মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
ইউরোর নকআউট পরীক্ষা শুরু
ইউরোর নকআউট পর্বে আজ সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালি। আরেক ম্যাচে স্বাগতিক জার্মানি খেলবে ডেনমার্কের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচ শুরু হবে রাত ১০টায়, পরেরটা রাত ১টায়। গ্রুপ পর্ব থেকে বিপরীতমুখী অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে সুইজারল্যান্ড ও ইতালি। সুইসরা দান এনদিয়ের গোলে জয়ের পথেই ছিল, যা তাদের গ্রুপসেরা হিসেবে পরের রাউন্ডে আসার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। কিন্তু শেষ গ্রুপ ম্যাচের যোগ করা সময়ে নিকোলাস ফুলক্রুগের সমতাসূচক গোল সুইজারল্যান্ডকে ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে লুকা মদরিচের গোলে হারের মুখে ছিল ইতালি, যা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে দেওয়ার শঙ্কা জাগাচ্ছিল। যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে মাত্তিয়া জাক্কাগনির গোল ইতালিকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে ‘বি’ গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউট পর্বে তুলে আনে। পরিসংখ্যানের আলোকে ইতালিকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। ২০২০ সালের আসরের গ্রুপ ম্যাচে সুইজারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল দেশটি। ১৯৯৩ সালের বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে জয়ের পর থেকে সব প্রতিযোগিতায় ইতালির বিপক্ষে জয়শূন্য সুইজারল্যান্ড। এ সময়ের মধ্যে খেলা ১১ ম্যাচের ছয়টি জিতেছে ‘আজ্জুরি’ খ্যাত ইতালি, বাকি পাঁচ ম্যাচ ড্র হয়েছে। সুইজারল্যান্ড অধিনায়ক গ্রানিত ঝাকা ওসব পরিসংখ্যান ঝেড়ে ফেলে বাস্তবতা নিয়ে ভাবছেন, ‘প্রথম ধাপ শেষ। আমরা এখন পরের রাউন্ডে। আমরা পরবর্তী প্রতিপক্ষের জন্য অপেক্ষা করছি। আমি আশা করছি, সবাই এখন সুইজারল্যান্ডের প্রতি সম্মান দেখাবে।’ ইতালির সাংবাদিক পাওলো মেনিকুচি মনে করেন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোল ইতালিকে মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে। সুইজারল্যান্ডের সাংবাদিক আন্না-সোফিয়ার মতে, ‘সুইসরা টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোর নকআউট পর্বে এসেছে। দলটি পরাশক্তিদেরও চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। কোচের কৌশল এবং দলীয় ঐক্য দলটির বড় শক্তি।’
২৯ জুন, ২০২৪

মুসায়লার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইউরোর নকআউট পর্বে জার্মানি
এবারের ইউরোর স্বাগতিক জার্মানি আসরে তাদের দুর্দান্ত শুরু অব্যাহত রেখেছে। স্কটল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করার পর হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে জয়লাভ করে নকআউট পর্বে পৌঁছেছে ক্রুস-নয়্যাররা।  বায়ার্ন মিউনিখের ফরোয়ার্ড জামাল মুসায়লা এই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে তিনি একটি গোল করেন এবং খেলার শেষের দিকে বদলি হওয়ার সময় দর্শকদের দাঁড়িয়ে অভিবাদন পান। মুসায়লার গোলটি অবশ্য বেশ বিতর্কিত। কারণ গোলের আগে ইলকায় গুন্দোগান এবং হাঙ্গেরির উইলি অরবানের মধ্যে সংঘর্ষের পর আসে। হাঙ্গেরির ফাউলের দাবি সত্ত্বেও, ভিডিও সহকারী রেফারি (ভিএআর) মাঠের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। এতে করে মুসায়লা হাঙ্গেরি সমর্থকদের সামনে তার সতীর্থদের সাথে উদযাপন করতে পারেন। হাঙ্গেরি প্রথমার্ধের ঠিক আগে রোলান্ড সালাইয়ের হেডারের মাধ্যমে একটি আশা পেয়েছিল, কিন্তু এটি অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয়। তবে, দ্বিতীয়ার্ধে গুন্দোগান নিজেকে ফাঁকা পেয়ে হাঙ্গেরির গোলকিপার পিটার গুলাসিকে সহজে পরাস্ত করে জার্মানির লিড দ্বিগুণ করেন। স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫-১ ব্যবধানে জয়ের তুলনায় জার্মানি এখানে কঠিন প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল। হাঙ্গেরির রক্ষণ শক্তিশালী ছিল এবং লিভারপুলের ডমিনিক সোবোসলাই তার সেট-পিস দক্ষতার সাথে নিয়মিত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি ম্যানুয়েল নয়ার থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেভ করতে এবং অন্য একটি প্রচেষ্টা জোনাথন তাহ দ্বারা ব্লক করতে বাধ্য করেন। সৃষ্টিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণের মুহূর্ত দ্বারা চিহ্নিত জার্মানির এই পারফরম্যান্স তিনটি পয়েন্ট অর্জনের জন্য যথেষ্ট ছিল যা তাদের সবার আগে নকআউট পর্বে তুলল।  রোববার ফ্রাঙ্কফুর্টে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি জয় জার্মানিকে গ্রুপ এ-এর বিজয়ী হিসেবে নিশ্চিত করবে। হাঙ্গেরির জন্য, এই পরাজয়টি তাদের সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রাথমিক হারের পর একটি উল্লেখযোগ্য ধাক্কা। তারা এখন তাদের টুর্নামেন্টের আশা বাঁচিয়ে রাখতে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে হবে।
২০ জুন, ২০২৪

নকআউট পর্বে কিংস
ফরটিজ এফসির পর শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষেও কষ্টে জিতল বসুন্ধরা কিংস। টানা দুই জয়ে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের নকআউট পর্বে গেছে হালের পরাশক্তিরা। এদিকে ঘরোয়া কার্যক্রমে দুর্দশা কাটছেই না শেখ রাসেলের। মুন্সীগঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে ভাগ্য নির্ধারণী একমাত্র গোল করেছেন উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার গফুরভ। ৩৬ মিনিটে করা এ গোলের পর শত চেষ্টা করেও ব্যবধান বড় করতে পারেনি টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। শেখ রাসেলকে ৩-১ গোলে হারানো ফরটিজ এফসি গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে পরের রাউন্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। এ নিয়ে ঘরোয়া দুটি প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র। স্বাধীনতা কাপের ‘বি’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র ও হারে চার দলের মধ্যে তৃতীয় হয়ে বিদায় নিয়েছিল ব্লুজরা। এবার দুই ম্যাচের দুটি হারা শেখ রাসেল কোনো গোল করতে পারেনি। সব প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে সাত ম্যাচে জয়শূন্য দলটি। ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ী দলটি সর্বশেষ জয় পেয়েছে গত ডিসেম্বরে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। তারপর থেকে চার হারের বিপরীতে বাকি তিন ম্যাচ ড্র করেছে শেখ রাসেল।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X