উচ্চবংশীয় গরু-ছাগলের সঙ্গে উচ্চবংশীয় লুটপাটকারীদের দেখছে দেশবাসী : সিপিবি
দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতি না ভাঙলে দুর্নীতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতারা। তারা বলেছেন, উচ্চবংশীয় গরু-ছাগলের সাথে উচ্চবংশীয় লুটপাটকারীদের দেখা পাচ্ছে দেশবাসী।  বুধবার (২৬ জুন) ‘দুর্নীতি হটাও, দেশ বাঁচাও’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।  সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, সমাজের ‘উচ্চ বংশীয়দের’ সাথে যোগাযোগের মধ্য দিয়ে এবং তাদের ছত্রছায়াতেই এই অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। দুর্বৃত্তায়িত অর্থনীতি ও রাজনীতি না ভাঙতে পারলে দুর্নীতির এই ধারা অব্যাহত থাকবে। মাঝেমধ্যে টোটকা ওষুধ দিয়ে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দেখানো হবে। কিন্তু লুটপাটের পথ বন্ধ না করতে পারলে লুটপাটকারী ও লুটপাটের ধারা বন্ধ করা যাবে না। তিনি লুটপাটকারী ও টাকা পাচারকারীদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি করেন। সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. সাজেদুল হক রুবেল, জলি তালুকদার, কাজী রুহুল আমিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ জহির চন্দন, ডা. ফজলুর রহমান, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, লুনা নূর, সাদেকুর রহমান শামীম, নিমাই গাঙ্গুলী, আবিদ হোসেন, রাগিব আহসান মুন্না, মানবেন্দ্র দেব, লাকী আক্তার, জাহিদ হোসেন খান প্রমুখ। রুহিন হোসেন প্রিন্স ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ ও কাদের প্রশ্রয়ে এই ঋণ অনুমোদন করা হয়েছিল তার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান। তিনি কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক সিদ্ধান্ত বাতিলেরও দাবি জানান। সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, সরকারি দলের নেতারা এ অবস্থায় বেসামাল কথা বলছেন, আর পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বিবৃতির নামে প্রকারান্তরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। নেতারা আরও বলেন, সরকার ভারত সফর করে এসে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। আর চীন সফর নিয়েও উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছে। অথচ ভারত সফরে আমাদের দেশের স্বার্থে ঝুলে থাকা, ৫৪টি নদীর পানি সমস্যা, তিস্তার পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, অসম বাণিজ্য নিয়ে কোনো সুখবর নেই। অথচ একতরফা রেলের জন্য করিডোর দেওয়াসহ তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ভারতের টেকনিক্যাল টিম পাঠানোর কথা মেনে নেওয়া হলো যা দেশবাসী গ্রহণ করেনি।  সমাবেশ থেকে আগামী ৬ জুলাই দেশের সকল উপজেলা থানায় দুর্নীতিবিরোধী সমাবেশ-বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া আগামী ২ জুলাই বাম গণতান্ত্রিক জোট আহূত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনের বিক্ষোভ সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
২৬ জুন, ২০২৪

কোনো অসম চুক্তি দেশবাসী মানবে না
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নতজানু আখ্যা দিয়ে ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেছেন, ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রকারান্তরে করদরাজ্যে পরিণত করেছেন। তবে দেশবাসী কোনো অসম চুক্তি মেনে নেবে না। দেশবাসীকে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তারা। গতকাল রোববার জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিদাতা হলেন ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাগপার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের আব্দুল রকিব এবং ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেমসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
২৪ জুন, ২০২৪

কোনো অসম চুক্তি দেশবাসী মানবে না : ১২ দলীয় জোট
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে নতজানু আখ্যা দিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১০ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো ভারত সফরে গিয়ে শেখ হাসিনা ১০টি সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তু দেশবাসী কোনো অসম চুক্তি মেনে নেবে না।  রোববার (২৩ জুন) জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। জোট নেতারা বলেন, আশপাশের প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছেও তারা আজকে পুরোপুরি মাথা নিচু করে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে জবাবটাও পর্যন্ত তারা দিতে পারে না। এই একটা অথর্ব নতজানু শাসকগোষ্ঠী আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে। বিবৃতিতে সই করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা'র) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। 
২৩ জুন, ২০২৪

