কোটার বিরুদ্ধে গণপদযাত্রা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল ৪টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা নিয়ে নীলক্ষেত, নিউমার্কেট ও এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে তারা অবস্থান নেন। এ অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ -সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। অবশেষে বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন তারা। এ সময় একই দাবিতে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন আন্দোলনরকারীরা। তারা জানান, আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে। এ সময় তাদেরকে ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’; ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’;, ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’; ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’; ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’; ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’; ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি সংবলিত স্লোগান দিতে থাকেন।  আন্দোলনকারীদের দাবি- ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে ইত্যাদি। কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়ে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ এই কোটা পদ্ধতি সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতি একটি অবিচার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাতিল হওয়ার পর গত ৫ জুন সেই কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, কোটার মাধ্যমে বৈষম্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে বলা হয়েছিলো কোটা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালেও আমরা দেখেছি কোটায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জায়গায় নাতি-নাতনিকেও যুক্ত করা হয়েছে। কোটার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় জঘন্য বৈষম্য আমরা দেখেছি। এ ধরনের ভয়ানক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করতে হবে। এটিই আমাদের এক দফা দাবি। হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ মন্ডল বলেন, দুঃখের বিষয় আজ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হচ্ছে। যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশ স্বাধীন করেছে, সেই স্বাধীন দেশে তাদের সন্তানদের কাছে আরমা বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করেই এই আন্দোলন থামবে। উল্লেখ্য, ঈদের আগে সর্বশেষ গত ৯ জুন হাইকোর্টের নতুন রায়ের প্রতিবাদে ও ২০১৮ সালের পরিপত্র বহালের দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তারা এই রায়কে চেম্বার আদালতে স্থগিতের আবেদন এবং রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল করতে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করেন। এরপর গত ১ জুলাই আবার রাজপথে নামেন শিক্ষার্থীরা।
০২ জুলাই, ২০২৪

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, দেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে, ডামি সরকারের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। দেশ, ইসলাম ও মানবতা ধ্বংসের সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে থানা প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, সৈয়দ ফয়জুল করীম, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, নূরুল হুদা ফয়েজী, খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, মাহবুবুর রহমান, গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, জান্নাতুল ইসলাম। মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও লোকমান হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে জেলা, মহানগর ও থানা নেতারা বক্তব্য রাখেন ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন। চরমোনাই পীর বলেন, ইতিহাসে দেখা যায় অনেক ঐক্যবদ্ধ ছোট শক্তির কাছেও বড় ও পরাশক্তির পরাজয় হয়েছে। এজন্য দেশপ্রেমিক ইমানদার জনতা ঐক্যবদ্ধ হলে পরাশক্তিও টিকবে না।  প্রধানমন্ত্রীর দেশ বিরোধী সকল চুক্তি বাতিল এবং চিহ্নিত দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার (২৮ জুন) বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল, ৩ জুলাই চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় সংলাপ ও ৫ জুলাই সকল জেলা/মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। চরমোনাই পীর আরও বলেন, সরকারি আমলা, প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুর্নীতি ও লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে। 
২৭ জুন, ২০২৪

হঠাৎ বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী  তিনদিনের সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা করেছে বিএনপি। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী শনিবার (২৯ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সোমবার (১ জুলাই) সারাদেশের সব মহানগরে এবং বুধবার (৩ জুলাই) সারা দেশের জেলা সদরে সমাবেশ হবে। বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথসভা শেষে  সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৩টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্‌রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।
২৬ জুন, ২০২৪

পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
চলতি বছরের মার্চে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত পেনশনসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ অভিহিত করে তা অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এতে আগামী ৪ জুন দুই ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় এবং  দাবি না মানলে অর্থমন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সমবেত হয়ে ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এরপর স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে (ভিসি চত্বর) এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা।  প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চরম বৈষম্যের শিকার এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এই প্রজ্ঞাপন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাদর্শনের প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শন এবং ১৯৭৩ এর আদেশ অমান্য করা হয়েছে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ মনে করে। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক পদক্ষেপের ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যাহত হবে। কেননা, এর ফলে মেধাবীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে আসতে আগ্রহী হবে না।  এই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দুরভিসন্ধি রয়েছে কি না সেটাও ভেবে দেখা দরকার এবং বিদ্যমান সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের পথে ঠেলে দেওয়ার পুরোনো কৌশল শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা ও অসন্তোষ লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাই। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি  মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, দেশের উচ্চ শিক্ষা খাত ধ্বংস হলে একটি জাতি, একটি দেশ ধ্বংসের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যাবে। ১৯৭৫ এর ১৪ আগস্ট রাতে বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ নেতাদের বলেছিলেন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের চাকুরীর ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেব। কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে স্বপরিবারে শহিদ হওয়ায় তিনি এই ঘোষনা দিয়ে যেতে পারেননি। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি দাবি জানাই, এই নতুন পেনশন স্কিমের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আমাদের বর্তমান ব্যবস্থায় পেনশন বহাল রাখার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদা প্রদান করার।  তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভূমিকা রেখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়া, একটা স্বাধীন পতাকা উত্তোলিত হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো কালো আইন দ্বারা দাবিয়ে রাখা যাবে না।  এ সময় তিনি নিজেদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করে বলেন, আগামী ৪ জুন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করা হবে। তবে জরুরি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবেন। ঈদুল আজহার পূর্বে সরকার এই দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার না করলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ অর্থমন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রার মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।  ঢাবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সদস্য-সচিব মো. মোবারক হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হান্নান মিয়াজি; ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত সভাপতি মো. শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া; কারিগরী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল আলম বাদল; কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. ছারোয়ার মোর্শেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
৩০ মে, ২০২৪

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
এবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার (৩১ মে) বাদ জুমা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ফিলিস্তিনে ইসরায়েল আক্রমণ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার দাবিতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গণমিছিল হবে।  মঙ্গলবার (২৮ মে) দলটির এক যৌথসভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকায় পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ প্রস্তুতি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরইমধ্যে কর্মসূচি সফলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনে বর্বর হামলা করে হাজার হাজার বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশু গণহত্যা করছে। পুরো গাজাকে একটি জেলখানায় পরিণত করে সেখানে ইতিহাসের জঘন্যতম নির্মমতা চালাচ্ছে। গত ৭-৮ মাসে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আর এসবই হচ্ছে আমেরিকার মদদে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা তাদের ন্যায্য দাবি। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মুকাদ্দাস অবরুদ্ধ করে রেখেছে। মুসলমানদের কেবলা মুসলমানদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধে প্রয়োজনে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জন করে অর্থনীতির ওপর আঘাত করতে হবে। মুসলমান দেশগুলো ইচ্ছা করলে ফিলিস্তিনকে সময়ের ব্যবধানে মুক্ত করা সম্ভব। তিনি আরব দেশগুলোসহ মুসলিম দেশগুলোকে ফিলিস্তিন স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তম ও রাজনৈতিকভাবে সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ স্পেন ও আয়ারল্যান্ড। ২৭ জাতির ইইউর সদস্য সুইডেন, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুসলিম দেশগুলোকেও অনুরূপ স্বীকৃতি এবং দাবি আদায়ে কার্যকর ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারি মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা নেছার উদ্দিন, মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আল্লামা মকবুল হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মাওলানা আরিফুল ইসলাম ও আব্দুল আঊয়াল মজুমদার। সহযোগী সংগঠনের নেতারা মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুবআন্দোলনের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, সেক্রেটারি মুফতি মানসুর আহমদ সাকী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান, এইচ এম রফিকুল ইসলাম, হাজি শাহাদাত হোসেন, হাজি শাহীন আহমদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইউসুফ মানসুর, ইমরান নূর, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম, মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নেতারা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সেক্রেটারি ডা. শহিদুল ইসলাম, কে এম শরীয়াতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তর জয়েন্ট সেক্রেটারি মুফতি ফরিদুল ইসলাম।
২৮ মে, ২০২৪

