এক দশকেই ধনী দেশে পরিণত হবে আফগানিস্তান
মাত্র এক দশকেই ধনী দেশে পরিণত হবে আফগানিস্তান। এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে খোদ যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের জরিপ বলছে- দেশটির রুক্ষ মাটির নিচে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের প্রকৃতিক সম্পদ। এগুলো যদি সঠিকভাবে উত্তলোন করা যায়- তাহলে মাত্র এক দশকেই উন্নত দেশের কাতারে উঠে আসবে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান।  ইসলামি আমিরাতের মাটির নিচে রয়েছে- লিথিয়ামের মতো মহামূল্যবান খনিজ সম্পদ। আর এই লিথিয়ামকে বলা হচ্ছে আগামী বিশ্বের চালিকাশক্তি।  দিন যতই যাচ্ছে স্বয়ংক্রিয় নানা যন্ত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ ততই বাড়ছে। বিশেষ করে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি। আর এসব স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের শক্তি সংরক্ষণের জন্য দরকার লিথিয়াম। তাই এই লিথিয়ামকেই ভবিষ্যতের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প বলে মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের উষর মাটির নিচে রয়েছে লিথিয়ামের বিশাল ভাণ্ডার।    ২০১০ সালে ভূতাত্বিকদের মূল্যায়ণ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন। যেখানে লিথিয়ামের বিপুল মজুদের জন্য আফগানিস্তানকে আগামীর সৌদি আরব বলে আখ্যা দেওয়া হয়। ইসলামের পূণ্যভূমি সৌদি আরব যেমন অপরিশোধিত তেলের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধনী দেশ হয়ে উঠেছিল, লিথিয়ামের মাধ্যমে আফগানিস্তানও মাত্র এক দশকেই সমৃদ্ধ দেশ হতে পারে বলে আভাস দেওয়া হয় পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে। ধারণা করা হচ্ছে— খনিজ আকারে মাটিতে থাকা এই রাসায়নকি যৌগ লিথিয়ামের মাধ্যমে বলিভিয়ার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে কাবুল। নাসা পরিচালিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে অব্যবহৃত লিথিয়াম খনিগুলোর মূল্য আনুমানিক এক ট্রিলিয়ন ডলার। যা দেশটির অর্থনীতিকেই বদলে দিবে।  আফগানিস্তানের লিথিয়াম খনি হেরাত থেকে নুরিস্তান প্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানা গেছে। যার দৈর্ঘ্য ৯০০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ২০০ কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে, এই লিথিয়াম খনিগুলোর জীবনকাল প্রায় ৭০ বছর। কিন্তু মূল্যবান এই প্রাকৃতিক সম্পদ আফগানিস্তানের জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে। কারণ, দ্বিতীয় মেয়াদে তালেবান দেশটির শাসন ক্ষমতা থাকলেও এখনো নানা দল-উপদল ও গোষ্ঠীটিতে বিভক্ত আফগানিস্তান। খনির দখল নিয়ে এসব গোষ্ঠী রক্তক্ষয়ী সংঘাতে লিপ্ত হলে মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে মূল্যবান এই সম্পদ।  
০৪ জুলাই, ২০২৪

রাতারাতি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী হয়ে ওঠেন তারা
নিজের যোগ্যতায় নয় বরং উত্তরাধিকার সূত্রে ধনী হয়েছেন এমন নারীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। কিন্তু এমনও নারী আছেন, যারা উত্তরাধিকার সূত্র বা ডিভোর্সের মাধ্যমে এতটাই ধনী হয়েছেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে  ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন তারা। ধনকুবেরদের তালিকা রাখা ফোর্বস জানিয়েছে, বর্তমানে শত কোটি ডলার বা তার চেয়ে বেশি সম্পদ আছে, এমন ব্যক্তির সংখ্যা ২ হাজার ৭৮১ জন। আর তাদের মধ্যে নারী হচ্ছে ৩৬৯ জন। গেল বছরের চেয়ে ধনী নারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস। ২০২৩ সালে বিশ্বে সবচেয়ে ধনী নারীর সংখ্যা ছিল ৩৩৭ জন। