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক-অভিভাবকরা মানে না : চরমোনাই পীর
শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ এর মাধ্যমে মুসলমান সন্তানদের ইসলামী শিক্ষা ভুলিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।  ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল আবদুস সবুর।  চরমোনাই পীর বলেন, বর্তমান সরকারের সাথে বাংলাদেশের সিংহভাগ জনগণ নেই। ৭ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে জনগণ সরকারকে লালকার্ড দেখিয়েছে। শিক্ষা কারিকুলামে ইসলামী শিক্ষা না থাকলে আমরা জান দিয়ে তা প্রতিরোধ করব। এই শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে দেশ ও সমাজ গঠন করা তো দূরের কথা পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস হবে। এতে শান্তি আসবে না। এই শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানে না ও প্রত্যাখ্যান করে।  ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, সরকার রাজনীতি ও ক্ষমতার জন্য ইসলামের কথা বলে। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ বসে থাকবে না। সেক্যুলারিজম বিশ্বাস করলে মুসলমান থাকতে পারে না।  দলের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, বর্তমান কারিকুলাম দেখে মনে হয় তারা মানুষকে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট বানাতে চায়।  বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ইয়াকুব হোসেন বলেন, ২০১৯ পর্যন্ত শিক্ষানীতিতে ধর্মনিরপেক্ষতা আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তা দেইনি। তিনি চরমোনাই পীরের উদ্দেশে বলেন, আজকেই আন্দোলনের খসড়া কর্মসূচি দিন। আমি ৩৭টি শিক্ষা কমিশন পড়েছি কিন্তু আলোর মুখ দেখেছে ২০১০ এ। সাধারণ ও মাদরাসা শিক্ষকদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন ও শক্তিশালী কারিকুলাম কমিটি করে দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান। আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, গাজী আতাউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, ড. আরিফুল ইসলাম, কলামিস্ট মুসা আল হাফিজ, ড. সরোয়ার হোসেন, আসিফ মাহতাব, সাংবাদিক নেতা মুন্সী আবদুল মান্নান, ড. হাফেজ মাবরুক বিল্লাহ, মাহমুদুল হাসান রায়হান, ড. শহীদুল হক, ড. মোস্তফা মনজু, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, আবুল কাশেম, এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনে সভাপতি নুরুল বশর আজিজী, মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির প্রমুখ। উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম-২০২১ বাতিলের দাবিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে ২৫ জানুয়ারি জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করতে হবে : জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে দেশের অধিকাংশ মানুষের চিন্তা চেতনা অনুযায়ী প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান। তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম শিক্ষার্থীদের ভিন্ন সংস্কৃতিতে ধাবিত করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ জন্য দেশের অধিকাংশ অভিভাবক তাদের আদরের সন্তানদের নিয়ে খুবই চিন্তিত।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় শিক্ষক ফোরামের জাতীয় শিক্ষক ফোরামের এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নাস্তিক্যতাবাদের দিকে ধাবিত হওয়া নিয়েও আতঙ্কিত। দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এটি বাতিলের কোনো বিকল্প নেই। কারণ উন্মুক্ত মতামত গ্রহণ করলে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী এই শিক্ষানীতি ও সিলেবাস প্রত্যাখ্যান করবে। সভায় নেতারা আগামী ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতীয় শিক্ষক ফোরামের আয়োজনে ‘নতুন শিক্ষা কারিকুলাম : বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনার সফলে আহ্বান জানান। এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে।  সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়ল সহসভাপতি মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক ইশতিয়াক আল আমিন ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা বিভাগ কে এম জাহিদ তিতুমীর।  
১৩ জানুয়ারি, ২০২৪

নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে হবে
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পৃথিবীতে মানুষের জীবন ও জীবিকা বদলে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রযুক্তির কারণে এ পরিবর্তন আরও দ্রুত হচ্ছে। আমাদের দেশও দিন দিন প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশে প্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষারও বেশ প্রসার ঘটেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যন্ত্রের সঙ্গে মানবের একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকতে হবে। নতুবা টিকে থাকা মুশকিল হবে। প্রযুক্তির বদৌলতে বর্তমানে যা চলমান অনেক কিছু হয়তো থাকবে না। এ প্রযুক্তি আমাদের কোথায় নিয়ে যাবে সেটিও আমাদের ধারণার বাইরে। বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবী যেমন হাতের মুঠোয়, শিক্ষা-সংস্কৃতিও বহতা নদীর মতো স্বাধীন বিচরণ হতেই থাকবে। দেশ থেকে দেশান্তরে অভিবাসন প্রক্রিয়া বেড়েই চলেছে। পৃথিবীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটলেও যেমন তার সুষম বণ্টন হয়নি, তেমনি সামাজিক উন্নয়ন তাল মেলাতে পারছে না অর্থনৈতিক প্রবৃত্তির সঙ্গে। যার ফলে এখনো রয়ে গেছে পৃথিবীতে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-অশিক্ষার মতো মৌলিক সমস্যাবলি। ঘনীভূত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, বায়ুদূষণ অভিবাসন বা জাতিগত সহিংসতাজনিত সমস্যাগুলো। তার মধ্যে কভিড-১৯ বিশ্ববাসীকে তছনছ করে দিয়েছে। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় সংযোজিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ ও সমস্যার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তার টেকসই ও কার্যকর সমাধান এবং সম্ভাবনার সুফল গ্রহণের জন্য জ্ঞানদক্ষতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন দূরদর্শী সংবেদনশীল অভিযোজন সক্ষম মানবিক যোগ্য বিশ্ব নাগরিক প্রয়োজন। একবিংশ শতাব্দীর তথ্য ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সে রকম নাগরিক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছে সনাতনী শিক্ষাব্যবস্থা। এই সনাতনী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল প্রায় ৩০০ বছর আগে। তখনকার বাস্তবতায় মুখস্থবিদ্যার ওপর গুরুত্ব দিতে হয়েছিল। এখন প্রায়োগিক ভাবনা প্রাধান্য পাচ্ছে। মূলত আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে একদম নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এর কিছুটা এ বছর থেকে আংশিক বাস্তবায়ন লক্ষ করা যাচ্ছে। সময়ের পরিক্রমায় পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সঙ্গে তাল মেলাতে নতুন শিক্ষাক্রম উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ উল্লেখযোগ্য শিক্ষার বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ এবং শিখন চাহিদা নিরূপণের জন্য ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালব্যাপী বিভিন্ন গবেষণা এবং কারিগরি অনুশীলন পরিচালিত হয়। বিশ্বায়নের দিকে টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে যুগোপযোগী প্রজন্ম গড়ে তুলতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির অবিচ্ছিন্ন শিক্ষাক্রম উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম ২০২২ সালে পাইলটিং করার পর ২০২২ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হবে। ২০২২ সাল থেকে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম (পাইলটিং) চালানো হয়। এর মধ্যে ৫১টি ছিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯টি মাদ্রাসা ও দুটি কারিগরি বিদ্যালয়। এরপর ২০২৩ সালে সারা দেশে এ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয় ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে। এ শিক্ষাক্রমের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো—এখন থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে শিক্ষার্থীদের নিজে নিজে শেখার ওপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর শিক্ষক হবেন শুধুই একজন সহযোগিতাকারী, যিনি নিজে শিক্ষার্থীদের শিখিয়ে দেবেন না। থাকবে না জিপিএ ৫ এবং প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়ের মতো এর মেধাভিত্তিক শ্রেণিবিন্যাস। সবাই সমান যোগ্যতার ও সমান মেধার অন্তর্ভুক্ত হবেন। আরেকটা পরিবর্তন এসেছে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে। এ শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় মূল্যায়নকে শুধু শিক্ষার্থীর শিখন মূল্যায়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে, পুরো শিক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা মূল্যায়ন, শিখন পরিবেশের মূল্যায়ন ও সেইসঙ্গে শিখনের মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত মূল্যায়ন ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে মুখস্থ বিদ্যাভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে সরে এসে বহুমাত্রিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মাত্রার জ্ঞান, দক্ষতা মূল্যবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি ও চেতনা বিকাশের ধারাকে মূল্যায়নের আওতায় আনা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নের ভিত্তি হবে তাদের যোগ্যতা। এ ক্ষেত্রে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিখনকালীন মূল্যায়ন শতভাগ হবে। চতুর্থ-পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ, সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ শতাংশ, ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ, সামষ্টিক মূল্যায়ন ৪০ শতাংশ। নবম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিখনকালীন মূল্যায়ন ৫০ শতাংশ, সামষ্টিক মূল্যায়ন ৫০ শতাংশ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ, সামষ্টিক মূল্যায়ন ৭০ শতাংশ। প্রস্তাবনায় আছে, দশম শ্রেণি শেষে দশম শ্রেণির যোগ্যতা যাচাইয়ে পাবলিক পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির ওপর প্রতিবর্ষ শেষে একটি করে পরীক্ষা হবে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফলাফলের সমন্বয়ে চূড়ান্ত ফল নির্ধারিত হবে। তারপরও কিছু সমস্যা তো রয়েই যায় যেমন— (ক) পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে এবং পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়নের গুরুত্ব কমে যাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকাংশে পড়ালেখার প্রতি অনীহা দেখা দিচ্ছে। বই নিয়ে বসার আগ্রহ কমে যাবে। (খ) দলগত শিখনকাজ বেশি থাকায় দলপ্রধানের দায়িত্ব-কর্তব্য বেশি বর্তায়, অন্যরা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে। (গ) শিখন প্রক্রিয়ায় অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে উপকরণগুলো সংগ্রহ করতে বিদ্যালয় থেকে সরবরাহ করা হয় না তা সংগ্রহ করতে খরচপাতি হয়। (ঘ) গ্রামারটিক্যাল লেখাপড়া নেই। (ঙ) রান্নাবান্না শেখানোর নামে বনভোজন হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা রান্না না করে বাবুর্চি দিয়ে রান্না করানো হচ্ছে। এ আয়োজনে অভিভাবকরা ছাত্রছাত্রীদের চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এরা ডিমভাজি, আলুভর্তা বানানো শিখছে ইউটিউব দেখে, ছাত্রছাত্রীরা ডিভাইস নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। (চ) প্রতি শ্রেণিতে ১০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়, এতে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী ঝরেপড়ার সংখ্যা বেড়ে যাবে। (ছ) মূল্যায়নের বিষয়টি যেহেতু শিক্ষকের ওপর, এ ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হতে পারে। গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের স্বল্পতা আছে, সে ক্ষেত্রে কারিকুলাম বাস্তবায়নে সমস্যা হবে। শিখনের ক্ষেত্রে গ্রামের ছাত্রদের সমস্যা হতে পারে। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা আছে। একটি মহল অপপ্রচারও চালাচ্ছে। শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনার আওতায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষা প্রশাসক, বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক নীতিনির্ধারক পর্যায়ের ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও ভূমিকা পর্যালোচনা করে, আলোচনা, সেমিনার, যোগাযোগের উপকরণ তৈরি, প্রশিক্ষণ কর্মশালা প্রভৃতি আয়োজন করে বিভ্রান্ত দূর করতে হবে। মিডিয়ার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। তাহলে অভিভাবকদের মধ্যে বিভ্রান্তি দূরীভূত হবে। নতুবা নতুন শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে সমালোচনা থেকেই যাবে। লেখক: ব্যাংকার
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
X