তাঁতী দলের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৫ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল।  সোমবার (২৭ মে) তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ। সারা দেশের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসভাসহ সংগঠনের সব ইউনিটে স্থানীয় সুবিধা অনুযায়ী পালিত হবে এই কর্মসূচি। বিএনপির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে একসঙ্গে অথবা পৃথকভাবে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর কর্মসূচি পালন করতে সংগঠনের সব ইউনিটকে পরামর্শ দিয়েছে তাঁতী দল। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় চট্টগ্রামে এক দল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন জিয়াউর রহমান। বিএনপি দিনটি তার ‘শাহাদাত দিবস’ হিসেবে পালন করে। 
২৮ মে, ২০২৪

হেফাজতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নেতাদের হয়রানির অভিযোগ করে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে প্রশাসনের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা একটি চক্র হেফাজতের নেতাদের হয়রানির জন্য ২০১৩ ও ২০২১ সালে করা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের বহু মামলার চার্জশিট জমা দিয়ে মিথ্যা বিচারের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আর যারা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন, তাদেরই বেশিরভাগ সময় এক আদালত থেকে আরেক আদালতে হাজিরা দিয়ে যেতে হচ্ছে। এটি অমানবিক হয়রানি। এসব বন্ধ করুন। গতকাল রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে হেফাজত মহাসচিব এসব কথা বলেন। সভায় পাঠ্যবইয়ে বিতর্কিত বিষয় সংশোধনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা, ২ জুলাই নারায়ণগঞ্জ শহরে শিক্ষা সেমিনার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আরও ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মুহিউদ্দিন রাব্বানী, আহমদ আলী কাসেমী, আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিন, অর্থ সম্পাদক মুনির হুসাইন কাসেমী প্রমুখ। সাজেদুর রহমান বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে বহুমুখী ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সমাজের প্রতিটি স্তরে নৈতিক অবক্ষয় চলছে। হেফাজত মহাসচিব আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নারী-শিশুসহ প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটছে। মানবিক সংকট ও অনাহার-দুর্ভিক্ষ চলছেই। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি পঞ্চগড়ে মিথ্যা মামলায় কোর্টে হাজিরা দিতে আসা কয়েকজন নিরীহ মুসলমানকে গ্রেপ্তার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ২০২৩ সালে পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের জলসা বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানি করা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। তিনি ফরিদপুরের মধুখালীতে দুই শ্রমিকের হত্যাকাণ্ডে জড়িত চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে এখনো গ্রেপ্তার না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
২৩ মে, ২০২৪

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমান মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩০, ৩১ মে ও ১ জুন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২৪ থানা এবং ৮০টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল, দরিদ্র, শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী, বস্ত্র, বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হবে।  এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরবে দক্ষিণ বিএনপি। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় গতকাল বুধবার এক যৌথ সভায় এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
১৬ মে, ২০২৪

আ.লীগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে দলটি। বুধবার (১৫ মে) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় আওয়ামী লীগ।  বিবৃতিতে বলা হয়, স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওস্থ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা; সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীগণ বক্তব্য রাখবেন। দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও বিশেষ প্রার্থনা সভা: মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সকল মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ৯টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে (৩/৭-এ সেনপাড়া, পবর্তা, মিরপুর-১০) খ্রিষ্টান সম্প্রদায়, সকাল ১০টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডাস্থ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।  আগামী ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা।  দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 
১৫ মে, ২০২৪

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চরমোনাই
ফিলিস্তিনে অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের দাবিতে সারাদেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আগামী ১৭ মে শুক্রবার এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।  সোমবার (১৩ মে) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এক বিবৃতিতে কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। বর্বর ইসরাইল চাপিয়ে দেওয়া একটি জারজ রাষ্ট্র।  তিনি বলেন, ইসরাইলি পণ্য বয়কট নয়, আমদানি বন্ধ করতে হবে। এটা ঈমানদার জনতার প্রাণেল দাবি। ইহুদিদের অর্থনীতি আঘাত না করলে এরা থামবে না।  ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল শুধু আজকেই নয় বরং তারা ১৯৪৮ সাল থেকেই ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলায় কয়েক লক্ষ মানুষকে তারা শহীদ করেছে। বিশেষ করে বিগত ৭ মাসে ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে তা অকল্পনীয়। এই কয় মাসেই প্রায় চল্লিশ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। 
১৩ মে, ২০২৪
X