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে হয়েছে ৩৬৯ জন। এই ধনী নারীদের সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীর ৮ জনই উত্তরাধিকার সূত্রে এই বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হয়েছেন। কেবলমাত্র একজন নারী নিজের যোগ্যতায় এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আর ডির্ভোসের কারণে বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে তালিকায় স্থান পেয়েছেন এক নারী। টানা চার বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর খেতাব জিতে নিয়েছেন ল’রিয়েলের উত্তরাধিকারী ফ্রাঁসোয়া বেনেটকোর্ট মেয়ার্স। ফোর্বস চলতি বছরের এপ্রিলে জানায়, গেল ১২ মাসে বেনেটকোর্টের সম্পদের পরিমাণ ১৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সব মিলিয়ে তিনি এখন ৯৯.৫ বিলিয়ন ডলারের মালিক। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ওয়ালটনে একজন উত্তরাধিকারী বা বেনেটকোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীর খেতাব দখলের রেখেছেন। মায়ের মৃত্যুর দুই বছর পর ২০১৯ সালে বেনেটকোর্ট প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় স্থান পান। ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা স্যাম ওয়াল্টনের একমাত্র মেয়ে অ্যালিস ওয়ালটন। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় দ্বিতীয় ছিলেন। বিগত কয়েক মাসে ওয়ালমার্টের শেয়ার ফুলে-ফেঁপে ওঠায় আরও ধনী হয়েছেন তিনি। অ্যালিস কখনও ওয়ালমার্টের পরিচালকদের আসনে বসেননি, বরং আঁকাআঁকি নিয়েই থেকেছেন। নিজের হোমটাউন আরকানসাসের বেন্টনভাইলে একটি আর্ট গ্যালারি খুলেছেন তিনি শিল্পপ্রেমী অ্যালিস। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৭২.৩ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী নারীর তালিকায় একমাত্র ব্যতিক্রম ম্যাকেঞ্জি স্কট। অন্যরা যেখানে বাবা, স্বামী বা মায়ের সম্পদের উত্তরাধিকারী হয়েছেন, ম্যাকেঞ্জি সেখানে ডিভোর্সের পর রাতারাতি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধনী নারীদের তালিকায় স্থান করে নেন। ম্যাকেঞ্জি বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি জেফ বেজোসের স্ত্রী ছিলেন। তাদের ডিভোর্সের পর অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন। ব্যাস, আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ৫৩ বছর বয়সী এই নারীর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৫.৬ বিলিয়ন ডলার। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন। ধনীতম নারীদের এই তালিকায় একজন ভারতীয়ও রয়েছেন। তার নাম সাবিত্রী জিন্দাল। ৭৪ বছর বয়সী সাবিত্রী ভারতের সবচেয়ে ধনী নারী। ২০০৫ সালে স্বামী ওম প্রকাশ জিন্দালের মৃত্যুর পর তার বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক হন সাবিত্রী। জিন্দাল গ্রুপের স্টিল, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট ও অবকাঠামো খাতে ব্যবসা রয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ধনীতম নারীদের তালিকায় ১২তম ছিলেন সাবিত্রী। তবে জিন্দাল গ্রুপের শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালে এই তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ৩৩.৫ বিলিয়ন ডলার। তেল শোধনের ব্যবসা থেকে শুরু করে পেপার টাওয়ালের ব্যবসা করা জুলিয়া কোচ ও তার পরিবার বিশ্বের তৃতীয় ধনীতম নারী। তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা জ্যাকুলিন মার্স ক্যান্ডি ও পেট ফুডের ব্যবসা থেকে ধনী হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শিপিং কোম্পানির সহপ্রতিষ্ঠাতা রাফায়েলা অ্যাপোন্তে-ডিয়ামান্তর অবস্থান তালিকায় সপ্তম। শীর্ষ ১০ এর তালিকায় তিনিই একমাত্র নারী যিনি নিজের যোগ্যতায় ধনী হয়েছেন। মিরিয়াম অ্যাডেলসন ও তার পরিবার রয়েছে তালিকার অষ্টম অবস্থানে। আর জিনা রাইনহার্টের অবস্থান নবম। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারীদের তালিকায় অ্যাবিগেইল জনসন ১০ম স্থান দখল করেছেন।
০৩ জুলাই, ২০২৪

গৃহকর্মীদের শোষণের দায়ে / ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবারের ৪ সদস্যের কারাদণ্ড!
ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুজা পরিবারের ৪ সদস্যকে কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সুইস আদালত। সুইজারল্যান্ডের বিলাসবহুল জেনেভা ভিলায় গৃহকর্মীদের `অবৈধভাবে শোষণের’ দায়ে মামলা করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে। আদালতের রায়ে হিন্দুজা পরিবারের চার সদস্যকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা মানব পাচারের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।  তবে গৃহকর্মীদের শোষণের মামলায় ইউরোপের হিন্দুজা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকাশ হিন্দুজা (৭৮) এবং তার স্ত্রী কমল হিন্দুজাকে (৭৫) সাড়ে চার বছর এবং হিন্দুজা দম্পতির পুত্র অজয় এবং পুত্রবধূ নম্রতাকে চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে সুইচ আদালত।  ব্রিটেনের সবচেয়ে ধনী পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, হিন্দুজা পরিবার ৪৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক। জ্বালানি তেল, ব্যাঙ্কিং থেকে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসা প্রসারিত। ইউরোপ আমেরিকাসহ মোট ৩৮টি দেশে হিন্দুজারা ব্যবসা চালায়।  অভিযোগ ওঠে, দিনে মাত্র ৮ ডলার বা ৭ ফ্রাঙ্ক (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৬৬০ টাকা) বেতন দিয়ে ভারতীয় পরিচারিকাদের দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করাত হিন্দুজা পরিবার। এই মজুরি সুইজারল্যান্ডের স্ট্যান্ডার্ড রেটের ১০ ভাগের ১ ভাগ। এদিকে সপ্তাহে সাতদিনই কাজ করতে হতো পরিচারিকাদের। তাদের কোনো ছুটি দেওয়া হতো না। এমনকি পরিচারিকাদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও ওঠে হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে।  পরিচারিকাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগও এই কোটিপতি পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, পরিচারিকাদের থেকে নিজেদের পোষ্য কুকুরের ওপরে বেশি খরচ করে তারা। বলা হয়েছে, বছরে ৮৫৪৮ ফ্রাঙ্ক বা ভারতীয় মুদ্রায় ৮ লাখ টাকা নিজেদের পোষ্য কুকুরের জন্য খরচ করেছে হিন্দুজা পরিবার। এদিকে হিন্দুজা পরিবারের আইনজীবী এসব অভিযোগ খারিজ করে দাবি করেন, তাদের ভিলাতে কাজ করা পরিচারিকারা ভালো জীবনের সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞ। আদালতের কারাদণ্ডের সাজায় হিন্দুজা পরিবার হতবাক। এই আবহে তারা উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করবেন। তাদের দাবি, ভিলার পরিচারিকারা যখন ইচ্ছে তখন বাইরে বেরোতে পারেন।  এসব অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার পক্ষের আইনজীবী মামলা করেন হিন্দুজা পরিবারের বিরুদ্ধে। এদিকে সত্তর বছরেরও বেশি বয়সী প্রকাশ হিন্দুজা এবং কমল হিন্দুজা শারীরিক অক্ষমতার কারণে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেননি। আর অজয় হিন্দুজা এবং নম্রতা হিন্দুজা এর আগে শুনানিতে হাজির থাকলেও রায় ঘোষণার দিন আদালতে আসেননি তারা। 
২২ জুন, ২০২৪

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী কে এই মানসা মুসা?