‘সেন্টমার্টিন ইস্যুতে সরকারের বক্তব্য না থাকায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন’
সেন্টমার্টিনে গোলাগুলির ব্যাখা দিতে না পারা সরকারের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। মঙ্গলবার (১৮ জুন) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে সেন্টমার্টিনের প্রকৃত ঘটনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে যেভাবে গোলাগুলি করা হচ্ছে তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর চরম হুমকি। তারা বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে সাগরে দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের বড় বড় যুদ্ধজাহাজ। একটি ভিন্ন দেশ থেকে আমার আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সমুদ্রসীমানার যে পথ ওই পথে বাংলাদেশের জাহাজ যাতায়াত করতে পারছে না। সেখানে গোলাগুলি করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত একটি সিরিয়াস স্টেটমেন্ট পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরতে পারেনি। এটা আমাদের দেশের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির ফসল। ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃদ্বয় আরও বলেন, এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থার জায়গাটুকু পর্যন্ত সরকার ধরে রাখতে পারছে না। দেশপ্রেমিক জনগণ সরকারের কাছে আশা করে তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, স্বাধীনতা রক্ষা করবে, কিন্তু সেখানে মিয়ানমার ইস্যুতে কোনোরকম কথা নেই সরকারের। আমরা মনে করি এই সরকার দুর্বল একটি সরকার, যাদের ওপর জনগণের ম্যান্ডেট নেই এবং একটি নতজানু সরকার।
১৮ জুন, ২০২৪

‘আ.লীগের সঙ্গে দেশবাসী নেই’
কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে দেশবাসী নেই। তারা এখনো খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে আছেন। তাই তারা ডামি নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে যাননি। শুক্রবার (০৭ জুন) বিকেলে বরিশাল নগরের আমতলা এলাকার লায়লা কমিউনিটি হলে বরিশাল মহানগর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশের স্বার্থে স্বৈরাচার এরশাদ থেকে শুরু করে ১/১১ মঈন উদ্দিন ও ফকরুদ্দিনের সঙ্গে ক্ষমতার লোভে শেখ হাসিনার মতো আপস করেননি। সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেন, সরকার এবার ৫ বছর ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। বেনজীর যেভাবে দেশ থেকে হাওয়া হয়ে গেছে, শেখ হাসিনাও হাওয়া হয়ে যাবে। নেতাকর্মীরা একটু অপেক্ষা করেন, মনোবল ভাঙবেন না। আমরাও আপনাদের মতো অন্যায়-অত্যাচার জেল-জুলুম নির্যাতনের বহু শিকার হয়েছি। আমরা তো বিরোধী দল, আমরা তো বেনজীরকে ধাওয়া করিনি। তাহলে এত ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়েও কেন পালিয়ে যায়। সভা শেষে বিগত সময়ের এক দফা আন্দোলনে ক্ষমতাসীন দলের নির্যাতন ও কারাভোগকারী নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেন কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশাপাশি তাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান তারা। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব খান মো. আনোয়ার ও জেলার সদস্য সচিব কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মসিউর রহমান মঞ্জু। সেখানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফকরুল ইসলাম রবিন, কাজী রেজওয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, যুগ্ম সম্পাদক সহিদুল ইসলাম সোহেল, সরোয়ার ভুঁইয়া রুবেল, ফয়সাল আহমেদ খান, আলাউদ্দিন জুয়েল, সহসাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ রাসেল, মাহমুদ হাসান, সহদপ্তর সম্পাদক ওসমান গনি প্রমুখ।
০৭ জুন, ২০২৪

গরিব মারার বাজেট দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে : লেবার পার্টি
প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিব মারার বাজেট হিসেবে অভিহিত করে ১২ দলীয় জোটভুক্ত বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান বলেছেন, জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাবিত এই বাজেট দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে। শুক্রবার (০৭ জুন) এক বিবৃতিতে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। লায়ন ফারুক রহমান বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার পুনরায় ক্ষমতা দখল করেছে। এই সরকার ৬ জুন জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার ঋণনির্ভর বিশাল আকারের কল্পনাবিলাসী যে অবাস্তব বাজেট পেশ করেছেন, তাতে দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর এবং অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বাংলাদেশকে সুখী ও সমৃদ্ধ করার পরিবর্তে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের মাধ্যমে এবং বিদেশে অর্থপাচারের ব্যবস্থা করে ও দুর্নীতিবাজদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করার পরিবর্তে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার। তাদের এ বাজেট গরিব মারার বাজেট। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। এবার ব্যয় বেড়েছে ৮২ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা। বড় অংকের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ৪ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। এটি অর্জন করতে চলতি সংশোধিত বাজেট থেকে ৬৬ হাজার কোটি টাকা বেশি আহরণ করতে হবে, যা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অর্থনীবিদগণ। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির আয়সীমা গত বছরের মতোই রাখা হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। বেশি আয়ের লোকদের আয়করের সীমা ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা সংকুচিত করা হয়েছে। এতে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ অর্থাৎ কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। ফারুক রহমান বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট জনগণের ওপর বাড়তি কর আরোপের একটি বাজেট মাত্র। এই বাজেট দেশ ও দেশের জনগণের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। জনস্বার্থবিরোধী প্রস্তাবিত বাজেট দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করছে।
০৭ জুন, ২০২৪

