খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে : মোর্শেদ হাসান
বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ও ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন হবে। শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, আমরা আর কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। তা না হলে পেশাজীবী সমাজ ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।  খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। সমাবেশে ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের নেতৃত্বে শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।  ইউট্যাবের নেতাদের মধ্যে সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন সংগঠনের সহসভাপতি অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম। এ ছাড়া আরও ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. মো. দেলোয়ার হোসেন, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক আতাউর রহমান, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক মোস্তাফিজ, অধ্যাপক নওশের, অধ্যাপক আমীর হোসেন প্রমুখ।
২৯ জুন, ২০২৪

আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা অনিরাপদ : আজাদ
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের জনগণ সুখে শান্তিতে বসবাস করেছেন। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আসলে আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা নিরাপদ নয়। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। নজরুল ইসলাম আজাদ আরও বলেন, আজকে জনগণের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই।  দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একদফার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। আমরা হয়তো সাময়িকভাবে থেমে গেছি। কিন্তু এই সরকারের পতন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।  তিনি আরও বলেন, আগামীতে নতুনভাবে আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে। আপনারা সবাই অতীতের মতো আবারও ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে সরকারের পতন নিশ্চিত করবেন এই প্রত্যাশা করছি। তা না হলে দেশ ও জনগণের অধিকার চিরতরে হারিয়ে যাবে। এ সময় সরকারবিরোধী গত আন্দোলনে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নেন ও দুপুরের খাবার খান তিনি। পরে আড়াইহাজারের পাঁচরুখীতে নিজের বাবা ও নিকটাত্মীয়দের কবর জিয়ারত করেন নজরুল ইসলাম আজাদ। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের মাহবুবসহ স্থানীয় পাঁচরুখী এলাকার হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
১১ এপ্রিল, ২০২৪

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করে দিচ্ছে : রিজভী 
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে তাদের পতন ঘটানো ছাড়া মানুষের মুক্তির উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।  তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করেছে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে একটি দেশের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের দেশের ‘স্বাধীনতাকে বিক্রি’ করে দিচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পার্শ্ববর্তী দেশের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীর সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি। কিন্তু যখন দেখি একটি দেশ দেশের জনগণ নয়, বাংলাদেশ নয়, একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে; তাহলে কী করে সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে? কারণ তারা তো এ দেশের জনগণকে, এই দেশের মানুষকে কোনো মূল্যই দেয় না। ৭ জানুয়ারি যে ডামি নির্বাচন হয়ে গেল পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ তারা বলেছে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নয়। আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এইটাই তো বড় কথা। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ সেটি বলে না, তারা বলে আমরা এই সরকারের পক্ষে।  তিনি বলেন, যখন একটি দখলদার অবৈধ সরকারকে যে দেশ যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা যখন প্রকাশ্যে সমর্থন করে তখন আমাদের ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অনেক দুর্বল অবস্থার মধ্যে আছে, দুর্বল হয়ে গেছে। আজকে দেশের মানুষ কথা বলতে পারে না। আজকে দেশের মানুষ তার যে ন্যায্য অধিকার  সেই অধিকারের কথা বলতে পারে না। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। রিজভী আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে কথা বললে অনেকের গা জ্বালা-পোড়া করে। কারণ শেখ হাসিনা জানেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের কী হবে।  বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
২৫ মার্চ, ২০২৪

দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই : কাদের
দেশের স্বাধীনতা যদি রক্ষা করতে চান, দেশকে যদি ভালোবাসেন, তাহলে ক্ষমতার মঞ্চে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে তেজগাঁওয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ১৫০টি সেতু, ১৪টি ওভার পাস, স্বয়ংক্রিয় মোটরযান ফিটনেস পরীক্ষা কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীতে আন্দোলনে সরকারের পতন হয়, আমাদের এখানে ’৬৯-এর আন্দোলনে হয়েছে, এরশাদ সাহেবেরও পতন হয়েছে। বিরোধীদলের পতন কি হয় না? বিএনপি কতবার চেষ্টা করল, সব আন্দোলন ফেল করল, বিরোধীদলেরও তো পতন হয়। আমাদের দেশের নেতিবাচক রাজনীতিতে বিরোধী দল বারেবারে পতনের দিকে গেছে। এখনও তারা বিপথে চলছে। সে পথ ভুল পথ। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশের দিকে তাকান, আর পনের বছর পর রূপান্তরিত বাংলাদেশ, যার রূপকার এখানে বসে আছেন। এই রূপান্তর বিশ্বের বিস্ময়। দেশের জন্য যে মানুষটি সবকিছু বিসর্জন দিয়েছে, নিজের সুখ-শান্তি, একটা কমিটমেন্ট নিয়ে তিনি কাজ করেন। একটা দল দিন-রাত বিষোদগার করে, যাকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কী বডি ল্যাঙ্গুয়েজে সম্মান করে! এরা কি দেখে নাই? বহু প্রধানমন্ত্রী জি-টুয়েন্টিতে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তো নিজেই সেলফি তুলেছেন, জি-টোয়েন্টিতে তুলেছেন, নিউইয়র্কেও তোলেন। তিনি তো অন্য কারও সঙ্গে তোলেন নাই। আমাদের সমর্থন করছে... আমরা আনন্দিত সেই জন্য না.. শেখ হাসিনাকে গুরুত্ব দিয়েছে, গুরুত্বের মানেটা কী, এখানে সেটাই হচ্ছে বিবেচনার বিষয়। সমর্থনের কথা বলে লাভ নেই। তিনি আরও বলেন, এখন কত ঘরে কত আগুন। চারদিকে অশান্তির আগুন। এসব ছেড়ে বাংলাদেশের ফখরুল সাহেবকে উৎসাহ দেবে কে? তিনি তো প্রতিদিন এসব মিথ্যাচার করেন। পশ্চিমা বিশ্বের উৎসাহ তিনি পাচ্ছেন, এ জন্য ভালো লাগছে, মির্জা আব্বাস বলে চাঁদ রাতের মতো লাগছে। 
১৯ অক্টোবর, ২০২৩

‘কালবেলা দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সাংবাদিকতা করছে’
বর্ণিল আয়োজনে বগুড়ায় দৈনিক কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। নবপর্যায়ে যাত্রার বছরপূর্তি উপলক্ষে সোমবার (১৬ অক্টোবর) আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, কেক কাটা ও আনন্দ শোভাযাত্রা।  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, সংবাদপত্র হলো গণতন্ত্রের বলিষ্ঠ হাতিয়ার। মানুষের মতপ্রকাশের পাশাপাশি আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার চিত্র ফুটে ওঠে সংবাদপত্রের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এ কারণে এই সরকারের সময় নতুন নতুন সংবাদপত্রের ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আত্মপ্রকাশ ঘটছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উন্নতি ঘটছে।  তিনি বলেন, কালবেলা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সাংবাদিকতা করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করি। এই পত্রিকাটি বগুড়ার শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু নিয়ে যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে তা বগুড়াবাসী সব সময় মনে রাখবে। বগুড়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি ও বগুড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য্য শংকর ও বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টু। বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক সমুদ্র হক, মুরশিদ আলম, বগুড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন রহমান, বগুড়া ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাফ উদ দৌলা ডিউক প্রমুখ।  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দৈনিক কালবেলার বগুড়া ব্যুরো প্রধান প্রদীপ মোহন্ত। অনুষ্ঠানে বগুড়ায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মী এবং কালবেলার বগুড়ার সব উপজেলা প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
১৮ অক্টোবর, ২০২৩

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন দেশের স্বাধীনতা : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ৭৪ বছরের পথ চলায় বাঙালি জাতির সব অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে, যার সবচেয়ে বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। দেশ আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ে, খাদ্যে ঘাটতি থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণতায় উন্নীত হয়েছে, বিশ্বে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সে কারণে বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আওয়ামী লীগের নাম লিখতে হবে। গতকাল আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে দলীয়ভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দাবির মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন সূচনা করেন। সেই পথ ধরে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু তার মূল লক্ষ্য স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ জাতির পিতা, মহান শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। স্বাধীনতাপূর্বকালেও আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির জন্য অনেক অর্জন বয়ে এনেছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকেই মূলত ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন শুরু হয়।
২৪ জুন, ২০২৩
X