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হচ্ছেন স্পেসএক্স ও টেসলার মালিক ইলন মাস্ক। ধনকুবেরদের পকেটের খবর রাখা ব্যবসাভিত্তিক ম্যাগাজিন ফোর্বস বলছে, মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ২০ হাজার ১০০ কোটি ডলার। কিন্তু তিনি সর্বকালের সেরা ধনীর ধন-সম্পদের ধারে কাছেও নেই। ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার এক মুসলিম শাসকের কাছে এত পরিমাণ সম্পদ ছিল যে, তার দানের কারণে একটি দেশের অর্থনীতিতে নামে ধস। আজকের আফ্রিকার সঙ্গে কয়েক শ’ বছরের আফ্রিকার কোনো মিল নেই। এক সময় এই আফ্রিকা ছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। আর সেই প্রাণকেন্দ্রেই নিজের বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন মুসলিম শাসক মানসা মুসা। মালির এই শাসক এতটাই সম্পদশালী ছিলেন যে তার সম্পদের পরিমাণ ধারণাও করতে পারেনি ইতিহাসবিদরা। মানি ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারও পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব মানসা মুসা এর চেয়েও ধনী ছিলেন। মানসা মুসা ১২৮০ সালে একটি শাসক পরিবারেই জন্ম নেন। তিনি ক্ষমতায় বসার আগে মালির শাসক ছিলেন তার ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ সালে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। আটলান্টিক মহাসাগর এবং তার ওপারে কী আছে তা নিয়ে খুব কৌতূহল ছিল আবু-বকরের। বলা হয়, ২ হাজার জাহাজ এবং হাজার-হাজার পুরুষ, নারী এবং দাস-দাসী নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি জমান তিনি। তবে এরপর আর কখনও ফিরে আসেননি আবু-বকর। উত্তরাধিকার সূত্রে মালির শাসনভার গ্রহণ করেন মানসা মুসা। তার শাসনামলে মালি রাজত্বের বিস্তার ঘটতে থাকে। মানসা মুসা তার রাজত্বে আরও ২৪টি শহর যুক্ত করেন। যেগুলোর একটি ছিল টিম্বাকটু। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নাইজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুরকিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভোরি কোস্টের বড় অংশ মানসা মুসার রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এত বড় সাম্রাজ্যের সাথে তার আয়ত্ত্বে আসে স্বর্ণ ও লবণের মতো মূল্যবান খনিজ সম্পদ। ব্রিটিশ মিউজিয়াম বলছে, মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুত ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর সেগুলোর সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান যোগান ছিল তার কাছে। বড় বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলো তার সাম্রাজ্যে স্বর্ণ এবং অন্যান্য পণ্যের ব্যবসা করতো, সেই বাণিজ্য থেকে আরও সম্পদশালী হয়ে ওঠেন মানসা মুসা। তবে স্বর্ণের বিশাল মজুত থাকলেও, এই রাজত্ব বহির্বিশ্বে অতটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা যখন সাহারা মরুভূমি এবং মিসর পার হয়ে মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়। বলা হয়ে থাকে, ৬০ হাজার মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মানসা মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রী পরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২ হাজার দাস-দাসী। একই সাথে খাবারের জন্য ছিল ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। তার বহরের দাসের গায়েও ছিল স্বর্ণখচিত পারস্যের সিল্কের জামা। এরপর সেই বহর যখন কায়রো পৌঁছায় তখন ঘটে অভাবনীয় এক ঘটনা। কায়রোতে তিন মাস অবস্থান করেন মানসা মুসা। সে সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ওই পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি। জানা যায়, মানসা মুসা এত বেশি স্বর্ণ দান-খয়রাত করেন যে, মালির চারণকবিরা তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা মনে করতে থাকেন, মালির সম্পদ বিদেশের মাটিতে নষ্ট করেছেন মানসা মুসা। অতি দানশীলতার কারণেই বিশ্বের নজরে আসেন মানসা। মূলত এ কারণেই মালি এবং তিনি নিজে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেন। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষজন টিম্বাকটু আসতে শুরু করে। ১৯ শতকেও মালির টিম্বাকটু ছিল কিংবদন্তীর হারিয়ে যাওয়া এক স্বর্ণের শহর। এমনকি ভাগ্যান্বেষণে ইউরোপ থেকেও পর্যটকরা এই টিম্বাকটুর খোঁজ করতেন। আর এর পেছনের কারণ ছিল কয়েকশ’ বছর আগে মানসা মুসার সেই শাসনামল। ১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মারা যান মানসা মুসা। তার মৃত্যুর পর মানসা মুসার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেনি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে। একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা ধীরে ধীরে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে। আর এটাই ছিল প্রতাপশালী সম্রাট মানসা মুসার সাম্রাজ্যের কফিনে শেষ পেরেক।
২০ জুন, ২০২৪

মোদির মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ধনী সদস্য চন্দ্রশেখর
অন্ধ্রপ্রদেশের আলোচিত নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) দুজন মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন পূর্ণমন্ত্রী, আরেকজন প্রতিমন্ত্রী। টিডিপি নেতা কে রামমোহন নাইডু পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। কে রামমোহন ছাড়াও মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। তার পর থেকেই তাকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ চন্দ্রশেখরই মোদির নতুন মন্ত্রিসভার ধনীতম সদস্য। খবর দ্য হিন্দুর। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টু লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার টিডিপির টিকিটে লড়েছিলেন চন্দ্রশেখর। তিনি প্রায় সাড়ে তিন লাখ ভোটে হারিয়েছেন জগন্মোহন রেড্ডির দল ওয়াইএসআরসিপির প্রার্থী কিলারি ভেঙ্কটা রোয়াইয়াকে। গুন্টুরের বাসিন্দা চন্দ্রশেখর। সেখানকার বুরিপালেম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৪৮ বছর বয়সী এ রাজনীতিবিদ পেশায় চিকিৎসক। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাস করেন চন্দ্রশেখর। তার পর বিদেশে পাড়ি দেন। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি এবং লিনাইল হাসপাতালে পাঁচ বছর প্র্যাকটিস করেন চন্দ্রশেখর। পাশাপাশি অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছিলেন চন্দ্রশেখর। নাম ‘ইউ ওয়ার্ল্ড’। বর্তমানে সেই সংস্থার সিইও তিনি। আমেরিকাতে থাকতেই সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন চন্দ্রশেখর। তার পরিবার বরাবরই চন্দ্রবাবু নাইডুর দলের সমর্থক। টিডিপি এনআরআই সেলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। আমেরিকায় বিভিন্ন দলীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করতেন চন্দ্রশেখর। ২০২০ সালে আমেরিকায় থাকাকালে তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে পুরস্কার জেতেন। ‘আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং’ অ্যাওয়ার্ড পান তিনি। এ ছাড়া পেম্মাসানি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন চন্দ্রশেখর। বিভিন্ন স্বাস্থ্যশিবির আয়োজন করে এ ফাউন্ডেশন। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ করে তারা। সেই চন্দ্রশেখরের সম্পত্তির পরিমাণ ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। ভোটাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস বা এডিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চন্দ্রশেখরই দেশের ধনীতম মন্ত্রী। এডিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৮ হাজার ৩৬০ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি রয়েছে চন্দ্রশেখরেরই। নিজের সম্পত্তির পাশাপাশি পারিবারিক সম্পত্তিও রয়েছে তার। সে কারণেই অন্য সংসদ সদস্যদের তুলনায় আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে চন্দ্রশেখর। এডিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই কোটিপতি, যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণের থেকেও বেশি। সেবার কোটিপতি সাংসদদের হার ছিল ৪৪ শতাংশ।