সংসদে প্রধানমন্ত্রী  / কাউকে পরোয়া করি না, দেশবাসী পাশে আছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসই আমার একমাত্র সম্বল। এই সম্বল নিয়েই আমি চলি। এজন্য কাউকে পরোয়া করি না। যতক্ষণ দেশবাসী পাশে আছে, কাউকে পরোয়া করি না। সমালোচনা করে জনগণ থেকে আমাকে দূরে সরাতে পারবেন না। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ অনেকেই গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্রের প্রবক্তা হয়ে গেছে অনেকেই। আমার প্রশ্ন, যারা এখন গণতন্ত্র গণতন্ত্র করে চিল্লায়, তাদের জন্ম কি গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়েছে? না ওই রক্তাক্ত হাতে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সেনা কর্মকর্তাদের পকেট থেকে? যারা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছিল সেই রাজনৈতিক দল! জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার সংস্কৃতি জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা ওঠে। তখন (বিএনপির ১৯৯১ সালের সরকারের আমল) বিদ্যুৎ ছিল মাত্র ১৬শ মেগাওয়াট, বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে মানুষের আন্দোলনের কথাও তুলে ধরেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধেও সমালোচনা হয়েছিল উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমার বাবার সঙ্গেও একটি জিনিস হয়েছে। যতগুলো কাজ তিনি করে গেছেন, তার পরও তার সমালোচনা। তার বিরুদ্ধে নানা কথা। নানা লেখা। অনেক কিছু করে তাকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা হয়েছে। যখন পারেনি, তখন হত্যা করা হয়েছে। আমাকে তো হত্যার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমানের সময়ে দেশে এলিট শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ যে কথায় আসে ঋণখেলাপি, এই সংস্কৃতি কখন শুরু হয়েছিল? ওই জিয়াউর রহমান যখন অবৈধ ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, সেই সময় থেকে। যার ধারাবাহিকতা আমরা দেখেছি এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে। সেখান থেকে এখনো সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যায়নি। এটাই হলো বাস্তবতা। তার পরও আমাদের প্রচেষ্টা আছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাবে রাজি হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসত দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার পক্ষে তো দেশ বিক্রি সম্ভব নয়। রাজি হইনি বলেই ক্ষমতায় আসতে পারিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের ভরাডুবির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেনি। তা হয়েছিল অবাধ, সুষ্ঠু। তাহলে বিএনপি কেন মাত্র ৩০টি আসন পেল? তাহলে তারা এখন কীভাবে বলে নির্বাচনে আসবে না। নির্বাচন হয় না বা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। জনগণ ভোট দেবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। গত বছর আন্দোলনের সময় (২৮ অক্টোরব) বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাড়ির দরজায় হামলা করেছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মারার বিএনপির অভ্যাস আছে। সাংবাদিকদের খালি পেটানো নয়, প্রেস ক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের পিটিয়েছে, সেই রেকর্ডও আছে। অপকর্মের কোনো কিছুর বাদ নেই। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ আইনের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ আইন এজন্য করেছি, দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা শুধু সরকার দিয়ে হবে না, ব্যক্তি খাত দিয়েই করতে হবে। ব্যক্তি খাত না দিলে কর্মসংস্থানও বাড়ে না। পৃথিবীর কোন দেশ আছে, যেখানে ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর হয়? বিশেষ আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়নি। বরং বেসরকারি খাতে প্রথম বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছিল সামিট। খুলনায় তারা এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে দেরি করেছিল, যে কদিন দেরি করেছিল প্রতিদিন ১০ হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছিল। সেই জরিমানা আমি আদায় করেছিলাম। হ্যাঁ, লোডশেডিং হচ্ছে। প্রচণ্ড গরম, সেখানে লোডশেডিং হয়েছে। আমরা সেটা স্বীকার করি। কিন্তু কৃষক যেন সেচটা পায়, সেখানে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গুলশান-বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় লোডশেডিং দেওয়ার কথা বলেন। এ বিষয়ে তিনি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
১০ মে, ২০২৪