১২ জুন, ২০২৪

গরিব মেরে ধনী পোষার বাজেট এবারেও
এবারের ঘোষিত বাজেট ধনিকশ্রেণির দুর্নীতি ও লুটপাটের দায় মেহনতি ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপাবে বলে মনে করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতারা বলেছেন, গরিব মেরে ধনী পোষার অতীতের ধারা এবারেও বাজেটে অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে সংকোচনমূলক বাজেট প্রবৃদ্ধি কমাবে, কিন্তু বেকারত্ব বাড়াবে। গতকাল জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পর এক যৌথ বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় মিষ্টি কথার ফুলঝুড়ি ছড়িয়ে নানাভাবে কর ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পথ আরও প্রশস্ত করেছে বলেও মন্তব্য করেন তারা। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মুদ্রাস্ফীতির ফলে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা দারিদ্র্যে দিকে ঝুঁকে পড়ছে এবং দরিদ্ররা চরম দরিদ্র হয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। সেইসঙ্গে উৎপাদনশীল খাতে সাধারণ শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি কমছে। নেতারা বলেন, শ্রমিকরা দাবি করেছিল চাল-ডাল-তেল ও শিশুখাদ্যের রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা। কিন্তু বাজেটে তা করা হয়নি।
০৭ জুন, ২০২৪

ধনী যুবক ও মধ্যবয়সীরাই সামিয়ার টার্গেট
ইন্টারনেট জগত। যে জগতে ঘুরলেই দেখা মিলবে অসংখ্য ডেটিং অ্যাপস। আমাদের দেশেও রয়েছে এ রকম বেশ কিছু অ্যাপস। যেখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা প্রতারণার ঘটনা। যা চোখ লজ্জ্বার ভয়ে নিরবে সয়ে যাচ্ছে অনেকে। তবে চাপা পড়ছে না। মাঝে মধ্যেই বেরিয়ে আসছে দু-একটি ঘটনা। এবার এমনই এক ঘটনার তথ্য হাতে এসছে দৈনিক কালবেলার কাছে। যে ঘটনার মূল চরিত্রে রয়েছে মোছা. সামিয়া। মেয়েটি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে অ্যাকাউন্ট করে প্রতারণা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ধনী যুবক ও মধ্যবয়সীদের টার্গেট করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। নিজের ছবিতে যখন আর কাজ হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য বিকাশে টাকা নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেয় এই মেয়ে। পরবর্তীতে তার সেই বান্ধবী বিষয়টি জানতে পারলে প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি।  ভুক্তভোগী সেই বান্ধবী জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বেশ কয়েকদিন ধরে লক্ষ করছেন, বাসা থেকে বের হলেই আশপাশের কিছু মানুষ তার দিকে কৌতূহল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। তারপরও তিনি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছিলেন। একদিন উত্তরায় রিকশায় যাচ্ছিলেন তিনি। রাস্তায় অপরিচিত এক ব্যক্তি তার নাম ধরে ডাকতে থাকেন। চিৎকার করে বলেন, এই মেয়ে কেন এমন করলে আমার সঙ্গে। আমার কাছে রুম ডেটের কথা বলে অগ্রিম টাকা নিয়ে তারপর আমাকে ব্লক করে দিলে। সেই ব্যক্তির কথা শুনে অবাক হন ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনার কয়েকদিন পর তার পরিচিতরা তাকে ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানের একটি আইডির স্ক্রিনশট পাঠায়। সেখানে মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করা হয়েছে তার ছবি। সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট করার নামে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। আর এসব কিছুই করেছে তারই কাছের বান্ধবীর সামিয়া। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। রুম ডেটের কথা বলে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও নিয়েছে কারও কারও কাছ থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ বাজারও নিয়েছে। অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা লেনদেনের অডিও ও ম্যাসেজের তথ্য রয়েছে কালবেলার হাতে। একটি অডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, তুমি তো শুধু মাছ আর গোশত কিনে দিলে। তেল, লবণ কেনার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা পাঠাও। তারপর রুম ডেটে যাব। বান্ধবীর দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তিনি কালবেলাকে বলেন, আমি রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। বান্ধবী হয়ে আমার এত বড় ক্ষতি করল! আমি এই ঘটনার বিচার চাই। তার দ্বারা যেন অন্য কেউ আর প্রতারিত না হয়। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক কালবেলাকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। যে কোনো অ্যাপসে অ্যাকাউন্ট করার পর কোনো নারী সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে টাকা পাঠালে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সামিয়ার মোবাইল ফোনে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ফোনে এবং হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করলেও কোনো উত্তর মেলেনি। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায় অভিযোগ করার পরই নিজের ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
১০ মে, ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মুসলিম পরিবারের চমকে যাওয়া সম্পত্তি
একটি পরিবারে গাড়ি আছে ৭০০-রও বেশি। রয়েছে ৮টি বিমান। পরিবারটি যে বাড়িতে থাকেন তার মূল্য ৫ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই মুসলিম পরিবারের নাম আল নাহিয়ান পরিবার। তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজপরিবার। যারা মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, পুরো বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র বানিয়েছে উপসাগরীয় দেশটিকে।  আল নাহিয়ান পরিবারের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তিনি একই সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবিরও শাসক। শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের রয়েছে ১৮ ভাই ও ১১ বোন। তার ৯ সন্তানের ঘরে রয়েছে ১৮ জন নাতি-নাতনি। তারা সবাই মিলে ক্বাসর আল ওয়াতান নামের এক বিশাল রাজবাড়িতে বসবাস করেন। ৩ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটারের এই বাড়িটির মূল্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ২৩৩ কোটি টাকার কাছাকাছি।  শুধু রাজকীয় বাড়িই নয়, আমিরাতের এই রাজপরিবারের গাড়ি সংগ্রহের কথা শুনলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। আল নাহিয়ান পরিবারের গাড়ি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরক্কোর ৪টি জাদুঘরে রয়েছে। কেবলমাত্র হামেদ বিন হামদান আল নাহিয়ানেরই রয়েছে ৭০০-র বেশি ব্যক্তিগত গাড়ি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এস-ইউ-ভি’র মালিকও তিনি। শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ফেরারি এবং মার্সিডিজ-বেঞ্জ এজি কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে। তার সংগ্রহে বুগাটি ভেরন, ফেরারি ৫৯৯এক্সএক্স, ম্যাকলারেন এমসি১২, মার্সিডিজ-বেঞ্জ সিএলকে জিটিআর ও একটি ল্যাম্বরগিনি রেভেনটন রয়েছে। নাহিয়ান পরিবারের ৮টি বিমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি এয়ারবাস এ৩২০-২০০, ৩টি বোয়িং ৭৮৭-৯। এ ছাড়া শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নিজের সংগ্রহে একটি বোয়িং ৭৪৭ আছে। যার মূল্য ৪৭৮ মিলিয়ন ডলার এবং একটি বোয়িং ৭৮৭ আছে। যার মূল্য ১৭৬ মিলিয়ন ডলার। এসব বিমানে একাধিক কেবিন, মিটিং রুম, বিনোদন রুম, বিলাসবহুল বাথরুম, এমনকি স্পা-ও রয়েছে। এর বাইরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি প্রমোদতরীর মধ্যে ৩টিরই মালিক আল নাহিয়ান পরিবার। আবুধাবির সাবেক শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের জন্য ৬০ কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত  প্রমোদতরী আজ্জাম নির্মাণ করা হয়েছিল। ১৮০ মিটার লম্বা এই প্রমোদতরীতে ১০০ জনের বেশি মানুষ চড়তে পারে। এ ছাড়া ব্লু নামে আরও একটি প্রমোদতরীর মালিক আল নাহিয়ান পরিবার। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম এই প্রমোদতরীর দাম ৫৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই পরিবারের রিয়েল এস্টেট ব্যবসা আছে। এ ছাড়া সিটি ফুটবল গ্রুপের অন্তত ৮১ শতাংশের মালিকানা এই পরিবারের। উল্লেখ্য, সিটি ফুটবল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ম্যানচেস্টার সিটি, মুম্বাই সিটি, মেলবোর্ন সিটি এবং নিউইয়র্ক সিটি ফুটবল টিম খেলে থাকে।
০৪ মে, ২০২৪

কত টাকায় বিক্রি হলো টাইটানিকের সবচেয়ে ধনী যাত্রীর স্বর্ণের ঘড়ি
১৯১২ সালে যখন টাইটানিক জাহাজ ডুবে যায়, তখন বহু যাত্রীর সঙ্গে প্রাণ হারান মার্কিন ধনকুবের জন জ্যাকব অ্যাস্টর। ওই সময় অ্যাস্টর ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষধনী। অ্যাস্টরের কাহিনি টাইটানিক সিনেমার প্রধান দুই চরিত্র জ্যাক আর রোজের মতোই। দুর্ঘটনার সময় জাহাজে স্ত্রী ম্যাডেলিনও তার সঙ্গে ছিলেন। তবে তাকে একটি লাইফবোটে তুলে দিয়েছিলেন অ্যাস্টর। ফলে প্রাণে বেঁচে যান ম্যাডেলিন। তবে বাঁচতে পারেননি ধনকুবের অ্যাস্টর। এবার তার স্বর্ণের ঘড়ি নিলামে তুলে রেকর্ড দামে বিক্রি করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার দাম প্রায় ১৬ কোটি টাকা। রোববার আল জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় শনিবার ইংল্যান্ডে ঘড়িটি নিলামে তুলে হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সন নামে একটি সংস্থা। সেখানে ঘড়িটি ১১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৬ কোটি টাকার সমান। যুক্তরাষ্ট্রের একজন ব্যক্তি ঘড়িটি কিনে নিয়েছেন। নিলামকারী সংস্থা জানিয়েছে, টাইটানিক ট্রাজেডির সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো জিনিসের বিক্রয়মূল্যের ক্ষেত্রে এটা একটা রেকর্ড। জাহাজ ডুবে যাওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর অ্যাস্টরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময় তার কাছে পাওয়া বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে স্বর্ণের ঘড়িটিও ছিল। নিলাম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারের পর ঘড়িটি অ্যাস্টরের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি মেরামত করে ব্যবহার করতেন অ্যাস্টরের ছেলে। হেনরি অ্যালড্রিজ অ্যান্ড সনের ধারণা ছিল, নিলামে হয়তো এক থেকে দেড় লাখ পাউন্ড দাম উঠবে সোনার ঘড়িটির। কিন্তু তাদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে সেটা প্রায় ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে।
২৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির মুকুট হারালেন মাস্ক
বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ককে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মুকুট নিজের করে নিয়েছেন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। সোমবার (৪ মার্চ) ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সে এমন তথ্য উঠে আসে। দীর্ঘ ৯ মাসের বেশি সময় পর ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান হারালেন ইলন মাস্ক। সোমবার টেসলার শেয়ারের ৭ দশমিক ২ শতাংশ দরপতন হয়। এর জেরে ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ১৯৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে। অন্যদিকে গতকাল বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থান কমবেশি নিজের দখলে রেখেছিলেন ৫২ বছর বয়সী ইলন মাস্ক। এবার সেই অবস্থানে হানা দিলেন ৬০ বছরের বেজোস। টেসলা, টুইটার (বর্তমান এক্স) ছাড়াও রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের মালিক ইলন মাস্ক। অন্যদিকে বেজোসের নেতৃত্বে অ্যামাজন এখন ই-কমার্সের পাশাপাশি ক্লাউড কম্পিউটিং, অনলাইন বিজ্ঞাপন, ডিজিটাল স্ট্রিমিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ ছাড়া মহাকাশে মানুষবাহী রকেট পাঠানো প্রতিষ্ঠান ‘ব্লু অরিজিন’-এর প্রতিষ্ঠাতাও জেফ বেজোস।
০৫ মার্চ, ২০২৪
X