নির্বাচন বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়েছে দেশবাসী : গণতন্ত্র মঞ্চ 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ভোটার ছাড়া নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছেন রাজনৈতিক জোট গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তাদের দাবি, দেশবাসী নির্বাচন বর্জনের ডাকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘কেন্দ্রে মানুষ নেই, ভোটার নেই। এটা একটা ভোটার ছাড়া নির্বাচন।’ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সে কারণে মানুষ ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জবাব দিয়েছে।’ বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘দেশবাসী ডামি নির্বাচন বর্জনের ডাকে সাড়া দিয়েছে। সরকারের নাশকতা ও উসকানি মোকাবিলা করে ভোট বর্জন করেছে। ভোট বর্জন করে মানুষ প্রমাণ করেছে, দেশে গণতন্ত্র নেই। দুঃশাসন ও ভোট ভোট খেলার বিরুদ্ধে মানুষের ভেতর যে ক্ষোভ, তার জবাব মানুষ দিয়েছে।’ সমাবেশ থেকে আগামী ৯ জানুয়ারি সকালে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে সার্বিক পরিস্থিতির ওপরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছে। সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দীন পাপ্পু, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

প্রহসনের নির্বাচন রুখে দেবে দেশবাসী
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের নির্বাচন দেশবাসী রুখে দেবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। না হলে জনগণ যেভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে, তাতে সরকারের আখের রক্ষা হবে না। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানী বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তপশিল বাতিলসহ বন্দিদের মুক্তি ও বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ করা হয়। সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা কেএম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম নাঈম, শহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান সরকার, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, কেএম শরিয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাকসুদুর রহমান ও মুফতি মাছউদুর রহমান। সমাবেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় পতাকা র্যালি কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করলে এটা দেশবাসী মানবে না। প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ফিরে আসতে হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

প্রহসনের নির্বাচন দেশবাসী রুখে দেবে : ইসলামী আন্দোলন
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি।  তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের নির্বাচন দেশবাসী রুখে দেবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, অবৈধ সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ যেভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে, তাতে সরকারের রক্ষা হবে না। স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ জনসমর্থন হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে গেছে।  আজ শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক একতরফা নির্বাচনী তপশিল বাতিল, সব রাজবন্দির মুক্তি, বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম নাঈম, ডা. শহিদুল ইসলাম, নুরুজ্জামান সরকার, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মাওলানা কেএম শরিয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাকসুদর রহমান ও মুফতী মাছউদুর রহমান। আগামী ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় জাতীয় পতাকা র‌্যালি করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করলে এটা দেশবাসী মানবে না। প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে ফিরে আসতে হবে। তিনি পাতানোর নির্বাচনে কেউ কোনো সহযোগিতা করা থেকে এবং ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।  জাতীয় পার্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বানিয়েছে। জাতীয় পার্টি জাতির জন্য একটা বিষফোঁড়া। ২০১৪ সালের পর আবারও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন করে বৈধতা দিয়েছে। ওরা অংশীদার, মন্ত্রী হয়, তারা বিরোধী দল হয় কীভাবে।  তিনি বলেন, তৃণমূল বিএনপি আওয়ামী লীগের তল্পিবাহক। টাকা ও সিট ছেড়ে আওয়ামী লীগ তাদের নিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন মানুষের সঙ্গে আছে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত করবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল করতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ এর মতো নির্বাচন আমরা চাই না। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন থেকে সরকারকে ব্যাক করানোর জন্য ইসলামী আন্দোলন রাজপথে নেমেছে। সরকারকে বলব ফিরে আসার জন্য।  অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, দেশের সম্পদ নষ্ট করে সরকার প্রহসনের নির্বাচন করছে। পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে দিলে অন্তত দেশের সম্পদ নষ্ট হতো না। পাতানোর নির্বাচনে খরচকৃত টাকার হিসাব জনগণ নেবে। তিনি শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে প্রজন্মকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের বই বিতরণ করা যাবে না। কোনো ছাত্র-ছাত্রী এই বই পড়বে না। তিনি বিতর্কিত বই ছাপাতে যে টাকা খরচ হয়েছে, এই টাকা শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনিকে দিতে হবে। সমাবেশ শেষে একটি বিশাল মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, বিজয়নগর পানির ট্যাংকি হয়ে পুনরায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে এসে সমাপ্ত হয়।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
X